বংশতালিকা
পিতা সারদা চরণ দাস ও মাতা সরোজনলিনী দেবী
পিতা ১৯৬৯ সালের ১৫ই আগস্ট শিলচর শহরে দাদার বাসভবনে দেহরক্ষা করেন । মাতা ১৯৯০ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর কোলকাতায় আমার সরকারী আবাসনের ফ্ল্যাটে দেহত্যাগ করেন । দুজনের কারোরই জন্ম তারিখ জানা নেই ।
ওঁদের দুজনেরই নিবাস ছিল তদানীন্তন পূর্বপাকিস্তান তথা অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত শ্রীহট্ট শহরে । দেশভাগের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে পিতা সপরিবারে দেশত্যাগ করেন । আমার বয়স তখন ৪ কিংবা ৫ বছর, দাদার ১৪ কিংবা ১৫ । প্রথমে শিলচর শহরে স্থিত হয়ে বাবা পরে প্রেস ম্যানেজারের চাকুরী নিয়ে সপরিবারে উজানি আসামের যোরহাট শহরে গমন করেন । পরবর্তীকালে তিনি আসাম সরকারের উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর থেকে ৫০০০ টাকা ঋণ নিয়ে যোরহাটে নিজস্ব একটি ছোট প্রেস স্থাপন করেন । আমরা জীবনধারণ, শিক্ষা ও মৌলিক চাহিদার ব্যয় মেটাতে সম্পূর্ণরূপে এই ক্ষুদ্র উদ্যোগের আয়ের উপর নির্ভরশীল ছিলাম । ১৯৬০ সালের "বঙাল খেদা" নামক হিংসাশ্রয়ী আন্দোলনের সময় সঙ্গে সামান্য অর্থ নিয়ে প্রেস তালাবন্ধ রেখে আমাদেরকে যোরহাট ছেড়ে যেতে হয়েছিল । আমরা যে শহর থেকে যোরহাট এসেছিলাম ও যেখানে আমাদের কিছু আত্মীয়স্বজন ছিলেন সেই শিলচর শহরে ফিরে গেলাম । সেখানে বাবা সামান্য বেতনে প্রেসে চাকুরী নিয়ে ঘর ভাড়া করে মা ও দাদার সাথে থাকতে লাগলেন । যোরহাটের অবস্থা স্বাভাবিক হলে বাবা, মা, ও দাদা সেখানে ফিরে গেলেন । ততদিনে আমি শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে শিলংএ ।
আমার জ্যেষ্ঠা ভগ্নিদ্বয়
জীবিত ভাইবোনদের মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠ চামেলী রায় ওরফে বত । আসামের শিলচর শহরের নিকটবর্তী দিলখুসবস্তি নামক স্থানে মৃত্যু ১৯৭৪ সালে। যদিও সমৃব্ধিশালী ভূস্বামী পরিবারে বিয়ে হয়েছিল দেশভাগের পর ভারতে এসে দুর্দশাগ্রস্থ জীবন কাটাতে হয় ।
আমার জ্যেষ্ঠা ভগিনী বকুল রাণী রায় ওরফে ক্ষতি ও তার স্বামী রজনী মোহন রায় । ওঁরা বর্ধিষ্ণু ভূস্বামী পরিবারভুক্ত হয়েও ভারত ভাগের পর এদেশে এসে অপরিসীম দুঃখকষ্ট ভোগ করেন । পরিশেষে ভগ্নিপতি ২৩শে জানুয়ারী ২০১১ ও ভগিনী ৬ই জুন ২০১৮ আসামের মরিয়ানীতে পুত্রের বাসস্থানে দেহত্যাগ করেন ।
জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা কৃষ্ণকান্ত দাস
দুই দিদির ছোট আমার দাদা কৃষ্ণকান্ত দাস গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম. এ. পাস করে শিলচরের গুরুচরণ কলেজে অর্থনীতির লেকচারার হিসাবে কর্মজীবন আরম্ভ করে । ঐ কলেজেরই অর্থনীতির বিভাগীয় প্রধান হিসাবে অবসর গ্রহণ করে । ২০১০ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী রাতে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের ফলে মৃত্যু হয় ।
দাদার প্রথমা স্ত্রী ঝর্ণা দাস ।
ঝর্ণা দাস এলাহাবাদ নিবাসীনি ছিলেন । ১৯৭০ সালের জুলাই মাসে দাদার সাথে বিয়ে হয় । ১৯৭৩ সালে শিলচরের হাসপাতলে সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যু বরণ করেন ।
দ্বিতীয়া স্ত্রী সাবিত্রী দাস ও পুত্র কল্যাণ সহ দাদা কৃষ্ণকান্ত দাস । পুত্র কল্যাণ বর্তমানে স্ত্রীপুত্র সহ আমেরিকার বাসিন্দা । ডেনবার শহরে স্থিত ও কর্ম্মরত । বৌদি ২০১৪ সালের ৩০শে এপ্রিল ভোরবেলা শিলচরে নিজবাড়ীতে ঘুমের মধ্যে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে । মৃত্যুকালে আত্মীয়স্বজন কেউ কাছে ছিল না । বাস করার মত কেউ না থাকায় পুত্র কল্যাণ দাদার শিলচরের বাড়ীটি সম্প্রতি বিক্রী করে দিয়েছে ।
আমার বিবাহসূত্রে অর্জিত আত্মীয়স্বজন
আমার শ্বশুর অনুপেন্দ্র নাথ সিং ও শাশুড়ী সুষমা দেবী । উভয়েই দীর্ঘদিন গত । ওঁরা পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন ।
আমার স্ত্রী অজিতা ওরফে স্বপ্না দাস ১৯৯০ সালে যেমন ছিল ।
আমার কনিষ্ঠা শ্যালিকা শান্তি ওরফে বন্দনা । ও দীর্ঘদিন আমার পরিবারের অঙ্গ হয়ে আমার কাছে ছিল । আমার মেয়েদের বড় করে তোলার কাজে ও যথেষ্ট সাহায্য করেছে । যথেষ্ট বুদ্ধিমতী, সহজেই মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে । যাদের সংস্পর্শে এসেছে তারাই ওকে ভালবেসেছে । তবে বয়সের সাথে সাথে কিংবা অর্থের প্রাচুর্যে বা পারিবারিক আবহাওয়ার দরুণ ওর এককালের সূক্ষ্ম অনুভূতির নিস্তেজতা পরিলক্ষিত হচ্ছে । ১৯৮৩ সালে আমার এক সহকর্ম্মী তথা বন্ধুর ভাই অশোক গুহর সাথে ওর বিয়ে দি । বর্তমানে দুই পুত্রের জননী, দুই পুত্রই বিবাহিত ও একত্র বসবাসকারী ।
আমার স্ত্রীর একমাত্র ভাই (বড়) সুদর্শন সিংহ ও তার স্ত্রী ঊমা সিংহ, মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা । সুদর্শন সিংহ ২০২১ সালের ২১শে জুলাই পরলোকগত হয়েছেন ।
আমার স্ত্রীর দিদির মেয়ে রণা সিংহ ।
দিল্লিতে স্বামী চয়ন, পুত্র রাহুল ও কন্যা পূজাকে নিয়ে নিজেদের বাড়ীতে বাস করে । আমার স্ত্রীর আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে ও আরেকজন যে আমার খুব প্রিয় । অনেক বাধাবিপত্তির মধ্যে পড়াশোনা করে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়াবার চেষ্টা করে গেছে এবং লক্ষ্যে স্থির থেকে সাফল্য লাভ করেছে । ও এখন ইংরাজীতে এম. এ. । ও কোমলহৃদয়া, অন্তরের সূক্ষ্ম অনুভূতািগুলোে জাগ্রত রেখেছে । অনেক বিষয়ে ওর আগ্রহ এবং জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী আমার সঙ্গে মিলে যায় । আমার প্রিয়জনদের মধ্যে ওই আমার কাজের মর্ম্ম বোঝে । তাই ও আমার প্রিয়, ভাল বন্ধু ।
ছোটবেলার ছবি: তিন বোন - রণা, মামন ও ঝিলমিল ।
পূজা সিং, রণার মেয়ে, আর্টসে স্নাতকোত্তর । দিল্লিতে বাস করে, গানের তালিম নিচ্ছে । ও বর্তমানে (সাল ২০২৪) বাঙ্গালোরে কর্ম্মরত ।
স্ত্রীর দিদির মেয়ের ছেলে রাহুল রায় । ওরা বর্তমানে উত্তরবঙ্গের মালবাজারের বাসিন্দা । রাহুল বর্তমানে বানিজ্যিক বিমানচালক, ইণ্ডিগোতে কর্ম্মরত ।
কারসিয়ং এর পথে আমার স্ত্রী স্বপ্না, ওর বোনঝি কিট্টু তার স্বামী নির্মল, ছেলে রাহুল ও আমার মেয়ে ঝিলমিল । শীতকালীন অবকাশ শেষে রাহুল স্কুলে যোগ দিতে যাচ্ছিল । আমরা ঐ সময় উত্তরবঙ্গে থাকায় ওদের সঙ্গে রাহুলকে পৌঁছুতে যাচ্ছিলাম । নির্মল ২০২২ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারী প্যানক্রিয়াসের ক্যানসারজনিত রোগে মৃত্যুবরণ করে ।
স্ত্রীর দুই দিদির তিন মেয়ে: (বাম দিক থেকে) টুলটুলি ও কিট্টু (দিদি রত্নার মেয়ে) এবং রণা বা রঞ্জু (দিদি বাণীর মেয়ে) । আমার মেয়ে ঝিলমিলের বিয়ের অনুষ্ঠানে) ।
দিল্লীতে বোনঝি রণার বাড়ীতে রণা এবং ওর পুত্র রাহুলের সঙ্গে স্বপ্না, নবেম্বর ২০১৭ ।
পরিবারের সঙ্গে যুক্ত শিশুরা
দৌহিত্র শ্লোক
আমার দাদার পৌত্র রোহিত । ওরা আমেরিকার ডেনভার শহরের বাসিন্দা ।
মামাতো ভাই মানিকের কন্যা মিতুর দিকের দৌহিত্র সৌমিক, বর্তমানে লণ্ডনবাসী ।
মানিকের জ্যেষ্ঠ পুত্র সুমনের দিকের পৌত্র সুমিত, অস্ট্রেলিয়াবাসী ।
মানিকের কনিষ্ঠ পুত্র সুজকের দিকের পৌত্র শ্রীহান । বাংলাদেশের শ্রীহট্টবাসী ।
মামাতো ভাই শঙ্করের পৌত্র অমৃত, বাংলাদেশের শ্রীহট্ট মহানগরীর বাসিন্দা ।
কতিপয় সম্পর্কিত পরিবার
আমার ভগ্নিপতি রজনীকান্ত রায়, দিদি বকুল রাণী রায়, মা এবং কুটুমামা রাধিকাকান্ত দাস দিদির পরিবারের সদস্যদের সাথে ।
মাটিতে বসে: মামাতো বোন শিপ্রার দুই মেয়ে মাম্পি ও পূজা । দাঁড়িয়ে প্রথম সারিতে (বাম থেকে ডানে) মামন, শিপ্রা, শিপ্রার স্বামী মানিক, সীমা, শিপ্রা-সীমার কাজিন অপর্ণা । দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় সারিতে (বাম থেকে ডানে) মামনের স্বামী জয়, সীমার স্বামী বরুণ, শিপ্রার ভাসুরের মেয়ে লুসি ও আমার গৃহকর্তী স্বপ্না । আমাদের বিধান নগরের ফ্ল্যাটের ছাদে ।
বসে (বাম থেকে ডানে): ঝিলমিল, মা ও কুটুমামা । দাঁড়িয়ে (বাম থেকে ডানে): মামতো ভাই দীপু, দুই মামাতো বোন শিপ্রা ও সীমা এবং মামন । আমাদের মিণ্টো পার্কের সরকারী আবাসনের ফ্ল্যাটে।
নীচে বসে (বাম থেকে ডানে): শঙ্করের মেয়ে টুম্পা ও সীমুর ছেলে রাজ । দ্বিতীয় সারিতে বসে (বাম থেকে ডানে): আমার মেয়ে ঝিলমিল ও শঙ্করের ছেলে অমিত । পেছনে দাঁড়িয়ে (বাম থেকে ডানে): বোন সীমু, মামাতো ভাই শঙ্করের স্ত্রী আলপনা,আমার স্ত্রী ও শঙ্কর ।
চেয়ারে বসা: আমার বৌদি সাবিত্রী দাস ও দাদা কৃষ্ণকান্ত দাস (বর্তমানে উভয়েই মৃত) । দ্বিতীয় সারির দ্বিতীয় অবস্থানে দাঁড়িয়ে আমার স্ত্রী স্বপ্না, ৩য় সারির প্রথমে আমার বড়দিদির কনিষ্ঠ সন্তান নিখিল আর বাকীরা আমার বড়দিদির জ্যেষ্ঠপুত্রের পরিবারবর্গ । ২০০৭ সালের ২৩শে ডিসেম্বর শিলচরের নিকটবর্তী লক্ষীপুর নামক স্থানে বড়দিদির দিকের জ্যেষ্ঠ ভাগ্নে নন্দলালের (বর্তমানে মৃত) বাড়ীর আঙ্গিনায় ছবিটি তোলা ।
শিলচরে দাদার বাড়ীতে - সামনে বসে (বাম থেকে ডানে) ভাগ্নী সুলেখার মেয়ে রুবী, বড় ও ছোট ছেলে, (২য় সারি) ওর ছোট ছেলের বৌ, আমার স্ত্রীর কোলে সুলেখার দৌহিত্রী, সুলেখা ও আমার বৌদি । ডিসেম্বর ২৪. ২০০৭ ।
মরিয়ানী, আসাম: নীচে মাটিতে বসে ভাগ্নে রঞ্জুর মেয়ে মাম্পি, চেয়ারে বসে (ডান থেকে বামে): ফুলদি বকুল রাণী রায়, জামাইবাবু রজনী মোহন রায় । পিছনে দাঁড়িয়ে (বাম থেকে ডানে): ভাগ্নী সবিতা, ভাগ্নী নমিতার মেয়ে টুম্পা, ভাগ্নে রঞ্জু, ওর স্ত্রী মণি, ভাগ্নী নমিতা, সবিতার মেয়ে পম্পি ও আমার স্ত্রী স্বপ্না । রঞ্জুর বাসভবনের প্রাঙ্গন, ডিসেম্বর ২৪, ২০০৭ ।
নীচে বসে (বাম থেকে ডানে): ভাগ্নে রঞ্জুর মেয়ে মাম্পি, দূর সম্পর্কের আত্মীয় (পরিচয় অজানা) । ২য় সারিতে বসে (বাম থেকে ডানে): ভাগ্নে রঞ্জুর শাশুড়ী, ভাগ্নী নমিতার শাশুড়ী, আমার ফুলদি । ৩য় সারি দাঁড়িয়ে (বাম থেকে ডানে): পুত্র রিক কোলে ভাগ্নী নমিতার ছেলের বৌ মিষ্টি, ভাগ্নে বৌ মণি, নমিতা, দূর সম্পর্কের আত্মীয়া (পরিচয় অজানা), ভাগ্নে রঞ্জু । শেষ সারি (বাম থেকে ডানে): ভাগ্নী নমিতার ছেলে অরিন্দম ওরফে বাবলু ও রঞ্জুর শ্যালিকা মাম্পি । যোরহাট, নমিতার বাড়ী, মার্চ ২০১৪ ।
বিধান নগরে আমাদের ফ্ল্যাটে: স্বপ্নার বৌদি (ডানদিকের সোফার দ্বিতীয় স্থানে) তার দুদিকে তার দুই পুত্রবধু ও নাতি-নাতনী সহ । বাদিকের কোণায় দিদিমার কোলে শ্লোককেও দেখা যাচ্ছে । ডানদিকের সোফার এদিকের প্রান্তে আমার প্রিয় শ্যালিকা শান্তিও রয়েছে । ডিসেম্বর ১৭, ২০০৮ ।
সেবকের করোনেশন ব্রিজের কাছে ২০০৫ সালের গ্রুপ ফটো - (বাম থেকে ডানে): রুবাই, শান্তি, মামন,স্বপ্না, ঝিলমিল, অলোক, উত্তম, পুসান ও বাবু । শুভর বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মালবাজারের পথে ।
পরিবারের মেয়েদের বিয়ে
মামনের বিয়ের গাত্রহরিদ্রার অনুষ্ঠান । আমাদের বিধান নগর ফ্ল্যাটের ছাদে, ৫ই ডিসেম্বর, ২০০০ ।
মামনের বিয়ে: বরাগমন
মামনের বিয়ে: মালাবদল
মামনের বিয়ে: খৈ দান ।
ঝিলমিলের বিয়ে: আদ্যশ্রাদ্ধ, আমার অসুস্থতার দরুণ আমার স্ত্রী সম্পাদন করছেন । উপস্থিত আমার শ্রীহট্টবাসী মামাতো ভাই মানিক ওরফে রজত। আমাদের বিধান নগরের ফ্ল্যাটে । ২১শে নবেম্বর, ২০০৭ ।
ঝিলমিলের বিয়ে: গাত্রহরিদ্রা । ২১শে নবেম্বর, ২০০৭ । বিধান নগর ফ্ল্যাটের ছাদে ।
ঝিলমিলের বিয়ে: কন্যাদান । আমার অসুস্থতার দরুণ মামাতো ভাই মানিক সম্পাদন করেছে । জিডি মার্কেট বিবাহ ভবন, বিধান নগর ।
বিধান নগরে আমাদের ফ্ল্যাটে কিছু আত্মীয়স্বজন ঝিলমিলের বিয়েতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতির মুহূর্তে । সামনে বসে আমাদের গৃহপরিচারিকা । বি বি ২৯, বিধান নগর, ২১শে নবেম্বর ২০০৭ ।
মিঠান-ঝিলমিলের বিয়ের অভ্যর্থনায় :(বাম থেকে ডানে) ঝিলমিল, ঝিলমিলের শাশুড়ী গীতালি বর্মন, মামনের শাশুড়ী সন্ধ্যা দত্ত, পাত্রীর পিতা অজয় দাস, মামনের শ্বশুর বৈদ্যনাথ দত্ত, স্বপ্নার বড়দি বাবলী সিং, স্বপ্না ও মামন । পেছনে দাঁড়িয়ে মামনের বর শুভজিৎ দত্ত ।
পাত্রপক্ষের আয়োজিত মিঠান-ঝিলমিলের বিয়ের অভ্যর্থনায় আমাদের আত্মীয়স্বজনদের কয়েকজন: নীচে বসে ঝিলমিলের বন্ধু দীপা । দাঁড়িয়ে (বাম থেকে ডান) নির্মল (স্বপ্নার বোনঝি কিট্টুর বর, বর্তমানে প্রয়াত), অশোক গুহ (আমার শ্যালিকা শান্তির বর), মিঠান, স্বপ্না, ঝিলমিল, শান্তি, মামন,আমার মামাতো ভাই মানিক, স্বপ্নার দিদি রত্না ও স্বপ্নার দাদা সুদর্শন সিং । হোটেল স্টেডল, সল্ট লেক, ২৩শে নবেম্বর ২০০৭ ।
নিবাস: বিধাননগরে আমাদের ফ্ল্যাট ।
আমরা এখানে বসবাস করি । ১৯৯৭ সালের ১লা জুন আমরা এখানে এসেছি ।
আমাদের প্রথম সন্তান, কন্যা: অনিন্দিতা ওরফে মামন
সিএ (ইণ্টারমিডিয়েট) পাশ
অনিন্দিতা ওরফে মামন ১৯৭৪ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারী অপরাহ্ণ ১২টা ১৭ মিনিটে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর শহরে একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে জন্মগ্রহণ করে । ১৯৯৪ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক হওয়ার পর চার্টার্ড অ্যাকাউণ্টেন্সি পড়তে শুরু করে । কালক্রমে চার্টার্ড অ্যাকাউণ্টেন্সির ইণ্টারমিডিয়েট পাশ করে । কিছুতেই ওকে সি এর (CA) অন্তিম পরীক্ষায় বসানো যায় নি । বার কয়েক ঐ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির অর্দ্ধউৎসাহী পদক্ষেপ নিলেও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে এসেছে ।
২০০০ সালের ৫ই ডিসেম্বর কোলকাতার কসবানিবাসী বৈদ্যনাথ দত্ত ও সন্ধ্যা দত্তের একমাত্র সন্তান পেশায় ইঞ্জিনিয়ার শুভজিৎ দত্তের সঙ্গে ওর বিয়ে হয় । বিয়ের কয়েক বছর পর স্বামীর চাকুরীর প্রয়োজনে বছর চারেক পুণা ও মোম্বাই শহরে বসবাস করেছে । বিয়ের আগে অনিন্দিতা সিএমসিতে কম্প্যুটার বিষয়ে প্রশিক্ষণও নিয়েছিল । কোলকাতায় থাকাকালীন বিভিন্ন সংস্থায় অ্যাকাউণ্ট সম্পর্কিত পদে চাকুরী করেছে । মোম্বাই থেকে ফেরার পর নবেম্বর ২০১৪ সাল পর্যন্ত কোলকাতার একাধিক সংস্থায় কাজ করেছে, তারপর থেকে সম্পূর্ণরূপে গৃহকর্ম্মে নিযুক্ত ।
ও বরাবর অত্যন্ত কল্পনাবিলাসী । ও শিশুদের ভীষণ ভালবাসে । কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ ওর কোন সন্তান সন্ততি নেই । বিয়ের পর থেকে নানা রকম কঠিন অসুখে ভুগছে । বিবাহিত জীবনেও নানারকম কঠিন সমস্যায় জর্জরিত হয়েছে । সন্তানহীনতা ও দীর্ঘকাল ধরে এই সব আঘাত ওর উপর গভীরভাবে রেখাপাত করেছে । বিভিন্ন কারণে ওর জন্য সর্বদা আমাকে চিন্তাক্লিষ্ট থাকতে হয় ।
কনিষ্ঠা কন্যা অনসূয়া ওরফে ঝিলমিল এমবিএ (মানব সম্পদ)।
কনিষ্ঠা কন্যা অনসূয়া ওরফে ঝিলমিলের । জন্ম ১৯৮০ সালের ২৯শে এপ্রিল পূর্বাহ্ন ১০টা ৪৭মিনিটে ঝাড়গ্রাম শহরের একটি বেসরকারী নার্সিং হোমে । অনসূয়া ওরফে ঝিলমিল ২০০২ সালে অ্যাকাউন্টেন্সিতে অনার্স নিয়ে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয় । ২০০৬ সালে যাদবপুর ইউনিভার্সিটি থেকে মানব সম্পদ বিষয়ে এমবিএ পাশ করে । তবে আমার এই কন্যাও সিএমসিতে কম্প্যুটার প্রশিক্ষণ নিয়েছিল ।
স্নাতকের পর কোম্পানী সেক্রেটারিশিপ পড়ার জন্য স্বেচ্ছায় ইনস্টিটিউট অফ কোম্পানী সেক্রেটারিজ অফ ইণ্ডিয়াতে নিবন্ধীভুক্ত হয় ও স্টাডি ম্যাটিরিয়েলস সংগ্রহ করে । কিন্তু পরবর্তীকালে কখনো এই কোর্সের জন্য পড়াশুনো করে নি ।
২০০৭ সালের ২১শে নবেম্বর ১৬০ সতিন সেন সরণিতে অবস্থিত পূর্বাশা আবাসনের ডি ২২।৩ নং ফ্ল্যাটের বাসিন্দা গীতালি ও সন্তোষ বর্মনের জ্যেষ্ঠপুত্র সায়ন ওরফে মিঠানের সাথে ওর বিয়ে হয় । সায়ন পেশায় ব্যবসায়ী । চাকুরীক্ষেত্রে অনসূয়া প্রথমে একটি প্রখ্যাত বিমান সেবিকা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ও পরে একটি মিডিয়া কোম্পানীতে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কাজ করেছে । তারপর প্রথমে গর্ভধারণ ও পরে শিশুর দেখাশোনা করতে গিয়ে আর চাকুরী করতে পারে নি । তখন থেকেই কর্ম্মহীন অবস্থায় ছিল । ২০১৫-১৬ সালে বন্ধুদের সঙ্গে একটি নতুন উদ্যোগে সামিল হয়েছিল । বছরখানেক চলার পর তা বন্ধ করে দিতে হয় । এখন সারাক্ষণ শিশুপুত্রের দেখাশোনায় নিযুক্ত ।
বরাবর ও চাকুরীতে উৎসাহী ছিল । কিন্তু কোলকাতার কর্মসংস্থানের সঙ্কুচিত ক্ষেত্রে একবার বেরিয়ে যাওয়ার কয়েক বৎসর পর পুনর্প্রবেশের উপযুক্ত সুযোগ আর পায় নি ।
জ্যেষ্ঠ জামাতা শুভজিৎ দত্ত ।
শুভজিৎ ১২৫এ সুইনো লেন, কোলকাতা ৭০০০৪২ নিবাসী সন্ধ্যা দত্ত ও বৈদ্যনাথ দত্তের একমাত্র সন্তান । জন্ম ১লা আগস্ট ১৯৭০, শুভজিৎ পেশায় উৎপাদন বাস্তুকার (Production Engineer) । নিজেদের যন্ত্রাংশ নির্মাণের ক্ষুদ্রায়তন ফ্যাক্টরি কিছুদিন চালাবার পর চাকুরীসূত্রে পুণা ও মোম্বাইতে বছর কয়েক কাটিয়ে শুভজিৎ এখন কোলকাতায় ফিরে এসেছে । কোলকাতায় সে ফ্রিল্যান্স প্রযুক্তিগত পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করছে ও নিজেদের ফ্যাক্টির কাজকর্ম্ম দেখছে । বৃত্তিগত প্রয়োজনে আগেই দুবাই ও জার্মানী ঘুরে এসেছে ।
কনিষ্ট জামাতা সায়ন বর্মন
সায়ন পূর্বাশা হাউজিং এস্টেটের (১৬০ সতিন সেন সরণি, কোলকাতা - ৭০০০৫৪) ডি ২২।৩ নং ফ্ল্যাট নিবাসী গীতালি বর্মন ও সন্তোষ বর্মনের জ্যেষ্ঠ পুত্র । জন্ম ২৭শে নবেম্বর ১৯৭৯, পেশায় দূষণ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রপাতির ব্যবসায়ী । ব্যবসাসূত্রে ভারতবর্ষব্যাপী যাতায়াত । ভ্রমণপিপাসু ।
নতুন আগমন
দৌহিত্র শ্রীমান শ্লোক (জন্মের অব্যবহিত পর)
কোলকাতার প্রখ্যাত ভাগীরথী নেওটিয়া নারী ও শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বাণী কুমার মিত্র মহোদয়ের তত্বাবধানে ২০১০ সালের ১৫ই এপ্রিল (২রা বৈশাখ ১৪১৭) বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা বেজে ১৯মিনিট ৫৭সেকেণ্ডে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শ্রীমান শ্লোকের জন্ম হয় । মাতা অনসূয়া দাস, পিতা সায়ন বর্মন । ওর জন্মের সপ্তাহখানেক পূর্বে আমি স্বপ্নে দেখেছিলাম আমার কনিষ্ঠা কন্যার একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে । উপরে প্রদত্ত ওর ছবিটি ওর জন্মের দিন সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৮মিনিট ৩৬সেকেণ্ডে তোলা । যথাসময়ে ওর নামকরণ হয় শ্লোক, ডাক নাম রুবেন । তবে সবাই ওকে শ্লোক বলেই ডাকে । ও বর্তমানে (২০২৪ সাল) নবম শ্রেণীর ছাত্র ও পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী ।
শ্লোকের ২০১২ সালেয় ৯ই নবেম্বরের ছবি । ও ২০১২-১৩ সালে বাড়ীর নিকটবর্তী "ইউরোকিড নামক" প্লেস্কুলে পড়ত ।
মেয়েদের শ্বশুর-শাশুড়ী
(বাম থেকে ডানে): সন্ধ্যা দত্ত ও বৈদ্যনাথ দত্ত (জ্যেষ্টা কন্যা অনিন্দিতার শ্বশুর-শাশুড়ী), সন্তোষ বর্মন ও গীতালি বর্মন (কনিষ্ঠা কন্যা অনসূয়ার শ্বশুর-শাশুড়ী) । দুই পরিবারই কোলকাতা নিবাসী ।
আমাদের কয়েকজন মামা
আমার মামাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মায়ের আপন ছোট ভাই রমাকান্ত দাস (ছবিতে মাঝখানে বসা), বড়মামীমা সাধনা দাস (মামার বাম পাশে বসা) এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ।
মা ও তার সবচেয়ে ছোট আপন ভাই রাধিকাকান্ত দাস,আমাদের কুটুমামা ।
মায়ের খুড়তুতো ভাই কুমুদরঞ্জন দাস ওরফে ভুতু (আমাদের ভুতুমামা) ও মামীমা ঊষারাণী দাস । ওদের কোন সন্তান সন্ততি ছিল না । ভুতুমামা ১৯৯৫ সালে দেহত্যাগ করেন । মামীমা ২০১৪ সালের ২৮শে অক্টোবর প্রাতঃ ৬টা ৩০ মিনিটে শিলচরে নিজস্ব ফ্ল্যাটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।
আমার মামাতো ভাইবোন ও তাদের পরিবার
মামাতো ভাই রজত ওরফে মানিক ও তার প্রথমা স্ত্রী সুমিতা ।
আমার ঘনিষ্ঠতম মামাতো ভাই মানিক প্রথমা স্ত্রী ও দুই পুত্র সুমন ও সুজকের সাথে ।
মানিক ছিল আমার ঘনিষ্টতম মামাতো ভাই । আমাদের বয়সের পার্থক্য ছিল এক বছরেরও কম । আমরা প্রায় বন্ধুর মত ছিলাম । ২০০৮ সালের ২০শে এপ্রিল আমার এখানে থাকাকালীন বাইপাস সার্জারীর পরবর্তী জটিলতার দরুণ হাসপাতালেই মারা যায় । ওর বিধবা দ্বিতীয়া স্ত্রী রীতা বাংলাদেশে ওর পৈতৃক বাড়ীতে বাস করে ।
মানিক দ্বিতীয়া স্ত্রী রীতার সঙ্গে আমাদের সল্টলেক (বিধাননগর) বাসভবনে ২০০৪ সালে ।
মামাতো ভাই মানিক এবং ওর দ্বিতীয়া স্ত্রী রিতার সঙ্গে স্বপ্না ও ঝিলমিল । আমাদের বিধান নগর ফ্ল্যাট, ডিসেম্বর ২০০৪ ।
স্ত্রী আলপনার সঙ্গে আরেক মামাতো ভাই শঙ্কর । ওরা বাংলাদেশের বাসিন্দা ছিল, সম্প্রতি নিউইয়র্কে মাইগ্রেট করেছে ও আমেরিকার নাগরিকত্ব অর্জন করেছে । ওদের এক পুত্র ও এক কন্যা, উভয়েই বিবাহিত ও বাংলাদেশের বাসিন্দা ।
আমার আরেক মামাতো ভাই দীপু, স্ত্রী ঝুমা, কন্যা ঝিলিক ও পুত্র দীপ্তের সঙ্গে । ওরা সকলে নিউইয়র্কবাসী ।
আমার আরেক মামাতো ভাই গৌহাটি নিবাসী দীপু , স্ত্রী মীনা, কনিষ্ঠ পুত্র কিংসুক ও মা সত্যভামা দেবীর সাথে গৌহাটিতে নিজ বাসস্থানে । দীপু মায়ের খুড়তুতো ভাই কান্তিভূষণ দাসের জ্যেষ্ঠপুত্র ।
মামাতো বোন ছন্দা ওরফে রেবা পুরকায়স্থ স্বামী নিশিথের সঙ্গে । এরাও বর্তমানে নিউইয়র্কবাসী । এদের তিনটি কন্যা, তার মধ্যে একটি নিউইয়র্কবাসী ও একটি ঢাকা ইউনিভার্সিটির সঙ্গীত বিভাগের অধ্যক্ষ, সুগায়িকা । তৃতীয়া মেয়েও বাংলাদেশ নিবাসীনি ।
স্বামী রজতের সঙ্গে মামাতো বোন গায়ত্রী (ওরফে সীমু) দাসচৌধুরী । এরাও বর্তমানে নিউইয়র্কে রয়েছে । এদের একটী সন্তান, পুত্র, নাম রাজা । সে ডাক্তার, ২০১৯ সালে ঢাকায় বিয়ে হয়েেছে ।
আমার আরেকটি মামাতোবোন (কুটুমামার জ্যেষ্ঠা কন্যা) শিপ্রা রায় (ডানদিক থেকে ৩য়), ওর স্বামী মানিক (বামদিক থেকে ১ম), ওদের কন্যারা ও শিপ্রার ভাসুরের মেয়ে লুসি । একেবারে ডানদিকে কুটুমামার কনিষ্ঠা কন্যার স্বামী বরুণ । এরা সকলেই আসামের করিমগঞ্জ নিবাসী । ছবিটি শিপ্রার বাড়ীর ছাদে তোলা ।
আমার আরেক মামাতো বোন (কুটুমামার কনিষ্ঠা কন্যা) সীমা দাস ও কন্যাকোলে স্বামী বরুণ দাস । ছবিটি করিমগঞ্জে ওদের বাড়ির আঙ্গিনায় তোলা । এরাও করিমগঞ্জনিবাসী ।
ভাইপো, ভাইঝি, ভাগ্নে, ভাগ্নী
স্ত্রী সহেলী ও পুত্র রোহিতের সাথে ভাইপো কল্যাণ ওরফে রাজু । আমেরিকার ডেনবার শহরের বাসিন্দা ।
স্ত্রী অজন্তা ও পুত্র সুমিতের সাথে মামতো ভাইপো সুমন । ওরা অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের বাসিন্দা ।
স্ত্রী পিয়ালী ও পুত্র শ্রীহানের সাথে মামাতো ভাইপো সুজক । ওরা বাংলাদেশের শ্রীহট্ট মহানগরীর বাসিন্দা ।
স্বামী, পুত্র সহ মামাতো ভাইঝি মিতু । ওরা বর্তমানে লণ্ডনবাসী ।
মামাতো ভাইপো দীপ্ত ও ভাইঝি দীপান্বিতা ওরফে ঝিলিক ওদের মা (আমার ভ্রাতৃবধু) ঝুমার সাথে বেলুড় মঠের প্রবেশমুখে । ওরা নিউইয়র্কের বাসিন্দা ।
স্ত্রী অহনা ও পুত্র অমৃত সহ মামাতো ভাইপো অমিত ওরফে সৈকত । ওরা বাংলাদেশের শ্রীহট্ট মহানগরীর বাসিন্দা ।
মামতো ভাইঝি সকন্যা টুম্পা, শ্রীহট্ট নিবাসী ।
দিদিবাবুর দিকের সর্বকণিষ্ঠ ভাগ্নে নিখিল রায় । অন্য দুই ভাগ্নে দীর্ঘদিন গত হয়েছে । নিখিল সপরিবারে শিলচরের নিকটস্থ বরাক নদীর তীরবর্তি দিলখুশবস্তী নামক স্থানে বাস করে ।
আমার ফুলদির দিকের ভাগ্নে রঞ্জু ও আমার বড় মেয়ে মামন । রঞ্জু এখন গৌহাটির বাসিন্দা । অবসরের পূর্বে অরুণাচলে কন্ট্রাকটরি করত ।
আমার সর্বজ্যষ্ঠা ভাগ্নী (দিদিবাবুর দিকের) সুলেখা ওরফে ময়না, ওর কন্যা রুবি, জামাতা নিলমণি ও দৌহিত্রী প্রশান্তি । ওরা সকলেই এক্ষণে গৌহাটির বাসিন্দা
আমার দিদিবাবুর দিকের ছোট ভাগ্নী মঞ্জু (স্বামী প্রয়াত) । ছোট ছেলের সাথে ডিমাপুরে বাস করে । তিন ছেলের বড়টি মৃত, মেজো ছেলে ও একমাত্র মেয়ে বিবাহিতা ।
ফুলদির একমাত্র ছেলে, আমার ভাগ্নে, রঞ্জু এবং ওর স্ত্রী মণি । বর্তমানে গৌহাটি নিবাসী ।
ফুলদির জ্যেষ্ঠা কন্যা আমার ভাগ্নী সবিতা, ওর স্বামী পীযূষ (বর্তমানে প্রয়াত), কন্যা পম্পি ও জামাতা শান্তনু রায় । ছবিটি ২০১৭ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারী ওদের ডিগবয়ের বাড়ীতে তোলা ।
আমার ফুলদির কনিষ্ঠা কন্যা ও আমার ভাগ্নী নমিতা, ওর স্বামী আশীষ, কন্যা টুম্পা ও পুত্র অরিন্দম ওরফে বাবলু । ছবিটি যোরহাটে ওদের বাড়ীর প্রাঙ্গনে ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তোলা ।
তিন ভাইবোন: মামাতো ভাইপো সুজক ও আমার দুই কন্যা মামন ও ঝিলমিল ।
তিন ভাগ্নী: শিপ্রার মেয়ে মাম্পি ও পূজা এবং শিপ্রার ভাসুরের মেয়ে লুসি (মধ্যে) ।
পরিবারে উৎসব ও উদযাপনের মুহূর্ত
ঝাড়গ্রামে মামনের ষষ্ঠ জন্মদিন উদযাপন । ২৩শে ফেব্রুয়ারী, ১৯৮০ ।
ঝিলমিলের দ্বাদশ জন্মদিন উদযাপন । মিন্টো পার্ক গভঃ হাউসিং এস্টেট, ২৯শে এপ্রিল ১৯৯২ ।
ভাইফোঁটা: আমার মেয়েদের আয়োজিত তাদের মাসতুতো ভাইদের ফোঁটা দেয়ার অনুষ্ঠান, আমাদের ফ্ল্যাট, মিণ্টো পার্ক সরকারী আবাসন, কোলকাতা ৭০০০২৭ ।
ঝিলমিলের ২৭তম জন্মদিন উদযাপন, ২৯শে এপ্রিল ২০০৭ । বি বি - ২৯, বিধান নগর ।
বাড়ীর পূজো: জন্মাষ্টমী, ২০০৮ । বি বি ২৯, বিধান নগর ।
বাড়ীতে পূজো: সরস্বতী পূজো, ২০০৯ । বি বি ২৯, বিধান নগর ।
বাড়ীর পূজো: জন্মাষ্টমী, ২০০৯ । বি বি ২৯, বিধান নগর ।
বাড়ীতে পূজো: সরস্বতী পূজো, ২০১২ । বি বি ২৯, বিধান নগর ।
বাড়ীর পূজো: জন্মাষ্টমী, ২০১৩ । বি বি ২৯, বিধান নগর ।
আমার মূলের একটি সাম্প্রতিক সংযোজন ।
আমার কাজিনদের দুএকজন ও তাদের পরিবারের সাথে গ্রুপে, দাড়িয়াপড়া, শ্রীহট্ট ।
যাতায়াত: পারিবারিক গাড়ী, ২০১১ সালে কেনা ।
এখানে যাদের উল্লেখ করেছি তারা ছাড়াও আমার নিজের তরফে ও স্ত্রীর দিকে অনেক আত্মীয়স্বজন দেশে বিদেশে ছড়িয়ে আছেন । স্থান ও তথ্যের অভাবে তাদের সম্পর্কে এখানে বলতে পারি নি । এইজন্য আমি আন্তরিক দুঃখিত ।