চেতনা সঙ্গীত
১০ টি গানের এক অনবদ্য এ্যালবাম
১০ টি গানের এক অনবদ্য এ্যালবাম
কথা ও সুর – পবিত্র বিশ্বাস
কথা ও সুর – পবিত্র বিশ্বাস , তাল – ঝুমুর ।
হো ও ও , আ – হা – আ আ আ ।
আমার সোনার হরিচাঁদ ।
ব্রজ নাটু সাথে নাচে সোনার হরিচাঁদ ।
কস্তুরী ফুল গলায় দোলে , রত্নডাঙ্গার বিলের কূলে ,
বালক সখা সাথে নাচে সোনার হরিচাঁদ ।
আমার সোনার হরিচাঁদ , বিশু নাটু সাথে নাচে সোনার হরিচাঁদ ।
ও- ও- ও- জলতরঙ্গে বাতাস নাচে ,নীল আকাশের বুকের মাঝে ,
দীপ্তপ্রাণে মনের সুখে সূর্যসোনা হাসে ।
আপন মনে সব রাখালে , ঘুরে ঘুরে বাহু তুলে ,
খুসির স্রোতে হেসে খেলে প্রেমানন্দে ভাসে ।
দেখবি যদি আয় চলে আয় সব কিছু আজ ফেলে ।
নতুন খেলায় মেতেছে ওই ভাঙ্গল খুশির বাঁধ ।
খেলার নেশায় মাতে রাখাল দল ,
এ খেলাতে নেই কোনও হার , নেই কোনও তায় ছল ।
ও- ও- ও- প্রেমের ঠাকুর হরিচাঁদে , সেজেছে আজ রাজার সাজে ,
করতে শাসন এ জগতে রাজার রাজা হয়ে ।
নতুন খেলায় মাতবি যদি , পরশ পেতে সেই বারিধি ,
হরি নামে মন মজাতে বেলা যে যায় বয়ে ।
যাবি যদি আয় চলে আয় , সেই না রাজার দেশে ।
হৃদয়-রাজার রূপ দেখে আজ মেটাই মনের সাধ ।
কথা ও সুর – পবিত্র বিশ্বাস , তাল – দাদরা ।
আয়রে তোরা দেখবি যদি আয় ছুটে সকলে ,
পতিত জমি ভরেছে আজ সোনার ফসলে ।
করেছে আবাদ সে হরিচাঁদ মাথারই ঘাম পায় ফেলে ।
শাস্ত্রাচারের আগাছাতে ভরা ছিল এই জমি ।
যত্ন করে করলো আবাদ সবার সেরা কিষাণ-স্বামী ।।
হরি নামের দোদুল দোলায় সেই ফসলের ফল দোলে ,
পতিত জমি ভরেছে আজ সোনার ফসলে ।
সোনার ধানে ক্ষণে ক্ষণে লাগে বেদের পঙ্গপাল ।
বাঁচাতে সেই সোনার ফসল জ্বালরে সাথী জ্বাল মশাল ।।
অত্যাচারের হয়নি তো শেষ , যায়নি ঘুচে ঝড় বাদল ।
বৈদিকতার বনের পাখি চায় যে খেতে সেই ফসল ।।
আয়রে ছুটে কিষাণ জুটে , রুখতে ফসল আয় চলে ,
পতিত জমি ভরেছে আজ সোনার ফসলে ।
কথা ও সুর –পবিত্র বিশ্বাস তাল –দাদরা।
বল বল বল প্রভু , কী সুরে গাইব আমি তোমারই সে জয়গান ।
যে গান শুনে দুখের দিনে জুড়াবে মন প্রাণ ।
বল বল বল প্রভু ।
হৃদয়ের তানপুরাটা ঢেকে যায় ধুলায় ধুলায় ,
সুর হারা পাখি আজও ফেরেনি কূলায় ।
তুমি বলে দাও প্রভু কোথা খুঁজে ফিরি তারে , বেলা যে হয় অবসান ।
যে গান শুনে দুখের দিনে ..................
তোমারই স্বপ্ন-বীনায় , সরে যার তার বাঁধা সুর ,
জানি না এ পথ যাবে আরো কত দূর , আরো কত দূর ।
জাগেনি আজও যারা , তোমারও মধুর তানে ।
ভরে দাও প্রাণে প্রাণে ছন্দে গানে ।
দূর কর অবসাদ , প্রভু হরিচাঁদ , মন-বীনায় সুর কর দান ।
যে গান শুনে ........................প্রাণ ।
বল বল বল প্রভু ............।।
কথা ও সুর – পবিত্র বিশ্বাস তাল – কাহারবা
বন্ধু রে ও সাথী রে , আয়রে কে যাবি রে ………………….
ছাড়ো তোমার জীর্ণ তরী ঝড় তুফানে দিতে পাড়ি ,
হরি নামের বৈঠা ধর , পার হতে দরিয়া ।
হো হেইয়া মারো হেইয়া মারো হেইয়া মারো হেইয়া ।
চলতে হবে উজান ঠেলে , শক্ত হাতে হাল ধরো ।
হো মাঝিরে , ও হো মাঝিরে ।
পালের হাওয়া নেই তো সাথে , হরি নামই সার করো ।
ভাবের ঘোরে নৌকা তোমার যেন পিছে না যায় ঘুরিয়া ।
ছলাৎ ছলাৎ জল ছলকে ওঠেরে , টলমল নাও খানি তরতর ছোটে ।
সামাল সামাল অথৈ জলে যেন তরী না যায় ডুবিয়া ।
হরিচাঁদের কৃপার বলে আছে তোমার বৈঠাখান ।
হো মাঝিরে , ও হো মাঝিরে ।
কূহেলিকায় দিক ভুলো না আরো জোরে মারো টান ।
ভয় কী তোমার ওরে ও ভাই নাও ছাড়ো তারে স্মরিয়া ।
কথা – সুষেণ বিশ্বাস সুর – পবিত্র বিশ্বাস তাল- দাদরা
ধ্বনিয়া উঠিছে ভুবন মাঝে , নিজেরে ধন্য মানি
প্রভু , তোমার অমৃত বানী ।
পতিতে করিতে গৌরব দান তুমি এলে হে পতিত-পাবন ।
হৃদয়ের সব ভালবাসা দিয়ে বুকেতে নিলে হে টানি ।
বেদের বিধান ছুঁড়িয়া ফেলিয়া পতিতেরে দিলে মান ।
জগতের যত অপমানিতেরে দানিলে যে নব প্রাণ ।।
দিশেহারা মোরা যত নরনারী ,
দেখালে সুপথ হইয়া দিশারি ।
নবচেতনায় ভরিয়ে দিলে জীর্ণ তনু খানি ।
কথা ও সুর – পবিত্র বিশ্বাস রাগ – মালকোষ , তাল – আদ্ধা ।
দিয়েছ দিশা তুমি দুচোখে আমার ,
চিরকাল সত্যের পথে চলার ।
মানবো না হার আমি যত বাধার ,
তোমারই পথ ধরে সত্য বলার ।।
একটাই নাম বুকে সযতনে ধরে ,
যেতে হোক যাব যত দূরে ।
হরিচাঁদ নাম তার পতিত-পাবন ,
শাস্ত্র-বিধান মানা করেছে বারণ ।
বুঝে নিতে হবে আজি বেদের ছলার ।
দ্বাদশ আজ্ঞা তোমার মাথায় করে ,
করব পালন সারা জীবন ভরে ।
বিশ্ব ভরে পরস্পরে ,
যে যারে বাঁচায় সে তার ঈশ্বর ।
একটাই জাতি সব মানুষের ,
হোক না সে যতই ভিন্ন বেশের ।
ভেদাভেদ করে বেদ , শাস্ত্র বলে ,
মানুষে বিভেদ করে নানা কৌশলে ।
মতুয়ায় নেই কোনো জাতের বিচার ।
কথা ও সুর –পবিত্র বিশ্বাস তাল – কাহারবা ।
এ কোন ধাঁধায় ফেলেছ আমায় , পাই না ভেবে কিনারা ।
তোমার লীলায় বোঝা হল দায় , আছে যে কোন ঈশারা ।
এক রূপে তুমি ভোলালে পাগল , ভাসালে ভাবের ভেঙ্গে আগল ।
অন্য রূপে কাটালে যে ঘোর , ফেরালে যারা পথ হারা ।
তোমার লীলায় বোঝা ...........................ঈশারা।
এ কোন ধাঁধায় ....................................।
তোমার অপার লীলা বোঝা বড় ভার ।
জানি না তো কোন পথে কাটবে আঁধার ।
দেখাও আলোর দিশা দিশাহারার , যেথা মিলে হবে সব একাকার ।
দূর কর কুয়াশা হে দয়াময় ।
অকূলের কূল তুমি কর নিশ্চয় ।
এক পথে নাও , এক মতে নাও , তোমার করুণা-বারি ধারা ।
তোমার লীলায় বোঝা ...........................ঈশারা।
এ কোন ধাঁধায় ....................................।
কথা ও সুর – পবিত্র বিশ্বাস , তাল –আদ্ধা / কাহারবা।
এসো হে দয়াময় প্রেমময় হরিচাঁদ ।
আকুল প্রাণ মনে , আজি এ শুভক্ষণে ,
গাহি তোমারই জয় ।
কুসুমে কুসুম রচি , গেঁথে যাই ফুল মালা ।
তোমারই ভাবনাতে কেটে যায় সারা বেলা ।
বিরাজ চরাচরে , বিশ্বভুবন পরে , সর্বজগৎময় ।
এসো এ সংসারে , আঁধার অপসারে ,
ভ্রম ভঞ্জিতে পতিত অন্তরে ।
পতিতপাবন , জগত শুভকর ,
নবালোক জ্যোতির্ময় , সত্য-সুন্দর ।
করুণাসাগর তুমি , তোমারই জয়গানে ,
মুখরিত হোক যত বিশ্বজন প্রাণে ।
মানব-বন্ধন-বিভেদ-বিমোচন , চিরতরে কর অক্ষয় ।
কথা ও সুর –পবিত্র বিশ্বাস তাল – কাহারবা ।
মাতা-পিতা গাছের গোড়া হরি গাছের ফল ।
মুর্খ যে জন গোড়া ছেড়ে শাখায় ঢালে জল ।
সবার উপর পিতা সত্য , সবার উপর মাতা ,
তুমিই শেখালে প্রভু এমন মধু কথা গো ,এমন মধু কথা ।
এই জগতের আলো দেখা মাতা পিতার সাধনায় ,
ধন্য হল জীবন আমার ঠাঁই পেয়ে সে রাঙ্গা পায় ।
মাতা-পিতার চরণ-তলে হরি-কৃপা সদাই মেলে ।
তুমিই শেখালে প্রভু শাশ্বত বারতা , এই শাশ্বত বারতা ।
যদি মাতা পিতা না গড়িত পরম যতন করি ,
এই মানব দেহ কোথায় পেতে ? কোথায় পেতে হরি গো , কোথায় পেতে হরি ?
এমন সত্য বলে কে গো ধর্মশিক্ষা দানে ,
হরি আমার পরম নিধি শাখায় জগৎ-জনে ।
মাতা পিতার করলে সেবা , পায় যে সেবা দয়াল হরি ।
এই কথাই সত্য জেন , নয় তো অন্যথা ।
জেন , নয় তো অন্যথা ।
সবার উপর পিতা সত্য .........।।
কথা ও সুর –পবিত্র বিশ্বাস তাল – কাহারবা ।
কালের স্রোত ধারায় হারিয়ে যাওয়া ধর্মহারার এক মুক্তিবানী ।
মুক্তি-সূর্য ঘিরে আবর্তিত , পতিতের ইতিকথা লীলামৃত ।
পতিতের প্রতিবাদ লীলামৃত । শ্রীশ্রী হরি লীলামৃত ।
বহুকাল ছিল যারা আপন ধর্মহারা , লাঞ্ছিত , বঞ্চিত , শোষিত ।
আগুনের শিখা দিয়ে লেখা হল ইতিহাস , মতুয়ার মধুনাম লীলামৃত ।
পতিতের প্রতিবাদ লীলামৃত ...............।।
বড়ই চতুরতায় , মিলিয়ে বৈদিকতায় , মহামতি তারক রচিলেন ।
ধর্ম-হীনের ব্যথা , কর্ম বানীর কথা দুধে-জলে মিশেলে সপিলেন ।
রাজ হংসবৎ সত্য-প্রেমের পথ , মতুয়ার দ্বারা হবে নীত ।
হারিয়েছে যা কিছু অতীতে , ফেরানোর বার্তা আছে লীলামৃতে ।
জাগো সব মতুয়া জাগো এই প্রভাতে হরিচাঁদ সূর্যের আলোকে ।
ডঙ্কা কাশির রোলে , জাতপাত যাক টলে ,
নবসাজে সাজুক এই ভুলোকে ।
বেদাচার অবসান , মানবতার গান কর সবে জয়রবে গীত ।
পতিতের প্রতিবাদ লীলামৃত ...............।।
আরও কিছু লেখাঃ