জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রচারিত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচারের পর জেলা/উপজেলা কার্যালয় থেকে আবেদন সংগ্রহ করতে হয়। সমিতি কর্তৃক পূরণকৃত ৩ (তিন) ফর্দ আবেদন জেলা/উপজেলা কার্যালয়ে জমা দিতে হয়। মাননীয় মন্ত্রী/সংসদ সদস্য/বামকপ সদস্য/জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান/উপজেলা চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান/উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক সুপারিশকৃত হতে হবে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সরজমিনে যাচাই-বাছাই করে সাধারণ ও বিশেষ অনুদানের জন্য উপজেলা কমিটিতে উপস্থাপন করেন। জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উপজেলা কমিটি থেকে প্রাপ্ত আবেদনসমূহ যাচাই করে জেলা কমিটিতে উপস্থাপন করেন। জেলা কমিটি যাচাই করে সাধারণ অনুদানের আবেদনসমূহ ক, খ ও গ শ্রেণিতে বিন্যাস করে বাংলাদেশ মহিলা কল্যাণ পরিষদ (বামকপ) এর সদস্য সচিব মহাপরিচালক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নিকট প্রেরণ করেন। মহাপরিচালক জেলা থেকে প্রাপ্ত আবেদন যাচাই করে প্রতিবেদনসহ বাংলাদেশ মহিলা কল্যাণ পরিষদের উপ-কমিটিতে প্রেরণ করেন। বাংলাদেশ মহিলা কল্যাণ পরিষদের উপ-কমিটি অনুদানের যোগ্য সমিতির খসড়া তালিকা প্রণয়ন করে বাংলাদেশ মহিলা কল্যাণ পরিষদে উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ মহিলা কল্যাণ পরিষদ উপ-কমিটি কর্তৃক প্রণীত খসড়া পর্যালোচনা করে অনুদানপ্রাপ্তির জন্য সমিতির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেন। চূড়ান্ত তালিকানুযায়ী জেলা/উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পূর্বনির্ধারিত তারিখে অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
আবেদনপ্রাপ্তির ৫-৮ মাসের মধ্যে (বছরে ১ বার )
৩০০/-টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প (বিশেষ অনুদান)
জেলা/উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়
১. জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ২. উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা
১. নির্ধারিত আবেদনপত্র ৩ প্রস্থ
২. মন্ত্রী/সংসদ সদস্য/বামকপ/জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান/উপজেলা চেয়ারম্যান/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুপারিশ
৩. ঋণখেলাপি নন-সার্টিফিকেট
৪. নিবন্ধনের কপি
ক) সংস্থার উদ্দেশ্য
খ) পূর্ববর্তী বছরের কার্যক্রম ও বার্ষিক রিপোর্ট
গ) বর্তমান বছরের চালু কর্মসূচি
ঘ) আগামী বছরে কাজের পরিকল্পনা
ঙ) নিবন্ধনের সনদপত্র ও নবায়ন কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি
চ) জেলা/উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কর্তৃক সরজমিনে পরিদর্শন প্রতিবেদন
ছ) পূর্বে প্রাপ্ত অনুদানের ব্যবহারসংক্রান্ত সরজমিনে মূল্যায়ন প্রতিবেদন
জ) এ যাবৎ সম্পাদিত কাজের বিবরণ
ঝ) অনুদানের অর্থ যে কাজে ব্যবহার করা হবে তার বিবরণ
ক) সরকার অনুমোদিত কর্মকর্তা বা সংস্থার দ্বারা সমিতির ২ (দুই) বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব (অডিট) প্রতিবেদন
খ) সাধারণ সদস্য কর্তৃক অনুমোদিত চলতি আর্থিক বছরের বাজেট বিবরণী
গ) বিশেষ অনুদানের ক্ষেত্রে জেলা/উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কর্তৃক সরজমিনে পরিদর্শন প্রতিবেদন
ঘ) বিশেষ অনুদানের ক্ষেত্রে সমিতির নিজস্ব জায়গা/ঘরের মালিকানার স্বপক্ষে দলিলপত্র। নির্ধারিত আবেদনপত্র ৩ প্রস্থ মন্ত্রী/সংসদ সদস্য/বামকপ/জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান/উপজেলা চেয়ারম্যান/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুপারিশ
১. সমিতি হিসেবে নিবন্ধনের মেয়াদকাল ২ বছর পূর্ণ হতে হবে
২. অনুদানের জন্য সকল সমিতিকে নির্ধারিত ফরমে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে জেলা/ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন দাখিল করতে হবে
৩. অদক্ষতা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর প্রদত্ত ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির আওতায় ঋণখেলাপি হিসেবে অভিযুক্ত সমিতি অনুদানপ্রাপ্তির জন্য যোগ্য হবে না
৪. বিদেশি প্রতিষ্ঠান/দাতা সংস্থার নিকট হতে অনুদানপ্রাপ্ত সমিতি অনুদান প্রদানের জন্য বিবেচিত হবে না
৫. মহিলা কল্যাণ ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচির ব্যয়িত অর্থের কমপক্ষে ১০% সমিতি/প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল হতে মিটাতে পারবে সে ধরনের সমিতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
১. সাধারণ অনুদানপ্রাপ্তির সকল যোগ্যতা ও শর্তাবলি প্রযোজ্য
২. সমিতির কার্যক্রমের মানের ভিত্তিতে ১ (এক) বছরের ব্যবধানে বিশেষ অনুদান প্রদান করা যেতে পারে
৩. মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরাধীন প্রকল্পের আওতায় ঋণপ্রাপ্ত সমিতিকে চলমান বছরে বিশেষ অনুদানের জন্য সুপারিশ করা যেতে পারে
৪. বিশেষ অনুদানপ্রাপ্তির জন্য সমিতির কার্যালয়/ঘরে পরিচালিত হতে হবে
১. সমিতি হিসেবে নিবন্ধনের মেয়াদকাল কমপক্ষে এক বছর পূর্ণ হতে হবে
২. ক উপ-অনুচ্ছেদের ২ থেকে ৫ পর্যন্ত অন্যান্য শর্ত প্রযোজ্য
৩. প্রতিষ্ঠান/সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতে যোগ্যতা যাচাইপূর্বক মাননীয় মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক স্বেচ্ছাধীন অনুদান প্রদান করা হবে
স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির মধ্যে অনুদান বিতরণ নীতিমালা, ২০১১
মহা-পরিচালক/ জেলাপ্রশাসক/ জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা