কোন প্রতিষ্ঠানে বা নিজ গৃহে কর্মরত দরিদ্র গর্ভবতী/দুগ্ধদায়ী মা নির্ধারিত ফরমে জেলা কমিটি/সরাসরি জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেন অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত এনজিও/সিবিও, ওয়ার্ড কমিশনার, মহিলা ওয়ার্ড কমিশনার অথবা নিবন্ধিত মহিলা সমিতিসমূহের নিকট হতে সম্ভাব্য উপকারভোগীদের তালিকা দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগ্রহ করেন এবং পূরণকৃত আবেদন ফরমসহ জেলা কমিটিতে উপস্থাপন করেন। জেলা কমিটি উক্ত তালিকার সম্ভাব্য উপকারভোগীদের সরজমিনে পরিদর্শন করে নামের তালিকা চূড়ান্ত করেন।
চূড়ান্ত তালিকানুযায়ী নির্বাচিত উপকারভোগীর নামে ভাতা পরিশোধ বহি প্রস্তুতকরত বিতরণ করে নির্ধারিত তারিখে অগ্রণী ব্যাংক হতে ৪০০/-(চারশত টাকা) হারে ৬ মাস পরপর চারবার ২৪ মাস ভাতা পেয়ে থাকেন।
৩ মাস ১০ দিন
বিনামূল্যে
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা/প্রোগ্রাম অফিসার
প্রাথমিক তালিকা সংগ্রহের সময় আবেদনপত্রের সাথে নিচের সনদগুলো সংযুক্ত থাকতে হবে-
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ অথবা প্রথম শ্রেণির ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত প্রথম/দ্বিতীয় সন্তানের প্রত্যয়ন
- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ অথবা প্রথম শ্রেণির ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত প্রেগনেন্সি সনদ;
- স্থানীয় নাগরিকত্বের সনদ;
- বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন;
- পৌর এলাকার বাসিন্দা এই মর্মে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়ন-স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ অথবা প্রথম শ্রেণির ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত প্রথম/দ্বিতীয় সন্তানের প্রত্যয়ন;
- স্থানীয় নাগরিকত্বের সনদ;
- বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন;
- বিজিএমইএ/বিকেএমইএ এর আওতাভুক্ত নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত এই মর্মে প্রত্যয়ন;
- পৌর এলাকার বাসিন্দা এই মর্মে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়ন।
- বয়স কমপক্ষে ২০ বা তার ঊর্ধ্বে হতে হবে;
- মাসিক মোট আয় ৫০০০/-টাকা অথবা তার নিচে এবং অন্য কোনো আয়ের উৎস নেই;
- বিজিএমইএ/বিকেএমইএ এর আওতাভুক্ত নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত দরিদ্র, দুস্থ দুগ্ধদায়ী এবং গর্ভবতী মহিলা হতে হবে;
- ৬১টি জেলা সদর এবং পরবর্তীতে সম্প্রসারিত ৬৪টি জেলা সদরস্থ পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের (কর্মসূচির জন্য নির্ধারিত এলাকা) স্থায়ী বাসিন্দা অর্থাৎ ভোটার হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়ন থাকতে হবে;
- দরিদ্র প্রতিবন্ধী কর্মজীবী গর্ভবতী/দুগ্ধদায়ী মা ভাতাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন;
- প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভের সন্তান গর্ভাবস্থায় বা প্রসব হতে সর্বোচ্চ ২৪ মাসের জন্য এক ব্যক্তি জীবনে একবার এ ভাতা পাবেন;
- তৃতীয় বা তৎপরবর্তী সন্তান জন্মদানের জন্য কোনো কর্মজীবী মা এই ভাতা পাওয়ার যোগ্য হবেন না। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভের সন্তান গর্ভাবস্থায় অথবা জন্মের দুই বছরের মধ্যে মারা গেলে তৃতীয় গর্ভকাল বিবেচনা করা যাবে। কোনো কর্মজীবী মায়ের একাধিক বিবাহ হলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য;
- সন্তান জন্মের দুই বছরের মধ্যে মারা গেলে সংশ্লিষ্ট মা ২৪ মাস পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত ভাতা পাবেন;
- নির্বাচিত মা দুই বছরের মধ্যে মারা গেলে ভাতা বন্ধ হবে। সন্তান জীবিত থাকলে বৈধ অভিভাবক ভাতা পাবেন।
“কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচি” বাস্তবায়ন নীতিমালা নভেম্বর-২০১১
জেলা প্রশাসক/জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা