বাক্যতত্ত্বের মূল আলোচ্য বিষয় হলো বাক্যের গঠন এবং শব্দ বা পদের সঙ্গে পদের সম্পর্ক। এর মধ্যে রয়েছে কীভাবে একাধিক শব্দ যুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি করে, বাক্যের বিভিন্ন অংশগুলো কীভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কিত হয়, এবং বাক্যের গঠন প্রণালী। এছাড়াও, বাক্যতত্ত্বে বাগধারা, বিরাম বা যতিচিহ্ন এবং বাক্যের রূপান্তরও অন্তর্ভুক্ত।
প্রধান বিষয়সমূহ:
বাক্যের গঠন: শব্দ বা পদগুলো কীভাবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে যুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করে, তা বিশ্লেষণ করা হয়।
বাক্যের শ্রেণিবিভাগ: বাক্যের শ্রেণিবিভাগ বলতে মূলত বাক্যকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করাকে বোঝায়। এটি দুটি প্রধান ভিত্তিতে করা হয়: গঠন অনুসারে এবং অর্থ অনুসারে।
পদের সম্পর্ক: বাক্যের মধ্যে বিভিন্ন পদের মধ্যেকার সম্পর্ক এবং তাদের বিন্যাস নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ব্যাকরণগত নিয়ম: বাক্য গঠনের জন্য যে সমস্ত ব্যাকরণগত নিয়ম রয়েছে, সেগুলো বাক্যতত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বাগধারা: এটি বাক্যতত্ত্বের একটি উল্লেখযোগ্য আলোচ্য বিষয়।
বাক্য সংকোচন: একাধিক পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশ করাকে এক কথায় প্রকাশ বা বাক্য সংকোচন বলে।
বিরাম চিহ্ন: বাক্যের অর্থ স্পষ্ট করার জন্য ব্যবহৃত বিরাম বা যতিচিহ্ন নিয়েও বাক্যতত্ত্ব আলোচনা করে।
বাক্য রূপান্তর: একটি বাক্যকে অন্য রূপে পরিবর্তন করার নিয়মগুলোও এর অন্তর্ভুক্ত, যেমন—সরল থেকে জটিল, বা প্রশ্নবোধক থেকে নির্দেশক বাক্যে রূপান্তর।
উক্তি পরিবর্তন: উক্তি পরিবর্তন হলো একটি বাক্যকে প্রত্যক্ষ উক্তি থেকে পরোক্ষ উক্তিতে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া।
বাচ্য: হলো বাক্যের প্রকাশভঙ্গির রূপভেদ বা রূপের পরিবর্তন।