কাঁচা বাদাম
কাঁচা বাদামে থাকা প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, ভিটামিন (যেমন ভিটামিন ই), এবং খনিজ পদার্থ (যেমন ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম) বিভিন্ন উপকারে আসে। এটি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং পেশী গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া, কাঁচা বাদাম হজমের উন্নতি ঘটায়, ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
কাঁচা বাদামের উপকারিতা:
পুষ্টিগুণে ভরপুর: এতে প্রচুর প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।
হার্টের স্বাস্থ্য: বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইটোস্টেরল এবং ভিটামিন ই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: প্রোটিন ও ফাইবারের মতো উপাদান পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: কাঁচা বাদাম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে ভিজিয়ে খেলে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
হাড় ও পেশী: ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করে এবং প্রোটিন পেশী গঠনে সহায়তা করে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য: বাদামে থাকা পুষ্টি উপাদান মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
হজম: ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়।
যারা নিয়ম মাফিক কাঁচা বাদাম খেয়ে থাকেন, তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান প্রবেশ করে। যেমন- কাঁচা বাদামে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ওমেগা ৩, আয়রন, ভিটামিন-ই। কাঁচা বাদামের পুষ্টিগুণ হাড়ের জোর বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি, মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্যানসারের আশঙ্কাও দূরে রাখে।
আপনি চাইলে কাঁচা বাদাম পিষে বাদাম থেকে দুধ বের করে নিয়ে তা খেতে পারেন। না হলে সরাসরি কাঁচা বাদাম জলে ভিজিয়ে রেখে তা চিবিয়েও খেতে পারেন। তবে একমুঠোই খান। বেশি নয়।