কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমশক্তি উন্নত করে, এবং শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা ও পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে, হাড়কে শক্তিশালী করতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: কালোজিরা শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি উন্নত করা: এটি হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে সহায়ক।
শ্বাসকষ্ট ও ব্যথা উপশম: শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, এবং পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ: কালোজিরা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: কালোজিরা চূর্ণ ও ডালিমের খোসাচূর্ণ মিশ্রণ ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।
হাড় শক্তিশালী করা: এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও আয়রন হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।
রক্তের হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখা: কালোজিরায় থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমানো: খালি পেটে কালোজিরা পানি পান করলে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
অন্যান্য উপকারিতা
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা: মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে, স্মরণশক্তি বাড়ায় এবং টেনশন কমাতে সাহায্য করে।
চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য: চুল পড়া, মাথা ঝিমঝিম করা এবং মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষায় এটি উপকারী।
অনিদ্রা ও ক্লান্তি দূর: এটি অনিদ্রা, অবসন্নতা এবং অলসতা দূর করতে সাহায্য করে।
প্রদাহ কমানো: কালোজিরায় থাকা সক্রিয় উপাদান প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
আমরা দুই ভাবে কালোজিরা খেয়ে থাকি। প্রথমত কালোজিরার দানা শুধু কাঁচা চিবিয়ে খাই আর দ্বিতীয়টি হলো অন্য কোনো কিছুর সাথে মিশিয়ে বা পিষিয়ে কালোজিরা খায়ে থাকি। আবার বিভিন্ন জন কালোজিরা মধু, রসুন, হলুদ,পুদিনা-পাতা, তুলসী পাতা ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে খায়। আর এই ভাবে কালোজিরা খাওয়ায় রয়েছে অনেক উপকারিতা।
কালোজিরা খাওয়ার অন্য আর একটা নিয়ম হলো কালোজিরা গুড়ো করে পেয়ারা পাতার রসের সাথে মিক্স করে খাওয়া। এলার্জি রোগি মানুষের জন্য কালোজিরা ও পেয়ারা পাতার রস অনেক উপকারি। এমনভাবে ও কালোজিরা খাওয়া যায়।
আবার নিয়ম করে কালোজিরা তেলের সাথে ১ কাপ পরিমান পুদিনার পাতা রস করে এবং কমলা লেবুর রস মিশিয়ে কালো জিরার মিশ্রন করে খাওয়া যেতে পারে। এর ফলে অতিরিক্ত দুচিন্তা দূর হবে। এটা একটি নিয়ম কালো জিরা খাওয়ার।
মধু ও কালোজিরা মিশ্রিত করে খাওয়ার ও আর একটি নিয়ম রয়েছে। কালো জিরা মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি অল্প হলেও নিরাময় হয়।
তাছাড়া কালোজিরা তেল মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে । প্রতিদিন কয়েকবার এই কালোজিরা ও মধু একসাথে খেলে শরীরের জন্য খুবই উপকারি।