একটি পূর্ণাঙ্গ প্লান্টেড ট্যাংক করতে যা যা প্রয়োজন তার সবকিছু ধাপে ধাপে, ইন ডিটেইলস দেখানো হয়েছে এখানে। উদাহরণ হিসেবে একটি ২ ফিট ট্যাংক বেছে নেয়া হয়েছে এবং প্লান্টস হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে লো-ডিমান্ডিং প্লান্টস।
বেশ কিছু জলজ গাছ রয়েছে যাদের আলোর চাহিদা অনেকটা কম, অর্থাৎ কম আলোতে তারা তাদের প্রয়োজনীয় খাবার তৈরি করে নিতে পারে এই গাছগুলোর আবার কার্বন ডাই অক্সাইড এর প্রয়োজনীয়তা অনেক কম। এ ধরনের লো-ডিমান্ডিং গাছগুলো নিয়ে আমরা যে ট্যাংক তৈরি করে থাকি তাদেরকে সাধারণতলো-ডিমান্ডিং ট্যাংক বলে থাকি।
এ ধরনের ট্যাংক তৈরিতে তেমন বেশি খরচ পড়ে না, এজন্য যারা নতুন সদস্য রয়েছেন তারা লো-ডিমান্ডিং ট্যাংক তৈরি করতে পারেন
গার্ডেন সয়েল আসলে পৃথক কোন জিনিস না সাধারন যে মাটিতে আমরা গাছপালা লাগাই সে ধরনের মাটিতেই বোঝাচ্ছি। এই ধরনের এ্যাকুয়ারিয়ামে সাবস্ট্রেট হিসেবে বাগানের মাটি দিয়ে তার উপরে মোটা বালির একটা স্তর দেয়া হয় যেন এই বাগানের মাটি পানিতে গুলে গিয়ে ঘোলা না হয়ে যায়। ইন্টারন্যাশনালী এ ধরনের ট্যাংকে ‘ডার্টেড ট্যাঙ্ক/ Dirted Tank’ বলা হয়ে থাকে ।
১- খরচ অত্যন্ত কম পড়ে কেননা বাগানের মাটির তেমন কোন খরচ নেই বললেই চলে
২- গাছের বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি মাটিতে রয়েছে
৩- গাছ লাগানো অনেক সহজ (কমার্শিয়াল মাটির তুলনায়)
৪- হাতের কাছে থাকা জিনিস দিয়ে ধরনের ট্যাংক তৈরি করা যায় বাড়তি কেনাকাটার ঝামেলা থাকে না
এক্ষেত্রে বাগানের মাটি রাসায়নিক সার মুক্ত হওয়া জরুরী কেননা রাসায়নিক সার গুলো পানিতে মিশে গিয়ে জীবন্ত মাছ মেরে ফেলতে পারে। অনেকে কম্পোস্ট দিয়ে থাকে কিন্তু এর ফলে পানিতে বেশি পরিমাণে পুষ্টি চলে আসে বলে শেওলা বা এলজি এর আক্রমণ হতে পারে। আমি কোন প্রকার সার ছাড়া সাধারণ মাটি ব্যবহার করবেন। একদম কিছু লালমাটি নরমাল প্রয়োগ এর মাটির সাথে মিশিয়ে তলার লেয়ারে দেয়া যেতে পারে, এর ফলে মাটিতে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকবে যা গাছের লাল হওয়া কে উৎসাহিত করতে পারে। তবে লালমাটি না পাওয়া গেলে উদ্বিগ্ন হবার কোনো কারণ নেই, লালমাটি ছাড়াও সব ঠিকঠাক চলবে