কোন মুসলিমের সামনাসামনি প্রশংসা করলে এবং কেউ আপনার সাথে সদাচারণ করলে তার জন্য দুআ
কোন মুসলিমের সামনাসামনি প্রশংসা করা হলে সে যা বলবে
_______________________________________________________________________
اللَّهُمَّ لاَ تُؤَاخِذْنِي بِمَا يَقُولُونَ، وَاغْفِرْ لِي مَا لاَ يَعْلَمُونَ، [وَاجْعَلْنِي خَيْراً مِمَّا يَظُّنُّونَ
হে আল্লাহ, তারা যা বলছে তার জন্য আমাকে পাকড়াও করবেন না, তারা (আমার ব্যাপারে) যা জানে না সে ব্যাপারে আমাকে ক্ষমা করুন, [আর তারা যা ধারণা করে তার চাইতেও আমাকে উত্তম বানান] ।
[বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, নং ৭৬১। আর শাইখ আলবানী তাঁর সহীহুল আদাবিল মুফরাদ গ্রন্থে নং ৫৮৫, সেটার সনদকে সহীহ বলেছেন। আর দু’ ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ বাইহাকীর শু‘আবুল ঈমান গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে, ৪/২২৮]
কেউ আপনার সাথে সদাচারণ করলে তার জন্য দুআ
_____________________________________________________________
جَزَاكَ اللّٰهُ خَيْراً
আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
[তিরমিযী, হাদিস নং ২০৩৫]
কেউ ঋণ দিলে তা পরিশোধের সময় দোয়া
بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ
আল্লাহ তাআলা তোমার ঘরে এবং মালে (সম্পদে) বরকত দান করুন।’
ঋণ বা কর্জের বিনিময় তো এই যে, লোক কর্জদাতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে এবং তা আদায় করবে।’ (নাসাঈ)
[সুনানে নাসাঈ, হাদিস ৪৬৮৩]
খাবার খাওয়া শুরুর দুআ এবং খাওয়া শেষ করার পর দুআ
খাবার খাওয়া শুরুর দুআ
____________________________
بِسْمِ اللّٰهِ
আল্লাহর নামে (খাওয়া শুরু করছি)
আর শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে,
بِسْمِ اللّٰهِ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ
(খাবার খাওয়ার) শুরু ও শেষ আল্লাহ্র নামে
[আবূ দাঊদ ৩/৩৪৭, নং ৩৭৬৭]
খাওয়া শেষ করার পর দুআ
_______________________________
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلَنَا مُسْلِمِيْنَ
সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদেরকে পানাহার করিয়েছেন এবং আমাদেরকে মুসলমান বানিয়েছেন।
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৮৫২]
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَطْعَمَ وَسَقٰى وَسَوَّغَهٗ وَجَعَلَ لَهٗ مَخْرَجًا
সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি পানাহার করিয়েছেন, তা হজম করিয়েছেন এবং এর বের হওয়ার ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন।
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৮৫৩]
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِىْ اَطْعَمَنِـيْ هٰذَا الطَّعَامَ وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّـيْ وَلَا قُوَّةٍ
অর্থ : সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমার কোনো শক্তি-সামর্থ্য ছাড়াই আমাকে এ খাবার খাইয়েছেন এবং তা দান করেছেন ।
ফজিলত : হাদীসে আছে, খাবার খাওয়ার পর যে এ দোয়া পড়বে তার আগের পরের গোনাহগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে।
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪০২৫]
اللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْراً مِنْهُ
হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এই খাদ্যে বরকত দিন এবং এর চেয়েও উত্তম খাদ্য আহার করান।
[তিরমিযী, হাদীস ৩৪৫৫]
দুধ পান করার পর দোয়া
اللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ
হে আল্লাহ! এতে (এই দুধে) আমাদেরকে বরকত দিন এবং এর চাইতেও বেশি আমাদেরকে দান করুন।
[তিরমিযী, হাদীস ৩৪৫৫]
ঘুমাতে যাওয়ার আগে ও ঘুম থেকে ওঠার পর কিছু দুআ এবং আমল
ঘুমাতে যাওয়ার আগে রাসূল (সা) বেশ কিছু আমল করতেন। এই সুন্নাহগুলো পালন করার মাধ্যমে আমরা আমাদের ঘুমকেও ইবাদতের সমতুল্য করে তুলতে পারি। ঘুমানোর আগের সুন্নাহ এবং কিছু রাতের আমল নিচে তুলে ধরা হলো।
১। ব্যবহার্য থালা-বাসন, হাড়ি-পাতিল ঢেকে রাখা ও বাতি নিভিয়ে দেয়া
২। অযু করা
৩। ঘুমের পূর্বে পড়ার জন্য বিশেষ কয়েকটি দুয়া আছে সেগুলো পড়া (যেমনঃ আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া)
৪। সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পড়া
৫। ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ও ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়া
৬। আয়াতুল কুরসী পড়া
৭। সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়া
৮। সূরা সাজদাহ ও সূরা মুলক পড়া
৯। ডান কাত হয়ে ঘুমানো
ঘুমাতে যাওয়ার আগে পঠিতব্য দুআসমূহ
__________________________________________
بِاسْمِكَ اللّٰهُمَّ أَمُوْتُ وَأَحْيَا
অথবা,
اللّٰهُمَّ بِاسْـمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا
হে আল্লাহ ! আপনার নাম নিয়েই আমি মারা যাচ্ছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো।
[সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩২৪, ৬৩২৫]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন তাঁর ডান হাত তাঁর গালের নীচে রাখতেন, তারপর এ দো‘আটি বলতেন:
اللّٰهُمَّ قِنِيْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে আপনার আযাব থেকে রক্ষা করুন, যেদিন আপনি আপনার বান্দাদেরকে পুনর্জীবিত করবেন।
[সুনানে আবূ দাউদ, নং ৫০৪৫]
اللّٰهُمَّ خَلَقْتَ نَفْسِى وَأَنْتَ تَوَفَّاهَا لَكَ مَمَاتُهَا وَمَحْيَاهَا إِنْ أَحْيَيْتَهَا فَاحْفَظْهَا وَإِنْ أَمَتَّهَا فَاغْفِرْ لَهَا اللّٰهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমার আত্মাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আপনি তার মৃত্যু ঘটাবেন। তার মৃত্যু ও তার জীবন আপনার মালিকানায়। যদি তাকে বাঁচিয়ে রাখেন তাহলে আপনি তার হেফাযত করুন, আর যদি তার মৃত্যু ঘটান তবে তাকে মাফ কর।
ঘুম থেকে ওঠার পর পড়ার দুআ
__________________________________
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ
সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য, যিনি (নিদ্রারূপ) মৃত্যুর পর আমাদেরকে জীবিত করলেন, আর তাঁরই নিকট সকলের পুনরুত্থান।
[বুখারী, নং ৬৩১৪; মুসলিম, নং ২৭১১]
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ، سُبْحَانَ اللّٰهِ، وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ، وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ، وَاللّٰهُ أَكْبَرُ، وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللّٰهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيْمِ، رَبِّ اغْفِرْ لِيْ
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো মাবুদ নেই, তিনি এককو তাঁর কোনো শরিক নেই; রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও তাঁরই; আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র। আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো মাবুদ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। সুউচ্চ সুমহান আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। হে আমার প্রতিপালক ! আমাকে ক্ষমা করুন।
[বুখারী, নং ১১৫৪]
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ عَافَانِيْ فِيْ جَسَدِي، وَرَدَّ عَلَيَّ رُوْحِي، وَأَذِنَ لِيْ بِذِكْرِهِ
সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য, যিনি আমার দেহকে নিরাপদ করেছেন, আমার রূহকে আমার নিকট ফেরত দিয়েছেন এবং আমাকে তাঁর যিক্র করার অনুমতি (সুযোগ) দিয়েছেন।
[তিরমিযী, নং ৩৪০১]
পায়খানায় প্রবেশের এবং বের হয়ে পড়ার দুআ
পায়খানায় প্রবেশের দুআ
___________________________
بِسْمِ اللّٰهِ
আল্লাহ্র নামে
اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র নর জিন্ ও নারী জিন্ থেকে আশ্রয় চাই
[বুখারী, নং ১৪২; মুসলিম, নং ৩৭৫, তিরমিযী, নং ৬০৬]
পায়খানা থেকে বের হয়ে পড়ার দুআ
________________________________________
غُفْرَانَكَ
আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সকল সুনান গ্রন্থকারই উদ্ধৃত করেছেন; তবে নাসাঈ তার ‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াললাইলাহ’ গ্রন্থে (নং ৭৯) তা উদ্ধৃত করেছেন।
[আবূ দাউদ, নং ৩০; তিরমিযী, নং ৭; ইবন মাজাহ্, নং ৩০০]
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنِّي الْأَذَى وَعَافَانِي
সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি কষ্টকর জিনিস আমার থেকে বের করিয়ে দিয়েছেন এবং আমাকে নিরাপত্তা দান করেছেন।
[ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩০৩]
হাদীসটি যয়ীফ বা দূর্বল হাদীস। দুআর ক্ষেত্রে এ জাতীয় হাদীসের ওপর আমল করাতে কোনো অসুবিধা নেই।
পোশাক পরিধানের দুআ
পোশাক পরিধানের দুআ
___________________________
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ كَسَانِيْ هَذَا الثَّوْبَ وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّيْ وَلاَ قُوَّةٍ
সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য; যিনি আমাকে এ (কাপড়)টি পরিধান করিয়েছেন এবং আমার কোনোরূপ শক্তি-সামর্থ্য ছাড়াই তিনি আমাকে এটা দান করেছেন।
[আবূ দাউদ, নং ৪০২৩]
নতুন পোশাক পরিধানের দুআ
________________________________
اللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ كَسَوْتَنِيْهِ، أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهِ وَخَيْرِ مَا صُنِعَ لَهُ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهِ وَشَرِّ مَا صُنِعَ لَهُ
হে আল্লাহ্! আপনারই জন্য সকল হাম্দ-প্রশংসা। আপনিই এটি আমাকে পরিয়েছেন। আমি আপনার কাছে এর কল্যাণ ও এটি যে উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে তার কল্যাণ প্রার্থনা করি। আর আমি এর অনিষ্ট এবং এটি যে জন্য তৈরি করা হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় চাই।
[আবূ দাউদ, নং ৪০২০; তিরমিযী, নং ১৭৬৭]
অপরকে নতুন পোশাক পরিধান করতে দেখলে তার জন্য দুআ
____________________________________________________________________
تُبْلِيْ وَيُخْلِفُ اللّٰهُ تَعَالَى
তুমি পুরাতন করে ফেলবে, আর মহান আল্লাহ এর স্থলাভিষিক্ত করবেন।
[সুনান আবি দাউদ, নং ৪০২০]
اِلْبَسْ جَدِيْداً وَّعِشْ حَمِيْداً وَّمُتْ شَهِيْداً
নতুন কাপড় পরিধান কর, প্রশংসিতরূপে দিনাতিপাত কর এবং শহীদ হয়ে মারা যাও।
[সুনান ইবন মাজাহ, নং ৩৫৫৮]
বাড়ি থেকে বের হওয়ার এবং বাড়িতে প্রবেশের সময় দুআ
বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ে দুআ
______________________________________
بِسْمِ اللّٰهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللّٰهِ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللّٰهِ
আল্লাহ্র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই
[আবূ দাউদ, হাদীস ৫০৯৫; তিরমিযী, হাদীস ৩৪২৬]
اللّٰـهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ، أَوْ أُضَلَّ، أَوْ أَزِلَّ، أَوْ أُزَلَّ، أَوْ أَظْلِمَ، أَوْ أُظْلَمَ، أَوْ أَجْهَلَ، أَوْ يُجْهَلَ عَلَيَّ
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই যেন আমি নিজে পথভ্রষ্ট না হই অথবা অন্য কেউ আমাকে পথভ্রষ্ট না করে; আমি নিজে পদস্খলিত না হই, অথবা আমায় যেন অন্য কেউ পদস্খলন না করায়; আমি যেন যুলুম না করি অথবা আমার প্রতিও যুলুম না করা হয়; আমি যেন নিজে মুর্খতা না করি, অথবা আমার উপর মূর্খতা করা না হয়।
[আবূ দাউদ, হাদীস ৫০৯৪; তিরমিযী, হাদীস ৩৪২৭; নাসাঈ, হাদীস ৫৫০১; ইবন মাজাহ, হাদীস ৩৮৮৪]
বাড়িতে প্রবেশের সময় দুআ
______________________________
بِسْمِ اللّٰهِ وَلَجْنَا، وَبِسْمِ اللّٰهِ خَرَجْنَا، وَعَلَى اللّٰهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا
আল্লাহ্র নামে আমরা প্রবেশ করলাম, আল্লাহ্র নামেই আমরা বের হলাম এবং আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্র উপরই আমরা ভরসা করলাম।
এ দোয়া পড়ে ঘরের লোকজনকে সালাম দিবে।
[আবু দাউদ, হাদীস ৫০৯৬]
আরেক হাদীসে আছে, যখন তোমাদের কেউ ঘরে প্রবেশ করে, আর প্রবেশের সময় ও খাবারের সময় আল্লাহকে স্মরণ করে, তখন শয়তান (তার শিষ্যদের) বলে, ‘তোমাদের কোনো বাসস্থান নেই, তোমাদের রাতের কোনো খাবার নেই’
[সহীহ মুসলিম, হাদীস ২০১৮]
বাতাস প্রবাহিত হলে, বজ্রপাতের আওয়াজ শুনে, এবং বৃষ্টি হলে পড়ার দুআ
বাতাস প্রবাহিত হলে পড়ার দুআ
_____________________________________________
لّٰهُمَّ اِنِّـيْ اَسْاَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيْهَا وَخَيْرَ مَا اُرْسِلَتْ بِهِ ، وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيْهَا وَشَرِّ مَا اُرْسِلَتْ بِهِ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এ বাতাসের কল্যাণ, এ বাতাসে যা কিছু রয়েছে তার কল্যাণ এবং এ বাতাসকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে তার কল্যাণ প্রার্থনা করছি। আর এ বাতাসের অকল্যাণ থেকে, এ বাতাসের মধ্যে যা কিছু রয়েছে তার অকল্যাণ থেকে এবং এ বাতাসকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে তার অকল্যাণ থেকে আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
[সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৯৯]
اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর কল্যাণ চাই। আর আমি আপনার নিকট এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।
[আবূ দাউদ, হাদীস ৫০৯৯; ইবন মাজাহ্, হাদীস ৩৭২৭]
বজ্রপাতের আওয়াজ শুনে পড়ার দুআ
___________________________________________
اَللّٰهُمَّ لَا تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلَا تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذٰلِكَ
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে আপনার ক্রোধ ও রাগের আগুনে মেরে ফেলবেন না, আপনার আজাব দিয়ে আমাদেরকে ধ্বংস করবেন না। বরং এর আগেই আপনি আমাদেরকে নিরাপত্তা ও মুক্তি দান করুন।
[জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৪৫০]
বৃষ্টি হলে দুআ
_____________________
اللّٰهُمَّ صَيِّباً نَافِعاً
হে আল্লাহ! এ বৃষ্টিকে আমাদের জন্যে উপকারী বানিয়ে দিন।
[মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৪১৪৪]
বাজারে এবং নতুন কোনো গ্রাম বা শহরে প্রবেশের দুআ
বাজারে প্রবেশের দুআ
_________________________________
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে লোক বাজারে প্রবেশ করে এই দুআ পড়বে, তার জন্য আল্লাহ তা‘আলা দশ লক্ষ নেকী লিখে দেন, তার দশ লক্ষ গুনাহ মাফ করেন এবং তার দশ লক্ষ গুণ সম্মান বৃদ্ধি করেন।
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ، وَهُوَ حَيٌّ لاَ يَمُوْتُ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু দিয়ে থাকেন। আর তিনি চিরঞ্জীব, মারা যাবেন না। সকল প্রকার কল্যাণ তাঁর হাতে নিহিত। তিনি সর্বশক্তিমান।
[তিরমিযী, নং ৩৪২৮; ইবন মাজাহ, নং ৩৮৬০]
নতুন কোনো গ্রাম বা শহরে প্রবেশের দুআ
______________________________________________________
اَللّٰهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَمَا اَظْلَلْنَ ، وَرَبَّ الْاَرَضِيْنَ السَّبْعِ وَمَا اَقْلَلْنَ ، وَرَبَّ الرِّيَاحِ وَمَا ذَرَيْنَ ، وَرَبَّ الشَّيَاطِيْنِ وَمَا اَضْلَلْنَ نَسْاَلُكَ خَيْرَ هٰذِهِ الْقَرْيَةِ وَخَيْرَ اَهْلِهَا ، وَنَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ اَهْلِهَا وَشَرِّ مَا فِيْهَا.
অর্থ : হে আল্লাহ! সাত আকাশের প্রভু! আকাশগুলো যা কিছুকে ছায়া দেয় সেগুলোরও প্রভু! সাত জমিনের এবং এগুলো যা কিছু ধারণ করে সেসবের প্রভু! বাতাসের এবং তা যা কিছু উড়িয়ে নিয়ে যায় সেসবের প্রভু! শয়তানদের এবং তারা যাদেরকে বিভ্রান্ত করে তাদের প্রভু! আমরা আপনার কাছে এ এলাকার কল্যাণ এবং এলাকাবাসীর কল্যাণ প্রার্থনা করছি। আর আপনার কাছে এ এলাকার অনিষ্ট থেকে এবং এ এলাকাবাসী ও এতে যা কিছু রয়েছে সেসবের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
[সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ২৭০৯]
মোরগের ডাক ও গাধার স্বর অথবা রাতের বেলায় কুকুরের ডাক শুনলে দুআ
মোরগের ডাক ও গাধার স্বর অথবা রাতের বেলায় কুকুরের ডাক শুনলে দুআ
__________________________________________________________________________________________
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনবে, তখন তোমরা আল্লাহ্র অনুগ্রহ চাইবে, কেননা সে একটি ফেরেশতা দেখেছে। আর যখন তোমরা কোনো গাধার স্বর শুনবে, তখন শয়তান থেকে আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় চাইবে; কেননা সে শয়তান দেখেছে।
[সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৩০৩]
আরেক হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যখন তোমরা রাত্রিবেলা কুকুরের ডাক ও গাধার স্বর শুনবে, তখন তোমরা সেগুলো থেকে আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় চাও; কেননা সেগুলো এমন কিছু দেখে তোমরা যা দেখতে পাও না।”
[আবু দাউদ, হাদীস ৫১০৫]
আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনার দুআ :
أَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْـمِ
বিতাড়িত শয়তান থেকে আমি আল্লাহ্র আশ্রয় চাচ্ছি।
যানবাহনে আরোহণের দুআ
যানবাহনে আরোহণের দুআ
__________________________________
بِسْمِ اللّٰهِ، وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ ، سُبْحَانَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِيْنَ، وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ ، الْحَمْدُ لِلّٰهِ، الْحَمْدُ لِلّٰهِ، الْحَمْدُ لِلّٰهِ، اللّٰهُ أَكْبَرُ، اللّٰهُ أَكْبَرُ، اللّٰهُ أَكْبَرُ، سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ ، فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ
আল্লাহ্র নামে যাত্রা শুরু করলাম; আর সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। পবিত্র মহান সেই সত্তা, যিনি একে আমাদের জন্য বশীভূত করে দিয়েছেন, অন্যথায় আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আর আমরা অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করবো আমাদের প্রতিপালকের দিকে। সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য, সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য, সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! আপনি পবিত্র-মহান; আমি আমার নিজের উপর যুলুম করেছি, সুতরাং আপনি আমাকে মাফ করে দিন। কেননা, আপনি ছাড়া গুনাহ মাফ করার আর কেউ নেই।
[আবু দাঊদ, হাদীস ২৬০২; তিরমিযী, হাদীস ৩৪৪৬]
যে ব্যক্তি বলবে, ‘আমি আপনাকে আল্লাহ্র জন্য ভালোবাসি’— তার জন্য দুআ
যে ব্যক্তি বলবে, ‘আমি আপনাকে আল্লাহ্র জন্য ভালোবাসি’— তার জন্য দুআ
_______________________________________________________________________________________
أَحَبَّكَ الَّذِيْ أَحْبَبْتَنِيْ لَهُ
যাঁর জন্য আপনি আমাকে ভালোবেসেছেন, তিনি আপনাকে ভালোবাসুন।
[আবু দাউদ, হাদীস ৫১২৫]
স্ত্রী-সহবাসের পূর্বের দুআ
بِسْمِ اللّٰهِ، اللّٰهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
আল্লাহ্র নামে। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখুন এবং আমাদেরকে আপনি যে সন্তান দান করবেন তাকেও শয়তান থেকে দূরে রাখুন।
[সহীহ বুখারী, হাদীস ১৪১]
হাঁচির দেয়ার পর দুআ ও তার উত্তর
যে হাঁচি দেবে সে পড়বে
____________________________
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ
সকল প্রশংসা আল্লাহ্র
এবং যে এ দুআ শুনবে সে বলবে-
يَرْحَمُكَ اللّٰهُ
আল্লাহ আপনাকে রহম করুন।
এরপর হাঁচিদাতা বলবে
________________________________
يَهْدِيْكُمُ اللّٰهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ
আল্লাহ আপনাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং আপনাদের অবস্থা উন্নত করুন।
[সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৮৭০]
#দৈনন্দিন #জীবনের #সকল #দোয়া #এআরআরএকে #আব্দুররহিমরাতুলআলীখান #ARRAK #AbdurRahimRatulAliKhan
>>>