বাংলায় প্রোবাবিলিটি তত্ত্ব
ভাষাগত আর ধারণাগত কিছু বাঁধা
আর তার অতিক্রম

মুখবন্ধ - সম্ভাবনা বা প্রোবাবিলিটি এমন একটা ধারণা যেটা ভর করে আমরা প্রতিদিন সিদ্ধান্ত নিই, মত প্রকাশ করি, অথচ যেটা প্রকৃতপক্ষে খুবই বিমূর্ত, এবং অন্তরালে যেই তাত্ত্বিক ধাঁচাটা আছে সেটা মোটেই অনায়াস-সাধ্য নয়। প্রোবাবিলিটির স্বরূপ ঠাহর না করতে পারলেও আমরা অবহেলার সাথে রোজকার কথায় ব্যাবহার করি, কাজও চলে যায় এতে। গণিতকারেরা প্রোবাবিলিটি তত্ত্বের একটা অধিকাঠামো দিয়েছেন, যেটা ব্যাক্ত বা অব্যাক্ত ভাবে সব বৈজ্ঞানিক আর প্রযুক্তিগত কাজের ব্যাবহার হয়। তবে এই অধিকাঠামোটা শুধুমাত্র খটমটে কাজে ব্যাবহারের জন্য নয়। এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য এইটা দেখানো যে এই তত্ত্ব-কাঠামো দাড়িয়ে আছে গুটিকয়েক প্রাক-অনুমানের ওপর, এবং এই প্রাক-অনুমানগুলি সরাসরি মানুষের সাধারণ অভিজ্ঞতা থেকে নিংড়িয়ে নেওয়া। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনিয়মবর্তী ঘটনাগুলি নিয়ে আমাদের যে সম্মিলিত অভিজ্ঞতা আর বোঝাপড়া, সেটাকে গণিতকার মনীষীরা রূপান্তরিক করেছেন তীক্ষ্ণ, নৈর্ব্যাক্তিক আর নিরাকার গাণিতিক কিছু প্রাক-অনুমানে। প্রোবাবিলিটি-কে এই অবয়ব আর পরিচয় দেওয়া মানুষের একটা অসামান্য কৃতিত্ত্ব। প্রোবালিটি তত্ত্ব আর একই সাথে এই অর্জনটার মাহাত্য বুঝে নিতে এই নিবন্ধ।

এই নিবন্ধে আমার আরেকটা নজর থাকবে ভাষার ওপর। সাধারণ অভিজ্ঞতা থেকে জটিল গাণিতিক জগতে ডুব দিতে হলে এমন কিছু ধারণা আমাদের আয়ত্তে আনতে হবে যা বাংলা মাধ্যমে আগে করা হয়নি। ভাষার শব্দ-ভান্ডার, বাচিক শক্তি আর ধারণা একই সাথে তৈরি হয়, একের পরে আরেক নয়। প্রোবাবিলিটির নেপথ্যে যে দারুণ ধারণাগুলি আছে, সেইগুলি আমাদের বচনের আয়ত্তে আনতে আমাদের ভাষাকেই আরো পোক্ত করে তুলতে হবে। নতুন শব্দাবলী বানাতে হবে, অথবা চেনা শব্দকে নতুন অর্থ-মোকামে নিয়ে যেতে হবে। তাই, গণিতের আলোচনা ছাড়াও এই প্রচেষ্টার একটা উদ্দেশ্য হলো বাংলা ভাষার পরিধি বাড়িয়ে তোলা।

সম্ভাবনা

সম্ভাবনা



তথ্যসূত্র

১)