কচুরিপানায় পুকুর দিঘী ছেয়ে যাওয়ার ঘটনা শুধু আমাদের দেশের ব্যাপার নয়। সম্ভবত এটা আবহাওয়া আর পরিবেশের ব্যাপার, যেমন ওপরের ছবিটা টাঙ্গান্যিকা হ্রদের একাংশের। কচুরপানা একে অপরকে জড়িয়ে বেড়ে ওঠে, ছড়িয়ে পরে, একটা দুর্ভেদ্য ভাসমান বন তৈরি করে। মানুষ তার মধ্যে দিয়ে সরু সরু পথ খুজে নেয়, মাঝে মাঝে আটকাও পরে যায়। কচুরিপানা-রাশিকে কখনও জল-বায়ুর থেকে আলাদা চোখে দেখতে শিখিনি আমরা, আমরা জলাভূমির বাসিন্দাদের চোখে ভূমিরই অংশ হয়ে থাকে। ভাষার শব্দরাজি, ব্যাকারণের নিয়মকানুন, শব্দের ওজন, এইগুলির জটিল বিস্তৃত বনের মধ্যেই আমাদের বাস। তলায় তলায় পেচিয়ে থাকে, নিরবিচ্ছিন্ন নানান ভাষিক উপাদান প্রত্যক্ষ দুনিয়ায় আলাদা আলাদা করে ভেসে থাকে। সেইগুলির জট ছাড়াতে গেলেই হয় বিপত্তি। বিভাজন রেখা টানতে গেলেও হয় বিপত্তি। ভাষার জঙ্গল ক্রমাগত বেড়ে ওঠে আর বদলাতে থাকে, নতুন চলাফেরার পথ তৈরি হয়, কিছু কিছু পথ পরিত্যক্ত হয়ে পরে।
এই অংশে, ভাষাকে ভিত্তি করে প্রাত্যহিক জীবনের নানান ঠোক্কর, অভিজ্ঞতা , বিবাদ - এই সবের পুনরবিবেচনা করা যাক ...