Post date: Mar 19, 2012 1:02:00 AM
শিল্পীদের আন্তরিকতা নজর কেড়েছেরঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় (গণশক্তি)
২১ মার্চ ২০০৯
রবীন্দ্রনাথের 'বিদায় অভিশাপ' কবিতার গীতিনৃত্যনাট্যরূপ 'কচ ও দেবযানী' | রবীন্দ্রনাথের সমস্ত সৃষ্টির মত, 'বিদায় অভিশাপ' -- এও শেষ জয় প্রসারিত ভাবনা এবং অনুভবের |
এই গীতিনাট্যরূপ সামান্য সম্পাদনা দাবি করলেও, সব মিলিয়ে অন্যরকম | 'রবিনন্দন'-এর শিল্পীরা রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকে অন্তরে নিয়েছেন, বোঝা গেল |
বড় কচ প্রদীপ্ত নিয়োগী-কে মাঝে মাঝে কিছুটা অস্পষ্ট লেগেছে | তাঁর নৃত্য-অভিনয় এই অস্পষ্টতায় খানিকটা স্ফূর্তি হারিয়েছে | তবে নৃত্য পরিকল্পক এবং পরিচালক হিসেবে পলি গুহ যেমন অন্য রকম, তেমনি বড় দেবযানীর ভূমিকায়ও তিনি অন্যরকম | এই অভিজ্ঞ নৃত্যশিল্পী এবং নৃত্য-পরিকল্পক এক কথায় মুগ্ধ করলেন | তাঁর নাচ, অভিনয়, গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলানোয় একটা অন্যরকম পেশাদারিত্ব চোখে পরলো | ছোট কচের নৃত্য এবং অভিনয় শিল্পী রুদ্রাভ নিয়গিকে এককথায় চমৎকার বলতে বাধা ঠাকার কথা নয় | তবে চন্দ্রানী ঘোষের (ছোট দেবযানী) নৃত্য যত স্বচ্ছন্দ এবং বৈচিত্রময়, মুখজ অভিব্যক্তি ততটা নয় | একই রকম তাঁর মুখের কারুকাজ | প্রসেনজিৎ মিত্র শুক্রাচার্য-র ছন্দটিকে সুন্দর আবিষ্কার করেছেন | সহচরী এবং দৈত্যদের অভিনয় এবং নৃত্যে ছন্দবন্ধন খুঁজে পেতে অসুবিধা হয়নি |
দেবযানী মজুমদারের সঙ্গীত-ভাবনা চমৎকার সহযোগিতা করেছে এই গীতিনৃত্যনাট্যকে পাখা মেলে দিতে | 'আমার যাবার বেলায় পিছু ডাকে', 'তুমি যে সুরের আগুন', 'হে নিরুপমা', 'হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে'-র মতো রবীন্দ্রনাথের গান দেবযানী মিশিয়ে দিয়েছেন এই নৃত্যনাট্যে | 'কচ ও দেবযানী'-র অন্তরের সংগীত এতে কথা বলেছে | এশা মিত্র বড় দেবযানীর এবং মৃনাল চৌধুরী বড় কচের গান গেয়েছেন | কচ ও দেবযানীর সংলাপ পাঠে ছিলেন জগন্নাথ বসু এবং দেবযানী মজুমদার | জগন্নাথ বসুর কন্ঠও সেদিন পুরোপুরি বসে ছিলো না |
শিশির মঞ্চে ১৯শে ফেব্রুয়ারী ছিলো এই গীতিনাট্য | শুরুতে রবীন্দ্রনাথের গান গাইলেন তনুকা গুপ্ত ও দেবাশীষ দাসগুপ্ত |