জয়নাল আবেদীন
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলা। কুশিয়ারা নদীর ওপার ভারত, এপার বাংলাদেশ। এপার সীমান্তের একটি গ্রামে জয়নাল আবেদীনের জন্ম। কুশিয়ারার ওপার দেখা যাবে কিন্তু ছুঁতে যাওয়া নিষিদ্ধ, এমন প্রতীকী ধরাবাঁধার মধ্যেই কেটেছে পুরো শৈশব। হারিকেনের আবছা আলোতে প্রথম পাঠ শেখার মতো করেই প্রথম জীবন কেটেছে আলো- আঁধারে। মূলত সেই অম্ল-মধুর সময় থেকেই জীবনের পাঠ শিখে নেওয়া, নিজের অজান্তেই জন্ম হয়েছে একজন গল্পকথকের।গ্রামের আলো বাতাসের মধ্যেই বড়ো হয়ে ওঠা। বাউল আব্দুল করিম, রাধা রমন এবং হাসন রাজাদের মতো মরমী সাধকদের গানের প্রভাবে তীব্রভাবে প্রভাবিত। স্বপ্ন দেখেন, কোনো একটা সময়ে নাগরিক কোলাহল ছেড়ে হাতে বাঁশের বাঁশি নিয়ে আপন মনে ঘুরে ফিরবেন অচেনা ভুবনে, লোকালয় থেকে লোকালয়ে।স্বপ্ন স্বভাবতই বাস্তব হয় না। এই ইট-কাঠ-ইস্পাতের শহরে থেকেই দেখতে হয় জীবনকে, লিখতে হয় জীবনের গল্প। তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেখেন, ক্লান্তিহীনভাবে।বাবার স্বপ্ন বাস্তব করতে পেশা হিসেবে ডাক্তারি বেছে নিয়েছেন, নিজের স্বপ্নে নেশা হিসেবে নিয়েছেন গল্প চাষের সাধনা। নিজের সব পরিচয়ের উর্ধ্বে গিয়ে তাই নিজেকে শব্দ চাষি হিসেবে ভাবতে কিংবা পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। দীর্ঘ কলবরে প্রকাশিত দুই উপন্যাস “শিকল” ও “বিভ্রম” সমাদৃত হয়েছে পাঠকদের মধ্যে। ২০২০ অমর একুশে বইমেলায় শিখা প্রকাশনী নিয়ে এসেছে গল্পগ্রন্থ “বেঁচে থাকার গান”।“ত্রিকোণমিতা” তার লেখা তৃতীয় উপন্যাস।