গণ-দার্শনিকতা সম্পর্কে
ওয়েবসাইটের শুভারম্ভ-বক্তব্যে এই বিভাগটির কথা সংক্ষেপে উল্লেখ করেছি। এখানে একটু বিস্তারিত করতে চাই। কারণ, এই ওয়েবসাইট করার কারণগুলির মধ্যে উল্লিখিত বিষয়টিই অন্যমত।
বস্তুত, প্রাচীন ও মধযুগের প্রবাদ, প্রবচন, লোকছড়া, শ্লোক-সুল্লুক সংগ্রহের কাজ এখনো চলছে। শত শত বছর ধরে কোটি কোটি মানুষের মনোজগতকে প্রভাবিত করার ধ্রুপদী নাম খনাসহ আরো অনেকের প্রবাদ-প্রবচন আমাদের বড় সম্পদ। শীলা বসাক, ড. ওয়াকিল আহমদ, বিলু কবীরসহ অনেক গুণীজন এক্ষেত্রে কাজ করেছেন। অনেক গ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের এ-কাজ একই ধরনের হলেও গণবাণীর কাল-পরিধি হচ্ছে নিকট-অতীত ও বর্তমান।
প্রযুক্তির এই উল্লম্ফনের সময়ও লক্ষ্য করছি, সুযোগ ও প্রচারের অভাবে প্রবাদ-প্রবচন হওয়ার যোগ্য সাধারণ মানুষের অনেক মূল্যবান উক্তি গোচরে আসছে না। সমকাল শুধু উদ্ধৃত করে বিখ্যাতদের উক্তি। অথচ ইতিহাস সাক্ষী দেয় যে, প্রতিটি মানুষের মধ্যেই রয়েছে সৃজনী প্রতিভা ও দার্শনিকতা। অনেক সময় অতি সাধারণ মানুষও দার্শনিকতাপূর্ণ এমন মন্তব্য করেন যা কালজয়ী, মৌলিক ও উদ্ধৃতিযোগ্য। কিন্তু তাদের সে-সব দার্শনিকতা হারিয়ে যায় কালের গর্ভে। লোকছড়া সংগ্রাহক বিলু কবীরের ভাষায় 'সমাজে এমন অনেক নারী-পুরুষ গতায়ু হয়েছেন যারা ছিলেন লোকছড়ার একএকজন ভ্রাম্যমান মানবগ্রন্থ।’
আমরা আমাদের সাধ্যমতো তুলে ধরব সাক্ষর-নিরক্ষর নির্বিশেষে সব ধরনের মানুষের মৌলিক দার্শনিকতাপূর্ণ উক্তি। এগুলি আমরা সংগ্রহ করবো সারাদেশে ও প্রবাসে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে, সবগুলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মূলধারার প্রচার মাধ্যম থেকে, বিশেষ করে নতুন লেখক-কবি-ছড়াকার, নাট্যকার-পালাকার প্রভৃতির সৃজনশীল কর্মকান্ড থেকে। একাজে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে না। সব অঞ্চলের আগ্রহী হৃদয়বান মানুষ, বিশেষ করে তরুণরা স্ব-উদ্যোগে এ কাজে এগিয়ে আসবেন বলে আশা ও আস্থা পোষণ করে তাদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি আমাদের সহায়তা করার জন্য। প্রযুক্তি ও সৃজনশীল অঙ্গনের দক্ষ কিছু মানুষ একত্রে এই কাজটি করার জন্য টিমবদ্ধ হয়েছি। টিম আরো বড় হবে, সারাদেশ ও প্রবাসের স্বেচ্ছাসেবিরা এগিয়ে আসবেন, এই আশা ও স্বপ্ন আমাদের অনুপ্রণিত করছে।
বছর-পাঁচেক আগেও একবার কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু কিছু অনিবার্য সীমাবদ্ধতার কারণে পিছিয়ে যেতে হয়েছিল। এবার সাফল্যের আশা রাখি। ভবিষ্যতে আমাদের প্রচার-ক্ষেত্রের ধরন আরো বিস্তৃত করার কাজও সমান্তরালভাবে চলছে।
আমাদের টিমের বিবেচনায় উদ্ধৃতিযোগ্যগুলি প্রেরকদের স্বনামে গণবাণী বিভাগে প্রচারিত হবে। লেখকের নামসহ অতি-সংক্ষিপ্ত পরিচিতিও থাকবে। এখানে আপাতত আমরা সে-গুলিই তুলে ধরতে পারবো যে-গুলি আমাদেরর দুষ্টিগোচর হবে অথবা স্বেচ্ছাসেবক বা অন্য কেউ আমাদের গোচরে আনবেন। সিংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা কপিরাইটারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগের পর তাদের অনুমতি ও পরিচিতি চাইব। কেউ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলেও সমস্যা নেই।
উল্লিখিত সব বিষয়ের ওপর আমাদের কাজ চলছে। অচিরেই কিছু নমুনামূলক উদ্ধৃতি আমরা তুলে ধরব।
সমকালের বিখ্যাত ব্যক্তিদের লেখার উদ্ধৃতিযোগ্য অংশ আলাদা উদ্ধৃতি হিসেবে প্রকাশিত না হয়ে থাকলে সে-গুলিও প্রকাশ করবো, তবে এখানে নয়, ‘খ্যাতিমানদের অচিহ্নিত উদ্ধৃতি’ বিভাগে।
আমাদের কাছে আপাতত উল্লিখিত বিষয়গুলি লিখে পাঠাবার ঠিকানাঃ
১. ইমেইলঃ Sreejonkal+gonobani@gmail.com
২. ফোনঃ ৩৪৭-৬৬৯-৯০৫১ এই নাম্বারে এসএমএস করে (নিউইয়র্কের কোড ০০১)।
৩. Facebook: https://www.facebook.com/Musa.GonoBani/
ভবিষ্যতে আরো মাধ্যম যোগ করা হবে।
১. ভোটের উপরে মাইর নাই।
সংগ্রাহক : এরশাদের আমলে বিরোধী দলগুলি একবার নির্বাচন বর্জন করায় ক্ষুব্ধ সাধারণ ব্যক্তি শাহ আলম এই উক্তি করেছিলেন সাংবাদিক মঈনুদ্দিন নাসেরের কাছে।
২. কিছু মানুষের গজিয়েছে লেজ এবং মনোহর পুচ্ছ,
লেজ-পুচ্ছ নেড়ে-নেড়ে তারা বাকীদের করে তুচ্ছ।
উৎস: সৃজনকাল-এর প্রবাদ-প্রবচন হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা-পর্ব থেকে
৩. ফ্রয়েড ১৩ বার নোবেলের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। নোবেল বিজয়ীসহ অনেক বিজ্ঞানী এবং লেখকরা তাঁর জন্য সুপারিশ করেন, কিন্তু নোবেল তিনি পাননি। ১৯২৮ সালে ফ্রয়েডের নাম প্রস্তাব করা হলে আইনস্টাইন তাকে সমর্থন করেননি।
উৎস: ৮ অক্টোবর ২০১৭ সালে প্রকাশিত আবদুল বাতেনের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
৪. আমার মায়ের চোখের জল ছিল মুক্তোর মতো। আমার মা ছিল কালো..একজন কালো মেয়ের মন এতো সাদা হতে পারে?
উৎস: নিসর্গে ভালোবাসার খেলা; বাংলা গবেষণা প্রকাশনা; লেখক রীনা রায়হান।
৫. দিন একটা একটা করে সরে যায়,
সময়কে দেখা যায় না,অতিক্রান্ত হলেই তুমি হাহাকার করে উঠবে।
উৎস: ৩ অক্টোবর ২০১৭ সালে প্রকাশিত আবদুল বাতেনের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
৬. শূন্যের সাঁই, ও শূন্যের সাঁই
হাত বাড়িয়ে পাই না তোমায়
শেকড় দিয়ে পাই।
উৎস: সুফি ফোক গান; অক্টোবর, ২০১৭ ফেসবুকে প্রকাশিত কবি কাজী জহিরুল ইসলামের স্ট্যাটাস থেকে।
৭. এসেছে শ্রাবণ, এলো না বৃষ্টি,
চাতকের চোখে দেখি উদাস দৃষ্টি ।
উৎস: উদীয়মান লেখক মহিতুল ইসলাম হিরু; ১0 অক্টোবর, ২০১৭ সরাসরি পাঠানো সৃজনকালের ইমেইল থেকে।
৮. মাঝে মাঝে মনে হয়, নায়কের বন্ধু আসলেই কি আলাদা কোনো মানুষ? নাকি নায়কেরই দ্বিতীয় সত্তা? যার নিজের সুখ- দুঃখ বলতে কিছু নেই। কোনো ব্যক্তিগত জীবন নেই। তার কাজ শুধু নায়ককে অনুসরণ করা। বিনা প্রশ্নে নায়কের জীবনের চ্যালেঞ্জকে নিজের জীবনের চ্যালেঞ্জ করা। বাস্তবে তো সিনেমার মতো এমন বন্ধু মেলে না..
উৎস: লেখক-সাংবাদিক মনিজা রহমান; ৬ অক্টোবর, ২০১৭ ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৯. তুমি দাঁড়িয়ে আছো নির্বিকার অথচ
চারপাশে দারিদ্র্য আর কতিপয় দুর্বৃত্তের লুণ্ঠন!
সময় যাচ্ছে জবাবদিহিতাহীন রাজনীতিক ও আমলার মতন।
উৎস: কবি তমিজ উদ্দীন লোদী; ১ অক্টোবর, ২০১৭ ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
১০. দঙ্গল দঙ্গল মানুষ, যাদের কোনো নিজস্ব চেতনা, অভিপ্রায় নেই, অন্যের দ্বারা প্রভাবিত, পরিচালিত হয়ে পরিশেষে দানব সৃষ্টি করে। ইতিহাসে এর ঢের প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু একটি দৃষ্টান্তও কি আছে যে, 'জনগণ' শেষাবধি তার সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থেকেছে? সদলে তাদের অংশগ্রহণে কিছু ঘটার পরেই বলে ভুল হয়েছে। শোধরাতে যেয়ে আবার ভুল করে।
উৎস: জাহাঙ্গীর কবীর; সদ্য-প্রকাশিত ও আলোচিত গ্রন্থ ‘আকাশের ওপারে আকাশ’ গ্রন্থের লেখক। ৭ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
১১. তুমি যদি ঢেলে দাও প্রেমময় পূর্ণপাত্র বিষ
কেউ তো হতেও পারে জেনেশুনে মুগ্ধ সক্রেটিস।
উৎস: কবি ফারুক মাহমুদ; ১১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
১২. বাংলাদেশের লোক সাহিত্য, বাংলাদেশের মেয়েলী গীত, ছড়িয়ে থাকা ছড়াগ্রন্থসমূহ অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে সুধি সমাজে সমাদৃত হয়েছে। উল্লেখিত গ্রন্থগুলো বাংলা একাডেমী প্রকাশ করেছে। আমাদের লোকসংস্কৃতির ধারক-বাহক হিসেবে যাদের নাম সম্মানের সঙ্গে বুকে ধারণ করি, সিরাজউদ্দিন কাসিমপুরী তাদের অগ্রগণ্য সতীর্থ।
উৎস: আলমগীর রেজা চৌধুরী; ১০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত নিবন্ধ থেকে।
১৩. ঘরকুনোরা ঘরেই থাকে
কেউ বা থাকে ঘর ছাড়ি,
স্বভাব দোষে পর হয় কেউ
কারো আবার নেই বাড়ী।
উৎস: লেখক-সাংবাদিক রফিক ভুঁইয়া; ১০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
১৪. আদিবাসী পাংখোয়া বম
ওরাও নাকি কুকুর খায়
বাঙালিরা খাল নদী আর
ছোট বড় পুকুর খায়।
উৎস: ছড়াকার ইউসুফ রেজা; ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
১৫. কোরবানির মাংস নিতে গরীব মানুষেরা যখন আসে আমরা বলি, পরে আস। ভাগ করে নেই। যদিও ভাগ না করেই আমরা নিজেদের ঘরে মাংস পাঠাই এবং রান্না শুরু হয়ে যায়। গরীব মানুষেরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে একই কথা শোনে। ভাগ শেষ হলে পেতে শুরু করে। কয়েক ঘরের পরই তাকে শুনতে হয়, এত দেরী করে এসেছ, এতক্ষণ কি মাংস থাকে?
উৎস: শিশু সাহিত্যিক, ভ্রমণকাহিনী লেখক মাহফুজুর রহমান; ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
১৬. সবচেয়ে বড় প্রকৃতি ধ্বংসের সিদ্ধান্তটা যিনি নেন, ঘুষের অর্থটা দিয়ে তিনি হয়তো গাছপালা ঘেরা একটা বাড়ি কেনারই স্বপ্ন দেখেন। প্রায়ই তো দেখা যাবে, আমরা বাগান সাজাই, উদ্যান পরিকল্পনা করি, গাছ-লতাপাতা-পাখি পছন্দ করি — কিন্তু বড়জোড় আমাদের চারপাশ সুন্দর থাকলেই আমরা খুশি। আর মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার জন্য যেন কিছু নিসর্গের টিকে থাকাটা দরকার।
উৎস: ফিরোজ আহমেদ; ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
১৭. শুধু মানুষগুলোকে পড়ে যাই। এক একটা মানুষ দুর্দান্ত উপন্যাস।
উৎস: নাসরীণ চৌধুরী; ১৭ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
১৮. হচ্ছে আবাদ চোতরা পাতা
জলবিছুটি, ধূতরা গোটা।
মিলাও হিসাব মিলাও খাতা
সামলে রাখো বদনা লোটা।
উৎস: শাহ কামাল; ১৪ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
১৯. এনডিটিভিসহ ভারতের আরো অনেক গণমাধ্যমেও সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ‘বাংলাদেশের প্রথম হিন্দু প্রধান বিচারপতি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের কোনো গণমাধ্যম তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষও তাঁকে হিন্দু হিসেবে বিবেচনা করেনি।
উৎস: প্রভাষ আমিন; পরিবর্তন-এর বরাতে ১৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
২০. দাবার আড্ডায় এবং রাজনৈতিক আলোচনায় দার্শনিক কিছু ভিন্নমত নিয়ে এসে বগদানভ বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন লেনিনের সঙ্গে। সেই বিতর্কে উদ্বুদ্ধ হয়েই লেনিন পরবর্তীকালে লিখেন ‘ম্যাটেরিয়ালিজম এন্ড এমপিরিওক্রিটিসিজম’ নামের বিখ্যাত দার্শনিক গ্রন্থটি।
দুঃখের বিষয়, আমাদের সমাজে বিতর্ক শেষে কিছুই উৎপাদিত হয় না। বিতর্কপর্ব শেষ হয় বন্ধু বিয়োগ এবং রাজনৈতিক ঘৃণার মধ্যদিয়ে!
উৎস: আলতাফ পারভেজ; ২০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
২১. কয়েক বছর আগে একটা গ্রাফিতি ছিল: 'কষ্টে আছি। ~আইজুদ্দিন।' আর, ইদানিংকালে চালু গ্রাফিতি হলো: 'সুবোধ, তুই পালিয়ে যা।'
আগেকার শ্লোগান ও গ্রাফিতি ছিল উদ্বোধক, বিপ্লবের প্রণোদনা-জাগানিয়া। সমাজতন্ত্রের পতনের পর আর যেন কোনো স্বপ্ন নাই। এখন কেবল আক্ষেপ করা আর পলায়ন ছাড়া যেন কোনো উপায় নাই।
উৎস: সৈয়দ তারিক; গ্রাফিতি: ১৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
২২. বিদেশে অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলনসহ ১১টি অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, তিনি তো অভিযুক্ত অপরাধী। তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগ প্রমাণ করে বিচারের উদ্যোগ নেওয়া সরকারের দায়িত্ব। তা না করে সরকার কেন তাকে ‘অসুস্থ’ বানানোর ছোট গল্পের লেখক হয়ে উঠল? আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল কেন তা অনবরত আবৃত্তি করে গেলেন?
উৎস: গোলাম মোর্তোজা; ১৪ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
২৩. পরের মুখে অষ্টপ্রহর
তাকিয়ে নাড়াস লেজ,
ছুঁড়ে দেয়া খাবার খেয়ে
কীযে দেখাস তেজ!
উৎস: সৈয়দ ওবায়দুল হক; ১৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
২৪. দেশ নেই - এমন কি আছে নাকি কেউ?
'রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা' বলে নাফ নদে ঢেউ।
উৎস: হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী; ১৭ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
২৫. রাখবে না কেউ লিখে এই নাম
খাতার জীর্ণ কোণে
তবুও তো করি শব্দসাধনা
দাঁড়িয়ে নিগুঢ় বনে
জানি একদিন একাই যাবো, হাওয়ার ডিঙা ভাসাই।।
উৎস: ফকির ইলিয়াস; ১৭ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
২৬. খালেদ মোশাররফ প্রো-ইন্ডিয়ান হলে তাঁকে মরতে হতো না। তাঁর মা ও ভাই যে মিছিল করেছিলেন তাতে তাঁর সায় ছিল না। .. এমনিতেই আওয়ামী লীগের মিছিল হবার প্রোগ্রাম ছিল। .. আমার মনে হয়, যদি সেই মিছিল না হতো বা তাঁর মা ও ভাই সে মিছিলে যোগ না দিতেন তাহলে হয়তো খালেদ মোশাররফকে মরতে হতো না। আজকেও তাঁর সম্পর্কে এমন ভুল ধারণা থাকত না যে, তিনি ভারতপন্থী ছিলেন। মানুষ তাঁকে ভুল বুঝেছে।
উৎসঃ খালেদ মোশাররফ সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে স্ত্রী সালমা খালেদ; মাসিক নিপুণ, নভেম্বর ১৯৮৫।
২৭. যদি থাকে খিচুড়ি
প্রয়োজন নাই কিছুর-ই
উৎসঃ শারমিন ইসলাম রত্মা; ২১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
২৮. কিশোর-প্রেমের বিরহ যন্ত্রণা সইতে না পেরে লুকিয়ে লুকিয়ে তিনি কাহিনী লিখতে শুরু করেন। ধীরুকে তিনি কল্পনায় রঙ দেন পার্বতী রূপে। এ সময়ে শরৎ মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। অর্থাৎ মাতাল অবস্থায় তিনি দেবদাসের কাহিনী লেখা সম্পন্ন করেন। ঊনিশ শ তেরো সালের সতেরো জুলাই প্রমথনাথকে লেখা চিঠিতে শরৎ বাবু উল্লেখ করেন যে, 'ওই বইটা একেবারে মাতাল হইয়া বোতল খাইয়া লেখা।'
উৎসঃ আহমেদ জহুর; শত বছরের দেবদাস: নেপথ্য কাহিনী
২৯. উড়াও নীরবে নিভৃত রুমালখানা
পাখিরা ফিরবে পথ চিনে চিনে ঘরে
আমারি কেবল থাকবে না পথ জানা–
উৎসঃ রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ; খতিয়ান কবিতা থেকে।
৩০. চোখের জল মোছার কেউ না থাকলেও মানুষ কাঁদে ..
উৎসঃ কমল মমিন; ২৪ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৩১. আত্মার খাদ্যেও ভালোমন্দ থাকে। আত্মার খাদ্য আসে পরিবেশ থেকে। শিল্পসাহিত্যের আড্ডা আত্মার পুষ্টিকর খাদ্য।
আসুন শত ব্যস্ততার মাঝেও আমরা সুস্হ সুন্দর আড্ডা, সেমিনার-এ অংশগ্রহণ করে নিজেকে আলোকিত করি, আত্মাকে সুস্হ রাখি।
উৎসঃ খালেদ শরফুদ্দিন; ২৪ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৩২. পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি অংশের সময়োচিত এই বিদ্রোহ নিঃসন্দেহে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি বিস্ময় সৃষ্টিকারী ঘটনা। এই বিদ্রোহ জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের সাথে যোগ হবার কারণেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সীমিত পরিসরে হলেও তার শুরু থেকেই পরিপূর্ণতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায়।
উৎসঃ মেজর নাসির উদ্দিন; গণতন্ত্রের বিপন্ন ধারায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী, পৃষ্ঠা ৬৮
৩৩. মনে রেখো সেই দুনিয়ায় তুমি আর আমি থাকব অভিযোগকারীর আসনে। আর ওরা দাঁড়াবে আসামির কাঠগড়ায়। দেখিই না, সৃষ্টিকর্তা কী চান! তবে একটাই আর্জি, মৃত্যুর হাত ধরে দীর্ঘ যাত্রা শুরুর প্রাক-মুহূর্ত পর্যন্ত তোমায় জড়িয়ে থাকতে চাই, মাগো! তোমায় যে খুব, খু-উ-ব ভালোবাসি।
উৎসঃ ফাঁসির আগে রেহানার হৃদয় কাঁপানো চিঠির শেষাংশ; ২৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে আহমেদ জামিলের শেয়ার করা ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে। রেহানা জাব্বারিকে ধর্ষণ চেষ্টাকারীর বুকে ছুরি চালিয়ে হত্যার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইরানের সুপ্রিম কোর্ট। ২৫ অক্টোবর তার মত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুর আগে মাকে শেষ চিঠি লিখে গেছেন রেহানা।
৩৪. অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে কিংবা কেবল বাগাড়ম্বর করলে যেমন ‘ভালো’ হয় না, তেমনি বর্তমান নিয়ে হুঙ্কার বা ‘অহঙ্কার’ দেখালেও ‘ভালো’ হবে না। ভবিষ্যতের শুভ-চিন্তাটাকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে ...
উৎসঃ আতিক হেলাল; ১৯ অক্টোবর, ২০১৭ তারিখের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
৩৫. প্রকৃতি আজ রুষ্ট কেন জবাব দেবে কারা!
কাদের দোষে বছর বছর আমি শান্তিহারা?
উৎসঃ পাশা মোস্তফা কামাল; ১৭ আগস্ট ফেসবুকের ছড়াটে গ্রুপ থেকে।
৩৬. বান এসে জান নেয়
আরও নেয় ধান
চারদিকে গেয়ে যায়
বেদনারও গান।
উৎসঃ গোলাম মোরশেদ মিলন; ১৭ আগস্ট ফেসবুকের ছড়াটে গ্রুপ থেকে।
৩৭. জীবন একটা ইউটিউব।
কত গান বেজে চলেছে, কত গান বাজবার অপেক্ষায় ...
উৎস: মোহাম্মদ এমদাদুল হক শিপন; ৩০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৩৮. অফিসেতে আসি আজ বাসে ঝুলে হ্যান্ডেল,
বাস থেকে নেমে দেখি এক পায়ে স্যান্ডেল,
কোথা গেল পাঞ্জাবি গায়ে শুধু গেন্জী,
পায়জামা হারিয়ে যে হয়ে গেছি চেঞ্জই!!
উৎসঃ আহমেদ বশির; ১০ জুলাই ফেসবুকের ছড়াটে গ্রুপ থেকে।
৩৯. যতই পরিচিত-জনপ্রিয় আর তথাকথিত পন্ডিত হোক - সাহসী-স্পর্ধিত-সৎ না হলে কাউকে বুদ্ধিজীবী বলা যাবে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহটুকু অন্তত জীবন্ত রাখতে চাই ...
উৎসঃ মনজুরুল আজিম পলাশ; কুমিল্লার কাগজ; ৬ নভেম্বর, ২০১৭।
৪০. যতই শোনাও নীতির বুলি
থোরাই করি কেয়ার
আমার আছে শক্ত মাটি
পোক্ত অনড় চেয়ার।
উৎসঃ রেবেকা ইসলাম; উল্টোপথে ভিআইপিদের গাড়ি চালানো নিয়ে ছড়া, ফেসবুকের স্ট্যাটাস থেকে।
৪১. দামী গাড়ি দামী বাড়ি
থাকলে সে হয় দামি রে,
দামের জন্যে পার্থক্য হয়
ফকির এবং আমিরে।
উৎসঃ আবু সাইদ; ৮ অক্টোবর, ২০১৭ তারিখে ইত্তেফাক-এর ঠাট্টায় প্রকাশিত ছড়া থেকে।
৪২. আপনি আর কোনো ভাষণের দু’টি লাইনও খুঁজে পাবেন না, যা আপনার মনে আছে। কিন্তু ৭ মার্চের অনেক লাইন আপনি বলতে পারবেন। তাহলে দেখুন বঙ্গবন্ধু কতো বড়ো শিল্পী, কবি ও লেখক, যার তুলনা চলে না। আপনার রক্তে অস্তিত্বে মিশে গেছে এই ভাষণটি। আওয়ামী লীগের সাথে আপনার রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, আমারও আছে, কিন্তু এই ভাষণ সব বিতর্কের উর্দ্ধে। এই ভাষণ দিয়েইতো একটি নতুন দেশ একটি নতুন জাতিসত্তার অভ্যুদয় ঘটলো। তাকে আপনি না মানলেতো এই দেশকেই অস্বীকার করা। আপনার নিজেকেই বিশ্বাস না করা।
উৎসঃ মোস্তফা ফিরোজ; নিউজ প্লাস: ১৫ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৪৩. আপনার ক্ষমতা যত বেশি হবে তত বেশি আপনার জন্য জানা কঠিন হয়ে পড়বে, কারা আপনার সাথে মিথ্যে বলছে, আর কারা বলছে না। যখন আপনি সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হবেন, তখন আপনার সাথে বাস্তবতার আর যোগাযোগ থাকবে না। এটিই হচ্ছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট নিঃসঙ্গতা।
উৎসঃ অরণ্য সৌরভ; ১৫ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৪৪. আমরা যারা দেশ স্বাধীনের জন্য ১৯৭১ সালে যুদ্ধে গেছিলাম তারা একে একে স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিকভাবে মরে যাচ্ছি। একাত্তুরে ভারত আছিল বন্ধু, এখন ভারতের ডরে থর থর কইরা কাঁপতে আছি। এখন আমাগো হাড় নড়বড়ে হইয়া গেছে। আমাগো দিলে অনেক রহম পয়দা হইছে। ... এমন দেশ আমরা চাই নাই যেখানে মনের কথা মুখে উচ্চারণ করতে ভয় পাই।।
উৎসঃ আবু করিম; ৪৪০ । মুক্তিযোদ্ধা: ৩ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৪৫. রেখায়নের এই মেলা ছিলো বহমান নদীর মতো। কেবল ঢেউগুলো ছিলো আমাদের, পানি বয়ে যেতো ঢাকার রাজপথ ধরে নানা গলি-উপগলি আর এলাকার ভেতরে।
উৎসঃ ড. মাহবুব হাসান; রেখায়ন আমার জানালা: ২৪ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৪৬. ঈর্ষা বা প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কোনো কিছু সৃষ্টি করতে চাইলে তা দীর্ঘমেয়াদী হয় না।
উৎসঃ মজিবর রহমান খোকা; ২৩ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৪৭. সময় দেখেছে বহু আমলা কবিকে
অবসরে গিয়ে যারা দু'চার বর্ষার জলে ধুয়েমুছে গেছে
পাঠক দেখেছে কিছু কবি আমলাকে
কেউ কেউ দাসত্বের পোশাক পরেছে।
কেউ কেউ পিঠে সিল নিয়ে ম্লান আলোতে
এখন টিমটিম নিভে যাচ্ছে যেন
একদা তারাই ছিল পাদপ্রদীপের আলোতে উজ্জ্বল।
উৎসঃ জাহাঙ্গীর ফিরোজ; কবি বা কোবিদ নও তবু অমরত্বের তৃষা: ৮ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৪৮. রায়বাড়ির পুকুরের এক পাড়ে গ্রামের সবচেয়ে বড়ো মসজিদটা। এর ভবন নির্মাণে অনেকের সঙ্গে রায়দের আর্থিক সহায়তাও আছে। রায় পরিবারগুলোর পূজার বাসি ফুল জলে ভাসতে ভাসতে এসে ভিড়ে মসজিদের ঘাটে। অন্যের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আঙ্গুল দিয়ে আলতো স্পর্শে সেসব ফুল সরিয়ে রায়বাড়ির পুকুরের জলে ওযু করে মুসলমানরা প্রতিদিন নামাজ পড়েন ওই মসজিদে। আমাদের জন্মগ্রামে দৃশ্যটা নিত্যদিনের, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুরে। সেখানে কারো ‘অনুভূতি রক্ষা’র মধ্যযুগীয় চিন্তার প্রতিফলন ঘটে না।
উৎসঃ হাসান শান্তনু; ১১ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৪৯. আগুন-জলে ফুটছে না ভাত আগুন জ্বলে চালে
বাগুন জ্বলে মরিচ জ্বলে আগুন জ্বলে ডালে
মন্টু তবু ঠাণ্ডা থাকে, খোস মেজাজে হাম্বা ডাকে
কারণ সে আজ ঘাস-লতা খায় একটা গরুর পালে।
উৎসঃ আসাদ জোবায়ের; ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৫০. দেখে চলো কে কাহার সঙ্গি
কেউ যেন না হয় আর জঙ্গি। ...
ঘাতকের নেই দেশ ধর্ম
ঘৃণা করি সব অপকর্ম।
উৎসঃ মিলু কাশেম; ১৬ জুন ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৫১. বন্ধু ছাড়া জীবন ধারা যায় না সচল রাখা
বন্ধু ছাড়া আছেন যারা জীবন তাদের বাঁকা।
উৎসঃ স্বপন শর্মা; ৬ আগস্ট ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৫২. চালের দাম লাফায়
গরিব দুখী দাপায়
কেমন করে বাঁচবে তাঁরা
খাবার যদি না পায়!
উৎসঃ আবু সাইদ; ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৫৩. আত্মীয়তার সুত্র ধরে
আদর্শ আজ খাদে,
ইতিহাসের গল্পগুলো
লুকোচুরির ফাঁদে!
উৎসঃ খালেদ শরফুদ্দীন; ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৫৪. পাইরেট বই ২০০৩ সালে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি জেলায় অনুষ্ঠিত বইমেলায় বেস্টসেলার হয়। এই বইটি হলো সেই বই, যা বিশ্বের কোটি কোটি শিশু-কিশোরদের মাতিয়ে তোলা জে কে রাউলিং-এর হ্যারি পটার নামক বইয়ের বাংলা অনুবাদ। আইনের প্রয়োগ না থাকলে পাইরেট বইয়েরও জয়জয়কার হতে পারে।
উৎসঃ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম; বইয়ের কথকতা, পৃষ্ঠা ৭৭
৫৫. অসাধারণ হবার উদগ্র বাসনায় উন্মত্ত হওয়া আর অমানুষ হয়ে যাওয়া একই। যে সাধারণ, সে তার সমাজ সংসারকে জানে, হাঁড়ি বাড়ি এবং নাড়ি নক্ষত্রও তার জানা ও মানায় থাকে। যে নিজেকে কেবল আকর্ষণীয় এবং প্রদর্শনযোগ্য করে তুলতেই ব্যস্ত ন্যস্ত তার মতো অসাধারণ মানুষ দেশ ও দশের কোনো কাজেই লাগে না।
উৎসঃ রবিশঙ্কর মৈত্রী; কথাবুদ্ধ, পৃষ্ঠা ১৯
৫৬. মানুষের ভালোবাসা চিরস্থায়ী করতে হলে সময়মতো রাজনীতিককে সরে যেতে হয় ক্ষমতা থেকেঃ প্রমাণ নেলসন ম্যান্ডেলা।
উৎসঃ সৈকত রূশদী; ২১ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৫৭. নবীন লেখকদের প্রতি অযাচিত উপদেশঃ লেখক হওয়ার আগে একজন ভালো পাঠক হউন। ... নিজে অন্য লেখকের ভালো বই কেনার অভ্যাস করুন।
উৎসঃ সাঈদ বারী; ২৭ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৫৮. কোনো মানুষ মিথ্যেবাদী হতে চায় না
সত্যবাদী সত্যবাদী চেহারা ফ্যাটকাইয়া রাখে
কোনো মানুষ ঘৃণার পাত্র হতে চায় না
অথচ খুব জনপ্রিয় ভাব ভ্যাটকাইয়া রাখে।
উৎসঃ আলম তালুকদার; ১৭ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৫৯. কেন যে কিছু মুখে পৃথিবীর মায়া লেগে থাকে
কেন যে কিছু মুখে পাই শুকপাখির পালকের ঘ্রাণ
কেনই আবার দুঃখ কাতরতা দেখি সেই মুখখানিতে।
সেই মুখেই --
জীবন থেকে মৃত্যুর খেয়া পারাপার দেখি।
উৎসঃ কোয়েল তালুকদার; ২৭ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৬০. আমি পূর্বপুরুষের কাছে যাব, গুহামানবের কাছে যাব।
বেঁচে থাকার জন্য শিকার করব।
আকাশের তারা দেখে, পথ চলব
পিঁপড়ার পথচলা দেখে আবহাওয়া বার্তা নেব।
ভালোবাসার গান শুনাব গাছের পাতায়।
উৎসঃ জামিল জীবন; ইচ্ছাঃ আজকালের খবর, ২৬ নভেম্বর ২০১৭।
৬১. বসন্তের আগমনে কোকিলের সুর।
গ্রীষ্মের আগমনে রোদেলা দুপুর!
বর্ষা-শরতের সাদা কাশফুল!
বন্ধুদের জানাতে মনটা ব্যাকুল।
উৎসঃ রূপালী মজুমদার; ৩ মে ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৬২. সভ্যতার উত্থানের যুগে দর্শন ছিলো 'মারো কিংবা মরো'।
আরো পরে পররাজ্য গ্রাসের যুগের দর্শন ছিলো 'অন্যকে মারিয়া তুমি বাঁচো'। 'তুমি তাহাদের না মারিলে তাহারা তোমাকে মারিবে'।
দুই বিশ্বযুদ্ধের যুগে দর্শন ছিলো...'পক্ষে বন্দুক তুলে না নিলে তুমি বিপক্ষের শত্রু'।
সমাজতন্ত্রের যুগে 'শ্রেনী শত্রু ক্ষতমের যুদ্ধে যোগ না দিলে তুমিও শ্রেণী শত্রু'।
গনতন্ত্রের যুগে দর্শন খানিকটা শিথিল।
এবং তা হলো, দুই-এর মধ্যে এক বেছে নাও নইলে কিন্তু তিন।
(ডাঙ্গায় বাঘ, জলে কুমির নতুবা সামরিক সাপের অভিশাপ)
উৎসঃ আমান-উদ-দৌলা; ৩০ নভেম্বর তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৬৩. সেই বপনে ও রোপনের তরল সুধায় মত্ত-তরুণ
যুবক হলো জেলগারদের অন্ধগুহায় ৷
অকাল বার্ধক্যের সৌরভ মেখে,
মুক্ত পৃথিবীতে সে আবাক বিস্ময়ে চেয়ে দেখে
তার সাহসী সাথীরা
মোনালিসার হাসির অর্থ খুঁজে চায়ের আড্ডায়৷
উৎসঃ ইফতেখার আহমেদ বাবু; ৭ নভেম্বর তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৬৪. আজ মনের রং মিশিয়ে যা খুশী বলছেন অনেকে। এমন ভীতিকর পরিবেশ যে যারা অনেক কিছুই লিখতে পারতেন বা সাক্ষাত্কার দিতে পারতেন তারা কিছু বলতে চাচ্ছেন না। যারা মিথ্যার বেসাতি করছেন তারা কি জে. মীর শওকত আলী, কর্নেল শাফাত জামিল, ব্রিগেডিয়ার আমিনুল হক-এর চেয়ে কামেল বনে গেছেন? আর জেনারেল জিয়াকে নিয়ে ফাজলামো বন্ধ করেন। উনি শক্ত হাতে না দাঁড়ালে আজকের বহু শেঠ-বাহাদুরকে তাদের বর্তমান পজিশনে দেখা যেতো না।
যারা বঙ্গবন্ধু ও শহীদ জিয়াকে নিয়ে কটুক্তি করবে, তারা আমার বন্ধু হতে পারে না ...
উৎসঃ আবু রূশদ; ৭ নভেম্বর তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৬৫. এভাবে পাথর আর বল্লমের কাল কবেই ফুরিয়েছে
নিহত শূকরের রক্তে মানুষের আর কোন আনন্দ নেই
হাত এখন হাতের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি জেগে আছে
মানুষের বুদ্ধিশুদ্ধি ওসব কিছু নয়
মানুষের ইতিহাস হলো হাতের ইতিহাস
উৎসঃ মজিদ মাহমুদ; ১৮ নভেম্বর তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৬৬. আনোয়ার জাহিদ ভাই যখন সংবাদপত্রের মালিকদের সরকারি বর্ধিত অর্থিক সুবিধা পেতে ইউনিয়নের মতামতের আইন করে দিয়েছিলেন তখন হয়ত তিনি ভুলেও চিন্তা করেন নি এটা এক সময় কোন কোন সাংবাদিক নেতার অবৈধ আয়ের উৎস হতে পারে। আজকের দিনে তাকালে এটা যে-কেউ স্বীকার করবেন, দুর্বৃত্ত মালিকদের অবৈধ অয়ের অংশহিসেবে এক শ্রেণীর সাংবাদিক নেতাও অবৈধ অর্থের ভাগ নিয়মিত নিচ্ছেন।
উৎসঃ আবদুল আউয়াল ঠাকুর; ২৮ নভেম্বর তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৬৭. দিনকয়েক পরে ভুট্টো আমাকে তাঁর বাড়িতে ডাকলেন। তিনি তাঁর বলা মিথ্যাটার বিষয় উল্লেখ করলেন না। আমিও কিছু বললাম না সে বিষয়ে। কিন্তু যা বললেন সেটা আরো খারাপ এবং হতবুদ্ধিকর। আমাকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন যে, ঢাকায় আত্মসমর্পনের ফিল্মটা আমি টেলিভিশনে দেখেছি কি না।
দেখিনি বলাতে তিনি আমাকে ওটা দেখাতে চাইলেন। প্রস্তাবটা প্রত্যাখ্যান করলাম। বসে সবিস্ময়ে ভাবতে লাগলাম নিজের সেনাবাহিনীর সেই অবমাননার দৃশ্য দেখে কি আনন্দ তিনি পান। তিনি এখন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (সুপ্রিম কম্যান্ডার)। তাদের ক্ষত নিরাময়ের পরিবর্তে তাতে লবণ ঘষছেন। পূর্ব পাকিস্তানে পরিস্থিতি ভন্ডুল করে দেয়ার জন্য সশস্ত্রবাহিনী একা দায়ী নয়। রাজনীতিবদরা তাতে এক বিরাট ভূমিকা পালন করেছেন এবং তিনি ছিলেন প্রধান নায়কদের একজন - যদিও স্টার নায়ক ছিলেন না।
উৎসঃ লে. জে. গুলহাসান; পাকিস্তান যখন ভাঙলো; অনুবাদ: এ টি এম শামসুদ্দীন, পৃষ্ঠা - ৯৩। ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড।
৬৮. যুদ্ধের অভিজ্ঞতাই প্রত্যেক সৈনিক ও অফিসারের জন্য একটি বড় সম্পদ। আমাদের গেরিল বাহিনীর সদস্যরা অপারেশনের মাধ্যমে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে থাকে এবং দক্ষ ও পারদর্শী হয়ে ওঠে। এটাই বড় কথা। যুদ্ধকালীন সময়ে আমরা কখনো চিন্তা করি নি যে নয় মাসের মধ্যেই পরাক্রমশালী পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করতে পারব। আমরা ৫-১০ বছরের জন্য লড়াই চালিয়ে রাখার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তবে যুদ্ধে বিজয়ের কারণ সম্মুখ যুদ্ধেই সফল হওয়া নয়। রাজনীতিও যুদ্ধের একটি অংশ। মনীষীরা বলেছেন, রাজনীতি হচ্ছে রক্তপাতহীন যুদ্ধ। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার কারণেই আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম অতি দ্রুত সফল হয়।
উৎসঃ কর্নেল (অব.) কাজী নূর-উজ্জামান; একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ: একজন সেক্টর কমান্ডারের স্মৃতিকথা, পৃষ্ঠা - ৫৮। অবসর প্রকাশনী।
৬৯. মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে কোলকাতায় জুন মাসে গঠন করা হয় বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। এই কমিটিতে যেসব বামপন্থী দল ঐক্যবদ্ধ হয় সেগুলি হল কাজী জাফরের কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের পূর্ব বাংলা সমন্বয় কমিটি, দেবেন সিকদারের পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি, নজরুল ইসলামের কমিউনিস্ট সংহতিকেন্দ্র, ভাসানীর ন্যাপ, শুভ রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও পৃথক একটি অংশ কমিউনিস্ট কর্মী সংঘ, পূর্ব বাংলার ছাত্র ইউনিয়ন এবং পূর্ব বাংলার বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন। আটটি বামপন্থী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটি অষ্টবাম নামেও পরিচিতি অর্জন করে। মওলানা ভাসানী এই সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। কমিটির পক্ষ থেকে রাশেদ খান মেনন ও হায়দার আকবার খান রনোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের সাথে দেখাও করেন।
উৎসঃ জগলুল আলম; বাংলাদেশে বামপন্থী রাজনীতির গতিধারা।
৭০. মুক্তিযুদ্ধকে নির্মোহ ও নির্লিপ্তভাবে দেখার সময় হয়েছে। কিন্তু পাশাপাশি এটাও স্মরণ রাখতে হবে যে, এতো বছর আগে সে যুদ্ধ শেষ হলেও এর আবেগ-পবিত্রতা ভবিষ্যৎ-সঞ্চারিত, অনাদিকাল সঞ্চারী। যুগে যুগে যারা আসবে, তাদের কাছের এই প্রত্যয় সমান আবেগ ও সম্মান নিয়ে বিরাজ করবে। মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্য ও গৌরবকে উপেক্ষা করে, পাশ কাটিয়ে কিংবা কটাক্ষ করে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষেই বিকশিত হওয়া দূরের কথা, টিকে থাকাও সম্ভব নয। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।
উৎসঃ আহমেদ মূসা; জনগণের মুক্তিযুদ্ধ চেতনার স্বরূপ সন্ধান, পৃষ্ঠা - ১০৩
৭১. লোহার শিকগুলি ও দেওয়ালগুলি বাধা দেয় সন্ধ্যার পূর্বে দিগন্ত বিস্তৃত খোলা আকাশ দেখতে। বাইরে যখন ছিলাম খোলা আকাশ দেখার সময় আমার ছিল না। ইচ্ছাও বেশি হয় নাই। কারণ কাজের ভিতর নিজকে ডুবাইয়া রাখতাম।
উৎসঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; কারাগারের রোজনামচা, পৃষ্ঠা - ১৬৫। বাংলা একাডেমি।
৭২. কৃষকদের ইতিহাস হল সংগ্রামের ইতিহাস। নির্যাতি ও শোষিত হওয়ার ইতিহাস। বাংলার কৃষকদের ইতিহাস হল একাধারে শোষিত ও নির্যাতিত হওয়ার, অপর দিকে শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ইতিহাস। তারা লড়াই করেছে। পরাজিত হয়েছে। আবার লড়াই করেছে। পরাজিত হয়েছে। আবার উঠে দাঁড়িয়েছে।
উৎসঃ আমজাদ হোসেন; বাংলাদেশের কৃষক আন্দোলনের ইতিহাস, পৃষ্ঠা – ৫। পড়ুয়া প্রকাশনী।
৭৩. প্রাচীন বাংলায় নানা রকম আনন্দ উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা অনেক সূত্রেই বর্ণনা করা হয়েছে। প্রাচীন সাহিত্য ও লিপিমালায় বাঙালিদের মধ্যে নাচ-গান ও বাদ্যবাজার প্রচলনের উল্লেখ পাওয়া যায়। পাহাড়পুর ও ময়নামতিতে পাওয়া পোড়ামাটির ফলকে নৃত্যরত নারী-পুরুষের মূর্তি দেখা গিয়েছে। এসব ফলকচিত্র থেকে নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্রের পরিচয় পাওয়া যায়। বাঙলায় পাওয়া ধাতব ও পাথুরে মূর্তিতেও নৃত্যভঙ্গিমা লক্ষ করা গিয়েছে। শুধু নৃত্য নয়, প্রাচীনকালে নৃত্যগীত সহযোগে এক ধরনের নাট্যাভিনয় প্রচলিত ছিল বলে জানা যায়। সাধারণত বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এবং কখনো কখনো সামাজিক অনুষ্ঠানে নৃত্যগীত ও অভিনয়ের আয়োজন করা হতো।
উৎসঃ এ কে এম শাহনাওয়াজ; বাংলার সংস্কৃতি বাংলার সভ্যতা, পৃষ্ঠা - ৭৯। দিব্য প্রকাশ।
৭৪. একটি সাম্রাজ্যের শাসকশ্রেণী ছাড়া সবাই অধিকারহীন দাস। ভারতে অশোকের শাসন পর্যন্ত ব্যক্তিসত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। গুপ্ত, পাল ও তুর্কি সাম্রাজ্য স্থাপনের মাধ্যমে আবির্ভাব ঘটে ইউরোপীয় সামন্তশ্রেণীর সঙ্গে স্থানীয় রাজন্য ও ভূস্বামী শ্রেণীর, যার অধীনে সাধারণ মানুষ হারায় তার সকল সত্তা ও স্বাধীনতা।
উৎসঃ সিরাজুল ইসলাম; নতুন দিগন্ত: পৃষ্ঠা - ৪২. জুলাই-সেপ্টেম্বর-২০০৯। সমাজ-রূপান্তর অধ্যয়ন কেন্দ্র।
৭৫. শূন্যতায় উড়িয়ে দাও খোলস, মুক্ত হও। ... একাকিত্ব শান্তি নয়; তবু অশান্তির চেয়ে ভালো
উৎসঃ সুহিতা সুলতান; নতুন দিগন্ত: পৃষ্ঠা - ১২৯. জুলাই-সেপ্টেম্বর-২০০৯। সমাজ-রূপান্তর অধ্যয়ন কেন্দ্র।
৭৬. রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইনের এক সাক্ষাৎকারের কথোপকথনের বিবরণ ১০ আগস্ট নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় মারিয়ানফ লিখেছেন যে, রবীন্দ্রনাথ কবি হলেও তাঁর মন ছিল চিন্তাবিদের, আর আইনস্টাইন চিন্তাবিদ হয়েও মনের দিক দিয়ে ছিলেন কবি। তিনি রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইনের মধ্যকার এই সাক্ষাৎকারকে দুই গ্রহের কথোপকথনের সঙ্গে তুলনা করেন।
উৎসঃ সৈয়দ জিয়াউল হক: আইনস্টাইন ও ভারতবর্ষ। নতুন দিগন্ত : পৃষ্ঠা – ১৪১। জুলাই-সেপ্টেম্বর-২০০৯।
৭৭. যেসব বাঙালিকে সন্দেহ করা হতো তাদেরকে বিনা বিচারে কোনও রকম জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই ‘বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া’ হতো। ‘বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া’ ছিল একটি সাংকেতিক ভাষা - যার অর্থ হত্যা করা।
উৎসঃ লে. কর্নেল মনসুরুল হক; মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের গোপন দলিল: জগলুল আলম, পৃষ্ঠা ১৩৮-১৪৩
২৬০ নম্বর সাক্ষী লে. কর্নেল মনসুরুল হকের ভাষ্য: হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্টের নির্বাচিত অংশ থেকে। এটি ভুট্টো করিয়ে নিজেই ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
৭৮. আমি নানাদিক থেকে বাঙালি মুসলমানের বড় সম্ভাবনা দেখি। এদেশের মানুষের যে প্রাণশক্তি এটা অসাধারণ। এখানে সুফলা ভূমি আছে, তার জনশক্তি আছে। এখন পৃথিবীতে ক্যাপিটালিজমের গতি প্রায় অপ্রতিহত। আমাদের এখানে ক্যাপিটালিজমের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
উৎসঃ আহমদ ছফা; ১৯৯৪ সালে সাজ্জাদ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে একথা বলেন; আহমদ ছফার সাক্ষাৎকার, পৃষ্ঠা - ৯৭
৭৯. দূরন্ত ঝড়ে ভিখেরীর ভিটের চাল উড়ে যায় অসীমের দিকে, গভীর রাতে ঝরে পড়ে নীলাকাশের উল্কারাশি, অশান্ত সাগরের বুকে আছড়ে পড়ে উড়ন্ত ড্রোন।
উৎসঃ লাকি চৌধুরী; এক মম'র শ্লোক। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৮০. বাঙালি অভদ্র, তার পরিচয় রয়েছে বাঙালির ভাষায়। কেউ এলে বাঙালি জিজ্ঞেস করে, `কী চাই?' বাঙালির কাছে আগন্তুকমাত্রই ভিক্ষুক। অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে বাঙালি বলে, `দাঁড়ান।' বসতে বলার সৌজন্যটুকুও বাঙালির নেই।
উৎসঃ হুমায়ুন আজাদ; প্রবচনগুচ্ছ: পৃষ্ঠা - ৪৩
৮১. হারানো মানুষ ফিরে আসে অন্য মানুষ হয়ে। একবার হারালে রেখে যাওয়া জগত আর ফিরে পাওয়া যায় না। সবাই রূপকথার প্রিয়গল্পের চরিত্র 'রিপ ভ্যান উইঙ্কল' বনে যায়।
উৎসঃ জাহাঙ্গীর কবির; ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৮২. ১৯৬৯ সালে ঢাকাস্থ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে গোর্কী জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আমি নোবেল প্রাইজ থেকে শুরু করে তৎকালীন পাকিস্তানে আদমজী প্রাইজ, ন্যাশনাল ব্যাংক প্রাইজ ইত্যাদি পুরস্কার সম্পর্কে বলেছিলাম যে, এসব প্রাইজ যারা দেয় তারা নিজেদের স্বার্থে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই দিয়ে থাকে। আদমজী প্রাইজপ্রাপ্ত শওকত ওসমান সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তার কথার সূত্র ধরেই আমি একথা বলেছিলাম। তিনি বলেছিলেন ন্যুট হামসুনের মত ফ্যাসিস্টকে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গোর্কীর মত কথাশিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি। কারণ নোবেল প্রাইজ অনেক ধরনের মতলববাজীর উদ্দেশ্যেই দেওয়া হয়। আমি আমার বক্তৃতার সময় বলেছিলাম যে, নোবেল প্রাইজ সম্পর্কে এই বক্তব্য সঠিক।
উৎসঃ বদরুদ্দীন উমর; আমার জীবন, চতুর্থ খণ্ড
৮৩. প্রায় লেখককেই নিজের কবর খুঁড়তে হয় নিজের কলম দিয়ে। গায়কের মতো লেখকেরও ঠিক সময়ে থামতে জানা চাই। ... যথাসময়ে না থামলেই বিষম, সবটাই বিষময় হয়ে দাঁড়ায়। এমনকী কালজয়ী লেখকও যদি যথাকালে না থামেন তো জীবদ্দশাতে জীবন্মৃতের অন্তর্দশা তাঁর বিধিলিপি। অবশ্য মহাকাল কারও কারও প্রতি একটু সদয়। সময় থাকতে থাকতেই তাঁদের নিরস্ত করেন, নিজের পুনরাবৃত্তির পথে আত্মহননের ভোগান্তি তাঁদের আর পোহাতে হয় না। যেমন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ, শরৎচন্দ্র। বিস্ময় থাকতে থাকতেই, রাখতে রাখতেই তাঁরা অস্ত গেছেন।
উৎসঃ শিবরাম চক্রবর্তী; ঈশ্বর-পৃথিবীর ভালবাসা; মধুসূদন মিহির চক্রবর্তীর ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৮৪. রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্মীয়স্বজন ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।
উৎসঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডায়রিভিত্তিকগ্রন্থ অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র ফ্লেপে উল্লিখিত উদ্ধৃতির শেষাংশ থেকে।
৮৫. রোহিঙ্গা সমস্যা বলতে কোনো সমস্যা নেই। এটা মিয়ানমার সমস্যা। মিয়ানমার এখনও রাষ্ট্র হয়ে উঠতে পারেনি … রোহিঙ্গা প্রশ্নে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে অং সান সুচির খুব একটা পার্থক্য নেই।
উৎসঃ সলিমুল্লাহ খান; ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে আমান-উদ-দৌলার ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৮৬. যাচ্ছে বছর, আসছে বছর
স্বপ্ন ঘোরে চক্রাকার
এ-বল, ও-বল, ওভার গেল,
মারব কবে ছক্কা-চার?
উৎসঃ সুমন্ত বর্মণ; নতুন সালের ছড়া
৮৭. ক্ষুদ্ররে করি যত্ন বেশি আর
ক্ষুদ্রতারে করি পরিহার।
উৎসঃ আনোয়ার জীবন; ১৭ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৮৮. ফৌজিকা দ্যিমাক মোটা হোনা চাহিয়ে। যিসকা দ্যিমাক যিতনা মোটা, উয়ো তিতনা বড়া ফৌজি।
উৎসঃ সাদাত হাসান মান্টো; হিন্দু-মুসলিম দাঙা নিয়ে রচিত গল্প অবলম্বনে নির্মিত মান্তোস্তান ছায়াছবি থেকে।
৮৯. রাতের অন্ধকার ছেয়ে আছে ঘনকুয়াশায়
রাস্তার জ্বলা আলোগুলো মনে হচ্ছে এক একটা হারিয়ে যাওয়া শৈশবের ‘হারিকেন।’
উৎসঃ নাসরিন সিমি; ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৯০. মাগো আমি চাইগো আবার তোমার মধুর শাসন
আমার সঠিক আসন
পান্তাভাতের বাসন
দাও ফিরিয়ে তোমার বুকের রাজ্য-সিংহাসন
তোমার ছায়া তোমার মায়া
বিশ্বমাঝে ছুঁয়ে
মুগ্ধ আমি শুয়ে
তোমার ভালোবাসার কাছে আকাশ থাকে নুয়ে।
উৎসঃ আনোয়ারুল কবীর বুলু; ইউটিউবে প্রচারিত ‘মাগো’ কবিতা থেকে।
৯১. ভাষায় যথেষ্ট দখল না থাকলে সহজ বিষয়ও সহজভাবে বলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সহজ রাস্তা এবং দুর্গম রাস্তা কোনোটাই যদি জানা না থাকে সে-ক্ষেত্রে পর্যটকের জন্য উভয় রাস্তাই সমান।
উৎসঃ মোহাম্মদ শাহজাহান; ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৯২. ওপারে সূর্য আর এপারে চাঁদ ঠায় অপেক্ষমাণ।
এই অপেক্ষার রেশ ধরে সময়ের পিঠে হেলান দিয়ে ঘুমায় সময়।
সময়ের হাত ধরে সময় আসে।
আবার সময়ের হাত ধরেই ফিরে যায় সময়।
উৎসঃ তাহমিনা শিল্পী; ১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৯৩. যে জীবন বেঁচে থেকে থেকে মৃত্যুর দিন খায়,
ভালোবেসে তাকে আর কতটা আগলে রাখা যায়।
উৎসঃ মোশাররফ মাতুব্বর; ১১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৯৪. নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি-পক্ষপাতহীন মনোভাব না থাকার জন্যই সাহিত্য-বিচার-মূল্যায়নের আজ শোচনীয় দশা। এদেশে সাহিত্য-ক্ষেত্রে দুধের চেয়ে শুটকির দাম বেশি! বাংলাদেশের কথাসাহিত্য-কবিতা-প্রবন্ধ-গবেষণা অনেকদূর এগিয়ে গেছে। যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে বিন্যাসকরণের কাজটি হয়নি বলেই বাংলাদেশের সাহিত্যকে হেলাফেলা করা সম্ভব হচ্ছে জাতীয়-আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে।
উৎসঃ ইউসুফ শরীফ; ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৯৫. কেবলি ভেসে যাই ভালোবাসার স্বপ্নঘোরে
গভীর থেকে গভীরে ...
আমি আঁধার বিলাসী স্বপ্নময়ী সন্ধ্যা,
আমার থেকে আমাকে হারিয়ে অচিনপুরে।
উৎসঃ লাবন্য হক; স্বপ্নঘোর: ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৯৬. তার মধ্যে বিদ্রোহের নেতৃত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন আড়াই বছর চাকরির একজন লেফটেন্যান্ট। যার সেদিনই ক্যাপ্টেন হবার কথা। তাঁর ডেপুটি আরো কম অভিজ্ঞ একজন লেফটেন্যান্ট। গোলাবারুদের স্বল্পতার কারণে গুণেগুণে গুলি খরচ করতে হচ্ছে। অস্ত্রের ঘাটতির কারণে পাকিস্তানি ভারী অস্ত্রের জবাব দিতে অসুবিধা হচ্ছে, চিকিৎসকের অভাবে গুলিবিদ্ধ সৈনিকের চিকিৎসা হচ্ছে না । যোদ্ধারা দিনভর অভুক্ত, ক্লান্ত, সহযোদ্ধাদের মৃত্যুতে ব্যথিত তবে অবসাদগ্রস্ত নন। এই অসম যুদ্ধে পাকিস্তানিদের বেস্টনি ভেদ করে করে একজন তাদের নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন। আরেকজন তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। প্রতিরোধ যুদ্ধের এর চেয়ে এক ক্লাসিক উদাহরণ আমার জানা নেই।
আমি তাই সবসময় ফার্স্ট বেঙ্গলকে এগিয়ে রাখি। আর সালাম জানাই লেফটেন্যান্ট হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম এবং লেফটেন্যান্ট আনোয়ার হোসেন বীর উত্তমকে।
উৎসঃ সাইদুল ইসলাম; বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৫টি ইউনিটের বিদ্রোহ: একটি পর্যালোচনা।
৯৭. মানুষের যখন বয়স হয়ে যায়, যখন তিনি বুঝতে পারেন জীবন-সংসারকে দেওয়ার মতো তাঁর আর কিছু নেই, তখন তাঁর মধ্যে অস্থিরতা, অবিবেচনা বোধগুলো প্রকট হয়ে ওঠা অস্বাভাবিক কিছু নয়। যে-মানুষটা এতদিন সংসারের হাল ধরে ছিলেন, যিনি জীবন থেকে দুহাতভরে নিয়েছেন, এবং দিয়েছেনও কিছু না কিছু, হঠাৎ করে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠা তাঁর জন্য আনন্দের বিষয় না। বয়সী মানুষের কাছের যাঁরা--বিশেষ করে ছেলেমেয়ে--তাদের এটা মাথায় রেখে সহমর্মী হতে হয়। মনে রাখা দরকার, আমরা যে-কেউ যে-কোন মুহূর্তে শারীরিক এবং/অথবা বৌদ্ধিক চ্যালেঞ্জে পড়ার ঝুঁকিতে থাকি।
উৎসঃ রওশন জামিল চৌধুরী; ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
৯৮. এই বাংলার সুনীল আকাশে এখনো শকুনি চিল
স্পর্ধায় ওড়ে, সাথীরা শুনেছো আগামী দিনের ডাক
বিক্ষোভ আর অগ্নি-শপথে গড়ো মিছিল,
মাঠে-বন্দরে এক হয়ে গেছি অযুত লাখ ...
উৎসঃ বুলবুল খান মাহবুব; হায়দার আনোয়ার খান জুনোর ‘আগুনঝড়া সেই দিনগুলো’ গ্রন্থ থেকে, পৃষ্ঠা – ১৪৮
৯৯. কমিশন ১৯৭১ সনে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে কতিপয় সামরিক কর্মকর্তার ভুলক্রুটির ফসল হিসেবে প্রদর্শন করেছেন। রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, ভুট্টোকে দায়মুক্ত করে সেনাবাহিনীকে দায়ী করা হয়েছে। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকারের শোষণ ও বর্বরতার কাহিনী রিপোর্টে প্রতিফলিত হয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল স্পিরিট এখানে উঠে আসেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার রাজনৈতিক অবস্থানকে মূল্যায়ন করা হয়নি, কোনো কোনো জায়গায় অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। ...
উৎসঃ আফজালুল বাসার, হামুদুর রহমান কমিশন রিপোর্ট সম্পর্কে; জগলুল আলম লিখিত ‘১৯৭১ পরাজয় ও আত্মসমর্পণের পাকিস্তানী মূল্যায়ন’ গ্রন্থের ভূমিকা থেকে।
১০০. নীরব রাতের মহা-অন্ধকারই কেবল বলে দিতে পারে নীরবতার ভাষা কতো গভীর।
উৎসঃ চাঁপা রহমান; ১০ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত স্ট্যাটাস থেকে।
১০১. দেশের ভেতরে প্রথম দিকে যে গেরিলাদলগুলো পাঠানো হয়েছিল, তার ফলাফল খুব খারাপ হয়েছিল। কয়েকটি গ্রেনেড আর একটি পিস্তল দিয়ে প্রকৃত গেরিলাযুদ্ধের ধারেকাছে যাওয়াও সম্ভব হয়নি। সে জন্য জুন-জুলাই পর্যন্ত যারা দেশের অভ্যন্তরে গিয়েছিল, তাদের অনেকেই আর ফিরে আসেনি। গেরিলাদলের কয়েকজন নিহত হলে বাকিরা পুনরায় যুদ্ধে যেতে সাহস হারিয়ে ফেলত।
উৎসঃ - এ কে খন্দকার, ১৯৭১ : ভেতরে বাইরে, পৃষ্ঠা ১০৩।
১০২. ভুট্টো এসেছেন ঢাকায়।... আমরা ক’জন বাঙালি সাংবাদিক তার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি পেয়েছি। মুজিব-ইয়াহিয়া আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বেশি কিছু বলতে চাইলেন না। দু’জন সহকর্মীর সঙ্গে তিনি উত্তেজিত কণ্ঠে আলাপ করছিলেন। একসময় আমাদের উপস্থিতি ভুলে গিয়ে তিনি উর্দুতে বলে উঠলেন, আলোচনা বৈঠকে মুজিবকে আমি ভয় পাই না। ইমোশনাল অ্যাপ্রোচে মুজিবকে কাবু করা যায় কিন্তু তার পেছনে ফাইল বগলে চুপচাপ যে নটোরিয়াস লোকটি বসে থাকে তাকে কাবু করা শক্ত। দিস তাজউদ্দীন, আই টেল ইউ, হি উইল বি ইয়োর মেন প্রবলেম।
- আবদুল গাফফার চৌধুরী
উৎস : একজন বিশ্বস্ত নেতার স্মৃতিকথা। যায়যায়দিন, ১১ জুন ১৯৮৬।
১০৩. ২৫ মার্চ রাতে আকস্মিক হামলা চালানোর সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বোধ হয় মনে করেছিল যে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে নিয়ে আসা যাবে। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল প্রতিপন্ন হয়েছে। ১৩ হাজার ইপিআর ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নামমাত্র রসদ হাতে নিয়েই সারাদেশে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। .. ‘বাঙালিদের সাহায্য করার পেছনে ভারতের অবশ্য আরেকটি বড় কারণ রয়েছে। পাকিস্তানিদের সঙ্গে লড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে বিপ্লবের নেতৃত্ব বামপন্থিদের হাতে চলে যেতে পারে। এ ধরনের ঘটনায় ভারত বিশেষ করে পশ্চিম বাংলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
- সিআইএ’র সমীক্ষা, ১২ এপ্রিল ১৯৭১
উৎস : মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের গোপন দলিল : জগলুল আলম : অবসর প্রকাশনী, পৃষ্ঠা – ১২৮ - ১২৯।
১০৪. এতো বিপদের মধ্যেও আমরা কিন্তু মনের বল হারাইনি। এরমধ্যেও আমরা অ্যাকশন করে গেছি। সেপ্টেম্বরের শেষে আমরা যখন আসি তখন খালেদ মোশাররফ আর হায়দার ভাই বলেছিল শিগগিরই প্রবলেম বাধতে পারে, তোমরা পারলে কিছু টাকাপয়সা যোগাড় করে পাঠায়ো। গত সপ্তাহে আবারো একটা চিট্ পেলাম হায়দার ভাইয়ের কাছ থেকে। শিগগিরই যেন কিছু টাকা পাঠাই। সেই জন্য আমরা কয়দিন আগে পলওয়েল মার্কেটে একটা ব্যাংক লুট করে সেই টাকা সেক্টরে পাঠিয়েছি।
- জাহানারা ইমাম, নাসিরউদ্দিন ইউসুফের জবানীতে
উৎস : একাত্তরের দিনগুলি - পৃষ্ঠা ৩১২।
১০৫. আদিবাসীরা ব্যাপকভাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গের সাঁওতাল, ওঁরাও, মুন্ডা, রাজবংশীসহ সব আদিবাসী; সিলেটের চা-বাগান এবং মণিপুরি-খাসিয়া জনগোষ্ঠী; ময়মনসিংহের গারো, কোচ, হাজং; পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী; উপকূল এলাকার রাখাইন সম্প্রদায়সহ বাংলাদেশের সব আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নারী-পুরুষ সবাই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
-আফসান চৌধুরীর বরাত দিয়ে মালেকা বেগম
উৎস : একাত্তরের প্রচ্ছন্ন প্রচ্ছদ: সরদার ফজলুল করিম। পৃষ্ঠা : ১৭৬।
১০৬. সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের ৫০ শতাংশ ছিলেন কৃষক। ৩০ শতাংশ ছিলেন ছাত্র, যাদের বড় অংশই আবার কৃষক-শ্রমিকদেরই সন্তান। বাকী ২০ শতাংশের বড় অংশ ছিলেন শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং ক্ষুদ্রাংশ ছিলেন চাকরীজীবী ও বুদ্ধিজীবী।
-গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস
উৎস : জনগণের মুক্তিযুদ্ধ, চেতনার স্বরূপ সন্ধান, আহমেদ মূসা : পৃষ্ঠা - ১৯৮ ।
১০৭. মেজর খালেদ মোশাররফের নির্দেশনা ছিলো হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বিদেশী সাংবাদিক ও অতিথিরা থাকাকালীন ঢাকা শহরের পরিস্থিতি যে শান্ত নয় এবং এখানে যুদ্ধ চলছে তা বোঝানোর জন্য শহরের আশে-পাশে কিছু গ্রেনেড ও গুলি ছুঁড়তে হবে। কিন্তু দুঃসাহসী একদল তরুণ ঢাকায় ৯ জুন তারিখে সরাসরি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গ্রেনেড হামলা করে বসে যা ছিলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও অচিন্তনীয় কাজ।
সন্ধ্যায় বিবিসির খবর থেকে খালেদ মোশাররফ এই অপারেশনের কথা জানতে পেরে বলেন,
'দিজ অল আর ক্র্যাক পিপল! বললাম, ঢাকার বাইরে বিস্ফোরণ ঘটাতে আর ওরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এসেছে।
তিনিই প্রথম এই দলটিকে "ক্র্যাক" আখ্যা দেন; যা থেকে পরবর্তীতে এই প্লাটুনটি "ক্র্যাক প্লাটুন" নামে পরিচিত হয়। দ্যাট ওয়াজ ক্রাক ম্যান।
-আহসানুল কবির ডালিম
উৎস : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১০৮. খালেদ মোশাররফ ও হায়দারের নেতৃত্বাধীন সেক্টর ২-কে চিহ্নিত করা হলো বাম বা লাল সেক্টররূপে । বিএলএফ যাঁর তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছিল, তিনি মেজর জেনারেল উবান। সম্ভবত ছাত্র ও যুবনেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে মেজর জেনারেল উবান জুলাইয়ের দিকে ভারত সরকারের উচ্চপর্যায়ে অভিযোগ করেন যে খালেদ মোশাররফ, মঞ্জুরসহ কয়েকজন সামরিক অফিসারের প্রশ্রয়ে মুক্তিবাহিনীতে বামদের অনুপ্রেবেশ ঘটেছে।
- জহিরুল ইসলাম
উৎস : মুক্তিযুদ্ধে মেজর হায়দার ও তাঁর বিয়োগান্তক বিদায় : পৃষ্ঠা – ১৭৮
১০৯ .শিক্ষার বিস্ফোরণ হচ্ছে, জিপিএ-৫ পাচ্ছে, গোল্ডেন হচ্ছে। কিন্তু তার ভেতরে মান নেমে যাচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের মতো সমাজে জ্ঞানের মানও নেমে যাচ্ছে। যে-কোন বিচারেই জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য দুঃসংবাদ।
-সিরাজুল ইসলাম চেীধুরী
*উৎস : ৪ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে গণসংহতি আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্মেলনের ভাষণে।
১১০. ভালো কেন বাসতে হবে /এক বছরে একটি দিন
সারাবছর ভালোবাসি /ভালোবাসা শর্তহীন।
-পাশা মোস্তফা কামাল
*উৎস : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১১১. চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের কারণে কমপক্ষে পনেরো লক্ষ বাংলাদেশী মানুষ প্রাণ হারায়। এদের সবাই দুর্ভিক্ষের সময় মারা যায়নি । প্রায় সাড়ে চার লাখ মারা যায় দুর্ভিক্ষের পরের মাসগুলোতে, অপুষ্টি ও বিভিন্ন রোগের কারণে। এদের বেশি মারা যায় কলেরা জাতীয় রোগে। এর কারণ, ঘরে খাবার না থাকায় মানুষ পঁচা, অখাদ্য খাবার খেয়ে বাঁচতে চেষ্টা করেছে।
- আলমগীর, এম
*উৎস : Alagmir, M. (1980). Famine in South Asia: Political economy of mass starvation. Massachusetts: Oelgeschlager, Gunn & Hain.
১১২. যাত্রার জলচর টাপুরে নৌকা-আমুদে নদী-কাহিনির মাঝিরা নেই,
তার বদলে উত্তর-পুরুষ, নতুন বিজলি-যান, স্মার্ট তরুণ,
হাতে আনকোরা স্মার্ট ফোন, নাম তার-এ্যানড্রয়েট-
অখন্ড ব্রহ্মন্ড তার তালুবন্দি।
- ভবতোষ হালদার
*উৎস : শেষ খেয়াটি ওপারে বাঁধা : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১১৩. মরণোত্তর পুরস্কার প্রদানে পুরস্কৃতের কোনো সম্মান বাড়ে না; মৃত ব্যক্তি সম্মান-অপমানের ঊর্ধে। এ-রকম পুরস্কারে ব্যক্তিকে নয়, মুত্যুকেই সম্মানিত করা হয়। মরণোত্তর পুরস্কার যায় যমের ঘরেই। এ-রকম কত পুরস্কার যে যমের ঘরে জমে আছে, তার ইয়ত্তা নেই। আত্মদৈন্যবশত আমরা জীবিত গুণী ব্যক্তিদের তাঁদের জীবদ্দশায় পুরস্কৃত করতে পারি না। জীবিত ব্যক্তিদের আমরা অনেক সময় নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবি বলেও তাঁদের পুরস্কারদানে কালক্ষেপণ করি। এ বদসংস্কৃতির মৃত্যু হওয়া উচিত। আর কোনো মৃত ব্যক্তির গলায় মেডেল ঝোলানো না হোক।
-সিতাংশু কর
*উৎস : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১১৪. মুজিব বাহিনীতে একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি, এই বাহিনীতে মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবার ছাড়া কোনো গরিব কিংবা চাষি পরিবারের ছেলেদের নেওয়া হয়নি। কোনো শ্রমজীবী মানুষকেও এই বাহিনীতে নেওয়া হয়নি। তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল এই আন্দোলন বা যুদ্ধ যাতে বামপন্থীদের হাতে চলে না যায়। সে জন্যই কোনো গরিব মজদুর, চাষি বা সাধারণ ঘরের মানুষকে নেওয়া হয়নি। অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধের যে গেরিলা বা গণবাহিনী সার্বিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা, তাদের ৭০ ভাগই ছিল বিভিন্ন শ্রেণির বিশেষত কৃষক পরিবারের।
- এস আর মীর্জা
*উৎস : মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর, পৃষ্ঠা – ১২০।
১১৫. কিশোরী বোন তার ভাইটিকে কোলে নিয়ে আকাশপানে খোদার দিকে তাকিয়ে চুপচাপ মরে গেছে। তখনো একমাত্র গ্যাস মাস্কটা ভাইয়ের মুখে ধরা; যাতে ভাইটি অন্তত বাঁচে। আরাকান থেকে ইয়েমেন, ফিলিস্তিন থেকে সিরিয়ায় শিশুহত্যার উৎসব। যত রকমভাবে মানুষের শিশুহত্যা সম্ভব, এরা তার সবকিছুরই শিকার। পৃথিবী আর কত সইবে?
-ফারুক ওয়াসিফ
*উৎস : প্রথম আলো, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
১১৬. এই বাঙ্গালির নরম-গরম দুইটি চরম রূপ আছে
এখন না হয় ঘাপটি মেরে মুখটি বুজে চুপ আছে
পিঠ দেয়ালে ঠেকলে দেখো চুপটি নেই
দেখবে তাদের শান্ত-নরম রূপটি নেই।
- আশরাফুল মান্নান
*উৎস : কেউ পাবে না নিস্তার : ২৫ এপ্রিল ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১১৭. শীলভদ্র-দীপঙ্করের কাল থেকে একাল পর্যন্ত বাঙালির রয়েছে জ্ঞানচর্চার ও শিল্প-সাহিত্য সৃষ্টির ঐতিহ্য। কিন্তু এই জ্ঞানগত ঐতিহ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক ঐতিহ্যের সংযোগ সকল কালেই ক্ষীণ। অতীতের ও বিদেশের সৃষ্টিধারা বলে অনুপ্রেরণা ও শিক্ষা নিয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্প-সাহিত্য চর্চায় বাংলাদেশকে একটি প্রগতিশীল ও সৃষ্টিশীল রাষ্ট্রে উন্নীত করতে হবে।
-আবুল কাসেম ফজলুল হক
*আবুল কাসেম ফজলুল হকের রচিত আটাশ দফার ভূমিকা। প্রকাশ করেছে স্বদেশ চিন্তা সংঘ।
১১৮. সবাই মরে যায়/ যে যার ঘরে যায়,
কেহবা আগে যায়/কেহবা পরে যায়।
- শামসুদ্দিন পেয়ারা
*উৎস : যে যেমন : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১১৯. বিএনপির টিকে যাওয়ার প্রধান শর্ত ছিল আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি বা সমান্তরাল আরেকটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা। এর একটি রাজনৈতিক উপযোগিতা ছিল। সেই উপযোগিতা এখনো বহাল আছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ থাকলে তার একটি বিকল্প বা প্রতিপক্ষ থাকবেই এবং চার দশক ধরে বিএনপি নিজেকে ওই অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
-মহিউদ্দিন আহমদ
*উৎস : প্রথম আলো, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭।
১২০. নেই যা চাই আমরা এইসব দোকানে
চলো ফিরে ঘরে, ভালোবাসা খুঁজে নেবো
আপন ভুবনে।
- আফাজ উদ্দিন রূপরাজ
*উৎস : ভালোবাসার দোকান : ৩০ অক্টোবর ১৭ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১২১. ১৯৭১ সালে মিজোরা পাকিস্তানী হায়েনাদের পক্ষাবলম্বন করেছিল।.. আক্রমণের সময় দেখা গেল, পাকি'দের সঙ্গে বিদ্রোহী মিজোরাও আছে। তারাও সংখ্যায় কয়েক'শ। এদিকে এক কোম্পানি পাকি কমান্ডো আগেই ছদ্মবেশে মিজোদের সঙ্গে মিশে ছিল। এসব কিছুই মুক্তিযোদ্ধাদের ধারণার বাইরে ছিল।
-ফারুক ই আজম, গেরিলা ১৯৭১ -এর বরাত দিয়ে
*উৎস : ২৭ এপ্রিল ২০১৭ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১২২. ১৯১৬ সালে আইনস্টাইনও এক যুগান্তকারী ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন.. মহাকাশে আলোকরশ্মি সূর্যের মতো বড় কোনো বস্তুও পাশ দিযে যাওয়ার সময় বাঁকা হযে যাবে। ১৯১৯ সালে পূর্ণ-সূর্যগ্রহণের সময় হাতে কলমে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। আইনস্টাইনের ভবিষ্যদ্বাণী প্রমাণ হতে সময় লেগেছিল তিন বছর এবং অপেক্ষা করতে হয়েছিল একটি পূর্ণ-সূর্যগ্রহণের।
-খুররম মমতাজ
*উৎস : একটি মথ, একটি অকির্ড ও ডারউইনের ডায়রি।
নতুন দিগন্ত : পৃষ্ঠা - ২২৬. জুলাই-সেপ্টেম্বর-২০০৯।
১২৩. ১৯৪৫ সালের ১ মে বার্লিনে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন নাৎসি নেতা ও হিটলারের প্রচারমন্ত্রী যোসেফ গোয়েবলস। এর আগে তারা নিজেদের ছয় সন্তানকে হত্যা করেন। ... জার্মানিতে ইহুদিদের বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিক আক্রমণ সূচিত হয়েছিল তাতে তার হাত ছিল এবং এর ফলেই সেখানে ব্যাপক ইহুদি হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে মাশুল দিতে হয়েছিল। তিনি কিছু নাটক এবং উপন্যাস লিখলেও প্রকাশকরা তা ছাপায়নি।
-উইকিপিডিয়া
*উৎস : জাহাঙ্গীর কবিরের ১ মে ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।আগে
১২৪. শ্রমিকের পাও, কৃষকের চোখ
আমার নায়ক আমার নায়ক।
-আসাদ জোবায়ের
*উৎস : ইচ্ছেনদীর ভেলা গ্রন্থ থেকে।
১২৫. বিপ্লবের সময় রাস্তায় নেমে যখন ছবি তুলি, মনে হয়েছে আমি নিজের মানুষের ছবি তুলছি। হ্যাঁ, এটা আমার বিপ্লব ছিল যতক্ষণ না মোল্লারা সেটা ছিনিয়ে নেয়।
-আব্বাস আত্তার, সদ্য-প্রয়াত-কিংবদন্তি, ইরানি আলোকচিত্রী
*উৎস : এস এম রশিদ, বণিকবার্তা : এপ্রিল ২৯, ২০১৮
১২৬. অপত্য স্নেহ আছে/আছে বিরহ প্রেমিক
সবকিছু ঠিকঠাক, নিয়ম মাফিক।
আমার না থাকা দেখো সযত্নে নিজেকে
রাখে তোমাদের পাশে।
- আলী রীয়াজ
*উৎস : দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত কবিতার বরাত দিয়ে ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর ফেসবুকে আলী রীয়াজের স্ট্যাটাস থেকে।
১২৭. ১৯৭১ সালে তো আমরা সরাসরিই জিতেছি, ভারত ছিল সহায়ক বাহিনী। এই যুদ্ধে আমাদের বাহিনী কয়েকটি যুদ্ধে ভারতকেও উদ্ধার করেছে বিপদ থেকে, সেকেন্ড বেঙ্গল না থাকলে ভারতীয় ১৮ রাজপুত মুকুন্দপুর থেকে ফিরতে পারত না। …আমরা সাহায্য না করলে ভারতীয় এম্ফিবিয়াস ট্যাংক মেঘনায় তলিয়ে যেত। হিলি, সোনামসজিদ, চৌগাছাসহ আরও অনেক জায়গায় মুক্তিবাহিনী যেভাবে পাকিস্তানিদের চেপে ধরেছিল, তার উদাহরণ তো যুদ্ধ বিদ্যার ইতিহাসে খুব বেশি নেই। আমাদের রাজনীতিবিদ, আমাদের বুদ্ধিজীবীরা যদি এসব দেখতে পেতেন তাহলে সেনাবাহিনী নিয়ে দু’কথা বলার আগে চিন্তা ভাবনা করতেন। সেনাবাহিনীকে অকাজে ব্যবহার না করে যথাকাজে ব্যবহার করার জন্যে পেশাদারি মনোভাব নিয়ে গড়ে উঠবার সুযোগ দিতেন।
-সাইদুল ইসলাম
*উৎস : আমাদের সামরিক শক্তি : ২৯ এপ্রিল ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।আগে
১২৮. আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের বড় একটি অংশ সামগ্রিকভাবে সকল নাগরিকের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তার বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে গোষ্ঠীর স্বার্থে কাজ করেছে, এখনো করছে। মূলত তাদের এমন মনোবৃত্তির কারণেই দেশে এত দিনেও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির ধারা সৃষ্টি হয়নি। উল্টো বিভাজন এবং প্রতিহিংসার রাজনীতিই এখানে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে।
-মেজর নাসির উদ্দিন
*উৎস : গণতন্ত্রের বিপন্ন ধারায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ।
১২৯.
ক. যদি থাকো বইয়ের পাড়ায়/বাঁধার পাহাড় সরে দাঁড়ায়/বই মানে তো মই!!
খ. পড়িলে বই,/আলোকিত হই/না পড়িলে বই,/ অন্ধকারে রই।আ
-আলম তালুকদার
*উৎস : আলো ভরা বই : আলম তালুকদার ।আগে
১৩০. ইদানিং দেশে-বিদেশে স্বাধীনতা বিরোধী, দেশদ্রোহী ও রাজাকারেরা নর্দমার কীটের মতো কিলবিল করছে; ওরা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু। ওদের ঘৃণাভরে প্রতিহত করা দরকার। এরা মানুষ নামের কলঙ্ক।
-তোফাজ্জল করিম
*উৎস : ২৪ এপ্রিল ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৩১. দারিদ্র দরিদ্র মানুষদের দ্বারা সৃষ্ট হয়নি, আমরা যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরী করেছি এটা তারই ফসল। দরিদ্র মানুষ হচ্ছে বনসাঁই গাছের মতো। আপনি বনের সবচেয়ে বড় গাছটার সবচেয়ে ভাল বীজটা নিলেন, কিন্তু আপনি যদি এটা ফুলের টবে বড় করতে যান তাহলে এর উচ্চতা হবে মাত্র এক মিটার। দোষ বীজের নয়। সমস্যা হচ্ছে পাত্রের আয়তনের। সমাজ দরিদ্র মানুষকে অন্য সবার মতো বেড়ে ওঠার ভিত্তিটা দেয় না। মূল সমস্যাটা এখানেই নিহিত।
- ড. মুহাম্মদ ইউনূস
*উৎস : The World of Three Zeros: The New Economics of Zero Poverty, Zero Unemployment and Zero Net Carbon Emissions.
১৩২. প্রাইমারী লেভেলে পণ্ডিতমশাই শিখিয়েছিলেন- 'ভয় আমাদের পরম শত্রু, ভয়কে জয় করতে শেখ'।
পণ্ডিতমশাই দেখে গেলেন না, এখন ভয়কে জয় করা দূরের কথা, ভয়হীন একটি মুহূর্তও কেউ কাটাতে পারি না!
-মঞ্জুরুল হক
*উৎস : ২৫ এপ্রিল ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৩৩. আগামী ভবিষ্যত যুবকদের জন্য। যুবকদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে পৃথিবীটা গোলাকার। সমগ্র বিশ্বকে তাদের নিজেদের গ্রহ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রেখে অন্যদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সম্মান দেখাতে হবে। নিজেদের ঐতিহ্য, বিবেচনা, ধারণার পার্থক্যকে গ্রহণ করেও একটি বিশ্ব সভ্যতাকে সৃষ্টি করতে হবে। …তথ্য প্রযুক্তি সমগ্র বিশ্বকে সীমান্তবিহীন করেছে, যেখানে কোনো জাতিই বিচ্ছিন্ন নয়। শেষ পর্যন্ত একটি বিশ্ব সভ্যতা হবে সকলেরই। একবিংশ শতাব্দীর যুবকদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে বিশ্ব শতাব্দীর সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেয়। এশিয়ার যুবকরা একবিংশ শতাব্দীতে কি ভূমিকা রাখবে তার ওপর নির্ভর করছে এশিয়ার ভবিষ্যত।
- মাহাথির মোহাম্মদ
*উৎস, এ নিউ ডিল ফর এশিয়া : মাহাথির মোহাম্মদ ।
১৩৪. গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে যখন ঢাকায় যাচ্ছি যুদ্ধ করতে, তখন গ্রামের ভিতর দিয়ে যাবার সময় মুক্তিবাহিনী এসেছে বলে সমস্ত গ্রামে খবর হয়ে গিয়েছে। সব বাড়ির মায়েরা বেরিয়ে এসেছেন নিজেদের সন্তানদের খোঁজ নিতে। .. আমরা আগাতে থাকি। বেশিক্ষণ থাকা ঠিক না। ভিতর থেকে মহিলারা আপত্তি তুললেন, নাস্তা না খেয়ে যেতে পারবে না। ভিতর থেকে কাঁঠাল, মুড়ি, খই, খাবার ব্যবস্থা হল। ..মায়েদের ভাবভঙ্গি এই যে, মা-বাবা সন্তানদের আগলে রাখতে চাইবেই আর আমরা সন্তানেরা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ব।
- জহিরুল ইসলাম
*উৎস : একাত্তরের গেরিলা : অনুপম প্রকাশনী। পৃষ্ঠা : ১১৭-১১৮।
১৩৫. ভাঁড় ছিল রামায়ণে, ছিল মহাভারতে
ভাঁড় আছে নাটকে বা কবিতার আড়তে
রাজসভা, রাজনীতি ভাঁড় ছাড়া হাসে না
..ক্ষমতার পদতলে ভাঁড়ে তেল মাখবেই
যুগে যুগে ভাঁড়দের জয়ধারা থাকবেই।
*উৎস : ভাঁড় : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৩৬. বাতাসে ভাসছে বিষ। রাজধানীবাসীর প্রাণভরে নিশ্বাস নেওয়ার কোনো সুযোগ আসলে নেই। কারণ নিশ্বাসের সঙ্গে বিষ ঢুকে যায়! বর্তমানে ঢাকার বাতাসে বিষই উড়ে বেড়াচ্ছে। এ বিষের উৎস হলো গাড়ি, আশপাশের শিল্পাঞ্চল, ইটভাটা ও নাগরিক বর্জ্য। .... নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বালু, সিমেন্ট ফেলে রাখা হচ্ছে রাস্তার পাশে। আবার নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও অনেক নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় ধুলাবালুর পরিমাণ বাড়ছে অনেক গুণ। বিশাল অঞ্চলজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলে দীর্ঘদিন ধরে এবং তা বিভিন্নভাবে চারদিকে ছড়িয়ে সৃষ্টি করছে প্রকট ধুলাদূষণ।
- ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান
*উৎস : নিশ্বাসে টানছেন বিষ!, প্রথম আলো ২৫ এপ্রিল ২০১৮।
১৩৭. ভালোবাসি তোমাকেই, ভাব দেখাই তোমাকে না বাসলে আমার কী এসে যায়। সিয়েন নদীর কাছে তোমার গল্প বলেছি। সে বলেছে, ফিরে যাও মধুমতির কাছে, শৈশবের জলকেলি কেউ কোনোদিন ভুলতে পারে না।
-রবিশঙ্কর মৈত্রী
*উৎস : কথাবুদ্ধ। ১৬।
১৩৮. আমরা সবাই শিবপুরের দিকে ফিরে যাচ্ছি। মজনু মৃধা আর আমজাদ রয়ে গেছে পাকবাহিনীর কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানার জন্য। তাছাড়া যুদ্ধে ওরা যদি কোনো অস্ত্র ও গোলাবারুদ ফেলে যায়, তাও সংগ্রহ করতে হবে।..ফজলুর বুকে পিঠে কাপড় দিয়ে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। কিন্তু রক্ত পড়া বন্ধ হয়নি। একবার একটু ক্ষীণ শব্দ বের হলো মুখ দিয়ে। কিছু বোঝা গেল না। পথেই মারা গেল ফজলু। শিবপুরের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ।
-হায়দার আনোয়ার খান জুনো
*উৎস : একাত্তরের রণাঙ্গন : শিবপুর, পৃষ্ঠা ৭২।
১৩৯. শীতের ভালোবাসা এক
সূর্যের কাছে প্রার্থনা ।
সারা জীবন তোমাতে আমাতে
এ ভাবে যে পথ গোনা ।।
-সুচিন্ত্য কুমার সাহা
*উৎস : শায়ের # পাঁচ : ছয় ঋতুর ভালোবাসার শায়ের ।
১৪০ . যে কাজ ফাঁকি দেয়, সে নিজেকে ফাঁকি দেয়। যাঁর কাজের জোর কম, তার চাপার জোর বেশি। যে অন্যের ক্ষতির জন্য রাস্তা খোড়ে, সেই ফাঁদে সে নিজেই পড়ে। এটাই প্রকৃতির বিচার।
-মোস্তফা কামাল
*উৎস : ২৪ এপ্রিল ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৪১. রুশ বিপ্লবের প্রতি আন্তরিক সমর্থন থাকলেও বিপ্লব-পরবর্তী সরকারের সব কর্মকাণ্ড নির্দ্বিধায় মেনে নেননি গোর্কি। পত্রিকার কলামে বলশেভিকদের নানান বিষয়ে দ্বিমত জানিয়ে লিখেছেন কলাম। তাঁর সেই সব আক্রমণাত্মক নিবন্ধ পড়ে জোসেফ স্তালিনের মন্তব্য ছিল, যদি গোর্কি বিপ্লবের পথ পরিহার করেন, তবে তিনি নিক্ষিপ্ত হবেন বিস্মৃতির গর্ভে। কিন্তু ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বরাবরই অটুট ছিল তাঁর। লেনিনের কাছে একাধিক ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গোর্কি একের পর এক চিঠিও লিখেছিলেন তখন। … লেনিন যে তাঁর পত্রাঘাতকে উপেক্ষা করতেন, তা নয়। যতখানি সম্ভব ব্যবস্থা নিতেন।
-হায়াৎ মামুদ
*উৎস : গোর্কিকে ফিরে দেখা : প্রথম আলো, ২৩ মার্চ ২০১৮ ।
১৪২ . চীনপন্থী একমাত্র গণসংগঠন মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় অবদান রাখে। ভারতে গিয়েই মওলানা ভাসানী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি সব রকমের সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রকাশ্য আহ্বান জানান। এসব চিঠিতে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবল বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
-জগলুল আলম
*উৎস : : বাংলাদেশে বামপন্থী রাজনীতির গতিধারা : পৃষ্ঠা-৮৮।
১৪৩. মৃত্যু আছে সুখ-দুঃখের; রীতি এবং নীতির, যন্ত্রণারও মৃত্যু আছে; নেইকো শুধু স্মৃতির।
-সেলিমা রহমান
*উৎস : ২৭ এপ্রিল ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৪৪. We got highly scholar ,honest and moral teachers like Atjquzzaman khan,Ahmed sharif,Q a i m Nuruddin, Nurul hossin, S h harun, Shakhwat ali khan, S huda, Wakil ahmed, S m alzm, Mustak elahi in Journalism Deptt. They loved us like Aristotle, Plato and developed new technique.
I asked a first class M A pass student a certain question she answered that it was not taught by teacher, Alas!
-Anupam Hayat
*উৎস : ১ অক্টোবর ২০১৭ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৪৫. দোষারোপের দর্শনে একটা সুবিধা আছে। নিজের দুর্দশার সমস্ত দায় কারও উপর চাপিয়ে দিয়ে বেঁচে থাকার অনেক সুবিধা। সমস্ত দায় প্রতিক্রিয়াশীলদের, সমস্ত দায় পুঁজিবাদীদের, সমস্ত দায় সন্ত্রাসবাদীদের, সমস্ত দায় মুসলমান, আইএসদের, সমস্ত দায় আমেরিকার । এই রকম বিশ্বাসের সুবিধা এই যে আর ভাবতে হয় না, খাটতে হয় না, দুর্দশার কারণ অনুসন্ধানের জন্য পরিশ্রম করতে হয় না, নিজে উঠে দাঁড়িয়ে দুর্দশা থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা চালাতে হয় না। কেবলমাত্র আমার দুর্দশার জন্য যিনি দায়ী তাকে বা তাদের ধ্বংস করে দিতে পারলেই সব সুরাহা হয়ে যাবে—এই মিথ্যা বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে জীবন অতিবাহিত করে দেয়া যায়।
-রবি চক্রবর্তী ও কলিম খান
*উৎস : বাংলাভাষা, প্রাচ্যের সম্পদ ও রবীন্দ্রনাথ – প্রকাশক ভাষাবিন্যাস, কলকাতা।
১৪৬. যাবো আমিও আকস্মিক ।
তবু কেমন আৎকে ওঠে জীবন !
মন খারাপের হাওয়া গায় গান !!
-তানভীর তারেক
*উৎস : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৪৭. ১৯৭৬ এর জানুয়ারি মাসের একদিন তাকে দেখি হুইল-চেয়ারে করে গুলিস্তানের জিপিওর সামনে বসে আছে। হুইল-চেয়ারের পিছনে লেখা “পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা”। আমি তাকে দেখে বললাম, “কিরে জহির, এখানে কি?” জহির আমাকে দেখে কেমন যেন বিব্রত হয়ে গেলো। শুধু বললো, “এই এমনি।” আমি আর কিছু না বলে জিপওতে ঢুকে গেলাম। কাজ সেরে বাইরে এসে দূর থেকে দেখি জহির হাত পেতে হুইল চেয়ারে বসে আছে। দু’-এক জন মানুষ টাকা পয়সা দিচ্ছে তার হাতে। দৃশ্যটা আমার কাছে খুব কষ্টের ছিলো, তাই চোরের মত ওর পিছন দিয়ে সরে আসলাম। দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধা জহির দেশের জন্য যুদ্ধ করে আজ ভিখিরি।
- আশিকুর রহমান
*উৎস : নেহালকে লেখা চিঠি : বুড়ো।
১৪৮. আমি অনেকগুলো মেঘের স্তুপ, এক আকাশ ভেবে বিচার করো না,
আমি শত-সহস্র রঙের আঁচড়, শুধু রংধনুতেই হিসাব খোঁজো না।
-সবুজ অরণ্য
*উৎস : ৪ এপ্রিল ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৪৯ . শেখ মুজিবের সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ হয়েছিল হাজী দানেশের মাধ্যমে। হাজী দানেশ তখন বাকশালে যোগ দিয়েছেন। ১৯৭৫ সালের আগস্টের ১৩ তারিখে তাঁকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হলো। এর প্রথম উদ্দেশ্য ছিল শেখ মুজিবের সঙ্গে আমার যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া। হাজী দানেশ এসে অনেক বোঝালেন আমাকে। বললেন, শেখ মুজিব ফারাক্কার পানি সম্পর্কে একটা বোল্ডস্টেপ নিতে চাইছেন, এজন্য আমাদের সহায়তা তাঁর প্রয়োজন। হাজী দানেশকে আমি বললাম, ‘আপনি কমিউনিস্ট, আপনি যদি কনভিন্সড হয়ে থাকেন তাহলে ঠিক আছে, আমরা তাঁকে ব্ল্যাংক চেক দিতে রাজি আছি। ঠিক হলো, আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহের যে-কোনো একদিন আমরা বসব। কিন্তু তার আগেই শেখ মুজিব নিহত হন।
-মোহাম্মদ তোয়াহা
*উৎস : পাক্ষিক তারকালোক ১৬-৩১ : ডিসেম্বর - ১৯৮৭।
১৫০. মুক্তিযুদ্ধ যখন আমরা করতে যাই তখন কিছু পাবার জন্য যাইনি। গিয়েছিলাম মানুষকে শোষণ মুক্ত করার জন্য।
-শিল্পী হাশেম খান
*উৎস : ৩০ মার্চ ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমীতে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেন।
১৫১. চট্টগ্রামের উকিল নুরসফা তালুকদার ছিলেন পাকিস্তানী দালাল ও শান্তি কমিটির শীর্ষ নেতা ফকা চৌধুরীর প্রথম খলিফা। তার উত্তরসূরি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। মন্ত্রীও ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল তাই গড়াগড়ি খায় জামাতি ও তেতুলদের পায়..
- জাফর ওয়াজেদ
*উৎস ১৯ মে ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৫২. মরুভূমির দেশে সূর্য ভিলেন, চন্দ্র নায়ক,.. বরফের দেশে সূর্য মিত্র। একেই বলে ভূগোল অনুযায়ী ভগবান।
- মোশাররফ হোসেন মুসা
*উৎস : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৫৩. এরমধ্যে কায়েম করা হয়েছে ‘ভাবমূর্তির পূজা’ ও ‘ব্যক্তিপূজা’ ইত্যাদি।
এসবের দ্বারা প্রগতি ব্যাহত হয়, মানবতা অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়।
-আবুল কাসেম ফজলুল হক
*আবুল কাসেম ফজলুল হকের রচিত আটাশ দফার ভূমিকা। প্রকাশ করেছে স্বদেশ চিন্তা সংঘ।
১৫৪. মানুষকে এর বাচ্চা, তার বাচ্চা বলে গালি দেওয়ার চেয়ে মানুষের বাচ্চা বলাটাই যথার্থ। আর কোনো প্রাণী মানুষের তুলনায় অন্য প্রাণীর জন্য যৎকিঞ্চিৎও ক্ষতির কারণ নয়। একমাত্র মানুষই অন্য প্রাণীসহ নিজ প্রজাতির বিনষ্টির প্রধানতম কারণ। আবার প্রাণী এবং উদ্ভিদ ভিন্ন মানুষের অস্তিত্বও পুরোপুরি বিপন্ন।
- জাহাঙ্গীর কবীর
*উৎস : ৫ অক্টোবর ২০১৭ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৫৫. ক্ষমতাবান আর ক্ষমতাহীনের মধ্যকার লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে করে নেয়াটাকে নিরপেক্ষতা বলে না, ক্ষমতাবানের পক্ষ নেয়া বলে।
- পাওলো ফ্রেইয়ার
*উৎস : পাওলো ফ্রেইয়ার (১৯২১-৯৭), ব্রাজিলীয় শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক। ইরফানুর রহমান রাফিন-এর ১ জুন ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৫৬. স্বাধীনতাযুদ্ধের পর আমাদের বাবাকে বিশেষ মর্যাদা ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়৷ তিনি সম্মানের
সঙ্গে তাঁর দেশের প্রতি দায়িত্ব পালন করেছেন৷ তিনি কখনো অপরাধ করেননি৷
তাঁকে হত্যার বিষয়টি সরকারের আওতার মধ্যেই ঘটেছিল৷ জেনারেল
মঞ্জুরকে কোনো অজানা কবরে শায়িত করা ঠিক নয়৷ তাঁর ও তাঁর পরিবারের
প্রতি সম্মান দেখানো উচিত৷ এটা শিষ্টাচারের বিষয়৷
- রুবানা মঞ্জুর, মেজর জেনারেল মঞ্জুরের কন্যা
*উৎস : ‘জাস্টিস ফর মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর’ নামক ফেইসবুক গ্ৰুপের প্রচারপত্র থেকে।
১৫৭. দিনে দিনে স্বপ্ন আমার
সব হয়েছে নিলাম
আমি একজন স্বপ্ন-পাগল,
স্বপ্ন দেখেছিলাম।
- মানিক রহমান
*উৎস : ৩০ মে ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৫৮. দিনদুপুরে রাত নামলো
বন্ধ নাওয়া খাওয়া
কারণটা এর আর কিছু না
বদলেছে আবহাওয়া।
-হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী
*উৎস : আবহাওয়া, সাপ্তাহিক 'এই সময়'-এর ঈদ সংখ্যা-২০১৮।
১৫৯. বোশেখের পহেলাতে
একটাই ডাক
সকলেই মিলেমিশে
শান্তিতে থাক।
- কাজী আসাদ
*উৎস : ১৩ এপ্রিল ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৬০. চিকন জালে পড়ছে ধরা
ট্যাংরা পুটির ছাও
আইনগুণে কাতলা বোয়াল
রেহাই পেয়ে যাও।
- লালচানের ছড়া
*উৎস : ২৫ মে ২০১৮ সালে প্রকাশিত শাহ কামালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
·
১৬১. কথার ভিতরে কথা, তারও ভিতরে কথা
তারও ভিতরে থেকে, বেড়িয়ে এলো গান!
গানের ভিতরে গান, তারও ভিতরে গান
তারও ভিতরে থেকে, বেড়িয়ে এলো প্রাণ!
- অশোক কর
*উৎস : ১০ মে ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৬২. কিছু পালক ভাসছে উড়ো হাওয়ায়
মেঘের মতো আমিওতো উড়ি
উড়তে উড়তে ঝরবো তোমার দাওয়ায়।
- স্বপ্ন কুমার
*উৎস : ননসেন্স রাইম, ১০ মে ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৬৩. সময় হলে সবাই যাবে চলে
বাপ গিয়েছে আমি যাবো
যাবে আমার ছেলে।
- মহিতুল ইসলাম হিরু
*উৎস : ১৪ মে ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৬৪. ছেলেবেলা কতখেলা ফুলপাখি ঘিরে/মিশে আছে ডাকনাম শিশুদের ভীড়ে,
সেই নাম শুনে মন আতিপাতি করে/সাথীদের খুঁজে ফেরে কাশবন-চরে।
- আশরাফুল মান্নান
*উৎস : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৬৫. আঁচল তলে ভোঁদড় রেখে, গন্ধ খোঁজো সারা গাঁয়,
জায়গা মতো বখরা গেলে, কোন ব্যাটা আর প্রমাণ পায়!
মিথ্যে-মুখোশ মহারাজা, প্রতিশ্রুতি বাত কি বাত!
সাচ্ ঝুট সবই আলাখ্ হবে, ফুরোচ্ছে দিন আসছে রাত!
-আনিসুর রহমান অপু
*উৎস : রুবাইয়াত-ই রূপনগর।
১৬৬. মা যে মোদের সবুজ ভূমি
একটি নতুন ভোর
মা যে মোদের জীবন চলার
দেয় খুলে দেয় দোর।
- মঞ্জুর রশিদ
*উৎস : ২৪ এপ্রিল ২০১৮ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৬৭. বেঁচে থাকো, বেঁচে থাকো জন্মভূমি,/বেঁচে থাকো জননীর অসহায় আকুতিতে,/বেঁচে থাকো সন্তানের আর্তনাদে,/বাঁচো অনিশ্চিত সময়ের গভীর অন্ধকারে /রিমান্ডের কালো গহ্বরে বাঁচো,/তারুণ্যের প্রতিবাদে বাঁচো,/ভয় হতে অভয়ের পথে/এক নরক থেকে অন্য নরক পেরিয়ে আসা/তরুণীর দৃপ্ত সাহসে বাঁচো,/অনাহারে অর্ধাহারে যে পিতা
সন্তানের মুখ চেয়ে বুনেছে ভবিষ্যৎ/তাঁর স্বপ্নে বাঁচো;/মানবিক মর্যাদার প্রতিশ্রুতি/তোমাকে দেখাক পথ/বেঁচে থাকো বাংলাদেশ/ভোরের অপেক্ষায় বাঁচো।
- আলী রীয়াজ
*উৎস : আলী রীয়াজের সদ্য-লেখা ‘বাঁচো’ কবিতা থেকে।
১৬৮. কলকাতায় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে আসা আওয়ামী লীগ নেতাদের মন্তব্য, বক্তব্য ও আর্তচিৎকার শুনে হতচকিত হয়ে গেলাম। তাদের অনেকের মন্তব্য ছিল, ‘ছাত্রদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা ওড়ানো ও পাকিস্তানি পতাকা পোড়ানোর কারণেই আজকে আমাদের কোলকাতায় আসতে হলো।’
- আ ফ ম মাহবুবুল হক
*উৎস : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বামপন্থীদের ভূমিকা, সম্পাদনা মেসবাহ কামাল, গণপ্রকাশনা, পৃষ্ঠা : ২৬১।
১৬৯. সব কিছুতেই ভেজাল এখন
ভেজাল সকল জিনিসে
আমি ভেজাল, তুমি ভেজাল
ভেজাল আপনি, তিনি, সে।
- আতিক হেলাল
*উৎস : ১২ জুন ২০১৬ সালের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে। ·
১৭০. শোনো বি এস এফ শোনো হে ভারত
কাঁটাতারে গুনগুন
একটা দোয়েল বসেছে যেখানে
ফেলানি হয়েছে খুন।
- কবীর সুমন
*উৎস: কবীর সুমনের গান থেকে থেকে।
১৭১. আততায়ী সময়ের অনন্ত ক্ষুধা... কোন মৃতদেহই দাঁড়ি বা ফুলস্টপ নয় আজ আর। ...যখন সংবাদ মূলত 'লাশ'।...এবং কিছু লোক ‘ফুটবল’ খেলে যাচ্ছে...বহুদিন...শীতে-বর্ষায়-গ্রীষ্মে।
-আলতাফ পারভেজ
*উৎস : ১২ মে ২০১৮ সালের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৭২. দেবেন শিকদার ও আবুল বাশার শেষ পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করে আত্রাইয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের দু’টি পৃথক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সংগঠিত করেন ও সেখান থেকে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যান। ভারতের কয়েকটি বামপন্থী সংগঠন এ কাজে তাদের সহযোগিতা করে। এরা বাংলাদেশেও একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে সেখান থেকে ১৫ হাজার গেরিলাকে প্রশিক্ষণ দেন বলে দাবি করা হয়। পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির গেরিলারা আত্রাই-এর লড়াইয়ে বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। সেখানকার ওহিদুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের আগেই কয়েকটি থানা লুট করে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করেন এবং সেগুলো ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বন্টন করে এক কৃষক যোদ্ধাবাহিনী গড়ে তোলেন।
- জগলুল আলম
*উৎস : : বাংলাদেশে বামপন্থী রাজনীতির গতিধারা। পৃষ্ঠা-৮৮।
১৭৩. পলিটিশিয়ানস হ্যাভ ফেইলড। আই ডু নট হ্যাভ ডিসরেসপেক্ট। তারা যেভাবে আগাইতেছিলেন - দেশের মানুষের দুইদিন পরে পরে পাছার মধ্যে লাথি দিয়া, সরি মহিউদ্দিন ভাই, আমি এ রকম দু-একটা শব্দ অতি ঘৃণার সঙ্গে উচ্চারণ করছি। দেশের মানুষের কী হলো না হলো এটা নয়, হিটলারের মতো কমান্ড পোস্ট বানাইয়া ওনারা কমান্ড দিতে থাকলেন আর মানুষ মরতে থাকল। ৬৮ জন মারা গেছে। হু রিমেম্বারস দেম? হুইচ পলিটিশিয়ান ইজ রিমেম্বারিং দেম?
- ব্রিগেডিয়ার বারী
উৎস: লেখক মহিউদ্দিন আহমদকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। এটি বিভিন্ন পত্রিকায় পুনর্মুদ্রিত হয়।
১৭৪. *. ভারতীয় অর্থনীতি বর্তমানে এক নৈরাজ্যকর অবস্থায় পড়েছে; সরকারের অর্থনৈতিক পদক্ষেপগুলো লাখ লাখ বেকার তৈরি করেছে; *. বিগত দশকগুলোর মধ্যে ভারতে বেসরকারি বিনিয়োগ বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে; প্রবৃদ্ধিও ক্রমে নীচুমুখী; *. দেশের অন্তত ৪০টি বড় কোম্পানি দেউলিয়া হওয়ার পথে আছে; *. ভারতীয় অর্থনীতির একটি কষ্টকর পতন আসন্ন।
-ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
উৎস: আই নিড টু স্পিক-আপ নাউ : গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
১৭৫. সত্য কথা কইতে বাজান
বুকে লাগে ডর
একটাইতো মাথা আমার
চিকন ঘাড়ের ’পর।
- সাইফুল্লাহ সুমন
উৎস : ৭ মে ২০১৮ সালের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে। ·
১৭৬. বিজ্ঞানকে বিশ্বাসে পরিণত করে প্রযুক্তির ঘাড়ে পা রেখে পারমাণবিক বিদ্যুৎকে সস্তা আর নিরাপদ হিসেবে প্রমাণ করতে চাওয়া নীতিনির্ধারকেরা বারবার ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছেন । মিথ্যা আশ্বাস আর ভ্রান্ত প্রচারণায় হিসাবের খাতায় ক্ষতির পরিমাণ কেবলই বেড়েছে। কাজেই চেরনোবিলসহ প্রতিটি পারমাণবিক দুর্ঘটনা সবার জন্য সতর্কবার্তা। বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের সে বার্তা পাঠ করা খুব জরুরি।
-মওদুদ রহমান, প্রকৌশলী-গবেষক
উৎস : প্রথম আলো, ২৬ এপ্রিল ২০১৮।
১৭৭. মু্ক্তিযুদ্ধের একটি বড় কারণ ছিল সাম্য প্রতিষ্ঠা করা । মুক্তিযোদ্ধারা যদি বলতেন দেশ স্বাধীন করে, দেশটা আমরা নিজেরা ভাগ বাটোয়ারা করে নেব, জনতা ভাবতো, আমরা পাকিস্তানি বঞ্চনা থেকে আরেক বঞ্চনায় পড়তে যাচ্ছি। যুদ্ধের পর মুক্তিযেদ্ধাদের ত্যাগের কথা বিবেচনা করে, তাঁদের সম্মানের কথা বিবেচনা করে কোটা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। স্বধীনতার ৫০ বছর পরও সেই প্রথা চালু রাখা মানে রাষ্ট্রীয় ভাবে বৈষম্য চালু রাখা। সেই ব্যবস্থা চালু রাখা মানে মুক্তিযোদ্ধাদের যোগ্যতার অবমুল্যায়ন করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি কাজ করা। একটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার এই কাজটি কি ভাবে করতে পারে !
- সাইদুল ইসলাম
উৎস : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও কোটা, ১০ জুলাই ২০১৮ সালের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে। ·
১৭৮. বিশ্বাস ব্যাপারটা বড় অদ্ভুত। মানুষ জীবনে যা কিছু পায় বিশ্বাস করেই পায়। আবার যা কিছু হারায়, বিশ্বাসের কারণেই হারায়।
- মোহাম্মদ এমদাদুল হক
উৎস : ৭ মে ২০১৮ সালের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে। ·
১৭৯. বিজ্ঞানী আইনেস্টাইন নাকি একবার বলেছিলেন মহাবিশ্বের সীমা পরিসীমা সম্পর্কীয় বিষয়ে আমার যতকিঞ্চিত ধারণা থাকলেও মানুষের Stupidity-এর সীমা পরিসীমা বিষয়ে সত্যি আমার কোন ধারণা নেই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের এইসব গুণীজনের সীমাহীন Stupidity নিয়ে তিনি এত আগে কিভাবে এই মন্তব্য করলেন বোঝা মুশকিল।
- সাইফুল হক
উৎস : ১০ জুলাই ২০১৮ সালের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৮০. আগুন লাগাতে সারা পাড়া জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে গেল। কেবল একটি মাত্র দোকান রক্ষা পেয়েছিল । দোকানটির মাথার উপর সাইনবোর্ডে লেখা ছিল-- ‘এখানে বাড়ি বানানোর সকল সরঞ্জাম পাওয়া যায়।’
-সাদাত হাসান মান্টো
উৎস : সাদাত হাসান মান্টোর গল্প থেকে কবি মুহম্মদ আব্দুল বাতেনের উদ্ধৃতি।
১৮১ . আমি তো দেহাতি লোক
সর্বক্ষণ ভয়ে থাকি। এমন তৌফিক নেই
অক্ষমতা ঢাকি। বুলিতে মাটির গন্ধ, লেবাসে
মিসকিন, ভাঙাচোরা মানুষের সঙ্গে কাটে দিন।
- আহমদ ছফা
উৎস: ইরফানুর রহমান রাফিনের ফেইসবুক প্রোফাইল থেকে সংগ্রহ।
তাজউদ্দীন আহমদের জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি - ১
ভুট্টো এসেছেন ঢাকায়।... আমরা ক’জন বাঙালি সাংবাদিক তার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি পেয়েছি। মুজিব-ইয়াহিয়া আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বেশি কিছু বলতে চাইলেন না। দু’জন সহকর্মীর সঙ্গে তিনি উত্তেজিত কণ্ঠে আলাপ করছিলেন। একসময় আমাদের উপস্থিতি ভুলে গিয়ে তিনি উর্দুতে বলে উঠলেন ‘আলোচনা বৈঠকে মুজিবকে আমি ভয় পাই না। ইমোশনাল অ্যাপ্রোচে মুজিবকে কাবু করা যায় কিন্তু তার পেছনে ফাইল বগলে চুপচাপ যে নটোরিয়াস লোকটি বসে থাকে তাকে কাবু করা শক্ত। দিস তাজউদ্দীন, আই টেল ইউ, হি উইল বি ইয়োর মেন প্রবলেম।
- আবদুল গাফফার চৌধুরী
উৎস : একজন বিশ্বস্ত নেতার স্মৃতিকথা, যায়যায়দিন, ১১ জুন ১৯৮৬।
তাজউদ্দীন আহমদের জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি - ২
আওয়ামী লীগে তাজউদ্দীন ছিলেন ইনকমপেয়ারেবল সুপিরিয়র। তাই আমাদের সঙ্গে তাঁর একটা যোগাযোগের কথা শেখ মুজিব জেনেও কিছু বলতেন না। তাজউদ্দীনের বিরল গুণ ছিল, যা তিনি ভাল মনে করতেন, তা-ই করতেন। অসহযোগ আন্দোলনের সময়ও, তিনি যে স্বাধীনতার পক্ষে এবং এ সম্পর্কে কারো সাথে আপোসের বিপক্ষে সেটা আমাদের কাছে প্রমাণের জন্য একটা অদ্ভুত পন্থা বেছে নিয়েছিলেন। মার্কিন ও ইউকে-র রাষ্ট্রদূতসহ অন্যান্য বিদেশীর সঙ্গে তিনি যখন কথা বলতেন, পর্দার আড়ালে তখন আমাকে বসিয়ে রাখতেন কথা শোনার জন্য। তখন তাজউদ্দীনের প্রতীতি ছিল যে, আওয়ামী লীগের একটা অংশ আপোসের চেষ্টা করছে।
- মোহাম্মদ তোয়াহা
উৎস : পাক্ষিক তারকালোক ১৬-৩১ ডিসেম্বর ১৯৮৭।
তাজউদ্দীন আহমদের জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি - ৩
একদিকে আব্বুকে যেমন প্রতিহত করতে হয়েছিল আন্তর্জাতিক চক্রান্ত তেমনি যুবনেতাদের অনাস্থা ষড়যন্ত্র এবং আওয়ামী লীগের একাংশের অন্তর্কলহ ও কোন্দল। বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে যুবনেতারা স্বাধীন বাংলাদেশ তথা মুজিবনগর সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রদর্শন করে। তারা বিপ্লবী কাউন্সিল গঠনের পক্ষে জোর দেয়। আব্বু বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন জনের মতামত গ্রহণ করেন। এমনকি যোদ্ধাদেরও মতামত নেন। আলোচনার মাধ্যমে কোন্দলকারী ও অনাস্থা প্রদর্শনকারী দলটি ব্যতীত অধিকাংশ সকলের কাছেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে আইনগত সরকার প্রতিষ্ঠা ব্যতীত ভারত সরকারের কাছ থেকে অস্ত্র গ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা পরিচিত হবে সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে।
- শারমিন আহমদ
উৎস : তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা, শারমিন আহমদ, ঐতিহ্য প্রকাশনী - পৃষ্ঠা ১১৬ ।
তাজউদ্দীন আহমদের জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি - ৪
In early March, Tajuddin Ahmad met secretly with Deputy High Commissioner K.C. Sen Gupta, on Mujib's instructions, to explore whether India would provide political asylum and other assistance in the event of a liberation war. After consulting Delhi, Sen Gupta gave a response that was insufficiently specific to satisfy Sheikh Mujib. In mid-March, the latter repeated his appeal for assistance at this critical hour for his country....
-চন্দ্রশেখর দাসগুপ্ত, ভারতের পেশাদার কূটনীতিবিদ
উৎস : ‘দ্য হিন্দু’ , ১৭ ডিসেম্বর, ২০১১ ।
১৮২. হিন্দু-মুসলমান মিলিয়া বাঙালী জাতি গড়িয়া তুলিতে বহু অন্তরায় আছে। বাঙালী হিন্দু বাঙালী মুসলমান ব্যতীত চলিতে পারিবে না। বাঙালী মুসলমান বাঙালী হিন্দু ব্যতীত চলিতে পারিবে না। চিরকাল কি এভাবেই যাইবে? জগতের ইতিহাস পৃষ্ঠে কি হিন্দু-মুসলমান মিলিত বাঙালী জাতি, ফরাসী, ইংরাজ, ইতালিয়ান, জর্মন, জাপানী প্রমুখ জাতির ন্যায় নাম রাখিতে পারিবে না? আশা কানে কানে গুঞ্জন করিয়া বলে পারিবে।
-ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
উৎস : মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ অনেক বেশি বাঙালি - মুর্তজা বশীর, প্রথম আলো, ১৩ জুলাই ২০১৮।
১৮৩. আমার বুঝতে অনেক সময় লেগে গেল/যে এদের প্রত্যেকের মাথার ওপর/এখন অন্য কারো মাথা,/নিজেদের মাথা ওরা বেচে দিয়েছে/ভিন্ন ভিন্ন সঙ্কটকালে।
- কাজী জহিরুল ইসলাম
উৎস : অচেনা মানুষ, তিস্তা নিউজ - ২১ জুলাই ২০১৮
১৮৪. দমকা বাতাস উড়াইয়া নেয়
তবু বৃষ্টি তোমায় লাগে ভালো
ভাঙ্গা ছাতা নিয়ে দাঁড়ায়ে থাকি
মাঝ রাস্তায় একা, এলোমেলো।
- মনিজা রহমান
উৎস : ভুলে যাওয়া কোন ভুল না : ১৯ জুলাই ২০১৮ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৮৫. মানুষটি তাঁর জাদু কলমে একই মানের লেখা দিয়ে এত বছর ধরে বাঙালীকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিলেন, তিনি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় তো দূরের কথা একটি দিনের জন্যও কোন ইস্কুলে পড়েন নি। তিনি কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হননি। না হলেও বাংলা সাহিত্যের যে খুব একটা কিছু ক্ষতি হয়েছে এমন মনে করার কারণ নেই। পড়েছেন তিনি জীবনের বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে কৌতূহলী চোখ মেলে দেখেছেন। কান পেতে শুনেছেন। উপাদান সংগ্রহ করেছেন। মনে মনে ভেবেছেন। আর সেইসব ভাবনাগুলোর রূপ দিয়েছেন তাঁর গল্প-উপন্যাসে। আর সেইসব গল্প উপন্যাস সমৃদ্ধ করেছে বাংলা সাহিত্যের ভান্ডারটিকে।
-সুজয় কর্মকার, আশাপূর্ণা দেবী সম্পর্কে
উৎস : আশাপূর্ণা দেবী: যে পারে সে আপনি পারে.....
১৮৬. আমি জনগণের প্রধানমন্ত্রী, পরিবারের নয় ।
- মাহাথির মোহাম্মদ
উৎস : মাহাথির মোহাম্মদের আত্মজীবনী ‘এ ডক্টর ইন দ্য হাউস’ থেকে।
১৮৭. বন্ধু মানে লেখা স্বত্ব পায় না
বন্ধু মানে একশত ভাগ বায়না
বন্ধু মানে সংজ্ঞা দেয়া যায় না
বন্ধু মানে আমার মনের আয়না।
- আফজালুল বাসার
উৎস : ১৩ জুলাই ২০১৮ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৮৮. তৃতীয় বিশ্বের ট্যাগ লাগিয়েছে সাম্রাজ্যবাদী ও লুন্ঠনকারী সেইসব দেশ, যারা এখন নিজেদের প্রথম বিশ্বের মালিক মনে করে। ষোড়শ শতক পর্যন্ত এই তৃতীয় বিশ্বই ছিল প্রথম বিশ্ব, জলদাস্যুতা, লুন্ঠন ও সাম্রাজ্য বিস্তার এবং ভয়াবহ হত্যা ও নির্যাতনের মাধ্যমে আহরিত বৈভব থেকে তারা অগ্রসর এই অবস্থানে পৌঁছেছে।
- মুহম্মদ আবদুল বাতেন
উৎস : ১৩ জুলাই ২০১৮ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৮৯. এই রূপতত্ত্ব তাঁর কাছে দুর্বোধ্য। আজ পঁচিশ বছর ধরে যে ঝানু সার্জন ময়নাঘরে মানুষের বুক চিরে দেখে এসেছে, তাকে আর বোঝাতে হবে না, কা’কে সোনার দেহ বলে! মানুষের অন্তরঙ্গ রূপ-এর পরিচয় কৈলাস ডাক্তারের মত আর কে জানে! কিন্তু তাঁর এই ভিন জগতের সুন্দরম্, তাকে কদর দেবার মত দ্বিতীয় মানুষ কৈ? দুঃখ এইটুকু।
- সুবোধ ঘোষ
উৎস : ভাল লাগা গল্প, সুন্দরম্।
১৯০. ফসলে ও ফুলে ভরিয়ে দু’কূল যে নদী বয়ে যায়
মজুরের ঘাম সেই মাটিতেই প্রজন্ম খুঁজে পায়
প্রতিরোধের পতাকা হতে মানুষই করবে জয়
খণ্ডখণ্ড সবুজের মাঝেই পাবে তারা আশ্রয়
নতুন করেই লিখিত হবে পৃথিবীর জন্মসন
অভিভূত হয়ে চাঁদও দেখবে বিপ্লবের মায়াকানন।
-ফারহানা ইলিয়াস তুলি
উৎস : কবিতা ‘পৃথিবীর জন্মসন’, ৩ জুলাই ২০১৮ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৯১. মোহের বশে ঘুরছো কারণ
রাখছে মুলো ঝুলিয়ে
লাভ হবে না ফুটো বেলুন
বাতাস দিয়ে ফুলিয়ে ।
- ইকবাল বাবুল
উৎস : ফুটো বেলুন, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৯২. ঘুষখোর বড় চোর
ডাকাতেরা ফেল,
ঘুষ খেতে লাগেনাকো
তেলামী ও তেল !
ঘুষ খায় আমলায়
মন্ত্রীও লাইনে,
ঘুষ দিয়ে মাস চলে
লাগেনাকো মাইনে।
- আহমেদ বশির
উৎস : ঘুষখোর / ছড়া, ১৮ জানুয়ারী ২০১৮ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৯৩. ফিলিস্তিনিদের স্বপ্নটিকে আজও মারতে পারেনি পৃথিবীর তাবৎ পরাশক্তি মিলেও। আজও উদ্বাস্তু শিবিরে জন্ম নেওয়া ফিলিস্তিনি শিশু স্বপ্ন দেখে নিজ বাসভূমে ফেরার।
-ইসরাত জাহান
১৯৪. একদা রাজাকার ছিলেন
আবার তিনিই মন্ত্রী হলেন
চোরাই মালের ব্যবসা দিলেন
এখন দেশের কথা বলেন
খবর কি আর উড়ো? আস্তে বলো।
শুনলে তোমার হাড় করবেন গুড়ো।
-ইমরান জহির
উৎস : উড়ো খবর, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৯৫. জমায় টাকা সুইস ব্যাংকে
কমায় টাকা দেশে,
বলে কথা নাক উঁচিয়ে
চলে সাধুর বেশে।….
সবার মাঝে মিশে আছে
ধরাছোঁয়ার বাইরে,
দেশ মাতাকে বলি দিতেও
তাদের দ্বিধা নাইরে।
-আবু সাইদ
উৎস : ছড়া `নিমক হারাম’, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত।
১৯৬.
১
হাত থেকে খসে গেলে প্রীতিপূর্ণ হাত
ফালি ফালি কাটে মন বিষের করাত
২
চোখের জলের দাগ মুছে দিতে চাই
অন্য কারো চক্ষুঝরা জল
মনে যদি নেমে আসে আলোর আকাশ
হেসে ওঠে শতশতদল
- ফারুক মাহমুদ
উৎস : ক্ষণের বচন থেকে ।
১৯৭. সকল প্রকারের আয়ের উৎস থেকে জনগণকে নিংড়ে নেবার সময় সে সর্বোচ্চটুকু নিচ্ছে, নিয়ে বিশাল লুটপাটকে কম্পেনসেট করে যা অবশিষ্ট থাকছে - জনগণকে সেইটার শত ভাগের একভাগ দিয়ে বাকিটা দিয়ে পুষছে রাষ্ট্রীয় পরজীবী শ্রেণী- আমলা-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মাঠ পর্যায়ের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক কর্মীদেরকে।
-সাদিক ইত্তেফাক
উৎস : ২১ জুলাই ২০১৮ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৯৮. ২৫ মার্চ পাক সৈন্য ছিল মাত্র ১২৫০০ । এর মাঝে ৮০০০ ছিল ফাইটিং ট্রুপস। এপ্রিল-মে নাগাদ তারা সর্বমোট ৪৫০০০ হাজার সৈন্য (রেগুলার আর্মি) জড়ো করে। ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের সময় যে ৯০০০০ হাজারের কথা বলা হয় তার বাদবাকি হলো Rangers, police, EPCAF, বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী, তাদের রয়ে যাওয়া পরিবার।
-আবু রুশদ
উৎস : ১৮ জুলাই ২০১৮ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
১৯৯. বাংলাদেশে এখন জনসংখ্যা বাড়ছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ হারে, কিন্তু ঢাকা মহানগরে তা বাড়ছে ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ হারে। এই হিসাবে ঢাকায় প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে গড়ে ১ হাজার ৭০০ মানুষ।.. মাত্র ৩০৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই নগরে এখন বাস করে ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। ফলে ঢাকা এখন পৃথিবীর সর্বোচ্চ জনঘনত্বের নগর: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের হিসাবে ঢাকায় এখন প্রতি বর্গকিলোমিটার জায়গায় প্রায় ৪৫ হাজার মানুষের বাস।
-মশিউল আলম
উৎস : প্রথম আলো, ২১ জুলাই ২০১৮।
২০০. বাংলাদেশে একটা সময় ছিল, সাংবাদিকরা অনেক কষ্ট করতেন, অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। দু’একটি পত্রিকার সাংবাদিক ছাড়া অধিকাংশ পত্রিকার সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো ছিল হতাশজনক। তারপরও সাংবাদিকতা পেশায় যারা যুক্ত ছিলেন তাঁদের সততা, আদর্শ ও মূল্যবোধ ছিল। সমাজ গঠনে আপোষহীন ছিলেন তাঁরা। দরিদ্রতাকে পরোয়া করতেন না। এক কথায় নির্লোভ ছিলেন তাঁরা। পাত্র হিসাবে সাংবাদিকদের অভিভাবকদের পছন্দের তালিকায় স্থান পেত না। তবে সাংবাদিকদের সর্বত্র সম্মান ছিল।
- দর্পণ কবীর
উৎস : ১১ জুলাই ২০১৮ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২০১. বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, অসাধারণ সাহস তাঁর। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং সময় নিরূপণ ছিল যথার্থ। কোন পরিবেশে জনগণকে কী বলতে হবে, মানুষের অন্তরের প্রত্যাশা কী, এটা তিনি ভালো বুঝতেন। .. বঙ্গবন্ধু যে মুহূর্তে ছয় দফা দিয়েছেন, দেখা গেছে, তিনি সেটা উপযুক্ত সময়েই দিয়েছেন। এর বিরোধিতা করলেন অনেকে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল সারা জাতি এটাকে গ্রহণ করেছে। সে সময় আমাদের মধ্যে স্বাধীনতার প্রশ্ন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বলতেন, ছয় দফার মধ্য দিয়েই আমরা সেদিকে অগ্রসর হব, অগ্রিম ডাক দেওয়া যাবে না।
- ড. কামাল হোসেন
উৎস : তারকালোক ১-১৪ অক্টোবর ১৯৮৮ থেকে ১-১৪ ডিসেম্বর ১৯৮৮ পর্যন্ত আহমেদ মূসার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে । পুনর্মুদ্রণ, ‘সমকালের সাক্ষাৎকার’ গ্রন্থে।
২০২. সুনামকে বদনাম দিয়ে ভাগ করলে যেই ভাগফল হয়, তা দিয়ে বদনামকে গুন করলেও আগের সুনামকে আর পাওয়া যায় না সবসময়।
- রফিক হাসান
উৎস : ৮ অগাস্ট ২০১৮ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২০৩. এই দেশে একদিন যুদ্ধ হয়েছিল। যারে আমরা বলি মুক্তিযুদ্ধ। এই যুদ্ধ একাত্তরের ২৫ মার্চ শুরু হয়ে ১৬ ডিসেম্বর শেষ হয় - এরকম একটি সরল গল্প চালু আছে। আসলে কি তাই? যুদ্ধতো একদিনে শুরু হয়নি। এর আছে একটি বিস্তৃত পটভূমি।
- মহিউদ্দিন আহমদ
উৎস : এই দেশে একদিন যুদ্ধ হয়েছিল : ভূমিকার অংশ। পৃষ্ঠা - ১০ ।
২০৪. সরকারের পতন ঘটে, সুবিধাবাদীদের পতন ঘটে না। তারা বরাবরই সরকারি দলে।
- সাহাদত হোসেন খান
উৎস : ৯ জুলাই ২০১৮ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২০৫. আবু সয়ীদ আইয়ুব ‘রূপে ছিলেন মুঘল রাজকুমার’। টিকালো নাক, ঢেউ খেলানো চুল, দুধের সঙ্গে কমলালেবু মেশানো গায়ের রং। গায়ে রঙীন পাঞ্জাবী। আগে বাংলা ভাষা জানতেন না। রবীন্দ্রনাথকে জানার জন্যই তিনি বাংলা শিখেছেন। সারাজীবন রোগে ভুগেছেন কিন্তু রোগের ম্লানিমা একটুও ছিল না। বরং অসুস্থতা তাঁকে দিয়েছিল এক রোমান্টিক ইমেজ। অপরদিকে গৌরী ছিলেন শান্ত, স্নিগ্ধ, কর্মচঞ্চল, বুদ্ধিতে, সংস্কৃতিতে, সুরুচিতে, কমনীয় স্বচ্ছ, স্মিত মুখশ্রী। পরতেন খদ্দরের সাদা অথবা হালকা রঙের শাড়ি। ফিতে পাড়। সাদা ব্লাউজ। হাত কনুই পর্যন্ত ঢাকা। কোন রকম প্রসাধন নেই। নেই কোন গয়না। এই ভূষণহীণাকে দেখে অধ্যাপকেরও মন টলে গেল।
-সুজয় কর্মকার
উৎস : গৌরী আইয়ুব: এক বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব।
২০৬. অনেকের বাড়িতে আগে লেখা থাকতো ‘কুকুর হতে সাবধান’। আজকাল লেখা থাকে ‘অতিথিদের গাড়ি বাইরে রাখুন’। বাইরে লেখা থাকে ‘পার্কিং নিষেধ’। এসব লেখার অর্থ একই। অর্থ হলো ‘তোরে আইতে কইছে ক্যাডা’?
- মাহফুজুর রহমান
উৎস : ৫ মে ২০১৭ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২০৭. স্মৃতি হলো ডিসেম্বরে ফোঁটা গোলাপের মতো। নিঃসঙ্গ জীবনে পুরোনো স্মৃতি সুন্দর ফুলের মতোই সুগন্ধ বয়ে আনে। তবে সব স্মৃতি সুখের নয়। কিছু কিছু স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে দুঃখ, অনুতাপ ও অস্বস্তি যা সময় কিংবা পারিপার্শ্বিকতার ছোঁয়ায় কখনো বদলে যায় না।
- কৃঞ্চা হুতি সিং, জওহর লাল নেহরুর ছোট বোন
উৎস : উইথ নো রিগ্রেটস : অটোবায়োগ্রাফি, পৃষ্ঠা ১৬৪।
২০৮. সত্য বা মিথ্যা/ থাকে না তো ঘটনায়
কিছু থাকে বিশ্বাসে/কিছু থাকে রটনায়।
-কাজী আসাদ
উৎস : ৫ অগাস্ট ২০১৮ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২০৯. যে রাষ্ট্র ও সমাজে সঠিক ও সত্য সংবাদ যথাযথ এবং স্বাভাবিক গতিতে ও উপায়ে নাগরিকদের কাছে পৌছাতে বাধাগ্রস্থ হয়, সেখানে গুজব সৃষ্টি হবেই। স্বাভাবিক গতিতে সংবাদ প্রবাহ থাকলে , গুজবও থাকে না। গুজব বাধার ফসল ভিন্ন কিছুই নয়।
-আমীর খসরু
উৎস : ৮ অগাস্ট ২০১৮ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২১০. নজরুল তাঁর গানের স্বরলিপির কপিরাইটের ধার ধারেননি । তিনি চেয়েছেন মীরাবাই, রহিম, লালন, রামপ্রসাদের মতন তৃণমূলে নিজেকে চারিয়ে দিতে, যাতে যে গাইবে তারই যেন হয়ে ওঠে তাঁর গান । যাতে তাঁর গানকে কেন্দ্র করে কোনও আধিপত্যবাদী শাসন-কাঠামো না জন্মায়, যাতে না তা অভিজাত নিয়ন্ত্রকদের স্বার্থান্ধ বিধিবিন্যাসের কবজায় স্হবিরতা লাভ করে, যাতে না তা স্হিতাবস্হার আরোপিত অভ্যাস গড়ে তোলে, যাতে না তা মুষ্টিমেয়র সুবিধাভোগের চক্রব্যূহ বানিয়ে, যা গাইতে চায় তাকে ঘিরে ধরে বোবা করে দেয় । বাজার না হলে আধুনিকতার পপকল্প সম্পূর্ণ হয় না, অথচ প্রভূত জনপ্রিয়তা সত্বেও বাজারকে উপেক্ষা করেছেন নজরুল । তাঁর সহজাত প্রবৃত্তি তাঁকে আপনা থেকেই সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদের মডেলটির বিরোধী করেছিল ।
- মলয় রায়চৌধুরী, কাজি নজরুল ইসলাম সম্পর্কে
উৎস : উনিশতম অশ্বারোহী : অধ্যায় তিন।
২১১. প্রচণ্ড চাপে-তাপে কিছু পদার্থ কয়লা হয়, কিছু সোনা হয়, কিছু হয় হীরা। সোনা-কয়লা চুরি গেছে। ১৮ কোটি আমরা এখন হীরা।
- রাকীব হাসান
উৎস : ৮ অগাস্ট ২০১৮ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২১২. গণতান্ত্রিক কাঠামোগুলোর ক্ষমতা হ্রাস ও ভিন্নমত চুপ করানোর প্রতি সরকারের ঝোঁক, বিচারিক ও বিচার বহির্ভূত ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে বিরোধী দল ধ্বংসকরণ, গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করা এবং বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও জোরপূর্বক গুম দেখেও না দেখার ভান করা দেশের প্রশাসনের বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
-ড. আলী রীয়াজ
উৎস : ঢাকায় ন্যায় বিচারের খোঁজে : ১৪ অগাস্ট ২০১৮ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত।
২১৩. জাপানের বিভিন্ন জায়গায় পান-বিড়ি-সিগারেট-চা-মুদি দোকানের বদলে বইয়ের দোকান। সেগুলি সরকারই করেছে। জাপানের মানুষ অনেক বই পড়ে। কোটিপতির তালিকায় প্রকাশকই বেশি। ... খ্যাতির কাঙাল নাই। সমাজ-সংষ্কৃতির কাঠামোটাই গড়ে উঠেছে-বই বান্ধব হয়ে।
- কমল মমিন
উৎস : ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২১৪. দেশে এখন (২০১২ সালে) স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই লাখ চার হাজার আট শ’ । ১৯৯৪ সালে বিএনপির শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভোটার তালিকায় তালিকাভুক্ত ছিলেন ছিয়াশি হাজার জন। অর্থাৎ সরকার পরিবর্তন হলেই মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এবং এখনো মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম তালিকাভুক্তির জন্য একলাখ চল্লিশ হাজার জনের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
- প্রথম আলো
উৎস : ২০১২ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রথম আলোতে প্রকাশিত রিপোর্টের এই অংশ পুনর্মুদ্রিত হয় আলতাফ পারভেজের গ্রন্থ ‘মুজিব বাহিনী থেকে গণবাহিনী : ইতিহাসের পুনর্পাঠ’-এর ১৭৮ পৃষ্ঠায়।
**বিশেষ দ্রষ্টব্য : ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়ায় দুই লাখ বত্রিশ হাজারে। ২০১৮ সালের সর্বশেষ সংখ্যা জানা যায়নি।
২১৫. মিত্র থেকে শত্রু বেশি
হয় কেন তা জানো
মিত্র ভেবে শত্রুকে যে
সবাই কাছে টানো।
মুখোশ পড়া মিত্র
এই সমাজের চিত্র।
- মিলু কাশেম
উৎস : ছড়া, শত্রু/ ১ জুন ২০১৮ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২১৬. প্রখ্যাত মার্কিন রাজনৈতিক নেতা প্যাট্রিক হেনরি দাবি করেছিলেন, ‘হয় স্বাধীনতা দাও নয় মৃত্যু দাও।’ হেনরি বিশ্বাস করতেন যে মানুষের সুখের জন্য রাজনৈতিক স্বাধীনতা অপরিহার্য।
- আকবর আলি খান
উৎস : আজব ও জবর আজব অর্থনীতি। পৃষ্ঠা - ১০১।
২১৭. সকাল-বিকাল পাখির কিচির-মিচির ,
শরৎ বলে, ‘দেবো একটু শিশির ?’
নদীরা তো রোজ বয়ে নেয় আলো,
তার চেয়ে আর কোন্ বাহনটা ভালো?
-শাম্ স চৌধুরী রুশো
উৎস : ১২ অক্টোবর ২০১৬ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২১৮. পাকিস্তানের সব প্রাদেশিক পরিষদে যেসব নতুন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৫১ জন কোনোমতে ম্যাট্রিকুলেশন (এসএসসি) পাস করেছেন। অন্যদিকে ২৭ জনতো ম্যাট্রিকুলেশন শেষই করেন নি। ... সব প্রাদেশিক পরিষদে কমপক্ষে ৬৮ জন এমপির মামলা রয়েছে মুলতবি অবস্থায়। পাঞ্জাব প্রদেশে ২৫ জন এমপি কোনোমতে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেছেন। ১৯ জন শেষই করেন নি। আর ২ জন এমপি তো অশিক্ষিত।
- ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন নেটওয়ার্ক
উৎস : মানবজমিন, ২৬ আগস্ট ২০১৮।
২১৯. বিয়ে নাকি ঠিকঠাক ডাক্তার পাত্র/আমি কি না ছাইপাস লিখে যাই মাত্র!.../টাকাতে সুখ খোঁজ, সুখ খোঁজ গাড়িতে/সেই সুখ গায়ে মেখে এসো মোর বাড়িতে।
- আদনান সৈয়দ
উৎস : ৩০ মার্চ ২০১৬ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২২০. বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকা অনুসারে ভারত এখন পৃথিবীর ষষ্ঠ অর্থনৈতিক শক্তি! ভারতের জনসংখ্যা ১৩৪ কোটি। সপ্তম স্থানে থাকা ফ্রান্সের জনসংখ্যা মাত্র ৬ কোটি ৭০ লাখ। … বাস্তবতা হলো, বিনিময় হারের বিবেচনায় ভারত এখনো নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ। দেশটির বর্তমান মাথাপিছু আয় ২,০০০ ডলারের কিছু কম। দেশটি ৪,৫০০ ডলার অতিক্রম করলেই কেবল মধ্যম আয়ের দেশ হতে পারবে। আর উচ্চ আয়ের দেশ হতে গেলে মাথাপিছু আয় ১২,৫০০ ডলারের বেশি হতে হবে। সত্য এই যে, জনসংখ্যা আর মাথাপিছু আয়ের কাছে অর্থনৈতিক শক্তি কথাটা মূল্যহীন।
- খোরশেদ খোকন
উৎস : ৩০ অগাস্ট ২০১৮ সালের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২২১. মেঘনা থেকে বোয়াল মাছে/নাও নিয়ে যায় হোমনা/লম্বা দাড়ির রাক্ষুসে মাছ/শরীরে জোর কম না।/পাবদা এবং কাজলীকে/যেই পেয়েছে তিতাসে/বোয়াল মাছে হা করে কয়/ওদের নাকি মিতা সে।/ছোট মাছের বেহাল দশা/তারপরও তো কান্দিনা/সড়ক পথে ট্রাকে করে/নৌকা যাবে চান্দিনা।
-ইউসুফ রেজা
উৎস : বোয়াল একটি মাছ/ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২২২. জনসমক্ষে যারা মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করছে, তাদের না ধরে উকিল, কবি, লেখক আর মানবাধিকার কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশী চালানো হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে ভারত কোন দিকে চলেছে। হত্যাকারীদের সম্মানিত করা হবে আর ন্যায়বিচার এবং হিন্দু আধিপত্যের বিরুদ্ধে যারা মুখ খুলবেন, তাদের অপরাধী সাজানো হবে। এটা কি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হল?
-অরুন্ধতী রায়
উৎস : ২৮ অগাস্ট বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে।
২২৩. ছড়া মানে দাঁড়ানো, ছড়া মানে নাড়ানো ।/ছড়া মানে দেশ থেকে ভূতগুলো তাড়ানো ।/ছড়া মানে আঁকানো, ছড়া মানে বাঁকানো ।/ছড়া মানে জমে যাওয়া সবকিছু ঝাঁকানো ।
-নুরুল ইসলাম খান
উৎস : ডুগডুগি/ ১৬ জুন ২০১৬ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২২৪. না হেঁটে ভুল পথও চেনা যায় না
কোনো পরিভ্রমণই ব্যর্থ বৃথা নয়।
যে পথকে চিনেছি ভুল
তোমাকে সে পথে
কিছুতেই যেতে দেব না।
- রবিশঙ্কর মৈত্রী
উৎস : পৃথিবীর ঘ্রাণ : যিশু হলেই ক্রুশবিদ্ধ হতে হয় : পৃষ্ঠা - ৮৩।
২২৫. কাজের ফাঁকে মন ছুটে যায় অবলীলায় বাড়ি
চাইলে কি আর পাখা মেলে বাড়ি যেতে পারি?
পরবাসে ঠাঁই যে আমার, নদীগর্ভে বাড়ি
কী কারণে হলো প্রভূ এমন ছাড়াছাড়ি?
-আলম সিদ্দিকী
উৎস : নামকাব্য ৮২, বাড়ি।
২২৬. কুলদীপ নায়ারের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন আন্তরিক ও বিশ্বস্ত বন্ধুকে হারাল, ভারত হারাল ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের একজন বিবেকবান রক্ষককে। পাকিস্তান হারাল দুই প্রতিবেশীদের মধ্যে বৃহত্তর বোঝাপড়ার অতন্দ্র কণ্ঠস্বর। দক্ষিণ এশিয়া হারাল সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের প্রতি ঘৃণা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সর্বত্র সর্বাধিক জোরালো বক্তব্যের অধিকারী ব্যক্তিত্বকে। সাংবাদিকতা হারাল এই পেশার নীতি-আদর্শের জন্য অতুলনীয় উদাহরণকে। আর মানবতা হারাল মানুষের শুভবোধের ওপর প্রকৃত আস্থাশীল একজনকে।
- মাহ্ফুজ আনাম
উৎস : ডেইলি স্টার, ২৪ অগাস্ট ২০১৮।
২২৭. পাহাড়ের মতো রাত কাটে বৃষ্টির মতো দিন/রাতের চেয়ে অন্ধকার সকালে আলোর রেখা মলিন।
শিরায়-শিরায় আগুন জ্বলে পোড়া কাঠ আমি, নিজেই পুড়ি/একজীবনের বৃত্ত থেকে অন্যবৃত্তে ঘুরি।
- তাহসিন সুলতানা তুষি
উৎস : ২৩ অগাস্ট ২০১৮ সালের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২২৮. শিবরাম চক্রবর্তী প্রায়ই বলতেন, ‘জিনিসপত্র সব বাঁধা হয়ে গেছে। এবার একটা ট্যাক্সি পেলেই চলে যাব।’ বেশ কিছুদিন ধরে বুঝতে পারছিলেন শরীরটা কিন্তু সত্যিই ঠিক যাচ্ছিল না। স্মৃতি কমে আসছিল। কথাবার্তা অসংলগ্ন। শেষ জীবনে প্রায় কপর্দকহীন। চিরকাল লোককে বিশ্বাস করেছেন আর বারবার ঠকেছেন। অনেক প্রকাশক ঠকিয়েছে। এমনকী শেষদিকে সেই সময়ের রাজ্য সরকার এবং কয়েকটি সংস্থা মিলে তাঁর চিকিৎসা ও ভরণপোষণের জন্য যে মাসিক ছ’শো টাকা তারই এক পাড়াতুতো পরিচিতের কাছে পাঠাত, সেই টাকারও সঠিক ব্যবহার হত না।
- দেবাশীষ ব্যানার্জী
উৎস : আমার ইমেইলে এক বন্ধুর পাঠানো একটি লেখা থেকে।
0000000000000000000000000000000000000000000000
২২৯. আমার ভাষাতে আমি কথাবলি
তোমার ভাষাতে তুমি,
ভিনদেশে এসে মনেপড়ে বেশি
জননী জন্মভূমি।
- খালেদ সরফুদ্দীন
উৎস : জননী জন্মভূমি/২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২৩০. ইতিহাসে সকল স্বৈরশাসকই পরাস্ত হয়। কিন্তু রেখে যায় তারা খামখেয়ালিপনা ও ক্ষয়ক্ষতির দীর্ঘস্থায়ী ছাপ। ... এখন ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, বাতিল হওয়া নোটের ৯৯.৩ ভাগই তাদের কাছে ফেরতে এসেছে। তার মানে কথিত পাচার বন্ধে ‘নোটবন্দি’ কোন কাজে লাগেনি। এছাড়া বাজারে এখন পূর্ববর্তী বছরের চেয়েও বেশি মূল্যের নোট রয়েছে- ফলে ক্যাশলেসের বিষয়টিও ঘটেনি।… অথচ ঐ ঘটনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভারত জুড়ে নানান সংকটে ১০৫ ব্যক্তি মারা যায়; নোট বদলাতে কোটি কোটি শ্রমঘন্টা নষ্ট হয় মানুষের; নোটের অভাবে কয়েক মাসের জন্য গ্রামীণ বাজার ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে; ক্ষুদ্র ব্যবসা অচল হয়ে যায় এবং কোটি কোটি শ্রমজীবী কয়েক সপ্তাহ কাজ পায়নি। উপরন্তু নতুন নোট ছাপতে গত দুই বছরে খরচ হয়েছে ১৩ হাজার কোটি রূপি।
- আলতাফ পারভেজ
উৎস : ৩০ আগস্ট ২০১৮ তারিখের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
231. In any profession, when you lose yourself, you become the art.
-A R Rahman
Source : Documentary ‘The Creative Indians.’
২৩২. এসব গল্প কেবলই গল্প নয়। এই গল্পগুলো অগুনতি মানুষের বিন্দু বিন্দু রক্ত দিয়ে লেখা একেকটি ইতিহাস। ক্যানভাসের বুকে রক্ত আর অশ্রু দিয়ে আঁকা জলছবি। যুগে যুগে এমনি অনেক স্বৈরাচারের আগমন হয়েছে। আবার তারা কালের গর্ভে হারিয়েও গেছে। তবুও থেমে থাকেনি নতুন স্বৈরাচারের উথ্থান। কারণ আমরা কখনোই ইতিহাস থেকে শিখি না।
- শেলী জামান খান
উৎস : প্রকাশিতব্য উপন্যাস ‘এক মোহনার_জীবন’-এর অংশ-বিশেষ ৩০ অগাস্ট ২০১৮ সালে প্রকাশ হওয়া ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২৩৩. এই যে জীবন উজাড় করে বর্ষার মেঘের মতো
তোমাকে ভিজিয়ে দিচ্ছি, তুমি কখনোই তার কিছু অনুভব করলে না !
- মহাদেব সাহা
উৎস : জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার-এর ৯ জুলাই ২০১৮ সালের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২৩৩. এই যে জীবন উজাড় করে বর্ষার মেঘের মতো
তোমাকে ভিজিয়ে দিচ্ছি, তুমি কখনোই তার কিছু অনুভব করলে না !
- মহাদেব সাহা
উৎস : জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার-এর ৯ জুলাই ২০১৮ সালের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২৩৪. হুনাইনকে যখন খলিফা আল-মামুন-এর লিটারারি একাডেমির সুপারিনটেন্ডেন্ট নিয়োগ করা হয়, তখন যে বইটি তিনি অনুবাদ করতেন সেই বইটির ওজনের সমপরিমাণ স্বর্ণ তিনি লাভ করতেন।
-মোহাম্মদ সা’দাত আলী
উৎস : জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমান : পৃষ্ঠা -১৪।
২৩৫. অন্যায় করে পার পেতে পার
জানবে না কেউ কিছু,
কিন্তু তোমার বিবেক রয়েছে
ছাড়বে না সে তো পিছু
..
উৎস : ছড়ায় ছড়ায় শুদ্ধাচার : সম্পাদক, মাহফুজুর রহমান।
২৩৬. সবকিছু জেনে ফেলাই জ্ঞান নয়,
জ্ঞান হলো কী কী এড়িয়ে যেতে হবে বা বর্জন করতে হবে তা জানা।
- জালালউদ্দিন মুহাম্মদ রুমি
উৎস : আহসান আল আজাদের ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২৩৭. এই সেদিনও যারা আলো ফেরি করে বেড়াবার ছলে
আরেক পোঁছ অন্ধকার লেপে দিতো রোদেলা দিন কিংবা শুক্লপক্ষ রাতে
তারাই অবলীলায় বাগিয়ে নিলো কাজটা,
আর- বানান বিভ্রাট বলে কোলাজ বদলে দিলো লোকজ ক্যানভাসে।
- কাজী আতীক
উৎস : বৈহাসিক: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
238. Nor are the Sufis a sect, being bound by no religious dogma however tenuous and using no regular place of worship. They have no scared city, no monastic organization, no religious instruments.
-Robert Graves
Source : From the part of Introduction, THE SUFIS written by Idries Shah. Anchor books, page – vii.
২৩৯. শরীর অশরীরী ভূত পেত্নী রাক্ষস খোক্কস
প্রজা নিয়ে আমার রাজ্য
প্রজারা আমায় কুর্নিশ প্রতিযোগিতায়
প্রতিনিয়ত নিজেরা লড়াই করে।
দেও দানব পরিবেষ্টিত হয়ে
আমি অবাধ্য প্রজার রক্তমদিরা পান করে
আনুগত্যের উৎসব দেখি!
- মনোয়ারুল ইসলাম
উৎস : ভূত, ৬ অক্টোবর ২০১৮ সালের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
২৪০. তুমি তো নও সাদা খাতা
সাদা খাতার পাতায় আছে কিছু দাগ
তোমারও আছে মনুষ্যজীবন
আছে রাগ, আছে কিছু অনুরাগ!!
- সাঈদ বারী
উৎস : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালের ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
গণবাণী ২৪১
বিশ্বের প্রায় অর্ধেক, ১২৮টি দেশের ৩৯০ কোটি মানুষ ডেঙ্গু মহামারির ঝুঁকিতে আছে। গ্রীষ্মমন্ডলীয় এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। ডেঙ্গু মশার প্রজনন হয় ২৭ থেকে ৩২ ডিগ্রি তাপমাত্রায়।
-বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
উৎস : আবদুল বাতেন, ২৬ জুলাই ২০১৯ তারিখের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
00000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৪২
চল্লিশের দশক বাংলায় মৃত্যুর দশক। কত মৃত্যু, কত হানাহানি পার হয়ে আসতে হয়েছে। যারা সেই মৃত্যুর দশক পার হয়ে আসতে পেরেছে, সেই আমরা যে কতখানি সৌভাগ্যবান, আমরা যে বেঁচে গেছি কত হত্যার পটভূমিকায়, তা আমরা অনেক সময়ই মনে রাখি না।
- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
উৎস অর্ধেক জীবন, পৃষ্টা ৫২।
ooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooo
গণবাণী ২৪৩
মহামৈত্রীর বরদ-তীর্থে-পুণ্য ভারতপুরে
পূজার ঘন্টা মিশিছে হরষে নমাজের সুরে-সুরে!
আহ্নিক হেথা শুরু হয়ে যায় আজান বেলার মাঝে,
মুয়াজ্জেনের উদাস ধ্বনিটি গগনে গগনে বাজে,
জপে ঈদগাতে তসবি ফকির, পূজারী মন্ত্র পড়ে,
সন্ধ্যা-উষার বেদবাণী যায় মিশে কোরানের স্বরে;
সন্ন্যাসী আর পীর
মিলে গেছে হেথা-মিশে গেছে হেথা মসজিদ, মন্দির!
-জীবনানন্দ দাশ
উৎস : ধূসর পাণ্ডুলিপি।
000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৪৪
পশ্চিমবঙ্গের পেপার-পত্রিকা, গল্প-উপন্যাস-- এমনকি কবিতা পড়তে গেলেও `পূর্ববাংলা' থেকে মানুষ যাওয়ার কাহিনীর মুখোমুখি হতে হয় হামেশা। এক্ষেত্রে ছোট্ট #একটা #ফুটনোট, উল্লেখ করতে হয় যে, ১৯৫১ সালের শুমারিতে দেখা যাচ্ছে, ভারত থেকে বাংলাদেশে সাত লাখ মানুষ এসেছিলেন তখন। যাঁদের শুমারি দলিলে ‘মুহাজির’ হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
পূর্ববাংলায় জনসংখ্যা ছিল তখন ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩২ হাজার। এর প্রায় দুই শতাংশ ছিলেন মুহাজিররা এবং তাঁরা সম্মানের সঙ্গেই এখানে পুনর্বাসিত হয়েছিলেন। এ নিয়ে শোক-তাপ-ক্রন্দন-রাজনীতি কিছুই তেমন হয়নি।
বিপদগ্রস্ত মানুষকে রাজনৈতিক পণ্য না করাই যথার্থ।
- আলতাফ পারভেজ
উৎস : আলতাফ পারভেজ, ২৭ জুলাই ২০১৯ তারিখের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
00000000000000000000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৪৫
প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাকে মোকাবেলার সামর্থ প্রকৃতিই তৈরী করে দেয়। সামাজিক প্রতিকূলতা মোকাবেলার জন্য সামাজিক কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হয়। সামাজিক কর্তৃপক্ষ যদি দায়িত্ব পালন না করে সমাজের বুদ্ধিমান শ্রেণীর সাধারণ মানুষ সেই দায়িত্ব পালন করতে এগিয়ে আসেন। এটি সামাজিক-প্রাকৃতিক পদ্ধতি।
-কাজী জহিরুল ইসলাম
উৎস : কাজী জহিরুল ইসলাম, ২ অক্টোবর ২০১৭ তারিখের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
10000000000000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৪৬
অনেকের বাড়িতে আগে লেখা থাকতো ‘কুকুর হতে সাবধান।’ আজকাল লেখা থাকে, ‘অতিথিদের গাড়ি বাইরে রাখুন।’
বাইরে লেখা থাকে ‘পার্কিং নিষেধ।’
এসব লেখার অর্থ একই। অর্থ হলো, ‘তোরে আইতে কইছে ক্যাডা?’
-মাহফুজুর রহমান
উৎস : ৭ মে ২০১৮ তারিখের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
000000000000000000000
গণবাণী ২৪৭
প্রাগৈতিহাসিক, জননী, চতুষ্কোণ, প্রতিবিম্ব, পুতুলনাচের ইতিকথার মতো কালজয়ী সাহিত্য সৃষ্টির পরেও এই মানুষটা জীবন কেটেছে বস্তিতে।
বাঁশের বেড়া আর পলকা টিনের চালাঘরের বন্দীশালায়। মাত্র ৪৮ বছর বয়সে তিনি তখন মৃত্যু শয্যায়। কোন এক বিত্তবান বন্ধু তাকে দেখতে গিয়ে যন্ত্রণায় কেঁদে উঠেন৷
মানিক বাবুর স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে কাতর কণ্ঠে বললেন,"ওর অবস্থা এত খারাপ একটা ফোন করে তো জানাতে পারতেন!"
মানিক বাবুর স্ত্রী ক্লান্ত গলায় জবাব দেন,"একটা ফোন কল দিতেও যে দুইটা পয়সা লাগে ভাই!"
- মুহম্মদ নিজাম
উৎস : বাংলাভূমি, নিজাম নূর, ১৩ জুন ২০১৯ তারিখের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
Ooooooooooooooooooooo
গণবাণী ২৪৮
একটি দেশের রাজধানী শহর একইসঙ্গে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সিটি, কমার্শিয়াল সিটি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি হওয়া খুবই বিপজ্জনক l এখনকার ঢাকা মহানগর হচ্ছে অন্য সবকিছুর সঙ্গে-সঙ্গে ঘুষ-লুটপাট এবং চোটপাটেরও কেন্দ্র। শক্তিমানেরা তাই বিকেন্দ্রীকরণ চায় না; যদিও তা আশু প্রয়োজন। ওদের কবলে পড়ে ঢাকা এখন হাই-রাইজ বস্তির নগর। সুদূর অতীত থেকে বাংলার রাজধানী ৭ বার পরিত্যাক্ত/পরিবর্তন হয়েছে। ফুটে উঠছে অষ্টমবারের লক্ষণ।
- আহমেদ মূসা
উৎস : কয়েক কিস্তিতে প্রচারিত জুন ২০১৯ তারিখের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
000000000000000000000000000
গণবাণী ২৪৯
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমানো টাকার পরিমান বেড়েছে - ২০১৮ সালে প্রায় তেরোশো কোটি টাকা যুক্ত হয়েছে আগের জমানো টাকার সঙ্গে; এখন এই পরিমান দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা| ২০১৭ সালের তুলনায় এই বৃদ্ধি ২৮.৩৩ শতাংশ| এইবছরের গোড়াতে আমরা জানতে পেরেছিলাম যে, ২০১৫ সালেই বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকার সমপরিমান অর্থ| এতো টাকা, এতো ধনী মানুষ - অথচ দেশে করদাতার হার হচ্ছে মাত্র ১০ শতাংশ|
- আলী রীয়াজ
উৎস : ১৪ জুন ২০১৯ তারিখের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
00000000000000000000000
গণবাণী ২৫০
শুধুমাত্র একটি ব্যাপার আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে, তা হল লাইব্রেরীর অবস্থান।
-আলবার্ট আইনস্টাইন
উৎস : মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ, ২৪ মে ২০১৯ তারিখের ফেসবুক স্ট্যাটা
0000000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৫১
গ্রাম-শহরের পথ ও অলিগলি থেকে শুরু করে পার্বত্য এলাকায়ও সেনা, পুলিশ এবং বিএসএফ টহল দিচ্ছে। সব রাস্তা বন্ধ করে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সবখানে কারফিউ। কাউকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না বাড়ি থেকে। রাস্তায় কাউকে পেলেই জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, কোথায় যাবে, কেন যাবে। সাত লক্ষাধিক সেনা মোতায়েনে কাশ্মীরকে দখল হয়ে যাওয়া কোনো শহর মনে হচ্ছে।
স্তব্ধ উপত্যকাজুড়ে শুধু একটা কথাই যেন প্রতিধ্বনিত হচ্ছে- ভারত কাশ্মীরিদের নয়, এর জমিটুকুই চায়। আরও সহজে বললে, কাশ্মীরের মানুষ নয়, মাটি চায় ভারত। বুধবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে কাশ্মীরের দুর্ভাগ্যের এ চিত্র উঠে এসেছে।
-যুগান্তর ডেস্ক
উৎস : যুগান্তর, ৮ আগস্ট ২০১৯
00000000000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৫২
আমার পরিবার চাষা। আমার পক্ষে এটা ওভারলুক করা কষ্টকর, রঙ চড়িয়ে কিছু বলতে চাই না। আমার পূর্বপুরুষেরা সরাসরি কৃষি উৎপাদনের সাথে যুক্ত ছিল। এই পরিচয় আমার অহংকার। একটা মানুষের মধ্যেই গোঁজামিল থাকে। কিন্তু যে সাপ সে হান্ড্রেড পারসেন্ট সাপ। যে শেয়াল সে হান্ড্রেড পার্সেন্ট শেয়াল। মানুষ সাপও হইতে পারে, শেয়ালও হইতে পারে, পাখিও হইতে পারে। মানুষেরই বিভিন্ন চরিত্র নেয়ার ক্ষমতা আছে। বুঝছো, গ্রাম দেশে আগে সাপ আর শেয়াল পাওয়া যাইতো। এগুলা নাই এখন। কারণ সাপ, শেয়াল এরা মানুষ হিসাবে জন্মাইতে আরম্ভ করছে।
- আহমদ ছফা
উৎস : নাসির আলী মামুনকে দেয়া সাক্ষাৎকার, অরণ্য সৌরভের ৩০ জুন ২০১৯ তারিখের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
000000000000000000000
গণবাণী ২৫৩
000000000000000000000000000
গণবাণী ২৫৪
যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন 'রিপাবলিক অব সিঙ্গাপুর'-এর লি কুয়ান ইউ, তখন জনগণের মাথাপিছু বাৎসরিক আয় ছিলো মাত্র ৫০০ মার্কিন ডলার। সেখান থেকে লি কুয়ান ইউ-এর প্রধানমন্ত্রীত্বের শেষ বছর ১৯৯০-এ তা দাঁড়ায় সাড়ে ১৪ হাজার মার্কিন ডলার, প্রায় ২৮০০% উন্নতি! বর্তমানে সিঙ্গাপুরের মাথাপিছু আয় প্রায় ৫৩ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ৪৫ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা)। বিশ্বে সম্ভবত সিঙ্গাপুরই একমাত্র দেশ, যার একটি গোটা প্রজন্ম নিজ দেশকে তৃতীয় বিশ্ব থেকে প্রথম বিশ্বে উন্নীত হতে দেখেছে চর্মচক্ষে।
- তারিক উল- ইসলাম
উৎস : Tariq Ul-Islam, Roar.media/bangla, 22 Aug 2018.
000000000000000000000000000
গণবাণী ২৫৫
আমি মনে করি, সব রাজনৈতিক হত্যার বিচার হওয়া উচিত। আমি যেকোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিরোধিতা করি। হত্যা একটা জঘন্য প্রক্রিয়া। কেন অন্যায়ভাবে হত্যা করা হবে?
- শেখ হাসিনা
উৎস : সাপ্তাহিক বিচিত্রার ১৩ মার্চ ১৯৮১ সালে ছাপা মাহফুজ উল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে । দিল্লিতে গিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বপ্রথম রাজনৈতিক সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করা হয়েছিল।
00000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৫৬
একটা পয়েন্ট অনেকে মিস করে যাচ্ছেন, সেটা হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় হিন্দুত্ববাদের ভূরাজনৈতিক প্রকল্প। হিন্দুত্ববাদীরা ভারতবর্ষের একটা আধ্যাত্বিক ধারণায় বিশ্বাস করে। এই ধারণা অনুসারে, এক অখণ্ড মহাভারতের কথা কল্পনা করা হয়, এবং একটা স্বর্ণযুগের মিথ প্রচার করা হয়। এই মিথ বলে, ভারতবর্ষে তুর্কি আগমন ও দিল্লি সালতানাত একটা ডিজাস্টার ছিলো, মুসলিম শাসন ভারতীয়দেরকে পরাধীন করেছে। ব্রিটিশদেরকে হিন্দুত্ববাদীরা ভারতীয়দের ত্রাণকর্তা হিসেবে দেখে, মুঘলদের পতনকে দেখে মুসলিমদের পতন হিসেবে, ১৮৫৭ তাদের কাছে স্বাধীনতার বছর। পাকিস্তান আর বাংলাদেশ যে নানান ঐতিহাসিক কারণে স্বাধীন রাষ্ট্র এটা তারা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করার প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে মেনে নিলেও মন থেকে কখনোই বাস্তবতাটা মেনে নিতে পারে নি। এদের সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য পাকিস্তান আর বাংলাদেশ দখল করে নিয়ে একটা গ্রেটার ইন্ডিয়া তৈরি করা, সেই লক্ষ্যে এরা একটু একটু করে এগোচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ায় বড়ো ধরণের কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছে।
- ইরফানুর রাফিন
উৎস : ২৪ মে ২০১৯ তারিখের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
0000000000000000000000000000
গণবাণী ২৫৭ ২৫৮ ২৫৯
বাধ্য হয়ে দেশত্যাগের জন্য অন্য উদ্বাস্তুদের মতো আমিও মুসলিমদের দায়ী করতাম। বেশি বেশি করে বিশ্বাস করতাম গ্রাম লুণ্ঠন, নারী অপহরণ, আরো সব নানা খারাপ ঘটনার কথা। আমি আগেই বলেছি, এসব ঘটনা আমাদের গ্রামে ঘটেনি। দিন যেতে উপলব্ধি করলাম, প্রত্যেক জনজাতি তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে চায়। এই যে লাখে লাখে মানুষ এপারে চলে এল, তার মূল কারণ নিরাপত্তাহীনতা। ইজ্জত বাঁচানোর তাগিদ। ঘটনা এতটা ভয়াবহ ছিল না। হিন্দু-মুসলিম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুষ্কৃতিদের রোখা যেতে পারত। রাজনৈতিক পরিস্থিতি তা হতে দেয়নি। আমরাও বিশ্বাস রাখতে পারিনি প্রতিবেশী মুসলিমদের ওপর। কম হেয় জ্ঞান তো করিনি তাদের। ভয় ছিল, এবার বুঝি শোধ তুলবে। এপারে বছর পার হতে লাগল। মনে পড়ত আমাদের পরিবারকে ঘিরে থাকা মুসলিম মানুষগুলোর কথা। তারা কী পরিমাণ ভালোবাসতেন, শ্রদ্ধা-স্নেহ করতেন আমাদের। ধর্ম সেখানে কখনোই অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। এভাবে নিজেকে নিউট্রাল করতে ২০ বছর পার হয়ে গেল। নিরপেক্ষ হতে না পারা অবধি কোনো শিল্প সৃষ্টিতে হাত দেয়া উচিত নয়।
- অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
উৎস : সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের নেওয়া অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের `আমার গোটা জীবনটাই তো ভুলে ভরা’ শিরোনামের সাক্ষাৎকার ।
0000000000000000000000000000
গণবাণী ২৫৮
পাকিস্তানে জিয়াউল হক-এর নিপীড়নে প্রধান সহযোগী হয় জামায়াতে ইসলামী৷ বিশেষ করে মধ্যবিত্ত সমাজের মাঝে ক্রিয়াশীল এই দলটি জনগণের মাঝে আতঙ্কের রাজত্ব কায়েম করে৷ জামায়াতের সহযোগী ছাত্র সংগঠন ইসলামী জমিয়ত-ই-তালিবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রথম আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার চালু করে৷ সামরিক শাসনবিরোধী যে কোন ধরনের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক চর্চা বন্ধ করা থেকে শুরু করে সমাবেশে হামলা, অনুষ্ঠান ভন্ডুল, পুলিশের গুপ্তচরবৃত্তি প্রভৃতি কাজে দলটি প্রভূত কুখ্যাতি অর্জন করে৷ আলোচনা সভা, বিতর্ক অনুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, এমনকি মুশায়রার মত জনপ্রিয় অনুষ্ঠানও পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো থেকে লোপ পায়৷
- আসিফ ইকবাল
উৎস : রাষ্ট্রের ধর্মীয়করণ পাকিস্তানের ইসলামপন্থী রাজনীতির সঙ্কট : প্রথম পর্ব, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সম্পাদিত নতুন দিগন্ত পত্রিকার অক্টোবর – ডিসেম্বর ২০০৬ সংখ্যাতে প্রকাশিত।
0000000000000000000000000
গণবাণী ২৫৯
ইতিহাসের নির্মাতা ও নায়ক জনগণ। যত ত্যাগ, অর্জন আর গৌরবও জনগণের। ফরমায়েশি ইতিহাস কি বলে ?
-নঈম জাহাঙ্গীর
উৎস : ৮ অক্টোবর ২০১৭ তারিখের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৬০
ভারতের উচিত ছিল গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার মেনে নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটা স্থায়ী শান্তিচুক্তি করে নেওয়া। তখন পাকিস্তান ও ভারত সামরিক খাতে ব্যয় না করে দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ব্যয় করতে পারত। দুই দেশের জনগণও উপকৃত হত। ভারত যখন নিজদের গণতন্ত্রের পূজারী মনে করে তখন কাশ্মীরের জনগণের মতামত নিতে আপত্তি কেন করছে? এতে একদিন দুটিই দেশ এক ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হতে বাধ্য হবে।
-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
উৎস : কারাগারের রোজনামচা, পৃষ্ঠা - ১৫৯।
0000000000000000000000000000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৬১
Amazon is burning. The lungs of our planet is burning. Our very capacity of breathing is burning.
If you have children, or if you are going to have children, then their future is attacked. Attacked by those vultures of development who have no past to remember and no future to welcome. Attacked by the prisoners of eternal present.
If you are not outraged by this, personally, you are giving your own children a death penalty.
উৎস : ২১ অগাস্ট ২০১৯ তারিখের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
00000000000000000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৬২
বহুদিন পর্যন্ত তার পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিনিধিদের নিকট ইবনে সিনার মুখের কথাই ছিল আইনের মতো অনুকরণীয় ও সম্মানিত। তিনি তার জ্ঞান, বিদ্যা-বুদ্ধি, প্রাজ্ঞ দর্শন-চিন্তা, নিখুঁততা, প্রতিভা ও মনীষা সর্ববিষয়ে সকলের শ্রদ্ধেয় ও পরিচিত ছিলেন ।
-মোহাম্মদ সা'দাত আলী
উৎস : জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমান পৃষ্ঠা - ২১।
00000000000000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৬৩
কোনদিন যদি ভুলে যাস তুই আমাকে
শীস দিয়ে তবে ডাকিস দোয়েল-শ্যামাকে
করমচা বনে বুলবুলি মৌটুসী
উড়ে গিয়ে সেই খবরটা দেবে আমাকে।
-শামসুদ্দিন পেয়ারা
উৎস : ২০ অগাস্ট ২০১৯ তারিখের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
00000000000000000000000
গণবাণী ২৬৪
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে ৪/৫ লাখ ইংরেজের জীবন গিয়েছিল। আর, জাপানি আক্রমণের ভয়ে ১৯৪৩ সালে কৃষক সমাজের রোজগারের পথ বন্ধ করে দিয়ে ইংরেজ সরকার ও কিছুসংখ্যক অসাধু বাঙালি ব্যবসায়ী প্রাণ নিয়েছিল ২৫/৩০ লাখ বাঙালির! কি ভয়াবহ তথ্য !
- বিভুরঞ্জন সরকার
উৎস : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
00000000000000000000000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৬৫
ভারতকে উপব্ধি করতে হবে যে আমাদের স্বার্থেই পাকিস্তানকে ভেঙে দেয়া উচিত এবং এবারে আমরা যে সুযোগ পেয়েছি, সে ধরনের সুযোগ আসার আশু আর কোন সম্ভাবনা নেই।
-কে, সুব্রাহ্মনিয়াম
উৎস : ১৯৭১, পরাজয় ও আত্মসমর্পণের পাকিস্তানী মূল্যায়ন : জগলুল আলম, পৃষ্ঠা - ৬৩ ।
00000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৬৬
ইলেকট্রনিক মিডিয়া যতই তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে
সোসাল মিডিয়া ততই শক্তিশালী হয়ে উঠবে ।
-কবি তমিজ উদ্দীন লোদী
উৎস : ৩ অক্টোবর, ২০১৭ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
00000000000000000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৬৭
যে দেশে মায়ের গর্ভজাত সন্তানও আদর্শের ব্যাপারে একমত হয় না সেখানে রাহমান ও মাহমুদ অনেক ব্যাপারে ঐকমত্য প্রকাশ করেছেন। আবার একই বিষয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত কথাও বলেছেন। -
-নাসির আলী মামুন
উৎস : `শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, তফাৎ ও সাক্ষাৎ’ গ্রন্থের ভূমিকা থেকে।
000000000000000000000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৬৮
বাড়ির ফটকে ফলকের ওপরে বাড়ির মালিকের নামই লেখা থাকে । একদিন মালিক মারা যান। তখনও সেই নামফলক থেকে যায় আরও অনেকদিন। উত্তরাধিকারীরা আবেগবশত রেখে দেন সেই নামফলক, অন্তত যতদিন সম্পত্তি ভাগাভাগি না হয়।
-সৈয়দ তারিক
উৎস : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
0000000000000000000000000000
গণবাণী ২৬৯
দুর্নীতিবাজ সরকারি চাকুরে ও সিন্ডিকেটভুক্ত ব্যবসায়ীরা ছাড়া দেশের সব মানুষই স্তরভেদে আর্থিক সংকটে পড়েছে।
-জাহাঙ্গীর কবীর
উৎস : ১৩ অগাস্ট ২০১৯ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
0000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৭০
আমাদের সমাজে কিছু মানুষ আছে ব্যঞ্জনবর্ণ’র চন্দ্রবিন্দুর মতো, কারো না কারো কাঁধে ভর করা ছাড়া চলতেই পারে না।
-ডাঃ ছানাউল্লাহ্ নূরী
উৎস : ২০ অগাস্ট ২০১৯ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
00000000000000000000000000000
গণবাণী ২৭১
তিরিশ লক্ষ ফুলের সুবাস গায়ে-
তোমায় থামায় সাধ্যি কার এ গাঁয়ে?
- লালচানের ছড়া
উৎস : শাহ কামালের ২০ অগাস্ট ২০১৯ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
0000000000000000000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৭২
এই দেশে কি মানুষ থাকে/মানুষ থাকে না রে/নইলে হুলো চোখের পরে/লেজ নাড়তে পারে?/লেজ নাড়ছে বাগিয়ে গোফ/ওৎ পেতেছে ধরতে টোপ/টোপ ধরেছে ওই/ছাড়িয়ে আনার মানুষ কোথায়/তেমন মানুষ কই?
-আবু সালেহ
উৎস : পল্টনের ছড়া।
000000000
গণবাণী ২৭৩
রাজাদের মধ্যে যাঁরা উত্তম তাঁরা যান পণ্ডিতের কাছে । আর পণ্ডিতদের মধ্যে যাঁরা অধম তাঁরা যান রাজদরবারে।
-মওলানা রুমি
উৎস : রওশন জে চৌধুরীর ১৭ অগাস্ট ২০১৯ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
00000000000000000000000000000
গণবাণী ২৭৪
...যদি তুমি ফসল ফলাতে না জানো/যদি তুমি বৃষ্টি আনার মন্ত্র ভুলে যাও/তোমার স্বদেশ তাহলে মরুভূমি।/যে মানুষ গান গাইতে জানে না/যখন প্রলয় আসে, সে বোবা ও অন্ধ হয়ে যায়।/তুমি মাটির দিকে তাকাও, সে প্রতীক্ষা করছে,/তুমি মানুষের হাত ধরো, সে কিছু বলতে চায়।
-বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উৎস : জন্মভূমি আজ : মধুসূদন মিহির চক্রবর্তীর ২০ অগাস্ট ২০১৯ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে। |
0000000000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৭৫
তাহের উদ্দিন ঠাকুরের মনোভাব দেখে যারপরনাই বিস্মিত হলাম। বঙ্গবন্ধুর আহবানে চাকুরীর নিশ্চায়তা, প্রলোভন, নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা তুচ্ছ করে দেশের জন্য নিরস্ত্র জনগণের জীবন রক্ষায় যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লাম, আর একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এই লোক বলছে ``Who told you to revolt!"
-কর্নেল শাফায়াৎ জামিল
উৎস : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, রক্তাক্ত মধ্য-আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর - পৃষ্ঠা-৩৭
0000000000000000000000000000000000000000
গণবাণী ২৭৬
সমগ্র সমাজকে ঠায় দাঁড় করিয়ে রেখে, বঞ্চিত করে. কিছু বাছাইকৃত মানুষের বাড়তি সুবিধার নামই 'ভিআইপি কালচার'।
ভিআইপি মানসিকতা কার্যত উপনিবেশকালের একটা রোগ। অসুস্থতা। এটা আসলে ভিন্ন নামে বর্ণপ্রথা।
-আলতাফ পারভেজ
উৎস : ৩০ জুলাই ২০১৯ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।