পিপস (PIPS) এবং পিপেটিস (PIPETTES) কি ?
লট (LOT) বা ভলিউম (VOLUME) কি ?
লিভারেজ (LEVERAGE) কি ?
টাইমফ্রেম কি ?
ফরেক্স কোটেশন কি ?
লং / সর্ট (LONG/SHORT) কি ?
বিড / আস্ক (BID/ASK) কি ?
স্প্রেড (SPREAD) কি ?
স্ক্যালপিং (SCALPING) কি ?
স্লিপেজ (SLIPPAGE) কি ?
ব্যালেন্স (BALANCE) কি ?
ইকুইটি (EQUITY) কি ?
মার্জিন (MARGIN) কি ?
স্টপ লস (Stop Loss বা SL) ও টেক প্রফিট (Take Profit বা TP) কি ?
পিপস (Pips) : ফরেক্স মার্কেটে কোন কারেন্সি পেয়ারের দশমিকের পরে ৪র্থ সংখ্যার প্রতি এক একক পরিবর্তন বা মুভমেন্টকে পিপ বলে । পিপস হচ্ছে PIP এর বহুবচন, যেমনঃ Market has changed 120 pips today । অর্থাৎ, মার্কেট আজকে ১২০ পিপস পরিবর্তিত হয়েছে । অনেকে পিপস কে পয়েন্ট ও বলে । তবে আন্তর্জাতিকভাবে pips ই বহুল প্রচলিত । পিপস কি, তা বুঝতেই অধিকাংশ মানুষ প্রচুর সময় ব্যয় করে ফেলে । দেখা যাক, আমরা কিছু উদহারনের সাহায্যে সহজ করে শিখতে পারি কিনা ।
আপনি আপনার টার্মিনাল (আপনার ব্রোকার প্রদত্ত ট্রেড করার সফটওয়ার) টি ওপেন করলেন । দেখলেন, EUR/USD ছিল ১.৪৩৪০ এবং বর্তমানে তা ১.৪৩৪৫ । কত পিপস পরিবর্তন হল ? বের করার নিয়মঃ বেশি – কম = ১.৪৩৪৫ – ১.৪৩৪০ = ০.০০০৫ । আমি আগেই বলেছি পিপস গণনা শুরু হয়, দশমিকের পর চার নাম্বার সংখ্যা থেকে । ভুলে যান দশমিক, আসুন সহজ করে হিসাব করিঃ ৪৩৪৫-৪৩৪০ = ৫ অর্থাৎ, মার্কেট ৫ পিপস পরিবর্তিত হয়েছে । তাহলে এবার বলুন –
উদহারন :
(১) GBB/USD ১.৫৬৩০ থেকে ১.৫৬৩৯ তে গেল । মার্কেট কত পিপস মুভ করল ? ৫৬৩৯-৫৬৩০ = ৯ পিপস ।
আরও কিছু মার্কেট মুভমেন্ট (EUR/USD)
আগে ছিল ১.৩৪৫০, বর্তমানে ১.৩৪৩২ : : ৩৪৫০ – ৩৪৩২ = ১৮ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট
আগে ছিল ১.৩৪৫০, বর্তমানে ১.৩৫৫০ : : ৩৫৫০ – ৩৪৫০ = ১০০ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট ।
আগে ছিল ১.৩৭৫০, বর্তমানে ১.৩৪৩২ : : ৩৭৫০ – ৩৪৩২ = ৩১৮ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট ।
আগে ছিল ১.৪৪৫০, বর্তমানে ১.৩৪৫০ : : ৪৪৫০ – ৩৪৫০ = ১০০০ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট ।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন। নিজেকে টেস্ট করে নিন –
ধাঁধা : EUR/USD আগে ছিল ১.৩৫৭০, বর্তমানে ১.৩৫৫০ । মার্কেট কত পিপস মুভ করল ? যদি পারেন তাহলে বুঝবেন আপনি ঠিক পথেই এগোচ্ছেন
(২) USD/JPY ইয়েন হিসাব –
ফরেক্স মার্কেটে ইয়েন কারেন্সি পেয়ারের দশমিকের পরে ৩য় সংখ্যার প্রতি এক একক পরিবর্তন বা মুভমেন্টকে পিপ বলে । ইয়েনে পিপসের হিসাব গুলো উদাহরন ১নং এর মতই । শধুমাত্র পাথক্য হলো ইয়েনে দশমিকের পর ৩য় সংখ্যাটি দ্বারাই পিপসের হিসাব করা হয়।
যেমন – আগে ছিল ১০৯.২৪০, বতমানে ১০৯.২১০ : : ২৪০-২১০ = ৩০ পিপস মাকেট মুভমেন্ট।
(3) XAUUSD (GOLD) হিসাব –
ফরেক্স মার্কেটে গোল্ড কারেন্সি পেয়ারের দশমিকের পরে ২য় সংখ্যার প্রতি এক একক পরিবর্তন বা মুভমেন্টকে পিপ বলে । গোল্ড পিপসের হিসাব গুলো উদাহরন ১নং বা ২ নং এর মতই । শধুমাত্র পাথক্য হলো গোল্ডে দশমিকের পর ২য় সংখ্যাটি দ্বারাই পিপসের হিসাব করা হয়।
যেমন – আগে ছিল ১৩০১.৬০, বতমানে ১৩০১.১৫ : : ৬০-১৫ = ৪৫ পিপস মাকেট মুভমেন্ট।
পিপস সম্পর্কে স্বছ ধারণা থাকা প্রয়োজন, কেননা ফরেক্স মার্কেটের মুভমেন্ট পিপস এর সাহায্যে গণনা করা হয় । প্রায়শই শুনবেন ইউরো/উ.এস.ডি আজকে ২০০ পিপস বেড়েছে । মার্কেট খুব মুভ করছে, ৫ মিনিটেই ১০০ পিপস বেড়েছে ইত্যাদি ।
PIPETTES (পিপেটিস) : কিছু কিছু ব্রোকারে প্রাইস দশমিকের পরে ৫ ডিজিট থাকে । যেমনঃ ১.৪২৫৬১. এই পঞ্চম ডিজিট তাই হল পিপেটি । সুতরাং প্রাইস যদি ১.৪২৫৬১ থেকে ১.৪২৬৬৭ এ যায়, তবে বুঝতে হবে ১০ পিপস ৬ পিপেটিস বেড়েছে অথবা ১০৬ পিপেটিস পরিবর্তন হয়েছে
লট ব্যাপারটি অনেক সহজ । কিন্তু আপনি যখন ইউনিটের হিসাবে যাবেন, তখন তা আপনার কাছে জটিল মনে হবে । তাই আমরা এখানে ইউনিটের হিসাবে যাব না বরং সহজ ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করবো । ফরেক্স মার্কেটে আমরা প্রতি পিপস মুভমেন্টে লাভ করতে পারি । অর্থাৎ প্রাইস ১.১৭১০ থেকে ১.১৭২০ এ গেলে আমাদের ১০ পিপস লাভ বা লস হবে । লট/ভলিউমের মাধ্যমে আমরা নির্ধারণ করে দিবো যে প্রতি পিপস আমাদের অনুকূলে বা প্রতিকূলে গেলে আমাদের কি পরিমান লাভ বা লস হবে ।
ফরেক্স ব্রোকারদের আমরা সুবিধার জন্য ৩ ভাগে ভাগ করছি ।
১. স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার
২. মিনি লট ব্রোকার
৩. মাইক্রো লট ব্রোকার
স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে ১ লট = $১০/পিপস । কিন্তু মিনি লট ব্রোকারে ১ লট = $১/পিপস । আর মাইক্রো লট ব্রোকারে ১০ লট = $১/পিপস । তারমানে, আপনি স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $১০x১০=$১০০ । অনুরুপ লস হলেও $১০০ হবে ।
কিন্তু, আপনি মিনি লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $১x১০=$১০ । অনুরুপ লস হলেও $১০ হবে ।
আর, আপনি মাইক্রো লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $০.১x১০=$১ । অনুরুপ লস হলেও $১ হবে ।
নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন স্ট্যান্ডার্ড লট, মিনি লট এবং মাইক্রো লটের পার্থক্য । ব্রোকাররা তাদের সুবিধা মত লট সাইজ ঠিক করে । অধিকাংশ ব্রোকার আপনাকে সর্বনিম্ন ০.০১ লটে ট্রেড করতে দিবে । অর্থাৎ, স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ১০ সেন্ট । কিন্তু মিনি লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ১ সেন্ট । আর মাইক্রো লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ০.১ সেন্ট । সুতরাং আপনার ক্যাপিটাল যদি কম হয়ে থাকে, তাহলে আপনি মিনি লট বা মাইক্রো লট ব্রোকারে কম রিস্ক নিয়ে ট্রেড করতে পারবেন । শুধু যে আপনি ১ লট, ০.১ লট অথবা ০.০১ লটে ট্রেড করতে পারবেন তাই নয়, আপনি চাইলে ২.৫ লট, ১.৩ লট এরকম কাস্টম লটেও ট্রেড করতে পারেন ।
ট্রেডিং পয়েন্টের মাইক্রো অ্যাকাউন্টে আপনি মাইক্রো লটে ট্রেড করতে পারবেন । Instaforex, Hotforex ইত্যাদি ব্রোকারগুলো মিনি লট ব্রোকার । FBS, Fxoptimax ইত্যাদি ব্রোকারগুলো স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার । আপনি যদি না জানেন আপনার ব্রোকারটি মাইক্রো লট, মিনি লট না ষ্ট্যাণ্ডার্ড লট, তাহলে ব্রোকারের লাইভ সাপোর্টে প্রশ্ন করুন । অনেক সময় তাদের ওয়েবসাইটেও দেয়া থাকে । অথবা তাদের সাথে একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলে ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করুন । যদি দেখেন যে প্রতি পিপস পরিবর্তনে $১০ ডলার করে লাভ বা লস হচ্ছে তবে বুঝবেন এটা স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার । আর যদি দেখেন যে $১ ডলার করে পরিবর্তন হচ্ছে, তাহলে বুঝবেন এটা মিনি লট ব্রোকার । ১০ সেন্ট করে পরিবর্তন হলে বুঝবেন তা মাইক্রো লট ব্রোকার । কিছু কিছু ব্রোকারে আবার একেক অ্যাকাউন্ট টাইপে একেক রকম লট সাইজ থাকে।
আমরা শেয়ার বাজারে যেমন শেয়ার কেনার সময় লট হিসেব করি, অর্থাৎ কতটি শেয়ার একটি লট তার হিসেব করি । ভলিউম বলতে এক লটে কতটি মুদ্রা ক্রয় বা বিক্রয় হবে তার পরিমাণকে বুঝায় । এক ভলিউম অর্থ ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) ইউনিট । কিন্তু এখানে লক্ষণীয় যে, ইউরো/ইউএসডি তে ১.৩৮৪১ মূল্যে ১ ভলিউম ট্রেড দিলে ডলারের প্রয়োজন হয় = ১.৩৮৪১ x ১০০০০০ = ১৩৮৪১০ ডলার । কিন্তু আমাদের একাউন্টে এত ডলার না থাকলেও ১ ভলিউম ট্ট্রেড দিতে পারি কেন ?
আমরা যখন একাউন্ট খুলি তখন লিভারেজ বলে একটি বিষয় নির্বাচন করতে হয় । লিভারেজ = ১:১০০, ১: ৫০০, ১:১০০০ ইত্যাদির যে কোন একটি নির্বাচন করতে হয় । এর অর্থ একাউন্ট হোল্ডার ১ ডলারের ট্রেড দিলে তার সাথে ব্রোকার প্রতিষ্ঠান উক্ত ১০০ গুন / ৫০০ গুন / ১০০০ গুন ডলার বিনিয়োগ করবে । অর্থাৎ আপনার লিভারেজ যদি ১:১০০০ হয় তবে আপনি যত ডলারের ট্রেড করবেন তার ১০০০ গুন ডলার ব্রোকার কোম্পানি লোন হিসেবে আপনাকে দিবে । তাই ১.৩৮৪১ মূল্যে ১ ভলিউম ট্রেড দিলে আপনার নিজস্ব ডলার লাগবে (১.৩৮৪১ x ১০০০০০) / ১০০০ = ১৩৮.৪১ ডলার ।
ফরেক্সের লিভারেজ আর শেয়ারের লোন প্রায় একই বিষয় । তবে শেয়ারে দ্বিগুণের বেশি লোন দেয়া হয় না । কিন্তু ফরেক্সে আপনার পুঁজির ১০০০ গুণ পর্যন্ত লোন বা লিভারেজ পাওয়া সম্ভব । লিভারেজ ১:২০০ বলতে বোঝায় মূল পুঁজির ২০০ গুণ লিভারেজ । যদি আপনার একাউন্টে ১০০ ডলার থাকে এবং আপনি ব্রোকার প্রদত্ত ১:১০০ লিভারেজ সুবিধা গ্রহণ করেন, তবে আপনার পুঁজি ১০০ ডলার, কিন্তু আপনি বিনিয়োগ করলেন ১০০০০ ডলার সমমূল্য ।
ভালোই তো ভালো না, যদি ২০০ গুন পর্যন্ত লোন পাই, তাহলে নিবো না কেন ? স্টক মার্কেটে তো১:২ লোনই দিতে চায় না । ধরুন, আপনি ১০ ডলার ডিপোজিট করলেন, ঠিক করলেন লিভারেজ ব্যাবহার করবেন না । সেক্ষেত্রে, ব্রোকার আপনাকে বড় সাইজের কোন ট্রেড ওপেন করতে দিবে না । ওই ১০ ডলার দিয়ে যতটুকু বড় ট্রেড ওপেন করা যায়, ঠিক ততটুকুই ট্রেড ওপেন করতে দিবে । সেক্ষেত্রে, মার্কেট আপনার অনুকুলে ৫০ পিপস মুভ করলে হয়ত আপনার ১ ডলার লাভ হবে । সাধারনত বিভিন্ন কারেন্সি পেয়ার প্রতিদিন ১০০-৩০০ পিপস মুভ করে । তো আপনি ভাবলেন, লোন নিবেন ও আরও বড় ট্রেড ওপেন করবেন যাতে লাভ বেশি হয় । আপনাকে যদি কোন ব্রোকার ১:২০০ লিভারেজ অফার করে, তাহলে আপনি ইচ্ছা করলে ১০ ডলার দিয়ে ২০০০ ডলার ট্রেড করতে পারবেন । আর তাই, আগে যা লাভ হতো, এখন তার থেকে ২০০ গুন বেশি লাভ হবে । একইভাবে, আগে যা লস হতো, এখন তার ২০০ গুন বেশি হবে । যদি আগে মার্কেট আপনার অনুকুলে ৫০ পিপস মুভ করলে ১ ডলার লাভ হতো, এখন তাহলে ২০০ ডলার লাভ হবে । ব্রোকার লোন আপনাকে ঠিকই দিবে । লাভ হলে তো ভালোই, লস এর ক্ষেত্রে আপনার লস যদি কোন সময় আপনার ক্যাপিটাল এর সমান হয়, তাহলে সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ট্রেড ক্লোজ হয়ে যাবে। ব্রোকার কোন অবস্থাতেই আপনার যা ক্যাপিটাল আছে, তার থেকে বেশি লসে আপনার ট্রেড চলতে দিবে না । এইটাকে ফরেক্সে মার্জিন কল বলে, বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে বলে ফোর্সড সেল ।
ভাই, এইটা তো ভয়ানক কথা বললেন । বেশি লিভারেজ ব্যাবহার করে ট্রেড ওপেন করতে গিয়েআমার লস যদি ক্যাপিটাল এর সমান হয়, তাহলে কি ফতুর হয়ে যাব নাকি ?
সোজা বাংলা কথায়, হ্যা । সুতরাং, লিভারেজ যাই সেট করুন না কেন, ট্রেড খোলার সময় কখনই ব্যালেন্স এর অনুপাতে বেশি বড় ট্রেড খুলবেন না । কিছু মানুষ বলে যে ফরেক্স নাকি একদিনেই ক্যাপিটাল দুই গুন, তিন গুন করা সম্ভভ । ভাগ্য থাকলে অবশই সম্ভব । কিন্তু এভাবে ঝুকি নিয়ে ট্রেড করলে ধরা একদিন না একদিন খেতেই হবে ।
কথায় আছে, আমেরিকা যার বন্ধু হয়, তার কোনো শত্রুর দরকার হয় না । কথাটা নেহায়েত মিথ্যা নয় । খুব বেশি কস্ট করতে হবে না, পাশের দেশ পাকিস্তানই একটা জলন্ত উদাহরন । তাই বলে কি আমরা যেচে পড়ে আমেরিকাকে শত্রু বানাবো ? বর্তমান পরিস্থিতিতে, নিশ্চয়ই নয় ।
ফরেক্স মার্কেটে লিভারেজ অনেকটা আমেরিকার মতই । বেশি লিভারেজ যেমন ভাল না, তেমনি আবার লিভারেজ ছাড়া আমাদের চলেও না । তাহলে জেনে নেয়া যাক, লিভারেজ এমন কি জিনিস যেটা ছাড়া ফরেক্সে চলা সম্ভব না ? (হয়ত সম্ভব, কিন্তু খুব কঠিন । অনেকটা আমেরিকার অবরোধের সাথে যুদ্ধ করার মতো) ।
তার আগে জানুন লিভারেজ কেন দরকার । আপনি যদি ফরেক্সে নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে এটাও বুঝবেন লিভারেজ কি জিনিস । ফরেক্স মার্কেটের একটা বড় সমস্যা হলো (সমস্যা মানে আমাদের ট্রেডারদের জন্য সমস্যা) প্রতিদিনকার মার্কেট মুভমেন্ট খুবই কম । আপনি পিপস হিসাব করতে শিখেছেন । কখনও কি খেয়াল করে দেখেছেন মার্কেট একদিনে কত পারসেন্ট মুভ করে ? ঝটপট কিছু অঙ্ক করে নেই । ধরুন, কোনো একদিন EUR/USD এর সর্বনিম্ন প্রাইস ছিল ১.২২০৫ ও দিনের সর্বোচ্চ প্রাইস ছিল ১.২৩২৫ (১২০ পিপস) । তাহলে, মার্কেটের শতকরা সর্বোচ্চ পরিবর্তন কত ছিল ? খুব সহজভাবে হিসাব করলে, (১.২৩২৫-১.২২০৫)/১.২২০৫ অথবা ০.০০৯৮ অথবা ০.৯৮ পারসেন্ট । এই হিসাবটা করা হয়েছে সর্বোচ্চ মুভমেন্ট ধরে । প্রকৃত মুভমেন্ট হবে আরও কম এবং ((দিন শুরুর প্রাইস – দিন শেষের প্রাইস)/দিন শুরুর প্রাইস) যা এর থেকে আরও কম ।
এই হিসাবটা দেখালাম শুধুমাত্র একটি কারনে । তাহলো ফরেক্স মার্কেটের প্রতিদিনকার মুভমেন্ট যে অনেক কম তা দেখানোর জন্য । অধিকাংশ পপুলার পেয়ারই প্রতিদিন ১-২ শতাংশ বা তার কম মুভমেন্ট করে । ঢাকা স্টক মার্কেটের দিকে একবার তাকান, প্রতিদিন স্টকের দাম করে ৫%-১০% এমনকি আরও বেশি বাড়ে বা কমে । আমরা ফরেক্সে হিসাব করি পিপস দিয়ে । ২-৩ শতাংশ মার্কেট মুভমেন্ট হলেই অধিকাংশ পেয়ার ৩০০-৪০০ পিপস বেড়ে যায় । আর তাই অনেক মনে হয় আমাদের কাছে ।
তাতে আমার সমস্যা কি ? ভেবে দেখুন, আপনি ১০০০ হাজার টাকা দিয়ে কিছু কিনলেন পরে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য । এখন এই জিনিসের দাম প্রতিদিন ১-২ টাকা করে বাড়লে/কমলে ভালো নাকি ১০-২০ টাকা করে বাড়লে/কমলে ভালো ? উঠানামা যত বেশি হবে, আপনি ততো বেশি লাভ করতে পারবেন যদিও লসটাও একটু বেশিই হবে । কিন্তু, লস যতই হোক, ফতুর তো আর হবেন না । কারন, ওই জিনিসের দাম তো কখনো শূন্য হবে না । আর চাইলেই আপনি একটা নির্দিষ্ট দামের কমে তা বিক্রি করে দিতে পারবেন অথবা দাম বাড়ার সময়, কাঙ্খিত দাম না বাড়া পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারবেন । সুতরাং, দ্রুত বাড়লে কমলেই আপনার লাভ ।
ফরেক্স মার্কেটের কম মুভমেন্টের জন্য যেহেতু নিজের টাকায় খুব বেশি লাভ করা সম্ভব না, তাই অধিকাংশ ট্রেডারই ফরেক্সে লিভারেজ ব্যবহার করে যার অপর নাম ঋণ অথবা লোন এবং যেটা সব ফরেক্স ব্রোকারই অফার করে । এর ফলে অল্প মার্কেট মুভমেন্টে আমাদের বেশি লস/লাভের সুযোগ তৈরি করে । (লসটা আগে লিখলাম কারন ফরেক্সে এই জিনিসটাই সবাই বেশি করে) । সুতরাং, আপনার ক্যাপিটাল যদি ১০০০ ডলার হয় আর আপনি যদি প্রতিদিন ০.৫০ পারসেন্ট মার্কেট মুভমেন্ট ধরতে পারেন, তাহলে আপনি শুধু নিজের টাকা দিয়ে ট্রেড করলে লাভ হবে ৪.৯-৫ ডলার । এটা খুবই কম । কেনোনা এভাবে আপনাকে প্রায় ২০০ ট্রেড উইন করতে হবে (লাভ থেকে সব লসিং ট্রেড বাদ দিয়ে ২০০ ট্রেড হতে হবে, উদাহরণস্বরূপ ৫০০ উইন, ৩০০ লসিং ট্রেড = ৮০০ ট্রেড) ব্যালেন্স দ্বিগুণ করার জন্য । আপনি যদি ১:১০ লিভারেজ ব্যবহার করেন (১০ গুন ঋণ), তাহলে একই ক্যাপিটাল এ আপনার প্রফিট হবে ৫০ ডলার । আপনি যদি মনে করেন, এটাও কম, তাহলে ১:১০০ লিভারেজ ব্যবহারে আপনার লাভ হবে ২০০ ডলার একই ট্রেডে । ২০০ ডলার প্রফিট শুধুমাত্র একটা ট্রেডে ? তাও আবার মাত্র ১০০০ ডলারে ? এর থেকে তো ১:১০০০ ব্যবহার করা ভালো । এক ট্রেডেই জিতলে কম্ম খতম। অ্যাকাউন্ট তিনগুন ! এরকম লাভের কথা ভাবতে ভালই লাগে । তার আগে জেনে নিন DSE তে শুধুমাত্র ১:২ লিভারেজ ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারী ফতুর হয়ে গেছে । আর আপনি নিতে চান ১ টাকা মূলধনে ১০০০ টাকা ঋণ ? সইতে পারবেন তো ? প্রায় প্রত্যেক ট্রেডারই এটা সইতে পারে না । যার ফলাফল, হার্ট অ্যাটাক মানে অ্যাকাউন্ট জিরো । অতিরিক্ত লিভারেজ ব্যবহার করা ৯৯ শতাংশ ট্রেডারের ফতুর হওয়ার একমাত্র কারন । ভেবে দেখুন, আপনি কি ট্রেডিং শিখেছেন বলে মনে করেন যে ১ টাকায় ১০০০ টাকা ঋণ নেয়ার সাহস করবেন?
তাহলে কতো লিভারেজ ব্যবহার করা ভালো ? নির্ভর করে কত দ্রুত আপনি আপনার ব্যালান্স বৃদ্ধি করতে চান । বর্তমান প্রাইস (১.২২৭৮) এ EUR/USD তে ০.০১ স্ট্যান্ডার্ড লটে (পার পিপস ১০ সেন্ট করে) একটা বাই ট্রেড দিতে আপনার লাগবে ১২২৭.৯৬ ডলার । পার ট্রেডে ৫০ পিপস লাভ করলে, লাভ হবে ৫ ডলার। অ্যাকাউন্ট দ্বিগুণ করতে লসিং ট্রেড থেকে ২৪০ উইনিং ট্রেড এরও বেশি প্রয়োজন হবে, দরকার হবে ১২,২৭০ পিপস । এভাবে ট্রেড করলে, আপনি কোনোদিন ফতুর হবেন না । (শর্ত প্রযোজ্যঃ এই প্রাইসেই কিনতে হবে। প্রাইস যত বাড়বে, তত বেশি ক্যাপিটাল লাগবে) । ফরেক্সে আর ফতুর হতে চান না ? তাহলে একবার ১:১ লিভারেজ ব্যবহার করে দেখুন না কি হয় । যদিও এর জন্য কিছুটা বড় ক্যাপিটাল দরকার ।
ক্যাপিটাল মাঝারি হলে ১:১০
ক্যাপিটাল ছোট হলে ১:৫০
সর্বোচ্চ ১:১০০ ব্যবহার করতে পারেন ।
যদি লিভারেজ নিয়ে জটিল হিসাবে যেতে না চান, সবসময় অ্যাকাউন্ট এর ১-৫% রিস্ক নিন প্রতিটি ট্রেডে । মানে, ১০০০ ডলার ক্যাপিটাল এ ১০-৫০ ডলার রিস্ক প্রতি ট্রেডে । ১-৩% যথেষ্ট নিরাপদ । তাহলে আর আপনাকে লিভারেজ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না । এটাই নিশ্চিত করবে যে, আপনি কম লিভারেজ নিয়ে ট্রেড করছেন ।
মনে রাখবেন, আমেরিকা বা লিভারেজ ছাড়া আমাদের চলবে না । আর তাই একে শত্রু না ভেবে নিরাপদ দূরত্বে থাকাই উত্তম । আর যদি প্রিয় বন্ধু ভেবে কাছে টানতে চান, তাহলেই …… ।
টাইমফ্রেমের মাধ্যমে আমরা কোন নির্দিষ্ট ৫ মিনিট, ১৫ মিনিট, ১ ঘন্টা, ১ সপ্তাহ বা ১ মাসে প্রাইস সর্বোচ্চ কত বেড়েছিল বা কমেছিল ইত্যাদি আমরা জানতে পারি । যদি আমরা ১টি ৫ মিনিটের ক্যানডেল দেখি, তাহলে তা থেকে আমরা বুঝতে পারবো :
কোন প্রাইসে ক্যানডেলটি শুরু হয়েছে
কোন প্রাইসে ক্যানডেলটি ক্লোজ হয়েছে
প্রাইস ঐ ৫ মিনিতে সর্বোচ্চ কত বেড়েছিল
প্রাইস ঐ ৫ মিনিতে সর্বনিম্ন কত কমেছিল
সাধারনত নিম্নোক্ত টাইমফ্রেমগুলো বেশী ইউজ হয় কারন এগুলো মেটাট্রেডার ৪ এ দেয়া আছে । কিন্তু মেটাট্রেডার ৫ এ আপনি আরও কাস্টম টাইমফ্রেম ব্যবহার করতে পারবেন ।
এটা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের ট্রেড করতে চান তার উপর । আপনি যদি স্ক্যাল্পিং পছন্দ করেন তবে আপনার উচিত M1, M5 অথবা M15 এ ট্রেড করা । আপনি যদি সাধারন কিংবা একটু লং টার্ম ট্রেড করতে চান, তবে আপনার M30, H1 অথবা H4 এ ট্রেড করা উচিত । সুইং বা পজিশন ট্রেড করতে আগ্রহী হলে আপনার সপ্তাহ অথবা মাসের টাইমফ্রেমগুলোকে অ্যানালাইসিস করা উচিত ।
প্রতিটি ট্রেডে আপনি একই সাথে একটি কারেন্সি কিনেন এবং আরেকটি বিক্রি করেন । তাই ফরেক্স মার্কেটে কারেন্সি পেয়ারের দাম কোটেশন এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় ।
GBP/USD এর ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট নিম্নরূপঃ
নিম্নের চিত্রের দিকে লক্ষ্য করুন । স্লাশ (/) এর আগের কারেন্সিকে বলা হয় বেস (Base) কারেন্সি এবং স্লাশ (/) এর পরের কারেন্সিকে বলা হয় কিউটো (Quote) কারেন্সি ।
এখানে GBP হলো বেস (Base) কারেন্সি এবং USD হলো কিউটো (Quote) কারেন্সি ।
বাই (buy) করার সময়, এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে ১ ইউনিট বেস কারেন্সি কেনার জন্য কত ইউনিট কিউটো কারেন্সি দিতে হবে । উদাহারনস্বরূপঃ ১ ব্রিটিশ পাউন্ড কেনার জন্য ১.৫১২৫ ইউ. এস. ডলার দিতে হবে।
সেল (sell) করার সময়, এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে ১ ইউনিট বেস কারেন্সি সেল করলে কত ইউনিট কিউটো কারেন্সি পাওয়া যাবে । উদাহারনস্বরূপঃ ১ ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রি করলে আপনি ১.৫১২৫ ইউ. এস. ডলার পাবেন ।
বেস কারেন্সি হলো বাই ও সেল এর মূল ভিত্তি । যদি আপনি EUR/USD বাই করেন, তবে আপনি বেস কারেন্সি EUR কিনছেন এবং একই সাথে কিউটো কারেন্সি USD বিক্রি করছেন । সহজ কথায়, EUR কেনা, USD বিক্রি করা ।
আপনি কারেন্সি পেয়ারটি বাই করবেন যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে, কিউটো কারেন্সির তুলনায় বেস কারেন্সি শক্তিশালী হবে । এর আপনি সেল করবেন যদি আপনি মনে করেন কিউটো কারেন্সির তুলনায় বেস কারেন্সি দুর্বল হয়ে যাবে ।
প্রথমে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি বাই করবেন না সেল করবেন । আপনি যদি বাই করতে চান (বেস কারেন্সি কেনা এবং কিউটো কারেন্সি বিক্রি করা), তার মানে আপনি চাচ্ছেন বেস কারেন্সির দাম বেড়ে যাক এবং আপনি সেটা বিক্রি করে দিবেন আরও বেশি দামে । ট্রেডারদের ভাষায় একে বলে লং (Long) অথবা লং পজিশন নেয়া । মনে রাখবেন, লং = বাই (Long = Buy ) ।
আপনি যদি সেল করতে চান (বেস কারেন্সি বিক্রি করা এবং কিউটো কারেন্সি কেনা), তার মানে আপনি চাচ্ছেন বেস কারেন্সির দাম কমে যাক এবং আপনি সেটা কিনবেন আরও কম দামে । ট্রেডারদের ভাষায় একে বলে শর্ট (Short) অথবা শর্ট পজিশন নেয়া । মনে রাখবেন, শর্ট = সেল (Short = Sell) ।
সব ফরেক্স কোটেশনে ২ টি প্রাইস দেখান হয় । বিড এবং আস্ক । প্রায় সব ক্ষেত্রে বিড প্রাইস, আস্ক প্রাইস থেকে কম হয় । বিড হল এমন একটি প্রাইস যে দামে ব্রোকার কিউটো কারেন্সির পরিবর্তে বেস কারেন্সি কিনতে চায় । অর্থাৎ, সেল করার জন্য বিড হল সবচেয়ে ভাল প্রাইস । আস্ক হল এমন একটি প্রাইস যে দামে ব্রোকার কিউটো কারেন্সির পরিবর্তে বেস কারেন্সি বিক্রি করতে চায় । অর্থাৎ, বাই করার জন্য আস্ক হল সবচেয়ে ভাল প্রাইস । বিড এবং আস্ক এর পার্থক্যই স্প্রেড (spread) নামে পরিচিত ।
EUR/USD -র নিচের কোটেশনে বিড প্রাইস হল 1.3456 এবং আস্ক প্রাইস হল 1.3458 । আপনি যদি সেল ক্লিক করেন তবে আপনি 1.3456 -এ সেল করবেন । আর যদি বাই ক্লিক করেন, তবে আপনি 1.3458 -এ বাই করবেন ।
বিড এবং আস্ক রেইট এর মধ্যবর্তী পরিবর্তনই হল স্প্রেড । আপনি একটি ট্রেড ওপেন করলেই দেখবেন ট্রেডটি কিছুটা লসে ওপেন হবে । এটাকেই স্প্রেড বলে । ফরেক্স ব্রোকার একটি ট্রেড ওপেন করার জন্য এই ফি কমিশন বা চার্জ হিসেবে কেটে নেয় । ধরুন, আপনি ১.৭৪৪৫ এ GBPUSD বাই করলেন, কিন্তু তা ১.৭৪৪৮ এ ওপেন হবে অর্থাৎ ৩ পিপস ফি প্রযোজ্য হয়েছে । আপনি যদি $১ পিপস ভ্যালু দিয়ে ট্রেড ওপেন করে থাকেন তবে ট্রেডটি $৩ লসে ওপেন হবে ।
বিভিন্ন পেয়ারের স্প্রেড বিভিন্ন হয় । আবার বিভিন্ন ব্রোকার ভেদেও স্প্রেড কম বেশি হতে পারে । যেমন Instaforex এ EURUSD এর স্প্রেড ৩ পিপস । কিন্তু Fxoptimax এ EURUSD এর স্প্রেড ২ পিপস । কিছু কিছু পেয়ার এ স্প্রেড ৩০ পিপস পর্যন্ত বা তার বেশী হতে পারে । তাই অপরিচিত পেয়ার ট্রেড করার আগে স্প্রেড কত তা দেখা নেয়া উচিত ।
স্প্রেড ২ প্রকার । যথা –
১. স্থায়ী (Fixed) স্প্রেড
২. পরিবর্তনশীল (Variable) স্প্রেড ।
১. স্থায়ী (Fixed) স্প্রেড : স্থায়ী/নির্দিষ্ট স্প্রেড মানেই হলো অপরিবর্তিত স্প্রেড যা কখনো পরিবর্তন হয় না । আর স্থায়ী/নির্দিষ্ট স্প্রেডে পিপসের পরিমান নির্ভর করবে আপনার ব্রোকারের উপর ।
২. পরিবর্তনশীল (Variable) স্প্রেড : অপরদিকে পরিবর্তনশীল স্প্রেড হলো, এ ধরনের স্প্রেড যা পরিবর্তন হয়ে থাকে আর সেটা নির্ভর করে ফরেক্স মার্কেটের উপর । অর্থাৎ, একটি পরিবর্তনশীল স্প্রেডে একটি পেয়ারে ক্রয় এবং বিক্রয় মুল্যের মধ্যে যে পরিমান Fluctuates হয় তার উপরই পরিবর্তনশীল স্প্রেডে পিপসের পরিমান নির্ভর করে । পরিবর্তনশীল স্প্রেডকে Floating ও বলা হয় ।
@ স্থায়ী এবং পরিবর্তনশীল স্প্রেড এর মধ্যে মূল পার্থক্য হলো : স্থায়ী/নির্দিষ্ট স্প্রেড সাধারণত পরিবর্তনশীল স্প্রেড এর থেকে অনেক ভাল এবং সেইভ হয় । আসুন এ দু-রকমের স্প্রেডের পার্থক্যটা উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নিই । EUR/USD পেয়ার ট্রেডিং এর জন্য স্থায়ী/নির্দিষ্ট স্প্রেড হয় ২-৩পিপ্স বা আপনার ব্রোকার যা রেখেছে । স্থায়ী/নির্দিষ্ট স্প্রেডে যদি উক্ত পেয়ারটি অবিশ্বাস্যভাবে পরিবর্তন বা Fluctuates হয় তারপরও স্প্রেডের কোনো প্রকার পরিবর্তন হবে না । অন্যদিকে পরিবর্তনশীল স্প্রেডে EUR/USD পেয়ার ট্রেডিং এর জন্য সাধারনত ১-৪ পিপস পর্যন্ত স্প্রেড পরিবর্তন হয়ে থাকে এবং Volatile কারেন্সি মার্কেটে এই স্প্রেডের পরিমান ৮-১০ পিপস পর্যন্ত হয়ে থাকে । এবং পরিবর্তনশীল স্প্রেড তখনই কম হয় যখন মার্কেট এর মুভমেন্ট, Liquidity এবং লেনদেন কম থাকে ।
আপনি হয়তো অনেক জায়গায় স্ক্যাল্পিং শব্দটি শুনেছেন । মূলত ছোট ট্রেড গুলোই হলো স্ক্যাল্পিং । কয়েক মিনিটের ছোট ট্রেড গুলোকে স্ক্যাল্পিং বলা হয় । এই ট্রেড গুলো হতে পারে ১-২০ পিপস । আভিধানিক ভাবে ২০ পিপসের ওপরে প্রফিট হলে তাকে স্ক্যাল্পিং বলা যাবে না । সেটা সাধারন ট্রেড হয়ে যায় । মার্কেট সবসময়ই ওঠা-নামা করে । আপনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে কিছু পিপস লুফে নিতে পারেন । কিন্তু স্ক্যাল্পিং কিন্তু ঝুকিপূর্ণ । অনেকেই দেখা যায় কিছু না বুঝে রিস্ক নিয়ে স্ক্যাল্পিং করে । কিন্তু স্ক্যাল্পিংয়েও অ্যানালাইসিস করা উচিত । কোন ট্রেডেই অ্যানালাইসিস ছাড়া প্রবেশ করা উচিত নয় । স্ক্যাল্পিং করার সময় ট্রেন্ডের দিকে ট্রেড দেয়াই ভাল । সেক্ষেত্রে ট্রেডে লাভ করার সম্ভবনাটা তুলনামুলক ভাবে বেশি থাকে ।
স্ক্যাল্পিং যেহুতু কম সময়ে করা হয়, তাই আমাদের ট্রেড করা উচিত কম সময়ের টাইমফ্রেমে । স্ক্যাল্পিং এর অনেক রুলস আছে । আপনি স্ক্যাল্পিং ট্রেড করার সময় M1, M5, M15 টাইমফ্রেম অনুসরন করতে পারেন । কিন্তু আপনি যদি H4 টাইমফ্রেম অনুসরন করেন তাহলে কোন লাভ হবে না, কারন ২-১ মিনিটে মার্কেটে কি পরিবর্তন হল তা আপনি H4 চার্ট দেখে সহজে বুঝতে পারবেন না । মিনিটের টাইমফ্রেম গুলো স্ক্যাল্পিং এ বেশি সহায়ক । অনেকেই স্ক্যাল্পিংয়ের জন্য অনেক ইন্ডিকেটর ফলো করে থাকেন। কিন্তু স্ক্যাল্পিংয়ে ইন্ডিকেটর খুব একটা কাজ করে না । কারন মার্কেটের ছোট ছোট মুভমেন্টগুলো তো আর কোন নিয়ম মেনে চলে না ।
কিছু কিছু ব্রোকার আছে যারা স্ক্যাল্পিং সাপোর্ট করে না । আবার অনেক ব্রোকারের স্ক্যাল্পিং এ ২ মিনিট রুলস আছে । ২ মিনিটের আগে ট্রেড ক্লোজ করলে তা বাতিল করে দেয়ার অধিকার ব্রোকার রাখে । তাই আপনি যে ব্রোকারের সাথে ট্রেড করছেন, সেই ব্রোকারের স্ক্যাল্পিং সম্পর্কে কোন রুলস আছে কিনা আগে জেনে নিন ।
১. সামান্য রিস্কে ট্রেড ।
২. হাই সিস্টেম একুরিসি ।
৩. ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসের প্রয়োজন নাই ।
৪. হঠাত মার্কেটে পরিবর্তনেও রিস্ক থাকে না ।
৫. প্রতিদিন অনেক বার এই সুবিধা পাওয়া যায় ।
১. এই ট্রেডে প্রচুন্ড মানসিক অস্থিরতা কাজ করবে ।
২. ফাস্ট অর্ডার এক্সিকিউশন ব্রোকার হতে হবে ।
৩. ট্রান্সজেকশন কস্ট অনেক বেশি দিতে হবে (যদি দৈনিক ২০টা ট্রেড করেন ৬০ পিপস স্প্রেড দিতে হবে) ।
আমরা যারা ভলাটাইল মার্কেটে ট্রেড করতে যাই বা নিউজ ট্রেড এ যারা পেন্ডিং অর্ডার দেই তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো স্লিপেজ । ভালো ব্রোকার খারাপ ব্রোকার সবগুলাতেই স্লিপেজ আছে । শুধু মাত্র ডেমোতে স্লিপেজ নেই বা যেসব ব্রোকার ডেমো সার্ভার ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যেই বাই-সেল কন্টিনিউ রাখে তাদেরও স্লিপেজ হয় না ।
আমরা নিউজ টাইমে প্লানিং করে অ্যানালাইসিস করে ট্রেড দিয়ে রাখি কিন্তু দেখা যায় স্লিপেজ এর কারণে পুরো প্লানিংটাই ভেস্তে যায় । অনেকেই ব্যাপারটা বুঝেন না । ট্রেড দিলাম একজায়গায় হিট হলো আরেক জায়গায় । টেক প্রফিট দিলাম এক জায়গায় আর হিট হলো আরেক জায়গায় । আসলে এটার জন্য দায়ী স্লিপেজ ।
সোজা বাংলায় বলতে গেলে স্লিপেজ হচ্ছে, ভোলাটাইল মার্কেটে যখন মার্কেটে বেশি মুভমেন্ট হয় তখন যে স্থানে অর্ডার দেয়া হয় সেখানে না পড়ে অথবা যেখানে স্টপলস দেয়া হয় সেখানে স্টপলস হিট না করে অন্য জায়গায় হিট করাটাকেই স্লিপেজ বলা হয় ।
মুলত স্লিপেজ হয় অনেক কারণে । মার্কেটে যখন আপনি একটি অর্ডার প্লেস করছেন তখন যদি সেম স্থানে বায়ার বা সেলার না থাকে তাহলে পরবর্তী বেষ্ট প্রাইসে সেটা এক্সিকিউশন হয় । এটা পেন্ডিং অর্ডারের ক্ষেত্রে আর যদি ইনস্টান্ট এক্সিকিউশন হয় তখন দুপ্রকার ব্রোকার দুরকম হবে । যদি মার্কেট মেকার ডিলিংডেস্ক ব্রোকার হয় তখন সেম জায়গায় নিতে না পারলে Price not Available অথবা Requite দেখাবে । আর যদি ECN হয় তাহলে যে জায়গায় অর্ডার দিছেন তার পরবর্তী প্রাইস যেখানে যায় সেখানেই দেখাবে । স্লো মার্কেটে স্লিপেজ তেমন হয়না । স্লিপেজ মুলত হয় হাই ভোলাটাইল মার্কেটে । অনেকে বলেন ECN এ স্লিপেজ হয়না । সেটাও ভুল ECN এও স্লিপেজ হয় । তবে মার্কেট মেকার স্লিপেজ আর ECN স্লিপেজ এ একটু তফাত আছে ।
সোজা কথায় এখানে ডিলিং ডেস্ক আর নন ডিলিংডেস্ক এর স্লিপেজ এ কিছু পার্থক্য আছে । ডিলিং ডেস্ক ব্রোকারে পজিটিভ স্লিপেজ হয় না বেশিরভাগই নেগেটিভ স্লিপেজ হয় মার্কেট মেকিংয়ের কারণে । আর ননডিলিং ডেস্ক ECN এ পজিটিভ স্লিপেজও হয় । মানে স্লিপেজ এর কারণে আপনি লাভবান হতে পারবেন ।
কতটুকু স্লিপেজ হতে পারে ? আসলে নিউজ এবং মুভমেন্ট হিসেবে স্লিপেজ হয় । ECN এর স্লিপেজ মোটামোটি কম হয় মার্কেট মেকারের স্লিপেজ আমি ৭০ পিপ পর্যন্ত দেখেছি ।আমার বেশকিছুদিন আগে করা একটি ব্রোকারের স্লিপেজ প্রায় ৭০ পিপ । বাংলাদেশের অনেকের প্রিয় ব্রোকার এটা আমি কোনটারই নাম বলছিনা । ৭০ পিপসের মত স্লিপেজ খেলাম । আসলে কম হোক বেশি হোক সব ব্রোকারেই স্লিপেজ থাকবে । তাই নিউজ ট্রেড করার সময় স্লিপেজ এর কথা মাথায় রাখবেন । তবে NDD ব্রোকারের স্লিপেজটি একটু সহনীয় মাত্রায় হয় এবং স্লিপেজ আপনার পক্ষে গেলে লাভবানও হওয়া যায় ।
ফরেক্স ট্রেডিং এ ব্যালেন্স বলতে আমরা বুঝি যত ডলার ব্যাবসার জন্য বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং তার পরে ট্রেড ক্লোজ করে যত লাভ বা লোকসান হয়েছে তার যোগ বা বিয়োগফল । যেমন আপনি ১০০০ ডলার বিনিয়োগ করেছেন এবং পরে ট্রেড ক্লোজ করে আরও ১০০ ডলার লাভ করেছেন, অতএব আপনার ব্যালেন্স হবে (১০০০+১০০)=১১০০ ডলার । আবার রহিম ১০০০ ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং ট্রেড করে ১০০ ডলার লস করেছে অতএব রহিমের বর্তমান ব্যালেন্স হবে ৯০০ ডলার । এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, ট্রেড এখনও ক্লোজ করা হয় নি তাতে লাভ বা লোকসান যাই থাকুক না কেন তার সাথে বালেন্সের কোন সম্পর্ক নেই । যেমন মাইকেল ১০০০ ডলার বিনিয়োগ করে ট্রেড ক্লোজ করে ১০০ ডলার লোকসান করেছে এবং এখনও ট্রেড ক্লোজ করেনি এমন ট্রেডে ৫০০ ডলার লাভ আছে, এই ক্ষেত্রে ট্রেড ক্লোজ করে ১০০ ডলার লোকসান করেছে এইটাই হিসাবে যুক্ত হবে, কিন্তু ট্রেড ক্লোজ করেনি তাতে ৫০০ ডলার লাভ দেখালেও ব্যালেন্স যোগ হবে না । তাতে ফলাফল দেখাবে ব্যালেন্স ৯০০ ডলার । যখন ৫০০ ডলারের লাভের ট্রেডটি ক্লোজ করা হবে তখনি সেটা বালেন্সের সাথে যুক্ত হবে ।
উইন্ডোজের নিচে টার্মিনালের বামে ব্যালেন্স লেখা থাকে, সেখান থেকে ব্যালেন্সের পরিমাণ জানা যায় । টার্মিনাল পাওয়া যায় ভিউ মেনু > টার্মিনাল অথবা কন্ট্রোল+টি চেপে ।
ব্যালেন্সের সাথে বর্তমান চলমান ট্রেডিং এর ফলাফল অর্থাৎ লাভ বা লোকসান যা আছে তার সমন্বিত ফলকে ইকুইটি বলা হয় । যথা একটি একাউন্টে ব্যালেন্স আছে ১০০০ ডলার এবং যে ট্রেড দেওয়া আছে তার সমষ্টিগত যোগফল -১০০, অর্থাৎ এই অবস্থাই সকল ট্রেড ক্লোজ করলে ১০০ ডলার লোকসান হয়, এ অবস্থাই ইকুইটি দেখাবে ৯০০ দলার । আবার জসিমের একটি একাউন্টে ব্যালেন্স আছে ১৪০০ ডলার এবং তার যতগুলি ট্রেড আছে তার সমষ্টি গত যোগফল ২০০ ডলার । অতএব ইকুইটি হবে ১৬০০ ডলার । একাউন্ট টিকিয়ে রাখতে ইকুইটি একটি বড় ভুমিকা পালন করে ।তাই ব্যালেন্স থেকেও ইকুইটির দিকে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে । উদাহরণ হিসাবে ধরে নিই, আপনার একাউন্ট ব্যালেন্স আছে ১০০০ ডলার কিন্তু ইকুইটি আছে ১০০ ডলার, অতএব আমি ধরে নেব বর্তমানে আপনার একাউন্টের ফলাফল ১০০ ডলার আপনার আছে । কিন্তু আপনার বন্ধুর একাউন্টে ব্যালেন্স আছে ৫০০ ডলার এবং তার ইকুইটি আছে ৬০০ ডলার । সেই ক্ষেত্রে আপনার একাউন্ট থেকে আপনার বন্ধুর একাউন্টের অবস্থা ভাল বলে বিবেচিত হবে । কারণ, ব্যালেন্স বেশী থাকার থেকে ইকুইটি বেশী থাকাই বেশী জরুরী এবং বেশী কাম্য ।
বর্তমানে যতগুলি ট্রেড দেওয়া আছে তার জন্য যত ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে তার পরিমাণই হলো মার্জিন । এখানে একটু বিশদ আলচনার প্রয়োজন – ধরি, পলাশ EUR/USD তে একটি বাই ট্রেড দিল ।এর অর্থ দাড়ায় পলাশ ইউরো বাই করল ইউএসডি ডলারের বিনিময়ে । অর্থাৎ, ইউরো বাই করলো এবং ইউএসডি সেল করলো । যে ট্রেড করা হয় তা প্রথমটির (বেস কারেন্সি) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এবং পরের কারেন্সি (কোট কারেন্সি) ক্ষেত্রে তার উল্টো হবে । প্রথমটি বাই অর্থ দ্বিতীয়টি সেল, তদ্রুপ প্রথমটি সেল অর্থ দ্বিতীয়টি বাই। EUR/USD = ১.৩৮৪১ এর অর্থ দাড়ায় ১ ইউরো-র বিনিময়ে ইউনাইটেড স্টেট ডলার প্রয়োজন হয় ১.৩৮৪১ ।
ইকুইটি থেকে মার্জিন বাদ দিলে যে পরিমাণ থাকে তাকে ফ্রি মার্জিন বলে । ফ্রি মার্জিন অর্থ হলো আপনি আর কত ডলার বিনিয়োগ করতে পারবেন ।
ইকুইটিকে মার্জিন দ্বারা ভাগ করে ১০০ দ্বারা গুন করলে মার্জিন লেভেল পাওয়া যায় । মার্জিন লেভেল ৩৫% এর কম হলে একাউন্ট স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধ হয়ে যায় । তাই মার্জিন লেভেল সর্বদা গুরুত্তের সাথে বাড়িয়ে রাখা দরকার । এখানে লক্ষণীয় যে, মার্জিন লেভেল বাড়াতে হলে ইকুইটি বাড়াতে হবে অথবা মার্জিন কমাতে হবে ।
Margin level <35% হলে ইকুইটি কমে শূন্য বা তার কাছাকাছি হয়ে যায় এবং ট্রেড বন্ধ হয়ে যায় বা একাউন্ট ক্লোজ হয়ে যায় (ব্রোকার ভেদে আলাদা হতে পারে) ।
মার্জিন লেভেল কমে গেলে কি হয় ?
Margin level <35% হলে ইকুইটি কমে শূন্য বা তার কাছাকাছি হয়ে যায় এবং ট্রেড বন্ধ হয়ে যায় বা একাউন্ট ক্লোজ হয়ে যায় (ব্রোকার ভেদে আলাদা হতে পারে) ।
Margin level = Equity / Margin x 100
অর্থাৎ ইকুইটি বাড়লে মার্জিন লেভেল ইকুইটি বৃদ্ধির আনুপাতিক হারে বাড়ে এবং মার্জিন বাড়লে মার্জিন লেভেল বিপরীত অনুপাতে কমে । এতে বুঝা যায় যে –
(ক) ইকুইটি কমে গেলে মার্জিন লেভেল কমে যায় এবং
(খ) মার্জিন বেড়ে গেলে (অর্থাৎ ট্রেড এর পরিমাণ বেড়ে গেলে) মার্জিন লেভেল কমে যায় ।
এ থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে, একাউন্ট টিকিয়ে রাখতে বা মার্জিন লেভেল ঠিক রাখতে হলে –
(ক) ইকুইটি বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে এবং
(খ) মার্জিন বাড়ানো যাবে না, অর্থাৎ একসাথে ট্রেড এর সংখ্যা ও ভলিউম বাড়ানো যাবে না ।
বিঃদ্রঃ ফরেক্স ট্রেডে লাভ করার একমাত্র উপায় হলো মানি ম্যানেজমেন্ট । মানি ম্যানেজমেন্ট ঠিকমতো করতে পারলে ফরেক্স ট্রেডে লোকসান করাটা কঠিন এবং লাভ করাটা সহজ ।
Balance = Total investment + Realized Profit or Loss (What had taken)
Equity = Balance + Unrealized Profit or Loss of Current all Trades
Margin = Investment of Present all Trades
Free Margin = Equity – Margin
Margin level = Equity / Margin x 100
আপনি যদি কোন ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ না করে আটোমেটিক ভাবে ক্লোজ করতে চান তখন আপনি টেইক প্রফিট বা স্টপ লস ব্যাবহার করতে পারেন ।
মনে করুন, আপনি একটি বায় ট্রেড ওপেন করেছেন ১.৩৫০০ । এই ট্রেড থেকে যদি আপনি ৫০ পিপস প্রফিট করেন তাহলে আপনাকে ১.৩৫৫০ আসার পর ক্লোজ করতে হবে, এখন এমন অবস্থা যে আপনি ট্রেডের সামনেও বসে থাকার মত সময় নাই ঠিক তখন আপনাকে ট্রেডটি মডিফাই করে ১.৩৫৫০ তে সেভ করে দিতে হবে, ব্যাস এইবার আপনাকে আর ম্যানুয়ালি ট্রেডটি ক্লোজ করতে হবে না, প্রাইস যখনই আপনার টার্গেট রেইট টাচ করবে ট্রেডটি ৫০ পিপস প্রফিট নিয়ে নিজে নিজে ক্লোজ হয়ে যাবে ।
ঠিক একই ভাবে আপনি চিন্তা করলেন যে আপনার ট্রেডটি যদি লস এ যায় তাহলে ৩০ পিপস লস করে তা অটোমেটিক ক্লোজ হয়ে যাক, সেইক্ষেত্রেও আপনাকে ট্রেডটি মডিফাই করে আপনার ওপেন রেইট থেকে কমিয়ে অর্থাৎ ১.৩৪৭০ তে সেভ করে দিতে হবে । আপনার সেল অর্ডার আর ক্ষেত্রে একইভাবে প্রফিট এর জন্য ওপেন প্রাইস এর নিচে টেক প্রফিট সেট করুন এবং ওপেন প্রাইস এর উপরে স্টপ লস সেট করুন।
ফরেক্স বা ট্রেড ব্যবসা সম্পূর্ন একটি প্রাকটিক্যাল বিষয়। এখানে কম জানা বা অল্প জ্ঞানের কোন জায়গা নাই। ফরেক্স বা ট্রেড (শেয়ার) ব্যবসা করতে হলে, পরিপূর্ন ভাবে জানতে হবে। কারন আপনার টাকা শুধু মাত্র আপনারই টাকা। আপনার টাকার মায়া আপনার না থাকলে অন্য কাহারো থাকবে না। যদি আপনি মনে করেন এই সেক্টর হতে আপনি কিছু করতে চান, তাহলে আপনাকে যে কোন মেনটরের কাছে হাতে কলমে শিখতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার বিনিয়োগ সিকিউর করে, আপনার কাংখিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবেন। পরিশেষে ফরেক্স মাকের্টে সকলের সাফল্যয়তা কামনা করছি।
ধন্যবাদ