-: ফরেক্সে ফান্ডামেন্টাল বিষয়ের জন্য যে বেসিক বিষয়গুলো নিয়ে ধারণা থাকতে হবে সেগুলো হল :-
🖇GDP : সোজা কথায় GDP হল একটা দেশের আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মুল্য।।সাধারণভাবে GDP যত বৃদ্ধি পাবে ঐ কারেন্সির মান ও তত বৃদ্ধি পাবে।
🖇Inflation--Inflation কিংবা মুদ্রাস্ফীতি হল অর্থের যোগান বেড়ে যাওয়া এবং উৎপাদন কমে যাওয়া।যখন উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যায় তখন মুদ্রার দাম কমতে থাকে এবং মুদ্রাস্ফীতি হয়।।
Inflation এর ফলে Import/Export এর ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। Inflation বিষয়টা একটা কারেন্সির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তাই এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক ধরনের ব্যবস্থা প্রহণ করা হয়৷ এর মধ্যে প্রধাণ তিনটি হল :-
1.Monetary Policy(আর্থিক ব্যবস্থা)--Inflation এর প্রধান কারণ যেহেতু অর্থের পরিমাপ বৃদ্ধি সুতারাং অর্থের লেনদেনের পরিমান কমাতে হবে। আর এই লেনদেন কমাতে হলে ব্যাংক ঋণের পরিমান ও কমাতে হয়৷ এই জন্য সেন্ট্রাল ব্যাংক যে সমস্ত ব্যবস্থা অবলম্বণ করে সেগুলো হল----
2. Increase Bank amount :- First of all, সেন্ট্রাল ব্যাংক যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাংককে অর্থ ধার দেয় সেটাকে ব্যাংক রেট বলে।সেন্ট্রাল ব্যাংক তাদের ব্যাংক রেট বাড়ালে বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের ইন্টারেস্ট বাড়ায়৷ সাধারণত ইন্টারেস্ট বাড়ালে ঋণ গ্রহণ ও কমে আসে।।যার ফলে Inflation ও কমে আসে৷।
3. Open Market Deal(খোলাবাজারি কারবার : - সেন্ট্রাল ব্যাংক অনেক সময় খোলা বাজারে সরকারী Bond বিক্রি করে অর্থের লেনদের পরিমাণ কমাতে চেষ্টা করে।এরুক বন্ড বিক্রি করলে বায়ার তাদের নিজ নিজ বাণিজ্যিক ব্যাংকের চেক কেটে সেন্ট্রাল ব্যাংকের পাওনা দিয়ে থাকে।এরফলে বাণিজ্যেক ব্যাংকের ঋণদানের ক্ষমতা কমে যাই।।আর বন্ডের কারণে একটা ফান্ড রিজার্ভ হয়ে যাই যার ফলে Inflation অনেকটা কমে আসে।
তাছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকের রিজার্ভের রেট পরিবর্তন,মোরাল প্রেশার,ডাইরেক্ট লোন ইত্যাদির মাধ্যমেও Inflation কমানোর চেষ্টা করে।।
-Inflation কমানোর ক্ষেত্রে এখন মনিটরি পলিসির চাইতে ফিসক্যাল পলিসিগুলো আর ভাল কাজ করে।যেহেতু অতিরিক্ত ব্যয় হল Inflation এর প্রধাণ কারণ তাই অতিরিক্ত ব্যয় কমনো গেলে Inflation কমানো যাবে।।এর জন্য পদক্ষেপগুলো হল :-
১.সরকারী ব্যয় হ্রাস ।
২.অতিরিক্ত কর আরোপ করা ।
৩.সরকার কতৃক ঋণ গ্রহণ ।
৪.সঞ্চয় করতে উৎসাহ প্রধান ।
৫.উৎপাদণ বৃদ্ধি ।
৬.আমদানি বৃদ্ধি ।
৭.মজুরি বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ।
৮.মুল্য নিয়ন্ত্রণ ।
উপোরক্ত বিষয়গুলো মোটামোটি খেয়াল করলে ফান্ডামেন্টালি কারেন্সি নিয়ে অনেক ধারণাই পাবেন।।একটা বিষয় সবসময় মনে রাখবেন যতই এনালাইসিস করেন আপনি যদি মানি ম্যানেজমেন্ট এবং রিক্স এন্ড রেওয়ার্ড না মানেন তাহলে কোন এনালাইসিস ই আপনাকে প্রফিটেবল বানাতে পারবে না।।
NFP (নন ফার্ম পে-রোল) নামে ননফার্ম হলেও শুধু কৃষি নয়, সাথে সরকারি কর্মচারী, পরিবারের ব্যক্তিগত কর্মচারী আর অলাভজনক প্রতিস্থানগুলোর কর্মচারীদের বাদ দিয়ে মার্কিন শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার প্রকাশ করে পূর্ববর্তী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির সংখ্যা কি আগের থেকে বাড়ল না কমল। শুধু তাই না, বাড়লে কয়টা বাড়ল আর কমলেও কয়টা কমলেও সে সংখ্যাটাও। যেহেতু, কৃষি খাতকে বাদ দিয়েই এই হিসাবটা করা হয়, তাই এর নাম হয়েছে ননফার্ম পেরোল।
কি আছে এই রিপোর্টে যে তা প্রবলভাবে ফরেক্স মার্কেটকে নাড়া দেয়ার ক্ষমতা রাখে? শুধু ফরেক্স বললে ভুল হবে, স্টক মার্কেট, বন্ড মার্কেটেও বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে ইউএস ননফার্ম পেরোল বা এনএফপি এর কারনে। প্রথমত, দেশটির নাম আমেরিকা। ঋণ করতে অথবা যুদ্ধ বাঁধাতে ওস্তাদ হলেও এখনো বিশ্বের এক নম্বর অর্থনৈতিক শক্তি দেশটি। দ্রুত বর্ধনশীল বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতি চীনেরও যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে লাগবে অনেক বছর যদি তারা বর্তমান প্রবিদ্ধি ধরে রাখতে পারে।
এনএফপি গুরুত্বপূর্ণ এই কারনে যে, আমেরিকার চাকরির বাজারের চালচিত্র মোটামুটি বোঝা যায় এই রিপোর্টের কারনে। চাকরীর সংখ্যা বাড়ল না কমল সেটার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু বিষয়ের উল্লেখ থাকে এনএফপি রিপোর্টে, যেমনঃ
> মোট কর্মক্ষম জনশক্তির কত শতাংশ বেকার ।
> কোন কোন সেক্টরে চাকরি বেড়েছে বা কমেছে ।
> ঘণ্টাপ্রতি গড় বেতন ।
> পূর্ববর্তী মাসের এনএফপি রিপোর্টের সংশোধন ।
খুব স্বচ্ছ এবং যতটা সম্ভব নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয় এনএফপি রিপোর্ট। প্রথমে, সরকারী বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের তথ্যই যোগাড় করে মার্কিন শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো। যেহেতু, প্রায় ২৫ কোটি জনসংখ্যা আছে আমারিকায় এবং এই জনসংখ্যার একটি বড় অংশই কর্মক্ষম, তাই আলাদাভাবে প্রত্যেকের উপর জরিপ চালান সম্ভব না প্রতি মাসে। আর তাই, মার্কিন পরিসংখ্যান ব্যুরো বেছে নিয়েছে স্যাম্পল পদ্ধতি (দৈবচয়ন). প্রতি মাসে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর জরিপ চালায় সংস্থাটি আর সরকারি বিভিন্ন এজেন্সি মিলিয়ে প্রতিনিধিত্ব করে প্রায় আরও ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার কর্মক্ষেত্র। চিঠি, ইমেইল, ইন্টারনেট অথবা অত্যাধুনিক ইডিআই প্রযুক্তিতে জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মচারীদের তথ্য পাঠায় পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাছে।
এনএফপি রিপোর্টের প্রকাশের বেলায় প্রথম ঝামেলাটা বাঁধে এখানে। ছোটো বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সাধ্য অনুযায়ী তথ্য পাঠাতে গিয়ে প্রতি মাসে অনেকেই দেরি করে বা সেই তথ্য পেতে দেরি হয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর। যেহেতু, এনএফপি রিপোর্ট প্রকাশের তারিখ নির্ধারিত, প্রতি মাসের প্রথম সোমবার, তাই হাতে তা তথ্য আসে তা দিয়েই রিপোর্ট প্রকাশ করে দেয় পরিসংখ্যান ব্যুরো। এই রিপোর্টটি পরে দুইবার সংশোধন করা হয়। প্রথমবার, পরিবর্তী মাসের এনএফপি রিপোর্ট প্রকাশের সময়, দ্বিতীয়বার আরও এক মাস পরে। এছাড়াও পরবর্তীতে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন আনা হলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চলতি এনএফপি রিপোর্ট ও আগের এনএফপি রিপোর্টের সংশোধন।
যেহেতু, প্রতি মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিউজগুলোর একটি হচ্ছে এনএফপি, তাই অনেক ট্রেডারই অপেক্ষা করে বসে থাকে এনএফপি ট্রেড করার জন্য। প্রায় প্রতিটি এনএফপি এর আগেই একই ঘটনা ঘটে। এনএফপির আগে আগে ট্রেডাররা ট্রেড করতে চান না বলে মার্কেটে মুভমেন্ট বা ভোলাটিলিটি কমে যায়, এনএফপি এর ঠিক আগেই শুরু হয় বড় বড় স্পাইক। সেকেন্ডে মার্কেট পরিবর্তিত হয় ৫-১০ পিপস করে।
হটাত করে পাগল হয়ে যাবে মার্কেট। হয় টানা পড়া/বাড়া শুরু করবে অথবা একলাফে ১৫-২০ পিপস করে কমবে/বাড়বে। হারিকেন শুরুর পূর্ব মুহূর্তে সাগর যেমন স্থির থাকে, হটাত করে শুরু হয় বড় বড় ঢেউ এর নাচন, ফরেক্স মার্কেটের অবস্থাও হয় তেমনি। আর এই ঢেউ এ ভেসে গিয়ে সলিল সমাধি ঘটে পিপস সংগ্রহের অভিযানে বের হওয়া মানি মানেজমেন্ট না জানা অসংখ্য ট্রেডারের ট্রেডিং অ্যাকাউন্টটির।
প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৬:৩০ টায় (এপ্রিল-অক্টোবর) বা ৭:৩০ টায় (অক্টোবর-এপ্রিল) প্রকাশিত হয় এনএফপি নিউজ। রিপোর্টের প্রত্যাশিত ফলাফল (forecast) আগেই ট্রেডাররা জানতে পারে। যদি আসল ফলাফল (actual) এর মান প্রত্যাশার থেকে বেশি হয়, তবে তা ডলারের জন্য ভালো হিসেবে ধরা হয়, এবং সেই কারণে ডলার শক্তিশালী হবার সুযোগ থাকে। অপরদিকে যদি আসল ফলাফল (actual) এর মান প্রত্যাশার থেকে কম হয়, তবে ডলারের জন্য খুব একটা ভালো নয়, অর্থাৎ খারাপ হিসেবে ধরা হয়, এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে ডলার দুর্বল হতে পারে। আপনি যদি EURUSD বা GBPUSD ট্রেড করেন, এবং NFP প্রত্যাশার থেকে ভালো আসে তবে এই ২টি পেয়ারের প্রাইস কমতে পারে। আবার প্রত্যাশার থেকে খারাপ আসলে বাড়তে পারে। তবে কি পরিমাণ কমতে বা বাড়তে পারে তা নির্ভর করে প্রত্যাশার থেকে আসল ফলাফলের পার্থক্য কত বেশি বা কম। যদিও কিছু কিছু সময় এই নিউজ মার্কেটে প্রভাব ফেলে না, তবে বেশিরভাগ এন.এফ.পি নিউজে মার্কেটে ব্যাপক মুভমেন্ট হয় এবং ট্রেডারদের কাছে এই নিউজ রিপোর্টটি মার্কেট মুভার হিসেবে পরিচিত।
ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি (FOMC) হচ্ছে ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের আর্থিক নীতিমালা সংস্থা। এফওমসি গঠিত হয় ১২ জন সদস্য নিয়ে - ( গভর্নর বোর্ডের সাত সদস্য এবং রিজার্ভ ব্যাংকের সভাপতি ৫ জন ) । বোর্ড চেয়ারম্যান এফওএমইসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । ফেডারেল রিজার্ভ সভাপতি ব্যাংক অফ নিউ ইয়র্কের কমিটির স্থায়ী সদস্য এবং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। অন্যান্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সভাপতিরা চক্রাকারে এফওএমইসির অবশিষ্ট চারটি ভোটদান করেন। রিজার্ভ ব্যাংকের সকল সভাপতি, যারা ভোটদানকারী সদস্য নন, তাদের অন্তর্ভুক্ত, এফওএমইসি মিটিংগুলিতে অংশগ্রহণ, অর্থনীতি এবং অন্যান্য আলোচনায় অংশগ্রহন করে মূল্যবান অবদান রাখেন।
FOMC প্রতি বছর ৮টি মিটিং এর আয়োজন করেন, যা প্রতি ৬ সপ্তাহ পর পর অনুষ্ঠিত হয় । অর্থনৈতিক ও আর্থিক উন্নয়নের পর্যালোচনা করার জন্য কমিটি এই সময় বাদেও অন্য সময় অতিরিক্ত সভা ডাকতে পারেন । কমিটির অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সেই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত একটা একটা প্রেস বিবৃতি আকারে প্রকাশ করা হয়, যা এফওএমসি স্টেটমেন্ট নামে পরিচিত । এই স্টেটমেন্ট এর উপর ভিত্তি করেই বিগ ইনভেস্টররা দীর্ঘমেয়াদে সিদ্ধান্ত নেয়।
👉 স্টেটমেন্ট সাধারনত দু-ধরনেরঃ
১. হকিশ ,
২. ডভিশ ।
হকিশ স্টেটমেন্ট হচ্ছে , ফেডারেল রিজার্ভ এর একটি বিবৃতি যেটি বর্ণনা করে যে এটি বর্তমানে/ভবিষ্যতে সুদের হার বাড়াতে পারে অথবা সুদের হার না কমিয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে । এটি একটি আক্রমণাত্মক স্বর। ফেডারেল রিজার্ভ মুদ্রাস্ফীতির ক্ষতিকর দিকগুলো আমলে নিয়ে ভবিষ্যতে এটি নিয়ন্ত্রনের জন্য যুক্তিসঙ্গতভাবে যে শক্তিশালী পদক্ষেপগুলি গ্রহন করবে সেগুলোর যে বিবৃতিমূলক বক্তব্য দেয় মুলত সেটাকেই হকিশ স্টেটমেন্ট বলে ।
আর যদি স্টেটমেন্ট হকিশ হয় , তাহলে ঐ কারেন্সী শক্তিশালী হয়ে যায়।
ডভিশ স্টেটমেন্ট হচ্ছে , ফেডারেল রিজার্ভ এর একটি বিবৃতি যেটি বর্ণনা করে যে এটি বর্তমানে/ভবিষ্যতে সুদের হার কমাতে পারে অথবা সুদের হার না বাড়িয়ে দূর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার ইংগিত দেয়। বিবৃতিটিকে ডভিশ বলা হয় কারন, ফেড সমসাময়িক সময়ের মুদ্রাস্ফিতি নিয়ে মাথা ঘামায় না। ফেড সরাসরি তার বক্তব্যে সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দেয় । অনেকক্ষেত্রে এটি একটি মিশ্র স্বর। ফেড তার বক্তব্যে পরবর্তীতে সুদের হার বাড়াবে কিনা বা কমাবে কিনা এই বিষয়ে পরিষ্কার কোনো কথা বলে না। এই রকম সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে এবং ধোয়াশাঁ রেখে যে বিবৃতিমূলক বক্তব্য দেয় মুলত সেটাকেই ডভিশ স্টেটমেন্ট বলে ।
আর যদি স্টেটমেন্ট ডভিশ হয় , তাহলে ইনভেস্টররা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং দ্বিধায় পড়ে যায় । একারনে ঐ সময়ে কারেন্সি দূর্বল হয়ে যায় ।
ডলারের অন্যতম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন নিউজ (FOMC) আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই নিউজ পাবলিশড হবার সময় আমেরিকান ডলার রিলেটেড পেয়ারগুলোতে ভোলাটিলিট অনেক বেড়ে যায় এবং নিয়মিত পাবলিশড হওয়া নিউজগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মার্কেট মুভ করে এই নিউজের সময়।
ফান্ডামেন্টাল নিউজ নিয়ে আগেই আলোচনা করেছি। চলুন আজ দেখে নেই বতমান সময়ে চলা সম্ভাব্য কিছু ফান্ডামেন্টাল নিউজ। এই থেকে কিছুটা হলেও আমরা শিখতে পারবো ফান্ডামেন্টাল নিউজ গুলো কি রকম হয়।
টাইফুন হাগিবিসঃ ইয়েনের ট্রেডারদের প্রতি বিশেষ সতর্কতা!
আগের ঘুর্ণিঝড় এর রেশ এখনও পুরোপুরি কাটিয়েই উঠতে পারেনি জাপান। এরই মাঝে নতুন আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে জাপানের মূল ভূখন্ডে!
২০০ কিমি বেগে আসা এ ঘূর্ণিঝড়ের বেগ এখন ১৮০ কিমি/ঘন্টা। ইতোমধ্যে প্রায় দশ হাজার ঘরবাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অসংখ্য দোকান পাট, বানিজ্য স্থাপনা বন্ধ হয়ে পড়েছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী একজন মারা যাবার খবর জানা গেছে।
প্রচন্ড বাতাসে গাড়ির অভার টার্ন হবার কারনে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
এটি বিগত ৬০ বছরের মাঝে সর্বোচ্চ গতিবেগ সম্পন্ন ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় জাপানীদের জন্য। তাই এ ঝড়ে বন্যা ও ভূমিধসের মত ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন পরিবেশবিদরা।
👉 পরিশেষে, উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটি পরিস্কার যে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেশ ভালভাবেই প্রভাব ফেলতে পারে জাপান কারেন্সির উপরে।
সুতরাং ইয়েনের ট্রেডারদের একটু বাড়তি সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে জানানো হলো।
@ ট্রেড আইডিয়াঃ এমন অবস্থায় ইয়েনের পজিশন ডাউনট্রেন্ড ও একইসাথে আপনার এন্ট্রি সেল অর্ডার হিসেবে পাওয়া গেলে অর্ডারটি প্লেস করা যেতে পারে।
ব্রেক্সিট কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেধে দেওয়া শেষ সময় দিন দিন ঘনিয়ে আসছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে কোনো ডিল হয়নি, এমনকি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের তেমন কোনো আগ্রহ ও দেখা যাচ্ছে না ডিলের ব্যাপারে। উল্টা তিনি নো ডিল ব্রেক্সিটের পক্ষে, এমনকি সময় বাড়ানোর ব্যাপারেও তিনি রাজি নন।
সম্প্রতি ইউকের দেওয়া সর্বশেষ ব্রেক্সিট প্রোপোজাল বাতিল করে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এদিক থেকে বলা চলে পাউন্ড বেশ চাপে আছে।
১০ অক্টোবর পাউন্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জিডিপি ,ম্যানুফ্যাকচারিং প্রোডাকশন নিউজ সহ আরো বেশ কয়েকটি নিউজ আছে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক্সিট ইস্যুতো আছেই। ব্রেক্সিট সম্পর্কে যেকোনো ভালো নিউজে পাউন্ডে মূহুর্তেই যেমন অনেক আপ হয়ে যেতে পারে তেমনি ব্রেক্সিট সম্পর্কিত খারাপ নিউজে নিমেষেই অনেকটা ডাউন হয়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই ফান্ডামেন্টাল এই সকল বিষয়গুলোতে আপডেটেড থাকাটা জরুরী। যেহেতু অক্টোবরে,২০১৯ GBP নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে সেহেতু GBP PAIR এর ট্রেড করার ব্যাপারে খুব সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
এটি প্রতি মাসের ১ম শৃক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধা ৬.৩০মি:। ৭০-১৫০ পিপস। ট্রেডারদের সবচেয়ে পছন্দের নিউজ। এর কথা আশাকরি সবাই জানেন।
প্রতি মাসের প্রথম দিন বাংলাদেশ সময় সন্ধা ৬.৩০ মি:। ৫০-১৫০পিপস। এটি আমেররিকার এর উৎপাদন শিল্পের জন্য ক্রয় ক্ষমতা নিদেশ করে, এটি একটি দেশের প্রোডাকশন ক্ষমতা বাড়বে না কমবে – তার একটি নিদের্শক হিসেবে কাজ করবে।
৫০-১৫০ পিপস। এটি প্রতি মাসের ২য় দিন বাংলাদেশ সময় সন্ধা ৬.১৫মি:। এটি দ্বারা কৃষি ও সরকারী চাকুরী বাদে অন্য সকল চাকুরীজীবির পরিবর্তনের হার নির্দেশ করে।
এটি প্রতি সপ্তাহের ৫ দিনে বাংলাদেশ সময় ৬.৩০ মি। ৩০-৭০ পিপস। এটি দ্বারা বেকারদের চাকুরীর জন্য ক্লেইমস এর হার বুঝায়।
Released monthly, about 14 days after the month ends; বাংলাদেশ সময় ৬.৩০ মি। ৩০-৭০ পিপস।
প্রতি মাসের প্রথম দিন বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.৩০ মি:। ৩০-৭০ পিপস। এটি ইংল্যান্ড এর উৎপাদন শিল্পের জন্য ক্রয় ক্ষমতা নিদেশ করে, এটি একটি দেশের প্রোডাকশন ক্ষমতা বাড়বে না কমবে – তার একটি নিদের্শক হিসেবে কাজ করবে।
এটি প্রতি মাসের ২য় দিন বাংলাদেশ সময় বিকাল ২.৩০ মি:। ৩০-৭০ পিপস। এটি নির্মাণ শিল্পে ক্রয় ক্ষমতা নিদের্শ করে।
এটি প্রতি মাসের ৩য় দিন বাংলাদেশ সময় বিকাল ২.৩০ মি:। ৩০-৭০ পিপস। এটি শিল্পের সেবার ক্রয় ক্ষমতা নিদের্শ করে।
এটি প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.৩০ মি। এটিকে ২য় এনএফপি বলা হয়। ৭০-১২০ পিপস।
প্রতি মাসের ৩০ দিন পর পর বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩ টায়। ৪০-১০০ পিপস। এটি ইউরো এর বেকার সংখ্যার রেট প্রকাশ করে যা জিডিপি এর জন্য খুবই গুরত্বপুর্ন।
এটি প্রতি মাসের প্রথম মঙ্গল বার বাংলাদেশ সময় ১০.৩০ মিনিট। জানুয়ারী মাস ছাড়া। ৩০-৬০ পিপস। এটি ব্যাংক এর ডিপোজিটের উপর সুদের হার নির্দেশ করে।
এটি প্রতি মাসের ৩৫তম দিনে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.৩০ মি: ৩০-৭০ পিপস। এটি দিয়ে খুজরা বিক্রেতার মোট মান নিদের্শ করে।
এটি প্রতি মাসের ৩৫তম দিনে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭.৩০ মি। ৩০-৭০ পিপস। এটি দিয়ে আমদানি ও রপ্তানীর পার্থক্য এর মান নিদের্শ করে।
এটি প্রতি মাসের ১০ম দিনে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭.৩০ মি। এটিকে ৩য় এনএ্ফপি বলা হয়। ৭০-১৫০ পিপস।
K - থাউজেন্ড।
M - মিলিওন।
B - বিলিওন।
T - ট্রিলিওন।
IHS Markit - ইনফরমেশন হান্ডলিং সার্ভিসেস।
CIPS - দ্য চার্টট ইনষ্টিটিউড অব প্রোকিউরমেন্ট এন্ড সাপ্লাইয়ার
PMI - পারচেজিং ম্যনেজার'স ইনডেক্স।
(কোন দেশের মেজর কারেন্সির PMI, 50% উপরে থাকলে সে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হয়নি বলে গন্য করা হয়।)
বিঃ দ্রঃ এই গুলি সাংকেতিক চিহ্ন ডাইরিতে নোট করে রাখা উচিত বলে আমি মনে করি কারন এই গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ফরেক্স বা ট্রেড ব্যবসা সম্পূর্ন একটি প্রাকটিক্যাল বিষয়। এখানে কম জানা বা অল্প জ্ঞানের কোন জায়গা নাই। ফরেক্স বা ট্রেড (শেয়ার) ব্যবসা করতে হলে, পরিপূর্ন ভাবে জানতে হবে। কারন আপনার টাকা শুধু মাত্র আপনারই টাকা। আপনার টাকার মায়া আপনার না থাকলে অন্য কাহারো থাকবে না। যদি আপনি মনে করেন এই সেক্টর হতে আপনি কিছু করতে চান, তাহলে আপনাকে যে কোন মেনটরের কাছে হাতে কলমে শিখতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার বিনিয়োগ সিকিউর করে, আপনার কাংখিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবেন। পরিশেষে ফরেক্স মার্কেটে সকলের সাফল্যয়তা কামনা করছি।
ধন্যবাদ