শেয়ার ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তারা এবং ডলার বা অন্য দেশীয় মুদ্রা ভাঙ্গিয়েছেন তারা এ শব্দটির সাথে পরিচিত । ফরেক্স ব্রোকার হচ্ছে আপনার পক্ষে কারেন্সি কেনাবেচার কাজ যে করবে সে । এটি সাধারণত একটি প্রতিষ্ঠান, যা ডলার এক্সচেঞ্জের কাজ করবে । অনলাইনে এরকম ভালো ব্রোকার কোম্পানি খুঁজে তাদের কোম্পানিতে আপনার এ্যাকাউন্ট খুলতে হবে । সে এ্যাকাউন্টে আপনার পুঁজি ডিপোজিট করতে হবে, যা দিয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করতে চান । তারা সে ডিপোজিটকৃত টাকা থেকে আপনার পক্ষ হয়ে কারেন্সি লেনদেন করবে । বাজারে হাজারো ব্রোকার কোম্পানি আছে । এদের মধ্য হতে ভালো ব্রোকার খুঁজে বের করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার । ভালো কিছু ব্রোকারের মধ্যে রয়েছে – Hot Forex, Trading Point, Delta Stock AD, eToro, Fast Brokers, Tadawul FX, MB Trading, Windsor Brokers ইত্যাদি । ভালো ব্রোকারের কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের হচ্ছে –
· কম টাকায় অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা রাখা।
· কম বিনিয়োগে ট্রেডিং করার সুবিধা দেয়া।
· স্প্রেডের পরিমাণ কম হওয়া।
· অর্ডার খুব দ্রুত নিস্পন্ন করার সুবিধা।
· ভালো সাপোর্ট।
· অনেক ক্যাটাগরির লিভারেজ সুবিধা রাখা ইত্যাদি ।।
যারা ফরেক্স ট্রেড করেন তারা মুলত যে কোন একটি ব্রোকারের মাধ্যমেই ফরেক্স মার্কেট থেকে বাই-সেল করে থাকেন । ব্রোকার কোম্পানিদের মূল উদ্দেশ্য হলো ক্রেতা এবং বিক্রেতার সন্নিবেশনে স্প্রেড এর মাধ্যমে কমিশন আয় করা । ফরেক্সে ২ প্রকার ব্রোকার বিদ্যমান –
১. ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার (Market Maker Broker)
২. নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার (NDD Broker)
এই ব্রোকারকে Market Maker Broker ও বলা হয়ে থাকে । কারন তারা ‘মার্কেট মেইক’ করে । আমরা যারা নরমালি ক্ষুদ্র ট্রেডার তারা বেশিরভাগই মার্কেট মেকারে ট্রেড করি এবং একটি মজার বিষয় ৯০% ব্রোকারই মার্কেট মেকার । মার্কেট মেকাররা মুলত প্রফিট করে থাকে দুভাবে প্রথমত স্প্রেড দিয়ে প্রফিট, দ্বিতীয়ত ট্রেডারের ট্রেডের এগেইনেস্টে ট্রেড নিয়ে । আমরা যখন বাই করি তারা তখন সেল নেয় । আমরা যখন সেল করি তারা বাই নেয় । এই নিয়মে ট্রেডাররা প্রতিনিয়ত একটা প্রাইস চেঞ্জ এর মধ্যে থাকে বা ট্রেডাররা বেশিরভাগ সময়ে রিয়েল কৌওটে অর্ডার করতে পারে না । তাই অর্ডার এর ক্ষেত্রে অনেক হয়ত লক্ষ্য করেছেন যে Re-Quote কথাটি আসে । তারা মুলত বিড-আস্ক এর যে তারতম্য সেখান থেকেই প্রফিট করে থাকে । কারণ আমাদের এবং তাদের বিড আস্কে ১-২ পিপস কমবেশি থাকে । মার্কেট মেকার অলওয়েজ প্রফিটেই থাকে । কারণ একটি সত্যি কথা হল ৯০% নতুন ট্রেডারের হাতেখড়িই হয়ে থাকে মার্কেট মেকার ব্রোকারে । আর এটা সবাই জানি ৯০% নতুন ট্রেডারই লস করে । তার মানে তাদের লস ট্রেডের এগেইনেষ্টে ব্রোকারের উল্টা ট্রেড থাকে যেটা প্রফিটে থাকে । তার মানে আপনি লস করলেই ব্রোকার লাভ করবে । এভাবে তাদের লাভের অংকটা বেড়ে যায় । তাই বলে এটা ভাববেননা ব্রোকার আপনাকে লস করাচ্ছে । আসলে লস আপনি নিজের অনভিজ্ঞতার কারণেই করছেন । আর ব্রোকার মার্কেট মেকিং এর কারণে আপনার লস থেকে উপকৃত হচ্ছে । সে আপনাকে লস করিয়ে দিচ্ছেনা । আপনি নিজেই নিজের কারণে লস করছেন । কিন্তু যেহেতু আপনার ট্রেডের এগেইনেস্টে তারাও উল্টা ট্রেড করেছে তাই তারা প্রফিটেই ট্রেডটি ক্লোজ করছে । অনেকে আবার লস করে মার্কেট মেকারকে দোষ দেয় । এটাও ঠিকনা কারণ মার্কেট মেকার এর চার্ট আর নন মার্কেট মেকারের চার্ট একই । মার্কেট মেকারতো আর আলাদা চার্ট ব্যবহার করে না । হা কিছু ব্রোকার ২-৫ পিপ ম্যানিপুলেট করে সেটা আলাদা কথা । কিন্তু মেইন মার্কেট রেট কিন্তু একই । মার্কেট মেকারে আপনাকে হাই লিভারেজ ১:২০০০ পর্যন্ত অফার করে থাকে । তারা ১০০% পর্যন্ত বোনাস দিতে পারে । যেটা STP/ECN দিতে পারবেনা । মার্কেট মেকারে স্লিপেজ, রিকোট, সামান্য পিপস ম্যানিপুলেট, স্টপলস হিট করানোসহ কিছু কাজ করতে পারে ব্রোকারে যেটা STP/ECN এ পারা যায় না ।
এটা সাধারণ নিয়ম যেখানে ব্রোকাররা ট্রেডার এর ট্রেড এর বিপরীতে কোন ট্রেড ওপেন করে না শুধুমাত্র ওপেনকৃত ট্রেড থেকে কমিশন লাভ করে থাকে । তাই এইসকল ব্রোকারের ট্রেড অর্ডারে অতিরিক্ত কোন সময় লাগে না এবং Re-Quote করতে হয় না ট্রেডার রিয়েল কৌওটে অর্ডার মেইক করতে পারে । অনেকের মনে এখন প্রশ্ন জাগছে তাহলে আমরা NDD ব্রোকারে কেন ট্রেড করি না । আসলে NDD ব্রোকারগুলোর ট্রেডিং ইনভেস্টমেন্ট মোটামুটি হাই থাকে যার কারনে আমাদের মত লো-ইনভেস্টমেন্ট যাদের তারা ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার ছাড়া কিছু চিন্তা করি না । তবে বিষয়টাতে খুব চিন্তার কিছু নাই কারন আপনি ভালো ট্রেডার হয়ে গেলে এই সব পার্থক্য আপনাকে খুব একটা ভাবাবে না । নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকারের মধ্যে আবার ২ ধরণের ব্রোকার আছে –
১. Electronic Communications Network (ECN)
২. Straight Through Processing (STP)
১. Electronic Communications Network (ECN) : এখানে ট্রেডার ওয়ার্ল্ড ফাইনান্সিয়াল মার্কেটে একজন অংশগ্রহণকারী হিসেবে সরাসরি যোগ দেয় । ট্রেডার নিজেই সরাসরি অন্যান্য অংশগ্রহণকারী যেমন, ব্যাংক, হেজফান্ড, বিগট্রেডারসহ অন্যান্যা ফাইনান্সিয়াল ফার্মগুলার সাথে সরাসরি যোগদান করে । এখানে ট্রেডারের এগেইনেস্টে ব্রোকার ট্রেড নিতে পারে না এবং এখানে ট্রেডারের লাভ বা লস যাই হোক না কেন ব্রোকারের কোন লাভ-ক্ষতি নেই । ব্রোকার শুধু মাত্র কমিশন বা স্প্রেডটাই পায় । ট্রেডাররা মুলত হাই স্পীডি এক্সিকিউশন, নো রিকোট এবং ডিপ লিকুইডিটির জন্যই এখানে ট্রেড করে । মুলত স্কাল্পার এবং নিউজ ট্রেডারদের এই টাইপের ব্রোকার পছন্দ । তবে পিউর ECN এ mt4 ব্যবহার হয়না । cTrader, Currenex‘s PowerTrader সহ ECN এর জন্য আলাদা কিছু টার্মিনাল আছে ।
২. Straight Through Processing (STP) : এই টাইপের ব্রোকারগুলো মুলত ট্রেডারদের অর্ডার কোন ডিলিং ডেস্ক ছাড়াই সরাসরি লিকুইডিটি প্রোভাইডারে (ব্যাংক এবং বড় ব্রোকারে) সেন্ড করে দেয় । সুতরাং এতে অর্ডার দ্রুত এক্সিকিউশন হয়, অতিরিক্ত সময় লাগেনা এবং কোন রিকোটও থাকেনা। STP এর প্রধানতম সুবিধা হচ্ছে এতে ট্রেডারের লস হলে ব্রোকারের কোন প্রফিট হয়না । ট্রেডার লাভ করুক বা লস করুক সেটাতে ব্রোকারের কোন মাথাব্যাথা নেই । ব্রোকারের লাভ হলো শুধু স্প্রেড এবং কমিশন । একেকটি ব্রোকারের অনেকগুলা লিকুইডিটি প্রোভাইডার থাকে । যাদের যতো বেশি লিকুইডিটি প্রোভাইডার সেটাতেই ট্রেডাররা লাভবান হয় এক্সিকিউশন দ্রুততার সাথে হয় ডিপ লিকুইডিটি ফিড এর কারণে । নিম্নের চিত্রটি দেখুন আশা করছি বিষয়টা আরো পরিস্কার হয়ে যাবে । তাই আপনার ট্রেডের ধরণ দেখেই আপনি আপনার একাউন্ট এর শ্রেণী ভাগ করুন।প্রায় বেশিরভাগ রেগুলেটেড ব্রোকারেই STP/ECN, এবং মার্কেট মেকার দুই প্রকারের একাউন্টই থাকে । তবে যাদের একাউন্টে ডিপোজিট কম তাদের মার্কেট মেকার ছাড়া গতি নেই । আর আপনার ফান্ড যদি অনেক বিশাল হয় তাহলে আপনার জন্য STP/ECN ভাল বলে মনে করি ।
ফরেক্স মার্কেটের অসংখ্য ব্রোকাররের মধ্য থেকে কোন ব্রোকারটি কেমন, কার সুবিধা কেমন, কিংবা কার কি অসুবিধা, কোন ব্রোকার লেনদেন এর দিক দিয়ে কতটা স্বচ্ছ বা কোন ব্রোকারটি রেগুলেটেড ইত্যাদি নানা বিষয় জেনে শুনে ব্রোকার সিলেক্ট করতে হয় । আপনি নতুন কিংবা পুরাতন যেমন ট্রেডার হোন না কেন, বিষয়টির উপর নির্ভর করছে আপনার ট্রেডিং স্বচ্ছতা । এ পর্যায়ে আলোচনার সুবিধার্থে ভালো ব্রোকার চেনার বৈশিষ্ট্যগুলোকে ৪টি পর্যায়ে বিভক্ত করে আলোচনা করা হলো । এ পর্যায় ৪ টি হচ্ছে –
১. ব্রোকারটি রেগুলেটেড কি না ।
২. ট্রেডিং কন্ডিশন ।
৩. অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ।
৪. কনফার্মেশন ।
ব্রোকার নির্বাচনে আপনার প্রথম প্রশ্নটি হলো আপনি যে ব্রোকারটি সিলেক্ট করতে যাচ্ছেন তা ব্রোকার নিয়ন্ত্রক অর্গানাইজেশন বা অথোরিটি থেকে রেগুলেটেড কিনা । কারন প্রত্যেকটি রেগুলেটেড ব্রোকারকে তার ফাইন্যানশিয়াল রিপোর্ট সাবমিট করতে হয় রেগুলেটরি অথোরিটির কাছে । আর যখন কোন ব্রোকার তা সাবমিট করতে অপারগ হয় বা সাবমিট করে না তখন রেগুলেটরি অথোরিটি ঐ ব্রোকারকে চার্জ করে বা তার মেম্বারশীপ বাতিল করে । দেশভিত্তিক ব্রোকার রেগুলেটরি অথোরিটি ভিন্ন হতে পারে । যেমনঃ আমেরিকান (U.S. Based) ব্রোকার হলে তাকে লোকাল অথোরিটি NFA (National Futures Association) এবং CFTC (Commodity Futures Trading Commission) কর্তৃক অথোরাইজড হতে হবে । আবার সুয়িস বেসড (Swiss Based) ব্রোকার হলে তাকে অবশ্যই FDF (Federal Department of Finance) এবং U.K. বেসড ব্রোকার হলে তাকে FSA কর্তৃক অথোরাইজড হতে হবে । তাই আপনি যে ব্রোকারকে সিলেক্ট করছেন তার এই স্বচ্ছতাগুলো দেখে নিশ্চিত হতে পারেন ।
আপনি দ্বিতীয় যে বিষয় গুলো দেখবেন তা হল ঐ ব্রোকার আর ট্রেডিং সুবিধাগুলো । যেসব বিষয় আপনি দেখবেন সেগুলো হলঃ
Spread : অবশ্যই দেখবেন কারেন্সি পেয়ারে অন্যদের তুলনায় স্প্রেড কত কম, স্প্রেড যত কম হবে আপনার ট্রেডিং ক্যাপাবিলিটি তত ভালো হবে ।
Platform Execution : অর্থাৎ আপনি দেখবেন ঐ ব্রোকারের ট্রেডিং এক্সিকিউশন কত ফাস্ট । অর্থাৎ আপনি যখন কোন অর্ডার মেইক করেন তখন কত দ্রুত আপনার অর্ডারটি মেইক হচ্ছে ।
Fractional Trading : আপনি যদি মিনি লট বা মাইক্রো লট ট্রেডিং ট্রেডার হোন তাহলে দেখতে হবে ঐ ব্রোকারের Fractional Trading সুবিধাটা আছে কিনা । কারন সব ব্রোকার মাইক্রো লট বা Fractional Trading সাপোর্ট করে না ।
Safety of Funds : আপনাকে আরও নিশিত হতে হবে আপনার ইনভেষ্টকৃত এমাউন্টটি কত সেইফ বা নিরাপদ । ব্রোকাররা তাদের একটি Segregated Account সুবিধার মাধ্যমে তা নিশ্চিত করে ।
Trading Platform : সহজভাবে ব্যাবহার সুবিধা দেখবেন, এটি সব ব্রোকারের ক্ষেত্রে ডিফল্ট হয়ে থাকে তাই চিন্তার তেমন কোন কারন নাই ।
Minimum Investment : এই বিষয়টি ও খুব গুরুত্তপূর্ণ অর্থাৎ ঐ ব্রোকার সর্বনিম্ন কত এমাউন্ট ডিপোজিটে ট্রেডিং সুবিধা প্রদান করছে ।
Margin (Leverage) : এই ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় হল আপনার চাহিদা অনুসারে ব্রোকার ঐ পরিমান মার্জিন সুবিধা দিচ্ছে কিনা । তবে মোটামুটি এখন প্রায় ব্রোকার ১-৬০০ লিভারেজ দিচ্ছে ।
One Click Dealing : যদি আপনার ট্রেডিং স্টাইল হয় খুব স্বল্প সময়ের এবং আপনি যদি দ্রুততার সাথে মার্কেটে প্রবেশ করতে চান এই অপশনটি আপনার জন্য ।
Advanced Type of Orders : কখনো আপনি আপনার ট্রেডিং ষ্ট্রাটেজি দুটি অর্ডার করতে পারেন । শর্ত হলে একটি যেকোন একটি অর্ডার এক্সিকিউট হলে অপর অর্ডারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যানসেল (OCO) হয়ে যাবে । তাই আপনার ট্রেডিং ষ্ট্রাটেজি অনুসারে ব্রোকারের এই সুবিধাটিও দেখতে পারেন । এছাড়া GTC (Good Till Canceled), GFD (Good for the Day) নামক কিছু অর্ডার সুবিধা ব্রোকাররা দিয়ে থাকে ।
Support for Handheld, Mobile and Other Device : এই সুবিধাটি না উল্লেখ করলেও আপনি অনুভব করতে পারতেন, আপনার পকেট ডিভাইস সাপোর্ট প্লাটফর্ম হলে কতখানি সুবিধা তা আশা করছি আর বিস্তারিত বলেতে হবে না ।
Trade Directly from the Chart : অনেক ট্রেডার আছে যারা সরাসরি চার্ট থেকে ট্রেড করতে চায় । তাই চার্ট থেকে ট্রেডিং কৌওট পেনেল সুবিধাটিও আপনার প্রয়োজন হতে পারে ।
Trailing Stop: এটি ফরেক্স মার্কেটের খুবই সুন্দর একটি সুবিধা যা ব্যাবহার এর মাধ্যমে মার্কেট আপনার অনুকুলে আপনি আপনার প্রফিটকে লক করার মাধ্যমে বাড়াতে পারেন ।
এছাড়াও ট্রেড শুরু করলে আপনি আরো বিভিন্ন ধরনের সুবিধা অনুভব করবেন এবং ব্রোকার অভারভিউ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ব্রোকারকে সিলেক্ট করে নিবেন।
আশা করছি ইতিমধ্যে আপনি ২-৩টি ব্রোকারকে প্রাথমিকভাবে সিলেক্ট করে ফেলেছেন এবং ট্রেড করার জন্য তাদেরকে ফাইনাল লিস্টে নিয়েছেন । আপনি সঠিক এবং স্বচ্ছ ব্রোকার সিলেক্ট করেছেন কিনা তা নিশ্চিত হতে বিভিন্নরকম ফরেক্স ফোরামে (যেমন forexfactory, forexnews, babypips ইত্যাদি) একটি পোস্ট দিন আপনার প্রশ্নের উত্তর চেয়ে, দেখবেন অনেক এক্সপার্ট ট্রেডার এবং অভিজ্ঞ যারা আছে তারা আপনার পোস্টের সঠিক রিপ্লাই দিবে এতে করে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার সিদ্ধান্ত কতটুকু সঠিক ছিল ।
Customer Service : এই বিষয়টি একজন ট্রেডারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ঐ ব্রোকারটি কি কাস্টোমারের প্রতি সদয় ? তারা কি কাস্টোমারকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করতে ইচ্ছুক ?
Slippage : এটি এমন একটি বিষয় যা নির্দেশ করে যে, আপনার অর্ডার করা একচ্যুয়াল ভেলুতে কি অর্ডারটি সম্পূর্ণ হয়েছে ? এবং আপনার টেক প্রফিট এবং স্টপ লস মোতাবেক অর্ডারটি সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা ইত্যাদি ।
Manual Execution : কিছু ব্রোকার আছে যারা স্কেল্পিং বা অটোট্রেডিং পছন্দ করে না । আর ঐসব ব্রোকারে যখন কোন ট্রেডার তা করতে যায় তখন ব্রোকার থেকে ম্যানুয়াল ট্রেডিং করতে ফোর্স করে হয় । অর্থাৎ ঐ ব্রোকারে হিউম্যান ট্রেড ছাড়া অন্য কোন রোবটিক ট্রেড এক্সিকিউট করবে না ।
Re-Quotes : এটা ঘটে যখন আপনি বায় অথবা সেল বাটন ক্লিক করছেন কিন্তু ফ্লাটফর্ম বা মেটা ট্রেডার আপনার অর্ডারটি এক্সিকিউট করছে না ।
আপনি আপনার নিজের টাকা ডিপোজিট করে ট্রেড করবেন । সেইজন্য আপনি নিশ্চয়ই এমন কোন ব্রোকারে ট্রেড করতে পারেন না যেখানে ফান্ড সিকিউরিটি নেই । ইন্সটাফরেক্স, এক্সনেস, অক্টাএফএক্স ব্রোকারগুলো রেগুলেটেড নয় । নিউজল্যান্ড, রাশিয়া বা পানামার এই ব্রোকারগুলো যদি আপনার উইথড্র না দেয় আপনাকে বা কখনও ব্রোকার বন্ধ করে চলে যায়, আপনার কিছু বলার থাকবে না । সেইদিক থেকে এক্সিমার্কেটস ব্রোকার রেগুলেটেড এবং ২০০০০ ইউরো প্রত্যেক ক্লায়েন্টের জন্য ফান্ড সিকিউরিটি আছে বিধায় তুলনামুলক নিরাপদ । এরকম রেগুলেটেড অনেক ভাল ব্রোকার রয়েছে । কিন্তু বাংলাদেশী হিসেবে আমরা দুর্ভাগা যে আমরা ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ডিপোজিট করতে পারিনা বলে সেই সকল ব্রোকারগুলোতে ট্রেড করতে পারিনা ।
স্প্রেড জিনিসটা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের ট্রেডার তার ওপর । এক্সনেস, অক্টাএফএক্স ইত্যাদি ব্রোকারগুলোতে স্প্রেড কম । ১ পিপসের মতো । এর মূল কারণ হলো এরা কোন রেগুলেটেড ব্রোকার না । নিজেদের মধ্যেই প্রাইস ডিল করে । তার লিকুউডিটি প্রভাইডারকে কোন মানি পে করতে হয় না । আপনি লস করলেই এদের লাভ । তাই এরা তুলনামুলক কম স্প্রেড দিতে পারে । এরা যদি কোন স্প্রেড না নিতো, তবেও এদের লস নেই । বরং আপনাকে উল্টা লাভও দিতে পারে ট্রেড করলে । কারণ আপনি ট্রেড করে লস করলেই এদের লাভ । অনেক ট্রেডার কম স্প্রেড দেখে এইসব ব্রোকারে ট্রেড করে । ইন্সটাফরেক্সে আবার স্প্রেড বেশী । কিন্তু তাদের স্প্রেড আবার ফিক্সড । ৩ পিপস EURUSD তে । যেই প্রশ্নটা আসে তা হলো হাই ভোল্টেজ নিউজ বের হলে, স্প্রেড অনেক বেড়ে যাওয়ার কথা সব ব্রোকারে । ইন্সটাসহ এরকম ফিক্সড অন্যান্য ব্রোকার কিভাবে আপনাকে ফিক্সড স্প্রেড দিবে ? উত্তরটা হল ব্রোকার তখন আপনাকে ট্রেডই ওপেন করতে দিবে না । দেখা যাবে রিকোটস, অফ কোটস ইত্যাদি এরর মেসেজ দেখিয়ে ট্রেডই ওপেন হবে না । অথবা মার্কেট সেন্টিমেন্ট বুঝে বাই করতে দিবে, কিন্তু সেল করতে দিবে না এ রকম ।
২ ধরনের ট্রেড এক্সিকিউশন রয়েছে যা ব্রোকার ভেদে ভিন্ন হয় । কিছু ব্রোকার আছে মার্কেট এক্সিকিউশন দেয় এবং কিছু ব্রোকার ইন্সট্যান্ট এক্সিকিউশন দিয়ে থাকে । ইন্সটাফরেক্স, এক্সনেস এরা হল ইন্সট্যান্ট এক্সিকিউশন ব্রোকার । এসব ব্রোকারে ট্রেড দিলে তারা সেই প্রাইসে ট্রেড ওপেন করার চেস্টা করবে । এর মধ্যে যদি প্রাইস পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে তারা আর ট্রেড ওপেন করবে না । আপনাকে রিকোটস মেসেজ দেখাবে । এরকম ব্রোকারে ট্রেড না করাই ভাল । দেখা যাবে ১-২ পিপসের পরিবর্তনের জন্য আপনার ট্রেডটাই ওপেন হবে না, যেটা থেকে হয়তো আপনি ৫০-৬০ পিপ্স লাভ পেতেন । সেই ক্ষেত্রে মার্কেট এক্সিকিউশন ব্রোকার সেরা কারণ আপনি ট্রেড অর্ডার দিলে সেটা ওপেন হবে গ্যারান্টেড । এক্সিমার্কেটস এবং অক্টাএফএক্স মার্কেট এক্সিকিউশন ব্রোকার । আরেকটা বিষয় সবচেয়ে বেশী গুরুত্তপূর্ণ । সেটা হল ট্রেড ওপেন হবার স্পিড অর্থাৎ ট্রেড এক্সিকিউশন স্পিড । ইন্সটাফরেক্স এই ক্ষেত্রে একদমই জঘন্য । অনেকসময় ৩০ সেকেন্ডও ট্রেড ওপেন করবে না । এক্সনেস এবং অক্টাএফএক্সের স্পিড মোটামুটি ।
ডিপোজিট-উইথড্রের স্পিডটা আমার কাছে অতটা জরুরী না । কারণ আমি মাসে ২-১ বার উইথড্র করি । অক্টাএফএক্স, এক্সিমার্কেটস সব ব্রোকারই মোটামুটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উইথড্র দিয়ে দেয় । শুধুমাত্র ইন্সটাফরেক্স মাঝে মাঝে দেরি করে । ২-৩ দিন লাগিয়ে দেয় । আর ডিপোজিট তো সব ব্রোকারে ইন্সট্যান্ট । ইন্সটাফরেক্সে আবার টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে মাঝে মাঝে ডিপোজিট মিস হয়ে যায় । অনেক ঝামেলা, অ্যাপ্লিকেশান করে তারপর সেটা তারা যোগ করে ।
এইবার ব্রোকার কনফার্ম করার পালা অর্থাৎ, এতক্ষণের আলোচনায় আপনি যে ব্রোকারকে আপনার ট্রেডিং এর জন্য উপযোগী মনে করছেন প্রথমে তাকে ডেমো একাউন্টের মাধ্যমে আপনার সবগুলো ট্রেডিং স্টাইলকে টেস্ট করুন এবং যদি স্যাটিসফাইড রেজাল্ট পান তাহলে ঐ নির্দিষ্ট ব্রোকারকেই নির্বাচন করুন ।
তাই উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আপনি একটি পারফেক্ট ব্রোকার সিলেক্ট করে আপনার ট্রেডিং পরিচালনা করতে পারেন সাফল্যমণ্ডিতভাবে।
ব্রোকারের লাভ কিভাবে আসে সেটা জানতে হলে আমাদের ব্রোকার সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে হবে । এক কথায় ব্রোকার হলো এমন একটি মিডিয়া যা ইন্টারব্যাংকের সাথে ডিল করে থাকে । আমরা আগেই জেনেছি ব্রোকার ২ প্রকার । ডিলিং ডেস্ক এবং নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার ।
যদি কোন ট্রেডার কোন কারেন্সি বায় অর্ডার করে তখন ব্রোকার ঐ কারেন্সির আরেকটি সেল (বিপরীত) অর্ডার করে এবং ট্রেডার যখন সেল অর্ডার করে তখন ব্রোকার তার বিপরীত বায় অর্ডারটি করে । এই নিয়মে ট্রেডাররা প্রতিনিয়ত একটা প্রাইস চেঞ্জ এর মধ্যে থাকে বা ট্রেডাররা বেশিরভাগ সময়ে রিয়েল কৌওটে অর্ডার করতে পারে না ।
এখন মনে করেন ট্রেডার ১০০ ডলার লস করে ফেলছে ? এখন বলুনতো কে এই ১০০ ডলার পাবে ? হ্যা, আপনি ঠিক ধরেছেন । ব্রোকার পাবে । আবার আপনার ট্রেডের বিপরিতে ১০০ ডলার তারা কিন্তু লাভ করে ফেলছে । তাহলে ব্রোকারের লাভ হলো ২০০ ডলার ।
এটা সাধারণ নিয়ম যেখানে ব্রোকাররা ট্রেডারের ট্রেড এর বিপরীতে কোন ট্রেড ওপেন করে না শুধুমাত্র ওপেনকৃত ট্রেড থেকে কমিশন লাভ করে থাকে । এই নিয়মে ট্রেডাররা প্রতিনিয়ত রিয়েল কৌওটে অর্ডার মেইক করতে পারে ।
এছাড়াও ব্রোকার আরো অনেক ভাবে লাভ করে থাকে ।
১. স্প্রেড
২. স্লিপেজ
৩. ফেক ক্যান্ডেল
৪. ইচ্ছাকৃতভাবে উইথড্র আটকানো
৫. পার্টনারশিপ
৬. ই-কারেন্সি নিয়ে কোন ভুল কিংবা মানি লন্ডারিং এর মত ফালতু কারন দেখিয়ে
৭. স্পন্সারশিপ
৮. ইন্টারেস্ট
৯. নিজস্ব কোম্পানি
১০. ট্রেডারদের স্পামিং কিংবা মান্থলি গেইন যখন অতিরিক্ত ।
ডেমো বা রিয়েল ট্রেড করার জন্য আপনার একটি সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হবে । যেটাকে ফরেক্সের ভাষায় বলা হয় ট্রেডিং টার্মিনাল । অধিকাংশ ব্রোকার মেটাট্রেডার টার্মিনাল ব্যবহার করে । একে সংক্ষেপে MT4ও বলা হয় । এটি মেটাকোড নামক একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের তৈরীকৃত সফটওয়্যার যা আমরা ব্রোকারের মাধ্যমে পেয়ে থাকি । এর মাধ্যমে আমরা ট্রেড করা, ট্রেড দেখা, মার্কেট অ্যানালাইসিস ইত্যাদি কাজগুলো করে থাকি । মেটাট্রেডার৪ ছাড়াও ট্রেড করার জন্য আরও অন্যান্য সফটওয়্যার আছে যেমন – সিট্রেডার, কিছু ওয়েব ট্রেডার ইত্যাদি । এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে মেটাট্রেডার৪ বা MT4 । এর মুল কারণ হচ্ছে এটির ব্যবহার অত্যান্ত সহজ এবং এটিতে প্রয়োজনমতো কাষ্টমাইজ ইন্ডিকেটর ব্যবহার করা যায় ।
এবার দেখে নেয়া যাক মেটা ট্রেডার এ কি কি বৈশিষ্ট্য আছে –
· বিভিন্ন মার্কেটে এক সাথে ট্রেড করা যায় । ফরেক্স, CFD, Futures কোন কোন ব্রোকার NYSE তে ট্রেড করার সুযোগ দিয়ে থাকে ।
· অসংখ্য চার্ট একসাথে ব্যবহার করা যায় ।
· বিভিন্ন Time frame এর সুবিধা ।
· অসংখ্য Indicator, EA ও Scripts আগে থেকেই দেয়া আছে ।
· খুব সহজেই ব্যবহার করা যায় । Interface এর সাথে Multilingual সাপোর্ট তো আছেই ।
· ১২৮ বিট এনকোডিং অপারেটিং Environment, যা এর নিরাপত্তা বাড়ায় ।
· Internal Email এর সুবিধা ।
· রিয়েল টাইম ডেটা ট্রান্সফার ।
· কারেন্ট ফিনান্সিয়াল নিউজ রিসিভ ।
· বিল্ট ইন Programming Language যা ব্যবহার করে আপনি পাচ্ছেন Indicator তৈরীর সুবিধা ।
· প্রতিদিন আরও নতুন নতুন ফিচার যোগ হচ্ছে ।
মেটাট্রেডার ডাউনলোড করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্রোকারের ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে তাদের মেটাট্রেডার ডাউনলোড করতে হবে । নিম্নে কয়েকটি উলেখযোগ্য ব্রোকারের ওয়েব অ্যাড্রেস দেয়া হলো –
www.icmarkets www.fbs.com www.xm.com www.liteforex.com www.hotforex.com
আপনি হয়ত ফরেক্স ট্রেড করতে আগ্রহী । কিন্তু আপনি জানেন না কিভাবে ফরেক্স ট্রেড করে । অনেকের কাছেই পিপস, লিভারেজ এগুলো শুনেছেন, কিন্তু ট্রেড না করায় এগুলো কিছুই বুঝতে পারছেন না । তাই আপনি হয়ত শুরুতেই ফরেক্সে ইনভেস্ট করতে ভয় পাচ্ছেন । কারন যেহুতু কিছুই পারেন না, লস করার সম্ভবনাটাই বেশী । কিন্তু এই আধুনিক যুগে আপনি কিন্তু কোন টাকা খরচ না করেই টেস্ট ট্রেড করতে পারেন । এজন্য ব্রোকাররা ডেমো ট্রেডের ব্যবস্থা রেখেছে । ডেমো অ্যাকাউন্টে আপনি ভার্চুয়াল মানি দিয়ে ট্রেডিং প্রাকটিস করতে পারবেন । আপনি ডেমোতে লস করতে পারেন, এমনকি পুরো ব্যালেন্স উড়িয়ে দিতে পারেন, কোন সমস্যা নেই । এটা শুধুমাত্র আপনার দক্ষতাকে আরও বাড়ানোর জন্য । আপনি যত ট্রেড করবেন, আপনি ততো ট্রেড শিখবেন । আপনি ভালভাবে ট্রেডিং শেখার আগে আপনার রিয়েল ট্রেড শুরু করা উচিত নয় । কারন তাহলে কিন্তু আপনার লস করার সম্ভবনাই বেশী থাকবে । তাই ডেমো ট্রেড করে আপনি যখন আপনার ট্রেডিং নিয়ে সন্তুষ্ট হবেন, তখনই শুধুমাত্র রিয়েল ট্রেড শুরু করা উচিত ।
এ প্রশ্নের উত্তর একেকজন একেকটা বললেনও আমি বলল নূন্যতম ২ মাস ডেমো ট্রেড করা উচিত । কিন্তু নির্দিষ্ট কোন সময় নেই ।
ডেমো ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে আপনি ফরেক্সের বিভিন্ন কৌশল গুলো শিখতে পারবেন । বিভিন্ন ট্রেডিং স্ট্রাটেজি টেস্ট করতে পারবেন । আপনার লস করার কারনগুলো চিহ্নিত করতে পারবেন এবং তা শুধরে নিতে পারবেন । নতুন কোন EA কিংবা ইন্ডিকেটরের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন । সর্বমোট আপনার ট্রেডিংকে আরও উন্নত করার জন্য ডেমো ট্রেডিং আপনাকে অনেকভাবে সাহায্য করবে ।
NFA – National Futures Association – http://www.nfa.futures.org/
CFTC – Commodity Futures Trading Commission – http://www.cftc.gov/
FSA – Financial Services Authority – http://www.fsa.gov.uk/
ForexAnonymous – http://www.forexanonymous.com/search.php?id=17
TheForexReviewer – http://www.theforexreviewer.com/forexreviews/forex-broker-reviews/
Forex4Noobs – http://www.forex4noobs.com/product_reviews.php
ForexBastards – http://www.forexpeacearmy.com/public/forex_broker_reviews
Forex Broker Discussion at ForexFactoryhttp://www.forexfactory.com/forumdisplay.php?f=74
Rate my Broker at BabyPips http://forums.babypips.com/rate-my-broker/
Forex Brokers at Trade2Win Forums http://www.trade2win.com/boards/forex-brokers/
আপনি ফরেক্স বিদ্যা আয়ত্ব করে ফেলেছেন এবং ডেমোতে প্রাকটিস করে ফরেক্স ব্যবসা করার জন্য নিজের একটি ট্রেড গাইড লাইন তৈরী করে ফেলেছেন এবং মানসিক ভাবে পুরোপুরি তৈরী রিয়েল বা লাইভ ট্রেড করার জন্য। এখন এই রিয়েল ট্রেড করতে কি কি করতে হবে তা আলোচলা করছি। ফরেক্সে রিয়েল বা লাইভ ট্রেড করার জন্য আপনার পছন্দ মত যে কোন ব্রোকার হাউজে একাউন্ট খুলতে হবে। ব্রোকার হাউজে একাউন্ট খুলার জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন তা নিন্মে আলোচনা করা হইল।
১। আপনার নিজস্ব পাসপোর্ট/জাতীয় পরিচয় পত্র ইত্যাদি।
২। আপনি যে ঠিকানা ব্যবহার করে আবেদন করবেন, সেই ঠিকানার আপনার নামে বৈদ্যতিক বিল/ওয়াসা বিল/টেলিফোন বিল/ক্রেডিক কার্ড এর ষ্টেটমেন্ট/ব্যাংক একাউন্ট ষ্টেটমেন্ট ইত্যাদি।
৩। ই-মেইল এবং ভেরিফাইড মোবাইল নম্বর।
৪। আপনি যে মাধ্যমে ব্রোকার হাউজে মানে ব্রোকারে আপনার একাউন্টে টাকা মানে ডলার/ইউরো/ইয়েন ইত্যাদি জমা দিবেন তা ঠিক করা।
অন লাইন বেইজড ভারচুয়াল ব্যাংক বা গেইটওয়ে।
NETELLER https://www.neteller.com
SKRILL https://www.skrill.com
PERFECT MONEY https://perfectmoney.com ইত্যাদি।
আমি উপরে যে ৩টি ভারচুয়াল গেইট ওয়ের নাম লিখলাম, তা হলো বাংলাদেশীদের জন্য সবচেয়ে সহজ এবং বিশ্বস্থ। এই ভারচুয়াল গেইট ওয়েতে একাউন্ট করতে যা যা লাগবে -
পাসপোর্ট/জাতীয় পরিচয় পত্র।
আপনি যে ঠিকানা ব্যবহার করে আবেদন করবেন, সেই ঠিকানার আপনার নামে বৈদ্যতিক বিল/ওয়াসা বিল/টেলিফোন বিল/ক্রেডিক কার্ড এর ষ্টেটমেন্ট/ব্যাংক একাউন্ট ষ্টেটমেন্ট।
ই-মেইল এবং ভেরিফাইড মোবাইল নম্বর।
এবং যদি উক্ত প্রতিষ্ঠান মনে করে, আপনার লাইভ কোন ছবি বা লাইভ ইন্টারভিউ নিবে তা নিতে পারে।
ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার।
মাস্টার/ভিসা ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড।
পেপাল।
অন্যান্য।
উপরোক্ত সকল বিষয়াদি ঠিক করার পর আপনাকে ব্রোকার হাউজের নির্ধারিত ফরম পূরনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং ব্রোকার হাউজের চাহিদা মোতাবেক সকল প্রকার ডকিউমেন্ট সাবমিট করতে হবে। ব্রোকার হাউজ আপনার সাবমিট কৃত ডকিউমেন্ট যাচাই -বাছাই করে যদি আপনার একাউন্টকে ভেরিফাই করে দেয়, তাহলে আপনি রিয়েল ট্রেড করতে পারবেন। এবং এখন আপনি কারেন্সী (মানে ব্রোকার আবেদনে যে কারেন্সী উল্লেখ করেছেন) জমা দানের মাধ্যমে রিয়েল ট্রেড শুরু করতে পারবেন।
বিঃদ্রঃ প্রথম বার যে কোন জায়গায় একাউন্ট করার জন্য অব্যশই আপনার মেনটরের বা আপনার পরিচিত অভিজ্ঞ কাহারো সহযোগিতা নিয়ে করা উচিত। এই সব একাউন্ট গুলো বুঝে বুঝে করা উচিত। কারন আপনার না জানা একটা ভুল আপনার একাউন্টকে যে কোন ধরনের সমস্যায় ফেলে দিতে পারে। যাতে আপনার অর্থ নষ্ট করার সম্ভবনা থাকে।
ফরেক্স বা ট্রেড ব্যবসা সম্পূর্ন একটি প্রাকটিক্যাল বিষয়। এখানে কম জানা বা অল্প জ্ঞানের কোন জায়গা নাই। ফরেক্স বা ট্রেড (শেয়ার) ব্যবসা করতে হলে, পরিপূর্ন ভাবে জানতে হবে। কারন আপনার টাকা শুধু মাত্র আপনারই টাকা। আপনার টাকার মায়া আপনার না থাকলে অন্য কাহারো থাকবে না। যদি আপনি মনে করেন এই সেক্টর হতে আপনি কিছু করতে চান, তাহলে আপনাকে যে কোন মেনটরের কাছে হাতে কলমে শিখতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার বিনিয়োগ সিকিউর করে, আপনার কাংখিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবেন। পরিশেষে ফরেক্স মাকের্টে সকলের সাফল্যয়তা কামনা করছি।
ধন্যবাদ