আমি যদি আপনাকে সহজভাবে বলতে চাই IB বা পার্টনারসীপ হচ্ছে একজন ট্রেডারের ব্রোকার থেকে অতিরিক্ত Income আপনি যখন একটি ব্রোকারে Account করে Trade করবেন তখন আপনি চাইলেই অতিরিক্ত Income হিসাবে তাদের পার্টনারসীপ হিসাবে কাজ করতে পারবেন এক্ষেত্রে ব্রোকার আপনাকে একটি Affiliation Link দিবে এই Affiliation Link আপনার প্রচারের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে যদি কেহ Account করে Trade করে তাহলে ব্রোকার ঐ Trader এর কাছ থেকে তাদের সার্ভিস চার্জ হিসাবে যে Spread বা Commission কর্তন করে তার কিছু পরিমান Commission ব্রোকার তা IB বা পার্টনারকারিকে দিয়ে থাকে । আর এটাই হচ্ছে IB বা পার্টনারসীপ Income ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কি কারো IB থেকে Account করবেন ? আমি বলব অবশ্যই করবেন তাতে আপনার লাভ বেশি কারন আপনি যদি কারো IB থেকে Account করে ট্রেড করেন ব্রোকার যে Commission নিবে, শুধু ব্রোকার থেকে Account করে Trade করলে Same Commission নিবে ।
এখন আপনি যদি Forex Trader হিসাবে নতুন হন তাহলে চিন্তা করে দেখুন যদি কোন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন Trader এর IB তে Account করেন তাহলে এই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন Trader এর কাছ থেকে Trade সম্পর্কে জানার জন্য Support পাচ্ছেন যা ব্রোকারের কাছ থেকে পাচ্ছেন না ।
আমাদের Mentality Change করা প্রয়োজন আপনি কখনো চিন্তা করে দেখছেন আপনি যখন সরাসরি ব্রোকারে Account করে Trade করছেন পুরো Commission দেশের বাহিরের ব্রোকার নিয়ে যাচ্ছে অথচ নিজ দেশে এখন ভালমানের Trader আছে যদি তাদের IB তে Account করে Trade করতেন তাহলে রেমিটেন্স হিসাবে অনেক টাকা দেশে ঢুকত এবং আপনিও তাদের Experience থেকে অনেক কিছু শিখতে পারতেন ।
যারা নতুন Forex Trading-এ নূন্যতম তিন বছর Experience না হলে IB Account নিবেন না । যদি নেন আপনি Forex Trade শিখতে পারবেন না । আর Forex Trade না শিখে IB Income করতে পারবেন না ।
আমি বলব না যে আপনি আমার IB তে Account করেন, বরং আপনার উচিৎ হবে যাকে আপনার পছন্দ তাকে knock করে বলা যে আমি আপনার IB তে Account করে Forex Trade করতে চাই এবং Forex বিষয়ে ভালভাবে জানতে চাই এক্ষেত্রে অবশ্যই অভিজ্ঞতা সমপন্ন Trader Select করতে ভুলবেন না ।
আমরা প্রত্যেকেই তো কোন না কোন ফরেক্স ব্রোকারের সাথে ট্রেড করি। এই ব্রোকারগুলোর আবার সম্পর্ক আছে বিভিন্ন ব্যাংকের সাথে। বিশ্বের বড় বড় সব ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের সরাসরিই ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার সুযোগ দেয়। তবে হ্যাঁ, চাইলেই আমি বা আপনি এই সুবিধা নিতে পারবো না। এর জন্য থাকতে হবে ডিপোজিট করার মত অনেক অনেক অর্থ। যেমন, আন্তর্জাতিক ব্যাংক Citi ব্যাংকের সাথে(বাংলাদেশের সিটি City Bank না) কারেন্সি ট্রেড করতে চাইলে, অ্যাকাউন্ট এ থাকতে হবে নুন্যতম দেড় লক্ষ পাউন্ড বা প্রায় ২ লক্ষ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় দেড় কোটি টাকারও বেশি। অবাক হওয়ার কিছু নেই। ফরেক্স মার্কেট তো আগে শুধু এলিটদের জন্যেই ছিল, একথা ভুলে গেলে কি চলবে? আরও মজার তথ্য হচ্ছে, প্রধান দশটি ব্যাংকের মাধ্যমেই ফরেক্স মার্কেটের প্রায় ৭৫% কারেন্সি এক্সচেঞ্জ হয়। এ ব্যাংকগুলো নিজেরাও গ্রাহকদের পাশাপাশি কারেন্সি ট্রেড করে থাকে এবং কোন কারেন্সি কিনলে মাঝে মাঝে এত বিশাল পরিমানে কিনে যে ওই কারেন্সি নিজেই এর ফলে শক্তিশালী বা দুর্বল হয়ে যায়।
📎 ইউরোমানি ২০১৫ সালের যে ফরেক্স সার্ভে করেছে, সে অনুসারে ফরেক্স মার্কেটের শীর্ষ ১৫ টি ব্যাংক ও তাদের মার্কেট শেয়ার হলঃ
১। Citibank ২। Deutsche Bank AG
৩। Barclays ৪। JPMorgan
৫। UBS ৬। Bank of America Merrill Lynch
৭। HSBC ৮। BNP Paribas
৯। Goldman Sachs ১০। RBS
১১। Société Générale ১২। Standard Chartered
১৩। Morgan Stanley ১৪। Credit Suisse
বিশ্বজুড়ে হেজ ফান্ড (Hedge Fund) কনসেপ্ট খুবই জনপ্রিয়। উন্নত দেশগুলোতে সুদের হার খুব কম হওয়ায় ব্যাংকে টাকা রেখে মানুষের টাকা বাড়েনা বললেই চলে।
হেজ ফান্ড (Hedge Fund) হচ্ছে এক ধরনের বিকল্প বিনিয়োগ পদ্ধতি, যেটার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে ক্লায়েন্টদের বিনিয়োগের উপর সর্বোচ্চ মুনাফা এনে দেওয়া। বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের বিনিয়োগকৃত মোট অর্থকে এমনভাবে বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করা হয়, যাতে স্বল্পতম সময়ে দ্রুত মুনাফা অর্জন করা যায়। এক্ষেত্রে, ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটেই বিনিয়োগ বেশি করা হয়, কেননা ওইসব মার্কেটেই সাধারনত সবচেয়ে বেশি দ্রুত প্রফিট করা যায়।
একটা উদাহরন দেওয়া যাক। বাড়ি বা জমিতে বিনিয়োগ নিরাপদ, কিন্তু এর দাম বছরে খুব একটা বাড়ে না (উন্নত দেশগুলোর কথা বলছি)। কিন্তু, স্টক মার্কেটে বা ফরেক্স মার্কেটে ঝুঁকি বেশি। কিন্তু, লাভ ও করা যায় অল্প সময়ে অনেক বেশি। তাই, একটি হেজ ফান্ড সবসময় রিয়েল এস্টেট থেকে স্টক বা ফরেক্স মার্কেটকেই বেশি প্রাধান্য দিবে। কেননা, ক্লায়েন্টরা হেজ ফান্ডে বিনিয়োগ করে বিগত বছরগুলোত মুনাফার হার দেখে। যে হেজ ফান্ড যত বেশি সময় ধরে ভালো মুনাফা করতে পারছে, তার চাহিদা তত বেশি।
মুনাফা বৃদ্ধি করাই হেজ ফান্ডগুলোর প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য। তাই, এরা প্রায়শই ট্রেড করার সময় ঋণ নেয় বা লেভারেজ ব্যবহার করে। হয়ত একটি হেজ ফান্ডে ক্লায়েনটদের মোট বিনিয়োগের পরিমান ৫০ মিলিয়ন ডলার। দেখা গেলো, হেজ ফান্ডটি ১:১০ অনুপাতে ঋণ বা লেভারেজ নিয়ে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমান ট্রেড করছে। এর ফলে, লাভ বা লস, যাই হোক না কেন, সবই ১০ গুন বেশি হবে।
যেকোন বিনিয়োগের আগে খুব ভালো করে ঝুঁকি পর্যালোচনা করতে হয়, আবার সাথে বেশি লাভের ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হয়। এর জন্য এদের থাকে খুবই দক্ষ ও অভিজ্ঞ এনালিস্ট এর একটি দল। এই দলে থাকতে পারে ফরেক্স এনালিস্ট, স্টক এনালিস্ট, রিস্ক এনালিস্ট, প্রোগ্রামার, গনিতবিদ ইত্যাদি। বিভিন্ন হেজ ফান্ডের বিনিয়োগ কৌশল ভিন্ন ভিন্ন। সাধারনত ঝুঁকি কমানোর উদ্দেশ্যে একটি হেজ ফান্ড বিভিন্ন মার্কেটে বিনিয়োগ করে। যেমন, ফরেক্স, স্টক ইত্যাদি।
হেজ ফান্ডগুলো বড় ক্যাপিটাল এবং একটি সুদক্ষ টিম দ্বারা পরিচালিত হয় বলে সাধারন রিটেইল ট্রেডারদের তুলনায় এদের মুনাফা করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর এ কারনেই, হেজ ফান্ড গুলো উন্নত বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়। তবে, চাইলেই যে কেউ হেজ ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারে না, এর জন্যও আলাদা লাইন্সেস লাগে। যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হেজ ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চাইলে, আপনার মোট সম্পত্তির পরিমান নুন্যতম ১ মিলিয়ন ডলার হতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ হেজ ফান্ডে বিনিয়োগ করে কেউ যাতে তার সবকিছু হারিয়ে না ফেলে, মুলত তার জন্যই এই নিয়ম।
মনে রাখবেন, ফরেক্স মার্কেটে আপনাকে অত্যন্ত শক্তিশালী ব্যাংক গুলোর পাশাপাশি বড় বড় হেজ ফান্ডগুলোর বিরুদ্ধেও লড়তে হচ্ছে। রিটেইল ট্রেডাররা মার্কেটকে তেমন একটা মুভ করাতে সক্ষম না হলেও, বড় বড় ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি বড় বড় হেজ ফান্ডগুলোও মার্কেটকে কিছুটা মুভ করাতে সক্ষম। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই, আপনি যেরকম ট্রেডিং স্ট্রাটেজি অনুসরণ করে ট্রেড করেন, হেজ ফান্ডগুলোও একইরকম ট্রেডিং স্ট্রাটেজি অনুসরন করে ট্রেড করে। তবে, মাঝে মাঝে লোভে পড়ে আপনি যেভাবে মানি ম্যানেজমেন্ট ভুলে যান, হেজ ফান্ডগুলো এই ভুল কখনোই করে করে না।
সাধারণত মুদ্রা স্ফীতি বলতে এমন একটি অবস্থা বুঝায়, যখন দ্রব্য মূল্য অস্বাভাবিক রুপে বেড়ে যায় এবং অর্থের মূল্য ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে । মূলত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধিই হলো মুদ্রাস্ফীতি অর্থাৎ কোন দেশে মোট অর্থের যোগান তার চাহিদার তুলনায় বেশি হলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা যায় ।
যখন দেশে দ্রব্য সামগ্রির যোগানের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যায় এবং জনগণ বেশি টাকা দিয়ে কম পরিমাণ দ্রব্য সামগ্রী কিনতে বাধ্য হয়, তখন সেই অবস্থাকে বলে মুদ্রাস্ফীতি । তবে মুদ্রাস্ফীতি কোন এক বা দুটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিকে বুঝায় না, বরং সামগ্রিক অর্থনীতির সকল পণ্যের গড় মূল্য বৃদ্ধিকে বুঝায় । মুদ্রাস্ফীতি একটি ভারসাম্যহীন অবস্থা । এটি অর্থনীতির একটি সামগ্রিক কাঠামো । এ পরিস্থিতিতে অর্থনীতির মোট চাহিদা তার উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার যোগান থেকে বেশি হওয়ার কারণে দাম স্তর ক্রমেই বাড়তে থাকে ।
১. মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম প্রধান কারণ হলো অর্থের যোগান বৃদ্ধি ।
২. সরকারের আয়ের চেয়ে ব্যয় বৃদ্ধি পেলে মুদ্রাস্ফীতি ঘটে ।
৩. বাণিজ্যিক ব্যাংক কর্তৃক শহজ শর্তে অধিক ঋণ দান ।
৪. উৎপাদন হ্রাস আরেকটি উলেখযোগ্য কারণ ।
৫. আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উদ্বৃত্ত মুদ্রাস্ফীতি ঘটায়
৬. অনুৎপাদনশীল ঘাতে ব্যয় বৃদ্ধি ।
৭. বেতন কাঠামো পরিবর্তন ও মুদ্রাস্ফীতি ঘটায় ।
৮. এছাড়াও সরকারের ঘাটতি ব্যয় নির্বাহ, মজুরি বৃদ্ধি, প্রাকৃতিকদুর্যোগ, কর হ্রাস এগুলোও মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম কিছু কারণ ।
১. ব্যাংকগুলো সুদের হার বৃদ্ধি, ঋণপত্র বিক্রয় ও নগদ জামার অনুপাতের বৃদ্ধি ঘটিয়ে থাকে ।
২. সরকারি ব্যয় হ্রাস, করের পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে ।
৩. দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, মজুরি নিয়ন্ত্রণ, উৎপাদন বৃদ্ধি ঘটানো হয় ।
৪. আমদানি বৃদ্ধি, প্রচলিত মুদ্রা বাতিল, ফটকা কারবার নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করে থাকে ।
যাহারা আথিক সংপৃক্ত কাজ বা ব্যবসা করেন বা করবেন বলে চিন্তা করছেন, তাহারা অবশ্যই একটি দেশের মুদ্রাস্ফীতি বা সম্পৃক্ত দেশের মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হবে।
-: ফরেক্সে ফান্ডামেন্টাল বিষয়ের জন্য যে বেসিক বিষয়গুলো নিয়ে ধারণা থাকতে হবে সেগুলো হল :-
🖇GDP : সোজা কথায় GDP হল একটা দেশের আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মুল্য।।সাধারণভাবে GDP যত বৃদ্ধি পাবে ঐ কারেন্সির মান ও তত বৃদ্ধি পাবে।
🖇Inflation--Inflation কিংবা মুদ্রাস্ফীতি হল অর্থের যোগান বেড়ে যাওয়া এবং উৎপাদন কমে যাওয়া।যখন উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যায় তখন মুদ্রার দাম কমতে থাকে এবং মুদ্রাস্ফীতি হয়।।
Inflation এর ফলে Import/Export এর ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। Inflation বিষয়টা একটা কারেন্সির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তাই এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক ধরনের ব্যবস্থা প্রহণ করা হয়৷ এর মধ্যে প্রধাণ তিনটি হল :-
1.Monetary Policy(আর্থিক ব্যবস্থা)--Inflation এর প্রধান কারণ যেহেতু অর্থের পরিমাপ বৃদ্ধি সুতারাং অর্থের লেনদেনের পরিমান কমাতে হবে। আর এই লেনদেন কমাতে হলে ব্যাংক ঋণের পরিমান ও কমাতে হয়৷ এই জন্য সেন্ট্রাল ব্যাংক যে সমস্ত ব্যবস্থা অবলম্বণ করে সেগুলো হল----
2. Increase Bank amount :- First of all, সেন্ট্রাল ব্যাংক যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাংককে অর্থ ধার দেয় সেটাকে ব্যাংক রেট বলে।সেন্ট্রাল ব্যাংক তাদের ব্যাংক রেট বাড়ালে বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের ইন্টারেস্ট বাড়ায়৷ সাধারণত ইন্টারেস্ট বাড়ালে ঋণ গ্রহণ ও কমে আসে।।যার ফলে Inflation ও কমে আসে৷।
3. Open Market Deal(খোলাবাজারি কারবার : - সেন্ট্রাল ব্যাংক অনেক সময় খোলা বাজারে সরকারী Bond বিক্রি করে অর্থের লেনদের পরিমাণ কমাতে চেষ্টা করে।এরুক বন্ড বিক্রি করলে বায়ার তাদের নিজ নিজ বাণিজ্যিক ব্যাংকের চেক কেটে সেন্ট্রাল ব্যাংকের পাওনা দিয়ে থাকে।এরফলে বাণিজ্যেক ব্যাংকের ঋণদানের ক্ষমতা কমে যাই।।আর বন্ডের কারণে একটা ফান্ড রিজার্ভ হয়ে যাই যার ফলে Inflation অনেকটা কমে আসে।
তাছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকের রিজার্ভের রেট পরিবর্তন,মোরাল প্রেশার,ডাইরেক্ট লোন ইত্যাদির মাধ্যমেও Inflation কমানোর চেষ্টা করে।।
-Inflation কমানোর ক্ষেত্রে এখন মনিটরি পলিসির চাইতে ফিসক্যাল পলিসিগুলো আর ভাল কাজ করে।যেহেতু অতিরিক্ত ব্যয় হল Inflation এর প্রধাণ কারণ তাই অতিরিক্ত ব্যয় কমনো গেলে Inflation কমানো যাবে।।এর জন্য পদক্ষেপগুলো হল :-
১.সরকারী ব্যয় হ্রাস ।
২.অতিরিক্ত কর আরোপ করা ।
৩.সরকার কতৃক ঋণ গ্রহণ ।
৪.সঞ্চয় করতে উৎসাহ প্রধান ।
৫.উৎপাদণ বৃদ্ধি ।
৬.আমদানি বৃদ্ধি ।
৭.মজুরি বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ।
৮.মুল্য নিয়ন্ত্রণ ।
উপোরক্ত বিষয়গুলো মোটামোটি খেয়াল করলে ফান্ডামেন্টালি কারেন্সি নিয়ে অনেক ধারণাই পাবেন।।একটা বিষয় সবসময় মনে রাখবেন যতই এনালাইসিস করেন আপনি যদি মানি ম্যানেজমেন্ট এবং রিক্স এন্ড রেওয়ার্ড না মানেন তাহলে কোন এনালাইসিস ই আপনাকে প্রফিটেবল বানাতে পারবে না।।
ফরেক্স ব্যবসা করার প্রথম এবং প্রধান কাজ হলো একটি ভালো, বিশ্বস্থ ব্রোকার সিলেক্ট করা। যদি আপনি ব্রোকার সিলেক্ট এ ভুল করেন, তাহলে আপনি ফরেক্স সম্পকে যত জ্ঞানই রাখেন না কেন, তা কোন প্রকার কাজে আসবে না। তাই ফরেক্স ব্যবসা শুরুর প্রথমে ই আপনাকে একটি ভালো ব্রোকার হাউজ সিলেক্ট করতে হবে। ব্রোকার সিলেক্ট করার সময় কতগুলো বিষয় মনে রাখা জরুরী। ব্রোকারের প্রধান আয় হচ্ছে স্প্রেডএর মাধ্যমে। কিন্তু বেশিরভাগ ব্রোকার ট্রেডারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েও লাভ করে। কথিত আছে ফরেক্স মার্কেটে একটি ভালো ব্রোকার এ একাউন্ট না করার কারনে ৯০% লোক তাদের একাউন্ট হারায়।
ফরেক্স মাকেট আসার পূবে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের অনুমতি ছিল শুধু ব্যাংক, কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠা নের। সাধারন মানুষ ফরেক্স সম্পকে অবগত থাকলেও তারা এই ব্যবসায় কোন হস্তক্ষেপ করতে পারতো না। ইলেকট্রনিক ট্রেডিং এর যুগ শুরু হওয়ার সাথে সাথে ব্রোকারের আবিভাব হয় ফরেক্স মাকেটে। ব্রোকার হচ্ছে একটি অথ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান, যে সাধারন মানুষকে তাদের প্লাটফম প্রদান করে থাকে এবং সাথে দেয় কিছু ট্রেডিং সম্পকিত সুযোগ সুবিধা। সাধারন মানুষ যেখানে সরাসরি ফরেক্স ট্রেড করতে পারে না, তারা খুব সহজেই ব্রোকার কোম্পানী বা হাউজে একাউন্ট খুলে কারেন্সি, গোল্ড, তেল, ক্রিপ্ট সহ অন্যান্য লেনদেন করতে পারে।
ব্রোকার স্ট্রাকচার দু'রকম ঃ-
(১) ডিলিং ডেস্ক (Market Maker Broker) ঃ যেখানে প্রতিটা অর্ডার পূর্ণ হবার আগে ডিলিং ডেস্কে গিয়ে যাচাই করে পূর্ণ হয়।
(২) নো ডিলিং ডেস্ক (No Dealing Desk Broker) ঃ যেখানে কোন ডিলিং ডেস্ক থাকে না, আপনার অর্ডার প্রাইসের সাথে ম্যাচ থাকলেই অটোমেটিক রিকোয়েস্ট পূর্ণ হয়ে যাবে। মাঝখানে কোন ডিলার থাকবে না। মাঝখানে ডিলার থাকলে প্রাইস ম্যানিপুলেট করা যায়।
ধরা যাক আপনি ইউরো ইউএসডি ১.৩৫৪৪ রেটে বাই চাপ দিলেন। ট্রেড সার্ভারে পৌছাতে পৌছাতে প্রাইস চেঞ্জ হয়ে গেল। প্রাইস চেঞ্জ হওয়া মানে পূর্বের প্রাইসে আর কোন সেলার নেই। এই অবস্থায় ব্রোকার নিজেই সেলার হয়ে আপনার রিকুয়েস্ট পূর্ন করে দিবে।
পরবর্তীতে যখন সেল করে দিতে সেল বাটন চাপ দিবেন, তখন ডিলিং ডেস্কে গিয়ে যদি দেখা যায় ঐ রেটে কোন বায়ার নেই তাহলে ডিলিং ডেস্ক আপনাকে আরেকটা প্রাইস পাঠাবে যে প্রাইসে আপনি সেল করতে ইচ্ছক কিনা জানতে চাইবে। এটাকে বলে Requote। এর ফলে লাভের পরিমাণ কমে যায় বা লসের পরিমান বেড়ে যায়।
কিন্তু নো ডিলিং ডেস্কে আপনি অর্ডার দিলে প্রাইসের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মুভমেন্টেও আপনার অর্ডার কাছাকাছি প্রাইসে পূর্ণ হয়ে যাবে। যেমন আপনি পূর্বের উদাহরন অনুযায়ী ১.৩৫৪৪০ রেটে বাই দিলেন। যদি ঐ রেটেও সেলার না থাকে তবে কাছাকাছি রেটে যেমন ১.৩৫৪৪২ অর্ডার পূর্ণ হয়ে যাবে। এবং একই ভাবে সেল করার সময় কাছাকাছি প্রাইসে সেল হয়ে যাবে ফলে Requote এর কোন চান্স নেই।
নো ডিলিং ডেস্কের আরেকটা সুবিধা হল ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মুভমেন্টের সুবিধা। সেজন্য সব নো ডিলিং ডেস্ক ব্রোকারের প্রাইস ফিফথ ডেসিমাল হয় (মানে দশমিকের পর ৫টা সংখ্যা)।
যেমন- EUR/USD 1.35442/1.35450
ফিফথ ডেসিমেলে হওয়ায় স্প্রেড কমে যায়। অন্য ব্রোকারে সাধারণত EUR/USD স্প্রেড হয় ২-৩ পিপ সেখানে নো ডিলিং ডেস্ক ব্রোকারে স্প্রেড হয় ০.৮ -১.৮ পিপ। সেজন্য নো ডিলিং ডেস্কে ফিক্সড স্প্রেড নেই, এখানে স্প্রেড ভ্যারিয়েবল। মানে অর্ডারের চাপের উপর স্প্রেড নির্ভর করে। অর্ডার বেশি হলে স্প্রেড বাড়িয়ে দেয়া হয়। যেমন নিঊজ পাব্লিশের সময়। আবার অর্ডারের প্রেশার কম থাকলে স্প্রেড কম থাকে।
> ডিলিং ডেস্ক ব্রোকারকে Market Maker / Stop Loss Hunter Broker ও বলা হয়।
> নো ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার ECN (Electronic Communication Network) / STP (Straight Through Processing) ব্রোকারও হতে পারে।
(<>) জনপ্রিয় কয়েকটি ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার হচ্ছে -eToro, LiteForex, UWCFX, Avafx
(<>) জনপ্রিয় কয়েকটি নো ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার হচ্ছে - HotForex, FXCM, OANDA, Alpari ,Tadawulfx, AAAfx, Deltastock... বিস্তারিত
অবশ্যই রেগুলেটেড ব্রোকারে ট্রেড করবেন। যদিও ফরেক্স মার্কেট রেগুলেটেড নয় কিন্তু ব্রোকারের কার্যক্রম রেগুলেশন করা হয়। রেগুলেটেড ব্রোকারের দুই নাম্বারী করার সুযোগ থাকে না।
এন্টি মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী ব্রোকাররা শুধুমাত্র গ্রাহকের নাম থেকেই টাকা নিতে পারে এবং ঐ নামেই টাকা ফেরত দিতে পারে, কোন ৩য় ব্যক্তির মাধ্যমে নয়। তাই গ্রাহকের নাম ঠিকানা ভেরিফাই করার জন্য গ্রাহকের ডকুমেন্টস ব্রোকার কে পাঠাতে হয়। নাম ভেরিফাই করার জন্য ন্যাশনাল আইডি কার্ডের / পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যানড কপি এবং এড্রেস ভেরিফাইয়ের জন্য আপনার নাম ঠিকানা সম্বলিত ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট / টেলিফোন বিল / বিদ্যুৎ বিল এর স্ক্যানড ফটোকপি পাঠাতে হবে।
যদি কোন ব্রোকা্রে ডকুমেন্টস ভেরিফাই এর দরকার না হয় তাহলে মনে করবেন ঐ ব্রোকার ভুয়া। কারণ সব গ্রাহকের ডকুমেন্টস ভেরিফাই করে রেকর্ড করে রাখা সরকারী আইন। ঐ ব্রোকার নিশ্চিত আইন ভংগ করছেন।
সবশেষে ফাইনাল ডিসিশন নেয়ার আগে অনলাইনে বিভিন্ন সাইট থেকে ব্রোকার রিভিও পড়ে নিতে পারেন। ব্রোকারের নাম + রিভিও লিখে গুগলে সার্চ করলে প্রচুর সাইট পাবেন। যেমন - eToro Review.
ওখানে বর্তমান গ্রাহকদের রিভিও পড়ে দেখুন। Instant Execution, Faster Withdrawal , No Requotes , Good Customer Service এগুলো থাকলে বুঝবেন ভাল ব্রোকারই সিলেক্ট করেছেন।
পরিশেষে বলা যায়, আপনি যদি একটি ভালো ব্রোকারের সাথে যুক্ত হতে পারেন, আপনার ট্রেডিং জীবন হয়ে উঠবে আনন্দময় এবং ঝামেলাহীন। এজন্য ব্রোকার নিবাচন অনেক বুঝে শুনে করাটাই শ্রেয়। যাতে আপনি ট্রেডিং এর সময় আপনার এনালাইসিস এবং ষ্ট্রেটেজির উপর মননিবেশ করতে পারেন সহজেই।
NFP (নন ফার্ম পে-রোল) নামে ননফার্ম হলেও শুধু কৃষি নয়, সাথে সরকারি কর্মচারী, পরিবারের ব্যক্তিগত কর্মচারী আর অলাভজনক প্রতিস্থানগুলোর কর্মচারীদের বাদ দিয়ে মার্কিন শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার প্রকাশ করে পূর্ববর্তী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির সংখ্যা কি আগের থেকে বাড়ল না কমল। শুধু তাই না, বাড়লে কয়টা বাড়ল আর কমলেও কয়টা কমলেও সে সংখ্যাটাও। যেহেতু, কৃষি খাতকে বাদ দিয়েই এই হিসাবটা করা হয়, তাই এর নাম হয়েছে ননফার্ম পেরোল।
কি আছে এই রিপোর্টে যে তা প্রবলভাবে ফরেক্স মার্কেটকে নাড়া দেয়ার ক্ষমতা রাখে? শুধু ফরেক্স বললে ভুল হবে, স্টক মার্কেট, বন্ড মার্কেটেও বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে ইউএস ননফার্ম পেরোল বা এনএফপি এর কারনে। প্রথমত, দেশটির নাম আমেরিকা। ঋণ করতে অথবা যুদ্ধ বাঁধাতে ওস্তাদ হলেও এখনো বিশ্বের এক নম্বর অর্থনৈতিক শক্তি দেশটি। দ্রুত বর্ধনশীল বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতি চীনেরও যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে লাগবে অনেক বছর যদি তারা বর্তমান প্রবিদ্ধি ধরে রাখতে পারে।
এনএফপি গুরুত্বপূর্ণ এই কারনে যে, আমেরিকার চাকরির বাজারের চালচিত্র মোটামুটি বোঝা যায় এই রিপোর্টের কারনে। চাকরীর সংখ্যা বাড়ল না কমল সেটার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু বিষয়ের উল্লেখ থাকে এনএফপি রিপোর্টে, যেমনঃ
> মোট কর্মক্ষম জনশক্তির কত শতাংশ বেকার ।
> কোন কোন সেক্টরে চাকরি বেড়েছে বা কমেছে ।
> ঘণ্টাপ্রতি গড় বেতন ।
> পূর্ববর্তী মাসের এনএফপি রিপোর্টের সংশোধন ।
খুব স্বচ্ছ এবং যতটা সম্ভব নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয় এনএফপি রিপোর্ট। প্রথমে, সরকারী বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের তথ্যই যোগাড় করে মার্কিন শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো। যেহেতু, প্রায় ২৫ কোটি জনসংখ্যা আছে আমারিকায় এবং এই জনসংখ্যার একটি বড় অংশই কর্মক্ষম, তাই আলাদাভাবে প্রত্যেকের উপর জরিপ চালান সম্ভব না প্রতি মাসে। আর তাই, মার্কিন পরিসংখ্যান ব্যুরো বেছে নিয়েছে স্যাম্পল পদ্ধতি (দৈবচয়ন). প্রতি মাসে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর জরিপ চালায় সংস্থাটি আর সরকারি বিভিন্ন এজেন্সি মিলিয়ে প্রতিনিধিত্ব করে প্রায় আরও ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার কর্মক্ষেত্র। চিঠি, ইমেইল, ইন্টারনেট অথবা অত্যাধুনিক ইডিআই প্রযুক্তিতে জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মচারীদের তথ্য পাঠায় পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাছে।
এনএফপি রিপোর্টের প্রকাশের বেলায় প্রথম ঝামেলাটা বাঁধে এখানে। ছোটো বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সাধ্য অনুযায়ী তথ্য পাঠাতে গিয়ে প্রতি মাসে অনেকেই দেরি করে বা সেই তথ্য পেতে দেরি হয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর। যেহেতু, এনএফপি রিপোর্ট প্রকাশের তারিখ নির্ধারিত, প্রতি মাসের প্রথম সোমবার, তাই হাতে তা তথ্য আসে তা দিয়েই রিপোর্ট প্রকাশ করে দেয় পরিসংখ্যান ব্যুরো। এই রিপোর্টটি পরে দুইবার সংশোধন করা হয়। প্রথমবার, পরিবর্তী মাসের এনএফপি রিপোর্ট প্রকাশের সময়, দ্বিতীয়বার আরও এক মাস পরে। এছাড়াও পরবর্তীতে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন আনা হলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চলতি এনএফপি রিপোর্ট ও আগের এনএফপি রিপোর্টের সংশোধন।
যেহেতু, প্রতি মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিউজগুলোর একটি হচ্ছে এনএফপি, তাই অনেক ট্রেডারই অপেক্ষা করে বসে থাকে এনএফপি ট্রেড করার জন্য। প্রায় প্রতিটি এনএফপি এর আগেই একই ঘটনা ঘটে। এনএফপির আগে আগে ট্রেডাররা ট্রেড করতে চান না বলে মার্কেটে মুভমেন্ট বা ভোলাটিলিটি কমে যায়, এনএফপি এর ঠিক আগেই শুরু হয় বড় বড় স্পাইক। সেকেন্ডে মার্কেট পরিবর্তিত হয় ৫-১০ পিপস করে।
হটাত করে পাগল হয়ে যাবে মার্কেট। হয় টানা পড়া/বাড়া শুরু করবে অথবা একলাফে ১৫-২০ পিপস করে কমবে/বাড়বে। হারিকেন শুরুর পূর্ব মুহূর্তে সাগর যেমন স্থির থাকে, হটাত করে শুরু হয় বড় বড় ঢেউ এর নাচন, ফরেক্স মার্কেটের অবস্থাও হয় তেমনি। আর এই ঢেউ এ ভেসে গিয়ে সলিল সমাধি ঘটে পিপস সংগ্রহের অভিযানে বের হওয়া মানি মানেজমেন্ট না জানা অসংখ্য ট্রেডারের ট্রেডিং অ্যাকাউন্টটির।
প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৬:৩০ টায় (এপ্রিল-অক্টোবর) বা ৭:৩০ টায় (অক্টোবর-এপ্রিল) প্রকাশিত হয় এনএফপি নিউজ। রিপোর্টের প্রত্যাশিত ফলাফল (forecast) আগেই ট্রেডাররা জানতে পারে। যদি আসল ফলাফল (actual) এর মান প্রত্যাশার থেকে বেশি হয়, তবে তা ডলারের জন্য ভালো হিসেবে ধরা হয়, এবং সেই কারণে ডলার শক্তিশালী হবার সুযোগ থাকে। অপরদিকে যদি আসল ফলাফল (actual) এর মান প্রত্যাশার থেকে কম হয়, তবে ডলারের জন্য খুব একটা ভালো নয়, অর্থাৎ খারাপ হিসেবে ধরা হয়, এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে ডলার দুর্বল হতে পারে। আপনি যদি EURUSD বা GBPUSD ট্রেড করেন, এবং NFP প্রত্যাশার থেকে ভালো আসে তবে এই ২টি পেয়ারের প্রাইস কমতে পারে। আবার প্রত্যাশার থেকে খারাপ আসলে বাড়তে পারে। তবে কি পরিমাণ কমতে বা বাড়তে পারে তা নির্ভর করে প্রত্যাশার থেকে আসল ফলাফলের পার্থক্য কত বেশি বা কম। যদিও কিছু কিছু সময় এই নিউজ মার্কেটে প্রভাব ফেলে না, তবে বেশিরভাগ এন.এফ.পি নিউজে মার্কেটে ব্যাপক মুভমেন্ট হয় এবং ট্রেডারদের কাছে এই নিউজ রিপোর্টটি মার্কেট মুভার হিসেবে পরিচিত।
ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি (FOMC) হচ্ছে ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের আর্থিক নীতিমালা সংস্থা। এফওমসি গঠিত হয় ১২ জন সদস্য নিয়ে - ( গভর্নর বোর্ডের সাত সদস্য এবং রিজার্ভ ব্যাংকের সভাপতি ৫ জন ) । বোর্ড চেয়ারম্যান এফওএমইসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । ফেডারেল রিজার্ভ সভাপতি ব্যাংক অফ নিউ ইয়র্কের কমিটির স্থায়ী সদস্য এবং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। অন্যান্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সভাপতিরা চক্রাকারে এফওএমইসির অবশিষ্ট চারটি ভোটদান করেন। রিজার্ভ ব্যাংকের সকল সভাপতি, যারা ভোটদানকারী সদস্য নন, তাদের অন্তর্ভুক্ত, এফওএমইসি মিটিংগুলিতে অংশগ্রহণ, অর্থনীতি এবং অন্যান্য আলোচনায় অংশগ্রহন করে মূল্যবান অবদান রাখেন।
FOMC প্রতি বছর ৮টি মিটিং এর আয়োজন করেন, যা প্রতি ৬ সপ্তাহ পর পর অনুষ্ঠিত হয় । অর্থনৈতিক ও আর্থিক উন্নয়নের পর্যালোচনা করার জন্য কমিটি এই সময় বাদেও অন্য সময় অতিরিক্ত সভা ডাকতে পারেন । কমিটির অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সেই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত একটা একটা প্রেস বিবৃতি আকারে প্রকাশ করা হয়, যা এফওএমসি স্টেটমেন্ট নামে পরিচিত । এই স্টেটমেন্ট এর উপর ভিত্তি করেই বিগ ইনভেস্টররা দীর্ঘমেয়াদে সিদ্ধান্ত নেয়।
👉 স্টেটমেন্ট সাধারনত দু-ধরনেরঃ
১. হকিশ ,
২. ডভিশ ।
হকিশ স্টেটমেন্ট হচ্ছে , ফেডারেল রিজার্ভ এর একটি বিবৃতি যেটি বর্ণনা করে যে এটি বর্তমানে/ভবিষ্যতে সুদের হার বাড়াতে পারে অথবা সুদের হার না কমিয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে । এটি একটি আক্রমণাত্মক স্বর। ফেডারেল রিজার্ভ মুদ্রাস্ফীতির ক্ষতিকর দিকগুলো আমলে নিয়ে ভবিষ্যতে এটি নিয়ন্ত্রনের জন্য যুক্তিসঙ্গতভাবে যে শক্তিশালী পদক্ষেপগুলি গ্রহন করবে সেগুলোর যে বিবৃতিমূলক বক্তব্য দেয় মুলত সেটাকেই হকিশ স্টেটমেন্ট বলে ।
আর যদি স্টেটমেন্ট হকিশ হয় , তাহলে ঐ কারেন্সী শক্তিশালী হয়ে যায়।
ডভিশ স্টেটমেন্ট হচ্ছে , ফেডারেল রিজার্ভ এর একটি বিবৃতি যেটি বর্ণনা করে যে এটি বর্তমানে/ভবিষ্যতে সুদের হার কমাতে পারে অথবা সুদের হার না বাড়িয়ে দূর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার ইংগিত দেয়। বিবৃতিটিকে ডভিশ বলা হয় কারন, ফেড সমসাময়িক সময়ের মুদ্রাস্ফিতি নিয়ে মাথা ঘামায় না। ফেড সরাসরি তার বক্তব্যে সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দেয় । অনেকক্ষেত্রে এটি একটি মিশ্র স্বর। ফেড তার বক্তব্যে পরবর্তীতে সুদের হার বাড়াবে কিনা বা কমাবে কিনা এই বিষয়ে পরিষ্কার কোনো কথা বলে না। এই রকম সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে এবং ধোয়াশাঁ রেখে যে বিবৃতিমূলক বক্তব্য দেয় মুলত সেটাকেই ডভিশ স্টেটমেন্ট বলে ।
আর যদি স্টেটমেন্ট ডভিশ হয় , তাহলে ইনভেস্টররা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং দ্বিধায় পড়ে যায় । একারনে ঐ সময়ে কারেন্সি দূর্বল হয়ে যায় ।
ডলারের অন্যতম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন নিউজ (FOMC) আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই নিউজ পাবলিশড হবার সময় আমেরিকান ডলার রিলেটেড পেয়ারগুলোতে ভোলাটিলিট অনেক বেড়ে যায় এবং নিয়মিত পাবলিশড হওয়া নিউজগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মার্কেট মুভ করে এই নিউজের সময়।
🤔 ফরেক্স ট্রেড কি ব্যবসা, নাকি ফরেক্স ট্রেড জুয়া ? এই বিষয়ে আজ আমরা বিস্তারিত শেয়ার করছি , যাতে করে একজন বিনিয়োগ কারি নিজেকে চিনতে পারে ।
আমরা জানি যে আপনারা অনেকেই ফরেক্স বলতে খুব কম সময়ের মধ্যে অনেকগুলো অর্থ উপার্জনের স্বপ্ন দেখেন। যদিও এই ধরণের স্বপ্ন বা আকাঙ্ক্ষা সম্পর্ণরূপে বৈধ, কিন্তু সমস্যার ব্যপার হলো যে এই ধরণের মানসিকতা নিয়ে ট্রেড করতে গেলে আপনার ট্রেডিং একাউন্ট ধ্বংস হয়ে যাবে এবং আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হয়ে যাবেন দেউলিয়া।
আপনি যদি খুব কম সময়ের মধ্যে অনেকগুলো অর্থ উপার্জন করতেই চান তাহলে সবচেয়ে ভালো হয় যেখানে জুয়া খেলার সুযোগ প্রদান করা হয় এরকম কোনো স্থানে গিয়ে জুয়া খেলা , ফরেক্স এই ধরণের জুয়া খেলার জায়গা নয়।
লোভ ট্রেডিং করার জন্যে সবচেয়ে খারাপ একটি প্রণোদনা। বাজার সবসময়ে লোভকে শাস্তি প্রদান করে, অন্যদিকে, মধ্বর্তী পন্থা অবলম্বন করে ট্রেড করাকে করে মুনাফাজনক।
তাই একজন ট্রেডার এবং একজন জুয়াড়ির মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে। কিন্তু চিন্তার বিষয় হলো যে, যখন একটি লেনদেনের মধ্যে যখন আসল অর্থ জড়িত থাকে তখন মানসিকতা হয়ে উঠে অনেকটা সুযোগ সন্ধানী। অর্থ বিনিয়োগকারী ঐ ব্যক্তিটি চিন্তা করা শুরু করে থাকেন একজন জুয়াড়ির মতো করে। তারা অপেক্ষায় থাকেন সৌভাগ্যের। এখানে মনে রাখা দরকার সৌভাগ্য আসে এবং যায়। সৌভাগ্য কোনো স্থায়ী বিষয় নয়।
আপনি যদি ধারাবাহিকভাবে মুনাফা অর্জন করতে চান তাহলে মনে রাখতে হবে যে, বাজারে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। আর যতক্ষন পর্যন্ত এই সত্যকে আপনি গ্রহণ করবেন না ততক্ষন পর্যন্ত আপনি মুনাফা অর্জন করতে পারবেন না।
এখন এই কথা আপনার নিকট পরস্পর সাংঘর্ষিক মনে হতে পারে। একদিকে বাজারে যেকোনো ঘটনা ঘটার কথা বলছি আমরা এবং অন্যদিকে, চলছে ধারাবাহিক ভাবে মুনাফা অর্জনের কথাও। তাই এখানে মনে রাখতে হবে যে, বাজারে রয়েছে অনেকগুলো সম্ভাবনা।
আমরা সবাই ক্যাসিনোর কথা শুনেছি। ক্যাসিনো কিন্তু প্রতি বছরই মুনাফায় থাকে। প্রত্যেকবার কেউ না কেউ জুয়া খেলে এবং এই জুয়ার ফলাফল থাকে পূর্ব নির্ধারিত। অর্থাৎ, ফলাফলের বিষয়ে উভয়পক্ষ পুরো পুরি নিশ্চিত না থাকলেও, ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠানগুলো জানে কিভাবে এই সম্ভাবনার ধারণাকে নিজেদের পক্ষে কাজে লাগাতে হয়। জুয়াড়িদের মধ্যে কোনো কোনো ব্যক্তি অবশ্যই থাকবেন যারা হয়তো মিলিয়ন ডলার অর্জন করে বের হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু ক্যাসিনো গুলোর স্যাম্পল বা ক্যাসিনোগুলোতে আগত জুয়াড়ি দের সংখ্যা যদি অত্যাধিক হয় তাহলে এই সংখ্যার সিংহভাগই তারা যারা তাদের অর্থ হারাবেন জুয়া খেলতে গিয়ে। ক্যাসিনোর একটি জনপ্রিয় খেলা বাকারাট এর কথা ভাবুন। এই ধরণের খেলার মধ্যে থাকে দুইটি পক্ষ। একটি পক্ষ হলো ব্যাংকার এবং অন্য পক্ষ হলো খেলোয়াড় এবং একজন জুয়াড়ি হিসেবে আপনার কাছে থাকছে উভয় পক্ষের যেকোনো পক্ষের পক্ষে অবস্থান নেয়ার। তাই আপনার হারা অথবা জিতার সম্ভাবনা থাকছে ৫০/৫০। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। এই খেলার নিয়ম কিছুটা পরিবর্তন করে ক্যাসিনো গুলো তাকে নিজেদের পক্ষে আনে। যেমন ব্যাংকারের বিজয়ী হওয়া অবস্থায় প্রয়োজনের চেয়ে কম কমিশন কাটা, এবং ব্যাংকারের একটি নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতায় বিজয়ী হওয়ার অবস্থায় পরিশোধযোগ্য অর্থের পরিমান কমিয়ে দেয়া ইত্যাদি। এই ধরণের কর্মকান্ডের মাধ্যমে পুরো ব্যবস্থা চলে আসে ক্যাসিনোর পক্ষে। যা হয়তো সম্ভাবনার ১ থেকে ৫ ভাগ। কিন্তু ক্যাসিনোতে আগতদের সংখ্যা যদি অত্যাধিক হয় তাহলে তা সেই ক্যাসিনোর মুনাফা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হওয়ার জন্যে যথেষ্ট।
এই রকম অবস্থায় আপনার মানসিকতা হতে হবে ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠানের মতো, সেই প্রতিষ্ঠানে কোনো জুয়াড়ি খেলোয়াড়ের মতো নয়। কারণ, জুয়াড়ি শুধু একটি ট্রেড এর ব্যপারে তার সকল মনোযোগ ব্যয় করেন, আর সেই ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠানটি তার সকল কিছু ব্যয় করে তার ব্যবসা পরিচালনার সময়ে আগত সম্ভাব্য সকল ট্রেডের উপরে।
তাই ধারাবাহিকভাবে মুনাফা অর্জন করার জন্যে আপনাকে সেই ক্যাসিনোর মতো করে চিন্তা করে ধারাবাহিকভাবে আগত সকল সম্ভাবনার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তবে, আপনি তা কিভাবে করবেন? নিচে কিছু উপায় বলা হলো।
প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো যে, আপনাকে বাজারের ব্যবহারকে বুঝতে হবে। বাজারে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোর প্যাটার্ন, স্বভাবসুলভ আচরণ, যা হয়তো ভবিষ্যতে আপনি চিহ্নিত করে একটি ভালো ট্রেডিংয়ের সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেন।
এটি করতে হবে বাজারের প্রাইস অ্যাকশনকে পর্যালোচনা করে আর তা করতে হবে একটি অবকাঠামোর বিপরীতে (সাপোর্ট এবং রেসিস্টেন্স, মেকানিক্যাল ইনডিকেটর, অর্থনৈতিক ঘটনা প্রবাহ, ইত্যাদি)। এই সকল কিছু দেখে বুঝে আপনি আপনার পর্যালোচনাগুলো নিবন্ধিত করুন, পরিসংখ্যানগত একটি কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা করুন, যা আপনার নিকট স্পষ্ট করবে একটি প্যাটার্ন বা সেটআপকে।
এটি হলো সেই ধাপ যখন একটি ট্রেডিং জার্নাল রাখা আবশ্যক হয়ে উঠে। আপনার জার্নাল থেকে তথ্য ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি সেই সকল সেটআপের উপরে মনোযোগ দিতে পারবেন যা আপনাকে এনে দিবে মুনাফা অর্জনের বিভিন্ন ধরণের সম্ভাবনা।
তবে, এখানে আপনাকে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে মানতে হবে। আর এভাবে আপনি দীর্ঘমেয়াদে সকল বাধা বিপত্তিকে আপনাকে বশে আনতে পারবেন। এরকম পরিস্থিতিতে আপনি যদি মুনাফাজনক কিছু ট্রেডিং এর সুযোগকে হাতছাড়াও করেন, তারপরেও আপনি দীর্ঘমেয়াদে মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
📎 উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক, আপনি একদিন চার্টে দেখলেন ডাবল টপ বা দুইটি টপকে, যা অবশ্য একটি ভালো ট্রেডিংয়ের সুযোগ। এই অবস্থায় আপনি একটি ট্রেডিং সেটআপ গঠন করতে পারেন যা সময়ে সময়ে আপনাকে ডাবল চার্ট প্যাটার্ন চিহ্নিত করে দিবে।
এমতাবস্থায়, আপনি যদি অনেকগুলো ট্রেডিংয়ের সুযোগ পান, তাহলে আপনার জিতে যাওয়া ট্রেড এর সংখ্যা হেরে যাওয়া ট্রেড এর চেয়ে বড় হবে। ফলে, দিনের শেষে আপনি দীর্ঘমেয়াদে হবেন মুনাফাজনক।
আলোচনার শেষে বলতে হবে যে, আপনাকে অন্যান্য ট্রেডারদের দিকেও তাকাতে হবে, বা তাদের মতামত নিতে হবে। ইন্টারনেট হলো বিভিন্ন ধরণের অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ এবং পর্যালোচনায় ভরা। সাথে আছে আরো টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর বিভিন্ন উপাদানও।
ফরেক্স বা ট্রেড ব্যবসা সম্পূর্ন একটি প্রাকটিক্যাল বিষয়। এখানে কম জানা বা অল্প জ্ঞানের কোন জায়গা নাই। ফরেক্স বা ট্রেড (শেয়ার) ব্যবসা করতে হলে, পরিপূর্ন ভাবে জানতে হবে। কারন আপনার টাকা শুধু মাত্র আপনারই টাকা। আপনার টাকার মায়া আপনার না থাকলে অন্য কাহারো থাকবে না। যদি আপনি মনে করেন এই সেক্টর হতে আপনি কিছু করতে চান, তাহলে আপনাকে যে কোন মেনটরের কাছে হাতে কলমে শিখতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার বিনিয়োগ সিকিউর করে, আপনার কাংখিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবেন। পরিশেষে ফরেক্স মাকের্টে সকলের সাফল্যয়তা কামনা করছি।
ধন্যবাদ