Milu coaching centre
বাংলাবাংলা
১.১ 'হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করছেন' - কোন্ চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন?
উঃ- ‘হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করছেন – কোন চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন?
উত্তর:-সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর রচিত ‘নব নব সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত। ভাষার নিজস্বতা হল আত্মনির্ভরশীল থাকা৷ কিন্তু লেখক দেখেছেন ভাষার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন ভাষার প্রবেশ অব্যাহত। সেই প্রবেশ বন্ধ করার বিষয়ে হিন্দি সাহিত্যিকদের চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন।
১.২ 'এরই মাঝে বাংলার প্রাণ' - কবি কোথায় বাংলার প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন?
উঃ- কবি জীবনানন্দ দাশ গ্রামবাংলার এক সন্ধে নামার মুহূর্তকে কবিতায় তুলে ধরেছেন|বাংলার নরম ধানের গন্ধ, কলমি,চাঁদা -সরটিদের মদ ঘ্রাণ, হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল, কিশোরীর চাল ধোঁয়া ভিজে শীতল হাত,কিষোরের পায়ে দলা মুথাঘাস আর লাল লাল বঁট ফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতার মধ্যে কবি বাংলার প্রাণের স্পন্দন খুঁজে পেয়েছেন।
১.৩ 'এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে' - পত্রলেখকের দৃঢ় বিশ্বাসটি কী?
উঃ- স্বামী বিবেকানন্দের দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে, ভারতের কাজে মিস নোবল-এর এক বিরাট ভবিষ্যৎ রয়েছে।
১.৪ 'যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া' - সেখানে গিয়ে দাঁড়ালে কোন্ দৃশ্য দেখা যাবে?
কবি নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর লেখা কবিতা আবহমান এ উঠানে দাঁড়ালে দেখা যায় নানান লতানো ছের মাচা, নানান ফুলের গাছ, প্রকৃতির রূপ, দিনের সূচনা ও সন্ধ্যার আগমন ইত্যাদি।
১.৫ 'তোমার বাড়ি কোথায়?' - রাধারাণী এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলেছিল?
উঃ- রাধারানী গল্পে অজানা অচেনা লোকটি বাড়ি কোথায় প্রশ্ন করলে তাঁর উত্তরে জানায় সে শ্রীরামপুরে থাকে।
২. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :
২.১ 'সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল।' - প্রাবন্ধিক কেন এমন মন্তব্য করেছেন?
উঃ- সংস্কৃত শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয় উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত শব্দ এবং নতুন সৃষ্ট শব্দের সাহায্যে। নতুন শব্দসৃষ্টির জন্য সংস্কৃত প্রথম ধার করার কথা না ভেবে আপন ভাণ্ডারে অনুসন্ধান চালায়। সেখানকার কোনো ধাতু বা শব্দের অদলবদল ঘটিয়ে কিংবা পুরোনো ধাতু দিয়ে নতুন শব্দটি বানিয়ে নেওয়া যায় কিনা খুঁজে দ্যাখো তাই সেভাবে অন্য ভাষার উপর নির্ভরশীল নয় বলেই লেখক সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল বলে মনে করেছেন।
২.২ 'পৃথিবীর কোনো পথ এ কন্যারে দেখে নিকো' - কোন্ কন্যার কথা এক্ষেত্রে বলা হয়েছে?
উঃ- ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ আলােচ্য উদ্ধৃতিতে কেশবতী কন্যা অর্থাৎ বাংলার সান্ধ্যকালীন সৌন্দর্যকে দেখার কথা বলা হয়েছে।
২.৩ 'মরদ কি বাত কা দাঁত' - স্বামী বিবেকানন্দ কেন এই প্রবাদটি ব্যবহার করেছেন?
উঃ- স্বামীজি বলেছেন, ভারতবর্ষের কাজে যোগ দেওয়ার আগে মিস নোবল যেন গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করেন। তবে সেই কাজে বিফল হলে বা বিরক্তি ভাব উপস্থিত হলেও, স্বামীজি তাঁর পাশে থাকবেন। এ ছাড়াও বেদান্ত ধর্মের প্রতি আস্থা না থাকলে কিংবা ভারতবর্ষের কাজ না-করলেও, স্বামীজি তাঁর প্রতি আস্থা হারাবেন না। কারণ হিসেবে একটি প্রচলিত হিন্দি প্রবাদ ব্যবহার করে স্বামীজি লিখেছেন, ‘মরদ কি বাত হাতি কা দাঁত একবার বেরুলে আর ভিতরে যায় না।' অর্থাৎ খাঁটি লোকের কথার কোনো নড়চড় হয় না।
২.৪ 'ফুরয় না সেই একগুঁইয়েটার দুরন্ত পিপাসা।' - কোন্ পিপাসাকে, কেন দুরন্ত বলা হয়েছে?
উঃ- কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘অন্ধকার বারান্দা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত আবহমান’ কবিতা থেকে উপরিউক্ত চরণটি নেওয়া হয়েছে। আলোচ্য কবিতায় ‘পিপাসা বলতে সেইসব প্রবাসী বাঙালিকে বোঝানো হয়েছে, যারা ‘ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়’ এই বাংলার প্রকৃতি ও গ্রামজীবনের অনাবিল সৌন্দর্য উপভোগের নেশায় বারেবারে ফিরে আসে। জন্মভূমি ছেড়ে যাকে চলে যেতে হয়েছে বিদেশ-এ, সে মাতৃভূমির প্রতি নাড়ির টান অনুভবু করে অনবরত।তাই পিপাসাকে দুরন্ত বলা হইয়েছে।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো (কম-বেশি ১৫০ শব্দে) :
৩.১ 'বাঙালি চরিত্রে বিদ্রহ বিদ্যমান।' - 'নব নব সৃষ্টি' প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কীভাবে সেই বিদ্রোহের পরিচয় দিয়েছেন?
উঃ- ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাটিতে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী বাংলা সাহিত্যের ভাষার কথা বলেছেন। সেই ভাষা প্রসঙ্গে আলোচনায় বাঙালি চরিত্রের বিশেষ বাঙালি বৈশিষ্ট্যের দিকটি তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি যে বৈশিষ্ট্যের কথা বলেছেন, তা হল বাঙালির বিদ্রোহী মনোভাব। বাঙালি চিরদিন কী রাজনীতি, কী ধর্ম, কী সাহিত্য সর্বক্ষেত্রে সত্য-শিব-সুন্দরের সন্ধান করে গিয়েছে। এবং যখন যেখানে তার সন্ধান পেয়েছে তখনই কেবল সৌহণ করেছে। সেক্ষেত্রে বাঙালি কোনোদিন আপস সণ করেনি। বরং কেউ যদি ‘গতানুগতিক পন্থা বা প্রাচীন ঐতিহ্য'-এর দোহাই দিয়ে প্রচেষ্টায় বাধা দিতে চেয়েছে তখন তার বিরুদ্ধে বাঙালি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয়, বিদ্রোহের সমাপ্তি সেখানেই ঘটেনি কারণ যখন বাঙালি দেখেছে যে সে বিদ্রোহ উহ্ঙ্খলতায় পরিণত হয়েছে তখন তার বিরুদ্ধে আবার বিদ্রোহ করেছে। বাঙালি চরিত্রে যে বিদ্রোহী সত্তার মনোভাব চিরজাগ্রত তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন লেখক। তিনি এ প্রসঙ্গে আর একটি কথা বলেছেন যে, এই বিদ্রোহ কেবল বাঙালি হিন্দুর ভিতরে সীমাবদ্ধ নয়, বাঙালি মুসলমানও এই কর্মে খুবই তৎপর। তাই তিনি বলেছেন, ধর্ম বদলালেই জাতির চরিত্র বদলায় না।”
৩.২ 'আসিয়াছে শান্ত অনুগত/বাংলার নীল সন্ধ্যা' - 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতা সেই বিদ্রোহের পরিচয় দিয়েছেন?
উঃ- চিত্ররূপময় কবি জীবনানন্দ দাশ রচিত ‘রূপসী বাংলা কাব্যের অন্তর্গত ‘আকাশে সাতটি তারা চতুর্দশপদী কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ সময়ের আবহমান হৃদয় থেকে বাংলাদেশের একটি সন্ধ্যাকে কেন্দ্র করে কবিতাটি রচনা করেছেন। প্রকৃতিপ্রেমী কবি জীবনানন্দ লক্ষ করেছেন বাংলার পল্লিপ্রকৃতির এই বিরল সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত বাকি পৃথিবী। কবি আর কোথাও দেখেননি সন্ধ্যার এমন মোহময় রূপ কোনো কেশবর্তী কন্যার অজস্র চুলের মতো আবেশে আচ্ছন্ন করেছে হিজলকাঁঠাল কিংবা জামগাছকে| কবি নানা অনুষঙ্গে অনুভব করেছেন সন্ধ্যার স্নিগ্ধ গন্ধ। কখনও নরম ধানে, কলমির ঘ্রাণে, আবার কখনও হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল, সমাহিত রূপের। প্রকৃতির এই সন্ধ্যার রূপ পরিবেশিত হয়েছে ‘আকাশে সাতটি তারা কবিতায়, সেখানে অনাড়ম্বর, বৈভবহীন আয়োজনে রয়েছে শুধুই সমাহিত শান্তির আশ্বাস যা অতুলনীয় ঐশ্বর্যে সমৃদ্ধ করেছে।
৩.৩ 'চিঠি' অনুসরণে স্বামী বিবেকানন্দের বিদেশী ভক্ত ও অনুগামীদের পরিচয় দাও।
‘চিঠি' অনুসরণে স্বামী বিবেকানন্দের বিদেশী ভক্ত ও অনুগামীদের পরিচয় দাও। স্বামীজি চিঠিতে যে সমস্ত বিদেশি ও বিদেশিনীদের নাম উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে প্রথমেই তিনি তাঁর শিমস নােবেল এর কথা লিখেছেন|তাঁকেই তিনি চিঠিটি লিখেছেন। মিস মার্গারেট ই নােবেল স্বামীজির কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং তারই আদর্শে ভারতের নারীসমাজের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেন। কলকাতার বাগবাজারে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। যেটির নাম ‘নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়।
মিস হেনরিয়েটা মুলার স্বামীজিকে বেলুড় মঠ স্থাপনের কাজে অর্থ সাহায্য করেছিলেন। মিস মুলারের বাড়িতে স্বামীজি কিছুদিন অতিথি হিসাবে ছিলেন। নিস মুলার আজন্ম নেত্রী মনােভাবাপন্ন। স্বামীজি বলেছেন যে, তার কিছুটা রুক্ষ মেজাজ ও অস্থিরচিত্ত রয়েছে; তবে তিনি আবার সহৃদয় ও অমায়িক।
মিসেস সেভিয়ার সম্পর্কে স্বামীজি খুব প্রশংসা করেছেন।তিনি বলেছেন, মিসেস সেভিয়ার খুবই স্নেহময়ী। তাঁর স্বামী ক্যাপটেন জে. এইচ. সেভিয়ার। এই সেভিয়ার দম্পতিই একমাত্র ইংরেজ যাঁরা এদেশীয়দের ঘৃণা করেন না। তবে এঁদের কোনাে নির্দিষ্ট কার্যপ্রণালী নেই।
স্বামীজির দুজন বন্ধু হলেন মিস ম্যাকলাউড ও বস্টনের মিসেস বুল। তাঁরা খুবই উপকারি। স্বামীজির দুজন বন্ধু হলেন মিস ম্যাকলাউড ও বস্টনের মিসেস বুল। তাঁরা খুবই উপকারী। স্বামীজিকে নানান কাজে সাহায্য করেছেন ম্যাকলাউড, আর মিসেস বুল বেলুড় মঠ স্থাপনে অনেক অর্থ সাহায্য করেছেন।
৩.৪ 'নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না' - পঙক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উঃ- উদ্ধৃতাংশটি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতার অংশ বিশেষ। লােককাহিনির গল্প শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নটে গাছটি মুড়িয়ে যায়। তবে কবিতায় নটে গাছটি মুড়িয়ে যায় না, কিন্তু বুড়িয়ে যায়। অর্থাৎ একটা চিরন্তন প্রবহমানতার কথা এখানে ফুটে উঠেছে। কালের নিয়মে মানুষ শৈশব থেকে বার্ধক্যে উপনীত হলেও তার প্রকৃতিলালিত আজন্ম-চেনা উঠান-লাউমাচা-কুন্দফুল সাধ্য নদীর হাওয়ায় পরিপূর্ণ মাতৃভূমির স্বরূপ; কখনও স্মৃতিপট থেকে মুছে যায় না। তাই ব্যক্তির বার্ধক্য যে শৈশবস্মৃতিকে নষ্ট করতে পারে না তা বোঝাতেই এমন উক্তি।
৩.৫ 'তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহে' - কাদের কথা বলা হয়েছে? পাঠ্যাংশ অনুসরণে তাদের দারিদ্র্য এবং নির্লোভতার প্রসঙ্গ আলোচনা করো।
উঃ- আলোচ্য উদ্ধৃতিটি সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত রাধারানী উপন্যাসের অন্তর্গত প্রথম পরিচ্ছেদ থেকে গৃহীত।এখানে রাধারাণীর কথা বলা হযেছে।
পিতার অকস্মিক মৃত্যুতে সহায়-সম্বলহীনা রাধারাণী ও তার মা সম্পত্তিসংক্রান্ত মামলায় পরাজিত ও সর্বস্বান্ত হয়ে, ভিটেমাটি ছেড়ে এক নিতান্ত কুটিরে নিদারুণ দারিদ্র্যে দিনযাপন করতে থাকে। রথের পূর্বে রাধারাণীর মা গুরতর পীড়িতা হলে তার পথ্যের সংস্থানে রাধারাণী বনফুলের মালা গেঁথে মাহেশের রথের হাটে বিক্রয় করতে যায়। কিন্তু প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে হাট ভেঙে যায়। মালা বিক্রয়ে ব্যর্থমনোরথ হয়ে মামলায় পরাজিত ও সর্বস্বান্ত হয়ে, ভিটেমাটি ছেড়ে এক নিতান্ত কুটিরে নিদারুণ দারিদ্র্যে দিনযাপন করতে থাকে। রথের পূর্বে রাধারাণীর মা গুরতর পীড়িতা হলে তার পথ্যের সংস্থানে রাধারাণী বনফুলের মালা গেঁথে মাহেশের রথের হাটে বিক্রয় করতে যায়। কিন্তু প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে হদঙে যায়। মালা বিক্রয়ে ব্যর্থমনোরথ হয়ে রাধারাণী যখন অশ্রুসজল চোখে বাড়ির দিকে অগ্রসর হয়, তখন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে এক আগন্তুকের অচেনা সেই আগন্তুক রাধারাণীর সঙ্গে কথোপকথনকালে তার অসহায়তার কথা জেনে মালা কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে। রাধারাণী দ্বিধাগ্রস্ত হয় উপকারী সেই ব্যক্তির কাছ থেকে দাম গ্রহণে৷ শুধু তাই নয়, সেই ব্যক্তি দয়াপরবশ হয়ে মালার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করেন। রাধারাণীর জন্য শাড়ি কিনে পাঠান এমনকি একটা নোটও ফেলে যান তাদের বাড়িতে কিন্তু ফেলে যাওয়া নোটটি তারা ভাঙায় না|অর্থের প্রয়োজন তাদের ছিল ঠিকই কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত নয়। তারা বর্তমানে দরিদ্র, অসহায় বলেই রুক্মিণীকুমার দান গ্রহণ করেছে আর সেই দানে তাদের সমস্যার সমাধানও হয়েছে। অতিরিক্ত অর্থের প্রতি তাদের কোনো লোভ ছিল না বলেই সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তারা তাঁর সন্ধান করেছিল।
English
Activity 1
Choose the correct alternative to complete the following sentences:
i) The Asian Games of 2022 will be held in ____________
a) Doha b) Chennai c) Guangzhou d) Hangzhou
ii) In the standard team event in 2010, the Indian men won ____________
a) Bronze b) gold c) no medals d) silver
iii) The vice-president of the All Indian Chess Federation is ____________
a) D.V. Sundar b) Koneru Humpy c) D. Harika d) Viswanathan Anand
Activity 2
Do as directed:
i) I wish you to be quiet. (Change into a complex sentence)
Ans:- I wish that you should be quiet.
ii) Opening the gate, the man came in. (Change into a compound sentence)
Ans:- The man opened the gate and came in.
iii) I know who said it. (Change into a simple sentence)
Ans:- The know the speaker.
Activity 3
Write a paragraph within 100 words on the Importance of Tree Plantation. Use the following points: [introduction – brings rain – prevents soil erosion – decreases air pollution – adds to beauty of nature – conclusion]
Ans:- Tree Plantation is one of the best activities to make our earth greener, livelier, and healthier. We cannot think of our existence on the earth without trees. Trees cover a great deal of our food deficiency by providing fruits and vegetables. They supply timber for various uses. Trees bring rain but prevent soil erosion. Many kinds of medicines are prepared from leaves, roots, and barks of trees. Trees decrease air pollution by consuming Carbon dioxide from air and help in keeping the ecological balance. Above all trees add beauty to nature. In proportion to our total land area, our green forests are not sufficient. Besides, people are cutting down trees randomly. In order to preserve our environment, we should plant trees on a large scale. The government should also encourage people in this work.
ইতিহাস
1. ‘ক’ স্তম্ভের সাথে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :
‘ক’ স্তম্ভ
‘খ’ স্তম্ভ
1.1
ইয়ং ইতালি
(খ) জোসেফ ম্যাৎসিনি
1.2
সেফটি ল্যাম্প
(ঘ) হামফ্রি ডেভি
1.3
ইউটোপীয় সমাজতন্ত্র
(ক) সাঁ সিমো
1.4
রক্ত ও লৌহ নীতি
(গ) বিসমার্ক
2.সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো:
2.1
ফ্রান্সে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় 1848 খ্রিস্টাব্দে। [সত্য]
2.2
শিল্প বিপ্লবের সময় ইংল্যান্ড বিশ্বের কারখানা হিসাবে পরিচিতি পায়। [ সত্য]
2.3
হিটলারের ভাষায় ইতালি ছিল – ‘একটি ভৌগলিক সংজ্ঞা মাত্র। [মিথ্যা]
2.4
এড্রিয়ানোপলের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে। [সত্য]
3. দুটি বা তিনটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
3.1 রিসর্জিমেন্টো কী?
উ:- কার্বোনারি সমিতির হাত ধরে ইতালিতে এক জাতীয়তাবাদী জাগরণ তথা আন্দোলনের জন্ম হয়, যাকে বলা হয় রিসর্জিমেন্টো বা পুনরুত্থান বা নবজাগরণ। এই জাগরণের মধ্যদিয়ে ইটালিবাসী তাদের অতীত ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বীরগাথা সম্পর্কে বিশেষ অবগত হয়।
3.2 ঘেটো কাকে বলা হত?
উ:- ইউরোপের বিভিন্ন শহরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (যেমন ইহুদিরা) তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে শহরের একটি নির্দিষ্ট ঘেরা জায়গায় এক সঙ্গে বসবাস করত। এই ঘেরা স্থান বা বসতিগুলিকেই বলা হত ঘেটো। উল্লেখ্য ঘেটো কথাটির উদ্ভব হয় ইটালির ভেনিস শহরকে কেন্দ্র করে।
4. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও :
4.1 কাকে ‘মুক্তিদাতা জার’ বলা হয় এবং কেন?
উ:- জার দ্বিতীয় আলেকজাণ্ডার যুগ যুগ ধরে নিপীড়িত ভূমিদাসদের দাসত্ববন্ধন থেকে মুক্তি দেবার জন্য মুক্তিদাতা জার নামে পরিচিত। সিংহাসনে আরোহনের পর জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য সংস্কার হলো ভুমিদাস প্রথার উচছেদ। রাশিয়ার ইতিহাসে এটা তার এক অক্ষয় কীর্তি। ভূমিদাস প্রথা উচ্ছেদের জন্য জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারকে মুক্তিদাতা জার বলা হয়।
1) ভুমিদাস প্রথা বিলোপের সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ - জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার সিংহাসনে আরোহণ করে অনুধাবন করলেন যে, রাশিয়ার পিছিয়ে পড়ার পিছনে একমাত্র ভুমিদাস প্রথাই দায়ী। রাশিয়ার আইন অনুসারে ভুমিদাসগণ ছিল মালিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। মালিকেরা তাদের নিলামে বিক্রয় অথবা শারীরিক পীড়ণ করলে রাষ্ট্র তাদের বাধা দিত না। ভুমিদাসরা বংশানুক্রমে ভুমিদাসের কাজ কর।
2) আলেকজান্ডার কর্তৃক ভুমিদাস প্রথা বিলোপের ঘোণাপত্রঃ- 1861 সালের 19ই ফ্রেবুয়ারী মুক্তির ঘোষণা দ্বারা জঘন্য দাসপ্রথার উচ্ছেদ সাধন করেন। এ ঘোষণা অনুযায়ী
i) ভুমিদাসরা দাসত্ব থেকে মুক্তি পায়
ii) ভুমিদাসরা নাগরিক অধিকার লাভ করে
iii) জমিদারদের ভুমির একাংশ ভূমিদাসরা পায় ও কৃষরা জীবীকা নির্বাহের সুযোগ পায়।
iv) জমিদাররা জমির জন্য ক্ষতিপুরণ সরকারের কাছ থেকে পায় ।
v) কৃষকেরা 4 বছরের কিস্তিতে এ অর্থ সরকারকে পরিশোধ করবে ।
ভূগোল
বিকল্পগুলির থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ :
১.১ বিষুবরেখায় ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ হলো -
উত্তর: ক) ০°
১.২ ভূ-আলোড়ন ভূপৃষ্ঠে অনুভূমিকভাবে কাজ করলে সৃষ্টি হয় -
উত্তর: খ) ভঙ্গিল পর্বত
১.৩ ঠিক জোড়টি নির্বাচন করো -
উত্তর: গ) মালভূমির ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা - জলধারণ ক্ষমতা কম ।
২. একটি বা দুটি শব্দে উত্তরে দাও :
২.১ কোনো স্থানের দ্রাঘিমা ২৪° পূর্ব হলে ঐ স্থানটির প্রতিপাদস্থানের দ্রাঘিমা কত হবে ?
উত্তর: কোনো স্থানের দ্রাঘিমা ২৪° পূর্ব হলে ঐ স্থানটির প্রতিপাদস্থানের দ্রাঘিমা ২৪° পশ্চিম হবে।
২.২ একটি পর্বত বেষ্টিত মালভূমির নাম লেখো ।
উত্তর: একটি পর্বত বেষ্টিত মালভূমি হলো তিব্বত মালভূমি ।
২.৩ কোন জলবায়ু অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকারের প্রাধান্য লক্ষ করা যায় ?
উত্তর: ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল জলবায়ু অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকারের প্রাধান্য লক্ষ করা যায় ।
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ নদী ও খালের জলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাবগুলি কী কী ?
উত্তর: নদী ও খালের জলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাবগুলি নীচে আলোচনা করা হলো :
নদী ও খালের জলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে নদীতে ও খালে প্রচুর পলি সঞ্চিত হয়। এরফলে নদীর গভীরতা হ্রাস পে এবং বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে নদী উপচে জল নদীর আশেপাশের অঞ্চলকে প্লাবিত করে ।
মাত্রাতিরিক্ত জলসেচের ফলে মাটির মূল্যবান খনিজ পদার্থগুলি নীচের স্তরে চলে যায় ফলে মাটি চাষের অযোগ্য হয়ে পরে ।
নদী ও খালের জলের ওপর পরিবহন বেশি করা হলে নদীতে রাসায়নিক, দূষিত পদার্থ ইত্যাদি জলের সাথে মিশে জলদূষণ হয় ।
শিল্পকর্মে নদীর জল ব্যবহৃত হয় ফলে নদীতে কলকারখানার দূষিত জল মিশে জল পুনরায় ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পরে ।
৩.২ ক্ষয়জাত সমভূমি ও সঞ্চয়জাত সমভূমির মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর :
বিষয়
ক্ষয়জাত সমভূমি
সঞ্চয়জাত সমভূমি
(i) উৎপত্তি
প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত স্বল্প উঁচু ঢেউ খেলানো ভূমিকে ক্ষয়জাত সমভূমি ।
প্রাকৃতিক শক্তির সঞ্চয়কার্যে গঠিত নীচু ভূমি উঁচু হয়ে সঞ্চয়জাত সমভূমি সৃষ্টি হয় ।
(ii) প্রক্রিয়া
এই সমভূমি সৃষ্টিতে বহির্জাত প্রক্রিয়া দায়ী।
এই সমভূমি সৃষ্টিতে বহির্জাত ও অন্তর্জাত উভয় প্রক্রিয়া কাজ করে ।
(iii) শ্রেণীবিভাগ
এর ভাগগুলি হলো - সমপ্রায় সমভূমি, তরঙ্গ কর্তিত সমভূমি, পেডিমেন্ট সমভূমি, হিমবাহ সমভূমি, কার্স্ট সমভূমি ।
এর ভাগগুলি হলো - পাদদেশীয় সমভূমি, প্লাবন সমভূমি, ব-দ্বীপ সমভূমি, লোয়েস সমভূমি, লাভা সমভূমি, বাজাদা ।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৪.১ ক) 'উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে তুষার কার্যের ফলে শিলা আবহবিকারগ্রস্ত হয়' - চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো ।
উত্তরঃ উচ্চ অখাংশের শীতল জলবায়ুতে বা উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে এই প্রক্রিয়া অধিক কার্যকরী হয়। শীতল জলবায়ু অঞ্চলে শিলাস্তরে ফাটলের মধ্যে অবস্থিত জল শীতের সময় বা রাত্রিবেলা অধিক ঠান্ডায় জমে গিয়ে বরফে পরিনিত হয়। জল বরফে পরিণত হলে আয়তনে ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এই কারণে জমে যাওয়া বরফ ফাটলের গায়ে প্রতিবর্গ মিটারে প্রায় ২০০০ কেজি চাপ প্রয়োগ করে ও শিলার ফাটল আরো বৃদ্ধি পায় এবং শিলা একটা সময়ে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় ।
তুষারের কার্যে শিলাগাত্রের ফেটে যাওয়া
খ) অক্সিডেশন বা জারণ প্রক্রিয়ায় শিলা কীভাবে বিয়োজিত হয় উদাহরণসহ লেখো।
উত্তর: শিলা খনিজের সাথে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অক্সিজেন যুক্ত হলে তাকে জারণ বা অক্সিডেশন বলে। মূলত লৌহ সমৃদ্ধ শিলায় এই প্রক্রিয়া অধিক কার্যকর হয়। লোহা যখন ফেরাস অক্সাইড রূপে থাকে তখন তা সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। কিন্তু যখন তা অক্সিডেশন প্রক্রিয়ার পর ফেরিক অক্সাইডে পরিণত হয় তখন তা সহজে ভেঙে যায়। একে মরচে পড়া বলে ।
4FeO+O2=2Fe2O3
উদাহরণ: উড়িষ্যার বেলোনি ও ঝাড়খণ্ডের দক্ষিণ অংশে কিরিবুরুর লৌহ সমৃদ্ধ উচ্চভূমিতে জারণ প্রক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় ।
ভৌত বিজ্ঞান
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করাে :
১.১ জলের যে ধর্মের জন্য একটি ছােট পােকা জলের উপরিতলে হেঁটে বেড়াতে পারে তা হলাে (ক) জলের ঘনত্ব (খ) জলের সান্দ্রতা (গ) জলের তাপ পরিবাহিতা (ঘ) জলের পৃষ্ঠটান।
উ: (ঘ) জলের পৃষ্ঠটান
১.২ নীচের যে মিশ্রণটি একটি অদ্রব বা ইমালশনের উদাহরণ সেটি হলাে – (ক) কুয়াশা (খ) ধোঁয়াশা সমান (গ) দুধ (ঘ) জল ও চিনির সম্পৃক্ত মিশ্রণ।
উ: (গ) দুধ
১.৩ শক্তির মাত্ৰীয় সংকেত হলাে – (ক) MLT (খ) ML-2T (গ) MLT-2 (ঘ) MT-2T।
উ: (গ) MLT-2
২. একটি শব্দে অথবা একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ SI এককে এক মােল পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইডের ভর কত ?
উ: 44×10^-3 kg
২.২ রাবার ও ইস্পাতের মধ্যে কোনটির ইয়ং গুণাঙ্কের মান বেশি হবে?
উ: ইস্পাতের
২.৩ একটি অ্যাসিড লবণের সংকেত লেখাে।
উ: NaHCO3 সোডিয়াম বাই কার্বনেট
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ এক লিটার দ্রবণে 18 g গ্লুকোজ (আণবিক ওজন 180) আছে। দ্রবণের মােলার মাত্রা নির্ণয় করাে।
উ:
1 লিটার দ্রবণে গ্লুকোজ আছে 18g
গ্লুকোজ এর আণবিক ওজন =180
1 মোল গ্লুকোজ = 180 g
180 g গ্লুকোজ = 1 মোল
1 g গ্লুকোজ = (1/180) মোল
18 g গ্লুকোজ =(18/180) মোল =0.1 মোল
1 লিটার দ্রবণে দ্রবীভূত গ্লুকোজের পরিমাণ 0.1 মোল
প্রদত্ত দ্রবণের মাত্রা 0.1 মোল/লিটার
৩.২ লঘু হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ও লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড আছে। একটি রাসায়নিক পরীক্ষায় এই দুটি দ্রবণের পার্থক্য নির্ণয় করতে কী বিকারক ব্যবহার করবে? সংশ্লিষ্ট ভৌত পরিবর্তনটির উল্লেখ করাে।
উ: বিকারক: বেরিয়াম ক্লোরাইড (BaCl2) বিকারক হিসেবে ব্যাবহার করা হলো
সমীকরন: H2So4+BaCl2= BaSo4+2HCl
লঘু HCl এর জলীয় দ্রবণে দ্রবনে BaCl2 যোগ করা হলে কোন অধঃক্ষেপ পড়ে না।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
৪.১ একটি হালকা ও একটি ভারী বস্তুর ভর যথাক্রমে m ও M| বস্তুটির ভরবেগ সমান হলে কোনটির গতিশক্তি বেশি হবে তা নির্ণয় করাে।
উ:
আমরা জানি, হালকা বস্তুর ভর= m
ভারী বস্তুর ভর= M
ধরি,বস্তু দুটির ভরবেগ = p
হালকা বস্তুর গতিশক্তি, E1= (p2/2m).........(i)
ভারী বস্তুর গতিশক্তি,E2= (p2/2M)........(ii)
(i) ÷ (ii) করে পাই,
(E1/E2)=(M/m) >1
E1>E2
বস্তুটির ভরবেগ সমান হলে হালকা বস্তুটির গতিশক্তি বেশি
গনিত
(a) 25
(b) 20
(c) 10
(d) 24
Ans: (a) 25
(a) 1/2PQ
(b) 1/2(PQ+RS)
(c) 1/2RS
(d) 1/2(PQ−RS)
Ans: (b) 1/2(PQ+RS)
(a) 2.5
(b) 0.4
(c) 0.35
(d) 0.14
Ans: (b) 0.4
(a) 48 টি
(b) 96 টি
(c) 24 টি
(d) 72 টি
Ans: (c) 24 টি
(i) ABC সমকোণী ত্রিভুজের ∠BAC=90° এবং BC -এর মধ্যবিন্দু D হলে, AD=1/2BC।
Ans: (i) সত্য
(ii) একটি পরিসংখ্যা বিভাজন তালিকায় একটি শ্রেণির মধ্যবিন্দু 10 এবং প্রতিটি শ্রেণির শ্রেণি-দৈর্ঘ্য 6 হলে, শ্রেণিটির নিম্নসীমা হবে 8।
Ans: (ii) মিথ্যা
(ii) একটি সামান্তরিক আকারের ক্ষেত্র, একটি আয়তক্ষেত্র এবং একটি ত্রিভুজাকার ক্ষেত্র একই ভূমি ও একই সমান্তরাল সরলরেখা যুগলের মধ্যে অবস্থিত এবং তাদের ক্ষেত্রফল যথাক্রমে P, R ও T হলে P=R=T/2 হবে।
Ans: (iii) মিথ্যা
(iv) একটি সমবাহু ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল ও উচ্চতার সাংখ্যমান সমান হলে, ত্রিভুজটির বাহুর দৈর্ঘ্য হবে 1 একক।
Ans: (iv) মিথ্যা
Ans: ধরি, দ্রব্যটির দাম 100 টাকা
100 টাকার 10% ছাড় দিলে হয়= (100−10) টাকা =90 টাকা
আবার, 90 টাকার 5% ছাড় দিলে হয়= 4.5 টাকা
∴ 90 টাকার ঘড়িটির দাম হবে=90−4.5 টাকা=85.5 টাকা
∴ মোট ছাড় পেল=(100−85.5) টাকা =14.5 টাকা
∴ সমতুল্য ছাড় 14.5%
Ans: ধরি, বৃত্তটির ব্যাসের দৈর্ঘ্য = 2x একক
তাহলে বর্গক্ষেত্রটির বাহুর দৈর্ঘ্যও = 2x একক
∴ বৃত্তটির ব্যাসার্ধ= 2x/2=x একক
∴ বৃত্তটির পরিধি=2πr=2×π×x=2πx একক
এবং বর্গক্ষেত্রটির পরিসীমা= 4×একটি বাহুর দৈর্ঘ্য = 4×2x একক =8x একক
∴ তাদের পরিসীমার অনুপাত= 2πx:8x⁴
=22/7:4 =22:28 =11:14
দৈনিক লাভ (টাকা)
0-50
50-100
100-150
দোকানের সংখ্যা
8
15
10
তথ্যটির আয়তলেখ অঙ্কন করাে।
Ans:
দৈনিক লাভ(শ্রেণী)
শ্রেণী সীমানা
শ্রেণী দৈর্ঘ্য
পরিসংখ্যা
0-50
0-50
50
8
50-100
50-100
50
15
100-150
100-150
50
10
Ans: টেক্সট বইয়ের ১২৪ নং পৃষ্ঠা
জীবন বিজ্ঞান
প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে
লেখো :
১.১ যে জোড়টি সঠিক নয় সেটি নির্বাচন করো —
(ক) ফোটোফসফোরাইলেশন – ATP সংশ্লেষ
(খ) গ্লাইকোলাইসিস – পাইরুভেট সংশ্লেষ
(গ) ক্রেবস চক্র – সাইট্রিক অ্যাসিড সংশ্লেষ
(ঘ) অরনিথিন চক্র – অ্যামোনিয়া সংশ্লেষ
১.২ সঠিক বক্তব্যটি নিরূপণ করো—
(ক) লোহিত রক্তকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে রোগজীবাণু ধ্বংসে সাহায্য করে
(খ) বেসোফিল হিস্টামিন শোষণ করে অ্যালার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করে
(গ) লিম্ফোসাইট অ্যান্টিবডি সংশ্লেষ করে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে
(ঘ) ইওসিনোফিল হেপারিন নিঃসরণ করে রক্তবাহে রক্ততঞ্চন রোধে সাহায্য করে
১.৩ প্রজাপতির রেচন অঙ্গটি চিহ্নিত করো —
(ক) নেফ্রিডিয়া
(খ) ম্যালপিজিয়ান নালিকা
(গ) ফ্লেমকোশ
(ঘ) বৃক্ক
২.A- স্তম্ভে দেওয়া শব্দের সঙ্গে B স্তম্ভে দেওয়া সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত শব্দটির
সমতা বিধান করে উভয় স্তম্ভের
ক্রমিক নং উল্লেখসহ সঠিক জোড়টি পুনরায় লেখো :
A -স্তম্ভ
B - স্তম্ভ
২.১ অ্যাথেরোস্ক্লেসিস
(গ) বিপাকীয় সমস্যাজনিত রোগ
২.২ পতঙ্গ
(ক) ট্র্যাকিয়া
২.৩ পত্ররন্দ্র
(খ) রক্ষীকোশ
(ঘ) ফুলকা
৩. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পরজীবীয় ও মিথোজীবীয় পুষ্টির দুটি পার্থক্য উল্লেখ করো।
পরজীবীয়
মিথোজীবীয় পুষ্টির
পুষ্টির জন্য সজীব পোষকের ওপর নির্ভরশীল।
পুষ্টির জন্য দুটি মহাবস্থানকারি বিভিন্ন জীব, পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল।
এরা পোষকের ক্ষতি করে নিজেরা উপকৃত হয়।
এক্ষেত্রে উভয় জীব-ই পরস্পরের দ্বারা উপকৃত হয়। কেউ কারো ক্ষতি করে না।
উদাহরণঃ স্বর্ণলতা কৃমি
উদাহরণঃ লাইকেন।
৩.২ সৌরশক্তির আবদ্ধকরণ ও রূপান্তরে সালোকসংশ্লেষের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
উঃ- সূর্য হলো সকল শক্তির উৎস। একমাত্র সবুজ উদ্ভিদই পারে সৌরশক্তিকে আবদ্ধ করে বিভিন্ন জৈবনিক কার্যে ব্যবহার করতে। সালোকসংশ্লেষের সময় সবুজ উদ্ভিদ সৌরশক্তি কে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে ATP অনুর মধ্যে আবদ্ধ করে। পরে সেই শক্তি উৎপন্ন খাদ্যের মধ্যে স্থৈতিক শক্তিরূপে সঞ্চিত হয়। প্রাণীকুল সবুজ উদ্ভিদ থেকে খাদ্যের মাধ্যমে শক্তি সংগ্রহ করে। অর্থাৎ গৃহীত খাদ্য মধ্যস্থ স্থৈতিক শক্তি প্রাণীদের দেহ কোষে খাদ্যের জারণ প্রক্রিয়ায় গতিশক্তি উৎপন্ন করে। এইভাবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সবুজ উদ্ভিদ পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকে শক্তির যোগান দেয়।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
৪.১ উদ্ভিদের দেহে কোনো নির্দিষ্ট রেচন অঙ্গ থাকে না। তাহলে উদ্ভিদ কীভাবে রেচন পদার্থ ত্যাগ করে বলে
তোমার মনে হয়? রক্ততঞন কীভাবে ঘটে ব্যাখ্যা করো।
উদ্ভিদের দেহে কোন নির্দিষ্ট রেচন অঙ্গ না থাকলেও, নিম্নলিখিত উপায় রেচন পদার্থ বর্জ্য করে-
পত্রমোচনঃ- পর্ণমোচী উদ্ভিদ যেমন শিমুল, শিরিষ, আমরা, অশত্থ ইত্যাদি বছরের নির্দিষ্ট ঋতুতে পত্রমোচন করে পাতায় সঞ্চিত রেচন পদার্থ ত্যাগ করে। বহুবর্ষজীবী চিরহরিৎ উদ্ভিদ সারাবছর ধরে অল্পবিস্তর পাতা ঝরিয়ে রেচন পদার্থ ত্যাগ করে।
বাকলমোচনঃ- কোনো কোনো উদ্ভিদ যেমন অর্জুন, পেয়ারা ইত্যাদি গাছ বাকল বা ছাল মোচন এর দ্বারা ত্বকে সঞ্চিত রেচন পদার্থ ত্যাগ করে।
রক্ততঞ্চনের বিভিন্ন পর্যায়ঃ- রক্ত তঞ্চন মূলত তিনটি ধাপে সংঘটিত হয়—
প্রথম ধাপঃ- আঘাতপ্রাপ্ত স্থান থেকে এবং ভাঙ্গা অনুচক্রিকা থেকে থ্রম্বোপ্লাস্টিন নিঃসৃত হয়। এই থ্রম্বোপ্লাস্টিন ক্যালসিয়াম আয়নের (Ca⁺²) সঙ্গে মিলিত হয়ে প্রোথ্রম্বিনেজ নামক এনজাইম গঠন করে।
থ্রম্বোপ্লাস্টিন + Ca⁺² → প্রোথ্রম্বিনেজ
দ্বিতীয় ধাপঃ- প্রোথ্রম্বিনেজ আজ হেপারিনের ক্রিয়া বিনষ্ট করে এবং প্রোথ্রম্বিনকে থ্রম্বিনে পরিনত করে।
প্রোথ্রম্বিন → থ্রম্বিন [প্রোথ্রম্বিনেজ এর উপস্থিতিতে]
তৃতীয় ধাপঃ- থ্রম্বিন ফাইব্রিনোজেন এর সঙ্গে মিলিত হয়ে ফাইব্রিন গঠন করে। ফাইব্রিন জালিকায় রক্তকণিকা গুলি আটকে যায় এবং থলথলে তঞ্চিত পদার্থ বা ক্লট গঠন করে।