Milu coaching centre
BENGALI
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
বিষয়: বাংলা
শ্রেণী: দশম
১. কম-বেশি ২০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো:
১.১ 'গল্প শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন হরিদা।' - হরিদা কোন্ গল্প শুনেছেন?
উত্তর : বহুরূপী' গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা ছিলেন পেশায় বহুরুপী।
হরিদার গম্ভীর হয়ে গিয়েছিলেন কারণ তাঁর বন্ধুরা হরিদাকে জানিয়েছিলেন যে, জগদীশবাবুর বাড়িতে এক সন্ন্যাসী সাত দিন ছিলেন। তিনি নাকি সারাবছরে একটি হরীতকী খান। তাঁর বয়স হাজার বছরেরও বেশি। সন্ন্যাসী কাউকে তাঁর পায়ের ধুলা দেন না।কিন্তু জগদীশবাবু কাঠের খড়মে সােনার বােল লাগিয়ে সন্ন্যাসীর পায়ে সেই খড়ম পরাতে গিয়ে জগদীশবাবু তাঁর পায়ের ধুলাে নিয়েছিলেন। সন্ন্যাসীর এই গল্প শুনে হরিদা গম্ভীর হয়ে গিয়েছিলেন।
১.২ 'বিদায় এবে দেহ, বিধমুখী।' - উদ্ধৃতাংশে 'বিধমুখী' কে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্তের বিভীষণের প্রতি ইন্দ্রজিৎ রচনায় চাঁদের মতাে সুন্দরী স্ত্রীকে ইন্দ্রজিৎ 'বিধুমুখী' বলে সম্বােধন করেছেন।
১.৩ 'মাভৈ: মাভৈ:' - এমন উচ্চারণের কারণ কী?
উত্তর : “মাভৈঃ' কথাটির অর্থ হল ভয় কোরাে না। অরাজকতা সম্পন্ন সমাজকে নাড়া দিলেই তার মধ্যে লুকানাে প্রাণ জেগে ওঠে। ত্রিকালরূপী শিব ধ্বংসের ত্রিশূল হাতে আবির্ভূত হন। তার আগমনে বসুন্ধরায় তৈরি হয় প্রলয়ের পরিবেশ। ভীতসশ্বস্ত হয়ে পড়ে সমস্ত জীবকুল। কিন্তু এই ধ্বংসের মাঝেই আছে সৃষ্টির আশ্বাস। এই কারণেই কবি মাভৈঃ মাভৈঃ' বলে উল্লাস প্রকাশ করেছেন।
১.৪ '... দুজন বন্ধু নোক আসার কথা ছিল,' - বন্ধুদের কোথা থেকে আসার কথা ছিল?
উত্তর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী গল্পে উদ্ধৃত লাইনটি আমরা দেখতে পাই। এনাঞ্জাং থেকে বন্ধুদের আসার কথা ছিল।
২. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো:
২.১ 'অ্যাঁ,? ওটা কি একটা বহুরূপী?'
- প্রশ্নটি কাদের মনে জেগেছে? তাদের মনে এমন প্রশ্ন জেগেছে কেন?
উত্তর :বহুরূপী' গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা ছিলেন পেশায় বহুরুপী।
তিনি এমন ভাবে বহুরূপী সাজতেন যে, লােকের বােঝার সাধ্য ছিল না, চরিত্রের ঢঙে নিজেকে নিপুণভাবে সাজিয়ে তুলতেন । বহুরূপী সাজে হরিদাকে যারা চিনতে পারতাে এবং যারা প্রথম দেখছে তাদের মনেই উক্ত প্রশ্নটি জেগে উঠতো। মনের ভিতর প্রশ্ন জেগে ওঠার কারণ হলাে হরিদার নানান ছদ্মবেশ। যেমন উন্মাদ - পাগল, বাইজি, পুলিশ, সন্ন্যাসী ইত্যাদির পেশায় বহুরূপী সেজে অর্থ উপার্জন করতেন। তার প্রতিটি ছদ্দবেশীতে আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে । এত নিপুণতার সহিত অভিনয় করা একেবারেই সহজ ব্যাপার নয়, এই কারণে তাদের মনে এমন প্রশ্ন জেগেছে।
২.২ 'নাদিলা কর্বূরদল হেরি বীরবরে মহাগর্বে।' - 'কর্বূরদল' শব্দের অর্থ কী? উদ্ধৃতাংশে 'বীরবর' কোথায় উপনীত হলে এমনটি ঘটেছে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বিভীষণের প্রতি ইন্দ্রজিৎ রচনায় কর্বূরদল বলতে লঙ্কার রাক্ষসবাহিনীকে বলা হয়েছে ।
পুত্র বীরবাহুর মৃত্যুর প্রতিশােধ নিতে লঙ্কাপতি রাবণ যুদ্ধের সাজে সজ্জিত। তার সৈন্যবাহিনীও যুদ্ধের উন্মাদনায় মেতে উঠেছে। সেই সময় ভ্রাতা বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ শুনে ইন্দ্রজিৎ সেখানে আসেন। ইন্দ্রজিৎকে দেখে সৈন্যরা উল্লসিত হয়। কারণ ইন্দ্রজিতের রণকৌশল এবং বীরত্ব সম্পর্কে তারা অবহিত। স্বয়ং দেবরাজ ইন্দ্রকে তিনি পরাজিত করেছেন। লঙ্কার শ্রেষ্ঠ যােদ্ধা তিনি। তাই তাকে পেয়ে সৈন্য বাহিনী ভরসা পেয়েছে এবং উৎসাহ ও গর্ববােধ করেছে।
২.৩ 'তোরা সব জয়ধ্বনি কর।' - কার জয়ধ্বনি করতে কবির এই আহ্বান? কেন তার 'জয়ধ্বনি' করতে হবে?
উত্তর : প্রলয়ােল্লাস' কবিতায় কবি নজরুল ইসলাম দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এই আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রলয়ােল্লাস' কবিতায় মােট উনিশবার “তােরা সব জয়ধ্বনি কর"এই আহ্বানসূচক পঙক্তিটিকে ব্যবহার করে কবি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। আসলে 'প্রলয়ােল্লাস' হল ধ্বংসের মধ্য দিয়ে সৃষ্টির আনন্দ। স্বাধীনতার জন্য যে তরুণের দল তাদের দুর্জয় সাহস আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে পরাধীন এবং সামাজিক বৈষম্যের অবসান ঘটাতে চায় কবি তাদেরই জয়ধ্বনি করতে বলেছেন।
কবির কথায় তারা হল অনাগত প্রলয়-নেশার নৃত্য পাগল, কিন্তু তারাই সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে আঘাত করে নতুন চেতনা,বিপ্লবের বার্তাকে বয়ে আনে। অসুন্দরকে দূর করতে তারা ভয়ংকরের বেশ ধারণ করে পৃথিবীতে নবপ্রাণের প্রতিষ্ঠা ঘটায় । এ হলো বিপ্লবী যুব শক্তির প্রতি কবির মুগ্ধ অভিবাদন।
২.৪ 'কিন্তু ইহা যে কতোবড়ো ভ্রম...' - কোন্ ভ্রমের কথা এক্ষেত্রে বলা হয়েছে?
উত্তর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী রচনায় আলোচ্য অংশটি অবতারণা করা হয়েছে
অপূর্ব ট্রেনের প্রথম শ্রেণির যাত্রী। তার কামরায় কোনাে লােক ছিল না। সন্ধ্যা পার হলে অপূর্ব ঈশ্বরের উপাসনা শেষ করে। তারপর সে রাতের খাওয়া সেরে হাত-মুখ ধুয়ে শয্যাগ্রহণ করে।
অপূর্ব আশা করেছিল যে প্রথম শ্রেণির যাত্রী হওয়ায় সকাল পর্যন্ত কেউ তাকে বিরক্ত করবে না। কিন্তু পুলিশের লােকরা রাত্রে তিনবার ঘুম ভাঙিয়ে তার নাম-ঠিকানা লিখে নেয়। এভাবে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে অপূর্ব প্রতিবাদ করে।অপূর্ব নিজেকে প্রথম শ্রেণির যাত্রী বলে এবং তাই তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানাে যায় না বলে মন্তব্য করলে পুলিশ অফিসারটি তাকে বলেন যে ইচ্ছা করলে সে তাকে নামিয়ে দিতে পারে। ভারতীয়দের অপমানের আরো একটি উদাহরণ অপূর্বর অভিজ্ঞতায় যুক্ত হল ।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:
৩.১ 'বড়ো' চমৎকার আজকে এই সন্ধ্যার চেহারা।' - 'বহুরূপী' গল্প অনুসরণে উক্ত সন্ধ্যার দৃশ্য বর্ণনা করো।
উত্তর : বহুরূপী' আসলে হরিদা নামে এক হতদরিদ্র মানুষের বাস্তব জীবনযাপনের জ্বলন্ত কাহিনী।
ঘড়ির কাঁটা ধরে নিয়ম করে একই ধরনের কাজ করা হরিদার পক্ষে অসম্ভব। তাই তিনি মাঝে মাঝে বহুরূপী সেজে যেটুকু রােজগার করেন, তাতেই তাঁর দিন গুজরান হয় । পেশা হিসেবে বহুরূপী ছদ্মবেশ নেওয়ার জন্য গল্পের নাম 'বহুরূপী'। কিন্তু তার মধ্যে জীবনের বাঞ্জনাসূচক বিশেষ ভাবসত্যও পাওয়া যায়।
কিন্তু যখন হরিদা বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর যাবতীয় প্রলােভন এবং অর্থকে তুচ্ছ মনে করেছেন, তখনই কাহিনিটি ছােটোগল্পের মর্যাদা পেয়ে যায়। বিভিন্ন চরিত্রের বেশ ধারণ করে জীবিকা অর্জন করাই হরিদার পেশা। তবু তিনি জগদীশবাবুর টাকা স্পর্শ করেননি। করলে হয়তো ছােটোগল্পের ব্যঞ্জনা নষ্ট হত। করেননি বলেই পাঠককুল অল্প গল্পের উপসংহারে এসে অতৃপ্তি আর কৌতুহলে ঘুরপাক খেতে থাকে। এই ধরনের পরিণতিই আধুনিক ছােটোগল্পের বিশেষত্ব। বহুরূপী গল্পের মধ্যে দিয়ে সন্ধ্যার এই দৃশ্যটি খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।
৩.২ 'ছিঁড়িলা কুসুমদাম রোষে মহাবলী' - 'মহাবলী' কে? তিনি রুষ্ট কেন?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বিভীষণের প্রতি ইন্দ্রজিৎ রচনায় মহাবলী' বলতে বীর ইন্দ্রজিৎকে বােঝানাে হয়েছে।
রামচন্দ্র পুনর্জীবন লাভ করে ইন্দ্রজিতের ভাই বীরবাহুকে বধ করেছেন, ফলে পিতা রাবণে শােকাকুল হয়ে পড়েছেন এমতাবস্থায় ইন্দ্রজিৎ প্রমােদবিলাসে মত্ত—এই কথা মনে করে মেঘনাদ নিজেকে ধিক্কার দিয়েছেন। হাতের ফুলরাশি ছিড়ে ফেলেছেন, সােনার বালা দূরে ফেলে দিয়েছেন। এভাবে ক্রোধের মধ্য দিয়ে ইন্দ্রজিৎ রাক্ষসকুলের অপবাদ দূর করার জন্য শপথ গ্রহণ করেন।
৩.৩ 'প্রলয় বয়েও আসছে হেসে - মধুর হেসে।' - কে আসছেন? তার হাসির কারণ বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রলয় উল্লাস কবিতায় শিবের আগমনের কথা বলা বলেছেন।
শিব রক্ষক ও সংহারক। সংহারকরূপী শিব ভয়ংকর। তিনি তখন প্রলয় রূপী শিব। তার জটার ভরে দুলে সারা পৃথিবী সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। যা-কিছু জরাজীর্ণ, অসুন্দর, তা সবই তিনি কাল ভৈরবী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ধ্বংস করে। কিন্তু এই ধ্বংসের পিছনে লুকিয়ে থাকে নতুন সৃষ্টির আশ্বাস। এই কারণেই প্রলয় ধ্বংস বয়ে নিলেও আপন সৃষ্টির আনন্দে মহাকালের মধুর হাসি ধ্বনিত হয়।
৩.৪ 'বাবুজি, এসব কথা বলার দুঃখ আছে।' - বক্তা কে? কোন্ কথার পরিপ্রেক্ষিতে সে একথা বলেছ?
উত্তর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'পথের দাবী' গদ্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃতিতে বক্তা বাবুজি' বলতে অপূর্বকে বুঝিয়েছে। উক্তিটির বক্তা রামদাস তলওয়ারকর। রামদাসের সঙ্গে কথােপকথনে অপূর্ব জানায় যে, পুলিশকর্তা নিমাইবাবু তার কাকা এবং তার শুভাকাঙ্ক্ষী হলেও, ভারতবর্ষের মুক্তিকামী বিপ্লবীরা তার থেকে অনেক বেশি আপনার-নিজের । পরাধীন ভারতবর্ষের ব্রিটিশের দাসত্ব করেন নিমাইবাবু।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:
৪.১ 'এজন্য চরিত্র চাই, গোঁয়ার রোখ্ চাই'। - ক্ষিতীশ সিংহ কীভাবে কোনির 'চরিত্র' এবং 'গোয়ার রোখ্' তৈরিতে সচেষ্ট হয়েছিলেন?
উত্তর : গঙ্গার ঘাটে বারুণী উৎসবে দেবতার উদ্দেশ্য উৎসর্গকৃত আম দখলের ঘটনা থেকেই ক্ষিতীশ কোনিকে আবিষ্কার করেছিলেন। তারপর একদিন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দৌড় প্রতিযােগিতার শেষে কোনিকে কাছে পেয়ে সাঁতার শেখানাের প্রস্তাব করেন তিনি।
কোনি সেই প্রস্তাব বাতিল করে দিলেও ক্ষিতীশ হাল ছাড়েননি, মনে মনে ঠিক করেন , কোনিকে তিনি নামকরা সাঁতারু তৈরি করবেনই। কোনির বাড়ি গিয়ে পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে ক্ষিতীশ জানতে পারেন ওরা খুব গরিব। তাই নিজেই কোনির সব দায়িত্ব নিলেন। জুপিটার ছেড়ে অ্যাপােলাে ক্লাবে এসেছিলেন শুধু কোনির জন্যই। নিজের সংসার পরিবারের কথা ভুলে কোনিকে নিয়েই চলল তার প্রতিজ্ঞাপূরণের কাজ। কোনিকে কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন বানানােই ছিল ক্ষিতীশের একমাত্র লক্ষ্য।
ক্ষিতীশ নিজেই কোনির জন্য উপযুক্ত খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা নেন। ধীরে ধীরে কোনিও সাঁতারকে ধ্যানজ্ঞান মনে করতে থাকে। একসময় যাবতীয় প্রতিকূলতা পার করে মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশীপে ১*১০০মিটার রেলিতে প্রথম হয় এবং তার স্বপ্ন পূরণ করে।
৪.২ 'ক্ষিদ্দা, এবার আমরা কী খাব?' - উদ্ধৃতিটির আলোকে কোনির যন্ত্রণাবিদ্ধ জীবনযাত্রার পরিচয় দাও?
উত্তর : গঙ্গার ঘাট থেকে মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার প্রতিযােগিতায় বিজয় পর্যন্ত কোনির যে যাত্রা তাতে কোনির প্রথম ও প্রধান নির্দেশক ও অনুপ্রেরণা ছিল ক্ষিতীশ সিংহ। তিনি কোনিকে সাঁতারে চ্যাম্পিয়ন করানাের জন্য।কঠোর অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছিলেন। এই অনুশীলনে সাঁতারের বিভিন্ন কৌশল ক্ষিতীশ কোনিকে শিখিয়েছিলেন।
প্রতিদিন সকাল সাড়ে ছটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত কোনির অভ্যাস চলত। ক্ষিতীশ কোনির জীবনযাত্রাকে একটা ছকে বেঁধে দিয়েছিলেনন কোনি কখন কী কী খাবে সেই ব্যাপারেও ক্ষিতীশ নিয়ম জারি করেছিলেন। কোনিকে প্রতিদিন দুটো ডিম, দুটো কলা এবং দুটো টোস্ট খাওয়ার কথা ক্ষিতীশ বলেন। এগুলি কোনিকে খেতে দেওয়ার বদলে আরও এক ঘণ্টা কোনির জলে থাকতে হবে বলে ক্ষিতীশ জানাই । অ লােভ দেখিয়ে অমানুষিক পরিশ্রম করিয়ে নেওয়া অন্যায় জেনেও যন্ত্রণা আর সময় দুটোকেই হারানাের জন্য ক্ষিতীশ এমনটা করেছিলেন।
কোনি টিফিনের বদলে টাকা চাইলে ক্ষিতীশ আর কোনির মধ্যে বােঝাপড়া হয়। ক্ষিতীশ কোনিকে নানা উদাহরণ দিয়ে তাকে উজ্জীবিত করেন। সফলতা অর্জন ক্ষিতীশই দেয়ালে '৭০' লিখে টাঙিয়ে দিয়ে কোনির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেন। তার তত্ত্বাবধানে দিনের পর দিন কোনির এই কঠোর অনুশীলনই তাকে সাফল্যের সোপানে নিয়ে যায়।
ENGLISH
Activity 1
Write the correct alternative to complete the following sentences:
i) The old woman was all knobbly stick and _____ .
a) gold
b) rag
c) silver
d) diamond
Answer: b) rag.
ii) The old woman opened a little _____ .
a) purse
b) palm
c) bag
d) door
Answer: c) bag.
iii) The bag contained the poet's _____.
a) money
b) secret
c) clothes
d) pen
Answer: b) secret.
Activity 2
Fill in the blanks by choosing the correct alternative given in brackets:
A kite-flying festival was __________ (organise /being organised/organised) on last Sunday to__________ (promote/promoted/promoting) the use of cotton strings which __________ (is/were/are) considered for birds.
Answer: organised, promote, are
A kite-flying festival was organised on last Sunday to promote the use of cotton strings which are considered for birds.
Activity 3
Describe in about 100 words the process of making a statue.
Use the following points:
Plaster-of-paris mixed with warm water - cast of statue made with wood – mixture poured in cast – left for the mixture to harden - cast carefully removed – statue is taken out
The Process Of Making A Statue
At first, warm water is taken in a container. Then plaster of paris is poured into warm water and the mixture is prepared. The mixture should not be made very dense. After this, a cast of statue is made with wood. The cast made with wood is a crafty work of art. Then the mixture in the container is poured in the cast carefully and the cast is left in a suitable humid atmosphere in a room to harden it. When the cast is finally found hard, the cast is carefully removed using proper tools. Then the statue is taken out and it is coloured. In this way, a statue is made ready to display.
WBBSE Class 10 History Model Activity Task 2021 Solutions)
2ND SERIES
PART 5
১. 'ক' স্তম্ভের সাথে 'খ' স্তম্ভ মেলাও :
উত্তর:
ক - স্তম্ভ
খ - স্তম্ভ
১.১ ভাইসরয়
গ) লর্ড ক্যানিং
১.২ চৈত্র মেলা
ঘ) নবগোপাল মিত্র
১.৩ জমিদার সভা
ক) রাধাকান্ত দেব
১.৪ বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট
খ) তারকনাথ
২. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো :
২.১ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের অভিঘাতে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সমাপ্তি ঘটেছিল ।
উত্তর: মিথ্যা
২.২ ভারত সভা গড়ে উঠেছিল দেশের জনগণকে বৃহত্তম রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে একজোট করার জন্য ।
উত্তর: সত্য
২.৩ ভারতে ছাপা প্রথম বাংলা বই 'এ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ' ।
উত্তর: সত্য
২.৪ ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ও শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠিত হয় ।
উত্তর: সত্য
৩. দুটি বা তিনটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৩.১ মহেন্দ্রলাল সরকার কেন স্মরণীয় ?
উত্তর : মহেন্দ্রলাল সরকার তার বিশেষ কাজকর্মের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। কারণগুলি হলো -
· তিনি ' ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দি কল্টিভেশন অফ্ সায়েন্স ' নামক সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন ১৮৭৬ সালে ।
· তিনি বিশ্বের সেরা হোমিপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন ।
৩.২ শিক্ষা বিস্তারে শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশনের ভূমিকার উল্লেখ কর ।
উত্তর : ভারতে ইংরেজি শিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ। খ্রিস্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে তাঁরা ভারতের নানা অঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে থাকেন। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে মার্শ ম্যান, ওয়ার্ড ও উইলিয়াম কেরি শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মোট ১২৬ টি বিদ্যালয়ে প্রায় দশ হাজার ভারতীয় ছাত্র পাশ্চাত্য শিক্ষার সুযোগ পায় ।
৪. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও :
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাচিন্তায় কোনদিকটি শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বেশি ফুটে উঠেছিল ?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার মানবজীবনের অর্জিত জ্ঞান ও তার সহজাত প্রতিভার এক অদ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করে গেছেন। ১৯০১ সালের ২২ ডিসেম্বর রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন আশ্রমে প্রতিষ্ঠা করলেন শান্তিনিকেতন ব্রাহ্ম বিদ্যালয় বা ব্রহ্মচর্য আশ্রম। শান্তিনিকেতন আশ্রমে এর প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা হলেন রবীন্দ্রনাথের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ১৮৬৩ সালে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনসাধনার ক্ষেত্র হিসাবে রূপান্তরিত করে এই আশ্রমকে।
· শিক্ষার্থীর জীবন : রবীন্দ্রনাথের এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল চতুরাশ্রম ও তপোবনে র আদর্শকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা । এখানে শিক্ষার্থীদের পাদুকা ও ছাতা ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল । সকাল সন্ধ্যা উপাসনা করতে হতো, রান্না ছাড়া বাকি নিজেদের কাজ নিজেকেই করতে হতো। আরাম বা সুখভোগ নয়- সরল জীবনযাত্রা, গুরুসেবা, অতিথিসেবা ইত্যাদি পূর্বকালের আশ্রমিক আদর্শে ছাত্রদের শিক্ষা দেওয়াই ছিল লক্ষ্য ।
· শিক্ষার উদ্দেশ্য : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, " মানুষ গড়াই শিক্ষা, মানুষ বলিতে যে যেমন বুঝিয়েছে সে সেই অনুসারে প্রণালী প্রবর্তন করিতে চাহিয়াছে।" তিনি বলেছেন যে, ছেলেদের মন জাগানোর কথা ।
· প্রকৃতির কোলে শিক্ষা : রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন যে শিক্ষা হবে মুক্ত প্রকৃতির কোলে, খোলা আকাশের নীচে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে তৃণ গুলম লতা, জলধারা, বায়ুপ্রবাহ, ছায়ালকের আবর্তন, জ্যোতিষ্কদলের প্রবাহ, পৃথিবীর প্রাণীরা এবং জগতের সকল অণু পরমাণু সব কিছুর সাথেই মানুষের নাড়ির যোগ।
· শিক্ষা আনন্দময় : রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন, শিক্ষা লাভের মধ্য দিয়ে আনন্দ লাভ শিক্ষা লাভের একটি আবশ্যিক শর্ত। এই জন্য তিনি শান্তিনিকেতনে আনন্দ নিকেতন গড়ে তোলেন। সেখানে প্রকৃতির সহজ উদার পরিবেশ শিশুরা মনকে মুক্তি দিতে পেরেছিল। কবি তাদের জন্য গান রচনা করেন, ঋতু বন্ধনা শিখিয়ে দেন, বর্ষা ও বসন্তে উৎসবের আয়োজন করেন।
· শিক্ষা মানুষকে নিয়ে : মানুষ মানুষের বিরাট ব্যবধান আছে, তাকে অপসারিত করে মানুষকে সর্বমানুষের বিরাট লোকে মুক্তি দিতে হবে। এই জন্য তিনি "জ্ঞানের আদিনিকেতন " অর্থাৎ হারি ডোম কৈবর্ত বাগদির জীবনে প্রবেশের কথা বলেছেন, কারণ জীবনে জীবন যোগ করা না হলে কৃত্রিম পণ্যে ব্যর্থ হবে গানের পসরা।
রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষা ও জীবনযাপন যেন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে থাকে। শান্তিনিকেতন পরিকল্পনা দ্বারা তিনি টা প্রমাণ করে গেছেন ।(WWBBSEWWBBSEBBSEBBSE Class 10 Physical Science Model Activity Task 2021 Solutions)
2ND SERIES
PART 5
১. ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
১.১ যেটি মৃদু তড়িৎবিশ্লেষ্য সেটি হলো −
(ক) সোডিয়াম ক্লোরাইড (খ) অ্যামোনিয়াম সালফেট (গ) সালফিউরিক অ্যাসিড (ঘ) অ্যাসেটিক অ্যাসিড
উত্তর: (ঘ) অ্যাসেটিক অ্যাসিড
১.২ অ্যামোনিয়া গ্যাসকে শুষ্ক করতে যে যৌগটি উপযুক্ত তা হলো −
(ক) P₄O₁₀ (খ) গাঢ় H₂SO₄ (গ) অনার্দ্র CaCl₂ (ঘ) CaO
উত্তর: (ঘ) CaO
১.৩ তাপ পরিবাহীতাঙ্কের SI একক হলো −
(ক) WmK (খ) Wm⁻¹K (গ) Wm⁻¹K⁻¹ (ঘ) WmK⁻¹
উত্তর: (গ) Wm⁻¹K⁻¹
২. নীচের বাক্যগুলি সত্য অথবা মিথ্যা তা নিরূপণ করো :
২.১ তড়িৎবিশ্লেষণের সময় দ্রবণের তড়িৎ পরিবহণ করে ইলেকট্রন |
উত্তর: মিথ্যা
ব্যাখ্যা : তড়িৎবিশ্লেষণের সময় তড়িদবিশ্লেষ্য পদার্থগুলি গলিত হয়ে বা জলীয় দ্রবনে বিয়োজিত হয়ে ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন উৎপন্ন করে | দ্রবনে উপস্থিত এই আয়নগুলিই তড়িৎবিশ্লেষণের সময় দ্রবণের তড়িৎ পরিবহণ করে |
২.২ ধাতুর আকরিক থেকে ধাতু নিষ্কাশনে বিজারণ অপরিহার্য |
উত্তর: সত্য
২.৩ দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্কের এককে দৈর্ঘ্যের একক নেই |
উত্তর: সত্য
নানা ধরনের প্রশ্নের আলোচনার জন্য পঠন পাঠনের টেলিগ্রাম গ্রুপ জয়েন করুন |
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ ক্যালশিয়াম কার্বনেটের মধ্যে ভর হিসাবে ক্যালশিয়ামের শতকরা পরিমাণ নির্ণয় করো (Ca = 40)
উত্তর: ক্যালশিয়াম কার্বনেটের সংকেত হলো : CaCO₃
CaCO₃ এর আণবিক ভর = 40 + 12 + (16 ✕ 3) gm = 100 gm
∴ 100 gm ক্যালশিয়াম কার্বনেটে, ক্যালশিয়াম থাকে 40 gm.
∴ ক্যালশিয়াম কার্বনেটের মধ্যে ভর হিসাবে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ 40% (উত্তর)
৩.২ অ্যামোনিয়া, সালফার ট্রাইঅক্সাইড ইত্যাদির শিল্প উৎপাদনে ব্যবহৃত অনুঘটক সুক্ষ্ম চূর্ণ আকারে রাখা হয় কেন ?
উত্তর: অ্যামোনিয়া, সালফার ট্রাইঅক্সাইড ইত্যাদির শিল্প উৎপাদনে ব্যবহৃত অনুঘটক সুক্ষ্ম চূর্ণ আকারে রাখার কারণগুলি হলো :
(i) অনুঘটককে সুক্ষ্ম চূর্ণ আকারে রাখলে অনুঘটকের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি পায় | ফলে বেশি পরিমাণে বিক্রিয়ক পদার্থ অনুঘটকের সংস্পর্শে আসে এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় | ফলে বেশি পরিমাণে বিক্রিয়াজাত পদার্থ তৈরী হয় |
(ii) অনুঘটককে চূর্ণ করে ব্যবহার করলে অনুঘটক বেশি পরিমাণে বিক্রিয়ক পদার্থের পৃষ্ঠে অধিশোষিত হতে পারে | ফলস্বরূপ রাসায়নিক বিক্রিয়ার বেগ বৃদ্ধি পায় |
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
৪.১ একটি তড়িৎকোষের তড়িচ্চালক বল 10 V ও অভ্যন্তরীণ রোধ 2 ওহম | তড়িৎকোষটিকে 8 ওহম রোধকের সঙ্গে যুক্ত করা হল | রোধকটিতে 60 সেকেন্ডে কত জুল তাপ উৎপন্ন হবে তা নির্ণয় করো |
উত্তর: তড়িৎকোষটির তড়িচ্চালক বল (E) = 10 V;
অভ্যন্তরীণ রোধ (r) = 2 ওহম;
বাহ্যিক রোধ (R) = 8 ওহম;
∴ বর্তনীর মূল তড়িৎ প্রবাহমাত্রা,
WBBSE Class 10 Geography Model Activity Task 2021 Solutions)
2ND SERIES
PART 5
১. বিকল্প গুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো:
১.১ যে জলবায়ুতে ঋতু পরিবর্তন হয় না সেটি হলো -
উত্তর: ঘ) নিরক্ষীয় জলবায়ু ।
১.২ ঠিক জোড় টি নির্বাচন করো -
উত্তর: খ) পৃথিবীর সাপেক্ষে চাঁদ ও সূর্যের অবস্থান - মরা কোটাল।
১.৩ অতিবিরল জন ঘনত্ব একটি রাজ্য হলো -
উত্তর: ঘ) সিকিম
২. স্তম্ভ মেলাও :
উত্তর:
ক - স্তম্ভ
খ - স্তম্ভ
২.১ বিশুদ্ধ কাঁচামাল
খ) তুলো
২.২ ক্রান্তীয় ঘুর্ণবাত
গ) ইয়াস
২.৩ পেরু স্রোত
ক) আটাকামা মরুভূমি
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ জোয়ার - ভাটার সৃষ্টি তে কেন্দ্র বহির্মুখী বলের প্রভাব উল্লেখ করো ।
উত্তর : পৃথিবীর আবর্তনের প্রভাবে যে কেন্দ্রবিমুখ বল তৈরি হয় তা হল কেন্দ্রাতিগ বল। এই বলের প্রভাবে সমুদ্রের জল বাইরের দিকে নিক্ষিপ্ত হওয়ায় প্রবণতা লাভ করে এবং এটি মহাকর্ষ বলের বিপরীত কাজ করে। অতএব চাঁদের আকর্ষণে পৃথিবীর যে অংশে জোয়ার হয় ঠিক তার প্রতিপাদ অংশে চাঁদের মহাকর্ষ শক্তি অপেক্ষা কেন্দ্রাতিগ বল অধিক হওয়ায় সেখানেও সমুদ্রের জল ফুলে ওঠে ।
৩.২ নিম্নলিখিত বিষয়ের ভিত্তিতে ঘুর্ণবাত ও প্রতীপ ঘুর্ণবাতের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো ।
ক) বায়ুর চাপ, (খ) স্থায়িত্ব, (গ) আবহাওয়ার প্রকৃতি
উত্তর :
ঘুর্ণবাত ও প্রতীপ ঘুর্ণবাতের মধ্যে পার্থক্য
বৈশিষ্ট্য
ঘুর্ণবাত
প্রতীপ ঘুর্ণবাত
ক) বায়ুর চাপ
ঘুর্ণবাতের কেন্দ্রে থাকে নিম্নচাপ এবং বাইরে থাকে উচ্চচাপ ।
প্রতীপ ঘুর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ ও বাইরে নিম্নচাপ থাকে ।
(খ) স্থায়িত্ব
ঘূর্ণবাত ক্ষণস্থায়ী হয়, তবে খুব শক্তিশালী |
প্রতীপ ঘুর্ণবাত দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে ঘুর্ণবাতের মতো অতটা শক্তিশালী হয় না |
(গ) আবহাওয়ার প্রকৃতি
আবহাওয়া ঝটিকাসংকুল | গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাত ও শীতকালে তুষারপাত হয়ে থাকে |
আবহাওয়া শান্ত ও বায়ু শুষ্ক হয় | গ্রীষ্মকাল মেঘমুক্ত ও উজ্জ্বল | তবে মাঝে মাঝে হালকা কুয়াশা দেখা যায় | শীতকালে ঘন কুয়াশা দেখা যায় এবং তুষারপাত ঘটে |
৪. ভারতের কোন অঞ্চলের অধিকাংশ কফি উৎপাদন করা হয় ? এই বাগিচা ফসল চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশেরবর্ণনা দাও |
উত্তর : ভারতের কর্ণাটকের চিকমাগালুরে অধিকাংশ কফি উৎপাদন করা হয়। চিকমাগালুর ভারতের কফি উৎপাদক কেন্দ্র। কফি চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ হল -
প্রাকৃতিক পরিবেশ
(i) জলবায়ু :
ক) উষ্ণতা : উষ্ণ ক্রান্তিয় জলবায়ু কফি চাষের অনুকূল। গড়ে ২০°-৩০° সেলসিয়াস উষ্ণতা কফি চাষের পক্ষে উপযোগী। উচ্চভুমিতে ১৫°-২০° সেলসিয়াস উষ্ণতাতেও কফির চাষ হয়।
খ) বৃষ্টিপাত : বার্ষিক ১০০-২০০ সেমি বা তার বেশি বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে উন্নত মানের কফি চাষ।
গ) আর্দ্রতা ও সূর্যকিরণ : বাতাস আর্দ্রতা বেশি থাকলে কফি গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। উষ্ণ ও আর্দ্র ঋতু কফি গাছ বৃদ্ধির সহায়ক। শুশক-শীতল ঋতুতে কফি ফল পরিপক্ক হয়। ফল পাকার সময় প্রচুর সূর্যকিরণের দরকার হয়।
(ii) মৃত্তিকা : ভারতে লাল দোয়াঁশ মাটি ও লাভাসৃষ্ট উর্বর মাটিতে কফি চাষ হয়। মৃদু অম্লধর্মী পটাশ ও হিউমাস সমৃদ্ধ মৃত্তিকা কফি চাষের পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী।
(iii) ভূপ্রকৃতি : উঁচু পাহাড়ে ও ঢালু জমিতে কফি চাষ হয়। সাধারণত ৫০০-১৫০০ মিটার উচ্চতায় কফি গাছা ভালো জন্মায়।
(iv) ছায়াদানকারী বৃক্ষ : তীব্র সূর্যলোক, প্রবল বাতাস, তুহিন প্রভৃতির হাত থেকে কফি গাছকে বাঁচানোর জন্য বাগিচায় অন্যান্য বড়ো বড়ো গাছ লাগানো হয় ।
অর্থনৈতিক পরিবেশ :
(i) শ্রমিক : বাগিচা রক্ষনাবেক্ষণ, গাছের পরিচর্যা, ফল সংগ্রহ ও শুকনো, বীজ চূর্ণ করা প্রভৃতি কাজে প্রচুর দক্ষ ও পরিশ্রমী শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।
(ii) মূলধন : কফি চাষের প্রাথমিক অবস্থায় কফি উৎপাদন হয় না, অথচ বাগান পরিচর্যা, শ্রমিকদের মজুরি প্রভৃতির জন্য প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন হয়।
(iii) পরিবহণ : কফি একটি বাণিজ্যিক ফসল, তাই কফি রপ্তনির জন্য সুলভ ও দ্রুত পরিবহণের মাধ্যমে থাকা প্রয়োজন।
(WBBSE Class 10 Life Science Model Activity Task 2021 Solutions)
১. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখো :
১.১ পাতার মাধ্যমে প্রাকৃতিক অঙ্গজ বংশবিস্তার করে যে উদ্ভিদ সেটি নির্বাচন করো -
(ক) মিষ্টি আলু
(খ) কচুরিপানা
(গ) আদা
(ঘ) পাথরকুচি
উত্তর: পাতার মাধ্যমে প্রাকৃতিক অঙ্গজ বংশবিস্তার করে যে উদ্ভিদ সেটি হলো : (ঘ) পাথরকুচি
১.২ সংকরায়ণ পরীক্ষার জন্য মেন্ডেলের মটরগাছ বেছে নেওয়ার সঠিক কারণটি স্থির করো -
(ক) মটর গাছের বংশবিস্তারে অনেক সময় লাগে
(খ) মটর গাছে বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতি খুবই কম
(গ) মটর ফুল স্বপরাগী হওয়ায় বাইরে থেকে অন্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা কম
(ঘ) মটর গাছের ফুলগুলিতে কৃত্রিমভাবে ইতর পরাগযোগ ঘটানো সম্ভব নয়
উত্তর: সংকরায়ণ পরীক্ষার জন্য মেন্ডেলের মটরগাছ বেছে নেওয়ার সঠিক কারণটি হলো : (গ) মটর ফুল স্বপরাগী হওয়ায় বাইরে থেকে অন্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা কম
১.৩ নীচের যে বক্তব্যটি সঠিক নয় সেটি চিহ্নিত করো -
(ক) অতিরিক্ত বাষ্পমোচন রোধ করার জন্য ফণীমনসার পাতা কাঁটায় রুপান্তরিত হয়েছে
(খ) রুই মাছের পটকার পশ্চাৎ প্রকোষ্ঠে অবস্থিত রেটিয়া মিরাবিলিয়া গ্যাস উৎপাদন করে
(গ) পায়রার ফুসফুসের সঙ্গে প্রধানত নয়টি বায়ুথলি যুক্ত থাকে যা পায়রাকে উড়তে সাহায্য করে
(ঘ) উটের RBC ডিম্বাকৃতি হওয়ায় অতি ঘন রক্তের মধ্য দিয়ে এটি সহজেই প্রবাহিত হতে পারে
উত্তর: নীচের যে বক্তব্যটি সঠিক নয় সেটি হলো : (খ) রুই মাছের পটকার পশ্চাৎ প্রকোষ্ঠে অবস্থিত রেটিয়া মিরাবিলিয়া গ্যাস উৎপাদন করে
** রুই মাছের পটকার অগ্র প্রকোষ্ঠে অবস্থিত রেড গ্রন্থি গ্যাস উৎপাদন করে |
২. একটি শব্দে বা একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ মানব বিকাশের বয়ঃসন্ধি দশার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো |
উত্তর: মানব বিকাশের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধির সময়কাল হল 12 থেকে 20 বছর | এই সময়কালে স্ত্রী ও পুরুষের নানারকম দৈহিক ও মানসিক বিকাশ লক্ষ্য করা যায় | এই সময় মানব দেহে মুখ্য জনন অঙ্গের বৃদ্ধি সম্পূর্ণ হয়, জনন অঙ্গের অন্তঃক্ষরণধর্মী কাজ ও গ্যামেট উৎপাদন শুরু হয় এবং স্ত্রী ও পুরুষ দেহে গৌণ যৌন লক্ষণের পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটে |
২.২ বিসদৃশ শব্দটি বেছে লেখো :
মটরের সবুজ রঙের বীজ, মটরের সবুজ রঙের ফল, গিনিপিগের সাদা রঙের লোম, গিনিপিগের মসৃণ লোম
উত্তর: মটরের সবুজ রঙের ফল
কারণ : মটরের সবুজ রঙের ফল হলো প্রকটবৈশিষ্ট্যকিন্তু বাকিগুলি প্রছন্ন বৈশিষ্ট্য |
২.৩ নীচে সম্পর্কযুক্ত একটি শব্দ জোড় দেওয়া আছে | প্রথম জোড়টির সম্পর্ক বুঝে দ্বিতীয় জোড়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও :
ব্যবহার ও অব্যবহারের সুত্র : ল্যামার্ক :: প্রাকৃতিক নির্বাচন : ___________
উত্তর: ব্যবহার ও অব্যবহারের সুত্র : ল্যামার্ক :: প্রাকৃতিক নির্বাচন : চার্লস ডারউইন
৩. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ স্বপরাগযোগের একটি সুবিধা ও একটি অসুবিধা উল্লেখ করো |
উত্তর: সুবিধা : স্বপরাগযোগে কোনো বাহকের প্রয়োজন হয় না |
অসুবিধা : স্বপরাগযোগে নতুন বৈশিষ্ট্যযুক্ত কোনো অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় না | ফলে উন্নততর প্রজাতি প্রজাতি সৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না |
৩.২ "একসংকর জননে F₂ জনুর ফিনোটাইপিক অনুপাত সবসময় 3:1 নাও হতে পারে" - উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো |
উত্তর: মেন্ডেলের একসংকর জননের F₂ জনুতে 3 : 1 অনুপাত সর্বদা নাও পাওয়া যেতে পারে | কারণ, 3 : 1 অনুপাত একটি গড় ফলবিশেষ | বিশুদ্ধ দীর্ঘকার ও বিশুদ্ধ খর্বাকার মোটর গাছের মধ্যে সংকরায়ণ ঘটালে F₂ জনুতে যদি চারটি অপত্য পাওয়া যায় তাহলে এদের মধ্যে তিনটি দীর্ঘকার ও একটি খর্বাকার হবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই |
যেমন: সন্ধ্যামালতি নামক উদ্ভিদে লাল এবং সাদা এই দুই রঙের ফুল হয় । এই উদ্ভিদে ফুলের লাল রং সাদা রং এর ওপর অসম্পূর্ণ ভাবে প্রকট । সন্ধ্যামালতি উদ্ভিদে F₁ প্রজন্মের উদ্ভিদ গুলিতে স্বপরাগযোগ ঘটানো হলে দ্বিতীয় অপত্য জনু অর্থাৎ F₂ জনুতে তিন প্রকার ফিনোটাইপ ও তিন প্রকার জিনটাইপযুক্ত উদ্ভিদ উৎপন্ন হয় |
সন্ধ্যামালতি উদ্ভিদের F₂ জনুতে ফিনোটাইপিক অনুপাত :
লাল : গোলাপী : সাদা = 1 : 2 : 1
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
৪.১ ডারউইনের মতবাদ অনুসারে 'যোগ্যতমের উদ্বর্তন' কিভাবে ঘটে ব্যাখ্যা করো | "শিম্পাঞ্জিরা বিভিন্নভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করে" - বক্তব্যটির যথার্থতা উদাহরণের সাহায্যে বিশ্লেষণ করো |
উত্তর: চার্লস ডারউইনের মতে, অনুকূল প্রকরণযুক্ত জীবেরাই জীবনসংগ্রামে জয়ী হয় এবং যোগ্যতমে বিবেচিত হয় | প্রকৃতির প্রতিকূল পরিবেশে অবিরাম সংগ্রামের মাধ্যমে অভিযোজিত হয়ে অনুকূল প্রকরণ সৃষ্টির মাধ্যমে কিছু প্রজাতির জীব নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে | এভাবেই প্রকৃতিতে যোগ্যতমের উদ্বর্তন ঘটে | অপরদিকে, প্রতিকূল প্রকরণযুক্ত জীবেরা জীবনসংগ্রামে পরাজিত হয়ে ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হয়ে যায় |
◪◪ বন্য শিম্পাঞ্জিরা হুবহু মানুষের মতো আচরণ করে |অর্থাৎ তারা খুবঅল্প সময়ের মধ্যেই মানুষের আচরনগুলি দেখে শিখে নিতে পারে এবং নিজেদের সমস্যাগুলিকে খুব ভালোভাবে সমাধান করে নিতে পারে | যেমন :
(i) আমরা যেমন হাতুড়ির সাহায্যে কোনো কিছু ভাঙতে পারি, শিম্পাঞ্জিরাও তাদের কাছে থাকা সহজলভ্য পাথর দিয়ে বাদামের খোলা ভেঙে বাদাম খায় |
(ii) পরজীবী সংক্রান্ত রোগের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শিম্পাঞ্জিরা মানুষের মতো ঔষধি গাছের পাতা ব্যবহার করে |
(iii) শিম্পাঞ্জিরা মানুষের মতো গালে হাত দিয়ে চিন্তা ভাবনা করে | মানুষের মতো তারাও দুঃখ, আনন্দ, বেদনা, প্রভৃতি অনুভুতি প্রকাশ করতে পারে |
(iv) শিম্পাঞ্জিরা ছুঁচালো লম্বা ডাল দিয়ে গাছের গর্তে থাকা অন্যান্য প্রানীদের শিকার করে খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে |
N.B . গণিতের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 5 এর উত্তর পত্র পাওয়ার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ করুন এই নাম্বারে 8622939211
পূর্ণমান : ২০
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো :
1. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : 1×3=3
(ক) সরল সুদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বছরের সুদ –
(a) তৃতীয় বছরের সুদের অসমান
(b) চতুর্থ বছরের সুদের অসমান
(c) যেকোনো বছরের সুদের অসমান
(d) প্রথম বছরের সুদের সমান
উত্তরঃ (d) প্রথম বছরের সুদের সমান
(খ) কোনো মূলধন বার্ষিক একই সরল সুদের হারে বছরে 120 টাকা এবং 2 বছরে 140 টাকা হলে, মূলধনের পরিমাণ হবে –
(a) 260 টাকা
(b) 220 টাকা
(c) 240 টাকা
(d) 100 টাকা
উত্তরঃ (d) 100 টাকা
ব্যাখ্যা :
2 বছরের সুদ + আসল = 140 টাকা
1 বছরের সুদ + আসল = 120 টাকা
∴ 1 বছরের সুদ = (140-120) = 20 টাকা
মূলধন = (120-20) টাকা = 100 টাকা
(গ) বার্ষিক P% সরল সুদের হারে P টাকার 1 বছরের সুদ হবে –
(a) P/50 টাকা
(b) P² টাকা
(c) P²/100 টাকা
(d) 100 P টাকা
উত্তরঃ (c) P²/100 টাকা
ব্যাখ্যা :
মূলধন(p) = P টাকা
সুদের হার (r) = P%
সময় (t) = 1 বছর
সুদ (I) = prt / 100
= ( P × P × 1) / 100
= P² / 100 টাকা
2. সত্য/মিথ্যা লেখো : 1×3=3
(ক) বার্ষিক R/2 সরল সুদের হারে 2x টাকার t বছরের সুদ-আসল (2x+xRt/100) টাকা।
উত্তরঃ সত্য
ব্যাখ্যা :
(খ) কোনো মূলধন 10 বছরে দ্বিগুণ হলে, বার্ষিক সরল সুদের হার হবে 10% ।
উত্তরঃ সত্য
ব্যাখ্যা :
(গ) বার্ষিক R% হার সরল সুদে x টাকার T বছরের সুদ I টাকা হলে, xRT = 100I
উত্তরঃ সত্য
ব্যাখ্যা :
3. (ক) শতকরা বার্ষিক সরল সুদের হার ৪% হলে, কোনো টাকার কত বছরের সুদ আসলের 8/25 অংশ হবে তা নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
খ) বার্ষিক 3% সরল সুদের হারে কোনো মূলধন 5 বছরে সুদে-আসলে 966 টাকা হলে, মূলধনের পরিমাণ নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
You May Also Visit These Scholarship
Digital Bharati COVID Scholarship 2021-22 | Scholarship for Class 5 to 10
EWS Certificate Application 2022 : How To Apply For EWS Certificate
4. (ক) একই সময়ে A ব্যাংকে 4000 টাকা এবং B পোস্ট অফিসে 4000 টাকা রাখে। 4 বছর পর তারা সুদসহ যথাক্রমে 4640 টাকা ও 4800 টাকা ফেরত পান। ব্যাংক ও পোস্ট অফিসের বার্ষিক শতকরা সরল সুদের হারের অনুপাত নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
(খ) মি. A চাকুরি থেকে অবসর নেওয়ার সময় গ্র্যাচুইটিবাবদ এককালীন 12,000.00 টাকা পেলেন। ওই টাকা তিনি এমনভাবে ভাগ করে এল.আই.সি ও ব্যাংকে আমানত করতে চান, যেন প্রতিবছর সুদ বাবদ তিনি 90,000 টাকা পান। যদি এল.আই.সি ও ব্যাংকের বার্ষিক সরল সুদের হার যথাক্রমে ৪% ও7% হয়, তবে তিনি কোথায় কত টাকা রেখেছেন?
উত্তরঃ
গণিত
পূর্ণমান : ২০
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো :
1. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : 1×3=3
(ক) সরল সুদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বছরের সুদ –
(a) তৃতীয় বছরের সুদের অসমান
(b) চতুর্থ বছরের সুদের অসমান
(c) যেকোনো বছরের সুদের অসমান
(d) প্রথম বছরের সুদের সমান
উত্তরঃ (d) প্রথম বছরের সুদের সমান
(খ) কোনো মূলধন বার্ষিক একই সরল সুদের হারে বছরে 120 টাকা এবং 2 বছরে 140 টাকা হলে, মূলধনের পরিমাণ হবে –
(a) 260 টাকা
(b) 220 টাকা
(c) 240 টাকা
(d) 100 টাকা
উত্তরঃ (d) 100 টাকা
ব্যাখ্যা :
2 বছরের সুদ + আসল = 140 টাকা
1 বছরের সুদ + আসল = 120 টাকা
∴ 1 বছরের সুদ = (140-120) = 20 টাকা
মূলধন = (120-20) টাকা = 100 টাকা
(গ) বার্ষিক P% সরল সুদের হারে P টাকার 1 বছরের সুদ হবে –
(a) P/50 টাকা
(b) P² টাকা
(c) P²/100 টাকা
(d) 100 P টাকা
উত্তরঃ (c) P²/100 টাকা
ব্যাখ্যা :
মূলধন(p) = P টাকা
সুদের হার (r) = P%
সময় (t) = 1 বছর
সুদ (I) = prt / 100
= ( P × P × 1) / 100
= P² / 100 টাকা
2. সত্য/মিথ্যা লেখো : 1×3=3
(ক) বার্ষিক R/2 সরল সুদের হারে 2x টাকার t বছরের সুদ-আসল (2x+xRt/100) টাকা।
উত্তরঃ সত্য
ব্যাখ্যা :
(খ) কোনো মূলধন 10 বছরে দ্বিগুণ হলে, বার্ষিক সরল সুদের হার হবে 10% ।
উত্তরঃ সত্য
ব্যাখ্যা :
(গ) বার্ষিক R% হার সরল সুদে x টাকার T বছরের সুদ I টাকা হলে, xRT = 100I
উত্তরঃ সত্য
ব্যাখ্যা :
3. (ক) শতকরা বার্ষিক সরল সুদের হার ৪% হলে, কোনো টাকার কত বছরের সুদ আসলের 8/25 অংশ হবে তা নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
খ) বার্ষিক 3% সরল সুদের হারে কোনো মূলধন 5 বছরে সুদে-আসলে 966 টাকা হলে, মূলধনের পরিমাণ নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
You May Also Visit These Scholarship
Digital Bharati COVID Scholarship 2021-22 | Scholarship for Class 5 to 10
EWS Certificate Application 2022 : How To Apply For EWS Certificate
4. (ক) একই সময়ে A ব্যাংকে 4000 টাকা এবং B পোস্ট অফিসে 4000 টাকা রাখে। 4 বছর পর তারা সুদসহ যথাক্রমে 4640 টাকা ও 4800 টাকা ফেরত পান। ব্যাংক ও পোস্ট অফিসের বার্ষিক শতকরা সরল সুদের হারের অনুপাত নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
(খ) মি. A চাকুরি থেকে অবসর নেওয়ার সময় গ্র্যাচুইটিবাবদ এককালীন 12,000.00 টাকা পেলেন। ওই টাকা তিনি এমনভাবে ভাগ করে এল.আই.সি ও ব্যাংকে আমানত করতে চান, যেন প্রতিবছর সুদ বাবদ তিনি 90,000 টাকা পান। যদি এল.আই.সি ও ব্যাংকের বার্ষিক সরল সুদের হার যথাক্রমে ৪% ও7% হয়, তবে তিনি কোথায় কত টাকা রেখেছেন?
উত্তরঃ
গণিত
পূর্ণমান : ২০
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো :
1. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : 1×3=3
(ক) সরল সুদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বছরের সুদ –
(a) তৃতীয় বছরের সুদের অসমান
(b) চতুর্থ বছরের সুদের অসমান
(c) যেকোনো বছরের সুদের অসমান
(d) প্রথম বছরের সুদের সমান
উত্তরঃ (d) প্রথম বছরের সুদের সমান
(খ) কোনো মূলধন বার্ষিক একই সরল সুদের হারে বছরে 120 টাকা এবং 2 বছরে 140 টাকা হলে, মূলধনের পরিমাণ হবে –
(a) 260 টাকা
(b) 220 টাকা
(c) 240 টাকা
(d) 100 টাকা
উত্তরঃ (d) 100 টাকা
ব্যাখ্যা :
2 বছরের সুদ + আসল = 140 টাকা
1 বছরের সুদ + আসল = 120 টাকা
∴ 1 বছরের সুদ = (140-120) = 20 টাকা
মূলধন = (120-20) টাকা = 100 টাকা
(গ) বার্ষিক P% সরল সুদের হারে P টাকার 1 বছরের সুদ হবে –
(a) P/50 টাকা
(b) P² টাকা
(c) P²/100 টাকা
(d) 100 P টাকা
উত্তরঃ (c) P²/100 টাকা
ব্যাখ্যা :
মূলধন(p) = P টাকা
সুদের হার (r) = P%
সময় (t) = 1 বছর
সুদ (I) = prt / 100
= ( P × P × 1) / 100
= P² / 100 টাকা
2. সত্য/মিথ্যা লেখো : 1×3=3
(ক) বার্ষিক R/2 সরল সুদের হারে 2x টাকার t বছরের সুদ-আসল (2x+xRt/100) টাকা।
উত্তরঃ সত্য
ব্যাখ্যা :
(খ) কোনো মূলধন 10 বছরে দ্বিগুণ হলে, বার্ষিক সরল সুদের হার হবে 10% ।
উত্তরঃ সত্য
ব্যাখ্যা :
(গ) বার্ষিক R% হার সরল সুদে x টাকার T বছরের সুদ I টাকা হলে, xRT = 100I
উত্তরঃ সত্য
ব্যাখ্যা :
3. (ক) শতকরা বার্ষিক সরল সুদের হার ৪% হলে, কোনো টাকার কত বছরের সুদ আসলের 8/25 অংশ হবে তা নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
খ) বার্ষিক 3% সরল সুদের হারে কোনো মূলধন 5 বছরে সুদে-আসলে 966 টাকা হলে, মূলধনের পরিমাণ নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
You May Also Visit These Scholarship
Digital Bharati COVID Scholarship 2021-22 | Scholarship for Class 5 to 10
EWS Certificate Application 2022 : How To Apply For EWS Certificate
4. (ক) একই সময়ে A ব্যাংকে 4000 টাকা এবং B পোস্ট অফিসে 4000 টাকা রাখে। 4 বছর পর তারা সুদসহ যথাক্রমে 4640 টাকা ও 4800 টাকা ফেরত পান। ব্যাংক ও পোস্ট অফিসের বার্ষিক শতকরা সরল সুদের হারের অনুপাত নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
(খ) মি. A চাকুরি থেকে অবসর নেওয়ার সময় গ্র্যাচুইটিবাবদ এককালীন 12,000.00 টাকা পেলেন। ওই টাকা তিনি এমনভাবে ভাগ করে এল.আই.সি ও ব্যাংকে আমানত করতে চান, যেন প্রতিবছর সুদ বাবদ তিনি 90,000 টাকা পান। যদি এল.আই.সি ও ব্যাংকের বার্ষিক সরল সুদের হার যথাক্রমে ৪% ও7% হয়, তবে তিনি কোথায় কত টাকা রেখেছেন?
উত্তরঃ
গণিত
পূর্ণমান : ২০
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো :
1. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : 1×3=3
(ক) সরল সুদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বছরের সুদ –
(a) তৃতীয় বছরের সুদের অসমান
(b) চতুর্থ বছরের সুদের অসমান
(c) যেকোনো বছরের সুদের অসমান
(d) প্রথম বছরের সুদের সমান
উত্তরঃ (d) প্রথম বছরের সুদের সমান
(খ) কোনো মূলধন বার্ষিক একই সরল সুদের হারে বছরে 120 টাকা এবং 2 বছরে 140 টাকা হলে, মূলধনের পরিমাণ হবে –
(a) 260 টাকা
(b) 220 টাকা
(c) 240 টাকা
(d) 100 টাকা
উত্তরঃ (d) 100 টাকা
ব্যাখ্যা :
2 বছরের সুদ + আসল = 140 টাকা
1 বছরের সুদ + আসল = 120 টাকা
∴ 1 বছরের সুদ = (140-120) = 20 টাকা
মূলধন = (120-20) টাকা = 100 টাকা
(গ) বার্ষিক P% সরল সুদের হারে P টাকার 1 বছরের সুদ হবে –
(a) P/50 টাকা
(b) P² টাকা
(c) P²/100 টাকা
(d) 100 P টাকা
উত্তরঃ (c) P²/100 টাকা
ব্যাখ্যা :
মূলধন(p) = P টাকা
সুদের হার (r) = P%
সময় (t) = 1 বছর
সুদ (I) = prt / 100
= ( P × P × 1) / 100
= P² / 100 টাকা
2. সত্য/মিথ্যা লেখো : 1×3=3
(ক) বার্ষিক R/2 সরল সুদের হারে 2x টাকার t বছরের সুদ-আসল (2x+xRt/100) টাকা।
উত্তরঃ সত্য
ব্যাখ্যা :
(খ) কোনো মূলধন 10 বছরে দ্বিগুণ হলে, বার্ষিক সরল সুদের হার হবে 10% ।
উত্তরঃ সত্য
ব্যাখ্যা :
(গ) বার্ষিক R% হার সরল সুদে x টাকার T বছরের সুদ I টাকা হলে, xRT = 100I
উত্তরঃ সত্য
ব্যাখ্যা :
3. (ক) শতকরা বার্ষিক সরল সুদের হার ৪% হলে, কোনো টাকার কত বছরের সুদ আসলের 8/25 অংশ হবে তা নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
খ) বার্ষিক 3% সরল সুদের হারে কোনো মূলধন 5 বছরে সুদে-আসলে 966 টাকা হলে, মূলধনের পরিমাণ নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
You May Also Visit These Scholarship
Digital Bharati COVID Scholarship 2021-22 | Scholarship for Class 5 to 10
EWS Certificate Application 2022 : How To Apply For EWS Certificate
4. (ক) একই সময়ে A ব্যাংকে 4000 টাকা এবং B পোস্ট অফিসে 4000 টাকা রাখে। 4 বছর পর তারা সুদসহ যথাক্রমে 4640 টাকা ও 4800 টাকা ফেরত পান। ব্যাংক ও পোস্ট অফিসের বার্ষিক শতকরা সরল সুদের হারের অনুপাত নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
(খ) মি. A চাকুরি থেকে অবসর নেওয়ার সময় গ্র্যাচুইটিবাবদ এককালীন 12,000.00 টাকা পেলেন। ওই টাকা তিনি এমনভাবে ভাগ করে এল.আই.সি ও ব্যাংকে আমানত করতে চান, যেন প্রতিবছর সুদ বাবদ তিনি 90,000 টাকা পান। যদি এল.আই.সি ও ব্যাংকের বার্ষিক সরল সুদের হার যথাক্রমে ৪% ও7% হয়, তবে তিনি কোথায় কত টাকা রেখেছেন?
উত্তরঃ
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করাে : ১x৩=৩
১.১ SATP বলতে যে উষ্ণতা বােঝায় তার মান নিকটতম পূর্ণসংখ্যায় –
(ক) 263 K
(খ) 273 K
(গ) 298 K
(ঘ) 373 K
উত্তর: SATP বলতে যে উষ্ণতা বােঝায় তার মান নিকটতম পূর্ণসংখ্যায় (খ) 273 K
১.২ PV=
W
M
WM
RT সমীকরণে (চিহ্নগুলি প্রচলিত অর্থ বহন করে) ‘M’ রাশির একক হল –
(ক) g
(খ) g mol
(গ) g/mol
(ঘ) mol-1
উত্তর: PV=
W
M
WM
RT সমীকরণে‘M’ রাশির একক হল – (গ) g/mol
১.৩ কোনাে আদর্শ গ্যাসের ক্ষেত্রে স্থির উম্নতা ও স্থির ভর হলে বয়েলের সূত্রানুসারে চাপ ও আয়তনের লেখচিত্রটি হবে –
(ক) মূলবিন্দুগামী সরলরেখা
(খ) উপবৃত্তের অংশ
(গ) পরাবৃত্তের অংশ
(ঘ) আয়তনের অক্ষের সমান্তরাল সরলরেখা
উত্তর: কোনাে আদর্শ গ্যাসের ক্ষেত্রে স্থির উম্নতা ও স্থির ভর হলে বয়েলের সূত্রানুসারে চাপ ও আয়তনের লেখচিত্রটি হবে- (গ) পরাবৃত্তের অংশ।
২. নীচের বাক্যগুলি সত্য অথবা মিথ্যা তা নিরূপণ করাে : ১x৩=৩
২.১ একটি গ্যাস অণুর আয়তন = (গ্যাস দ্বারা অধিকৃত আয়তন ÷ গ্যাস অণুর সংখ্যা)
উত্তর: সত্য l
২.২ 12C = 12.0000 u-এর পরিবর্তে অন্য কোনাে সাংখ্যমান ধরা হলেও STP-তে কোনাে গ্যাসের মােলার আয়তন একই থাকবে।
উত্তর: সত্য l
২.৩ নির্দিষ্ট উষ্ণতা ও চাপে দুটি আদর্শ গ্যাসের আয়তন অনুপাত গ্যাসদুটির মােল সংখ্যার অনুপাতের সমান।
উত্তর: সত্য l
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ২x৪=৮
৩.১ মাত্ৰীয় বিশ্লেষণ থেকে গ্যাস ধুবক ‘R’-এর একক কী হওয়া উচিত তা দেখাও।
উত্তর: আদর্শ গ্যাস সমীকরণের মাত্রিক বিশ্লেষণ থেকে R-এর একক. নির্ণয়> n mol গ্যাসের জন্য আদর্শ গ্যাস
সমীকরণ, pV = nRT থেকে পাই, R =
p
V
n
T
pVnT
l
সতরাং SI-তে R-এর একক হল J• mol-1.K-1এবং CGS পদ্ধতিতে R-এর একক erg•mol-1.K-1 | এখানে উষ্ণতা হল পরম উষ্ণতা , তাই এর একক K (kelvin) এককেই প্রকাশ করা হয়।
৩.২ প্রধানত কোন কোন কারণে বাস্তব গ্যাসগুলি আদর্শ আচরণ থেকে বিচ্যুত হয়?
উত্তর:
শুধুমাত্র নিম্নচাপ ও উচ্চ উষ্ণতায় বাস্তব গ্যাসগুলি আদর্শ গ্যাসের মতাে আচরণ করে। অন্যান্য ক্ষেত্রে বাস্তব গ্যাসগুলি আদর্শ গ্যাসের সমীকরণ মেনে চলে না। এই বিচ্যুতির কারণগুলি হল—
(i) গ্যাসের গতীয় তত্ত্ব অনুসারে গ্যাসের অণুগুলি বিন্দুভর, তাই পাত্রের আয়তনের তুলনায় অণুগুলির আয়তন নগণ্য। কিন্তু কম হলেও গ্যাসের অণুগুলির আয়তনকে উপেক্ষা করা যায় না। এই আয়তন উপেক্ষা করলে গ্যাসের অণুগুলির অবাধ সঞ্চারনের জন্য আয়তন পাত্রের আয়তনের সমান হয়। কিন্তু বাস্তবে অণুগুলি নিজেরাই কিছুটা আয়তন দখল করে থাকে। এই অবস্থা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয় যখন নিম্ন উষ্ণতা ও উচ্চচাপে গ্যাসের আয়তন খুব কম হয়।
(ii) আবার গ্যাসের গতীয় তত্ত্ব অনুসারে গ্যাস অণুগুলি নিজেদের মধ্যে কোনাে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল অনুভব করে না। কিন্তু বাস্তবে গ্যাস অণুগুলির মধ্যে খুব কম হলেও আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে। একটি গ্যাস অণু যখন পাত্রের ভিতরে পাত্রের দেয়াল থেকে একটু দূরে থাকে তখন তার চারদিকে থাকা অণুগুলি দ্বারা সবদিকে সমানভাবে আকর্ষণ বল অনুভব করে। ফলে ওই অণুর ওপর লদ্ধি আকর্ষণ বল শূন্য হয়। কিন্তু একটি অণু পাত্রের দেয়ালের খুব নিকটবর্তী হলে পাত্রের ভিতরের অণুগুলি ওই অণুটিকে ভিতরের দিকে আকর্ষণ করে। ফলে অণুটি মন্দীভূত হয় এবং অপেক্ষাকৃত কম বেগে দেয়ালে ধাক্কা মারে। তাই আদর্শ গ্যাসের ক্ষেত্রে আন্তরাণবিক আকর্ষণ বল না থাকায় পাত্রের দেয়ালে গ্যাসদ্বারা প্রযুক্ত চাপ বাস্তব গ্যাসের তুলনায় বেশি হয়।
৩.৩ স্থির চাপে স্থির ভরের আদর্শ গ্যাসের ক্ষেত্রে V – t ও V – T লেখচিত্র কেমন হবে এঁকে দেখাও।
উত্তর:
স্থির চাপে স্থির ভরের আদর্শ গ্যাসের ক্ষেত্রে V – t লেখচিত্র
স্থির চাপে স্থির ভরের আদর্শ গ্যাসের ক্ষেত্রে V – T লেখচিত্র
৩.৪ সম চাপে ও সম উষ্ণুতায় সমায়তনের শুষ্ক বাতাস ও আর্দ্র বাতাসের মধ্যে কোনটি হালকা হবে যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: শুষ্ক বায়ু অপেক্ষা আর্দ্র বায়ু হালকা : শুষ্ক বায়ুতে অন্যান্য অনেক গ্যাস থাকলেও মূলত N2 ও O2-এর প্রাধান্য বেশি থাকে। মােটামুটিভাবে শুষ্ক বায়ুতে 4 ভাগ N2 ও 1 ভাগ O2 আছে। N2এর মােলার ভর 28 g• mol-1 ও O2এর মােলার ভর 32 g • mol-1 হওয়ায় শুষ্ক বায়ুর গড় গ্রাম আণবিক ভর =
28
×
4
+
32
×
1
4
+
1
28×4+32×14+1
= 28.8 g | আবার, জল বা জলীয় বাষ্পের (H20) মােলার ভর =1×2+16 = 18 g• mol-1। সুতরাং জলীয় বাষ্প, শুষ্ক বায়ু অপেক্ষা হালকা তাই বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকলে অর্থাৎ বায়ু আর্দ্র হলে তার গড় আণবিক ভর, শুষ্ক বায়ুর গড় আণবিক ভরের চেয়ে কম হয়। তাই শুষ্ক বায়ু অপেক্ষা আর্দ্র বায়ু লঘু বা হালকা।
৪. নীচের প্রশ্ন দুটির উত্তর দাও : ৩x২=৬
৪.১ একটি আদর্শ গ্যাসের মধ্যে কিছু ধূলিকণা রয়েছে (ধূলিকণা চাপে অনমনীয়)। উত্মতা স্থির রেখে গ্যাসের চাপ দ্বিগুণ করা হলে ধূলিকণাসহ গ্যাসের আয়তন 1000 mL থেকে কমে 500.25 mL হয়। ধূলিকণার সামগ্রিক আয়তন নির্ণয় করাে।
উত্তর:
ধরি ধূলিকণার সামগ্রিক আয়তন = V mL
গ্যাসটির প্রাথমিক আয়তন, = V1 = (1000-V) mL
গ্যাসটির অন্তিম আয়তন,V2= (500.25-V)mL
গ্যাসটির প্রাথমিক চাপ, P1 = P একক
গ্যাসটির অন্তিম চাপ, P2 = 2P একক
বলয়ের সূত্রানুযায়ী, P1V1 = P2V2
বা, P(1000-V) = 2P(500.25-V)
বা, 1000-V = 1000.50-2V
বা, 2V-V = 1000.50-1000
বা, V = 0.50mL
ধূলিকণার সামগ্রিক আয়তন = 0.50 mL
৪.২ 760 mm Hg চাপে 0°C উয়তায় 3.2 g যে গ্যাসের আয়তন 2.24 L তার গ্রাম আণবিক ওজন নির্ণয় করাে। সাধারণ হাইড্রোজেনের অণু অপেক্ষা গ্যাসের একটি অণু কতগুণ ভারী?
উত্তর:
প্রদত্ত চাপ, P = 760 mm Hg = 1atm
উষ্ণতা, T = 0° C = 273K
গ্যাসের ভর, W = 3.2g
আয়তন, V = 2.24L
আণবিক ভর, M= ?
সর্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক, R = 0.082L.atm.mol-1.K-1
আমরা জানি, PV =
W
M
WM
RT
M =
W
R
T
P
V
WRTPV
=
3.2
×
0.082
×
273
1
×
2.24
3.2×0.082×2731×2.24
=31.98 = 32
∴ নির্নেয় গ্রাম আণবিক ওজন 32g/mol | Ans.
আমরা জানি, কোন গ্যাসের বাষ্প ঘনত্ব D হলে,
∴ গ্যাসের 1টি অনুর ভর = D × H2 এর 1টি অনুর ভর
∴ সাধারণ হাইড্রোজেন অনু অপেক্ষা গ্যাসের একটি অণু D গুণ ভারী (যেখানে, D = গ্যাসের বাষ্প ঘনত্ব) lগণিত
পূর্ণমান : ২০
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো :
1. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : 1×3=3
(ক) সরল সুদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বছরের সুদ –
(a) তৃতীয় বছরের সুদের অসমান
(b) চতুর্থ বছরের সুদের অসমান
(c) যেকোনো বছরের সুদের অসমান
(d) প্রথম বছরের সুদের সমান
উত্তরঃ (d) প্রথম বছরের সুদের সমান
(খ) কোনো মূলধন বার্ষিক একই সরল সুদের হারে বছরে 120 টাকা এবং 2 বছরে 140 টাকা হলে, মূলধনের পরিমাণ হবে –
(a) 260 টাকা
(b) 220 টাকা
(c) 240 টাকা
(d) 100 টাকা
উত্তরঃ (d) 100 টাকা
ব্যাখ্যা :
2 বছরের সুদ + আসল = 140 টাকা
1 বছরের সুদ + আসল = 120 টাকা
∴ 1 বছরের সুদ = (140-120) = 20 টাকা
মূলধন = (120-20) টাকা = 100 টাকা
(গ) বার্ষিক P% সরল সুদের হারে P টাকার 1 বছরের সুদ হবে –
(a) P/50 টাকা
(b) P² টাকা
(c) P²/100 টাকা
(d) 100 P টাকা
উত্তরঃ (c) P²/100 টাকা
ব্যাখ্যা :
মূলধন(p) = P টাকা
সুদের হার (r) = P%
সময় (t) = 1 বছর
সুদ (I) = prt / 100
= ( P × P × 1) / 100
= P² / 100 টাকা
2. সত্য/মিথ্যা লেখো : 1×3=3
(ক) বার্ষিক R/2 সরল সুদের হারে 2x টাকার t বছরের সুদ-আসল (2x+xRt/100) টাকা।
উত্তরঃ সত্য
ব্যাখ্যা :
(খ) কোনো মূলধন 10 বছরে দ্বিগুণ হলে, বার্ষিক সরল সুদের হার হবে 10% ।
উত্তরঃ সত্য
ব্যাখ্যা :
(গ) বার্ষিক R% হার সরল সুদে x টাকার T বছরের সুদ I টাকা হলে, xRT = 100I
উত্তরঃ সত্য
ব্যাখ্যা :
3. (ক) শতকরা বার্ষিক সরল সুদের হার ৪% হলে, কোনো টাকার কত বছরের সুদ আসলের 8/25 অংশ হবে তা নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
খ) বার্ষিক 3% সরল সুদের হারে কোনো মূলধন 5 বছরে সুদে-আসলে 966 টাকা হলে, মূলধনের পরিমাণ নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
You May Also Visit These Scholarship
Digital Bharati COVID Scholarship 2021-22 | Scholarship for Class 5 to 10
EWS Certificate Application 2022 : How To Apply For EWS Certificate
4. (ক) একই সময়ে A ব্যাংকে 4000 টাকা এবং B পোস্ট অফিসে 4000 টাকা রাখে। 4 বছর পর তারা সুদসহ যথাক্রমে 4640 টাকা ও 4800 টাকা ফেরত পান। ব্যাংক ও পোস্ট অফিসের বার্ষিক শতকরা সরল সুদের হারের অনুপাত নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
(খ) মি. A চাকুরি থেকে অবসর নেওয়ার সময় গ্র্যাচুইটিবাবদ এককালীন 12,000.00 টাকা পেলেন। ওই টাকা তিনি এমনভাবে ভাগ করে এল.আই.সি ও ব্যাংকে আমানত করতে চান, যেন প্রতিবছর সুদ বাবদ তিনি 90,000 টাকা পান। যদি এল.আই.সি ও ব্যাংকের বার্ষিক সরল সুদের হার যথাক্রমে ৪% ও7% হয়, তবে তিনি কোথায় কত টাকা রেখেছেন?
উত্তরঃ
lProgrammelProgrammelProgrammelProgramme
১. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখাে : ১x৩=৩
১.১ দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পর্কিত মস্তিষ্কের অংশটি শনাক্ত করাে —
(ক) গুরুমস্তিষ্ক
(খ) লঘুমস্তিষ্ক
(গ) সুষুম্নশীর্ষক
(ঘ) থ্যালামাস
উত্তর: দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পর্কিত মস্তিষ্কের অংশটি হল (খ) লঘুমস্তিষ্ক।
১.২ নীচের যে জোড়টি সঠিক তা নির্বাচন করাে —
(ক) কবজা অস্থিসন্ধি – কাঁধ
(খ) রােটেটর পেশি – ট্রাইসেপস
(গ) বল ও সকেট অস্থিসন্ধি – হাঁটু
(ঘ) ফ্লেক্সর পেশি – বাইসেপস
উত্তর: সঠিক জোড়টি হল (ঘ) ফ্লেক্সর পেশি – বাইসেপস ।
১.৩ মানবদেহে সুষুম্না স্নায়ুর সংখ্যা স্থির করাে
(ক) ১১ জোড়া
(খ) ২১ জোড়া
(গ) ৩১ জোড়া
(ঘ) ৪১ জোড়া
উত্তর: মানবদেহে সুষুম্না স্নায়ুর সংখ্যা স্থির করাে (গ) ৩১ জোড়া।
২. শূন্যস্থান পূরণ করাে : ১x৪=৪
২.১ লঘু মস্তিষ্কের গােলার্ধ দুটি______দ্বারা যুক্ত থাকে।
উত্তর: লঘু মস্তিষ্কের গােলার্ধ দুটি ভারমিজ নামক স্নায়ু যোজক দ্বারা যুক্ত থাকে।
২.২ কর্নিয়া_______মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
উত্তর: কর্নিয়া প্রতিসারক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
২.৩ সাইকেল চালানাে_______প্রতিবর্ত ক্রিয়ার একটি উদাহরণ।
উত্তর: সাইকেল চালানাে অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়ার একটি উদাহরণ।
২.৪ প্যারামেসিয়াম________সাহায্যে গমন করে।
উত্তর: প্যারামেসিয়াম সিলিয়ার সাহায্যে গমন করে।
৩.দুই-তিন বাক্যে উত্তর দাও : ২x৪=৮
৩.১ মাছের গমনে মায়ােটম পেশির ভূমিকা বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর: গমনে মায়ােটোম পেশির ভূমিকা:- মাছের নমনীয় মেরুদণ্ডের দু-পাশে লেজের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত অক্ষ বরাবর অসংখ্য ‘y’আকৃতির মায়ােটোম পেশি বিস্তৃত থাকে। এই মায়ােটোম পেশিগুলির সংকোচন মাছের দেহের অগ্রপ্রান্ত থেকে পশ্চাদপ্রান্ত পর্যন্ত প্রবাহিত হওয়ার ফলে মেরুদণ্ড দু-পাশে পর্যায়ক্রমে আন্দোলিত হয় এবং মাছ সামনের দিকে এগিয়ে যায়। পেশি যেদিকে সংকুচিত হয় মেরুদণ্ড সেদিকে বেঁকে যায়। ওই সময় বিপরীত দিকের পেশি প্রসারিত থাকে। মায়ােমে পেশিগুলির পর্যায়ক্রমে সংকোচন ও প্রসারণের জন্য মেরুদণ্ডটিও পর্যায়ক্রমে দু-পাশে আন্দোলিত হতে থাকে, ফলে মাছ সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
৩.২ সাইন্যাপসের কাজ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: সাইন্যাপস-এর মাধ্যমে এক নিউরােন থেকে অপর নিউরােনে স্নায়ুস্পন্দন প্রবাহিত হয়। স্নায়ু- উদ্দীপনা কোশদেহ থেকে অ্যাক্সনের মাধ্যমে প্রাকৃসন্নিধি শফীতিতে পৌছােলে অ্যাসিটাইল কোলিনপূর্ণ থলি উদ্দীপিত হয় এবং বিদীর্ণ হয়। ফলে অ্যাসিটাইল কোলিন মুক্ত হয়ে প্রাকসন্নিধি পর্দা ভেদ করে সন্নিধি প্রণালীতে আসে। সেখান থেকে উদ্দীপনা নিউরােট্রান্সমিটারের মাধ্যমে পরবর্তী নিউরােনে পৌছােয়। সাইন্যাপসের বিশেষ গঠনের জন্য এই অংশে স্নায়বিক উদ্দীপনা প্রবাহের অভিমুখ সর্বদাই একমুখী হয়। এই কারণে সাইন্যাপসকে বলা হয় শারীরবৃত্তীয় ভালভ।
৩.৩ “কাছের বস্তু দেখার ক্ষেত্রে চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্যের পরিমার্জন ঘটে” – বক্তব্যটির যথার্থতা ব্যাখ্যা | করাে।
উত্তর: কাছের বস্তু দেখার ক্ষেত্রে সিলিয়ারি পেশির সংকোচন চোখের লেন্সের বক্রতা বৃদ্ধি পায়, লেন্স পুরু হয় এবং লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য হ্রাস পায়।
৩,৪ মায়ােপিয়ার কারণ ও প্রয়ােজনীয় সংশােধনী ব্যবস্থা আলােচনা করাে।
উত্তর: যে দৃষ্টিতে দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হয়, কিন্তু নিকটের দৃষ্টি ঠিক থাকে, তাকে মায়ােপিয়া বা নিকটদৃষ্টি বলে। চক্ষুগােলকের ব্যাস স্বাভাবিকের তুলনায় বর্ধিত হওয়ার ফলে বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার সামনে পড়ে, ফলে দূরের বস্তু দেখা যায় না।
ত্রূটি সংশােধন, অবতল লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহার করলে ত্রূটি দূর হয়।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৩+২=৫
৪.১ “নানা কারণে জীবের গমন ঘটে” – কারণগুলি আলােচনা করাে। হরমােন ও স্নায়ুতন্ত্রের দুটি পার্থক্য উল্লেখ করাে।
উত্তর: কয়েকটি উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে প্রাণীরা গমন করে:-
(i)খাদ্য সংগ্রহের জন্য প্রাণীরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে।
(ii)আত্মরক্ষার তাগিদে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে গমন করে।
(iii) উপযুক্ত বাসস্থান এর জন্য স্থানান্তরে গমন করে।
(iv) প্রজনন পক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ও স্থানান্তরে গমন করে।
পার্থক্য:-
হরমােন
স্নায়ু তন্ত্র
1. হরমােন জীবদেহে রাসয়নিক সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করে
স্নায়ু তন্ত্র প্রাণীদেহে ভৌত সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করে
2. হরমােন কাজ মন্থর কিন্তু সুদূর প্রসারী
স্নায়ুতন্ত্রের কাজ দ্রুত কিন্তু তাৎক্ষণিক
3. হরমােন ক্রিয়ার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়
ক্রিয়ার পর স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত পরিবর্তন হয় না
4.হরমােন প্রধানত উৎসল থেকে দূরে ক্রিয়া
স্নায়ুতন্ত্র কখনাে স্থানচ্যুত হয় না
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে : ১x3 =৩
১.১ বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল আবহাওয়া লক্ষ করা যায় সেটি হলাে –
(ক) আয়নােস্ফিয়ার
(খ) স্ট্রাটোস্ফিয়ার
(গ) এক্সোস্ফিয়ার
(ঘ) ট্রপােস্ফিয়ার
উত্তর : বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল আবহাওয়া লক্ষ করা যায় সেটি হলাে – (ঘ) ট্রপােস্ফিয়ার l
১.২ যে বায়ুকে তুষার ভক্ষক বলা হয় তা হলাে –
(ক) লু
(খ) আঁধি
(গ) চিনুক
(ঘ) খামসিন
উত্তর : যে বায়ুকে তুষার ভক্ষক বলা হয় তা হলাে – (গ) চিনুক l
১.৩ উপক্ৰান্তীয় উচ্চচাপ বলয় অবস্থান করে –
(ক) ৬০° – ৭০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে
(খ) ২৫° – ৩৫° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে
(গ) ১০° – ২০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে
(ঘ) ৭০° – ৮০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে
উত্তর : উপক্ৰান্তীয় উচ্চচাপ বলয় অবস্থান করে – (খ) ২৫° – ৩৫° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে l
২.১ বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখাে: ১x৩=৩
২.১.১ কোনাে নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকে তাকে ঐ বায়ুর আপেক্ষিক আদ্রর্তা বলে।
উত্তর : ভুল l
২.১.২ দক্ষিণ গােলার্ধে স্থলভাগের বিস্তার বেশি হওয়ার কারণে পশ্চিমা বায়ু অপ্রতিহত গতিতে প্রবাহিত হয়।
উত্তর : ভুল l
২.১.৩ সমুদ্রবায়ু দিনের বেলায় প্রবাহিত হয়।
উত্তর : ঠিক l
২.২ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও : ১x২=২
২.২.১ একই উষ্ণতাযুক্ত স্থানগুলিকে মানচিত্রে যে রেখা দ্বারা যুক্ত করা হয় তাকে কী বলে?
উত্তর : একই উষ্ণতাযুক্ত স্থানগুলিকে মানচিত্রে যে রেখা দ্বারা যুক্ত করা হয় তাকে বলে – সমোষ্ণ রেখা l
২.২.২ কোন যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুর চাপ পরিমাপ করা হয়?
উত্তর : যে যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুর চাপ পরিমাপ করা হয় তা হল – ব্যারোমিটার l
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ২x২=৪
৩.১ কুয়াশাকে কেন অধঃক্ষেপণ বলা হয় না?
উত্তর : অধঃক্ষেপণে জলীয় বাষ্পপূর্ণ ঊর্ধ্বগামী বায়ু অতিরিক্ত শীতলতার কারণে ঘনীভূত হয়ে জলকণা বা তুষারকণায় পরিণত হয়ে ভারী হলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে জল বা তুষার বিন্দুরূপে ভূপৃষ্ঠে নেমে আসে। কিন্তু কুয়াশা কোন প্রকার ঊর্ধ্বগামী বায়ু থেকে সৃষ্টি হয় না। সাধারণত শীতকালের রাতে ভূপৃষ্ঠ তাপ বিকিরণ করে ঠান্ডা হলে ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুও ঠান্ডা হয়। তখন ওই বায়ুর তাপমাত্রা শিশিরাঙ্কে পৌঁছালে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ভাসমান ধূলিকণাকে আশ্রয় করে ভূমি সংলগ্ন অংশে ভেসে বেড়ায়। সুতরাং কুয়াশা উপর থেকে অধঃক্ষিপ্ত হয় না বলে এটি অধঃক্ষেপণ নয়।
৩.২ বিশ্ব উষ্ণায়নের দুটি প্রভাব উল্লেখ করাে।
উত্তর : বিশ্ব উষ্ণায়নের দুটি প্রভাব হলাে –
(i) জলবায়ু পরিবর্তন : পৃথিবীর উষ্ণতা ক্রমশ বেড়ে যাওয়ার জন্য শীতের তুলনায় গ্রীষ্মের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, প্রায় প্রতিটি ঋতুর আগমন অনিয়মিত ও বিলম্বিত হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং খরার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।
(ii) হিমবাহের মাত্রাতিরিক্ত গলন : ভূমণ্ডলের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার জন্য অ্যান্টার্কটিকা ও গ্রিনল্যান্ডের অসংখ্য হিমবাহ ও বিশালাকৃতি বরফের চাদর (lce Sheet) সহ পৃথিবীর বিভিন্ন পার্বত্য হিমবাহ গলে যাওয়ার জন্য ক্রমশই সংকুচিত হচ্ছে অর্থাৎ এদের আয়তন হ্রাস পাচ্ছে। যেমন—হিমালয়ের গঙ্গোত্রী, যমুনােত্রী প্রভৃতি হিমবাহ।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৩x১=৩
কীভাবে কোনাে একটি স্থানের উচ্চতা সেই অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করে? ৫
উত্তর : সূর্য থেকে বিকিরণ পদ্ধতিতে আগত তাপশক্তি বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে এলেও বায়ুমণ্ডলকে সরাসরিভাবে উত্তপ্ত না-করে প্রথমে কঠিন ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে। পরে ওই উত্তপ্ত বায়ু ভূপৃষ্ঠের সংস্পর্শে আসলে ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুস্তর উত্তপ্ত হয় এবং ওই তাপ ধীরে ধীরে ওপরের বায়ুস্তরে সঞ্চারিত হয়। তাই নীচের বায়ুস্তরের তাপমাত্রা বেশি হয় এবং যত উপরে ওঠা যায় বায়ুর তাপমাত্রা ততই কমতে থাকে। সাধারণত প্রতি 1 কিলােমিটার উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য 6.4° সেলসিয়াস হারে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা কমতে থাকে, একে উষ্ণতা হ্রাসের গড় বা Lapse rate of temperature বলে। এই কারণেই একই অক্ষাংশে অবস্থিত হলেও উচ্চস্থান অপেক্ষাকৃত শীতল হয়।
উদাহরণ:- বেশি উচ্চতার জন্যই প্রায় নিরক্ষরেখা বরাবর অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও কেনিয়ার মাউন্ট কিলিমাঞ্জারাে পর্বতের ওপর সারাবছর বরফ জমে থাকে। এই কারণেই শিলিগুড়ি অপেক্ষা দার্জিলিং এবং দিল্লি অপেক্ষা সিমলার তাপমাত্রা সারাবছর কম।
নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৫x১=৫
চিত্রসহ উষ্ণতার তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উত্তর : উষ্ণতার তারতম্যের ওপর ভিত্তি করে বায়ুমণ্ডলকে প্রধানত 6টি ভাগে ভাগ করা যায়, যথা —
উষ্ণতার তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর
1) ট্রপােস্ফিয়ার :
(i) ভূপৃষ্ঠ থেকে 18 কিলােমিটার পর্যন্ত ঊর্ধ্বের বায়ুস্তরকে ঘনমণ্ডল বা ট্রপােস্ফিয়ার বলে। মেরু অঞ্চলে এর উচ্চতা প্রায় ৪ কিমি। বায়ুমণ্ডলের এই স্তরে আমরা বাস করি।
(ii) এই স্তরের বায়ুতে ধূলিকণা, জলীয় বাষ্প, কুয়াশা, মেঘ প্রভৃতি থাকে। এই জন্য এই স্তরে ঝড়, বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাত প্রভৃতি ঘটনাগুলি ঘটতে দেখা যায়। বায়ুমণ্ডলের মােট গ্যাসীয় ভরের প্রায় 75% গ্যাসীয় পদার্থ এই স্তরে থাকায় এখানে বায়ুর ঘনত্ব ও বায়ুচাপ সবচেয়ে বেশি। ট্রপােস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে 3 কিমি পর্যন্ত অংশে উষ্ণতার হ্রাসবৃদ্ধি কিছুই হয় না বলে একে ট্রপােপজ বলে [পজ (Pause)-এর অর্থ থামা]।
2) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার :
(i) ট্রপােস্ফিয়ারের ওপরের 18-50 কিলােমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শাক্তমণ্ডল বলে।
(ii) স্ট্রাটোস্ফিয়ার স্তরে ধূলিকণা, মেঘ প্রভৃতি না-থাকায় এখানে ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে না।
(iii) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে বায়ুপ্রবাহ, মেঘ, ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাত দেখা যায় না বলে দ্রুতগতিসম্পন্ন জেট বিমানগুলি ঝড়-বৃষ্টি এড়িয়ে চলার জন্য স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের মধ্য দিয়ে চলাচল করে। ভূপৃষ্ঠ থেকে 50-55 কিমি ঊর্ধ্বে স্ট্রাটোস্ফিয়ার ও মেসােস্ফিয়ারের সীমারেখা স্ট্রাটোপজ নামে পরিচিত।
3) মেসােস্ফিয়ার :
(i) স্ট্র্যাটোপজের উপরের স্তরে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 80 কিমি উচ্চতাযুক্ত স্থান পর্যন্ত যে অংশের উষ্ণতা কমতে থাকে, তাকে মেসােস্ফিয়ার বলে।
(ii) এই স্তরে বায়ুর তাপমাত্রা সবচেয়ে কম। থাকে (কমবেশি -93° সেলসিয়াস)।
(iii) মহাকাশ থেকে যেসব উল্কা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে সেগুলি এই স্তরের মধ্যে এসে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
(iv) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের শেষপ্রান্তে স্ট্রাটোস্ফিয়ার মেসােস্ফিয়ারের সীমারেখা মেসােপজ নামে পরিচিত।
4) আয়ােনােস্ফিয়ার :
মেসােপজের পর 500 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত এই স্তরের বায়ু আয়নিত অবস্থায় রয়েছে। তড়িযুক্ত কণা বা আয়নের উপস্থিতির জন্য এই স্তরকে আয়নােস্ফিয়ার বলা হয়। মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা এই স্তরেই দেখা যায়। এই স্তরের উপাদানগুলি আয়নিত অবস্থায় থাকে বলে ভূপৃষ্ঠে সৃষ্ট বেতার তরঙ্গগুলি এই আয়নােস্ফিয়ারে প্রতিহত হয়ে, আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে, ফলে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে বেতার সংযােগ রক্ষা করা যায়।
5) এক্সোস্ফিয়ার :
(i) আয়নমণ্ডলের ওপরের দিকে 600-1,500 কিলােমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হালকা বায়ুস্তরকে বহিঃমণ্ডল বা এক্সোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায়।
(ii) এখানে বায়ুর সব উপাদানই আয়নিত অবস্থায় থাকে।
(iii) এক্সোস্ফিয়ার স্তরটি ধীরে ধীরে মহাশূন্যে মিশে গিয়েছে।
6) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার :
বহিঃমগুলের ওপরে 1,500-10,000 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় বায়ুশূন্য অঞ্চলটিকে চৌম্বকমণ্ডল বা ম্যাগনেটোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরে বায়ুমণ্ডলকে বেন্টন করে একটি প্রােটন ও ইলেকট্রনের চৌম্বকক্ষেত্র আছে।
পূর্ণমান – ২০
১. শূন্যস্থান পূরণ করাে : ১x৪=৪
(ক) কলকাতা মাদ্রাসা গড়ে ওঠে_______খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর: ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে।
(খ) স্কুল বুক সােসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন________।
উত্তর: ডেভিড হেয়ার।
(গ) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন________।
উত্তর: স্যার জেমস উইলিয়াম কোলভিল।
(গ) স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্বধর্ম সম্মেলনে যােগ দিয়েছিলেন ________খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর: ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে।
২. স্তম্ভ মেলাও : ১x৪=৪
উত্তর:
‘ক’ স্তম্ভ
‘খ’ স্তম্ভ
অ্যাকাডেমিক অ্যাসােসিয়েশন
ডিরােজিও
তত্ত্ববােধিনী সভা
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
হুতােম প্যাচার নকশা
কালীপ্রসন্ন সিংহ
গ্রামবার্তা প্রকাশিকা
হরিনাথ মজুমদার
WBSHIKSHA.COM – WEST BENGAL BEST ONLINE EDUCATION WEBSITE
৩. দুই-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :২x২=৪
(ক) লালন ফকির স্মরণীয় কেন?
উত্তর: লালন ফকির একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বাঙালি।তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক,সমাজ সংস্কারক, মানবতা বাদী, দার্শনিক, অসংখ্য অসাধারণ গানের সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের মধ্যে একজন অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তাকে ‘বাউল সম্রাট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। তিনি ধর্ম, জাত, কূল, বর্ণ, লিঙ্গ ইত্যাদি অনুসারে মানুষের ভেদাভেদে বিশ্বাস করতেন না। প্রকৃতপক্ষে লালন | ছিলেন মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ যিনি আজও লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামে পরিচিত।
(খ) পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে বেথুনের ভূমিকা কী?
উত্তর: উনিশ শতকে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে যে সকল উদারমনস্ক ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বিটন (বেথুন সাহেব)। ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে বড়ােলাট লর্ড ডালহৌসির আইন মন্ত্রী রূপে ভারতে আসেন। তিনি মাতৃভাষার মাধ্যমে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের ওপর গুরুত্ব আরােপ করেন। আধুনিক উচ্চশিক্ষার প্রসারের জন্য কলকাতায় একটি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এটি বেথুন কলেজ নামে পরিচিত। এছাড়াও ফিমেল জুভেনাইল সােসাইটি প্রতিষ্ঠা, কলকাতা পাবলিক লাইব্রেরী’ স্থাপন প্রভৃতিতে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দের ১২ আগস্ট কলকাতায় এই মহান ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
৪. সাত-আটটি বাক্যে উত্তর দাও : ৪x২=৮
(ক) ব্রাহ্ম সমাজে কেন বিভাজন দেখা দিয়েছিল?
উত্তর: উনিশ শতকে বাংলা তথা ভারতের ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের পথিকৃৎ ছিল ব্রাহ্মসমাজ। রাজা রামমোহন রায় উপনিষদের একেশ্বরবাদী তত্বের ওপর ভিত্তি করে ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্ম প্রতিষ্ঠা করেন।এটি পরবর্তীকালে (১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে) ব্রাহ্মসমাজ নামে পরিচিত হয়। প্রাথমিকভাবে ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল
(i)এক এবং অদ্বিতীয় ব্রহ্মের উপাসনা করা।
(ii) খ্রিস্টান মিশনারীদের আক্রমণের হাত থেকে হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করা।
(iii) বাংলা বৈদ্যুতিক হিন্দুধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
(iv) হিন্দু ধর্মের নামে যেসব কুসংস্কারও অন্যায় অবিচার প্রচলিত আছে তার উচ্ছেদ করা।
রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যুর পর ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলন নিস্তেজ হয়ে পড়েল ব্রাহ্ম সমাজের হাল ধরেছিলেন দারক নাথ ঠাকুরের পত্র দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ব্রাহ্ম আন্দোলনে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেন। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সবচেয়ে বড় অবদান হলো তিনি ব্রাহ্মসমাজ এর নিয়মাবলী, ধর্ম, আচারবিধি ক্রিয়া পদ্ধতি প্রভৃতি প্রণয়ন করেন। তার এই কাজের ফলে দেশ আন্দোলন একটি সাংগঠনিক রূপ পায়।
যাইহোক ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের কেশব চন্দ্র সেন ব্রাহ্মসমাজ এ যোগদান করলে ব্রাহ্ম আন্দোলন আরও গতিশীল হয়ে ওঠে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই কেশবচন্দ্র সেনের সঙ্গে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতপার্থক্যের জন্য সমাজের মধ্যে ভাঙ্গন দেখা দেয়। প্রথমে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নেতৃত্বে ‘আদি ব্রাহ্মসমাজ’ (1866 খ্রি:), কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ‘ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ’ (1866 খ্রি:), ‘নববিধান ব্রাহ্মসমাজ’ (১৮৮০খ্রি:) এবং শিবনাথ শাস্ত্রী আনন্দমোহন বসুর নেতৃত্বে ‘সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ’ গড়ে ওঠে।
(খ) বাংলার নবজাগরণ’-এর সীমাবদ্ধতা আলােচনা কর।
উত্তর: ভূমিকা: প্রাশ্চাত্য সভ্যতার সংস্পর্শে এসে উনিশ শতকের মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজের যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদী আন্দোলনের সূচনা হওয়ার ফলে তৎকালীন ধর্ম, সমাজ, শিক্ষ, সাহিত্য, দর্শন, রাজনৈতিক জীবনের সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়, যাকে ঐতিহাসিকরা ‘বঙ্গীয় নবজাগরণ বা bengal Renaissance’ বলে অভিযোগ করেছেন।
বঙ্গীয় নবজাগরণ নিয়ে পন্ডিত মহলে মতপার্থক্যের শেষ নেই। কারও কারও মতে উনবিংশ শতকে বাংলার নবজাগরণ ছিল মূলত শহরকেন্দ্রিক। সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশ নবজাগরণের যোগ দেয়নি। আবার কারো কারো মতে ইউরোপের নবজাগরণ এবং বাংলা নবজাগরণে মধ্যে বিস্তর তফাৎ ছিল।
প্রখ্যাত পন্ডিত অশোক মিত্র বাংলা নবজাগরণ কে তথাকথিত নবজাগরণ বলেছেন। তাঁর মতে এই নবজাগরণের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোন যোগ ছিল না, আবার গবেষক সুপ্রকাশ রায় বলেছেন বাংলার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে আন্দোলনের প্রকৃত ছিল ইউরোপের আন্দোলনের থেকে অনেক ভিন্ন ও বিপরীতমুখী।
অধ্যাপক সুমিত সরকার, বাংলা নবজাগরণ কে ইংরেজি নকলনবিশ বলে সমালোচনা করেছেন। বিনয় ঘোষের ধারণায় বাংলার নবজাগরণ একটি অতি কথা মাত্র। তিনি এই নবজাগরণ কে ঐতিহাসিক প্রতারণা বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন যে বাংলায় নবজাগরণ হয়নি যা লেখা হয়েছে তা অতিকথন মাত্র।
অশোক মিত্র বাংলার উনিশ শতকের জাগরন কে ‘তথাকথিত নবজাগরণ’(so called Renaissance) বলে উল্লেখ করেছেন।
Class 10 English Model Activity Task Part 2 February 2022 Solution
Read the passage given below and answer the questions that follow:
Three adult elephants were electrocuted at Binpur in Jhargram when one of them came in contact with a wire carrying 11,000 KV of power and the other two tried to rescue her. The elephants were crossing a paddy field at around 1.30 am on Wednesday, when the accident took place. Sources said the elephants-two females and a male-were part of a herd of thirty that had been roaming the forests of West Midnapur and Jhargram for the past few weeks.
Late on Tuesday night, the elephants had been chased by villagers to prevent the herd from entering Mohanpur village. After being chased away the herd entered Binpur. First, an adult female elephant’s head touched the wire. The two other elephants touched her in an attempt to help her out. A villager, named Sambhu Mahato, said residents of Binpur had contacted local office of the West Bengal State Electricity Distribution Company Ltd, but got no response.
Choose the correct alternative to complete the following sentences: [1×3=3]
(i) The number of elephants that died were _____________.
(a) thirty
(b) three
(c) four
(d) thirteen
Ans : The number of elephants that died were (b) three .
(ii) The place Binpur is in _____________.
(a) West Midnapur
(b) Mohanpur
(c) Jhargram
(d) Kolkata
Ans : The place Binpur is in (c) Jhargram .
(iii) The wire carried a power of _____________.
(a) 10,000 KV
(b) 1,000 KV
(c) 11,000 KV
(d) 13,000 KV
Ans : The wire carried a power of (c) 11,000 KV.
Each of the following sentences is either ‘True’ or ‘False’. Write ‘T’ for ‘True’ and ‘F’ for ‘False’in the right hand side. Also pick out suitable line from the text in support of your answer: [(1+1)x 2=4]
(i) There were thirty-three elephants in the herd. [ F ]
Supporting Sentence: the elephants – two females and a male – were part of a herd of thirty.
(ii) The residents of Mohanpur contacted local office of the West Bengal State Electricity Distribution Company Ltd. [ F ]
Supporting Sentence: Residents of Binpur had contacted local office of the West Bengal State Electricity Distribution Company Ltd.
Fill in the blanks with appropriate articles and prepositions: [1×3=3]
(i) I was sitting ________ a bench in a park. I heard ________ loud cry. So, I ran ________ that direction.
Ans : I was sitting On a bench in a park. I heard a loud cry. So, I ran toward that direction.
Write a paragraph within 100 words on ‘Myself”. [10]
Use the following points:
[introduction -qualities you like in yourself – qualities you want to improve – conclusion]
Ans :
My name is Chandra and I am a student of class 10th. I live in Mansai and study at Mansai High School (H.S). My father’s name is Biswanath Das and my mother’s name is Dashami Das and we have Two siblings. I live in a joint family. My uncle, aunt, and grandparents also live with us and everybody loves me very much.
I wake up every morning at 5 am and go for a walk and come and get ready for school. I go to school wearing uniforms every day and I do daily work every day because I have a habit of doing all the work on time. I am punctual and disciplined, which is why I am an ideal student to all teachers in school. I am also good at writing, as well as interested in sports and cricket is my favorite sport.
I like to participate in cultural events and every time I participate in dance songs and short plays. I Love cycling, so I go two kilometers from home to my school. Even in the evening, I go on a bicycle with my friends to the canal.
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে : ১x৩=৩
১.১ ‘অসুখী একজনে’ কবিতার ভাষান্তর করেছেন—
(ক) শঙ্খ ঘােষ
(খ) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
(গ) নবারুণ ভট্টাচার্য
(ঘ) অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত
উত্তর: (গ) নবারুণ ভট্টাচার্য
১.২ কবি পাবলাে নেরুদার জন্মস্থান
(ক) চিলি
(খ) পেরু
(গ) ফ্রান্স
(ঘ) ইতালি
উত্তর: (ক) চিলি
১.৩ ‘সে জানত না’ – উদ্ধৃতাংশে ‘সে’ বলতে বােঝানাে হয়েছে গির্জার এক
(ক) সন্ন্যাসিনীকে
(খ) একটি শিশুকে
(গ) একজন সাধারণ নারীকে
(ঘ) ঈশ্বরকে
উত্তর: (ক) সন্ন্যাসিনীকে
২. কম-বেশি ২০টি শব্দে উত্তর লেখাে : ১x৩=৩
২.১ ‘আমি তাকে ছেড়ে দিলাম’ – কথক কাকে ছেড়ে দিলেন?
উত্তর: কথক তার অপেক্ষায় অপেক্ষারত মেয়েটিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা এখানে বলেছেন।
২.২ বছরগুলাে নেমে এল তার মাথার ওপর। – বছরগুলাে কীভাবে নেমে এসেছিল?
উত্তর: বছরগুলাে পরপর পাথর নেমে আসার মতাে নেমে এসেছিল তার মাথার ওপর।
২.৩ ‘তারপর যুদ্ধ এল’ – যুদ্ধ কীভাবে এসেছিল?
উত্তর: কবি পাবলাে নেরুদা রচিত অসুখী একজন কবিতায় রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতাে যুদ্ধ এসেছিল।
৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দে উত্তর লেখাে : ৩x৩=৯
৩.১ সেই মেয়েটির মৃত্যু হলাে না।” – মেয়েটির মৃত্যু না হওয়ার তাৎপর্য কী ?
উত্তর: কবি বিপ্লব যুদ্ধক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় যে মেয়েটি তাঁর জন্য দরজায় অপেক্ষা করেছিল এখানে তার কথা বলা হয়েছে।
মেয়েটির মৃত্যু না হওয়ার তাৎপর্য: বিপ্লবের আদর্শে উদ্বুদ্ধ মানুষ যুদ্ধের পথে পা রেখে সংসার, প্রিয়জন সবকিছুকেই পিছনে ফেলে যায়। কিন্তু এই কঠোর বাস্তবকে মেনে নিতে পারে না তার প্রিয়তমা মেয়েটি। প্রিয় মানুষটির জন্য তার অপেক্ষা চলতেই থাকে। যুদ্ধ অজস্র ধ্বংস এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও মেয়েটির মৃত্যু ঘটে না। চিরজীবী ভালােবাসার প্রতীক রূপেই মেয়েটি বেঁচে থাকে।
৩.২ ‘সমস্ত সমতলে ধরে গেল আগুন’ – তার ফলে কী ঘটল ?
উত্তর: আগ্নেয়পাহাড়ের মতাে যুদ্ধ আসার ফলে সমতলে আগুন ধরে গেল। যুদ্ধের আগুন ধ্বংস ডেকে আনল। তার তীব্রতায় ভেঙে পড়ল মন্দির। টুকরাে টুকরাে হয়ে গেল শান্ত হলুদ দেবতাদের পাথরের মূর্তি। পুড়ে গেল স্বপ্নের ঘরবাড়ি, সাধের বাগান, গােলাপি গাছ, চিমনি আর প্রাচীন জলতরঙ্গ। বলা যায়, সব কিছুই চুরমার হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে। যেখানে শহর ছিল সেখানে পড়ে রইল কাঠকয়লা, দোমড়ানাে লােহা আর ভাঙা পাথরের মূর্তির মাথা।
৩.৩ ‘যেখানে ছিল শহর’ – সেখানে কী কী ছড়িয়ে রইল?
উত্তর: কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতার শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশে যুদ্ধ অস্থিরতা আর ধ্বংসকে বহন করে আনে। ঠিক তেমনই এক যুদ্ধে একটা শহর পুড়ে ছারখার হয়ে গেল। চারিদিকে শুধুছড়িয়ে ছিটিয়ে রইল কাঠকয়লা, দোমড়ানাে লােহা আর মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা। এভাবেই যুদ্ধের তাণ্ডবে আস্ত একটা শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল।
৪. কম-বেশি ১৫০ শব্দে নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে : ৫
‘অসুখী একজন’ কবিতার নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।
উত্তর: নামকরণের সার্থকতা:- নামকরণের মধ্য দিয়ে কোনাে সাহিত্যের ভাববস্তু বা মর্মার্থের পরিচয় পাওয়া যায়। কবিতাও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। এখানে পাঠ্য কবিতাটির অসুখী একজন নামকরণ তার অন্তর্নিহিত ব্যঞ্জনাকেই প্রকাশ করেছে। অসুখী একজন কবিতার কথক তাঁর প্রিয়জনকে দরজায় অপেক্ষায় রেখে চলে যান দূরে। প্রিয় মানুষটির ফিরে আসার প্রতীক্ষায় প্রহর গুনতে গুনতে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এবং একসময় বছরের পর বছর অতিক্রান্ত হয়। বিপ্লবী যে পথে তাঁর স্বভূমি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন সেই পথে জন্মায় ঘাস। কবির স্মৃতি চিরকালের জন্য বিবর্ণ হয়ে যায়। তারপর আসে ভয়ানক যুদ্ধ। ধ্বংস হয়ে যায় সবকিছু। শুধু মৃত্যু হয় না অপেক্ষারত মেয়েটির। এত বিপর্যয়ের পরও সে কবির প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে। যুদ্ধ সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে, কিন্তু স্বজন ও স্বদেশের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারে না। যুদ্ধের আগুনে বাড়িঘর পােড়ে, ছাই হয়ে যায় প্রাসাদ, উদ্যান, সবকিছু। কিন্তু ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জেগে থাকে ভালােবাসা। দীর্ঘ অপেক্ষা তার হৃদয়কে বেদনায় ভারী করে রেখেছে বলে মেয়েটি অসুখী। আর এইজন্যই কবিতার শিরােনাম ‘অসুখী একজন’ সার্থকতা লাভ করেছে।