মানুষ যে স্বপ্নের জগৎ তৈরি করতে চায়, তার মধ্যে সবচেয়ে স্বপ্নময় জগৎ হল একটি শিশুকে স্বপ্নের মতো লালন-পালন করা। একটি শিশুকে সঠিকভাবে লালন-পালন করা মানে পরিবার, সমাজ এবং আদর্শে নিজেকে অমর করে তোলা। এই কারণেই একজন পণ্ডিত বলেছেন, 'আমি চিরকালের জন্য বিদায় জানাচ্ছি না। আমি আমার সন্তানের মধ্যে অনেক দিন বেঁচে থাকব।'
সঙ্গত কারণেই, বাবা-মা তাদের সন্তানদের চোখে ভবিষ্যতের সুন্দর এবং ঝলমলে স্বপ্ন দেখেন। ভালো সন্তানরা বাবা-মায়ের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের খ্যাতি, সাফল্য এবং সুখ নিয়ে আসে। সন্তানরা বাবা-মায়ের জীবনের অলংকার এবং সৌন্দর্য; পৃথিবীর সেরা সম্পদ।
কুরআনে বলা হয়েছে, 'ধন-সম্পদ এবং সন্তানরা পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য।' (সূরা কাহফ: ৪৬) শিক্ষা, দীক্ষা এবং ভালো লালন-পালন একটি শিশুর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলে। তাই, বাবা-মা এবং অভিভাবকদের এই বিষয়ে আরও বেশি সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে।
শুধুমাত্র ভালো শিক্ষা এবং ভালো লালন-পালন নিশ্চিত করার মাধ্যমেই একজন শিশু একজন আদর্শ ব্যক্তি হতে পারে; সে পরিবার, দেশ এবং জাতির সম্পদ হয়ে ওঠে। আদর্শ সন্তান লালন-পালনের জন্য একটি উজ্জ্বল নির্দেশিকা হিসেবে আমাদের এই বইটির প্রয়োজন হবে।
পর্যবেক্ষণে সফল অভিভাবকত্ব-এর কিছু মূলনীতি:
শুনতে শেখা: শিশুর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা
সীমা নির্ধারণ: প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন স্থাপন কিন্তু নমনীয়তা বজায় রাখা
ইতিবাচক ভালো কাজের প্রশংসা করা
রোল মডেল হওয়া: শিশু যা শুনবে তার চেয়ে যা দেখবে তাই অনুকরণ করবে
মিনতি: বইটি পড়ার সময়, একটি কলম এবং কাগজ দিয়ে নোট নিন এবং আপনার পারিবারিক প্রেক্ষাপটে এটি কীভাবে প্রয়োগ করতে পারেন তা ভেবে দেখুন।
Parenting কোনো প্রতিযোগিতা নয়, এটি একটি চলমান শেখার প্রক্রিয়া। সঠিক জ্ঞান ও ধৈর্য্য নিয়ে এই যাত্রা অনেক বেশি ফলপ্রসূ হয়।
তোমার অভিভাবকত্বের যাত্রায় শুভকামনা!