বইটির লেখক মুনসুর আলী কাদিরের লেখার ধরণ এবং বার্তা খুবই শক্তিশালী। আমার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, নীচের আলোচনাটি অবশ্যই পড়া উচিত।
:
এই বইটি কেবল শেষ করার জন্য নয়, এটি আপনাকে গভীরভাবে ভাবতে বাধ্য করবে। এটি জীবনের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য এবং অর্থ সম্পর্কে মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন করে। আপনি যদি কখনও নিজেকে জিজ্ঞাসা করে থাকেন, "আমি আসলে কী চাই?" অথবা "জীবনের অর্থ কী?" - তাহলে এই বইটি আপনার জন্য এক ধরণের নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করবে।
তাত্ত্বিক জ্ঞান চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে, লেখক গল্প, উপমা এবং বাস্তব জীবনের উদাহরণের মাধ্যমে তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন। এটি পড়লে আপনার মনে হবে না যে আপনি কোনও দার্শনিক তত্ত্ব পড়ছেন, বরং আপনার মনের কথা বলছেন এমন একজন অভিজ্ঞ বন্ধুর সাথে আড্ডা দিচ্ছেন।
আমাদের অনেকেই জীবনের একঘেয়েমিতে আটকে আছি, রুটিনের দাসত্বে আবদ্ধ এবং লক্ষ্যহীন। বইটি কেবল সমস্যাটিই চিহ্নিত করে না, বরং এই জটিলতা থেকে বেরিয়ে আসার এবং একটি অর্থপূর্ণ জীবন গড়ে তোলার জন্য দিকনির্দেশনাও প্রদান করে। এটি আপনাকে পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করবে।
বইটি হতাশা বা আটকে থাকা অনুভূতি দূর করে, এবং আপনাকে স্বপ্ন দেখার এবং ভবিষ্যতের বিষয়ে আশাবাদী হওয়ার সাহস দেয়। এটি আপনাকে মনে করিয়ে দেবে যে আপনার মধ্যে অসাধারণ কিছু করার ক্ষমতা রয়েছে।
সামগ্রিকভাবে, যদি আপনি আপনার জীবনের দিকনির্দেশনা নিয়ে চিন্তিত হন, উদ্দেশ্যহীন বোধ করেন, অথবা কেবল একটি ইতিবাচক পরিবর্তন চান - তাহলে "উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন?" বইটি অবশ্যই আপনার পড়ার তালিকায় থাকা উচিত। এটি কেবল একটি বই নয়, এটি একটি মানসিক পরিবর্তনের সূচনা