রক্তে গ্লুকোজ বেশি হলে বা অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে খুব সহজেই যেমন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হতে পারে তেমনি ডায়াবেটিক এবং হাইপারটেনসিভ ব্যক্তির ক্ষেত্রে রোগটি খুব দ্রুত জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই করোনার সময়ে ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশনের রোগীদের নিচের প্রস্তুতিসমূহ নেওয়ার উপদেশ দিন:
সাধারণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া, যেমন মাস্ক পরা, বাসায় থাকা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, ঘন ঘন হাত ধোয়া, ঘর ব্লিচ দিয়ে পরিষ্কার রাখা ইত্যাদি;
এছাড়াও রোগীকে নিয়মিত চিকিৎসক এবং হাসপাতাল যোগাযোগ করার তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে বলুন;
বাইরে না গিয়ে বাসা থেকেই ফোনে বা টেলিমেডিসিনে চিকিৎসা নিতে উৎসাহিত করুন। ডায়াবেটিক সমিতির ইব্রাহিম হেল্প লাইনের নম্বর (১০৬১৪)-এ ফোন দেবার পরামর্শ দিতে পারেন;
ডায়াবেটিস রোগীদের কমপক্ষে ২-৪ সপ্তাহের ওষুধ ও ইনসুলিন সংগ্রহ করে রাখা উচিত। সম্ভব হলে নিয়মিত গ্লুকোজ মাপার জন্য বাসায় গ্লুকোমিটার এবং পর্যাপ্ত টেস্ট স্ট্রিপ রাখা উচিত;
সম্ভব হলে উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের নিয়মিত প্রেশার মাপার জন্য বাসায় প্রেশার মেশিন রাখা প্রয়োজন। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ চিকিৎসায় এসিই-ইনহিবিটর (র্যামিপ্রিল, পেরিড্রেপিল, ইরালাপ্রিল) ও এআরবি (লোসার্টান, অলমিসার্টান, টেলমিসার্টান, ভালসার্টান) জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে;
কেউ অসুস্থ হয়ে ফার্মেসি বা চেম্বারে এলে তার গ্লুকোজ / প্রেশার পরীক্ষা করুন এবং যথাযথ চিকিৎসা দিন।
ডায়েবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ চিকিৎসার উপর বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির তৈরি অনলাইন কোর্স করতে পারবেন এই লিঙ্কে: http://diabetes-covid19.org/course/কোভিড-১৯-ও-ডায়াবেটিস-বিষয়
এ বিষয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন পাওয়া যাবে এই লিঙ্কে: http://diabetes-covid19.org/wp-content/uploads/2020/06/Guide-Bangla-for-printing-17.5.2020.pdf
গর্ভবতী / প্রসুতি মা এবং শিশুদের একান্ত প্রয়োজন ব্যতীত বাসার বাইরে যাবেন না এবং গেলেও অধিক জনসমাগম স্থান (যেমন- বাজার) এড়িয়ে চলবেন;
এ ধরনের রোগীকে পরামর্শ দিন ঘরে বসে ফোন দিয়ে বা টেলিমেডিসিনে চিকিৎসা নেওয়া অধিক নিরাপদ। এর জন্য ১৬২৬৩, ০১৭৪২৮৪৯৪৪৯, ০১৭১৪১১৭১৬৬ এই নম্বরগুলোতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এমবিবিএস বা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলা যাবে;
চেম্বারে বা ফার্মেসিতে চলে আসলে এ ধরনের রোগীকে সবার আগে চিকিৎসা দিন এবং ছেড়ে দিন। তাদেরকে অন্যদের থেকে দূরে থাকতে এবং হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে বলুন এবং মাস্ক পরে থাকতে বলুন;
গর্ভবতী, প্রসুতি মা এবং শিশুদের ক্ষেত্রে সুষম খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন;
মায়েরা যেন তাদের বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যান তা নিশ্চিত করুন। মা যদি করোনা রোগী হন তাহলেও মুখে মাস্ক পরে, হাঁচি কাশির স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে;
সন্তানের জন্মের পর নিয়মিত টিকা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ;
এছাড়া সাধারণভাবে চিকিৎসা এবং পরামর্শ দিন।
সম্পূর্ণ নির্দেশিকা পাবেন এই লিঙ্কে: https://dghs.gov.bd/images/docs/Notice/22_03_2020_SOP_Pregnancy%20%20%20Family%20in%20COVID-19.pdf