কোভিড-১৯ রোগীদের আলাদা করার জন্য আপনার একটি সহজ এবং দ্রুত উপায় প্রয়োজন হবে এবং এটি অনুসরণ করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে;
এছাড়াও, আপনাকে আপনার নিয়মিত কেসগুলি (করোনা ব্যাতিত অন্যান্য রোগী ) চালিয়ে যেতে হবে, অন্যথায় এই সব রোগীদের প্রয়োজনীয় যত্নের অভাবে ভোগান্তি হবে;
তিনটি উপায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে পারবেন:
১) জীয়নকানেক্ট app এর মাধ্যমে
২) বাবল ফর্মের মাধ্যমে
৩) ৩৩৩ হটলাইনে কল দেয়ার মাধ্যমে
লক্ষণসহ সব রোগী করোনাভাইরাস ঝুঁকি নির্ধারণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদিত যে কোন ডিজিটাল সিম্পটম চেকার অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন। এর মধ্যে JeeonConnect অ্যাপ একটি।
JeeonConnect অ্যাপ-এর "করোনার ঝুঁকি টেস্ট করুন" ফর্মে গিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিন। অ্যাপটি রোগীর অসুস্থতার তীব্রতা এবং ঝুঁকির উপর ভিত্তি করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরামর্শ দিবে। অ্যাপ্লিকেশনটির ভিত্তিতে রোগীকে যথাযথ পরামর্শ দিন ।
বিঃদ্রঃ রোগীদের সঠিক ফোন নাম্বার এই ফর্মে দেওয়া অত্যাবশ্যকীয়। কারণ, পরবর্তীতে সরকারিভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হবে এবং তাদের রোগের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হবে।
ঝুঁকিপূর্ণ রোগী কারা?
বয়স্করা, বিশেষতঃ পঞ্চাশের ঊর্ধ্বে ব্যক্তি
পুরুষ ও স্থূল ব্যক্তি
গর্ভবতী মহিলা
গুরুতর রোগ রয়েছে এমন ব্যক্তি, যেমন:
হৃদরোগ
ডায়াবেটিস
ফুসফুসের রোগ, হাঁপানি
এইডস রোগী
ক্যান্সার
যদি আপনার কাছে অ্যাপটি না থাকে তাহলে পৃথকভাবে নিম্নলিখিত গাইডলাইন অনুসরণ করে আপনি ঝুঁকিপূর্ণ রোগী চিহ্নিত করতে পারবেন।
প্রথম ধাপে রোগীর লক্ষণ নির্ধারণ এবং দ্বিতীয় ধাপে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে মোট দুটি ধাপ অবলম্বন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে পারবেন।
প্রথমে দেখুন রোগীর নিম্নলিখিত উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্তত কয়েকটি আছে কি-না ।
যদি প্রথম ধাপের প্রাথমিক উপসর্গগুলো রোগীর সাথে মিলে যায় তবে দ্বিতীয় ধাপে নিচের দেয়া প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করুন|
যদি উপরের ৩টি প্রশ্নের অথবা যেকোন একটি বা দুটি প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হয় তবে রোগীর অবস্থা ক্রিটিকাল অ্যাম্বুল্যান্স ডাকুন অথবা ৩৩৩ এ ফোন করুন।
আর যদি সবগুলো প্রশ্নের উত্তর না হয় তবে নিচের প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করুন:
যদি উপরের ৩টি প্রশ্নের অথবা যেকোন একটি বা দুটি প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হয় তবে রোগীর অবস্থা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে ৩৩৩ হটলাইন অথবা ১৬২৬৩-এ ফোন করুন।
আর যদি সবগুলো প্রশ্নের উত্তর না হয় তবে নিচের প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করুন:
যদি উপরের ৩টি প্রশ্নের অথবা যেকোন একটি বা দুটি প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হয় তবে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে ৩৩৩ হটলাইন অথবা ১৬২৬৩-এ ফোন করুন।
আর যদি সবগুলো প্রশ্নের উত্তর না হয় তবে শুধু আইসোলেশনে থাকতে বলুন।
বাবল ফর্মে সন্দেহভাজন রোগীর নাম, সঠিক ফোন নম্বর, বয়স এবং লক্ষণ লিখে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে। এতে সন্দেহভাজন রোগীর ব্যাপারে সরকার অবহিত হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে রোগীর খোঁজ-খবর অথবা মনিটরিং সরকারের তরফ থেকেই করা হয়।
বাবল ফর্ম পূরণ করে ফর্মের একটি ছবি অথবা স্ক্যান কপি ইমেইল, ফেসবুক মেসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটস অ্যাপ ইত্যাদি যেকোন একটি মাধ্যমে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারবেন।
ইমো, হোয়াটস অ্যাপ: ০১৭১২-২৫২১৫৫
ফেসবুক মেসেঞ্জার: জীয়ন
ইমেইল: masum.hossen@jeeon.co
নিম্নে দেয়া বাটনের মাধ্যমে বাবল ফর্মটি ডাউনলোড করতে পারবেন। ফর্মটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করিয়ে নিন।
যদি কোন রোগীর রোগ নির্ণয়ে অনিশ্চয়তায় ভোগেন তাহলে করোনা সন্দেহভাজন রোগীর জন্য ৩৩৩ নম্বরে এবং অন্য যে কোন রোগীর জন্য ১৬২৬৩ নম্বরে কল করতে পারেন, এতে আপনি এমবিবিএস ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলতে পারবেন।
এছাড়াও, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নিচের যে কোন একটি টেলিমেডিসিন সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন। তাদেরকে রোগীর সমস্যার বিবরণ বলে স্বল্পমূল্যে কার্যকরী সমাধান পেতে পারেন। নীচে অনুমোদিত টেলিমেডিসিন সার্ভিস সরবরাহকারীদের সম্পূর্ণ তালিকা দেওয়া হলো:
২৪/৭ টেলিমেডিসিন ( ০১৭১৪১১৭১৬৬ নম্বরে, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে)
ডিজিটাল হেলথকেয়ার (গ্রামীণফোন কাস্টমারদের জন্য ৭৮৯ নাম্বারে)
পালস হেলথকেয়ার - স্বল্প সময়ের জন্য ১০০ টাকা মূল্যে
পিসিআর টেস্ট (নাক বা গলার অভ্যন্তরীণ অংশ থেকে তুলা দিয়ে লালা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়)
বুকের এক্সরে (বুকের দুই পাশে নিউমোনিয়া)
ইমিউনোগ্লোবিউলিন অ্যান্টিবডি টেস্ট (শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি নির্ণয় করে বোঝা যায় আগেও এই ব্যাক্তির কোভিড-১৯ রোগ হয়েছিলো কি-না)
সিটিস্ক্যান (কাঁচের গুড়োর মতো অসচ্ছতা)
রক্ত পরীক্ষা বিশেষ করে, সিবিসি (নরমাল বা লো টোটাল কাউন্ট, লিম্ফোপেনিয়া), সিআরপি (হাই), ডি-ডাইমার (হাই)
চিকিৎসা লক্ষণভিত্তিক, যেমন জ্বরের রোগীকে প্যারাসিটামল, ইত্যাদি;
এর কোন টিকা / প্রতিষেধক বা নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই;
পৃথিবীর কিছু দেশে ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ক্লোরোকুইন ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও বেশ কিছু অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ওষুধগুলির কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এখনও ভালোভাবে পরীক্ষিত হয়নি;
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ক্লোরোকুইন ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যাবহারে ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যায় তাই ডায়াবেটিক রোগীদের কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ওষুধ দুইটি ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে;
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধটি গর্ভাবস্থায়, চোখের রোগ (রেটিনোপ্যাথি) ও হৃদরোগের রোগীদের দেওয়া যাবে না।
করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্তের পরে তাদের পরিচর্যা অথবা চিকিৎসা করার দায়িত্ব আপনার উপর আসতে পারে। নিম্নে আপনার দায়িত্বগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
১) ক্রিটিকাল অথবা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল অথবা হটলাইনে কল দিয়ে সেটি নিশ্চিত করা;
২) মিডিয়াম অথবা কম ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা প্রদান;
৩) রোগীকে আইসোলেশন করা এবং তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের অথবা পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা।
৪) রোগীকে করোনা পরীক্ষা করতে সাহায্য করা:
আপনার এলাকার আশে-পাশে কোথায় করোনা পরীক্ষা করছে সেটি জানতে হলে নিম্নের লিস্ট ডাউনলোড করুন। লিস্টের মধ্যে যে সমস্ত ল্যাবরেটরিতে করোনা পরীক্ষা করা হয় সে সব ল্যাবরেটরির নাম, ফোন নম্বর ইত্যাদি দেয়া আছে। কোন রোগীর করোনা পরীক্ষা করতে চাইলে আপনার নিকটস্থ ল্যাবরেটরিতে ফোন করুন।
কারণ, করোনাভাইরাস একটি ভাইরাসজনিত রোগ তাই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে এর চিকিৎসা করা যায় না।
নিম্নলিখিত ওষুধগুলি করোনাভাইরাস এর তীব্রতা বাড়ায় এবং তাই করোনাভাইরাস সন্দেহভাজন কোন রোগীর ক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহার করা উচিত নয়, যদি না এসব ওষুধ তারা আগে থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেয়ে থাকেন:
যেমন: Ketoprofen, aceclofenac, Naproxen, Naproxen + esomeprazole, celecoxib, dexibuprofen, Dexketoprofen, Diclofenac diethyl ammonium salt, Diclofenac free acid, Diclofenac potassium, Diclofenac sodium, Diclofenac sodium + misoprostol, Etodolac, Etoricoxib, Indomethacin, Mefenamic acid, Meloxicam, Oxaprozin, Piroxicam, Sulindac, Tenoxicam, Tolfenamic acid
যেমন: Captopril, Ramipril, Enalapril, Lisinopril, Fosinopril, Perindopril)
যেমন: Losartan, Valsartan, Candesartan, Olmesartan, Telmisartan
যেমন: Prednisolone, Hydrocortisone, Betamethasone, Fluticasone, Fluocinolone, Halcinonide)