Online Newspaper Clipping Service

With rapid change in technology and user needs, now focus has been shifted to digital / online news clippings. Top news of the day is the newspaper based online service provided by Vidyasagar Metropolitan College Library to its users. This news clippings on subjects’ mainly covering education and career related.

শিক্ষা-কেরিয়ার


ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ান কোর্সটি পড়লে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল

সায়ন নস্কর: শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত তরলকে মূত্রের মাধ্যমে বাইরে বের করে দেওয়াই কিডনির কাজ। এবার কোনও কারণে কিডনি এই কাজে অসমর্থ হলেই শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। প্রাথমিক স্তরে কিডনির সমস্যায় অবশ্য ওষুধে কাজ হয়। তবে সমস্যা অনেকটা গড়িয়ে যখন কিডনি নিজের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়, তখন আর ওষুধে কাজ হয় না। এক্ষেত্রে অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে কৃত্রিমভাবে শরীর থেকে বর্জ্য এবং ফ্লুইড বের করা হয়। এই প্রক্রিয়াটিকেই বলে ডায়ালিসিস।

শরীরে ডায়ালিসিসের মূলত দু’টি কাজ। প্রথমত, শরীরে তৈরি হওয়া ক্ষতিকর বর্জ্যকে বাইরে বের করে দেওয়া। এই কাজটির নাম সলিউট ক্লিয়ারেন্স। দ্বিতীয়ত, শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত ফ্লুইড বের করা। এর নাম আলট্রা ফিলট্রেশন।

এবার ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ানের প্রসঙ্গে আসা যাক। একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে যিনি ডায়ালিসিস প্রক্রিয়াটির দায়িত্ব সামলান, তিনিই হলেন ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ান। তাই একজন ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ানকে গোটা ডায়ালিসিস প্রক্রিয়ার প্রতিটি দিক সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল থাকতে হয়। রোগীকে ডায়ালিসিসের জন্য তৈরি করা, অত্যাধুনিক ডায়ালিসিস যন্ত্রটিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা ইত্যাদি তাঁর কাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তবে টেকনিক্যাল দিকটি ছাড়াও একজন ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ানের অন্য কাজও রয়েছে। এক্ষেত্রে রোগীকে প্রতিনিয়ত মানসিকভাবে ভরসা দেওয়াটাও তাঁর বিশেষ দায়িত্ব। কারণ বেশিরভাগ ডায়ালিসিস রোগীই অসুখের ধকল নিতে নিতে মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েন। চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক সময় তাঁদের অনীহা দেখা যায়। এমন রোগীদের প্রতিনিয়ত মানসিকভাবে পাশে থাকাটাও ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ানের কাজ। এছাড়াও চিকিৎসকদের রোগীর শারীরিক অবস্থা জানানো, রোগীর অসুখ সম্বন্ধীয় বিভিন্ন নথিগুলি যত্ন করে রাখা, ডায়ালিসিস করার ঘরটি সম্বন্ধে খেয়াল রাখা, ডায়ালিসিস যন্ত্রটির রক্ষণাবেক্ষণ সহ আরও কিছু প্রশাসনিক কাজকর্ম একজন ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ানকে করতে হতে পারে।

কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান এবং ওই হাসপাতালের ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ান পাঠক্রমের প্রধান ডাঃ পিনাকী মুখোপাধ্যায় ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ানের দায়িত্ব সম্বন্ধে বলেন, একজন ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ানের বিভিন্ন দায়িত্ব রয়েছে। প্রাথমিকভাবে কিডনি বিশেষজ্ঞ কোনও রোগীকে ডায়ালিসিসের জন্য পাঠান। এবার সেই রোগী প্রেসক্রিপশন সঙ্গে নিয়ে পৌঁছন ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ানের কাছে। এরপর ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ান প্রথমে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনটি খুঁটিয়ে পড়ে বুঝে নেন তাঁকে কী করতে হবে। তারপর তিনি দেখেন, রোগী ডায়ালিসিসের জন্য তৈরি কিনা। এই পর্যায়ে রোগীর ব্লাডপ্রেশার এবং পালস দেখে নেওয়া হয়। রোগীর সবকিছু ঠিক থাকলে শুরু হয় ডায়ালিসিস। এক্ষেত্রে ডায়ালিসিস প্রক্রিয়াটি চলার সময়ও রোগীর প্রেশার, পালসের দিকে লক্ষ রাখা হয়। এমনকী ডায়ালিসিস শেষ হওয়ার পরও রোগীর শারীরিক লক্ষণগুলির দিকে টেকনিশিয়ানকে কড়া নজর রাখতে হয়। এই গোটা প্রক্রিয়াটি চলাকালীন কোনও রোগীর ব্লাডপ্রেশার কমে বা বেড়ে যাওয়া, সুগার ফলের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রাথমিকভাবে তাঁদেরই ব্যবস্থা নিতে হয়। তাই ডায়াবেটিস টেকনিশিয়ানদের গুরুত্ব অনেক।

ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ান কোর্স

আমাদের রাজ্যে ডিপ্লোমা ইন ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ান কোর্সটি চালু রয়েছে। কোর্সটির মেয়াদ আড়াই বছর। এর মধ্যে দুই বছরের পড়াশোনা এবং ৬ মাসের বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ। এই কোর্সে অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, কিডনি ফাংশন, ডায়ালিসিস মেশিনের খুঁটিনাটি, ডায়ালিসিসের পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়গুলি শেখানো হয়।

যোগ্যতা

ডিপ্লোমা ইন ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ান কোর্সটি পড়তে হলে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং বায়োলজি নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষা পাশ করতে হবে।

স্টেট মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টির পক্ষ থেকে প্রতিবছর একটি প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেই পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি কলেজে ভর্তি নেওয়া হয়।

কোথায় পড়া যায়?

কলকাতার এনআরএস হাসপাতাল এবং পিজি হাসপাতালে এই কোর্স পড়ানো হয়। এছাড়া ফর্টিস, অ্যাপোলো, আরএন টেগোর সহ আরও বেশকিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই কোর্স পড়ানো হয়ে থাকে।

ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ানের চাহিদা

উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস সহ আরও বিভিন্ন কারণে প্রতি বছর বহু মানুষের কিডনি কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে। ফলে স্বভাবতই বাড়ছে ডায়ালিসিসের আওতায় চলে আসা রোগীর সংখ্যা। কিন্তু সত্যি বলতে, রোগীর তুলনায় ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ানের সংখ্যা অনেক কম।

ডাঃ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, কিডনি কাজ করা ছেড়ে দিলে কিডনি প্রতিস্থাপন করলে সমস্যাকে সামলে নেওয়া যায়। তবে আমাদের মতো দেশে পরিকাঠামো, জনসচেতনতা এবং দাতার অভাবে কিডনি প্রতিস্থাপনের সংখ্যা অনেক কম হয়। তাই রোগীকে বাঁচিয়ে রাখতে ডায়ালিসিসই প্রধান ভরসা। এক্ষেত্রে রোজই ডায়ালিসিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অথচ সেই সংখ্যক টেকনিশিয়ানের অভাব রয়েছে। তাই স্বভাবতই ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ানের চাহিদা খুব বেশি। কোর্স শেষে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চাকরির সুযোগ রয়েছে।


Bartaman Patrika, 23rd December, 2019


নেতাজী ওপেন ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন কোর্স

কোর্সগুলির মধ্যে রয়েছে ভোকেশনাল কোর্স এবং বেশ কয়েকটি স্বল্পমেয়াদি কোর্স। বিভিন্ন যে ভোকেশনাল কোর্সগুলি করানো হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে

১) টেলারিং অ্যান্ড ড্রেস ডিজাইনিং এক বছরের অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট কোর্স। যোগ্যতা: দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ। দু’বছরের অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা কোর্স পড়তে হলে স্নাতক হতে হবে।

২) ডিপ্লোমা ইন ফায়ার সেফ্টি অ্যান্ড সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট। এক বছরের এই কোর্সটি উচ্চমাধ্যমিক যোগ্যতায় পড়া যাবে। সেন্টার ফর লাইফ লং লার্নিং থেকে কয়েকটি স্বল্পমেয়াদি কোর্স করে নেওয়া যাবে। এর মধ্যে রয়েছে স্নাতক যোগ্যতায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন মডার্ন অফিস ম্যানেজমেন্ট, সার্টিফিকেট ইন ই-কমার্স অ্যান্ড ট্যাক্সেশন উইথ জিএসটি, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম।

উচ্চমাধ্যমিক যোগ্যতায় ডিপ্লোমা ইন যোগা এডুকেশন। দশম যোগ্যতায় পড়া যাবে ট্রেনিং অন ফায়ার অ্যাড সেফ্টি স্কিলস, বিউটি থেরাপি অ্যান্ড হেয়ার ড্রেসিং, ডিপ্লোমা ইন ল্যান্ড সার্ভে, সার্টিফিকেট ইন মাইক্রোবিজনেস ডেভেলপমেন্ট, ডিপ্লোমা ইন যোগা এডুকেশন এবং ডিপ্লোমা ইন স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট উইথ মেডিটেশন, ডিপ্লোমা ইন অন্ট্রোপ্রনিয়র ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড স্মল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ফার্মাকোলজি ম্যানেজমেন্ট, সোলার ইলেক্ট্রিক ইনস্টলেশন, আনআর্মড সিকিউরিটি গার্ড, ডিজিটাল মার্কেটিং, প্যাকেজিং ম্যানেজমেন্ট, ইআরপি। অষ্টম যোগ্যতায় পড়া যাবে টেলরিংয়ের সার্টিফিকেট কোর্স, সার্টিফিকেট ইন মানবীবিদ্যা – আমরা পারি। এই কোর্সগুলি সহ কম্পিউটারের আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফ্টের উপর বিভিন্ন কোর্স করানো হচ্ছে।

আবেদনপত্র পাওয়া যাচ্ছে, শেষ তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০২০। বিস্তারিত জানতে দেখতে হবে www.wbnsou.ac.in


দেশের সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য রয়েছে একগুচ্ছ স্কলারশিপ

শৌণক সুর: দেশে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। ডিজিটাল হচ্ছে ভারত। উন্নতির এই জোয়ারে শিক্ষা ব্যবস্থার উপরেও জোর দিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য। সর্বশিক্ষা অভিযানের পাশাপাশি সমাজে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একাধিক প্রকল্পও শুরু করা হয়েছে। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, ঐক্যশ্রী, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে শিক্ষা ব্যবস্থার হাল ফেরাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় দুই সরকারই। চালু হয়েছে একাধিক বৃত্তি প্রকল্পও। তাই এখন সকলেই চান ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা শেখাতে। যাতে ভবিষ্যতে তারা নিজের পায়ে সঠিক ভাবে দাঁড়াতে শেখে। মানুষের মতো মানুষ হয়। আগে এই চেতনা সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মধ্যে দেখা না গেলেও এখন তাঁদেরও বোধোদয় হয়েছে। এখন উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সকলেই তাঁদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা শেখানোর জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করেন। জনমানসে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে কেন্দ্র ও রাজ্য নিত্য নতুন বৃত্তি প্রকল্পের সূচনা করছে। সমাজের সকলস্তরের পড়ুয়াদের পাশাপাশি ভাবা হয়েছে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কথাও। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য একাধিক বৃত্তি চালু করছে সরকার। তা পাওয়া যেতে পারে প্রথম শ্রেণী থেকে একেবারে স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত। দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রথম-দশম শ্রেণী পর্যন্ত দেওয়া হয় ‘প্রি ম্যাট্রিক স্কলারশিপ’। একাদশ শ্রেণী-স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত দেওয়া হয় ‘পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ’। এছাড়াও কারিগরি বিষয়ক পড়াশোনার জন্য দেওয়া হয় ‘মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ’।

সংখ্যালঘু মেধাবী পড়ুয়াদের পড়াশোনায় এগিয়ে নিয়ে যেতে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারও চালু করেছে একাধিক স্কলারশিপ। রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে প্রথম শ্রেণী থেকে স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত দেওয়া হয় বিশেষ একটি বৃত্তি। নাম ‘ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ’। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের মতোই এতেও রয়েছে তিনটি স্তর। সেই অনুযায়ী দেওয়া হয় বৃত্তি। এছাড়া রয়েছে কিছু নিয়মকানুন। যেমন-আবেদন করার আগে ওই প্রার্থী শেষ যে পরীক্ষা দিয়েছেন সেটিতে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে এই রাজ্যেরই বাসিন্দা হতে হবে। তাঁদের পারিবারিক বার্ষিক আয় সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট একটি সীমার মধ্যে থাকতে হবে। কিন্তু এতসব সুযোগ থাকতেও অনেকেই এই বৃত্তির সুবিধাই জানেন না। কারা আবেদনের যোগ্য এবং কীভাবেই বা করা যাবে দেখে নেওয়া যাক। আগে শুধুমাত্র অফলাইনে করা গেলেও এখন যুগ পাল্টেছে। ডিজিটালাইজেশনের যুগে আবেদনের পদ্ধতিতেও এসেছে বদল। তাই বর্তমানে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও করা যাচ্ছে বৃত্তির জন্য আবেদন।

প্রথমে রাজ্যসরকারের ঐক্যশ্রী প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা যাক। এই বৃত্তিতে রয়েছে তিনটি ভাগ। প্রথমটি হল-প্রি ম্যাট্রিক স্কলারশিপ। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ক্ষেত্রে মেনটেনেন্স অ্যালাওয়েন্স বাবদ প্রতি বছর দেওয়া হয়ে থাকে ১ হাজার ১০০ টাকা। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি বছর দেওয়া হয় ৪ হাজার ৪০০ টাকা। এছাড়া মেনটেনেন্স অ্যালাওয়েন্স বাবদ প্রতি বছর দেওয়া হয় আরও ১ হাজার ১০০ টাকা। হস্টেল পড়ুয়াদের জন্য এই অ্যালাওয়েন্সের পরিমাণ বার্ষিক ৬ হাজার ৬০০ টাকা। দ্বিতীয় ভাগটি হল, পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ। এতে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর মেধাবী পড়ুয়াদের দেওয়া হয়ে থাকে বার্ষিক ৭ হাজার ৭০০ টাকা। টেকনিক্যাল এবং ভোকেশনাল শাখায় পাঠরতদের ক্ষেত্রে এই টাকার পরিমাণ বছরে ১১ হাজার টাকা। তবে দুটি ক্ষেত্রেই মেনটেনেন্স অ্যালাওয়েন্স বাবদ প্রতি বছর দেওয়া হয় ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং হস্টেল পড়ুয়াদের জন্য এই অ্যালাওয়েন্সের পরিমাণ বার্ষিক ৪ হাজার ২০০ টাকা। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে স্কলারশিপ দেওয়া হয় বার্ষিক ৩ হাজার ৩০০ টাকা। মেনটেনেন্স অ্যালাওয়েন্স বাবদ প্রতি বছর দেওয়া হয় আরও ৩ হাজার ৩০০ টাকা। এক্ষেত্রেও হস্টেল পড়ুয়াদের অ্যালাওয়েন্সের পরিমাণ ফি বছরে ৬ হাজার ৩০০ টাকা। পিএইচডি এবং এমফিল স্তরে যাঁরা পড়াশোনা করছেন তাঁদেরও দেওয়া হয় স্কলারশিপ। পরিমাণ বছরে ৩ হাজার ৩০০ টাকা। মেনটেনেন্স অ্যালাওয়েন্স হিসেবে দেওয়া হবে ৬ হাজার টাকা। হস্টেল থেকে পাঠরতদের ক্ষেত্রে এই অ্যালাওয়েন্সের পরিমাণ বার্ষিক ১৩ হাজার ২০০ টাকা। উপরিউক্ত সবকটি স্কলারশিপের ক্ষেত্রেই আবেদনকারীর বার্ষিক পারিবারিক আয় হতে হবে ২ লক্ষ টাকার নীচে। এছাড়া ওই পড়ুয়াকে রাজ্যেরই কোনও প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে হবে। এই প্রকল্পের তৃতীয় ভাগটি হল মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ। এতে পেশাদারি বা কারিগরি বিষয়ে পাঠরতরা আবেদনের যোগ্য। যেমন- মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, ল’, সিএ, ম্যানেজমেন্ট বা সমতুল বিষয়ে পাঠরতরা এই স্কলারশিপে আবেদনের যোগ্য। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের বাইরে নির্দিষ্ট কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করলেও মিলবে বৃত্তি। তবে আবেদনকারীকে অবশ্যই এই রাজ্যেরই বাসিন্দা হতে হবে। পাশাপাশি বার্ষিক পারিবারিক আয় হতে হবে আড়াই লক্ষ টাকার নীচে। এই স্কলারশিপের পরিমাণ প্রতি বছর ২২ হাজার টাকা। মেনটেনেন্স অ্যালাওয়েন্স হিসেবে দেওয়া হবে ৫ হাজার ৫০০ টাকা। হস্টেল থেকে পাঠরতদের ক্ষেত্রে এই অ্যালাওয়েন্সের পরিমাণ বার্ষিক ১১ হাজার টাকা।

কীভাবে আবেদন করতে হয়? আগ্রহীরা অনলাইনের মাধ্যমেই আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর http://wbmdfcscholarship.gov.in/ -এ গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীর একটি বৈধ ই-মেল আইডি থাকতে হবে। অনলাইনে আবেদনের পর ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড পাওয়া যাবে। সেটি ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে লগ ইন করে নির্দিষ্টি ফর্ম পূরণ করতে হবে। যথাযথ ভাবে ফর্ম পূরণ করে সাবমিট করার পর আবেদনপত্রের প্রিন্ট আউট নিতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ যেখানে আবেদনকারীরা পাঠরত সেখানে ওই ফর্মটি জমা দিতে হবে। এই বিষয়ে বিশদে জানার জন্য ফোন করতে পাবেন হেল্পলাইনে। নম্বরটি হল ১৮০০ ১২০ ২১৩০।

এতক্ষণ তো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের রাজ্য সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে আলোচনা হল। এবার জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি সম্পর্কেও। প্রতিবেদনের শুরুতেই বলা হয়েছে এই বৃত্তিও দেওয়া হয় তিনটি স্তরে। প্রথমটি হল প্রি ম্যাট্রিক স্কলারশিপ। এটি দেওয়া হবে প্রথম-দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠরত প্রায় ৩০ লক্ষ সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের। শেষ দেওয়া পরীক্ষায় পেয়ে থাকতে হবে অন্তত ৫০ শতাংশ নম্বর। প্রার্থীর পারিবারিক বার্ষিক আয় এক লক্ষ টাকার বেশি হওয়া যাবে না। প্রথম-দশম শ্রেণীর ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে মেনটেনেন্স অ্যালাওয়েন্স বাবদ প্রতি মাসে দেওয়া হবে ১০০ টাকা। তবে ষষ্ঠ-দশম শ্রেণীর ক্ষেত্রে হস্টেল থেকে পাঠরতদের জন্য এই টাকার পরিমাণ মাসিক ৬০০ টাকা। এছাড়া ষষ্ঠ-দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের অ্যাডমিশন ফি বাবদ বার্ষিক ৫০০ টাকা এবং টিউশন ফি বাবদ প্রতিবছর ৩৫০ টাকা করে দেওয়া হবে। দ্বিতীয়টি হল, পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ। এটি দেওয়া হবে একাদশ শ্রেণী-স্নাতকোত্তর/ডিপ্লোমা পাঠরতদের। পাঁচলক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হবে এই বৃত্তি। আইটিআই, বিএড, পিএইচডি এবং এমফিল কোর্স পাঠরতরাও এটিতে আবেদন করতে পারবেন। এটির ক্ষেত্রেও শেষ পাশ করা পরীক্ষায় পেতে হবে অন্তত ৫০ শতাংশ নম্বর। প্রার্থীর পারিবারিক বার্ষিক আয় দু’লক্ষ টাকার বেশি হওয়া যাবে না। এছাড়া আবেদনকারীর নিজস্ব একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এই স্কলারশিপে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ক্ষেত্রে বার্ষিক ৭ হাজার টাকা দেওয়া হবে। মেনটেনেন্স অ্যালাওয়েন্স হিসেবে দেওয়া হবে প্রতি মাসে ২৩০ টাকা। হস্টেলে থেকে পাঠরতদের ক্ষেত্রে এই টাকার পরিমাণ ৩৮০ টাকা। বৃত্তিমূলক বা টেকনিক্যাল শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাঠরতদের ক্ষেত্রে প্রতি বছর দেওয়া হয়ে থাকে ১০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে মেনটেনেন্স অ্যালাওয়েন্সের পরিমাণ উচ্চমাধ্যমিকস্তরের মতোই। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে পাঠরতদের জন্য প্রতি বছর দেওয়া হয় ৩ হাজার টাকা। মেনটেনেন্স অ্যালাওয়েন্স হিসেবে প্রতি মাসে পাবেন ৩০০ টাকা। তবে হস্টেলে থেকে পাঠরতদের জন্য এই টাকার পরিমাণ ৫৭০ টাকা। পিএইচডি এবং এমফিল কোর্সের পড়ুয়াদের জন্য মেনটেনেন্স অ্যালাওয়েন্স হিসেবে দেওয়া হবে মাসিক ৫৫০ টাকা। হস্টেলে থেকে পাঠরতদের ক্ষেত্রে দেওয়া হবে ১ হাজার ২০০ টাকা। তৃতীয়টি হল, মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ। স্বীকৃত কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পেশাদারি বা কারিগরি বিষয় নিয়ে পাঠরতরা এই বৃত্তিতে আবেদনের যোগ্য। এছাড়া মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মাসি, ’ল, সিএ, ম্যানেজমেন্ট বা সমতুল বিষয়ে পাঠরতরাও এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবেন। তবে মাত্র ৬০ হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে এই বৃত্তি দেওয়া হবে। প্রার্থীর নিজস্ব একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এছাড়া প্রার্থীর পারিবারিক বার্ষিক আয় দু’লক্ষ টাকার বেশি হওয়া চলবে না। এতে বৃত্তির পরিমাণ বার্ষিক ২০ হাজার টাকা। মেনটেনেন্স অ্যালাওয়েন্স হিসেবে দেওয়া হবে মাসিক ৫০০ টাকা। তবে যারা হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করবেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই টাকার পরিমাণ মাসিক ১০০০ টাকা। আবেদন করার পদ্ধতি— বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর https://scholarships.gov.in/ সাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন পদ্ধতি এবং স্কলারশিপ বিষয়ে বিশদ জানতে ভিজিট করুন http://www.minorityaffairs.gov.in/ ওয়েবসাইট। আগ্রহীরা ওয়েবসাইটে উল্লেখিত ১৮০০ ১১ ২০১ নম্বরেও ফোন করতে পারেন।

জেইএনপিএএস-ইউজি ২০২০

২০২০-২০২১ অ্যাকাডেমিক সেশনে জেইএনপিএএস পরীক্ষার তারিখ জানানো হয়েছে। আগে এই প্রবেশিকা পরীক্ষার নাম ছিল জেইএনপিএইউএইচ। পরীক্ষা নেবে ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। পরীক্ষার তারিখ ১০ মে ২০২০। এই কমন এন্ট্রান্স টেস্টের আবেদন নেওয়া হবে ২৩ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত।

এই পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হওয়া যায় যে বিষয়গুলিতে তার মধ্যে রয়েছে বিএসসি নার্সিং, ব্যাচেলর অব ফিজিওথেরাপি, ব্যাচেলর অব অডিওলজি অ্যান্ড স্পিচ ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাথোলজি, ব্যাচেলর অব মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান, বিএসসি ইন ক্রিটিক্যাল কেয়ার টেকনোলজি, বিএসসি ইন অপারেশন থিয়েটার টেকনোলজি, বিএসসি ইন পারফিউশন টেকনোলজি, বিএসসি ইন ফিজিশিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট, বিএসসি ইন ইলেক্ট্রোফিজিওলোজি, বিএসসি ইন রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং সায়েন্সেস এবং বিএসসি ইন ডায়ালিসিস। আবেদন করতে হবে অনলাইনে। আবেদন করা এবং বিস্তারিত জানতে দেখতে হবে www.wbjeeb.nic.in

জেইসিএ ২০২০

২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে মাস্টার্স করার জন্য কমন এন্ট্রান্স টেস্টের তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৭ জুন। আবেদন করা যাবে ২ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত। আবেদন করতে হবে অনলাইনে। আবেদন করার জন্য এবং বিস্তারিত জানতে দেখতে হবে www.wbjeeb.nic.in

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার চাহিদা বাড়ছে

বর্ণালী ঘোষ: এ রাজ্যের পলিটেকনিকগুলিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ঝোক আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে। তার অন্যতম কারণ, এখানকার এই বৃত্তিমূলক কোর্সগুলি যেমন নামকরা প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ করে দিতে সাহায্য করে, তেমনই স্বাবলম্বী হতেও সহায়তা করে।

ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার দু’ধরনের উপায় রয়েছে। এক তো উচ্চমাধ্যমিকের পর রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে চার বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করা। আর একটি হল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া। সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে তিন বছরের পলিটেকনিকে পড়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যায়। আবার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হয়েও ডিগ্রি করার সুযগে থাকে। সেক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দ্বিতীয় বছরে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হওয়া যায়। এছাড়াও পুরো কোর্স পড়ার খরচও তুলনামূলক কম হওয়ার জন্য অনেকেই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে সচেষ্ট থাকে।

পলিটেকনিকগুলিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা জেক্সপো এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বছরে ভর্তির জন্য আয়োজিত পরীক্ষা ভিওসিএলইটি নেওয়া হবে এ বছরের ২৬ এপ্রিল। আবেদন করার জন্য ওএমআর আবেদনপত্র পাওয়া যাচ্ছে ২ জানুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত। আবেদনপত্র পাওয়া যাবে সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সেলফ ফিনান্সড পলিটেকনিকগুলিতে। আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে হাতে হাতে ১৬ মার্চ পর্যন্ত। অনলাইনে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। যাঁরা ওএমআর-এ আবেদন করবেন, তাদের জন্য ৫০০ টাকা লাগবে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় থাকলে ২৫০ টাকা লাগবে। যারা অনলাইনে আবেদন করবেন তাদের জন্য ৪৫০ টাকা লাগবে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় থাকলে ২২৫ টাকা লাগবে। জেক্সপোর জন্য আবেদন করতে হলে ন্যূনতম ৩৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে দশম শ্রেণী পাশ হতে হবে। বিষয় হিসাবে অবশ্যই থাকতে হবে অঙ্ক, ভৌতবিজ্ঞান এবং ইংরেজি। এই তিনটি বিষয়ে পাশ মার্ক্সস থাকতে হবে এবং ঐচ্ছিক বিষয় ছাড়া ন্যূনতম ৩৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।

ভিওসিএলইটি-র জন্য ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড স্কিল ডেভিলপমেন্ট থেকে ১০+২ পাশ হতে হবে অথবা মাধ্যমিকের পর দু’বছরের আইটিআই পাশ হতে হবে। বয়সের কোন উচ্চসীমা নেই। তবে জন্ম তারিখ ১ জুলাই ২০০৫ এর পরে হলে আবেদন করা যাবে না। আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতীয় হতে হবে। এ রাজ্যের বাসিন্দা হলে আবেদন করা যাবে। যাঁরা এ রাজ্য থেকে দশম শ্রেণী পাশ করেছে তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন। অন্য রাজ্যের বাসিন্দারাও আবেদন করতে পারবেন, সেক্ষেত্রে অন্য রাজ্য ক্যাটাগরিতে নিজেকে দেখাতে হবে আবেদনের সময়।

জেক্সপো এবং ভিওকেএলইটি পরীক্ষা দু’ঘণ্টার হবে। জেক্সপো হবে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং ভিওকেএলইটি হবে দুপুর দেড়টা থেকে দুপুর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত। এমসিকিউ প্যাটার্নে পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর করে কাটা যাবে।

এই পরীক্ষা দিয়ে ৩২টি শাখার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজির ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হওয়া যাবে। এর মধ্যে রয়েছে – অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সফটওয়্যার টেকনোলজি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, প্রিন্টিং টেকনোলজি, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্ট্রোল), ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনস্ট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার সিস্টেম, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড প্রসেসিং টেকনোলজি, ফুটওয়্যার টেকনোলজি, জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম অ্যান্ড গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম, ইনস্ট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্টেরিওর ডেকোরেশন, ইনফরমেশন টেকনোলজি, লেদার গুডস টেকনোলজি, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রোডাকশন), মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, মাইন সার্ভেইং, মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনোলজি, মাল্টিমিডিয়া টেকনোলজি, ফোটোগ্রাফি, প্যাকেজিং টেকনোলজি, রিনিওবেল এনার্জি এবং সার্ভে ইঞ্জিনিয়ারিং। বিষয়গুলি নিয়ে পড়া যাবে ১৫৬টি পলিটেকনিক থেকে।

কর্মক্ষেত্রে দেখা যায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের সুযোগ তুলনামূলক বেশি। সরকারি এবং বেসরকারি দু’জায়গাতেই কাজের সুযোগ রয়েছে। বেশ কিছু কোম্পানি আছে যারা শুধুমাত্র পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের সুযোগ দিয়ে থাকে। সরকারি জায়গার মধ্যে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে, ভেল, এয়ারপোর্ট অথোরিটি, পাওয়ার গ্রিড, ইলেকট্রিসিটি ডিপার্টমেন্টে প্রচুর সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করা হয়। বেসরকারি জায়গাতেও কাজের সুযোগ রয়েছে। বেসরকারি জায়গায় প্রথম দিকেই মাসিক আয় ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারা প্রোডাক্ট ডেভেলপার, সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, এক্সিকিউটিভ হিসাবে কাজ করে থাকেন। এমনকী কলেজের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবেও কাজ করা যায়। ক্ষেত্র বিশেষে বিদেশেও কাজের সুযোগ রয়েছে। বিস্তারিত দেখতে হবে www.wbnsou.ac.in

Source: Bartaman Patrika, 23rd December, 2019


ইংরেজির অ্যাডভান্স সার্টিফিকেট কোর্স

নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব স্টাডিজের সেন্টার ফর ল্যাংগুয়েজ, ট্রান্সলেশন অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ বিভাগ কমিউনিকেটিভ ইংরেজির অ্যাডভান্স সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তি নিচ্ছে। এটি একটি সেলফ ফিনান্সড ট্রেনিং প্রোগ্রাম। কোর্সের মেয়াদ ৩ মাস। পড়ানো হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণী ক্যাম্পাস এবং শ্রীরামপুর গার্লস কলেজে। যে কোনও শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাশ বা সমতুলরা আবেদন করতে পারেন। কোর্স ফি: ৩৫০০ টাকা।

আবেদন পদ্ধতি:

www.wbnsou.ac.in বা www.cltcsnsou.in ওয়েবসাইট থেকে নির্দিষ্ট বয়ানের আবেদনপত্র ডাউনলোড করে আবেদন করতে হবে। ফি বাবদ জমা দিতে হবে ২০০ টাকা।

গুরুত্বপূর্ণ তারিখ:

আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ জানুয়ারি, ২০২০।

ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি, ২০২০।

বিশদ জানতে দেখতে পারেন উপরিউক্ত দুটি ওয়েবসাইট।

Source: Bartaman Patrika , 04th January, 2020

নিজেকে গড়ে তুলুন

অ্যানিমেশনের দুনিয়ায়

শৌণক সুর: যুগের প্রগতির সঙ্গে সঙ্গে অ্যানিমেশনের বাড়বাড়ন্ত বেড়েই চলেছে। হলিউডের ছবিতে ডিজনির হাত ধরেই অ্যানিমেশনের যাত্রা শুরু। স্বল্প দৈর্ঘ্যের কার্টুন এখন অনেক বেশি উন্নত। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই তার গ্রহণযোগ্যতা সর্বস্তরেই বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়িতে কচিকাঁচারা রয়েছে অথচ টিভিতে ২৪ ঘণ্টার কার্টুন চ্যানেল নেই এমন বাড়ি এখন খুঁজে পাওয়াই ভার। অনেক সময় ছোটদের সঙ্গে বাড়ির বড়রাও কার্টুন দেখার লোভে টেলিভিশনের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকেন। ফলে কার্টুনের পাশাপাশি উন্নত মানের ছবি তৈরিও শুরু হয়েছে। ফাইন্ডিং নিমো, ট্যাঙ্গেলড, দ্য ইনক্রেডেবলস, আলাদিন, শ্রেক, আইস এজ, টিনটিন, ফ্রোজেন, মোয়ানা, দ্য লায়ন কিং-এর মতো অ্যানিমেটেড ছবি ছোটদের পাশাপাশি বড়দেরও মোহিত করেছে। কিন্তু নাম শুনলেও আসলে অ্যানিমেশন কী তা হয়তো অনেকেই জানেন না। এখনও অনেকেই ভাবেন, অ্যানিমেশন মানে শুধুই কার্টুন। আবার কেউ কেউ ভাবেন অ্যানিমেশন মানে বুঝি শুধুমাত্রই স্পেশাল এফেক্টস। মোটেই কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। সহজ কথায় বলতে গেলে কল্পনাকে আশ্রয় করে যে কোনও বিষয়কে চিত্রের মাধ্যমে গতিশীল এবং জীবন্ত করে তোলাকেই বলে অ্যানিমেশন। প্রথম দশকে ফ্রান্সে এমিলি কোহলের হাত ধরে শুরু হয় অ্যানিমেশন। পরে ওয়াল্ট ডিজনির সৌজন্যে গোটা বিশ্বে সমাদৃত হয় এটি। প্রথম দিকে অ্যানিমেশনের কাজটি ছিল খুবই ব্যয়সাপেক্ষ এবং শ্রমসাপেক্ষ। কিন্তু এখন দক্ষ অ্যানিমেটরের হাত ধরে এই সমস্যা প্রায় মিটে গিয়েছে বললেই চলে। এছাড়া কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এবং উন্নত সফটওয়্যার বাজারে চলে আসায় কাজ এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। ফলে ক্রমেই বেড়েছে অ্যানিমেশন ব্যবহারের পরিসর। টেলিভিশন, মুভির পাশাপাশি বিজ্ঞাপন দুনিয়া, ওয়েবসাইট, স্মার্টফোন গেমসেও অ্যানিমেশনের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকী বাস-ট্রাম-গাড়িতে সফররত অবস্থায় রাস্তার পাশে থাকা জায়ান্ট স্ক্রিনে আমরা যে বিজ্ঞাপন এবং বিনোদনমূলক ছবি দেখি সেটিতেও রয়েছে অ্যানিমেশনের জাদু। ডিজিটালাইজেশনের যুগে ক্রমেই দক্ষ, পেশাদার ডিজাইনার এবং অ্যানিমেটরদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী অ্যানিমেশনের দুনিয়ায় আসার আগে প্রয়োজন আঁকার প্রতি আগ্রহ এবং উদ্ভাবনী শক্তি। এই দুই থাকলে তবেই আপনি হতে পারবেন একজন সুদক্ষ অ্যানিমেটর এবং ডিজাইনার। এর জন্য প্রয়োজন রয়েছে সঠিক প্রশিক্ষণের। করতে হবে অ্যানিমেশনের পেশাদারি কোর্সও।

কী পড়বেন

বর্তমানে মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড অ্যানিমেশনের ডিপ্লোমা কোর্স শুরু করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই কোর্সের মেয়াদ এক বছর। আসন সংখ্যা ৩০টি।

যোগ্যতা

যে কোনও শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাশরা এই কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগে এলে আগে সুযোগের ভিত্তিতেই এই কোর্সে ভর্তি নেওয়া হয়। সেন্টার ফর কম্পিউটার এইডেড ডিজাইনে মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড অ্যানিমেশন কোর্সটি পড়ানো হয়। এক বছরের কোর্স হলেও এটি পড়ানো হবে মোট দুটি সেমিস্টারে।

কোর্স ফি

বিশেষ এই কোর্সটি পড়ার জন্য সেমিস্টার পিছু সাধারণত খরচ হয় ৪৭ হাজার ২০০ টাকা। প্রতি সপ্তাহের সোম থেকে শুক্রবার ক্লাস হয়। প্রতিদিন দুপুর ১২টায় ক্লাস শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টের সময়। এই কোর্সের প্রথম সেমিস্টারে পড়ানো হবে ডিজিটাল প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিং। পাশাপাশি সেই কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সফটওয়্যার সম্বন্ধেও পড়ুয়াদের অবহিত করা হয়। এই সফটওয়্যারগুলির তালিকায় রয়েছে অ্যাডব ফোটোশপ, ইনডিজাইন এবং ইলাস্ট্রেটরের নাম। এছাড়া বিজ্ঞাপনের কাজ সম্বন্ধেও প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় সেমিস্টারে শেখানো হয় এইচটিএমএল, সিএসএস-থ্রি, জাভা স্ক্রিপ্ট, বুট স্ট্র্যাপ্ট এবং ওয়ার্ড প্রেসের ব্যবহার। এই কোর্সে থিওরির পাশাপাশি পড়ুয়ারা যাতে হাতেকলমে কাজ শিখতে পারেন সেই বিষয়েও বিশেষ নজর দেওয়া হয়।

কাজের সুযোগ

মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড অ্যানিমেশন কোর্সটি করে পড়ুয়ারা ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, চলচ্চিত্র জগৎ, ভিডিও গেমসের দুনিয়ায় কাজ পেতে পারেন। পাশাপাশি কাজ পেতে পারেন অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি, টেলিভিশন এবং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অ্যানিমেটর, আর্ট ডিরেক্টর এবং মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রামার হিসেবেও। এই কোর্স পাশ করে থ্রিডি মডেলার-অ্যানিমেটরস ফিল্ম অ্যান্ড ভিডিও এডিটর হিসেবেও কাজ পাওয়া যায়।

কীভাবে আবেদন করবেন

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর কম্পিউটার এইডেড ডিজাইনে মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড অ্যানিমেশনের ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে নির্দিষ্ট বয়ানে। বিজ্ঞপ্তি বের হওয়ার পর প্রসপেক্টাস এবং আবেদনপত্র সরাসরি সংগ্রহ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার থেকে। ঠিকানাটি হল- কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন সেন্টার, প্রযুক্তি ভবন (সেকেন্ড ফ্লোর), যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা: ৭০০০৩২। কোর্স সম্পর্কে বিশদ জানার জন্য www.cadcentreju.org লগ অন করতে পারেন। এছাড়া আগ্রহীরা সরাসরি ফোন করতে পারেন (০৩৩) ২৪১৪-৬৮৪৪, ২৪৫৭-২৯৬০ নম্বরে।

Source : Bartaman Patrika , 30th December, 2019