অশ্বগন্ধা পাতার বৈজ্ঞানিক নাম ‘উইথানিয়া সোম্নিফেরা (এল) ডুনাল’। আয়ুর্বেদে একে বলদা এবং বাজিকারি বলা হয়। অথবা শীতকালীন চেরি। যদিও আয়ুর্বেদে এর পাতা সাধারণত ঔষধি গাছ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবুও এর ব্যবহার নিরাপদ|
এই গাছের রস একটি উদ্দীপক। এটি পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর। অশ্বগন্ধার মূল এবং পাতা বিভিন্ন স্নায়বিক রোগ থেকে মুক্তি দেয়। পাতা দুধ এবং ঘি দিয়ে সিদ্ধ করলে শরীর শক্তি পায়। অনিদ্রার জন্য অশ্বগন্ধা একটি ভালো ঔষধ হিসেবে কার্যকর হতে পারে।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে চিনি দিয়ে অশ্বগন্ধার গুঁড়ো খাওয়া যেতে পারে ভালো ঘুমের জন্য। সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে অশ্বগন্ধার মূলের গুঁড়ো খাওয়া যেতে পারে। চোখের ব্যথা উপশমে অশ্বগন্ধা বিশেষভাবে কার্যকর।
অশ্বগন্ধা দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিসের ক্ষেত্রেও একটি কার্যকর ঔষধ। অশ্বগন্ধার মূল অন্তর ধুমে পুড়িয়ে ফেলা হয় (শিকড়গুলি একটি ছোট মাটির পাত্রে ভরে, মাটি দিয়ে ঢেকে, শুকিয়ে ঘুটের আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। আগুন নিভে গেলে, শিকড়গুলি পাত্র থেকে বের করে গুঁড়ো করা হয়) এবং আধা গ্রাম মাত্রায় সামান্য মধু দিয়ে খাওয়া হয়, যা দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিসে উপকারী।
অশ্বগন্ধা মাথা ঘোরা, অজ্ঞানতা, ক্লান্তি ইত্যাদি মানসিক ও শারীরিক দুর্বলতা দূর করে। এটি ঘনত্ব বাড়ায়। এটি ক্লান্তি দূর করে এবং প্রাণশক্তি পুনরুদ্ধার করে।
অশ্বগন্ধা ফল লিভারের জন্য খুবই উপকারী, যার মধ্যে অম্বল, বদহজম, পেট ফাঁপা এবং পেটের ব্যথা নিরাময় করাও অন্তর্ভুক্ত। এটি হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
১-২ চা চামচ অশ্বগন্ধা গুঁড়ো এক কাপ চা, দুধ অথবা মধুর সাথে মিশিয়ে সেবন করা যেতে পারে।
এই মিশ্রণটি ঘুমের টনিক হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।