প্রায় অন্ধকার ঘর, সূর্যের আলো অনেক চেষ্টা করে পর্দার মধ্যে দিয়ে ঘরের ভিতরে আসার খুব চেষ্টা করেও বিশেষ সাফল্য পাচ্ছে না। পাখাটা অল্প স্পীডে সব সময় ঘুরেই চলছে তাতে ঘরটা বাইরের তীব্র রোদের আঁচড় থেকে বেঁচে আছে।
আজ ফাওয়াজ দেখা করতে এসেছিলো বিকেলে, কিছুক্ষন গল্প করে গেলো। আসলে চিকেন-পক্সের মতো সংক্রামক রোগের ব্যাপারটাই এমন যে সবাই ভয়-এ থাকে, অশ্বীন বা ফাওয়াজ এর মত যারা আগেই এর কাছে বশ্যতা শিকার করেছে তারাই হয়তো এই ভয়কে দূর সরাতে পেরেছে। ঘুমটা হটাৎ ভেঙে যেতে মনটা খারাপ হয়ে গেলো, ঠিক দু-বছর পর এবার আর চিকেন-পক্স না, এ এক নতুন মারন ব্যাধি, করোনা। ২০১৯ এর শেষের দিকে চীন দেশ থেকে শুরু হয় তার অশ্ব-মেধের যাত্রা। এবার হয়তো আর রক্ষে হবেনা, কেউ হয়তো আসবেও না দেখা করতে, সে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যত।
পম's
-------------------------
পুনে
২০২১/এপ্রিল/৭
- ল্যাম্পপোস্ট -
তখন বাসে ছিলাম। বাড়ি থেকে কাজের জায়গায় ফিরতে হচ্ছিলো। বাইরে একেরপর এক ল্যাম্পপোস্ট গুলো পেরিয়ে যাচ্ছিলো। আমার দৃষ্টি স্থির, উইন্ডো সিট-টাতে কুঁকড়ে বসে ছিলাম, হৃদয় ভাঙার ক্ষত তখনও তাজা।
ঠিক আগের দিনই সে ছেড়ে গেছে। বিকেলের আলোতেও তখন আমি মনের অন্ধকারকে আঁকড়ে ধরে বসে আছি। হটাৎ যেন জ্ঞান ফিরল, একটা ল্যাম্পপোস্ট এর নিচে দেখলাম সে দঁড়িয়ে আছে। দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে হুড়মুড়িয়ে বাস থেকে নেমে পড়লাম। তখন সেখানে ছুটে গিয়ে দেখি সে আর নেই, কোথায় গেলো? স্পষ্ট দেখলাম দাঁড়িয়ে ছিল এই ল্যাম্পপোস্টের নিচে।
সে কি করে আসবে এখানে? নিজেই নিজেকে বাস্তবে ফেরালাম, নিজেকে বললাম "get up" .. "get up "। ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে দেখলাম আমার ফিরে যাওয়ার বাসটাও আর নেই। সন্ধে হয়ে আসছিল, উপরের দিকে তাকালাম, দেখলাম পোষ্টের ল্যাম্পটা টুক করে জ্বলে উঠলো।
-------------------------
অভিজিৎ
২০২১