#
সকাল বেলা ভেজা ঘাসে হাটলে..
মন ভাল লাগে
হটাৎ ঘন কালো মেঘ করলে..
মন ভাল লাগে
গ্রীষ্মের দুপুরে গাছের ছায়ার নিচে..
মন ভাল লাগে
প্রথম বৃষ্টিতে মাটির সোঁদা গন্ধে..
মন ভাল লাগে
ঝোড়ো হাওয়ায় বৃষ্টির ফোঁটা গায়ে লাগলে..
মন ভাল লাগে
বিকেলবেলা লম্বা ঝিলের ধারে..
মন ভাল লাগে
শাল বনে শালফুল পড়তে দেখলে..
মন ভাল লাগে
ছাদের উপরে সন্ধের হাওয়া খেলে..
মন ভাল লাগে
জোছনা রাতে রাস্তায় হাটলে..
মন ভাল লাগে
মন ভাল থাকলে..
মন ভাল লাগে
একটু জীবনের জন্য
হৃদয়ের শব্দটা যদি শুনতে পেতি
ভাল থাকিস।
- অভিজিৎ
১২ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
আকাশে বসে
---------------------------
পর-পর দুদিন বিমান যাত্রার ঝক্কির কথা ভাবতে-ভাবতে হটাৎ, ট্রেন না বিমান, কোন মাধ্যম এ ভ্রমণ সুখকর সে বিষয়ে একটা আলোচনা কানে এল পিছনের সারির থেকে। সত্যি বলতে এই আলোচনার হয়তো কোনো ছকে বাঁধা উত্তর হতে পারে না, কারণ ব্যাপারটা নিতান্তই ব্যক্তিগত।
যদি আমার কথা জানতে চাও, তাহলে হয়তো আমি ট্রেন যাত্রাকেই শ্রেয় বলে গ্রহণ করবো, আর তার জন্য, আমাকে পক্ষপাত দুষ্ট বললে হয়তো ঠিক না।
বিমান যাত্রা দ্রুততর হওয়ায় আমরা অনেক সময়েই এই মাধ্যমটিকে বেছেনিই, কিন্তু যদি ভালোকরে একটু গভীরে গিয়ে ব্যাপারটা নিয়ে ভাব, তবে দেখবে যতই বেশি টাকা খরচ করে, আমার যাত্রার আসন সংরক্ষণ করি না কেন, আসলে মাধ্যমটিকে ছাপোষা গরীব শ্রেণীর বিভাগেই ফেলতে হয়, যেটাকে বুর্জোয়া শ্রেণীর লোকেরা কৌতুক সহকারে 'ইকোনমিক ক্লাস' বলে সম্মোধন করে থাকে। ওই খুপচি মার্কা আসনটিতে টানা দু-আড়াই ঘন্টা একভাবে বসে থাকাটা আমার জন্য খুবই দুস্কর, না পারবে একটু ভালো করে পা-ছড়িয়ে বসতে, না পারবে একটু লম্বা হতে। সেদিকে ট্রেনে একটু বেশি সময় লাগলেও তাতে আরাম এর কার্পণ্য নেই, যেমন - ইচ্ছে হাত-পা ছড়িয়ে ভ্রমণ করো, প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে, প্রকৃতিরই মধ্যদিয়ে।
আর যদি তুমি ভোজন রসিক হও একটু, সেক্ষেত্রেও ট্রেন তোমাকে উজাড় করে দেবে, কম খরচেই নানাবিধ মুখরোচক। বিমানে খাবার কি খাবে? খবর কেনার আগেই তোমার গলা কাটা যাবে! তো খাবে কেমনে? ১টা ১০টাকার পেপার-বোট (ঠান্ডা পানীয় বিশেষ) ৫০ টাকায় কিনতে হবে, ভাব তাহলে !
যদিও যখন ছোট ছিলাম বা যতদিন বিমান যাত্রার অভিজ্ঞতা হয়নি, সে সুযোগ এর অভাবে বা সামর্থের অভাবে, যাই হোক-না কেন, ততদিন বিমান নিয়ে আলাদা রোমাঞ্চ থাকলেও কালের নিয়মে বা পাকা দাড়ির অভিজ্ঞতার ভিড়ে জীবন থেকে হারিয়ে দিল্লি-কা লাড্ডু হয়ে গেছে।
~পমের বক্তব্য।
ঋষি-দা বানান সংশোধন এ সাহায্য করেছে (তারপরও ভুল থাকলে নিজে ঠিক ভাবে পড়ে নিও)
১১ই মার্চ, ২০১৯
রাত ১০টা ১১
পুনে বিমানবন্দর
————————————————————————————
গন্তব্য কলকাতা সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে হলে বলতে হয় কলকাতা বিমানবন্দর, সেখান থেকে কোথাও একটা কিন্তু সেটা মুখ্য আলোচ্য বিষয় না। অফিসিয়ালি ২০১৭-র ১৩ই ডিসেম্বর এর পর কলকাতা যাচ্ছি, ভাবতেই অবাক লাগে যে প্রায় দেড় বছর বাড়ী যায়নি! সময় যে কিভাবে কোন গতিতে কেটে যায় তা বোঝা বড় দায়। তা এবার যাত্রার কারণ কি তা পরে লিখছি। তার আগে বলে নিই যে অফিসিয়ালি বল্লাম কেন, কারণ শরীর খারাপ এর বাহান দিয়ে মাঝে দুবার এক বেলার ঝটিকা সফর সেরে এসেছি গত মাসেই, সে ব্যাপারটা নিতান্তই গোপনীয় তাই সেটা গোপনেই থাক।পরের লেখা কলকাতা থেকে লিখব। আর হ্যাঁ, দেড় বছর পর এবার ও সম্ভবত বাড়ী যাচ্ছি না, সে যাত্রা আগামীর কোন সংখ্যায় সংকলিত হবে. সময় নেই হাতে একদম বোর্ড
~পম-ইন এর খন বয়ে যায়।