SOCIAL WELFARE ORG.
একটি স্বেচ্ছা সমাজসেবা প্রতিষ্ঠান নিজের চেষ্টায় মানুষের পাশে থেকে, তাদের সহযোগিতা প্রাপ্তি করে, কাজে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে, রাজ্য ব্যাপী একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারা সম্ভব হয়েছে|
খেলাধূলা
আমরা ক্যারাটে, যোগা, টেবিল টেনিস, তীরন্দাজির মতো বিভিন্ন খেলাধূলাকে গড়বেতাতে 12বছর ধরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি | কিছু ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছি, কিছু পরিকাঠামোগত কারণে পিছিয়ে আছে |
সচেতনতামূলক ক্যাম্পেনিং
আমারা বিভিন্ন সচেতনতামূলক ক্যাম্পেনিং, সারা বছরের বিভিন্ন সমযে করতে থাকি | পরিবেশ দূষণ, জল সংরক্ষণ, ভোটদানের অধিকার, মহিলা আত্মরক্ষা, খেলা-ধূলার প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি বিষয়গুলি উপর বেশী গরুত্ব প্রদান করা হয় |
চক্ষু পরীক্ষা শিবির
আমরা দাশপুর গান্ধীমিশনের সহযোগিতায় একটি চক্ষু পরীক্ষা শিবির প্রতি মাসে আয়োজন করি | যা অতিমারী পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে অনিয়মিত হয়ে পড়েছে |
করোনা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী
বিগত 2 বছর করোনা অতিমারী পরিবেশে একটি স্পেশাল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী প্রস্তুত করতে পেরেছি, যারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করেও বিভিন্ন কোভিড আক্রান্ত পরিবারগুলির চাহিদা অনুসারে সহযোগিতা করে চলেছেন |
স্কিল ডেভেলপমেন্টে : স্বনির্ভরতা
আমরা স্কিল ডেভেলপমেন্টের বিভিন্ন কোর্স - যেমন, কম্পিউটর লিটারেসি, সিকিউরিটি ট্রেনিং, হাউস কিপিং ইত্যাদি বিভিন্ন সময়ে আয়োজনের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী তথা সমাজের পুরুষ-মহিলাদের স্বনির্ভরতার পথে পদক্ষেপের সিঁড়ি তৈরীর চেষ্টা করি |
সোশ্যাল মিডিয়া
বর্তমান মিডিয়ার প্রভাব ও প্রযুক্তিকে গ্রহন করে একটি ফেসবুক, একটি ইউটিউব চ্যানেল সুচেতনা টিভি ও এই শুল্ক মুক্ত সাইটটি বিভিন্ন কর্মসূচীর প্রচার বা সূচনার কাজে ব্যবহার করে কাজের ব্যাপ্তিকে আরও প্রসারিত করতে পারছি |এখানে নিয়মিত লেখালেখি বা কর্মকাণ্ডের খবরাখবর তুলে ধরার প্রচেষ্টা থাকে |
গুরুপ্রণাম হিসেবে সৃজা একটি সুন্দর রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে পাঠিয়েছে | খালি গলায় | বেশ শ্রুতিমধুর হয়েছে | ব্যাসপূর্ণিমার এই পুণ্য তিথিকে গোটা সুচেতনার শ্রদ্ধা ওর গানের সঙ্গে একাত্ম করে ইউটিউবে দিলাম |
আশা করি যারা শুনবে, সবারই একই ফিলিংস আসবে |
সুচেতনা যোগব্যায়াম পুরস্কার 2021
সুচেতনা যোগব্যায়াম পুরস্কার 2021
আমরা এখনো করোনা পরিস্তিতিতে সাবধানতার জন্য ছোটদের সেভাবে মাঠে আনতে পারছি না , গত দুবছর অনিয়মিত ভাবে চলছে যোগার প্রশিক্ষণ| এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের অনুশীলনে উতসাহ প্রদানের জন্য গতবছরের মতো এবছরও একটি অনলাইন যোগা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি |
বিশেষ উল্লেখ যে, আমরা গতবছর 15ই আগষ্ট সুচেতনা সেবা সংঘের কর্মসূচীগুলি নিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেছি | এ বছর এই প্রতিযোগিতার প্রতিটি প্রতিযোগির পারফরমেনস এই চ্যানেল তুলে ধরব |
এই প্রতিযোগিতা চলবে 15ই আগষ্ট পর্যন্ত | ঐ তারিখ পর্যন্ত যে কেউ ওয়াইড স্ক্রীন ভিডিও করে,তার নাম -পরিচয় দিয়ে, যে কোন একটি আসনের উপকারিতা বলে ও দেখিয়ে, পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের হোয়াটসআপ নম্বরে ||
হোয়াটসআপ নং 9732827413
16 ই আগষ্ট থেকে এগুলি আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সুচেতনা টিভি তে প্রদর্শিত হবে | তাই তার পর কোন অবস্থাতেই আর ভিডিও গ্রহন করা যাবে না |
এবং 30আগষ্টে এই প্রতিযোগিতার ফলাফল জানা যাবে এবং 2রা সেপ্টেম্বর আমাদের সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবসে পুরস্কার প্রদান করা হবে ||
দেখতে দেখতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সুচেতনা টিভি এক বছর পূর্ণ করল| এই ব্যাপারটা বেশ উতসাহজনক অন্তত সাবস্ক্রাইবারদের কাছে| এবং সংস্থার কাছেও | বিশেষ করে যারা নিরন্তর পরিশ্রম করে এর কন্টেন্ট, ভিডিও এডিটিং, স্যুটিং ইত্যাদি ব্যাক অফিসের কাজ করে সংস্থার সম্মানকে বজায় রেখেছেন |
তাই সুচেতনা সেবা সংঘ একটি চা চক্রের আয়োজন করছে সেইসমস্ত মানুষগুলির মিলনোতসব হিসেবে| যারা এই চ্যানেলটির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত|
কোথায় হবে, কখন হবে, জানিয়ে দেওয়া হবে |আসুন একসাথে এগিয়ে যায় মানবিকতার পথে |
মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমানো কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?
মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমানো কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?
সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মোবাইল এখন মানুষের প্রিয় সঙ্গী। বলা যায়, মোবাইল ফোন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী। কিন্তু জানেন কি, মোবাইল ফোনের সার্বক্ষণিক ব্যবহার কীভাবে ক্ষতি করছে আপনার শরীরে?
মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমানো কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ডেস্ক
৩ মিনিটে পড়ুন
একাধিক গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, মোবাইলের প্রতি আসক্তি ধীরে ধীরে আমাদের শেষ কর দিচ্ছে। এমনকি বাড়ছে ক্যানসারের মতো রোগের প্রকোপও। বিশেষত যারা মাথার কাছে ফোন রেখে ঘুমাতে যান, তাদের আয়ু তো চোখে পড়ার মতো কমছে। এর পেছনে মূল কারণ হলো রেডিয়েশন
চীন ও আমেরিকার দুটি পৃথক গবেষণায় গবেষকরা দেখিয়েছেন, মোবাইল ফোনের সার্বক্ষণিক সঙ্গ, বিশেষত রাত্রে ঘুমনোর সময়ে শরীরের কাছাকাছি মোবাইল ফোন রাখা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই অভ্যাস প্রাণঘাতীও হতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, বর্তমানে বেশির ভাগ মোবাইল ফোনেই ব্যবহৃত হয় লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। এই ব্যাটারি থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রায় ১০০টি গ্যাস নির্গত হয়, যেগুলো মানবশরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই সমস্ত গ্যাসের মধ্যে রয়েছে কার্বন মনোক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাসও। এই কার্বন মনোক্সাইড যদি অতিমাত্রায় শরীরে প্রবেশ করে তাহলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
তবে গবেষকরা জানাচ্ছেন, সাধারণভাবে মোবাইলের ব্যাটারি থেকে যে পরিমাণ গ্যাস নির্গত হয় তা প্রাণঘাতী মাত্রার নয়। তবে বিষয়টি সম্পর্কে মোবাইল গ্রাহকদের সচেতনতা অবশ্যই প্রয়োজন।
বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর সময় যারা মোবাইল ফোন মাথার কাছে রেখে ঘুমায়। মোবাইলের প্রভাবে তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মোবাইলের ব্যাটারি থেকে নির্গত গ্যাসের প্রভাবে চোখ, নাক ও গলা জ্বলার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: মোবাইলে ইন্টারনেটের স্পিড বাড়ানোর ৫ উপায়
যারা মাথার কাছে মোবাইল ফোন চার্জে লাগিয়ে ঘুমায়, তাদের শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। তাই গবেষকদের পরামর্শ, রাতে ঘুমানোর সময় চেষ্টা করুন মাথা থেকে দূরে রেখে ঘুমানোর। আর চেষ্টা করুন রুমের একটি জানালা খোলা রাখতে।
অবশ্য গবেষকরা জানিয়েছেন, শুধু রাত্রে নয়, মোবাইলের কাছে থাকা দিনের যে কোনো সময়েই ক্ষতিকর। এবং মোবাইল বা ট্যাবের ব্যাটারি যদি নিম্নমানের হয়, তাহলে তা থেকে নির্গত গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, ফলে শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনাও বাড়ে। গবেষকরা জানিয়েছেন, যেসব মোবাইল বা ট্যাবলেটের ব্যাটারি চার্জিং-এর সময়ে গরম হয়ে যায়, সেগুলি সাধারণত বেশি ক্ষতিকর হয় শরীরের পক্ষে। এ ছাড়া অনেক সময় মোবাইলের ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে।
যেভাবে মুক্তি পেতে পারেন
বেশির ভাগ মানুষ বালিশের নিচে বা ঘুমানোর সময় হাতের নাগালে ফোনটি রাখেন যাতে সহজেই তা পাওয়া যায়। কিন্তু কীভাবে এই অভ্যাসটি দূর করবেন? ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোনটি বালিশের পাশে কিংবা বিছানার ওপর না রেখে কিছু দূরে কোনো কিছুর ওপরে রাখুন। এতে ফোনের রেডিয়েশন থেকে ঘুম নষ্ট হবে না। যখন অ্যালার্ম বাজবে তখন আপনাকে উঠে গিয়ে ফোন বন্ধ করতে হবে।
অনেকেই ফেসবুক চালাতে চালাতে ফোন চালু রেখেই ঘুমিয়ে যান। আবার অনেকেই ঘুমানোর আগে দীর্ঘ সময় মেইল ব্যবহার করেন বা গেম খেলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের অভ্যাস ঘুমানোর জন্য মোটেও ভালো নয়। এতে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। আপনার ফোন ব্যবহার সীমিত করুন। গুরুত্বপূর্ণ কল বা বার্তা শোনার অপেক্ষার নিয়ম বদলে ফেলুন।
অনেকেই আবার মোবাইল ফোনে গান চালিয়ে তা শুনতে শুনতে ঘুমান। দেখা যায়, মোবাইল ফোনের সঙ্গে হেডফোন লাগিয়ে তা কানে দিয়ে ঘুমানোর আগে গান চালাচ্ছেন অনেকেই। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় ব্লুটুথ হেডফোনের ব্যবহার। আপনার ফোনটিকে দূরে রেখে আপনি ব্লুটুথ হেডফোন দিয়ে গান শুনতে পারেন।
আপনি কতক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন তার একটি দৈনন্দিন রুটিন তৈরি করুন। আপনি বাড়িতে ঢুকেই কতক্ষণ ফোন চালাবেন, তা ঠিক করে নিন এবং কখন ঘুমাতে যাবেন—সময় নির্দিষ্ট করে রাখুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট ওই সময়ের মধ্যেই কেবল ফোন ব্যবহার করবেন আর রাতের বাকি সময়টাতে সকাল না হওয়া পর্যন্ত আর ফোন স্পর্শ করবেন না। এটা যদি অভ্যাস হিসেবে গড়ে ওঠে, তখন আপনার ফোনটিকে সব সময় বিছানার পাশে হাতড়ে বেড়াতে হবে না কিংবা ঘুমের বিঘ্ন হবে না। মোবাইলে ক্যান্ডি ক্রাশ খেলে ঘুমাতে যাওয়ার চেয়ে কোনো একটি বই হাতে তুলে নিতে পারেন, যাতে মস্তিষ্ক কিছুতেই বিক্ষিপ্ত না হয়। এবার ঘুমাবেন শান্তিতেই।
তামিলনাড়ু রাজ্যে রয়েছে চারটি বিখ্যাত হাসপাতাল। চোখ বন্ধ করে এদের যেকোনো একটিতে চিকিৎসা করাতেই পারেন। কিন্তু কোন হাসপাতালে আপনার যাওয়া সঠিক হবে তা জানবেন কিভাবে? এটা জানতে পুরো প্রতিবেদনটি পড়ুন। কথা দিচ্ছি আপনি নিজেই ঠিক করে নিতে পারবেন কোন হাসপাতালে চিকিৎসা করাবেন।
১. অ্যাপোলো (Apollo Hospital) –
অ্যাপোলো হাসপাতাল চেন্নাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ভালো। এখানে রয়েছে সবচেয়ে উন্নত যন্ত্রপাতি এবং বিশ্বমানের ডাক্তার। কিন্তু এখানে খরচ দক্ষিন ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এখানে চিকিৎসা করাতে সময় লাগে দক্ষিন ভারতের অন্যান্য হাসপাতালের তুলনায় অনেক কম। সুতরাং কম সময়ে ভালো চিকিৎসা করাতে চাইলে এখানে চলে আসুন। তবে চিকিৎসার খরচ পড়বে অন্য হাসপাতালের থেকে অনেক বেশি। অবস্থান – অ্যাপোলো হাসপাতাল চেন্নাই সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশান থেকে মাত্র ৪ কিমি এবং চেন্নাই এগমোর রেল স্টেশান থেকে ৩ কিমি দূরে অবস্থিত। হাওড়া অথবা শিয়ালদা থেকে অনেক ট্রেন পেয়ে যাবেন। এই হাসপাতাল চেন্নাই এয়ারপোর্ট থেকে ১৫ কিমি দূরে অবস্থিত।
ঠিকানা –
Apollo Hospitals, Greams Road
21, Greams Lane
Off Greams Road
Chennai – 600006
ফোন – +91-44-28290200 / +91-44-28293333
+91-44-28294429
থাকা ও খাওয়া –
চেন্নাইয়ের অ্যাপোলোতে গেলে ভাষা নিয়ে একটু সমস্যা হলেও খাওয়া দাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। ঠিক অ্যাপোলো হাসপাতালের পাশেই রয়েছে অনেকগুলি বাঙালী হোটেল। কম খরচে বাঙালীর মাছ-ভাত জুটে যাবে। তবে নিজেরা রান্না করেও খেতে পারবেন। তাঁর জন্য আলাদা হোটেল আছে। সেখানে থাকতে হবে। ওখান থেকে রান্না করার জন্য বাসন ভাড়া নিতে পারবেন। ভাষা নিয়েও খুব একটা সমস্যা হবে না। সমান্য হিন্দি বা ইংরাজীতে জ্ঞান থাকলেই চলে যাবে। থাকার জন্য রয়েছে দামী, কমদামী অনেক হোটেল। চেষ্টা করবেন হাসপাতালের সবচেয়ে কাছে থাকার। তাহলে প্রতিদিন হাসপাতালে যাওয়ার খরচ বেঁচে যাবে।
সময় –
১। টুকটাক ডাক্তার দেখানোর জন্য গেলে ৮ থেকে ১০ দিনের প্ল্যান করলেই চলবে।২। বড় মাপের চিকিৎসা অথবা অপারেশানের জন্য কমপক্ষে ২০ দিনের মতো সময় নিয়ে যেতে হবে।
রেজিস্ট্রেশান :
এ্যাপোলো হাসপাতালে ঢোকার মুখেই ডান দিকে প্রথমে যে বিল্ডিংটা রয়েছে তার নাম “সুন্দুরি ব্লক/Sundoori Block”। এই ব্লকেই হয় রেজিস্ট্রেশান।
২. শ্রী রামাচন্দ্র মেডিকেল সেন্টার (Sri Ramachandra Medical Centre) –
পকেটে টাকা কম থাকলে তাহলে আপনি চেন্নাইয়ের শ্রী রামাচন্দ্র মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা করাত পারেন। তবে এখানে চিকিৎসার জন্য সময় লাগবে সি.এম.সি ভেলোরের তুলনায় অনেক কম। শ্রী রামাচন্দ্র মেডিকেল সেন্টারটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা হয় চেন্নাই এর পোরুর নামক জায়গায়। তবে সেরকমভাবে এর পরিচিতি না থাকায় আমরা অনেকেই এই মেডিকেল সেন্টার সম্পর্কে কিছুই জানিনা। কিন্তু এখানে চিকিৎসা দানের পদ্ধতি অনেক ভালো আর খরচও বেশ কম। বিশেষ করে মেডিকেল সেন্টারটির পরিবেশ আর চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা চোখে লাগার মতো।
ঠিকানা –
এই হাসপাতাল চেন্নাই সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১৭ কিমি দূরে অবস্থিত।
Sri Ramachandra Medical Centre
No.1 Ramachandra Nagar, Porur
Chennai, Tamil Nadu,
৩. ভেলোরের সি.এম.সি হাসপাতাল –
কম খরচে ভালো মানের চিকিৎসার চিকিৎসার জন্য বিখ্যাত দক্ষিন ভারত। দক্ষিন ভারতের তামিলনাডু রাজ্যের ছোট এক জেলা শহর ভেলোর। সি.এম.সি হল ভারতের একেবারে প্রথম শ্রেনীর হাসপাতাল। এই হাসপাতাল ঘিরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য হোটেল ও লজ। রুম ভাড়াও তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। কম খরচে চিকিৎসা করাতে চাইলে সি.এম.সি সবচেয়ে ভালো। তবে অত্যধিক ভিড়ের জন্য এখানে চিকিৎসা করাতে সময় লাগে অনেক বেশি।
কেন ভেলোরে চিকিৎসা করবেন?
ভেলোরে রয়েছে ভারতের বিখ্যাত সিএমসি হাসপাতাল। এই হাসপাতালে পাবেন বিশ্বমানের চিকিৎসা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম খরচে। কারণ এটি খ্রিস্টান মিশনারী পরিচালিত একটি অলাভজনক হাসপাতাল।
ঠিকানা –
এই হাসপাতেলে যেতে গেলে আপনাকে নামতে হবে কাটপাটি স্টেশনে। কোলকাতা থেকে কাটপাটি স্টেশনে অনেকগুলি ট্রেন দাঁড়ায়। কাটপাটি স্টেশন থেকে অনেক গাড়ি পেয়ে যাবেন।
Address :
Ida Scudder Road, Vellore, Tamil Nadu 632004
Phone: 0416 228 1000
কোথায় থাকবেন?
সিএমসি এর আশে পাশেই অসংখ্য হোটেল, লজ পাবেন। লজগুলোতে পাবেন রান্নার সুবিধা এবং রুম ভাড়াও তুলনামূলক ভাবে কম।
৪. শ্রী নারায়নী হাসপাতালে (Sri Narayani Hospital & Research Centre) –
অল্প খরচ এবং অল্প সময়ে ভালো চিকিৎসা পেতে হলে ভেলোরের শ্রী নারায়নী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারেন। সি.এম.সি ভেলোর হাসপাতাল থেকে এই শ্রী নারায়নী হাসপাতালের দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার। ভেলোর একটি ছোট শহর হলেও এখানে রয়েছে দুটি বিশ্বমানের হাসপাতাল। কাটপাটি স্টেশন থেকে এই হাসপাতালের দূরত্ব হল ২৮ কিলোমিটার।
ঠিকানা –
Sri Narayani Hospital & Research Centre
Azad Road, Sripuram, Thirumalaikodi, Vellore, Tamil Nadu 632055
Phone: 0416 220 6301
৫. মানিপাল হাসপাতাল (Manipal Hospital) –
মনিপাল হাসপাতাল বেঙ্গালুরুর একটি প্রধান হাসপাতাল। এটি একটি ৬০০ বেড বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল। আরো ৩০০ বেড এখানে শিগ্রই যুক্ত করার পরিকল্পনা চলছে। এখানে চিকিৎসার খরচ চেন্নাইএর অ্যাপোলোর তুলনায় অনেকটা কম।
এই হাসপাতালের অনেকগুলি ইউনিট আছে যেমন মনিপাল হার্ট ইনস্টিটিউট, মিনিপাল ইনস্টিটিউট অব নেফ্রোলজি অ্যান্ড ইউরোলজি, মনিপাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজিকাল ডিসঅর্ডার, মনিপাল কম্পিভেনশিয়াল ক্যান্সার সেন্টার এবং মনিপাল ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার সেন্টার। এই সব সেন্টার গুলি সাফল্যের সাথে কাজ করে চলেছে।
ঠিকানা –
Manipal Hospital HAL Airport road
Manipal Hospital
98, HAL Airport road,
Bangalore – 560 017
Appointment Helpline: 1800 3001 4000
Enquiries: +91 80 40119000/2502 4444
কিন্তু যাদের সময় ও ধৈয্য আছে তারা চিকিৎসা করাবেন সি.এম.সি তে। সিএমসিতে চিকিৎসা বিশ্বমানের কিন্তু রোগীর আধিক্যের কারনে ডাক্তারের এ্যাপয়েন্টমেন্ট থেকে শুরু করে সব কিছুতেই সময় লাগবে বেশি। এখানে লাইনে দাড়াতে হবে, ওয়েটিং রুমে দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হবে। যাদের সময় কিংবা ধৈয্য কম কিন্তু টাকা আছে তাদের সাজেস্ট করব চেন্নাই এ্যাপোলোতে চিকিৎসা করতে। আর যাদের সময়, ধৈয্য এবং টাকা সবই কম তাদের জন্য পরামর্শ দেব শ্রি রামচন্দ্র বা নারায়নী হাসপাতালে চিকিৎসা করতে। দুইটির মধ্যে শ্রি রামচন্দ্র হাসপাতাল কিছুটা হলেও এগিয়ে। -সংগৃহীত।