সিলেট রাতারগুল গ্রুপ ফটোতে আমরা সবাই
সিলেট রাতারগুল গ্রুপ ফটোতে আমরা সবাই
সিলেট রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট :
ররাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট (Ratargul Swamp Forest) বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন বা সোয়াম্প ফরেস্ট এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, যা সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর মাত্র কয়েকটি জলাবনের মধ্যে অন্যতম একটি। রাতারগুল যা বাংলার অ্যামাজন নামেও পরিচিত।
আমরা সকল বন্ধুরা মিলে ১৪ ফ্রেবুয়ারি ২০২৪ সালে চলে যাই সিলেট ভ্রমনে, যেখানে রবিন, আবদুল্লাহ, ইমন,রোহান,আসিফ,লাদেন,রাকিব,আশিক,রিদয় ও আমি (শরিফ আলম) সহ মোট ১০ জন ছিলাম। সিলেট ভ্রমনের কিছু টা সময় এর জন্য ঘুরতে যাই রাতারগুল।
নৌকাতে চড়ে রাতারগুল ঘুরার সময় সেলফি রবিন
রাতারগুল প্রবেশ টিকেট :
১৪ তারিখ সকালে আমরা সিলেটের অন্যতম জলাবন রাতারগুল ঘুরতে যাই। রাতারগুল এর টিকেট জনপ্রতি ২০০ টাকা। ২০০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে নৌকাতে চড়ে পুরো রাতারগুলটি ঘুরে দেখতে পারবেন, সাথে মাঝির গান অন্যরমক একটি আনন্দ দিবে ভ্রমন পিপাসুদের।
রাতারগুল ভ্রমন এর উপযুক্ত সময় :
শীতে জল শুকিয়ে যায় বলে বর্ষা এবং বর্ষা পরবর্তী সময় (জুলাই থেকে অক্টোবর) রাতারগুল ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। তবে আমরা ফ্রেবয়ারি মাসে গিয়ে রাতারগুল এর প্রকৃত সুন্দর্য উপভোগ করতে পারিনি। রাতারগুল এর অর্ধেক জলবনই ছিলো পানি শূন্য। যা আমাদের সবাইকে নিরাশ করেছে। বর্ষাকালে এই বন ২০–৩০ ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত থাকে। বাকি সারা বছর, পানির উচ্চতা ১০ ফুটের মতো থাকে। রাতারগুল ভ্রমনের উপযুক্ত সময় জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে। এই ৪ মাস ব্যতীত অন্য সময় গেলে আমাদের মতো নিরাশ হয়ে আসতে হবে। কারণ জুলাই - অক্টোবর মাস ছাড়া বাকী সবসময় পানি শুকিয়ে যায়, যা রাতারগুল এর ৯০% সুন্দর্য থেলে বঞ্চিত করে।
মাঝির গাওয়া গান :
অসময়ে পানি শূন্য রাতারগুলে গিয়ে নিরাশ হলেও মাঝির গাওয়া গান শুনে একটি হলেও রাতারগুল এর কিছুটা সুন্দর্য উপভোগ করতে পেরেছি আমরা। সকল বন্ধুরা মিলে নৌকায় বন দেখতে দেখতে মাঝির গাওয়া গান শুনা সত্যি কিছুক্ষণের জন্য সময়টা দারুণ কেটেছিলো। মাঝির গান ছাড়াও আমারা সকল বন্ধু গান গাওয়া শুরু করে দেই। আমাদের মাঝে লাদেন খুব ভালো গান গায়। যার গান শুনতে শুনতে আমরা নৌকায় চড়ে রাতারগুল টি ঘুরে দেখি।
গান গাওয়ার সময় মাঝি।
রাতার গুলের যোগাযোগ ব্যবস্থা :
সিলেট শহর থেকে সহজে ২টি পথে রাতারগুল যাওয়া সম্ভব। পর্যটকরা দুটি পথ ব্যবহার করতে পারেন। রাতারগুলের সবচেয়ে সহজ আর সুন্দর পথটি হল — সিলেট শহরের পাশেই খাদিম চা বাগান আর খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে। খুব অল্প সময়েই এই পথ ধরে রাতারগুল পৌঁছানো সম্ভব। সিএনজি অটোরিকশা বা জিপ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে ঘুরে আসতে পারেন এই রাতারগুল থেকে। আমরা ১০ জন থাকার কারনে জিপ ঘাড়ি ভাড়া করে ঘুরতে চলে যাই।
রাতারগুল ভ্রমন নিয়ে আমার পরামর্শ :
রাতারগুল এ ভ্রমম করে আমার যেটুকু অভিজ্ঞতা হয়েছে তাথেকে আপনাদের জন্য কিছু পরামর্শ যা হয়তো আপনাদের ভ্রমনে অনেক হেল্পফুল হবে। রাতারগুল ভ্রমন করলে অবশ্যই জুলাই-অক্টেবর এর মধ্যে করবেন। এসময় ব্যাধিত অন্য সময়গুলো তে রাতারগুল এর সুন্দর্য উপভোগ করা যায় না। এবং আপনার সকালে অথবা বিকালে ভ্রমন করার চেষ্টা করবেন। কারণ দুপুর টাইমে অনেক রোদ থাকে এবং নৌকাগুলোর উপরে ছাওনি না থাকায় দুপুরের রৌদে ভালো ভাবে ঘুরতে পারবেন না।
আজকের সিলেটে রাতারগুল ভ্রমণ গাইড লাইনটি এই পর্যন্তই। চাইলে সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাকে ফলো করতে পারেন।