শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষার জন্য নির্মিত হয়েছে নতুন ভবন, স্থাপন করা হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির লিফট, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার এবং সমৃদ্ধ লাইব্রেরি । শিক্ষক মিলনায়তন ও অডিটোরিয়ামে সংযোজন করা হয়েছে এয়ারকন্ডিশন। সম্পূর্ণ বিদ্যালয় সিসিটিভির আওতায় আনা হয় । প্রতিটি ক্লাসরুমে উন্নত মাল্টিমিডিয়া, ড্যাশবোর্ড ও প্রজেক্টর স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে বায়োমেট্রিক হাজিরা । শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে তাদের লেখাপড়ার খোঁজ খবর নেয়ার জন্য মনিটরিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে । শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রেখে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতন করে গড়ে তোলার জন্য চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য বিদ্যালয়ে ‘মুজিব কর্ণার' স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য লাইব্রেরি কার্ডের মাধ্যমে বই নিয়ে বাসায় পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব' ও ‘ICT শিক্ষা কেন্দ্র' এবং ‘শেখ রাসেল স্কুল অফ ফিউচার' স্থাপিত হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তথ্য-প্রযুক্তির বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারবে
আমাদের বিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত উপকৃত হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক দেখভাল করছে। বিশুদ্ধ পানির সুবিধা থাকায় আমরা যেকোনো সময় সহজেই পরিশোধিত পানি পান করতে পারি, যা আমাদের সুস্থ থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরি। পানির বিশুদ্ধতার জন্য বিদ্যালয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যেমন ওয়াটার পিউরিফায়ার বা ফিল্টার।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য বিদ্যালয়ে ‘মুজিব কর্ণার' স্থাপন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও তাঁর আদর্শ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে। মুজিব কর্নারে বঙ্গবন্ধুর জীবনী, তাঁর রাজনৈতিক সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকে। শিক্ষার্থীরা এসব তথ্য পড়তে ও জানতে পেরে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করছে।
আমাদের গ্রন্থাগারে বিভিন্ন বিষয়ে প্রচুর বই রয়েছে। পাঠ্যপুস্তক ছাড়াও সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল, জীবনী, কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের বইয়ের সমৃদ্ধ সংগ্রহ রয়েছে। গ্রন্থাগার শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের বাইরেও জ্ঞান অর্জনের সুযোগ প্রদান করে। এখানে তারা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে এবং নিজেদের জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পারে। গ্রন্থাগারের বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন গল্প ও উপন্যাস তাদের কল্পনাশক্তিকে উদ্দীপ্ত করে এবং সৃজনশীল চিন্তাধারাকে বিকশিত করে।
শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করছে। এতে তাদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজিটাল ল্যাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিজেদের পঠিত বিষয়গুলো আরও গভীরভাবে শিখতে পারছে। তারা অনলাইনে বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভিডিও, টিউটোরিয়াল ও রিসোর্স ব্যবহার করতে পারছে। শিক্ষার্থীরা ল্যাবের সাহায্যে বিভিন্ন গবেষণা ও প্রজেক্ট কাজ করতে পারছে।
মাল্টিমিডিয়া ও প্রজেক্টর ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা আরও ইন্টারেক্টিভ এবং আকর্ষণীয় হয়েছে। শিক্ষকদের পাঠদান এখন আরও জীবন্ত এবং শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়েছে। মাল্টিমিডিয়া ও ড্যাশবোর্ড ব্যবহারের ফলে শিক্ষকরা ডিজিটাল নোটস ও উপস্থাপনা তৈরি করে শিক্ষার্থীদের কাছে উপস্থাপন করতে পারছেন। এতে শিক্ষার মান উন্নত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা সহজে রিভিশন করতে পারছে। মাল্টিমিডিয়া এবং প্রজেক্টরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দলগত কার্যক্রম ও প্রজেক্টে অংশ নিতে পারছে। এতে তাদের সমষ্টিগত কাজের দক্ষতা এবং সহযোগিতার মনোভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শিক্ষক কক্ষে শিক্ষকরা স্বাচ্ছন্দ্যে বসে তাদের প্রস্তুতি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। এতে তারা পাঠদানের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারেন এবং শিক্ষার্থীদের আরো ভালোভাবে শিক্ষা দিতে সক্ষম হন। শিক্ষক কক্ষ শিক্ষকদের পাঠ পরিকল্পনা, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, গ্রেডিং, এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় স্থান সরবরাহ করে। এতে তাদের কাজের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। শিক্ষক কক্ষটি শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা, পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে কাজ করে।
বিজ্ঞানাগারে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে। এতে তাদের তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি প্রায়োগিক দক্ষতাও বৃদ্ধি পায়। বিজ্ঞানাগারের ব্যবহার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আগ্রহ ও উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। তারা বিজ্ঞান বিষয়ের গভীরতা ও রহস্যময়তা সম্পর্কে জানতে পারে এবং নতুন কিছু আবিষ্কারের উৎসাহ পায়।
মডেল একাডেমিতে একটি নান্দনিক লিফট রয়েছে, যা দুই এবং তিন নম্বর ভবনের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এই লিফটটি তৈরি হওয়ায় শিক্ষকরা সহজে এবং সময়মতো নিজ নিজ শ্রেণিকক্ষে পৌঁছাতে পারেন। শারীরিকভাবে অক্ষম শিক্ষার্থীরাও এই লিফট ব্যবহার করে তাদের শ্রেণিকক্ষে যেতে সক্ষম হয়।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মডেল একাডেমিতে রয়েছে একটি ডাক্তার কক্ষ। ভবন ৩ এর নিচ তলায় এটি অবস্থিত। এখানে এসে শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে। অন্য কোনো ওষুধ কেনার প্রয়োজন হলে এখান থেকে একটি প্রেসক্রিপশন প্রদান করা হয়।