''শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড''- কথাটি বারবার শোনা হয়। তবে এই শিক্ষা কিভাবে দেয়া হবে তার ওপর নির্ভর করবে একটি জাতির মেরুদণ্ড কিরকম হবে। তাই এই শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিয়ে একটি মানবিক, পরমতসহিষ্ণু ও আদর্শ দেশপ্রেমী নাগরিক গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ। শিক্ষার স্বর মৃদু, কিন্তু ঝংকার মর্মস্পর্শী ও উদ্যমী। উদ্যমশীল জীবনের জন্য শিক্ষার ঝংকার প্রাণের মধ্যে ধারণ করতে হবে । শিক্ষার শেকড়ের স্বাদ তেঁতো হলেও এর ফল মিষ্টি। সুস্থ দেহে সুন্দর মন তৈরি করাই হলো শিক্ষা ৷ একমাত্র শিক্ষাই পারে একটি জাতির আশার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করতে। ‘মডেল একাডেমি' প্রতিনিয়তই সেই শিক্ষাকে জীবনধর্মী, প্রাণস্পর্শী, মানবিক, ন্যায়ভিত্তিক ও বৈশ্বিক যোগাযোগধর্মী করে তুলছে। শিক্ষার্থীর মাঝে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সৃজনশীলতা, স্বপ্ন-কল্পনা, শৈল্পিক জীবনবোধ, কলাকৈবল্য, মননশীলতা, নৈতিক জীবনবোধ ও ভবিষ্যৎ কৃতকর্তব্যের বিস্তার ঘটাতে সদা তৎপর।
একটি বীজ যেমন আলো, বাতাস ও যত্ন পেলে ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে এবং একসময় ফল দেয়, ঠিক তেমনই একজন আদর্শ নাগরিক গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন আদর্শ শিক্ষক, সঠিক জ্ঞান এবং ভালোবাসা। এই লক্ষ্য নিয়েই মডেল একাডেমি বছরের পর বছর এগিয়ে চলেছে। আমাদের পড়ানোর পদ্ধতি খুবই সহজ-সরল। আমরা শিক্ষার্থীদেরকে গল্পের ছলে, যুক্তির মাধ্যমে এবং সঠিক জ্ঞান প্রয়োগ করে আনন্দদায়ক এবং সহজ-সরল ভাষায় শিক্ষাটা বুঝিয়ে থাকি। এতে শিক্ষার্থীদের মনে নতুন কিছু জানার আগ্রহ প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়।
আমাদের স্কুলে প্রতিবছর ১ম-৫ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নেয়া হয় পরীক্ষা। প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বছরে ৪টি পরীক্ষায় অংশ নেয়। যেগুলো হলো যথাক্রমেঃ ১ম টিউটোরিয়াল, অর্ধ বার্ষিক,২য় টিউটোরিয়াল ও বছর শেষে বার্ষিক পরীক্ষা। টিউটোরিয়াল পরীক্ষাগুলির জন্য পূর্ণমান থাকে ৩০ নম্বর ও সময় বরাদ্দ থাকে ১ ঘন্টা। অর্ধ বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষাগুলি হয় ৭০ নম্বরের ওপর, সময় থাকে ২ ঘন্টা। ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বছরে ২টি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে। যেগুলো হলো যথাক্রমে : প্রাক-নির্বাচনী এবং নির্বাচনী পরীক্ষা। সময় থাকে ৩ ঘন্টা এবং পূর্ণমান থাকে ১০০ নম্বর।
আমাদের বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ হতে ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়মিত নেয়া হয় মূল্যায়ন। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিলেবাস অনুযায়ী প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা শিখনকালীন মূল্যায়ন ও সামষ্ঠিক মূল্যায়ন গুলোতে অংশগ্রহণ করে থাকে। আমাদের শিক্ষকরা সরকারি প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত ও যথেষ্ট দক্ষতার সাথে তারা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে থাকেন। শিক্ষার্থীরাও বিষয় শিক্ষকদের নির্দেশনা মোতাবেক মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে থাকে।
মডেল একাডেমিতে বিষয়ভিত্তিক দুর্বল শিক্ষার্থীদর জন্য রয়েছে বিশেষ ক্লাসের সুব্যবস্থা। শিক্ষার্থীরা কোনো বিষয় নিতান্তই বুঝতে না পারলে, তারা উক্ত বিষয় শিক্ষকের নিকট বিশেষ ক্লাসের জন্য আবেদন করতে পারে। শিক্ষকরাও উপযোগী সময়ে শিক্ষার্থীদের বিশেষ ক্লাসের আয়োজন করে থাকেন।
প্রতিটি ক্লাস শেষ করে আমাদের শিক্ষকরা ওই নির্দিষ্ট পাঠের ওপর একটি বাড়ির কাজ প্রদান করেন; সেটি হয় শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় এবং বোধগম্য। তবে বাড়ির কাজ যেন শিক্ষার্থীদের জন্য বোঝা না হয়ে যায় সেটির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়।