*‘মডেল একাডেমি’ মিরপুরের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি তার সুশীল কল্পনা ও শৈল্পিক জীবন বোধের অভিব্যক্তি ঘটাতে সদা তৎপর। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ প্রতিষ্ঠান সুনামের সাথে সুশিক্ষিত জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলছে।*
*শিল্প-সাহিত্যের জ্ঞানচর্চা ব্যতিরেকে শিক্ষার্থীদের মানবীয় গুণাবলির বিকাশ সম্ভব নয়। বর্তমান বিশ্বে একজন যোগ্যতর মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে সৃজনশীলতার মন বিকল্প নেই। করোনা কালীন সময়েও আমাদের বিদ্যালয়ে বন্ধ থাকায়ও অনলাইন ক্লাস নেয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করা হয়েছিল । করোনা কালীন দুর্যোগ কাটিয়ে শিক্ষার্থীরা আগের মতো আবার শিক্ষার মূল ধারায় ফিরে আসতে পেরেছিলো ।*
*করোনাকালীন সময়ে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনভাতা দেওয়ার সক্ষমতা ছিল না। সরকারি নির্দেশনা মেনে প্রায় ১ কোটি টাকা ২০২০ সালে শিক্ষার্থীদের মওকুফ করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষা সহায়তা তহবিল থেকে ২০২০, ২০২১, ২০২২ শিক্ষাবর্ষে লক্ষ লক্ষ টাকা সহায়তা প্রদান করে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে মডেল একাডেমি মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সকল ভয়ভীতি ও দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে RAB-4 এর করোনায় আক্রান্ত সকল সদস্যের আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছিল মডেল একাডেমিতে । *
*পুস্তকলব্ধ জ্ঞানের পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা স্বীয় মেধার যে স্বাক্ষর রেখে চলেছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে প্রত্যেকে এক-একজন যোগ্য বিশ্ব নাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে।*
*বিদ্যালয়েটিতে প্রতিবছর একটি কলকাকলী প্রকাশ করা হয় । স্কুল ম্যাগাজিন যেমন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে সুযোগ করে দেয়, তেমনি এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিগত বছরগুলোর কার্যক্রম ও শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের বিবরণও প্রতিফলিত হয়। সৃজনশীল শিক্ষার বিস্তার বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম লক্ষ্য। সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে মডেল একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত বার্ষিকী “কলকাকলী” শিশু কিশোরদের সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। *
*প্রতিটি শিশু-কিশোরের মাঝেই সুপ্ত রয়েছে একটি বিস্ময়কর প্রতিভা। শুধুমাত্র একটি সৃজনশীল স্ফূরণই ঘটাতে পারে এর পরিপূর্ণ বিকাশের মহাপথযাত্রার শুভ সূচনা। শিক্ষার্থীর মাঝে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সৃজনশীলতা, স্বপ্ন-কল্পনা, শৈল্পিক জীবনবোধ, কলাকৈবল্য, মননশীলতা, নৈতিক জীবনবোধ ও ভবিষ্যৎ কৃতকর্তব্যের বিস্তার ঘটাতে সদা তৎপর। এই বৃহৎ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের বার্ষিক প্রতিবিম্ব স্বরূপে ‘কলকাকলী' স্মরণিকা প্রকাশ করা হয় ।
*আনন্দপূর্ণভাবে পালিত হয় জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস। শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম ও মানবিক শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে মুজিব বর্ষে বিশেষ আলোচনা সভা, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের রেকর্ড শোনানো হয়, গুরুত্বের সাথে পালন করা হয় জাতীয় শিক্ষাসপ্তাহ সহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস। শুধু বিদ্যালয়ের হিতসাধনে নয়, মডেল একাডেমি অন্যান্য মানব হিতৈষী কাজেও অংশগ্রহণ করে । *
*শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষার জন্য নির্মিত হয়েছে নতুন ভবন, স্থাপন করা হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির লিফট, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার এবং সমৃদ্ধ লাইব্রেরি । শিক্ষক মিলনায়তন ও অডিটোরিয়ামে সংযোজন করা হয়েছে এয়ারকন্ডিশন। সম্পূর্ণ বিদ্যালয় সিসিটিভির আওতায় আনা হয় । প্রতিটি ক্লাসরুমে উন্নত মাল্টিমিডিয়া, ড্যাশবোর্ড ও প্রজেক্টর স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে বায়োমেট্রিক হাজিরা । *
*নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে নিজ নিজ বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সহ পাঠ্যক্রমিক কার্যাবলীর অংশ হিসেবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে মডেল একাডেমি সাহিত্য সংসদ, আর্টস ক্লাব, সংগীত ক্লাব, দাবা ক্লাব, মার্শাল আর্ট ক্লাব, নৈতিক শিক্ষা ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, গণিত ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব, ইংলিশ ক্লাব, স্কাউট, গার্লস গাইড, হলদে পাখি গ্রুপ এবং কাব স্কাউট । *
*প্রতি বছর প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনায় ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব দিয়ে বিদ্যালয়ের বার্ষিক কর্মকান্ড শুরু হয়। উৎসবমূখর পরিবেশে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়, প্রকাশিত হয় বিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রকাশনা ‘কলকাকলি’। প্রভাতী এবং দিবা শাখায় পরিচালিত এ বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থীরা গ্রীষ্ম ও শীতকালীন ক্রীড়া, বিতর্ক, গণিত অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় মিরপুর শিক্ষা থানা ও ঢাকা মহানগরী সহ দেশ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ সহ শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত মেধাবৃত্তি পেয়ে কৃতিত্বের সাক্ষর রেখে আসছে। *
*তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ।*