নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কিছু শিক্ষার্থী নতুন পদ্ধতি এবং মূল্যায়ন ব্যবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে এবং তারা মনে করে যে এটি তাদের আরও বেশি শিখতে সাহায্য করছে। অন্যরা নতুন কারিকুলামকে চ্যালেঞ্জিং মনে করছে এবং তারা পূর্ববর্তী ব্যবস্থার সাথে আরও বেশি পরিচিত ছিল।
নতুন কারিকুলাম সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কিছু ইতিবাচক মতামত:
আরও বেশি ব্যবহারিক: অনেক শিক্ষার্থী মনে করেন যে নতুন কারিকুলাম তাদের আরও বেশি ব্যবহারিক দক্ষতা শিখতে সাহায্য করছে যা তাদের ভবিষ্যতের কর্মজীবনে প্রয়োজন হবে। উদাহরণস্বরূপ, তারা এখন ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে, প্রকল্পে কাজ করতে এবং গ্রুপে উপস্থাপনা দিতে বেশি সময় কাটাচ্ছে।
আরও মূল্যায়ন পদ্ধতি: নতুন কারিকুলামে শুধুমাত্র পরীক্ষার উপর নির্ভর করে না, বরং মূল্যায়নের জন্য বিভিন্ন ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করে। এর মধ্যে রয়েছে প্রকল্প, গবেষণাপত্র, উপস্থাপনা এবং মৌখিক পরীক্ষা। শিক্ষার্থীরা মনে করেন যে এটি তাদের বিভিন্ন দক্ষতা প্রদর্শন করতে এবং তাদের শেখা সম্পর্কে আরও ভাল প্রতিক্রিয়া পেতে সাহায্য করে।
আরও বেশি স্বাধীনতা: নতুন কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের তাদের শেখা সম্পর্কে আরও বেশি স্বাধীনতা দেয়। তারা এখন বিভিন্ন বিষয় থেকে বেছে নিতে পারে এবং তাদের নিজস্ব আগ্রহ অনুসরণ করতে পারে।
নতুন কারিকুলাম সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কিছু নেতিবাচক মতামত:
বেশি চ্যালেঞ্জিং: অনেক শিক্ষার্থী মনে করেন যে নতুন কারিকুলাম পূর্ববর্তী ব্যবস্থার চেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং। তারা নতুন ধারণা এবং বিষয়বস্তু দিয়ে লড়াই করছে এবং তারা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে চাপ অনুভব করছে।
অপ্রয়োজনীয় জটিলতা: কিছু শিক্ষার্থী মনে করেন যে নতুন কারিকুলাম অপ্রয়োজনীয়ভাবে জটিল। তারা মনে করেন যে পাঠ্যক্রমটি সংক্ষিপ্ত করা উচিত এবং শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতার উপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
অপর্যাপ্ত সম্পদ: নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ নেই বলে অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন। তাদের যথেষ্ট পাঠ্যপুস্তক, ল্যাব সরঞ্জাম এবং শিক্ষক নেই।
নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের সুবিধা :
নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি পরিবর্তিত হয়েছে এবং এটি একটি নতুন পরিসংখ্যানিক ও বৈজ্ঞানিক ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের ধারাবাহিক বিচারশক্তি উন্নয়ন হচ্ছে এবং তারা নিজেদের ধারণাগুলির প্রতি বিশেষ বিশ্বাস অর্জন করছেন। এটি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক মনের সহযোগিতা এবং নৈতিক মূল্যায়নের জন্য একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও, এই কারিকুলাম শিক্ষার প্রক্রিয়ায় রচনাত্মক মনোভাব উত্তেজনাপ্রদ করে এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিটি পাঠের মধ্যে নিজেদের বিশেষ আশাপ্রবণতা এবং সমস্যার সমাধানের দিকে উদ্বুদ্ধ করে।