দশম শ্রেণী (Class – X)
CHAKDAHA COLLEGE MORE (YUBADAY SANGHA) , CHAKDAHA, NADIA, MOB- 9775109285
CHAKDAHA COLLEGE MORE (YUBADAY SANGHA) , CHAKDAHA, NADIA, MOB- 9775109285
১. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখাে : ১ X ৩ = ৩
১.১ বৃক্কীয় নালিকায় জলের পুনঃশােষণ ঘটাতে সাহায্য করে যে হরমােন তা নির্বাচন করাে—
(ক) ACTH
(খ) GH
(গ) TSH
(ঘ) ADH
উত্তর : বৃক্কীয় নালিকায় জলের পুনঃশােষণ ঘটাতে সাহায্য করে যে হরমােন তা হলো ADH l
১.২ নীচের যে জোড়টি সঠিক নয় তা শনাক্ত করাে—
(ক) ফোটোন্যাস্টিক চলন – সূর্যমুখী
(খ) থার্মোন্যাস্টিক চলন – টিউলিপ
(গ) সিসমেন্যাস্টিক চলন – পদ্ম
(ঘ) কেমােন্যাস্টিক চলন – সূর্যশিশির
উত্তর : নীচের যে জোড়টি সঠিক নয় তা হলো – সিসমেন্যাস্টিক চলন – পদ্ম l
১.৩ ইস্ট্রোজেন হরমােন ক্ষরণে সাহায্য করে যে হরমােন সেটি বেছে নাও —
(ক) GH
(খ) FSH
(গ) ADH
(T) ACTH
উত্তর : ইস্ট্রোজেন হরমােন ক্ষরণে সাহায্য করে যে হরমােন সেটি হলো FSH l
২. নীচের বাক্যগুলাে সত্য অথবা মিথ্যা নিরূপণ করাে : ১ x ৪ = ৪
২.১ গ্রোথ হরমােনের অতিক্ষরণের ফলে বামনত্ব দেখা যায়।
উত্তর : মিথ্যা l
২.২ ফোটোট্যাকটিক চলনে ক্ল্যামাইডােমােনাসের দেহের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে।
উত্তর : সত্য l
২.৩ আগাছানাশক হিসেবে কৃত্রিম অক্সিনের ভূমিকা আছে।
উত্তর : সত্য l
২.৪ হরমােন ক্রিয়ার পর ধ্বংস হয় না।
উত্তর : মিথ্যা l
৩. দুই-তিন বাক্যে উত্তর দাও : ২ x ৪ = ৮
৩.১ ‘উদ্ভিদের কাণ্ডে আলােক অনুকূলবর্তী চলন দেখা যায়’ – একটি পরীক্ষার সাহায্যে বক্তব্যটি ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : টবসহ একটি গাছকে অন্ধকার ঘরে জানলার সামনে রেখে জানালার একটি পাল্লা খুলে রাখলে কয়েকদিন পর গাছের কান্ড কে জানলার দিকে বেঁকে বৃদ্ধি পেতে দেখা যাবে। এর। থেকে প্রমাণিত হয় উদ্ভিদের কান্ডের আলােক অনুকূলবর্তী।
৩.২ নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে ট্রপিক ও ন্যাস্টিক চলনের পার্থক্য নিরূপণ করাে :
উদ্দীপকের প্রভাব
অক্সিন হরমােনের প্রভাব
উত্তর : ট্রপিক ও ন্যাস্টিক চলন এর পার্থক্য:
বৈশিষ্ট্য
ট্রপিক চলন ন্যাস্টিক চলন
উদ্দীপকের প্রভাব : উদ্দীপকের উৎসের গতিপথ অনুসারে নিয়ন্ত্রিত হয় l
উদ্দীপকের তীব্রতা অনুসারে নিয়ন্ত্রিত হয়। অক্সিন হরমােনের প্রভাব :
অক্সিন হরমােন দ্বারা প্রভাবিত হয়। অক্সিন হরমােন দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
৩.৩ মানবদেহে টেস্টোস্টেরন হরমােনের ভূমিকা বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর : মানব দেহে টেস্টোস্টেরন হমানের ভূমিকা:
(i) পুরুষের যৌনাঙ্গের পরিবর্তন: টেস্টোস্টেরনের প্রভাবে পুরুষের প্রধান যৌনাঙ্গের এবং আনুষঙ্গিক যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে।
(ii) মৌল বিপাকীয় হার: টেস্টোস্টেরন দেহে মৌল বিপাকীয় হার এবং প্রােটিন সংশ্লেষণ বৃদ্ধি করে।
৩.৪ জিব্বেরেলিন হরমােনের উৎস উল্লেখ করাে।
উত্তর : জিব্বেরেলিন উদ্ভিদের পরিপক্ক বীজে, মুকুল, অঙ্কুরিত চারাগাছ, বীজপত্র, বর্ধিষ্ণু পাতায় সংশ্লেষিত হয়।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
৪.১ উদাহরণের সাহায্যে হরমােনের ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি আলােচনা করাে। “ইনসুলিন আর গ্রুকাগনের ক্রিয়া পরস্পরের বিপরীতধর্মী” – বক্তব্যটির যথার্থতা ব্যাখ্যা করাে। ৩ + ২ = ৫
উত্তর : যে পদ্ধতিতে কোনাে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির ক্ষরণ পরােক্ষভাবে অন্য অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় সেই পদ্ধতিকে ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ বলে।
ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ দুই প্রকার। যথা- ধনাত্মক ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ ও ঋণাত্মক ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ।
যেমন পিটুইটারি নিঃসৃত TSH থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে থাইরক্সিন ক্ষরণে সাহায্য করে। রক্তে থাইরক্সিন এর অধিক মাত্রা পিটুইটারি থেকে TSH ক্ষরণ হ্রাসের মাধ্যমে থাইরয়েড থেকে থাইরক্সিন ক্ষরণ হ্রাস করে।
ইনসুলিন যকৃত পেশি কোষের গ্লাইকোজেনেসিস প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ থেকে গ্লাইকোজেন সংশ্লেষ বৃদ্ধি করে এবং গ্লাইকোজেন থেকে গ্লুকোজ প্রস্তুতি বন্ধ করে। ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা হ্রাস পায়।
অপরপক্ষে গ্লুকাগন রক্তে শর্করার পরিমাণ হ্রাস পেলে গ্লাইকোজেনােলাইসিস প্রক্রিয়ায় যকৃত। সঞ্চিত গ্লাইকোজেন কে গ্লুকোজে বিশ্লিষ্ট করে এবং রক্তে সরবরাহ করে।
অর্থাৎ ইনসুলিন রক্তে শর্করার পরিমাণ হ্রাস করে এবং গ্লুকাগন রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাই বলা যেতে পারে ইনসুলিন আর গ্লকাগন এর ক্রিয়া পরস্পরের বিপরীত ধর্মী”।
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করাে : ১x৩=৩
১.১ নীচের যেটি গ্রিনহাউস গ্যাস তা হলাে—
(ক) N2
(খ) O2
(গ) N2 O
(ঘ) H2
উত্তর : (গ) N2 O
১.২ যে গ্যাসটি গ্রিনহাউস গ্যাস এবং যার জলীয় দ্রবণ আম্লিক সেটি হলাে—
(ক) CH4
(খ) N2O
(গ) CO2
(ঘ) CFC
উত্তর : (গ) CO2
১.৩ যে গ্যাসটি ওজোন স্তরের ক্ষতি করে না সেটি হলাে—
(ক) N2
(খ) N2 O
(গ) NO
(ঘ) NO2
উত্তর : (ক) N2
২. নীচের বাক্যগুলি সত্য অথবা মিথ্যা তা নিরূপণ করাে : ১x৫=৫
২.১ বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের একটি স্তর আছে বলেই গ্রিনহাউস এফেক্ট ঘটছে।
উত্তর : মিথ্যা l
২.২ ফসিল ফুয়েল পােড়াবার ফলে সৃষ্ট CO, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের প্রধান কারণ।
উত্তর : সত্য l
২.৩ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রধান উপাদান গ্যাস দুটি গ্রিনহাউস গ্যাস নয়।
উত্তর : সত্য l
২.৪ উত্তপ্ত মাটি যে ইনফ্রারেড রশ্মি ছেড়ে দেয় তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য সূর্য থেকে আগত ইনফ্রারেডের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চেয়ে কম।
উত্তর : মিথ্যা l
২.৫ কম শক্তির অতিবেগুনি রশ্মি শােষণে ওজোনের অণু অক্সিজেন অণু ও অক্সিজেন পরমাণুতে ভেঙে যায়।
উত্তর : মিথ্যা l
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ২x৩=৬
৩.১ গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের দুটি ক্ষতিকারক প্রভাব উল্লেখ করাে।
উত্তর : গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের দুটি ক্ষতিকারক প্রভাব:
(i) এই শতাব্দীর মাঝামাঝি পৃথিবীর উষ্ণতা 2 – 40c এর মতাে বৃদ্ধি পাবে ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় ডেকে আনবে l
(ii) উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলের বরফের স্তুপ গলে যাবে এবং জলস্ফীতি ঘটবে l সমুদ্রপৃষ্ঠের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে মহাপ্লাবন দেখা দেবে l
৩.২ ‘গ্রিন হাউস এফেক্ট না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণসৃষ্টির উপযুক্ত উয়তা সৃষ্টি হত না’ – যুক্তিসহ সমর্থন করাে।
উত্তর : গ্রিনহাউস এফেক্ট-এর উপযােগিতা :
যদি ভূসংলগ্ন বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি না থাকত তবে ভূপৃষ্ঠ কর্তৃক বিকিরিত তাপ মহাশূন্যে ফিরে যেত। সেক্ষেত্রে ভূসংলগ্ন বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা দাঁড়াত প্রায় 30°C । এই উষ্ণতায় জীবকূলের বেঁচে থাকা অসম্ভব হত এবং পৃথিবী থেকে জীবের অস্তিত্ব লােপ পেত।
৩.৩ ওজোনস্তরের ক্ষতি হলে জীবজগতের যেসব ক্ষতি হবে তার দুটি উল্লেখ করাে।
উত্তর : ওজোন স্তর ধ্বংসের ক্ষতিকর প্রভাব:
(1) মানুষের ওপর প্রভাব : চামড়ার ক্যান্সার, মেলানােমা, চোখে ছানি পড়া ইত্যাদি রােগ হতে পারে l
(2) উদ্ভিদের ওপর প্রভাব : সালােকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে ফলে শস্যের উৎপাদন কমে যাবে।
৪. নীচের প্রশ্ন দুটির উত্তর দাও : ৩x২=৬
৪.১ কাচের গ্রিনহাউসের মধ্যের বাতাস বাইরের বাতাসের তুলনায় অপেক্ষাকৃত গরম থাকে যে যে কারণে সেগুলাে ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : সূর্য থেকে আসা দৃশ্যমান আলােকরশ্মির অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যবিশিষ্ট অবলােহিত রশ্মি (Infrared) সাপেক্ষে কাচ তাপস্বচ্ছ (Diatherminous) বস্তু হিসেবে আচরণ করায় সেগুলি সহজেই কাচের দেয়াল ও ছাদ ভেদ করে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে এবং ঘরের মধ্যেকার মাটি ও উদ্ভিদকে উত্তপ্ত করে। ঘরের ভিতরে থাকা মাটি ও উদ্ভিদ যে তাপীয় বিকিরণ নিঃসরণ করে সেগুলি বৃহৎ তরঙ্গদৈর্ঘ্য সম্পন্ন হয়। এই বিকিরণ সাপেক্ষে কাচ তাপ অস্বচ্ছ (Adiatherminous) হওয়ায় সেগুলি কাচ ভেদ করে বাইরে আসতে পারে না। কাচ এই রশ্মির কিছু অংশ শােষণ করে উত্তপ্ত হয় এবং বাকিটা ঘরের ভিতরকার মাটিতে প্রতিফলিত করে। ফলে, কাচের ঘরের ভিতরের উষ্ণতা বাইরের তুলনায় বেশি থাকে।
গ্রিনহাউস
৪.২ ওজোনস্তরের পক্ষে ক্ষতিকারক এমন একটি গ্যাসের নাম লেখাে। ওজোনস্তরে ‘ছিদ্র হওয়ার প্রকৃত অর্থ কী তা ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : ওজোনস্তরের পক্ষে ক্ষতিকারক এমন একটি গ্যাস হলাে ক্লোরােফ্লুরােকার্বন (CFC) l
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ওজোন গ্যাস তৈরি ও ওজোন গ্যাসের বিয়ােজন এই দুই বিপরীত প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় থাকে। কিন্তু মনুষ্যসৃষ্ট কিছু ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ (যেমন CFC, NO ইত্যাদি) ব্যবহারের ফলে স্ট্রাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে ওজোন গ্যাসের উৎপাদন হার অপেক্ষা বিয়ােজনের হার অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের অন্তর্গত ওজোন স্তরটি ক্রমশ পাতলা হয়ে যাচ্ছে। ওজোন স্তরের এই পাতলা হওয়ার ঘটনাই হলাে ওজোনস্তর ছিদ্র হওয়ার প্রকৃত অর্থ।
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে : ১x৩=৩
১.১ নীচের যে প্রক্রিয়াটি বহির্জাত প্রক্রিয়া নয় সেটি হলাে—
(ক) আবহবিকার
(খ) নগ্নীভবন
(গ) অগ্ন্যুদগম
(ঘ) পুঞ্ছিত ক্ষয়
উত্তর: (গ) অগ্ন্যুদগম
১.২ যে প্রক্রিয়ায় নদীবাহিত প্রস্তরখণ্ড পরস্পরের সংঘর্ষের ফলে ভেঙে গিয়ে নুড়ি, বালি প্রভৃতিতে পরিণত হয়; তাকে বলে—
(ক) অবঘর্ষ ক্ষয়
(খ) দ্রবণ ক্ষয়
(গ) জলপ্রবাহ ক্ষয়
(ঘ) ঘর্ষণ ক্ষয়
উত্তর: (ঘ) ঘর্ষণ ক্ষয়
১.৩ ঠিক জোড়টি নির্বাচন করাে —
(ক) নদীর অধিক নিম্নক্ষয়—প্লাবনভূমি
(খ) নদীর অধিক পার্শ্বক্ষয়—গিরিখাত
(গ) নদীর গতিপথে কঠিন শিলার নীচে কোমল শিলার অবস্থান—জলপ্রপাত
(ঘ) নদীর উচ্চগতিতে অধিক ক্ষয়কাজ—বদ্বীপ।
উত্তর: (গ) নদীর গতিপথে কঠিন শিলার নীচে কোমল শিলার অবস্থান—জলপ্রপাত
২.১ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করাে : ১x২=২
২.১.১ মরু অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে পেডিমেন্টের সম্মুখে গড়ে ওঠা সঞ্জয়জাত ভূমিরূপ হলাে ______________ l
উত্তর: মরু অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে পেডিমেন্টের সম্মুখে গড়ে ওঠা সঞ্জয়জাত ভূমিরূপ হলাে বাজাদা l
২.১.২ নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে নদীখাতে সৃষ্টগর্ত হলাে ______________ l
উত্তর: নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে নদীখাতে সৃষ্টগর্ত হলাে মন্থকূপ (Put Hole) l
২.২ ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও : ১x৩=৩
‘ক’ স্তম্ভ
‘খ’ স্তম্ভ
২.২.১. নদীর ক্ষয়, বহন ও সঞ্জয় কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ
১. এরিটি
২.২.২. হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ
২. ব্লো-আউট
২.২.৩. বায়ুর অপসারণ সৃষ্টগর্ত
৩. অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ
উত্তর:
‘ক’ স্তম্ভ
‘খ’ স্তম্ভ
২.২.১. নদীর ক্ষয়, বহন ও সঞ্জয় কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ
৩. অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ
২.২.২. হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ
১. এরিটি
২.২.৩. বায়ুর অপসারণ সৃষ্টগর্ত
২. ব্লো-আউট
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ২x২=৪
৩.১ মরুদ্যান কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর: মরু অঞ্চলে বাযুর অপসারণ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে কোন একটি অঞ্চলের বালিরাশি অপসারিত হতে থাকলে অঞ্চলটি ক্রমশ অবনমিত হয়ে পড়তে পড়তে একসময় ভৌমজলস্তর উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ফলে ওই স্থানে জলাশয় সৃষ্টি হয় এবং ক্রমশ উদ্ভিদ জন্মে অঞ্চলটিতে মনােরম পরিবেশ তৈরী হয়। শুষ্ক মরু অঞ্চলের মধ্যে এরকম ভাবে মরুদ্যান সৃষ্টি হয়। উদাঃ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াধ একটি আদর্শ মরুদ্দ্যান।
৩.২ ‘উঁচু পার্বত্য উপত্যকায় ক্রেভাসের উপস্থিতি পর্বতারােহীদের সমস্যার অন্যতম কারণ।’—সংক্ষেপে এর ভৌগােলিক কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: পর্বত ও হিমবাহের গাযে যে অসংখ্য ক্রেভাস থাকে সেগুলি পর্বতারােহীদের অভিযানের পথে বাধার সৃষ্টি করে। অনেক সময় এই ফাটলগুলিতে পর্বতারােহীরা পড়ে গিযেও প্রাণ হারান অথবা মারাত্মক চোট পান।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৩x১=৩
মরু সম্প্রসারণ রােধের তিনটি উপায় উল্লেখ করাে।
উত্তর: মরু অঞ্চলের সম্প্রসারণ রােধের জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। সেগুলি হল —
i)বৃক্ষরােপণ : মরু সম্প্রসারণ রােধের জন্য নির্বিচারে বৃক্ষচ্ছেদনের পরিমাণ হ্রাস করতে হবে এবং মরুভূমির প্রান্তে খরা সহনশীল বৃক্ষ ও লতাগুল্ম রােপনের দ্বারা গ্রিণ ওয়াল তৈরি করে চলনশীল বালিয়াডিগুলিকে স্থিতিশীল করতে হবে।
ii)তৃণম্ভর সৃষ্টি : মরুভূমির সম্প্রসারণের জন্য মরু অঞ্চলের অগভীর বালিস্তরে খরা প্রতিরােধী ঘাস লাগিয়ে কৃত্রি তৃণস্তর সৃষ্টি করা যেতে পারে। কারণ এই তৃণস্তর মরু অঞ্চলের শিখিল বালিকে ঢেকে দেয় বলে ওই বালির এক স্থান থেকে অন্য স্থানে উড়ে যাওয়ার সম্ভবনা হ্রাস পায়।
iii) পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ : মরুভূমির প্রান্তে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে পশুচারণ করলে তাদের পায়ের খুরের আঘাতে মৃত্তিকার উপরিভাগ থেকে তৃণস্তুর অপসারিত হয়ে যায়। ফলে মরুভূমির সম্প্রসারণ ঘটে। তাই মরু সম্প্রসারণ রােধের জন্য পশুচারণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৫x১=৫
ঝুলন্ত উপত্যকা ও রসে মতানে সৃষ্টির প্রক্রিয়ার সচিত্র বিবরণ দাও।
উত্তর:
ঝুলন্ত উপত্যকা : উপত্যকা হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে যে সমস্ত রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, ঝুলন্ত উপত্যকা (Hanging valley) হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ। নদী অববাহিকায় উপনদীগুলি যেমন মূল নদীতে এসে মিলিত হয় তেমনি পার্বত্য অঞ্চলে ছােটো ছােটো উপ হিমবাহগুলি প্রধান হিমবাহের সঙ্গে মিলিত হয়ে থাকে। অধিক ক্ষয়কার্যের ফলে প্রধান হিমবাহ উপত্যকাটি ছােটো ছােটো হিমবাহ উপত্যকাগুলির তুলনায় অনেক বড়াে ও গভীর হয়। এই অবস্থায় হিমবাহ সরে গেলে মনে হয় যেন ছােটো ছােটো হিমবাহ উপত্যকাগুলি প্রধান হিমবাহ উপত্যকার ওপর ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তখন একে ঝুলন্ত উপত্যকা (Hanging Valley) বলা হয়।
ঝুলন্ত উপত্যকা থেকে হিমবাহ সরে গেলে এর প্রান্তভাগে গভীর খাড়া ঢালের সৃষ্টি হয়। তখন উপহিমবাহ উপত্যকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নদী এই খাড়া ঢাল বেয়ে প্রবলবেগে নীচের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে জলপ্রপাতের সৃষ্টি করে।
ঝুলন্ত উপত্যকা
উদাহরণ:- ভারতের গাড়ােয়াল হিমালযের বদ্রীনাথের কাছে নর পর্বতের নীচের দিকে কুবের উপত্যকা এইরকম ঝুলন্ত উপত্যকার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
রসে মতানে : অনেক সময় উপত্যকার মধ্যে উঁচু ঢিবির মতাে কঠিন শিলাখন্ডের ওপর দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হয়। অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে হিমবাহের প্রবাহের দিকে অর্থাৎ প্রতিবাত ঢালে শিলাখন্ডটি মসৃণ ও চকচকে হয়ে ওঠে এবং বিপরীত দিকটি অনুবাত ঢালে উৎপাটন প্রক্রিয়ায় অমসৃণ ও খাঁজকাটা হয়ে যায়। পার্বত্য হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে শক্ত শিলাখন্ডে গঠিত একদিকে মসৃণ এবং আর এক দিকে এবড়ােখেবড়াে এইরকম শিলাখন্ড বা ঢিবিকে রসে মতানে বলা হয়। রসে মনে হল পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয়কাজের একটি উল্লেখযােগ্য নিদর্শন।
রসে মতানে
১. শূন্যস্থান পূরণ করাে : ১x৪=৪
(ক) ‘সােমপ্রকাশ’ ছিল একটি ___________ পত্রিকা।
উত্তর : ‘সােমপ্রকাশ’ ছিল একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা।
(খ) ‘বেঙ্গল গেজেট’ নামে প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন ___________ ।
উত্তর : ‘বেঙ্গল গেজেট’ নামে প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন জেমস্ আগস্টাস হিকি ।
(গ) মােহনবাগান আই.এফ.এ. শিল্ড জিতেছিল ___________ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর : মােহনবাগান আই.এফ.এ. শিল্ড জিতেছিল ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে।
(ঘ) জীবনের ঝরাপাতা হল একটি ___________ ।
উত্তর : জীবনের ঝরাপাতা হল একটি স্মৃতি সাহিত্য ।
২. ঠিক-ভুল নির্ণয় করাে : ১x৪=৪
(ক) ভারতের ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন প্রধানত সাংস্কৃতিক ইতিহাসচর্চার বিষয়।
উত্তর : ভুল l
(খ) সরকারি প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক তথ্য সরবরাহ করে।
উত্তর : ঠিক l
(গ) সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র মহাফেজখানায় সংরক্ষিত থাকে।
উত্তর :ঠিক l
(ঘ) সামাজিক ইতিহাস সামাজিক কাঠামাে ও বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের উপর জোর দেয়।
উত্তর : ঠিক l
৩. স্তম্ভ মেলাও : ১x৪=৪
ক স্তম্ভ
খ স্তম্ভ
সােমপ্রকাশ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বঙ্গদর্শন
বিপিনচন্দ্র পাল
সত্তর বৎসর
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
জীবনস্মৃতি
দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ
উত্তর :
ক স্তম্ভ
খ স্তম্ভ
সােমপ্রকাশ
দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ
বঙ্গদর্শন
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
সত্তর বৎসর
বিপিনচন্দ্র পাল
জীবনস্মৃতি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও : ২x৪=৮
(ক) সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্রের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর :
সাময়িকপত্রের সঙ্গে সংবাদপত্রের পাথক্য :
সাময়িকপত্র এবং সংবাদপত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি থেকে মূল পার্থক্যের যে দিক গুলি উঠে আসে, তা হল —
1. সাময়িকপত্র নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রকাশিত পত্রিকা। কিন্তু সংবাদপত্র দৈনিক বা প্রত্যহ প্রকাশিত পত্রিকা।
2. সাময়িকপত্র প্রকাশিত হয় দামি কাগজে। কিন্তু সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়ে থাকে তুলনামূলক সম্ভা দামের কাগজে।
3. সাময়িকপত্র বাঁধাই আকারে থাকে। কিন্তু সংবাদপত্র বাঁধাই আকারে থাকে না। তা বাঁধাইহীন আকারে প্রকাশিত হয়।
(খ) স্থানীয় ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কী?
উত্তর :
স্থানীয় ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব:
1. বৃহত্তর পরিসরে ইতিহাস রচনা করতে গিয়ে এমন অনেক বিষয় থাকে, যা ইতিহাসে উপেক্ষিত থেকে যায়। স্থানীয় ইতিহাস চর্চার মধ্য দিয়ে সেই ফাঁক পূর্ন করা সম্ভব।
2. স্থানীয় ইতিহাস চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা আঞ্চলিক লােকপরম্পরা, শিল্প স্থাপত্যের বিকাশ, আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের একটি রূপরেখা পাই। এছাড়া,
3. স্থানীয় ইতিহাস জাতীয় ইতিহাসের ধারাকে আরও শক্তিশালী ও বলিষ্ঠ করে তােলে। স্থানীয় ইতিহাসের মূল কথাই হলাে”Start History at your Door” অর্থাৎ তােমার বাড়ির দরজা থেকেই ইতিহাসের শুরু।
(গ) ইন্দিরাকে চিঠি লেখার উদ্দেশ্য কী ছিল নেহরুর?
উত্তর :
সূচনা: আধুনিক ভারতের ইতিহাসের অন্যতম উপাদান হিসেবে নিঃসন্দেহে ব্যক্তিগত চিঠিপত্র যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এরূপ একটি ব্যক্তিগত চিঠি পত্রের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল “লেটার্স ফ্রম আ ফাদার টু হিজ ডটার”।
চিঠি লেখার উদ্দেশ্য : বুদ্ধি কিভাবে মানুষকে অন্যান্য প্রাণীদের চেয়ে চতুর ও শক্তিশালী করে তুলল, কিভাবে ধর্ম বিশ্বাস এর প্রচলন হল, অর্থবহ শব্দ উচ্চারণের মাধ্যমে কিভাবে ভাষার উদ্ভব হলাে, প্রাচীনকালের কিভাবে সমাজ সভ্যতা রাজতন্ত্র রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হল প্রভৃতি সহজ ভাবে তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে এই পত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন l
জহরলাল নেহেরুর চিঠিগুলির সাহিত্যিক মূল্য অপরিসীম। ভারতবর্ষের ঔপনিবেশিক শাসন, ভারতে সভ্যতার অগ্রগতি, আর্যদের আগমন, রামায়ণ ও মহাভারতের আদর্শ, শক্তিশালী রাজবংশ প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি নানা বিষয় এই চিঠিপত্রে স্থান পেয়েছে যা এই চিঠির গুরুত্বকে অমূল্য করেছে।
(ঘ) ফটোগ্রাফ কীভাবে আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : আধুনিক ইতিহাসচর্চার বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে ফটোগ্রাফ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ফোটোগ্রাফির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ছবিকে কামেরাবন্দি করা যায়। এগুলি কোন গুরুত্বপূর্ন ঘটনা, কোন মহান ব্যক্তি, কোন হত্যাকাণ্ড বা অন্য কিছু হতে পারে। যা ফটোগ্রাফিতে হয়ে ওঠে প্রামান্য বিষয়।
গুরুত্বঃ-
1. ফটোগ্রাফি ইতিহাসচর্চার নতুন উপাদান সরবরাহ করতে পারে।
2. প্রচলিত তথ্য বা ঘটনার সত্যতা ফোটোগ্রাফির দ্বারা যাচাই করা যেতে পারে। তবে ফটোগ্রাফকে পুরােপুরি নির্ভরযােগ্য উপাদান বলে ঐতিহাসিকরা মনে করেন না।
Class 10 Bengali January 2022 NEW Model Activity Task Answer
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে : ১x৩=৩
১.১ তপনের মেসােমশাই যে পত্রিকার সম্পাদককে চিনতেন —
(ক) শুকতারা
(খ) সন্ধ্যাতারা
(গ) বালক
(ঘ) জ্ঞানান্বেষণ
উত্তর : (খ) সন্ধ্যাতারা
১.২ তপনের লেখা প্রথম গল্পটির নাম —
(ক) রাজা-রানির গল্প
(খ) অ্যাকসিডেন্ট
(গ) প্রথম দিন
(ঘ) বিদ্যালয় জীবনের অভিজ্ঞতা
উত্তর : (গ) প্রথম দিন
১.৩ তপনের লেখা গল্প তার মেসােমশাইয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন তপনের —
(ক) মা
(খ) বাবা
(গ) মেজোকাকু
(ঘ) ছােটোমাসি
উত্তর : (ঘ) ছােটোমাসি
২. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও : ১x৩=৩
২.১ .. এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা। – উদ্ধৃতাংশে কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের উদ্ধৃতাংশে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা নিয়ে ছােটোমাসি ও মেসােমশাইয়ের তপনদের বাড়িতে আসার কথা বলা হয়েছে ।
২.২ ‘ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে। – কোন্ কথাটা ছড়িয়ে পড়ে?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ছােটোমেসাে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের লেখা “প্রথম দিন’ গল্পটি প্রকাশ করিয়ে দেওয়ার পূর্বে একটু আধটু সংশােধন করে দিয়েছেন। এই কথাটা ছড়িয়ে পড়ে।
২.৩ ‘বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের। – কখন তপনের এমন পরিস্থিতি হয়েছিল?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ছােটোমেসাের হাতে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে।
৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দে উত্তর লেখাে : ৩x৩=৯
৩.১ ‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?’ – কোন্ ঘটনাকে কেন অলৌকিক বলা হয়েছে? ১+২
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের লেখা প্রথম দিন’ গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছেপে বের হওয়ার ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে।
তপনের লেখা গল্প ছাপা হয়ে প্রকাশিত হবে এটা ছিল তার কল্পনার অতীত। ফলে মেসাের হাতে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। সত্যিই তার গল্প ছাপা হয়েছে এবং সে লেখা হাজার হাজার ছেলের হাতে হাতে ঘুরবে। তাই এই ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে ।
৩.২ ‘যদি কখনাে লেখা ছাপতে দেয় তাে, তপন নিজে গিয়ে দেবে। – কখন তপন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল? কেন তার এমন সিদ্ধান্ত? ১+২
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের লেখা প্রথম দিন গল্পটি ছেপে বের হওয়ার পর সে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
ছােটোমেসাে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের লেখা প্রথম দিন’ গল্পটি প্রকাশ করিয়ে দেন। তপন তার মাকে গল্পটি পড়ে শুনাতে গিয়ে দেখে সংশােধনের নামে ছােট মেসােমশাই লেখার আগাগােড়াই বদলে দিয়েছেন। ছেপে আসা গল্পে তার কৃতিত্ব এতটুকুও অবশিষ্ট নেই। লজ্জায়, অপমানে তপন ভেঙে পড়ে এবং তার মনে হয় ঐ দিনটি যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের। তাই তার এমন সিদ্ধান্ত।
৩.৩ গল্প ছেপে আসার পর যে আহ্লাদ হওয়ার কথা, সেই আহ্লাদ তপনের না হওয়ার কারণ কী? কেন দিনটি তার কাছে সবচেয়ে দুঃখের হয়ে উঠল? ১+২
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ছােট মেসাে ‘সন্ধ্যাতারা, পত্রিকায় তপনের লেখা প্রথম দিন’ প্রকাশ করিয়ে দেওয়ার পূর্বে সংশােধনের নামে লেখার আগাগােড়াই বদলে দিয়েছেন। ছেপে আসা গল্পে তার কৃতিত্ব এতটুকুও নেই। তাই গল্প ছেপে আসার পর যে আহ্লাদ হওয়ার কথা, তা তপনের হয় না।
‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের লেখা প্রথম দিন’ গল্পটি প্রকাশিত হওয়ার পর তপন তার মাকে গল্পটি পড়ে শােনাতে যায়। সে দেখে সংশােধনের নামে ছােট মেসােমশাই লেখার আগাগােড়াই বদলে দিয়েছেন। ছেপে আসা গল্পে তার কৃতিত্ব এতটুকুও অবশিষ্ট নেই। লজ্জায়, অপমানে তপন ভেঙে পড়ে এবং তার মনে হয় ঐ দিনটি যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের।
৪. কম-বেশি ১৫০ শব্দে নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে : ৫
‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প অনুসরণে তপনের জ্ঞানচক্ষু কীভাবে উন্মীলিত হয়েছিল তা আলােচনা করাে।
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর “জ্ঞানচক্ষু” গল্পটিতে জ্ঞানচক্ষু বলতে একজন মানুষের অন্তদৃষ্টির জাগরণকে বােঝানাে হয়েছে। গল্পটিতে তপনের দুইবার জ্ঞানচক্ষু উন্মােচনের কথা বলা হয়েছে। প্রথমবার তা আপাত ক্ষনিকের জন্য হলেও পরবর্তীকালে যে জ্ঞানচক্ষু খুলেছিল তা যথেষ্ট ব্যঞ্জনাধর্মী।
তপনের ধারণা ছিল লেখকেরা আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মত নয়, তারা অন্যরকম, ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু নতুন মেসােমশাইকে দেখে তার জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল অথাৎ লেখক যে আমাদের মতােই সাধারণ মানুষ তা তপন উপলব্ধি করতে পারল।
পরবর্তীকালে মেসাের সুবাদে তপনের লেখা প্রথমদিন’ গল্পটি ‘সন্ধ্যতারা পত্রিকায় ছাপা হয়। কিন্তু বাড়িতে সমবেত সকল আত্মীয়ের সামনে গল্পটি পাঠ করতে গেলে সে চমকে ওঠে। সংশােধনের নামে মেসােমশাই লেখার মৌলিকতা পুরােটাই নষ্ট করে দিয়েছেন। তপনের লেখার মৌলিকতা সেখানে খুঁজে পাওয়া ভার। নিজের লেখা পড়তে গিয়ে অন্যের লেখা পড়া ও ধন্য ধন্য শােনার মধ্যে দিয়ে যে লজ্জা, অপমান তা তার সত্যিকারের জ্ঞানের দৃষ্টিকে জাগ্রত করে। এভাবেই তপনের আত্মমর্যাদাবােধের জাগরণের মধ্য দিয়ে তপনের জ্ঞানচক্ষু উন্মীলিত হয়।
Replace the underlined words with suitable phrasal verbs from the given list. Change the form of verbs if necessary. Write the answers in the given space. One extra phrasal verb is given in the list: 2 × 2 = 4
i) The manager rejected the proposal.
Ans: Turned down
b) She cannot tolerate bad habits.
Ans: Put up with
[List of Phrasal verbs : turn down, set out, put up with]
Fill in the blanks with suitable prepositions : 1×3 = 3
a) Walk slowly. You will fall.
Ans: If you don’t walk slowly, you will fall.
b) Salma won the first prize. I know it.
Ans: I know that salma won the first prize.
c) He cannot come. His brother cannot come.
Ans: Neither he nor his brother can come.
Fill in the blanks with suitable prepositions : 1×3 = 3
a) The man sat __________ the chair.
Ans: a) The man sat on the chair.
b) The boy dived ________ the river.
Ans: The boy dived into the river.
c) She is going ________ school.
Ans: She is going to school.
Write a paragraph in about 100 words on the importance of reading newspaper. Use the following points : 10 Points : 10
powerful medium – provides information – benefits of reading newspaper – demerits – conclusion
Ans:
IMPORTANCE OF READING NEWSPAPER
Reading the newspaper is one of the most beneficial habits. It helps us to get to know the worlds current affairs. We re getting to know about the latest events from a reliable source. We also get to know about different politics,economics, entertainment industry, sports, and much more. Also, newspapers help us in finding jobs. Most companies post advertisements for job vacancies in newspapers.
Unfortunately, while having so many benefits, the habit of reading newspapers is dying. Besides, electronic gadgets are more convenient, so people dont bother to pick up a newspaper. Also, reading is becoming an endangered habit. Everything is comfortable and visual now that nobody wants to read papers, books, letters, etc. People will prefer to watch the news on TV or their smartphones, but will not read a newspaper. To add to this, the internet has made it worse.
As a result, everybody is turning lazy. No one wants to read, and this is affecting the vocabulary skills of the younger generation. People do not know how to spell and depend on autocorrect to correct their mistakes. Perhaps the most dangerous is the spread of false news.
If people would read more newspapers, and stop reading every second article on Facebook, perhaps these incidents wouldnt be as unfortunate as they are right now.
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে :
1. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে : 1 x 3 = 3
(ক) দ্বিঘাত বহুপদী সংখ্যামালাটি হলাে—
(a) 2 – 3x
(b) x2 + 3/x + 5
(c) x(2x + 4) + 1
(d) 2(2 – 3x)
Ans: (c) x(2x + 4) + 1
কারন: (c) x(2x + 4) + 1
= 2x2 + 4x + 1
(খ) x2 – 3x + 2 = 0 সমীকরণটির বীজ দুটি হলাে—
(a) 0, 1
(b) 0, 2
(c) 0, 0
(d) 1, 2
Ans: (d) 1, 2
কারন:
বামপক্ষ, L.H.S = x2 – 3x + 2
= (1)2 – 3×1 + 2
= 1 – 3 + 2
= 3 – 3
= 0
= R.H.S
∴ 1 সমীকরণটির বীজ
ডানপক্ষ, L.H.S = x2 – 3x + 2
= (2)2 – 3×2 + 2
= 4 – 6 + 2
= 6 – 6
= 0
= R.H.S
∴ 2 সমীকরণটির বীজ
(গ) px2 + qx + T = 0 সমীকরণটি (p, q, r বাস্তব) দ্বিঘাত সমীকরণ হওয়ার শর্ত হলাে—
(a) q ≠ 0
(b) r ≠ 0
(c) p ≠ 0
(d) p যে কোনাে অখণ্ড সংখ্যা
Ans: (c) p ≠ 0
2. সত্য/মিথ্যা লেখাে : 1 x 2 = 2
(ক) a, b, c ধনাত্মক বাস্তব সংখ্যা এবং a > b ও c > b হলে, ax2 + bx + c = 0 দ্বিঘাত সমীকরণটির বীজদ্বয় বাস্তব হবে।
Ans: মিথ্যা
কারন: এক্ষেত্রে,
নিরুপক < 0 হয়
∴ b2 – 4ac < 0 হয়
অর্থাৎ, বীজদ্বয় অবাস্তব হয়।
(খ) ax2 + bx + c = 0 সমীকরণে a = 0 হলে (b, c বাস্তব), সমীকরণটি একটি রৈখিক সমীকরণে পরিণত হবে।
Ans: সত্য
কারন:
ax2 + bx + c = 0
বা, 0 × x2 + bx + c = 0
বা, 0 + bx + c = 0
∴ bx + c = 0 (রৈখিক সমীকরণ)
3. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : 2 x 3 = 6
(ক) x2 + Px + 2 = 0 সমীকরণটির একটি বীজ 2 হলে, P-এর মান কত?
Ans: যেহেতু, x2 + Px + 2 = 0 সমীকরণটির একটি বীজ 2
∴ x2 + Px + 2 = 0
বা, (2)2 + P×2 + 2 = 0
বা, 4 + 2P + 2 = 0
বা, 6 + 2P = 0
বা, 2P = -6
বা, P =
−
3
6
2
-632
∴ P = -3
∴ নির্ণেয় P এর মান -3
(খ) x – 4x + 5 = 0 সমীকরণটির নিরূপক নির্ণয় করাে।
Ans: x2 – 4x + 5 = 0 দ্বিঘাত সমীকরণটিকে ax2 + bx + c = 0 দ্বিঘাত সমীকরণের সঙ্গে তুলনা করে পাই,
a=1, b=-4, c=5
∴ নিরুপক = b2 – 4ac
= (-4)2 – 4×1×5
= 16 – 20
= -4
(গ) ax2 + bx + c = 0 (a, b, c বাস্তব, a ≠ 0) সমীকরণটির বীজদ্বয় (i) বাস্তব ও সমান এবং (ii) বাস্তব ও অসমান হওয়ার শর্তগুলি লেখাে।
Ans: ax2 + bx + c = 0 সমীকরণটির বীজদ্বয়
(i) বাস্তব ও সমান হবে যখন b2 – 4ac = 0 হয়।
(ii) বাস্তব ও অসমান হবে যখন b2 – 4ac > 0 হয়।
4. (ক) একচুলবিশিষ্ট দ্বিঘাত সমীকরণ গঠন করে সমাধান করাে—দুই অঙ্কবিশিষ্ট একটি সংখ্যার একক স্থানীয় অঙ্কটি দশক স্থানীয় অঙ্ক অপেক্ষা 6 বেশি এবং অঙ্কদ্বয়ের গুণফল সংখ্যাটির চেয়ে 12 কম। সংখ্যাটি নির্ণয় করাে।
Ans: ধরি, দশক স্থানীয় অঙ্কটি = x
∴ একক স্থানীয় অঙ্কটি = (x+6)
∴ সংখ্যাটি = 10x + (x+6)
= 10x + x + 6
= 11x + 6
অঙ্কদ্বয়ের গুণফল = x × (x+6)
= x2 + 6x
প্রশ্নানুসারে, x2 + 6x = (11x+6) – 12
বা, x2 + 6x = 11x + 6 – 12
বা, x2 + 6x = 11x – 6
বা, x2 + 6x – 11x + 6 = 0
∴ x2 – 5x + 6 = 0
∴ নির্ণেয় একচল বিশিষ্ট দ্বিঘাত সমীকরণটি হলো x2 – 5x + 6 = 0
এখন x2 – 5x + 6 = 0
বা, x2 – 3x – 2x + 6 = 0
বা, x(x-3) – 2(x-3) = 0
বা, (x-3) (x-2) = 0
হয়, x – 3 = 0
∴ x = 3
অথবা, x – 2 = 0
∴ x = 2
∴ x = 3 হলে, সংখ্যাটি
= 11x + 6
= 11×3 + 6
= 33 + 6
= 39
∴ x = 2 হলে, সংখ্যাটি
= 11x + 6
= 11×2 + 6
= 22 + 6
= 28
(খ) 5x2 + 2x – 3 = 0 দ্বিঘাত সমীকরণের বীজদুটি α ও β হলে, α2 + β2 -এর মান নির্ণয় করাে।
Ans: 5x2 + 2x – 3 = 0 দ্বিঘাত সমীকরণকে ax2 + bx + c = 0 দ্বিঘাত সমীকরণের সঙ্গে তুলনা করে পাই, a=5, b=2, c=-3
∴ α + β =
−
b
a
-ba
=
−
2
5
-25
∴ α × β =
c
a
ca
=
−
3
5
-35
প্রদত্ত রাশি = α2 + β2
= (α + β)2 – 2 ×
(
−
3
5
)
(-35)
=
4
25
425
+
6
5
65
=
4
+
30
25
4+3025
=
34
25
3425
=
1
9
25
1925
∴ নির্ণেয় (α2 + β2) এর মান
1
9
25
1925
(গ) সমাধান করাে :
x
x
+
1
+
x
+
1
x
=
2
1
12
,
x
≠
0
,
−
1
xx+1+x+1x=2112,x≠0,-1
Ans: ধরি,
x
x
+
1
xx+1
= a
∴
x
x
+
1
+
x
+
1
x
=
2
1
12
xx+1+x+1x=2112
বা, a +
1
a
1a
=
25
12
2512
বা,
a
2
+
1
a
a2+1a
=
25
12
2512
বা, 12a2 + 12 = 25a
বা, 12a2 – 25a + 12 = 0
বা, 12a2 – 16a – 9a + 12 = 0
বা, 4a(3a-4) – 3(3a-4) = 0
বা, (3a-4) (4a-3) = 0
হয়, 3a – 4 = 0
বা, 3a = 4
বা, 3 ×
x
x
+
1
xx+1
= 4
বা,
3
x
x
+
1
3xx+1
= 4
বা, 4x + 4 = 3x
বা, 4x – 3x = -4
∴ x = -4
অথবা, 4a – 3 = 0
বা, 4a = 3
বা, 4 ×
x
x
+
1
xx+1
= 3
বা,
4
x
x
+
1
4xx+1
= 3
বা, 4x = 3x + 3
বা, 4x – 3x = 3
∴ x = 3
1. তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন – তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ ?
উওর: প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটি আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্পের থেকে নেওয়া হয়েছে। শিশুমন হয় কোমল, সামান্য আঘাত পেলে তারা ভীষণভাবে মুষড়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে, ছোট্ট তপনের লেখক সম্পর্কে সব কৌতুহলের শেষ হয় যখন সে নতুন মেসোকে দেখে।অনুপ্রাণিত তপন একটি গল্প লেখে। সেই গল্প মাসির পীড়াপীড়িতে মেসোর হাত ধরে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপা হয়। স্বাভাবিক কারণে তপন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। নিজের লেখক সত্তাকে নিয়ে সে গর্ব অনুভব করে কিন্তু তার গর্ব মাটিতে মিশে যায় গল্পটি পড়ার সময় – সে দেখে প্রকাশিতে প্রকাশিত গল্পের তার লেখা লেখার লেশমাত্র নেই ,কারণ গল্পটা সামান্য কারেকশনের নামে পুরোটাই বদলে গিয়েছিল। এতে তপনের লেখক সত্তা অপমানিত হয়। তার চোখে জলে ভরে যায়। এই কারণে ওই দিনটিকে তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন বলে মনে হয়।
2. আমাদের ইতিহাস নেই – এই উপলদ্ধির মর্মাথ লেখো ?
উওর: স্বাধীনতা পরবর্তী যুগের অন্যতম সমাজসচেতন কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার অংশবিশেষ। সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প আজকের পৃথিবীকে বিষাক্ত করে তুলেছে। মানুষের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন । এই সময়ে আমরা বিশেষ করে সাধারণ মানুষ এক ভয়ঙ্কর দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সামনের প্রতিকূল পথ ধরে এগিয়ে চলেছি। এছাড়া আমাদের সামনে আর কোন পথ নেই। ভাবি প্রজন্মকে রক্ষা করতে আমরা ব্যর্থ। প্রতিক্ষণে হানাদারি মৃত্যুর ভয়ে আমরা ভীত ,কিন্তু আমাদের এই দুঃখের ইতিহাস অলিখিত থেকে যাবে চিরকাল। রানার-এর বেদনার মতো কাল রাত্রের খামে চিরকাল তা আবদ্ধ থেকে যাবে, কবির আক্ষেপ।
বিশ্বাসের ভীত যেখানে আলগা হয়ে যায়, সেখানেই সংশয় সৃষ্টি হয় । কবি মনে করেন সারা পৃথিবীর ইতিহাসে সাধারণ মানুষের কথা সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি, কারণ ইতিহাস কে নিয়ন্ত্রণ করে শাসক ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আর সাধারণ মানুষের যদিও কোনো ইতিহাস থাকে তবে তা অস্পষ্ট এবং অর্ধসত্য । তাদের অসহায় বিপন্নতা কিংবা করুন পরিস্থিতির খোঁজ, শাসকের ইতিহাসে অনুপস্থিত বলেই – তথাকথিত বিকৃত ইতিহাস সম্পর্কে কবির এই সংশয়।
3. এল মানুষ ধরার দল তাদের আগমনের আগে আফ্রিকায় স্বরূপ কেমন ছিল?
উওর: জাতীয়তাবাদের পশ্চিমী সাম্রাজ্যবাদী জাতিগোষ্ঠীর জাতীয়তাবাদের পরিচয় প্রসঙ্গে ‘মানুষ ধরার দল’ বিশেষণটি ব্যবহার করেছেন।
সৃষ্টির আদিতে আফ্রিকা তৈরি হয়েছিল প্রকৃতির খেয়ালে। আদিম প্রকৃতি নিজের মনের মতো করে গড়ে তুলেছিল আফ্রিকাকে। বাকি পৃথিবীর কাছে আফ্রিকা ছিল অপরিচিত। স্বল্প আলোকিত প্রদেশে নিভৃতের অবকাশে আফ্রিকা দুর্গম রহস্যকে উপলব্ধি করতে পেরেছিল। আর সেইসঙ্গে চিনে নিতে পেরেছিল জল- স্থল আকাশের দুর্বোধ্য রহস্য-কে।
কবির মতে সৃষ্টির আদি লগ্নে বিশ্বস্রষ্টা তার নতুন সৃষ্টিকে যখন বারবার ভেঙে নতুন করে গড়েছিলেন তখনই সমুদ্র এসে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে আফ্রিকা।4. সব মিলিয়ে লেখালিখি রীতিমতো ছোটোখাটো একটা অনুষ্ঠান – প্রবন্ধ অনুসারে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো ?উওর: প্রাবন্ধিক নিখিল সরকার ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধের প্রশ্ন উক্তিটি করেছেন।
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের লেখক নিখিল সরকার(শ্রীপান্থ) নিজের ছেলে বেলার স্মৃতিচারণ করেছেন। যদিও বর্তমানে লেখক এর কর্মক্ষেত্র টি একটি প্রকাশনা সংস্থা হলেও সেখানে কলম খুঁজে পাওয়া ভার। এখানে সবাই কাজ করে কম্পিউটারে, লেখেন কিবোর্ড এ অথচ গ্রামের ছেলে শ্রীপান্থ ছেলেবেলা থেকে কালি ও কলম নিজেরা তৈরি করে লিখতে অভ্যস্ত।
আলোচনা প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক খুব সহজভাবে অতীতের স্মৃতিচারণা করেছেন। প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ বাঁশের কঞ্চির কলম তৈরির কথা বলেছেন ।লেখকেরা কঞ্চির ডগার দিকে ছুঁচলো করে মুখটা আড়াআড়িভাবে চিরে দিতেন যাতে একসঙ্গে অনেক টা কালি লেখার পাতায় গড়িয়ে না পড়ে। বাঁশের কঞ্চি ছাড়া পাখির পালক, নলখাগড়ার কলম ইত্যাদির কথাও বলেছেন ।লেখকরা নিজেরাই এই কালী তৈরি করলেও মাপ ঋষিদের সাহায্য নিতেন।লেখকরা তিল, নিফলা লোহার পাত্রে ভিজিয়ে রাখতে ন ছাগলের দুধ দিয়ে। তারপর একটি লোহার দন্ড দিয়ে ভালো করে ঘষে নিতে হতো । এভাবে কালি তৈরি করত। আর লেখকদের কালি তৈরির পদ্ধতি ছিল বেশ সহজ। বাড়িতে কাঠের উনুন এ যে কড়াইয়ে রান্না হতো তার তলায় কালি জমতো। সেই কালি লাউ পাতা দিয়ে ঘষে তুলে নিয়ে পাথরের বাটিতে রাখা জলে গুলে নেওয়া হতো। কেউ কেউ এর মধ্যে হরিতকী ঘষতেন ও পোড়া আতপ চাল গুড়ি মেশাতেন। সবশেষে খুন্তি কে লাল করে সেই জলে ডোবালে জল ফুটে উঠত। ঠান্ডা জলে ডোবালে জল ঠান্ডা জলে ভরে দেয়া হতো। ঠান্ডা হলে ন্যাকড়ায় ছেকে দোয়াতে ভরে নেয়া হতো।
5. সব চূর্ণ হয়ে গেল জ্বলে গেল আগুনে- কবিতা অনুসারে পরিস্থিতির বিববরণ দাও
উওর: বিংশ শতকের প্রখ্যাত চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদা যুদ্ধের বিপক্ষে ও মানবতার স্বপক্ষে দাঁড়িয়ে বলেছেন। আগ্নেয় পাহাড়ের ন্যায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ভয়ঙ্কর লেলিহান আগুনে চূর্ণ হয়েছিল কথকের বাড়ি। একদা যে বাড়ির বারান্দায় ঝুলন্ত বিছানায় তিনি ঘুমাতেন। ধ্বংস হয়ে গেছে কথকের গোলাপি গাছ চিমনি আর জলতরঙ্গ যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বক্তার সৌন্দর্যবোধ ইত্যাদি প্রেমের পরিচায়ক – এসমস্ত আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে।
6. অনুক্ত কর্তা – বলতে কি বুঝ?
উওর: যখন কোন বাক্যে কর্তা প্রধানভাবে উক্ত হয় না তাকে অনুক্ত কর্তা বলে।
7. অ- কারক পদ কয় প্রকার ও কি কি?
উওর: অকারক পদ দুই প্রকার সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ।
8. তির্যক বিভক্তি কাকে বলে?
উওর: কোন বিভক্তি একাধিক কারকে ব্যবহৃত হলে তাকে তির্যক বিভক্তি বলে। যেমন- এ, য়, য়ে
1. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :(1.1) তপন গভীরভাবে সংকল্প করে —
(ক) আর কখনাে লেখা ছাপানাের জন্য নিজে কোথাও যাবেনা।
(খ) মেসােকে নয়, মাসিকেই লেখা জমা দেবে।
(গ) ডাকে লেখা পাঠাবে।
(ঘ) তপন নিজে গিয়ে লেখা জমা দেবে।
উওর: (ঘ) তপন নিজে গিয়ে লেখা জমা দেবে ।
(1.2) “ডুবে ছিল ধ্যানে – কত দিনের ধ্যান ?(ক) এক মুগ। (খ) শতবর্ষ (গ) হাজার বছর। (ঘ) যুগের পর যুগ ধরে
উওর: (গ) হাজার বছর।
(1.3) “আদিতে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল –(ক) ঝরনা কলম (খ) রিজার্ভার পেন (গ) কুইল। (ঘ) স্টাইলাস ।
উওর: (ক) ঝরনা কলম
(1.4) যে কর্তা অন্যকে দিয়ে কাজ করায়, সে হল -(ক) প্রযোজ্য কর্তা। (খ) প্রযোজক কর্তা। (গ) উহা কর্তা । (ঘ) অনুক্ত কর্তা ।
উওর: (ক) প্রযোজ্য কর্তা।কম-বেশি ২০ টি শব্দে উত্তর লেখো ।
(2.1) কে কার বুকের থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল ?
উওর: রবীন্দ্রনাথের আফ্রিকা কবিতা আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নেয়ার কথা বলেছে। আদিম পৃথিবীর বুকে ঘটে যাওয়া ভৌগোলিক বিবর্তনকে এখানে কবি ফুটিয়ে তুলেছে। বৈজ্ঞানিকদের মতে – টেকটনিক প্লেটগুলোর সংঘাতের ফলেই এশিয়ার মূল ভূখন্ড থেকে আফ্রিকা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কবি এরই কাব্যিক রূপ দিয়ে বলেছে রুদ্র সমুদ্র মূল ভূখণ্ড থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে যেন বনস্পতির নিবিড় পাহারায় কৃপণ আলোর অন্তরালে তাকে নিক্ষেপ করেছিল।
(2.2) ক্যালিগ্রাফিস্ট কাদের বলে ?
উওর: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধ অনুসারে মধ্যযুগ এবং তার পরবর্তী কালে যারা ছিলেন ওস্তাদ কলমবাজ বা লিপি কুশলী যে সমস্ত লিপিকর দের লেখা পুথি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়, তাদের বলা হতো ক্যালিগ্রাফিস্ট।
(2.3) “বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠা কথাটা” – কোন কথা?
উওর: জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লিখেছিলো তপন। গল্পটি ছিল তার স্কুলে ভর্তি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে। তা ছোটমাসির হাতে পড়ে এবং ছোট মাসি তা নিয়ে বেশ হইচই করে। তার লেখক স্বামীকে গল্পটি দেখান । মাসির অনুরোধে মেসো তপনকে কথা দেন সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তার গল্প ছাপিয়ে দেবেন। এই কথাটাই চায়ের টেবিলে উঠেছিল।(2.4) সম্বন্ধপদকে কারক বলা যায় কিনা কারণসহ লেখো।উওর: ক্রিয়াপদের সাথে সম্পর্ক না রেখে যে নামপদ বাক্যস্থিত অন্য পদের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয় তাকে সম্বন্ধ পদ বলে। যেমন রামের ভাই বাড়ি যাবে। এখানে রামের সঙ্গে ভাইয়ের সম্পর্ক আছে কিন্তু যাবে ক্রিয়ার সাথে সম্বন্ধ নেই, ক্রিয়ার সঙ্গে সম্বন্ধ পদের সম্বন্ধ নেই বলে সম্বন্ধ পদ কে কারক বলা হয় না।
প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০ শব্দে উত্তর লেখাে :
(3.1) পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে। – তপনের এমন মনে হওয়ার কারণটি লেখাে।
উওর: প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর গল্প জ্ঞানচক্ষু এর কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন।
বিশাল পৃথিবীতে স্বল্প বাস্তবতাবোধ নিয়ে আর পাঁচটা শিশুর মতোই তার পথচলা। লেখকদের সম্পর্কে তার ধারণা সেকথাই বলে। সেই তপন তার নতুন লেখক মেসো মশাইয়ের সান্নিধ্যে এসে তার প্রতিভাকে বিকশিত করে কাঁচা হাতে লিখে ফেলে একটা আস্ত গল্প। সেই গল্প মেসোর হাতে গেলে মেসো তপনের ও বাড়ির লোকেদের মন রাখার জন্য তা সামান্য কারেকশন করে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন এবং লেখা টি নিয়ে যান। এর বেশ কিছুদিন পর সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় গল্পটি ছাপানো হয়। তপনের কাছে এই ঘটনাটি অলৌকিক বলে মনে হয়েছিল।
অলৌকিক শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো মানুষের পক্ষে যা সম্ভব নয় বা পৃথিবীতে সচরাচর যা ঘটে না ।এক্ষেত্রে ছোট্ট তপনের লেখা গল্প যেভাবে ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়েছিল সেটাই অলৌকিক। আসলে তপনের লেখক সম্পর্কে ধারণার অবসান , গল্প লেখা , মেসোর হাত ধরে ছাপার অক্ষর এ প্রকাশিত হওয়া প্রভৃতি ঘটনাগুলোই তার কাছে অলৌকিক।(3.2) “আমরা ভিখারি বারো মাস”- এই উপলব্ধির মর্মার্থ লেখো ।উওর: কবি শঙ্খ ঘোষের আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত। এখানে আমরা বলতে বর্তমান বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসনে ও মৌলবাদী শক্তির অত্যাচারে জর্জরিত সাধারণ শান্তিকামী ও শ্রমজীবী মানুষদের বোঝানো হয়েছে।
নিজেদের সর্বদা ভিখারি মনে করার কারণ:- এক্ষেত্রে আমরা একটি বিশেষ শ্রেণী চরিত্র, দেশকাল ভেদে যারা সর্বদাই এক। সাধারণ শ্রমজীবী এই মানুষগুলি সমাজে নিচের তলার মানুষ হিসাবে পরিচিত। এরা সভ্যতার ধারক ও বাহক। কিন্তু এরাই থাকে সবচেয়ে অন্ধকারে। সমাজের তথাকথিত উচ্চবিত্তের দয়া দাক্ষিণ্যের উপর নির্ভর করে এদের মরা বাচা ।
শাসকদের ক্ষমতার বদল হলেও এদের দৃঢ়তার কোন বদল হয় না। সাধারণ মানুষ গুলি সর্বদায় বঞ্চিত থাকে তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে। আবার সাম্রাজ্যবাদী ও মৌলবাদী শক্তি যখন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিশ্বময় উন্মাদনা সৃষ্টি করে , তখন সবার আগে এরাই আশ্রয় চ্যুত হয়ে পড়ে। এদের জীবনের ইতিহাস কোথাও লেখা হয়না আর যদিও বা লেখা হয় তবে তা ক্ষমতাবান ও সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে বিকৃত হয়ে পরিবেশিত হয় । এই সমস্ত মানুষরা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক বিচারে ভিখারী নয় এরা সামাজিক দিক দিয়েও দিন শাসকের অবজ্ঞা, উপেক্ষা ও অবহেলার পাত্র।
4. কম-বেশি ১৫০ শব্দে নীচের প্রশ্নটির উত্তর লেখাে :
(4.1) “আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই” প্রবন্ধ অনুসারে কালি তৈরি পর্বের বর্ণনাটি নিজের ভাষায় লেখাে।
উওর: কালি কলম এর অতীত সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে লেখক শ্রীপান্থ বাঁশের কলম তৈরির কথা বলেছেন। লেখক নিজেই কালি তৈরি করলেও মা ,পিসি দের সাহায্য নিতেন। প্রবন্ধে লেখক কালী তৈরীর দু’রকম পদ্ধতি বলেছেন – প্রথম পদ্ধতি হল ত্রিফলা, লোহার পাত ছাগলের দুধে ভিজিয়ে রাখতে হতো তারপর একটি লোহার দন্ড দিয়ে ভালো করে ঘষে নিতে হত। এই কালি এতটাই টেকসই হতো যে লেখার পাতা ছিরলেও কালি উঠত না ।
সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প আজকের পৃথিবীকে বিষাক্ত করে তুলেছে। মানুষের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন । এই সময়ে আমরা বিশেষ করে সাধারণ মানুষ এক ভয়ঙ্কর দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সামনের প্রতিকূল পথ ধরে এগিয়ে চলেছি। এছাড়া আমাদের সামনে আর কোন পথ নেই। ভাবি প্রজন্মকে রক্ষা করতে আমরা ব্যর্থ। প্রতিক্ষণে হানাদারি মৃত্যুর ভয়ে আমরা ভীত ,কিন্তু আমাদের এই দুঃখের ইতিহাস অলিখিত থেকে যাবে চিরকাল। রানার-এর বেদনার মতো কাল রাত্রের খামে চিরকাল তা আবদ্ধ থেকে যাবে, কবির আক্ষেপ।
বিশ্বাসের ভীত যেখানে আলগা হয়ে যায়, সেখানেই সংশয় সৃষ্টি হয় । কবি মনে করেন সারা পৃথিবীর ইতিহাসে সাধারণ মানুষের কথা সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি, কারণ ইতিহাস কে নিয়ন্ত্রণ করে শাসক ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আর সাধারণ মানুষের যদিও কোনো ইতিহাস থাকে তবে তা অস্পষ্ট এবং অর্ধসত্য । তাদের অসহায় বিপন্নতা কিংবা করুন পরিস্থিতির খোঁজ, শাসকের ইতিহাসে অনুপস্থিত বলেই – তথাকথিত বিকৃত ইতিহাস সম্পর্কে কবির এই সংশয়। লেখকদের কালি তৈরি দ্বিতীয় পদ্ধতিটি ছিল বেশ সহজ। বাড়িতে কাঠের উনুনে রান্না হতো তার তলায় কালি জমতো। সেই কালি লাউ পাতা দিয়ে তুলে নিয়ে পাথরের বাটিতে রাখা জলে গুলে নেয়া হতো কেউ কেউ এর মধ্যে হরিতকী ও পোড়া আতপ চাল গুড়ো করে নিত । সবশেষে খুন্তি কে লাল করে পুড়িয়ে সেই জলে ডোবালে জল ফুটে উঠত। ঠান্ডা হলে ন্যাকড়া দিয়ে ছেঁকে নিয়ে দোয়াতে ভরে নেয়া হতো এই কালি।
1. তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়।- ‘বহরুপী গল্পের আলােকে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
2. ‘ঘুচাব এ অপবাদ, বধি রিপুকুলে।- বক্তা কে? কোন অপবাদের কথা তিনি বলেছেন? উক্ত অপবাদ ঘােচানাের জন্য তিনি কীভাবে প্রস্তুত হলেন?
3. ‘তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত।’— বক্তা কাদের কাছে কেন লজ্জিত তা সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশ অনুসরণে আলােচনা করাে।
4. ওই ভাঙা-গড়া খেলা যে তার কিসের তবে ডর?- কবির এই মন্তব্যটি কোন ইঙ্গিতবাহী ?
5. ‘বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোলআনাই বজায় আছে। বাবুটি কে? তার স্বাস্থ্য এবং যােলােআনা শখের পরিচয় দাও।
ক ) নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১ ) স্মৃতিকথা কিভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসাবে ব্যবহার হতে পারে উদাহরণসহ আলোচনা করো।
উত্তর – স্মৃতিকথা হল স্মৃতিমূলক সাহিত্য। ব্যাখ্যা করা বলা যায় এখানে লেখক তার জীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এবং সমসাময়িক দেশকালের স্মৃতি রোমন্থ করে গ্রন্থাগারে প্রকাশ করেন ।
এ প্রসঙ্গে বিপিনচন্দ্র পালের ‘ সত্তর বছর ‘ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ জীবনস্মৃতি ‘ ও সরলা দেবী চৌধুরানী ‘ জীবনের ঝরাপাতা ‘ নামক স্মৃতিকথা বলা হয় ।
২ ) বাংলার নবজাগরণ ছিল কলকাতা শহরকেন্দ্রিক – মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো ।
উত্তর – উনিশ শতকের গোড়ায় বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, সমাজ প্রভৃতি ক্ষেত্রে এক নবচেতনার সূচনা হয়। যা বাংলায় নবজাগরণ নামে পরিচিত। বাংলার নবজাগরণ মূলত ছিল কলকাতা শহরকেন্দ্রিক। তাই সামগ্রিকভাবে সমস্ত বাংলায় ছড়িয়ে পড়েনি। তবে এই নবজাগরণ এর মাধ্যমে বাংলার ধর্ম ও সমাজে আধুনিকতার সঞ্চার হয়েছিল।
৩ ) চুয়াড় বিদ্রোহকে ‘ চুয়াড় বিপ্লব ‘ বললে কেন ভুল বলা হবে ?
উত্তর – বিপ্লব শব্দটি ১৭৬৮ – ৬৯ এবং ১৭৯৮ -৯৯ খ্রিস্টাব্দের দুই পর্বে সংঘটিত চুয়াড়দের সংগ্রামে তা অনুপস্থিত। এই সংগ্রাম চুয়াড়দের জীবনধারায় কোন পরিবর্তন আনতে পারেনি। বিদ্রোহের পর সরকার ‘ জঙ্গলমহল ‘ নামে আলাদা প্রশাসনিক এলাকা করে দিলেও বহিরাগত জমিদার, ইজারাদার, মহাজন ইত্যাদি শ্রেণীর অত্যাচার থেকে মুক্ত হয়নি। তাই চুয়াড়দের সংগ্রামকে ‘ বিপ্লব ‘ না বলে ‘ বিদ্রোহ ‘ আখ্যা দেওয়াই অধিকতর যুক্তিসঙ্গত হবে।
খ ) ভারতের মানচিত্রে নিম্নলিখিত স্থানগুলি চিহ্নিত করো ও নাম লেখ :
উত্তর – তোমরা নিজেরা বই দেখে করে নাও।
গ ) উপযুক্ত তথ্য সহযোগে নিচের ছকটি পূরণ করো :
উত্তর –
বঙ্গদর্শন –
সম্পাদক – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
সময়কাল – ১৮৭২।
বিষয়বস্তু – ইতিহাস, সঙ্গীত, সাহিত্য, সমালোচনা কৃষক সমস্যা, হিন্দু মুসলিম সমস্যা প্রভৃতি বিষয়ের উপর রচনা প্রকাশিত হয়।
সোমপ্রকাশ –
সম্পাদক – দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ।
সময়কাল – ১৮৫৮।
বিষয়বস্তু – উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ‘ সোমপ্রকাশ ‘ ছিল শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্তের অন্যতম প্রধান মুখপাত্র। বিধবাবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সম্পর্কে প্রতিবেদন এতে নিয়মিত প্রকাশিত হতো।
বামবোধনী –
সম্পাদক – উমেশচন্দ্র দত্ত ।
সময়কাল – ১৮৬৩।
বিষয়বস্তু – বামাবোধিনী মূল উদ্দেশ্য ছিল বামা সমাজের বন্ধনমুক্তি তথা নারী শক্তির জাগরণ।
গ্রামবার্তা প্রকাশিকা –
সম্পাদক – হরিনাথ মজুমদার ।
সময়কাল – ১৮৬৩।
বিষয়বস্তু – এই পত্রিকায় জমি, জমিদার, কৃষক, মহাজন, নীলকর বিষয়ের ওপর আলোচনা থাকতো।
হুতোম প্যাঁচার নকশা –
সম্পাদক – কালিপ্রসন্থ সিংহ ।
সময়কাল – ১৮৬১।
বিষয়বস্তু – এই গ্রন্থে সমকালীন কলকাতার সমাজ জীবনের দুর্নীতি, কপটতা ও ভন্ডামীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন।
ঘ ) নির্ভুল তথ্য দিয়ে ফাঁকা ঘরগুলো পূরণ করো :
উত্তর:
সাঁওতাল –
সময়কাল – ১৮৫৫ – ৫৬।
অঞ্চল – বিহারের রাজমহল পাহাড়ের নিকটবর্তী অঞ্চল – বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বীরভূম।
নেতৃত্ব – সিধু, কানু, চাঁদ, ভৈরব।
কারণ – সাঁওতালদের বাসভূমি ‘ দাখিন -ই – কোহ ‘ অঞ্চলে সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি। সাঁওতালদের ওপর অত্যাচার।
প্রভাব – এই বিদ্রোহ ভারতে ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তিকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল।
মুন্ডা –
সময়কাল – ১৮৯৯ – ১৯০০।
অঞ্চল – বিহারের ছোট নাগপুর অঞ্চল ।
নেতৃত্ব – বিরসা মুন্ডা।
কারণ – ইংরেজ সৃষ্ট ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার ভাঙন ধরে ও তাদের বেকার শ্রম দানে বাধ্য করা।
প্রভাব – এই বিদ্রোহের মূল উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা ব্যর্থ হলেও এই বিদ্রোহ মুন্ডাদের রাজনৈতিক চেতনা জাগ্রত করতে সমর্থ হয়।
নীল –
সময়কাল – ১৮৫৯ – ৬০।
অঞ্চল – পাবনা, ফরিদপুর, খুলনা, দিনাজপুর ।
নেতৃত্ব – বিভূচরণ বিশ্বাস ও দিগম্বর বিশ্বাস।
কারণ – নীলকররা দরিদ্র চাষিকে বিঘা প্রতি মাত্র দুই টাকা দাম দিয়ে তার জমিতে নীলচাষে বাধ্য করতো এবং উৎপন্ন নীল, নীলকরদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য করতো।
প্রভাব – এই বিদ্রোহের মাধ্যমে কৃষক, জমিদার, শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত ও হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
ওয়াহাবি –
সময়কাল – ১৮২৩ – ৫৫।
অঞ্চল – পাঞ্জাব, বাংলা, বিহার, মিরাট ।
নেতৃত্ব – সৈয়দ আহমেদ তিতুমীর ।
কারণ – ইসলাম ধর্মের কুসংস্কার দূর করে কুরআন নির্দেশিত পথে ইসলামের শুদ্ধিকরণ ।
প্রভাব – ওয়াহাবি আন্দোলনে মূল লক্ষ্য ইংরেজদের বিতাড়িত করা। তাই অনেকে একে জাতীয় আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন।
ফরাজি –
সময়কাল – ১৮১৮।
অঞ্চল – ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ।
নেতৃত্ব – হাজি শরিয়ত উল্লাহ ।
কারণ – ভারতকে ইসলামের দেশে পরিণত করা ।
প্রভাব – ফরাজি আন্দোলনের ধর্মীয় ভাব যুক্ত থাকলেও এটি মূলত ছিল একটি কৃষক বিদ্রোহ।
নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো :
১ ) নারী ইতিহাস চর্চার প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে আলোচনা করো।
উত্তর – প্রাচীন যুগের ইতিহাস আলোচনা করলে দেখা যায় সেখানে নারীদের অবস্থান সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা পাওয়া যায় না। ধীরে ধীরে যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে সামাজিক অবস্থারও পরিবর্তন ঘটে। সমাজে স্থান পেতে থাকে নারী সমাজ। ইতিহাসের সেই পুরনো দিন থেকে আজ পর্যন্ত নারীরা কিভাবে অবস্থান করেছে সেই আলোচনায় হলো নারীর ইতিহাস।
মনোভাব – প্রাচীনকাল থেকেই মনে করা হতো নারীরা পুরুষের থেকে অনেক দিক থেকে পিছিয়ে। আর এই মনোভাবের ফলে ইতিহাসে নারীদের চর্চা খুব বেশি স্থান পায়নি। পৃথিবীর প্রাচীন ইতিহাসে দেখা গেছে নারীদের অবদান। ভারতের প্রাচীন ইতিহাসে আমরা কমবেশি নারীদের পেয়ে থাকি। লোপামুদ্রা থেকে যার শুরু সুলতান রাজিয়াতে তার প্রকাশ।\
বঞ্চনা – সমাজের পুরুষের মনে দূর মনোভাব ছিল যে নারীদের সবসময় আড়াল করে রাখতে হবে। শুধুমাত্র এই বঞ্চনার শিকার থেকেই নারীদের ইতিহাস প্রাচীন থেকেই সীমিত হয়ে পড়ে।
অধিকার – প্রাচীন যুগের ইতিহাস থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত সময়ের ইতিহাসকে আলোচনা করলে দেখা যায় নারীকে কখনো তার নিজের অধিকার দেওয়া হতো না।
আধুনিক নারী – আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চা অনেক পরে শুরু হয়েছে। আধুনিক ভারতের থেকে নারীদের ইতিহাসে আসে পরিবর্তন। এখানে স্থান পেয়েছে মালেকা বেগম, রাজশ্রী বসু, সরোজিনী নাইডু, ইন্দ্রাগান্ধির মতো নারীরা।
পরবর্তীকালে নারীরা সমাজে স্থান পেতে থাকে। তারা বিভিন্ন উচ্চপদে নিযুক্ত হতে থাকে। নারীদের এই বিকাশের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ এক ইতিহাস।
২ ) গ্রামবার্তা প্রকাশিকা হলো একটি ব্যতিক্রমী পত্রিকা আলোচনা করো।
উত্তর – পন্ডিত হরিনাথ মজুমদার ‘ গ্রামবার্তা প্রকাশিকা ‘ পত্রিকাটি সম্পাদনা করতেন। আর্থিক দুরবস্থা, পরিকাঠামোগত অসুবিধা সত্ত্বেও দীর্ঘ ২২ বছর ধরে তিনি এই পত্রিকাটি প্রকাশ করেন। যাতে সমাজের নিপীড়িত, অত্যাচারিত, অবহেলিত মানুষের অবস্থা পরিবেশিত হয়।
গ্রামবার্তা প্রকাশিকার বৈশিষ্ট্য –
i ) ব্রিটিশ সরকার ও তার সহযোগী জমিদার ও মহাজন কর্তৃক প্রজা শোষণ ও অত্যাচারের কথা এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। এমনকি জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির জমিদারি ব্যবস্থাও তাঁর সমালোচনার হাত থেকে রেহাই পায়নি।
ii ) গ্রাম ও গ্রামবাসী প্রজার অবস্থা, সমসাময়িক বিভিন্ন খবর এই পত্রিকায় প্রকাশিত হতো।
iii ) এই পত্রিকায় সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান ইত্যাদি প্রকাশিত হয়েছিল।
গ্রামবার্তা প্রকাশিকার অবদান –
i ) আগের সমস্ত পত্র-পত্রিকা কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল বলে তাতে শহরের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানসিক প্রতিফলন ধরা পড়েছিল। কিন্তু ‘ গ্রামবার্তা প্রকাশিকা ‘ শুধু গ্রাম থেকেই প্রকাশিত হয়।
ii ) এটিই ছিল বাংলার গ্রামীণ সংবাদপত্রের জনক।
iii ) এতে গ্রামের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, বঞ্চনা, নিপীড়নের কথা, নীলকরদের অত্যাচারের কথা তুলে ধরা হয়েছিল বলে এটি ছিল ব্যতিক্রমী পত্রিকা।
৩ ) নীল বিদ্রোহ সম্পর্কে সমকালীন শিক্ষিত বাঙালি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন ছিল ?
উত্তর – বাংলায় নীল বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর একাংশের যোগদান ও নীল বিদ্রোহের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন।
মধ্যবিত্ত বাঙালি বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে যারা নীল আন্দোলনকে সমর্থন জানান তাদের মধ্যে শিশির কুমার ঘোষ ও ‘ হিন্দু প্যাট্রিয়ট ‘ পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট – হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এর ভবানীপুরের বসতবাড়িটি নীলচাষীদের আদালতে পরিণত হয়। তিনি নীলচাষীদের দুর্দশার কাহিনী তার পত্রিকার পাতায় দিনের-পর-দিন প্রকাশ করতে থাকেন।
শিশির কুমার ঘোষ – গ্রামীণ সাংবাদিক শিশিরকুমার গ্রামাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে নীলচাষীদের জ্বলন্ত সংবাদ সংগ্রহ করতেন।
খৃষ্টান মিশনারী – ১৮৬০ সালে দীনবন্ধু মিত্র এই বিদ্রোহকে কেন্দ্র করে ‘ নীলদর্পণ ‘ নাটকটি রচনা করেন।
আইনজীবীদের অংশগ্রহণ – বিশিষ্ট আইনজীবী শম্ভুনাথ পন্ডিত, প্রসন্নকুমার ঠাকুর প্রমূখ নীল বিদ্রোহীদের পক্ষ নিয়ে ওকালতি করেছিলেন। তবে অধিকাংশ আইনজীবী নীল বিদ্রোহকে সমর্থন করেননি।
৪ ) উপযুক্ত তথ্য দিয়ে নিচের ছকটি পূরণ করো :
উত্তর –
স্কুল বুক সোসাইটি –
ব্যাক্তিত্ব – ডেভিড হেয়ার।
অন্যান্য উদ্যোগ – i ) হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ii ) হেয়ার স্কুল প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। iii ) ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটি স্থাপন করেছিলেন।
ব্রাহ্ম সমাজ –
ব্যাক্তিত্ব – রামমোহন রায়।
অন্যান্য উদ্যোগ – i ) নারী জাতির উন্নয়ন করেছিলেন। ii ) সতীদাহ প্রথা নিবারনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।
অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন –
ব্যাক্তিত্ব – ডিরোজিও।
অন্যান্য উদ্যোগ – i ) নব্য বঙ্গ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। ii ) জাতিভেদ প্রথার বিরোধিতা করেছিলেন। iii ) বিভিন্ন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন।
(১) হিন্দু মেলা টীকা লেখো ?
বসু মন্দির টিকা লেখো .
তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার টিকা লেখো ?
(২) ভারত মাতার চিত্র- জাতীয়তাবাদের কিভাবে উন্মেষ ঘটায়।
(3) ছাপাখানার বিস্তার ও শিক্ষার প্রসারের সম্পর্ক সমানুপাতিক – উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগে বাংলার শিক্ষা বিস্তার প্রসঙ্গে উক্তিটির ব্যাখ্যা করাে।
(৪) একটি ভারতের মানচিত্রে প্রদত্ত স্থানগুলি চিহ্নিত করাে — মিরাট, এলাহাবাদ, ব্যারাকপুর, দিল্লি, ঝাঁসি, শ্রীরামপুর, বোলপুর ?
ACTIVITY 1 Answer:
Choose the correct alternatives to complete the following sentences:
(a) The squirrel is –
(i) as large as the mountain
(ii) as small as the mountain
(iii) not as large as the mountain
(iv) not as small as the mountain
Ans:- not as large as the mountain
(b) The mountain cannot –
(i) crack a nut
(ii) make a squirrel track
(iii) carry forests
(iv) carry fountains
Ans:- crack a nut
(c) The squirrel does not find it disgraceful to –
(i) occupy the mountain’s place
(ii) occupy the river
(iii) occupy its own place
(iv) occupy the tree
Ans:- occupy its own place.
ACTIVITY 2 Answer:
Change the Voice of the following sentences:
(a) Switch on the light.
Ans:- Let the light be switch on.
(b) I have been invited to their house.
Ans:- They have invited me to their house.
ACTIVITY 3 Answer:
Replace the underlined words with suitable Phrasal Verbs from the list given bellow (one is extra). Change the form of verb if necessary:
(a) We could not understand what he was saying.
Ans:- make out
(b) I cannot tolerate impolite behaviour towards elders.
Ans:- put up with
(c) Rani’s grandmother cannot remember her childhood days.
Ans:- call up
List:- put up with, make out, call on, call up
ACTIVITY 1 Answer:
Join the following pairs of sentences as directed:
(a) She saw a snake. She ran away. (Use: Seeing)
Ans:- Seeing a snake she ran away.
(b) He is honest. He is rich. (Use: as well as)
Ans:- He is rich as well as honest.
(c) The Sun is a star. Everybody knows that. (Use: noun clause)
Ans:- Everybody knows that the Sun is a star.
(d) The man is old. He cannot go out.(Use: illative conjunction)
Ans:- The man is old so he cannot go out.
ACTIVITY 2 Answer:
Split the following into two sentences:
(a) Having heard the news, she fainted.
Ans:- She heard the news. She fainted.
(b) It was raining heavily, when she reached home.
Ans:- It was raining heavily. She reached home.
(c) Ashoka, who was a great king, helped in the spread of Buddhism.
Ans:- Ashoka was a great king. He helped in the spread of Buddhism.
(d) Shabnam thought that she would win the first prize.
Ans:- Shabnam would win the first prize. She thought about it.
ACTIVITY 3 Answer:
You have read the poem ‘Fable’ On the basis of the poem, write a dialogue within 100 words between the Mountain and Squirrel.
Ans:-
Mountain :- Hello, how are you ?
Squirrel:- Why are you mocking at me ?
Mountain :- As you are nothing to me.
Squirrel:- There is no shame being small. You are very big but small things are essential part of this earth.
Mountain :- You are trying to defend yourself. I dont agree with you.
Squirrel:- If you leave your conceit, I can explain it to you.
Mountain :- I am interested to listen to you.
Squirrel:- Then listen. This world is mode of both big and small things. And small things like me have their own advantages.
Mountain :- What is that ?
Squirrel:- You are not as lively as I am.
Mountain :- Thank me for the track you run on.
Squirrel:- Yes thanks to our talents. Though I can’t crack nuts as I can.
১. চিত্রসহ নদীর সঞ্জয়কার্যের ফলে গড়ে ওঠা দুটি ভূমিরূপের বর্ণনা দাও।
উত্তর :-
1) প্লাবনভূমি (Flood Plain):
নদীর সমভূমি প্রবাহে পলি সঞ্চয়ের ফলে নদী উপত্যকা চওড়া হয়। ঠিক এরকম পরিস্থিতিতে নদীতে অতিরিক্ত পরিমাণ জল এলে নদীর দু’কুল ছাপিয়ে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এবং বন্যার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে বন্যার জল কমে গেলে নদীর কূলে ছড়িয়ে পড়া জলের সঙ্গে বাহিত পলি সঞ্চয়ের ফলে যে নতুন ভূমি গড়ে ওঠে তাকে প্লাবনভূমি বলে।
বৈশিষ্ট্য :- (1) পলি দ্বারা গঠিত হয় প্লাবনভূমি সর্বদা উর্বর প্রকৃতির হয়ে থাকে। (2) প্লাবনভূমিতে স্বাভাবিক বাঁধ গড়ে ওঠে।অনেক সময় এই বাঁধগুলি যােগাযােগের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হয়। (3) প্লাবনভূমি গুলি উর্বর প্রকৃতির হওয়ার জন্য কৃষি কাজের অনুকুল। (4) অনেক সময় প্লাবনভূমি গুলির পশ্চাতে যে জলাভূমি গুলি দেখা যায় সেগুলিতে মাছ পাওয়া যায়।
উদাহরণ: ভারতের গঙ্গা নদীতে,ব্রহ্মপুত্র নদে,মিশরের নীল নদীতে প্লাবনভূমি গড়ে উঠেছে।
2) বদ্বীপ Delta): – নদীর গতিপথের শেষ পর্যায়ে অর্থাৎ নিম্ন প্রবাহ যেখানে নদী সমুদ্রে মিলিত হয়
এরকম মােহনা অঞ্চলে নদীবাহিত সুক্ষ সুক্ষ পলি সঞ্চিত হয়ে যে ত্রিকোণাকার মাত্রাহীন ‘ব’ বা গ্রিক অক্ষর ডেল্টার ন্যায় দেখতে ভূমিরূপ গড়ে তােলে তাকে বদ্বীপ বলে।
বৈশিষ্ট্য:
(1) বদ্বীপ মূলত ত্রিকোণাকার হয়ে থাকে।
(2) এটি দেখতে মাত্রাহীন ব’ বা গ্রিক অক্ষর ডেল্টার মতাে হয়।
(3) বদ্বীপ নদীর নিয় প্রবাহ তথা মােহনা অঞ্চলে গড়ে ওঠে।
(4) এটি মূলত নদীবাহিত পলি দ্বারা গঠিত।
২. মরু সম্প্রসারণ রােধের তিনটি উপায় উল্লেখ করাে।
উত্তর :-(1) বৃক্ষ সীমান্ত গড়ে তোলা।
মরুভূমি সংলগ্ন অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে আড়াআড়িভাবে কাটা গাছ ঝোপঝাড় ও বৃক্ষ রোপন করে মরুভূমির সম্প্রসারণ রােধ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বৃক্ষ গুলি সারিবদ্ধ ভাবে লাগানো হয়, যাতে বায়ু তাড়িত বালুকণা বৃক্ষে প্রতিহত হয়ে মরুভূমির প্রসার রােধ করতে পারে। এই সারিবদ্ধ বৃক্ষ গুলিকে
বৃক্ষ সীমান্ত tree line boundary) বলা হয়।
উদা: সাহারা মরুভূমির দক্ষিণাংশে 11 টি দেশ 15 কিলোমিটার চওড়া এবং ৪ হাজার কিলােমিটার বৃক্ষ সীমন্ত গড়ে তুলেছে।
(2) পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ করা; মরুভূমি সংলগ্ন অঞ্চলে পশুচারণ করলে সবুজ গাছপালা এবং বৃক্ষের । ধ্বংসের সম্ভাবনা থাকে যা মরু সম্প্রসারকে অনেক অংশে বাড়িয়ে তোলে । তাই মরু সম্প্রসারণ করার জন্য মরুভূমি সংলগ্ন অঞ্চলে কঠোরভাবে পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ করার দরকার ।
(3) সেচন কার্যের ভূমিকা
সেচ কার্যের মাধ্যমে মরুভূমি শুকনাে বালি কে যদি ভিজিয়ে রাখা যায় তাহলে বায়ু তাড়িত হয়ে সেই ভারী ভেজা বালি অন্যত্র উঠে যেতে পারে না, ফলে মরুভূমির প্রসার ও ঘটে না।
৩. ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমির মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করাে।
উত্তর :
পূর্ব উপকূলীয় সমভূমি
পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমি
এটি ভারতের পূর্ব প্রান্তে বঙ্গোপসাগর উপকূল বরাবর অবস্থিত
এটি ভারতের পশ্চিম প্রান্তে আরব সাগর উপকূলীয় বরাবর অবস্থিত
পূর্ব উপকূলের সমভূমির দৈর্ঘ্য ও উচ্চতা পশ্চিম উপকূলের সমভূমির তুলনায় কম । দৈর্ঘ্য ১৫০০ কিমি ।
পশ্চিম উপকূলের সমভূমির দৈর্ঘ্য ও উচ্চতা পূর্ব উপকূলের সমভূমির তুলনায় বেশি । দৈর্ঘ্য ১৬০০ কিমি ।
পূর্ব উপকূলীয় সমভূমি প্রশস্ত ও সমতল প্রকৃতির । এটি প্রায় ১০০ কিমি চওড়া ।
পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমি সংকৃণ উঁচু নিচু ও বন্ধুর প্রকৃতির । এটি প্রায় ৮০ কিমি চওড়া ।
৪. অতিরিক্ত ভৌমজল উত্তোলনের প্রভাবগুলি বর্ণনা করাে।
উত্তর :-
(1) পানীয় জলের অভাব
অতিরিক্ত পরিমাণ ভৌম জলের উত্তোলনের ফলে ভৌমজলপীঠ (Ground water table) নিচে নেমে যায়।তাই পরবর্তীকালে কূপ বা নলকূপ খনন করলে সহজেই আর জল পাওয়া যায় না। একদা পানীয় জলের অভাব দেখা দেয়।
(2) ভূমিধস: অতিরিক্ত ভৌমজল উত্তোলনের ফলে মাটির নিচের স্তরগুলি স্বাভাবিক তুলনায় অনেক বেশি শুকনাে হয়ে যায়। ফলে মাটির নিচের স্তরগুলির মধ্যে ভারসাম্য হারিয়ে যায়। এক কথায় যা ভূমিধসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
(3) মাটিতে খনিজ লবণের আধিক্য
ভূগর্ভ থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভৌমজল উত্তোলনের ফলে ভৌম জলের সঙ্গে মাটির নিচের খনিজ লবণ উঠে আসে। এই খনিজ লবণ ভৌমজলের সঙ্গে কৃষি জমি উপরিভাগে ছড়িয়ে পড়ে। বছরের পর বছর এই প্রক্রিয়া ঘটতে থাকায় মৃত্তিকার উপরিভাগে খনিজ লবণের আধিক্য ঘটে। একসময় সেই উর্বর জমি লবণের আধিক্যের জন্য অনুর্বর জমিতে পরিণত হয়। বর্তমানে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার অধিকাংশ কৃষি জমি এই সমস্যায় জর্জারিত।
১. মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায় কেন ?
উত্তর :- মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজের প্রাধান্যের কারণ-
(i) বায়ুপ্রবাহ: মরু অঞ্চলে বায়ু অবাধে তার বাহিত পদার্থকে অনেক দূরে টেনে নিয়ে যায়।
(ii) উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ুর উপস্থিতি: মরু অঞ্চলে বায়ুর আর্দ্রতা কম থাকার ফলে সেটি অত্যন্ত উষ্ণ হয়ে ওঠে। এতে ওপরের স্তরের বালুরাশি শুঙ্ক ও হালকা হয়ে বহুদূরে উড়ে যায়।
(iii) ঝড়ো বাতাসের প্রাধান্য: ঝােড়াে বাতাসের জোর বেশি। এতে বাতাসে বাহিত বালুকনার আঘাতে যেমন শিলার ক্ষয় হয় তেমনি ক্ষয়িত পদার্থ বহুদূরে উড়ে ভূমিরূপ গঠন করে।
(iv) উদ্ভিদ শূন্যতা:– বালুকণা মাটিতে আটকে রাখতে পর্যাপ্ত সংখ্যক উদ্ভিদের অভাব থাকায় মরু অঞ্চলে বায়ু খুব সহজে ও দ্রুত কাজ করে।
২. কীভাবে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন সুন্দরবনকে প্রভাবিত করছে ?
উত্তর :- বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তন কিভাবে সুন্দরবনকে প্রভাবিত করেছেন তা নিম্নে আলোচনা করা হলো ।
(i) বিশ্ব উষ্ণায়ন: বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণ হিমবাহ গলনের ফলে বঙ্গোপসাগরের জলতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এর জন্য সুন্দরবনের ছোট ছোট দীপগুলি সমুদ্রগর্ভে নিন্মছিত হয়েছে । এছাড়া ঘোড়ামারা ও নিউমুর সহ আরও দশটি দিয়ে নিন্মছিত হওয়াই আশঙ্কা রয়েছে।
(ii) সাইক্লোন জোয়ার ও বান: প্রবল সাইক্লোন মুখ্য ও গৌণ জোয়ার এবং নদীতে বান আসার ফলে দ্বীপগুলির বারবার প্লাবিত হচ্ছে । এর ফলে প্লাবিত অঞ্চল গুলিতে সমুদ্রের জল ঢুকে পড়ায় মাটিকে লবণাক্ত করে দিয়ে কৃষি বাণিজ্যের অনুপযোগী করে তুলেছি এমন কি প্রচুর কৃষিজমি বাঁশ গাছ নারকেল গাছ ও বসতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে ।
(iii) এল নিনো: এল নিনো প্রভাবে সমুদ্র জলের উন্নয়ন হেরফের হওয়ায় জলজ প্রাণী গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে
৩. বৃষ্টির জল সংরক্ষণের প্রয়ােজনীয়তা কী ?
উত্তর :- বৃষ্টির জল সংরক্ষণের প্রয়ােজনীয়তা গুলি হলো :-
(i) ভৌম জলের মাত্রা বৃদ্ধি ভূগর্ভের জল জলতলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা হয়
(ii) বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ও পরিশোধন করে পানীয় জল পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করা হয় ।
(iii) মরুভূমি গুলিতে কৃষিকাজের জন্য এবং গবাদি পশুর পানীয় জল হিসেবে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা হয় ।
(iv) কিছু কিছু শিল্প ক্ষেত্রে সংরক্ষিত বৃষ্টির জল ব্যবহার করা হয় ।
৪. এল নিনো ও লা নিনা কীভাবে ভারতের মৌসুমী বায়ুকে প্রভাবিত করে ?
উত্তর :-
এল নিনোর প্রভাব :- এল নিনো হলো পেক উপকূল বরাবর প্রবাহিত একটি দক্ষিণমুখী অস্থির উষ্ণ সমুদ্র স্রোত এই এল নিনোর প্রস্তাবে দক্ষিণ এশিয়ার জেট বায়ু দুর্বল হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর স্বাভাবিক প্রবাহকে ব্যাহত করে ফলে এল নিনো বছর গুলোতে মৌসুমী বায়ু ভারতে দেরিতে প্রবেশ করে এবং ক্ষরা সৃষ্টি হয়।
লা নিনার প্রভাব :- এটি একটি উত্তরমুখী অতি শীতল স্রোত । এর প্রভাবে ভারত মহাসাগর প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প পূর্ণ উষ্ণ আদ্র মৌসুমী বায়ু ভারতে প্রবেশ করে তাই লা নিনার বছর গুলোতে ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় ।
(১) বায়ুমণ্ডলে আরসলের গুরুত্ব নিরূপণ করো ।
(২) মানুষের ক্রিয়া-কলাপ পৃথিবীর প্রাকৃতিক সৌর পর্দা বিনাশের অন্যতম প্রধান কারণ – যুক্তি সহ ব্যাখ্যা করো ।
(৩) ট্রপোস্ফিয়ারের বৈপরীত্য উষ্ণতা সৃষ্টির কারণ গুলি উল্লেখ করো ।
(৪) বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের নিয়ন্ত্রক হিসেবে স্থলভাগ ও জল ভাগ বন্টন এবং নগরায়ন ও শিল্পোন্নয়নের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো ।
১। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো:
(i) মাত্রীয় বিশ্লেষণ থেকে R এর একক কী হওয়া উচিত তা নির্ণয় করো।
উত্তর:
Pv=nRT
R=Pv/nT
R= ML-¹T-²L³/mol.K
R= ML²T-²/mol.K
R= কার্য/mol.K
R= জুল/mol.K আর্গ/mol.k
(ii) STP-তে একটি গ্যাসের 112 ml আয়তনের ভর 0.22g ঐ নমুনায় কটি অণু আছে? গ্যাসের মোলার ভর কত?
উত্তর:
112ml = 0.112L
STP – তে 0.112 L গ্যাসের ভর = 0.22g
STP – তে 1 L গ্যাসের ভর = 0.22/0.112
22.4 L গ্যাসের ভর = 0.22×22.4/0.112 = 44 g
গ্যাসটির মোলার ভর = 44 গ্রাম
44 গ্রাম গ্যাসের অনুর সংখ্যা 6.022×10²³ টি
1 গ্রাম গ্যাসের অনুর সংখ্যা = 6.022×10²³/44
0.22 গ্রাম গ্যাসের অনুর সংখ্যা = 6.022×10²³x0.22/44 = 3.011×10²¹টি
(iii) প্রধানত কী কী কারনে বাস্তব গ্যাসগুলি আদর্শ আচরণ থেকে বিচ্যুত হয়?
উত্তর:
(১) আদর্শ গ্যাসের অনুগুলি বিন্দুভর সদৃশ। অর্থাৎ, অনুগুলির দ্বারা অধিকৃত আয়তন গ্যাস আধারের আয়তনের তুলনায় নগন্য।কিন্তু বাস্তব গ্যাসের অনুগুলির যতই ক্ষুদ্র হোক না কেনো এদের আয়তনকে উপেক্ষা করা যায় না।
(২) আদর্শ গ্যাসের অনুগুলির নিজেদের মধ্যে কোনো আকর্ষন বা বিকর্ষন হয় না। কিন্তু বাস্তবে গ্যাসে ক্ষীন আন্তরাবিক বলের অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়।
(iv) দিনের বেলায় আকাশকে নীল দেখায় কেন? বিবর্ধক কাচ রূপে ব্যবহার করতে হলে বস্তুকে উত্তল লেন্স সাপেক্ষ কোথায় রাখতে হবে?
উত্তর: র্যলির বিক্ষেপন সূত্র অনুযায়ী আলোর তীব্রতা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চতুমাতের ব্যাস্তানুপাতিক। অর্থাৎ যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম সেই আলোর বিক্ষেপন বেশি। বেগুনি এবং নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম হয় বিক্ষেপন বেশি হয় সুতরাং র্যলির সূত্রানুযায়ী আকাশকে বেগুনি দেখার কথা ছিল কিন্তু বেগুনি ও নীল আলোর মধ্যে মানুষের চোখ নীল বর্নের প্রতি আকর্ষিত হয় ফলে আকাশকে নীল দেখায়।
(v) পর্যায় সারণিতে গ্রুপ I – ভুক্ত মৌলদের ‘ক্ষারর ধাতু’ বলা হয় কেন? একটি ইউরেনিয়াম উত্তর মৌলের চিহ্ন লেখো।
উত্তর: গ্রুপ I মৌলগুলির মধ্যে H ও Fe বাদে বাকি মৌলগুলি তীব্র তড়িৎ ঋনাত্মক এবং এদের অক্সাইডগুলো তীব্র ক্ষারীয় তাই এই ধাতুগুলিকে ক্ষার ধাতু বলে। নেপচুনিয়াস (WP)
২. গ্রীন হাউজ ইফেক্ট এর কারন ব্যাখ্যা করো!
পৃথিবীতে আগত সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং পৃষ্ঠের দ্বারা প্রতিফলিত হয়, তবে বেশিরভাগটি পৃথিবী পৃষ্ঠ দ্বারা শোষিত হয়, যা পৃথিবীতে উষ্ণ করে। বিকিরিত ইনফ্রারেড এর কিছু ইনফ্রারেড রেডিয়েশন মহাশূন্যে চলে যায় তবে কিছু বায়ুমণ্ডলের গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি (বিশেষত জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেন) দ্বারা শোষিত হয় এবং সমস্ত দিকগুলিতে পুনরায় ছড়িয়ে পড়ে, কিছু মহাকাশে এবং কিছুটা ভূপৃষ্ঠের দিকে ফিরে যায়। যেখানে এটি নিম্ন বায়ুমণ্ডল ও ভূপৃষ্ঠকে আরও উষ্ণ করে ।
৩. কাঁচের স্লাব বর্ণালী তৈরি করতে পারে না কেন ?
ABCD হল একটি আয়তাকার কাচের স্ল্যাব এবং PQRS হল আলোকরশ্মির গতিপথ (নিচের চিত্র দেখ)। আয়তাকার কাঁচের স্ল্যাব | একপার্শ্বে কোনো রশ্মি আপতিত হয়ে স্ল্যাবের মধ্য দিয়ে গিয়ে যখন অপর পৃষ্ঠ থেকে নির্গত হবে তখন আপতিত রশ্মি ও নির্গত রশ্মি পরস্পরের সমান্তরাল হয়। তাই কৌণিক চ্যুতি শূন্য হয়। এক্ষেত্রে আলোকরশ্মির পার্শ্ব সরণ হয়।
আলোকরশ্মির প্রতিসরণে আপতন কোণ ও নির্গত কোণ সর্বদা সমান। তাই যেহেতু নির্গত রশ্মির কৌণিক চ্যুতি হয় না তাই কাচের স্ল্যাবে আলো আপাতিত হলে বর্নালিতে বিভক্ত হয় না।
৪. তড়িৎযোজী যৌগের ক্ষেত্রে আণবিক ভর ব্যবহার না করে সংকেত ভর ব্যবহার করা উচিত কেন?
প্রতিটি আয়নীয় যৌগের কেলাস অসংখ্য অসংখ্য ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন পরস্পর স্থির তাড়িতিক আকর্ষণ বলের প্রভাবে যুক্ত হয়ে গঠিত হয়। আয়নীয় যৌগ সুস্থিত ত্রিমাত্রিক আকারবিশিষ্ট কেলাস হওয়ায় আয়নীয় যৌগের ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন অণুর অস্তিত্ব নেই। তাই আয়নীয় যৌগের ক্ষেত্রে আণবিক ভরের পরিবর্তে সংকেত ভর কথাটি প্রযোজ্য । সোডিয়াম ক্লোরাইডের আণবিক ভর 58.5 না বলে সংকেত ভর 58.5 বলা হয়।
১. কোনো তড়িৎক্ষেত্রের একটি বিন্দুতে বিভব x ভোল্ট বলতে কি বোঝায় ?
২. কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে 16 অ্যাম্পিয়ার তড়িৎপ্রবাহ গেলে প্রতি সেকেন্ডে তার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ইলেকট্রনের সংখ্যা নির্ণয় করো । (ইলেকট্রনের আধান $ \ 1.6 \times 10^{-19} $ কুলম্ব ধরে নাও )
৩. কোনো তড়িৎকোশের তড়িচ্চালক বল (EMF) 1.5V বলতে কি বোঝায় ?
৪. ওহমের সূত্রটির গাণিতিক রূপ লেখো এবং লেখচিত্র অঙ্কন করো ।
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো:
১. স্নায়ুকোশের একটি পরিছন্ন চিত্র অঙ্কন করো এবং নিম্নলিখিত অংশগুলো চিহ্নিত করো |
ক) ডেন্ড্রন খ) সোয়ান কোশ গ) প্রান্তবুরুশ ঘ) অ্যাক্সোলেমা
উত্তর:
২. জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়োসিসের ভূমিকা উল্লেখ করো | মাইটোসিস কোশ বিভাজনের অ্যানাফেজ দশার তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো |
উত্তর:
জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়োসিসের ভূমিকা
i.এই দশায় প্রতিটি ডিপ্লয়েড জনন মাতৃকোশ থেকে চারটি হ্যাপ্লয়েড জনন মাতৃকোশ তৈরী হয়
ii.মিয়োসিস I হল হ্রাস বিভাজন ও মিয়োসিস II হল সম বিভাজন
iii.মিয়োসিস কোশ বিভাজনে ক্রসিং ওভার ঘটে তাই ক্রোমোজমের জিনের পুনর্বিন্যাস দেখা যায় |উভয় প্রকার গ্যামেট মিলনের ফলে অপত্য স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য যুক্ত হয়.
মাইটোসিস কোশ বিভাজনের অ্যানাফেজ দশার তিনটি বৈশিষ্ট্য
i. এই দশার শুরুতে ক্রোমোজমের সেন্ট্রোমিয়ার দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়|
ii. সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুযায়ী ক্রোমোজমগুলিকে V, L, J, I ইত্যাদি আকৃতির দেখতে হয়|
iii. বেমতন্তুগুলি পরস্পর মিলিত হয়ে স্টেম বডি তৈরী করে |
৩.অগ্রস্থ প্রকটতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যে উদ্ভিদ হরমোন তার তিনটি ভূমিকা লেখো|রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের ভূমিকা উল্লেখ করো|
উত্তর:
অগ্রস্থ প্রকটতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে অক্সিন হরমোনের ভূমিকা:
i. কোশের আয়তন প্রসারণ ও বিভাজন দ্বারা উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে |
ii. উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে |
iii. এছাড়া উদ্ভিদের অঙ্গ বিভেদ নিয়ন্ত্রণ ও লিঙ্গ নির্ধারণে সহায়তা করে |
ইনসুলিনের ভূমিকা:
i. ইনসুলিন আমাদের দেহে শর্করার পরিমান বৃদ্ধি ঘটায় |
ii. এটি যকৃত ও পেশি কোশে গ্লাইকোজেনেসিস ঘটাতে সহায়তা করে |
iii. এই হরমোন শর্করার দহন নিয়ন্ত্রণ করে ও শর্করা থেকে পাইরুভিক অ্যাসিড পরিণত করতে সহায়তা করে |
৪.মাছের সন্তরণে পাখনার গুরুত্ব নির্ধারণ করো | হাঁটু ও কাঁধে কোন কোন ধরনের অস্থিসন্ধি ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: মাছের দেহে সর্বমোট সাতটি পাখনা আছে।
একটি পৃষ্ঠপাখনা
একটি পায়ুপাখনা
একটি পুচ্ছপাখনা
একজোড়া বক্ষ
এক জোড়া শ্রোণী পাখনা
পাখনা
গুরুত্ব
বক্ষপাখনা
মাছকে জলের বাধা কেটে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে | এটির সাহায্যে মাছ জলের গভীরে প্রবেশ করতে পারে এবং ভেসে উঠতে সাহায্য করে |
শ্রোণীপাখনা
এটির সাহায্যে মাছ জলে ভাসতে পারে।
পুচ্ছপাখনা
এটির সাহায্যে মাছ জলের দিক পরিবর্তন করতে পারে।
পৃষ্ঠ ও পায়ু পাখনা
এটির দ্বারা মাছ সন্তরণের সময় মাছের ভারসাম্য রক্ষা করে।
হাঁটু ও কাঁধে যথাক্রমে কবজা সন্ধি ও বল সকেট সন্ধি ব্যবহৃত হয়.
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
১. একটি ইউক্যারিওটিক ক্রোমোজোমের অঙ্গসংস্থানের চিত্র অঙ্কন করে নিম্নলিখিত অংশগুলি চিহ্নিত করো
(ক) ক্রোমাটিড (খ) সেন্ট্রোমিয়ার (গ) নিউক্লিওলার অরগানাইজার (ঘ) টেলোমিয়ার
উত্তর:
২. প্রাণীদের গমন এর কারণ গুলি কি কি? ‘ফ্লেক্সর ও এক্সটেনসর পেশির কার্যপদ্ধতি পরস্পরের বিপরীতধর্মী’ ─ উপযুক্ত উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো ।
উত্তর: গমনের উদ্দেশ্য:
(i) খাদ্য: মূলত প্রাণীরা খাদ্যের জন্য স্বনির্ভর নয় তাই তাদের খাদ্যের খোঁজ গমনের একটি প্রধান উদ্দেশ্য
(ii) আত্মরক্ষা: শত্রুর আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রায় গমনের প্রয়োজন হয় |
(iii) প্রজনন: বংশ বিস্তারের জন্য প্রাণীদের অনুকূল পরিবেশের খোঁজে প্রায় গমনের প্রয়োজন হয় |
(iv) আশ্রয়: সুষ্ঠ ভাবে জীবনযাপন করতে ও জৈবিক ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনের জন্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর নিরাপদ আশ্রয়ের প্রয়োজন। সেই সূত্রে গমনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্লেক্সর পেশির কাজ : দুটি অস্থিকে বিভক্ত করে পরস্পরের কাছাকাছি নিয়ে আসা। যেমন: হাতের বাইসেপ্স দুটি অস্থি কে বিভক্ত করে হিউমেরাস ও রেডিয়াসকে পরস্পরের কাছাকাছি নিয়ে আসে।
এক্সটেনসর পেশির কাজ: দুটি অস্থিকে পরস্পর থেকে দূরে নিয়ে যায়। যেমন: ট্রাইসেপস দুটি অস্থিকে (হিউমেরাস ও রেডিয়াসকে) পরস্পর থেকে দূরে নিয়ে যায়।
উপরিউক্ত কাজগুলি থেকে আমরা স্পষ্টবুঝতে পারি যে ‘ফ্লেক্সর ও এক্সটেনসর পেশির কার্যপদ্ধতি পরস্পরের বিপরীতধর্মী’ |
৩. ‘কোশচক্রের S দশাকে সংশ্লেষ দশা বলা হয়’ ─ বাক্যটির যথার্থতা বিচার করো । DNA ও RNA এর পার্থক্য উল্লেখ করো ।
উত্তর: DNA অণুর সংশ্লেষ ঘটে বা প্রতিলিপিকরণ সম্পূর্ন হয় এই দশায় তাই এই দশাকে বলে সংশ্লেষ দশা ।একটি দ্বীতন্ত্রী DNA অণু দৈর্ঘ্য বরাবর দুটি দ্বীতন্ত্রী DNA অণুতে পরিণত হয়।হিস্টোন প্রোটিন সংশ্লেষিত হয় এই দশায়। S দশায় শেষে প্রতিটি ক্রোমোজম দুটি ক্রোমাটিডে বিভক্ত হয় যারা সেন্ট্রোমিয়ার দ্বারা যুক্ত থাকে।প্রতিটি ক্রোমাটিডে একটি করে অপত্য DNA অবস্থান করে।
DNA ও RNA এর পার্থক্য:
DNA
RNA
নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোমে, এছাড়াও মাইটোকনড্রিয়া ও ক্লোরোপ্লাস্টে থাকে |
নিউক্লিয়াস এবং সাইটোপ্লাজমে থাকে |
ডি-অক্সিরাইবোজ প্রকৃতির |
রাইবোজ প্রকৃতির |
অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও থাইমিন |
অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও ইউরাসিল |
DNA সমস্ত জীবের বংশগত ধারক ও বাহকরূপে কাজ করে |
RNA বংশগতির বাহক বা ধারক রূপে কাজ করে না
কোশের যাবতীয় কাজের নিয়ন্ত্রণ ও জীবের বৈশিষ্ট্যের বংশ পরম্পরায় সঞ্চারণে সাহায্য করে |
RNA প্রধানত প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে |
৪. ‘অ্যাড্রিনালিন হরমোন আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে’─ ব্যাখ্যা করো। ট্রপিক ও ন্যাস্টিক চলনের পার্থক্য লেখো ।
উত্তর: অ্যাড্রিনালিন হরমোন আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে | যেমন:
1.হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনের হার, সংকোচন বল ও হার্দ উৎপাদ বৃদ্ধি করে |
2. BMR বৃদ্ধি করে এবং দেহতাপ নিয়ন্ত্রণ করে |
3. রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ও শ্বসনের হার নিয়ন্ত্রণে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ভুমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ |
4. উত্তেজনা, ক্রোধ, ভয় প্রভৃতি অবস্থায় এই হরমোন বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হয়ে দেহকে আপৎকালীন বা সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্য করে |
উপরিউক্ত কারণগুলির জন্যই অ্যাড্রিনালিন হরমোনকে আপৎকালীন হরমোন বলা হয়ে থাকে |
ট্রপিক ও ন্যাস্টিক চলনের পার্থক্য
পার্থক্যের বিষয়
ট্রপিক চলন
ন্যাস্টিক চলন
উদ্দীপকের ভূমিকা
উদ্দীপকের উৎসের দিকের উপর নির্ভর |
উদ্দীপকের তীব্রতার উপর নির্ভরশীল |
চলন
এই চলন স্থায়ী |
এই চলন অস্থায়ী |
অক্সিন হরমোনের প্রভাব
এটি অক্সিন হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত |
এটি অক্সিন হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় |
স্থান পরিবর্তন
এই প্রকার চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে |
এই প্রকার চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে না |
উদাহরণ
গাছের ডাল সূর্যের আলোর অভিমুখে বেঁকে যায় |
উষ্ণতার উপর নির্ভর করে টিউলিপ ফুল ফোঁটা |