মডেল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 6
CHAKDAHA COLLEGE MORE (YUBADAY SANGHA) , CHAKDAHA, NADIA, MOB- 9775109285
CHAKDAHA COLLEGE MORE (YUBADAY SANGHA) , CHAKDAHA, NADIA, MOB- 9775109285
১. শূন্যস্থান পূরণ করো : ১ × ৩ = ৩
১.১ সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে __________ পাওয়া যায়।
উত্তর: সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে কুইনাইন পাওয়া যায়।
১.২ সবুজ উদ্ভিদ খাবার তৈরি করার সময় পরিবেশে __________ গ্যাস ত্যাগ করে।
উত্তর: সবুজ উদ্ভিদ খাবার তৈরি করার সময় পরিবেশে অক্সিজেন গ্যাস ত্যাগ করে।
১.৩ পাঁউরুটি তৈরি করতে লাগে এককোশী ছত্রাক __________।
উত্তর: পাঁউরুটি তৈরি করতে লাগে এককোশী ছত্রাক ইস্ট।
২. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ১ × ৩ = ৩
২.১ সিল্ক কোথা থেকে পাওয়া যায় ?
উত্তর: সিল্ক পাওয়া যায় রেশম মথ থেকে।
২.২ পরাগমিলনে সাহায্য করে এমন একটি প্রাণীর নাম উল্লেখ করো।
উত্তর: পরাগমিলনে সাহায্য করে এমন একটি প্রাণীর নাম হল প্রজাপতি।
২.৩ মানুষের দেহে বাস করে এমন একটি পরজীবীর নাম লেখো।
উত্তর: মানুষের দেহে বাস করে এমন একটি পরজীবীর নাম হল ফিতাকৃমি।
৩. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও : ২ × ৪ = ৮
৩.১ জামাকাপড়ের জন্য মানুষ কীভাবে উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করে ?
উত্তর: জামা কাপড় তৈরি করার জন্য মানুষ গাছের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। কার্পাস, শিমুল, পাট ইত্যাদি গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে তন্তু তৈরি হয় । সেইসব তন্তু দিয়েই তৈরি হয় সুতো। আর সেই সুতো দিয়ে তৈরি হয় অনেক দামী দামী পোশাক ।
৩.২ “প্রাণীরা উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করে” – দুটি উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ১) প্রাণী দের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অক্সিজেন উদ্ভিদের কাছ থেকেই পায় ।
২) বিভিন্ন উদ্ভিদ থেকে যেমন সিঙ্কোনা, সর্পগন্ধা, তুলসী, বাসক গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে নানান রকম ঔষধি দ্রব্য তৈরি হয় ।
৩.৩ মানুষ খাবারের জন্য কীভাবে প্রাণীদের ওপর নির্ভর করে ?
উত্তর: মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের জন্য উদ্ভিদের ওপর প্রচণ্ড ভাবে নির্ভর করে । প্রতিদিনের ব্যবহার করা চাল ধান গাছ থেকে পাওয়া যায় । তাছাড়া আটা ও বিভিন্ন সবজি উদ্ভিদের -ই অংশবিশেষ । শুধু তাই নয়, বিভিন্ন মসলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফলের জন্য মানুষকে উদ্ভিদের উপর নির্ভর করতে হয়।
৩.৪ বর্তমানে চাষের কাজে কেন নানারকম যন্ত্রপাতি প্রাণীদের জায়গা নিচ্ছে ?
উত্তর: চাষের কাজে লাঙ্গল-চষা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি কমানোর জন্য নানা প্রাণীদের কাজে লাগানো হতো । ফলে চাষের কাজ অনেক সহজ হয়ে উঠেছিল । কিন্তু বর্তমানে চাষের কাজে পশুদের জায়গা নিচ্ছে নানা রকম যন্ত্রপাতি । কারণ পশুদের বিশ্রাম প্রয়োজন কিন্তু যন্ত্রপাতি একটানা অনেকক্ষণ কাজ করতে পারে । পশুর তুলনায় যন্ত্রপাতির সাহায্যে অল্প সময়ে অনেক কাজ করা যায় । তাই চাষের কাজে বর্তমানে নানা রকম যন্ত্রপাতি প্রাণীদের জায়গা নিচ্ছে ।
৪. তিন – চারটি বাক্যে উত্তর দাও : ৩ × ২ = ৬
৪.১ “উদ্ভিদরা প্রাণীদের ওপর নানাভাবে নির্ভর করে” –একটি উদাহরণের সাহায্যে বক্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: উদ্ভিদ ও প্রাণী দের উপর নানাভাবে নির্ভর করে । নিচে কতগুলো আলাদা আলাদা উদাহরণের মাধ্যমে তা বোঝানো হলো –
(১) গাছের পরাগমিলন এ মৌমাছি, প্রজাপতি প্রভৃতি পতঙ্গ এবং হামিংবার্ডের মত পাখিরা সাহায্য করে । নতুন উদ্ভিদ তৈরীর জন্য পরাগমিলন খুবই জরুরী।
(২) গাছের বংশবিস্তারে বিভিন্ন পাখি কুকুর বাদর ইত্যাদি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করে । এই সমস্ত প্রাণীরা খাবার খেয়ে বীজ দূরে ছড়িয়ে দেয়। আবার কেউ কেউ তার শরীরের সঙ্গে গাছের ফল আটকে দূরে ছড়িয়ে দেয়।
(৩) উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ অর্থাৎ খাদ্য তৈরীর জন্য প্রয়োজন কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস । প্রাণীরা শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ত্যাগ করে যা উদ্ভিদ গ্রহণ করে ।
উপরের তিনটি উদাহরণ থেকে খুব সহজেই বোঝা যায় যে উদ্ভিদ প্রাণীর উপর নির্ভরশীল।
৪.২ “ধানখেতে অ্যাজোলা চাষ করলে আর সার দিতে লাগে না ” — ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: আসলে অ্যাজোলা হলো এক ধরনের পানা । এজোলার পাতার মধ্যে এক ধরনের বিশেষ ব্যাকটেরিয়া বাস করে । এই ব্যাকটেরিয়া বাতাসের নাইট্রোজেন কে বেঁধে ফেলে সার তৈরি করতে পারে । তাতে অ্যাজোলার উপকার হয় । কারণ সারের জন্য নাইট্রোজেন লাগে । আর অ্যাজোলা তার পাতায় ওই ব্যাকটেরিয়াকে থাকবার জায়গা দেয় । এতে দুজনেরই বোঝাপড়া থাকে ফলে দুজনেরই উপকার হয় । তাই ধানক্ষেতে এজোলা চাষ করলে সার দিতে লাগে না ।
Science Model Activity Task part 2
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে – 1×3=3
1.ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে :
(ক) 40÷5×4-এর সরল মান হলাে—
(a) 2
(b) 1/2
(c) 32
(d) 20
উত্তর : (c) 32
(খ) 6-এর গুণনীয়কগুলি হলাে—
(a) 6
(b) 6,3
(c) 6, 3, 2
(d) 6, 3, 2,1
উত্তর : (d) 6, 3, 2,1
2.সত্য/মিথ্যা লেখাে : 1×3=3
(খ) 0.35 দশমিক ভগ্নাংশে 3-এর স্থানীয় মান 30।
উত্তর : মিথ্যা l
(গ) 5 জন রাজমিস্ত্রি একটি কাজ সম্পূর্ণ করতে 6 দিন সময় নেয়। একই কাজ করতে রাজমিস্ত্রির সংখ্যার সঙ্গে সময়েরসম্পর্ক সরল সম্পর্ক।
উত্তর : মিথ্যা l
3. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : 2×3=6
(ক) মানের ঊর্ধ্বক্রমানুসারে লেখাে : 13.3, 11.3, 1.33, 2.31
(গ) 8/5 -এই ভগ্নাংশটিকে ছবির সাহায্যে দেখাও।
(খ) 360 বিঘা জমি 20 দিনে চাষ করতে এটি ট্রাক্টর লাগে। 1800 বিঘা জমি 10 দিনে চাষ করতে হলে কটি ট্রাক্টর লাগবে নির্ণয় করাে। 4
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : ১ × ৩ = ৩
১.১ খোলের মধ্যে বোঝাই করা রয়েছে
(ক) ধান
(খ) আলু
(গ) গম
(ঘ) শুকনো খড়ের আঁটি
উত্তর: (ঘ) শুকনো খড়ের আঁটি
১.২ নদীর ধারে রয়েছে
(ক) অশ্বত্থ গাছ
(খ) রাখাল
(গ) একটি বড়ো নৌকো
(ঘ) পথিক
উত্তর: (গ) একটি বড়ো নৌকো
১.৩ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর একটি কাব্যগ্রন্থ হলো
(ক) নীল নির্জন
(খ) যেতে পারি কিন্তু কেন যাব
(গ) প্রান্তরেখা
(ঘ) ছড়ানো ঘুঁটি
উত্তর: (ক) নীল নির্জন
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ ‘ভরদুপুরে’ শব্দটির অর্থ কী ?
উত্তর: ‘ভরদুপুরে’ শব্দটির অর্থ হলো মধ্যাহ্ন।
২.২ ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় রাখালবালক গাছের তলায় শুয়ে শুয়ে কী দেখছে ?
উত্তর: ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় রাখালবালক গাছের তলায় শুয়ে শুয়ে দেখছে মেঘগুলি আকাশটাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে।
২.৩ ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় বর্ণিত ‘গালচে’ টি কী দিয়ে প্রস্তুত ?
উত্তর: ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় বর্ণিত ‘গালচে’ টি নরম ঘাস দিয়ে প্রস্তুত।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ৩ × ৩ = ৯
৩.১ ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় ‘অশ্বত্থ’ গাছটিকে ‘পথিকজনের ছাতা’ বলা হয়েছে কেন ?
উত্তর: ‘অশ্বত্থ গাছ’ ছাতার মতাে পথিকজনকে ছায়া দেয় বলে অশ্বত্থ গাছকে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে।
৩.২ ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় নদীর ধারের চিত্রটি কীভাবে উপস্থাপিত হয়েছে ?
উত্তর: নদীর ধারে শুকনাে খড়ের আটি বােঝাই করা, বড়াে নৌকাটি দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য ভরদুপরে কবিতায় ফুটে উঠেছে।
৩.৩ ‘আঁচল পেতে বিশ্বভুবন / ঘুমোচ্ছে এইখানে’ । — কবির মনে এমন অনুভূতি জেগেছে কেন ?
উত্তর: ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় আমরা রাখাল বালককে, নৌকার মাঝিদের এবং লােকজনকে যে যার জায়গায় বিশ্রাম নিতে বা ঘুমােতে দেখেছি। মানুষের সঙ্গে সারা প্রকৃতিও যেন মনে হচ্ছে ঘুমাচ্ছে, কারণ সবকিছুই নিরব নিস্তব্ধ। তাই কবি মনে করেছেন যেন বিশ্বভূবন ঘুমােচ্ছে।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
‘ভরদুপুরে’ কবিতায় গ্রামবাংলার যে অলস দুপুরের ছবি ফুটে উঠেছে তার পরিচয় দাও ।
উত্তর: ‘ভরদুপুরে’ কবিতাটিতে অত্যন্ত সুন্দর নিসর্গচিত্রের পরিচয় পাওয়া যায়। মধ্যাহ্নে রাখাল বালক একটি অশথ গাছের শান্ত শীতল ছায়ায় সবুজ ঘাসের গালিচায় বিশ্রাম নিচ্ছে আর গােরু বাছুরকে লক্ষ্য করছে। আকাশে মেঘের দলের উড়ে যাওয়া, নদীর ধারের খড় বােঝাই অপেক্ষমান নৌকা দুপুরের বাতাসের সাদা ধুলাে ওড়ানাে সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে যেন প্রকৃতি মায়ের কোলে পৃথিবী ঘুমন্ত।
In the meantime, the tiger, disturbed and confused by all the people, had chewed through the rope. It ran away to the jungle. The villagers were relieved. Bholanath now saw an opportunity to brag. “It is I who captured the tiger last night. I even pulled his ears.” Bholanath announced proudly. Everyone marvelled at his bravery. Soon the news of Bholanath’s bravery reached the king. The king was highly impressed.
A. Tick the correct answer: 1 × 2 = 2
(i) The tiger was disturbed by
(a) Bholanath
(b) the king
(b) the people
Ans: (b) the people
(ii) The king was
(a) impressed
(b) confused
(c) relieved
Ans: (a) impressed
B. Answer the following questions: 2 × 3 = 6
(i) How did the tiger escape ?
Ans: The tiger disturbed and confused by all the people, had chewed through the rope. Thus he escaped.
(ii) Why were the people relieved ?
Ans: The people were relieved because the tiger ran away to the jungle.
(iii) What did Bholanath brag ?
Ans: Bholenath bragged that he had captured the tiger last night and also had pulled its ears.
Identify the Countable and Uncountable Nouns of the given sentences and write them in the correct columns: 1 × 6 = 6
(i) Water the plants every day.
(ii) Can you give me some salt ?
(iii) I sat on the chair.
(iv) Do you have a glass of milk every day ?
Ans:
Countable Nouns Uncountable Nouns
plants water
chair salt
glass milk
Study the family chart of Surya Sen. Write six sentences about his family : 6
Ans:
Surya Sen is a school student. There are six members in his family. His parents are Amit Sen and Smita Sen. Sumit Sen is his uncle. His grandfather is Ashok Sen and grandmother is Anita Sen. They all love each other.
১. ঠিক – ভুল নির্ণয় করো : ১ × ৩ = ৩
(ক) বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণভাগকে বলা হতো দাক্ষিণাত্য।
উত্তর: ঠিক
(খ) হর্ষচরিত লিখেছিলেন হর্ষবর্ধন।
উত্তর: ভুল
(গ) জাদুঘরে থাকে পুরোনো দিনের নানা প্রত্নবস্তু।
উত্তর: ঠিক
২. স্তম্ভ মেলাও : ১ × ৩ = ৩
ক – স্তম্ভ খ – স্তম্ভ
শকাব্দ হর্ষবর্ধন
গুপ্তাব্দ কণিষ্ক
হর্ষাব্দ প্রথম চন্দ্রগুপ্ত
উত্তর:
ক – স্তম্ভ খ – স্তম্ভ
শকাব্দ কণিষ্ক
গুপ্তাব্দ প্রথম চন্দ্রগুপ্ত
হর্ষাব্দ হর্ষবর্ধন
৩. অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও (একটি – দুটি বাক্যে) : ২ × ২ = ৪
(ক) কোন অঞ্চলকে আর্যাবর্ত বলা হয় ?
উত্তর: ভারতবর্ষের উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে ভাগ করেছে বিন্ধ্য পর্বত । সাধারণভাবে আর্যরা উত্তর অংশে বাস করত বলে ওই অঞ্চলকে আর্যাবর্ত বলা হত ।
(খ) প্রায় ঐতিহাসিক যুগ কাকে বলে ?
উত্তর: যে ঐতিহাসিক যুগের লিপির ব্যবহার শুরু হয়েছে কিন্তু সেই লিপির পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়নি সেই যুগের ইতিহাসকে প্রায় ঐতিহাসিক যুগ বলে।
৪. নিজের ভাষায় লেখো (তিন – চারটি বাক্য) : ৫ × ২ = ১০
(ক) প্রশক্তি কী ? মুদ্রা কীভাবে ইতিহাস নির্মাণে সাহায্য করে ?
উত্তর: প্রশক্তি মানে গুনোগান করা । অনেক সময় শাসকের গুনোগান দেখে লেখ হিসেবে খোদাই করা হতো সে গুলোকে বলা হয় প্রশক্তি ।
প্রাচীন ভারতের ইতিহাস জানার জন্য মুদ্রার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ । মুদ্রায় শাসকের নাম, মূর্তি প্রভৃতি খোদাই করা থাকে । অব্দ ও পাওয়া যায় মুদ্রায় । এর ফলে মুদ্রা থেকে নানারকম তথ্য জানতে পারা যায় । শক-কুষাণদের ইতিহাস তো তাদের মুদ্রা থেকে জানা যায়
(খ) সাহিত্য উপাদানের সমস্যাগুলি কী কী ?
উত্তর: সাহিত্য উপাদানের কিছু সমস্যা আছে সেগুলি হল – বিদেশীরা ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতি বুঝতেন না । ফলে অনেক কিছুর মানে বুঝতে তাদের ভুল হয়েছিল । তাছাড়া অনেক লেখার মধ্যে পক্ষপাতিত্ব ছিল । দেশীয় সাহিত্য ও পক্ষপাতিত্বের উদাহরণ আছে তাছাড়া কাব্য – নাটকে সমাজের নীচু তলার মানুষের কথা বিশেষ জানা যায় না অধিকাংশ সাহিত্যের বর্ণনা মনগড়া । তবুও প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস জানার জন্য সাহিত্য উপাদানগুলোর গুরুত্ব রয়েছে ।
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে : ১x৩=৩
১.১ সূর্যের আলােয় আলােকিত হয় না –
(ক) বুধ
(খ) চাঁদ
(গ) প্রক্সিমা সেনটাউরি
(ঘ) বৃহস্পতি
উত্তর : (গ) প্রক্সিমা সেনটাউরি
১.২ মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় অসংখ্য ধূলিকণা ও গ্যাসের মহাজাগতিক মেঘ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল –
(ক) ছায়াপথ
(খ) নীহারিকা
(গ) ধূমকেতু
(ঘ) উল্কা
উত্তর : (খ) নীহারিকা
১.৩ সৌর জগতের যে গ্রহটি পূর্ব থেকে পশ্চিমে আবর্তন করে সেটি হলাে –
(ক) বুধ
(খ) শুক্র
(গ) মঙ্গল
(ঘ) পৃথিবী
উত্তর : (খ) শুক্র
২.১ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করাে : ১x২=২
২.১.১ একটি বামন গ্রহের উদাহরণ হলাে __________ l
উত্তর : একটি বামন গ্রহের উদাহরণ হলাে প্লুটো l
২.১.২ সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে __________ গ্রহের অভিকর্ষ বল সবচেয়ে বেশি।
উত্তর : সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে বৃহস্পতি গ্রহের অভিকর্ষ বল সবচেয়ে বেশি।
২.২ ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও : ১x৩=৩
‘ক’ স্তম্ভ ‘খ স্তম্ভ
২.২.১. আকাশ গঙ্গা ১. সেরেস
২.২.২. নীল গ্রহের চারদিকে ঘােরে ২. ছায়াপথ
২.২.৩. বৃহত্তম গ্রহাণু ৩. চাঁদ
‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও
উত্তর :
‘ক’ স্তম্ভ ‘খ স্তম্ভ
২.২.১. আকাশ গঙ্গা ২. ছায়াপথ
২.২.২. নীল গ্রহের চারদিকে ঘােরে ৩. চাঁদ ২.২.৩. বৃহত্তম গ্রহাণু ১. সেরেস
‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ২x২=৪
৩.১ সৌরঝড় হলে পৃথিবীর উপগ্রহ যােগাযােগ ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি হয় কেন?
উত্তর : সৌরঝড়ের সময় প্রচুর পরিমাণে আয়নিত কণা, গ্যাস, রশ্মি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আয়নিত কণার সংস্পর্শে এসে কৃত্রিম উপগ্রহ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং যােগাযােগ ব্যবস্থায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। তড়িদাহত কণার প্রভাবে সেগুলির আয়ুও কমে যেতে পারে বলে গবেষকদের দাবি। প্রতি ১১ বছর অন্তর এই ঝড় লক্ষ করা যায়।
৩.২ ধূমকেতুর দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।
উত্তর :
১. ধুমকেতু নিয়মিত অর্ধবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।
২. ধূমকেতুকে দেখতে অনেকটা ঝাটার মত।
৩. ধূমকেতুর দেহ লােহা ,নিকেল প্রভৃতি ধাতু ও পাথর দিয়ে তৈরি।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৩x১=৩
গ্রহ ও নক্ষত্রের মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখাে।
উত্তর : গ্রহ ও নক্ষত্রের মধ্যে তিনটি পার্থক্য হলো :
গ্রহ নক্ষত্র
১. গ্রহের নিজস্ব আলো নেই l ১. নক্ষত্রের নিজস্ব আলো আছে l
২.গ্রহ-নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘোরে l ২.নক্ষত্র গ্রহ কে কেন্দ্র করে ঘোরে না l
৩.গ্রহ-নক্ষত্রের তুলনায় বড় হয় না l ৩. নক্ষত্র গ্রহ তুলনায় অনেক বড় হতে পারে l
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৫x১=৫
আমাদের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্রটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উত্তর : আমাদের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্রটি হলাে সূর্য l
আকাশগঙ্গার লক্ষ কোটি তারার মধ্যে একটি মাঝারি হলুদ তারা হল সূর্য। ৪৬০ কোটি বছর আগে মহাশূন্যে ভাসমান ধূলিকণা, হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের বিশাল মেঘ সংকুচিত হয়ে জমাট বেঁধে তৈরি হয় সূর্য। সদ্য জন্মানাে নক্ষত্রে মহাকর্ষের কারণে পরমাণু পরমাণুতে ধাক্কা লেগে প্রচণ্ড তাপ আর শক্তি তৈরি হয়। এর ফলে জ্বলন্ত আগুনের গােলার মতাে সূর্য থেকে আলাে, উত্তাপ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সূর্যের বাইরের দিকের উষ্ণতা প্রায় ৬০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ভিতরের দিকের উষ্ণতা প্রায় ১.৫ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৃথিবীর চেয়ে সূর্য ১৩ লক্ষ গুণ বড় আর ৩ লক্ষ গুণ ভারী। সূর্যরশ্মির 200 কোটি ভাগের এক ভাগ মাত্র পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়।
দেশা’ত্মবােধ
১। বহুর মধ্যে থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে। ১ X ৩ = ৩
(ক) ১৯৪৭ সালের কত তারিখে গণ-পরিষদে ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার নকশা গৃহীত হয়?
(i) ১৪ আগস্ট
(ii) ২২ জুলাই
(iii) ১৫ আগস্ট
(iv) ৩ জুন
উত্তর : (ii) ২২ জুলাই
(খ) টেবিলে ব্যবহৃত ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের মাপ কতটা পরিমাণে হয়ে থাকে?
(i) ৫” x ৪”
(ii) ৩” x ৩”
(iii) ৬” x ৪”
(iv) ৩‘ x ২‘
উত্তর : (iii) ৬” x ৪”
(গ) অশােক চক্রের নীল রং কীসের রং-এর সঙ্গে মিলে যায় ?
(i) ময়ূরের পালকের রং
(ii) আকাশের রং
(iii) সমুদ্রের জলের রং
(iv) আকাশ ও সমুদ্রের রং
উত্তর : (iv) আকাশ ও সমুদ্রের রং
২। বাম-স্তম্ভের সঙ্গে ডান-স্তম্ভের সমতাবিধান করাে। ১ X ৫ = ৫
বাম স্তম্ভ ডান স্তম্ভ
(ক) অশােক চক্রের ২৪টি কাঁটা। (i) ফোটোরশ্মি
(খ) জাতীয় পালনীয় দিবসে (ii) ২৪ ঘণ্টার প্রতীক
(গ) অশােক চক্র (ii) জাতীয় পতাকা সর্বসাধারণ ব্যবহার করতে পারেন
(ঘ) বিবর্ণ জাতীয় পতাকা (iv) ব্যবহার করা যায় না
(ঙ) কবরে বা চিতায়। (v) জাতীয় পতাকা দেওয়া যায় না
(vi) সর্বক্ষণের গতিশীলতার প্রতীক
উত্তর :
বাম স্তম্ভ ডান স্তম্ভ
(ক) অশােক চক্রের ২৪টি কাঁটা। (vi) সর্বক্ষণের গতিশীলতার প্রতীক
(খ) জাতীয় পালনীয় দিবসে (ii) জাতীয় পতাকা সর্বসাধারণ ব্যবহার করতে পারেন
(গ) অশােক চক্র (i) ফোটোরশ্মি
(ঘ) বিবর্ণ জাতীয় পতাকা (iv) ব্যবহার করা যায় না
(ঙ) কবরে বা চিতায়। (v) জাতীয় পতাকা দেওয়া যায় না
৩। উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করাে। ২X৩=৬
(ক) যেসব সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় সেই সকল ভবনে রবিবার ও _______ দিন সমেত সপ্তাহের সকল দিন জাতীয় পতাকা উত্তোলিত থাকা বাধ্যতামূলক।
উত্তর : যেসব সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় সেই সকল ভবনে রবিবার ও ছুটির দিন সমেত সপ্তাহের সকল দিন জাতীয় পতাকা উত্তোলিত থাকা বাধ্যতামূলক।
(খ) ঝড়-বৃষ্টি যাই হােক, জাতীয় পতাকা উড়বে সূর্যোদয় ________ সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
উত্তর : ঝড়-বৃষ্টি যাই হােক, জাতীয় পতাকা উড়বে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
(গ) জাতীয় পতাকার সঙ্গে অন্য কোনাে _______একই _______তােলা বা ব্যবহার করা যায় না।
উত্তর : জাতীয় পতাকার সঙ্গে অন্য কোনাে পতাকা একই দন্ডে তােলা বা ব্যবহার করা যায় না।
৪। রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর দাও : ২ X ৩ = ৬
(ক) ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার বর্ণনা দাও।
উত্তর : আমাদের জাতীয় পতাকায় তিনটে উজ্জ্বল বর্ণের সমান আকারের তিনটি বন্ধনী। তাই নাম ত্রিরঙা’। পতাকাটি আয়তক্ষেত্রবিশিষ্ট এবং আয়তাকার পতাকার দৈর্ঘ্য তার প্রস্থের দেড়গুণ। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ৩ x ২। পতাকাটি সমমাপের তিনটি আয়তক্ষেত্রবিশিষ্ট পৃথক তিনটি বর্ণের অংশ নিয়ে গঠিত, অর্থাৎ তিনটি রঙেরই জমিন সমান। একদম উপরে গেরুয়া, মধ্যে সাদা ও নীচে সবুজ রং – এর সমাহার। পতাকার সাদা রঙের অংশটির মাঝখানে একটি নীল রঙের ২৪ টি কাঁটাবিশিষ্ট চক্র বসানাে থাকে। এই চক্রটি মহান সম্রাট অশােকের ধর্মচক্র’- এর অনুকরণ, একে তাই অশােকচক্র বলে। চক্রটি পতাকার উভয়পার্শ্বে ফোটোরশ্মির সাহায্যে অঙ্কিত করা বা উভয়দিকে ছাপানাে থাকে।
(খ) কী কী ভাবে/ক্ষেত্রে ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার ব্যবহার/উত্তোলন বেআইনি তা তালিকাভুক্ত করাে।
উত্তর :
১. ছেড়া, ফাটা কিংবা বিবর্ণ জাতীয় পতাকা উত্তোলন বেআইনি।
২. জাতীয় পতাকা কুঞ্চিত অবস্থায় ব্যবহার করা যাবে না।
৩. জাতীয় পতাকার ডান দিকে কিংবা উপরে অন্য কোনাে পতাকার প্রতীক থাকতে পারবে না।
৪. কফিন ঢেকে দেওয়া জাতীয় পতাকা মৃতদেহের সঙ্গে কবরে বা চিতায় দেওয়া যাবে না।
৫. কোনোরকম ব্যাবসাবাণিজ্যে, কাজে বা পেশায়, নামে, পেটেন্ট বা ট্রেডমার্ক হিসাবে বা নকশা করার জন্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া জাতীয় পতাকার ব্যবহার ১৯৫০ ও ২০০২ সালের প্রতীক এবং নাম (অপব্যবহার রােধ) আইন অনুযায়ী অন্যায় বলে মনে করা হয়।
৬. জাতীয় পতাকার সঙ্গে অন্য কোনাে পতাকা একই দণ্ডে তােলা বা ব্যবহার করা যাবে না।
৭. জাতীয় পতাকা থেকে বেশি উচ্চতায় অন্য কোনাে পতাকা একসঙ্গে ব্যবহার করা যাবে না।
৮, কোনাে ব্যক্তি বা বস্তুর সামনে জাতীয় পতাকা নােয়ানাে চলবে না।
(গ) ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার প্রতি আনুগত্যের শপথ বাক্যটি লেখাে।
উত্তর : আমরা, সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র – এর প্রতীক, জাতীয় পতাকার প্রতি অনুগত্যের শপথ নিলাম।
১. ‘বলি এটা কি পঞ্চানন অপেরা পেয়েছ?’ – কে, কাকে একথা বলেছেন? তাঁর একথা বলার কারণ কী?
উত্তরঃ
সেনাপতি শংকর গল্পে শিক্ষক বিভীষণ দাস শংকরকে একথা বলেছে।
শিক্ষক যখন এমু পাখির কথা বলেছিল তখন শংকর স্কুলের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আনমনা হয়ে পড়ে ছিল তখন শিক্ষক রেগে গিয়ে বললেন আমি কী পড়াচ্ছ বলো তো? শংকর উত্তরে বললো এমু পাখি। খুব গায় ছাই রং, বাজপাখির চেয়ে বড়ো, চওড়া বুক, উড়ে গেলে ডানায় বাতাস কাঁটার শব্দ শোনা যায়। তখন শিক্ষক রেগে গিয়ে বললেন এটা কী পঞ্চানন অপেরা পেয়েছে।
২. ‘তাই তারা স্বভাবতই নীরব।’ – বক্তা কে? কাদের সম্পর্কে, কেন তিনি একথা বলেছেন?
উত্তরঃ
সুবিনয় রায়চৌধুরি রচিত ‘পশুপাখির ভাষা’ রচনায় ‘তাই তারা স্বভাবতই নীরব’ উক্তিটির বক্তা হলেন ক্যাস্টাং সাহেব।
ক্যাস্টাং সাহেব বলেন পোষা জন্তুরা নাকি জঙ্গলের জন্তুদের থেকে অনেক চেঁচামেচি করে, কিন্তু জঙ্গলি জন্তুরা শব্দ রড়ো একটা শোনা যায় না। জঙ্গলের পশুকে সর্বদাই প্রাণ বাঁচিয়ে চলতে হয়, তাই তারা স্বভাবতই নীরব।
৩. ‘বাচ্চাদের জন্য খাদ্য সঞ্চিত রেখেই সে খালাস।’ – কোন্ রচনার অংশ? কাদের সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে লেখক এমন মন্তব্য করেছেন? তাঁর এমন মন্তব্যের কারণ কী?
উত্তরঃ
‘বাচ্চাদের জন্য খাদ্য সঞ্চিত রেখেই সে খালাস’ এটি গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য রচিত কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি রচনার অংশ।
এক প্রকার কালো রঙের লিকলিকে কুমোরে – পোকার কথা লেখক গোপালচন্দ্র বলেছেন। কারন কুমোরে – পোকারা কুঠুরির মত বাসা নির্মান করে, তারপর তারা ডিম পাড়ে। ডিম পাড়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সে তার ইচ্ছামত যেকোন স্থানে চলে যায়, বাসার আর কোনো খোঁজ খবর নেয় না, বাচ্চাদের জন্য খাদ্য সঞ্চিত রেখেই সে খালাস।
৪. ‘আঁচল পেতে বিশ্বভুবন ঘুমোচ্ছে এইখানে।’ – কবির এমন অনুভবের কারণ বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ
ভরদুপুরের যে রূপ কবি দেখেছেন তাতে মনে হয়েছে ওই সময়টা যেন ঘুমের দেশে চলে গেছে। অশ্বত্থ গাছের দাঁড়িয়ে থাকা রাখালের উদাসীনতা, নদীর ধারে খড়ের আঁটি বোঝাই নৌকা বেঁধে মানুষজনের ঘুমানো। সব মিলিয়ে ওই ভরদুপুরে সবাই যেন ঘুমোচ্ছে, আর শুধুমাত্র মানুষ নয়, সমস্ত পৃথিবী ভরদুপুরে এই বিশ্রামে রত। পরিবেশ ছড়িয়ে রয়েছে নির্জনতা, একটা ক্লান্তিভাব। সে জন্যই দুপুরের এই সামগ্রিক পরিবেশ কবির মনে বিশ্বভূবন ঘুমানোর ভাবনাকে মনে করিয়েছে।
৫. বরফের দেশের পাইনগাছ মরুভূমির পামগাছের স্বপ্ন দেখেছে কেন?
উত্তরঃ
পাইন গাছ যেখানে থাকে, তার সেখানে ভালো লাগে না, তার ভালোলাগে দূরের কিছুকে। আর এখানে বরফের অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পাইনগাছের কষ্ট ও যন্ত্রণার কারণ। তার কাছে গরম দেশ বা জায়গায় স্বপ্ন দেখার বিষয়, অর্থাৎ ঠান্ডার থেকে তার কাছে গরম জায়গায় প্রত্যাশিত। সেই জন্যই বরফের দেশের পাইনগাছ মরুভূমির দেশের পামগাছের স্বপ্ন দেখে।
৬. ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ
ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বলতে বোঝায় বিশেষ ভাবে বিশ্লেষণ করা।
৭. সিদ্ধ / মৌলিক শব্দের দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ
যে শব্দকে অর্থপূর্ণ কোন অংশে বিভক্ত বা ভাঙা যায় না তাকে সিদ্ধ বা মৌলিক শব্দ বলে।
উদাহরন – গোলাপ ফুল লাল।
১ ) নিচের প্রশ্নগুলি একটি বাক্যতে উত্তর দাও ।
১.১ ) ‘ ও তো পথ-পথিক জনের ছাতা ‘ – পথিক জনের ছাতাটি কী ?
উত্তর – অশ্বত্থ গাছকে পথিক জনের ছাতা বলা হয়েছে কারণ এই গাছ ছাতার মত ছায়া দান করে।
১.২ ) ‘ কী দেখেছিলে বাইরে ? ‘ – এই প্রশ্নের উত্তরে শংকর কি বলেছিল ?
উত্তর – এই প্রশ্নের উত্তরে শংকর ঘাবড়ে গিয়ে মাস্টার মশাইকে বলেছিল যে সে শঙ্খচিল দেখছিল।
১.৩ ) ‘ স্বপ্ন সে দেখে দিনরাত দুলে দুলে ‘ – কার স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর – এখানে পাইন গাছের স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে।
১.৪ ) ‘ মন ভালো করা ‘ – কবিতায় কবি রোদ্দুরকে কিসের সঙ্গে তুলনা করেছেন ?
উত্তর – ‘ মন ভালো করা ‘ কবিতায় কবি রোদ্দুরকে মাছরাঙার গায়ের রঙের সাথে তুলনা করেছেন।
১.৫ ) ‘ একটি জিনিস প্রত্যেকবারই আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাচিয়েঁছে ,সেটি হচ্ছে, পশুদের ভাষার জ্ঞান ‘ – কে একথা বলেছে ?
উত্তর – একথা বলেছে ক্যাস্টাং সাহেব।
১.৬ ) ‘ ঘাসফড়িং ‘ কবিতায় কবির সঙ্গে ঘাসফড়িং এর আত্মীয়তা কখন শুরু হয়েছিল ?
উত্তর – ঝিরঝিরে বৃষ্টির পর কবি যখন ভিজে ঘাসে পা দিয়েছিলেন তখনই ঘাসফড়িং এর সাথে তার নতুন আত্মীয়তা গড়ে উঠলো।
১.৭ ) কুমোরে পোকা কিভাবে মাকড়সা শিকার করে ?
উত্তর – কুমোরে পোকা মাকড়সা দেখতে পেলে ছুটে গিয়ে তার ঘাড় কামড়ে ধরে। তারপর শরীরে হুল ফুটিয়ে এক রকম বিষ ঢেলে দেয় এই। ভাবে কুমোরে পোকা মাকড়সা শিকার করে।
২. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
২.১ ) বিসর্গ সন্ধির ক্ষেত্রে যেটি ঠিক নয়।
উত্তর – ছন্দ + বদ্ধ = ছন্দবদ্ধ।
২.২ ) যেটি জোর বাধা সাধিত শব্দ নয়।
উত্তর – দয়াময়।
২.৩ ) বিসর্গ সন্ধি ফলে বিসর্গ রূপান্তরিত হয়ে লুপ্ত হয়েছে এমন দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তর – মনঃ + স্থ = মনস্থ। যশঃ + ইচ্ছা = যশইচ্ছা ।