মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক নবম শ্রেণি
CHAKDAHA COLLEGE MORE (YUBADAY SANGHA) , CHAKDAHA, NADIA, MOB- 9775109285
CHAKDAHA COLLEGE MORE (YUBADAY SANGHA) , CHAKDAHA, NADIA, MOB- 9775109285
১. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখাে : ১x৩=৩
১.১ প্রােক্যারিওটিক কোশে রাইবােজোমের উপএকক দুটি নির্বাচন করাে—
(ক) 60S ও 40S
(খ) 50S ও 40S
(গ) 60S ও 30S
(ঘ) 50S ও 30S
উত্তর: প্রােক্যারিওটিক কোশে রাইবােজোমের উপএকক দুটি (ঘ) 50S ও 30S
১.২ নীচের যে জোড়াটি সঠিক নয় তা স্থির করাে—
(ক) কোশপর্দা – কোশের ভেতরের বিভিন্ন অংশকে রক্ষা করা।
(খ) লাইসােজোম – পুরােনাে জীর্ণ কোশকে ধ্বংস করা
(গ) মাইটোকনড্রিয়া – প্রােটিন সংশ্লেষ করা।
(ঘ) সেন্ট্রোজোম – কোশ বিভাজনে সাহায্য করা
উত্তর: যে জোড়াটি সঠিক নয় তা হল – (গ) মাইটোকনড্রিয়া – প্রােটিন সংশ্লেষ করা।
১.৩ বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে সংযােগস্থাপনে সাহায্য করে যে কলা সেটি শনাক্ত করাে
(ক) আবরণী কলা
(খ) যােগ কলা
(গ) পেশি কলা
(ঘ) স্নায়ু কলা
উত্তর: বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে সংযােগস্থাপনে সাহায্য করে যে কলা সেটি হল – (খ) যােগ কলা
২. নীচের বাক্যগুলাে সত্য অথবা মিথ্যা নিরূপণ করাে : ১x৪=৪
২.১ ফ্লোয়েম কলা উদ্ভিদদেহে খাদ্য পরিবহণে সাহায্য করে।
উত্তর: সত্য
২.২ ভিটামিন C ফ্যাটে দ্রবণীয়।
উত্তর: মিথ্যা
২.৩ DNA – তে রাইবােজ শর্করা উপস্থিত থাকে।
উত্তর: মিথ্যা
২.৪ অগ্ন্যাশয় একটি মিশ্রগ্রন্থি।
উত্তর: সত্য
৩. দুই-তিন বাক্যে উত্তর দাও : ২x৪=৮
৩.১ প্যারেনকাইমা কলার বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।
উত্তর: (i)প্যারেনকাইমা কলার কোষ গুলির আকৃতি গোলাকার ডিম্বাকার বা বহুভুজাকার হয়ে থাকে।
(ii) কোষ প্রাচীর গুলি সেলুলোজ নির্মিত ও পাতলা হয়।
(iii) কোষীয় উপাদান সুস্পষ্ট নিউক্লিয়াস সাইটোপ্লাজম এবং বৃহৎ কেন্দ্রীয় ভ্যাকুওল বর্তমান।
(iv) প্যারেনকাইমা কলার কোষগুলির মাঝে কোশান্তর রন্ধ থাকে।
৩.২ মানবদেহকে সুস্থ রাখতে বৃক্ক কীভাবে সাহায্য করে?
উত্তর:মানব দেহকে সুস্থ রাখতে বৃক্কের প্রধান কয়েকটি কাজগুলো হল –
(i) বিপাক জল, দূষিত পদার্থ গুলিকে বাইরে নির্গত করা (বিশেষ করে নাইট্রোজেনঘটিত পদার্থ গুলিকে)।
(ii)দেহে এবং রক্তে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করা।
(iii)দেহে প্রবেশ দূষিত পদার্থ এবং ভেষজ পদার্থকে দেহ থেকে নির্গত হতে সাহায্য করা।
৩.৩ কোশ পর্দার কাজ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: কোশপর্দার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল :
(i) প্রাণী কোষ কে নির্দিষ্ট আকৃতি দান করা।
(ii) বিভিন্ন কোষীয় অঙ্গানু বাইরের আবরণ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের স্বতন্ত্রতা দান করা।
(iii)কোষ পর্দা প্রভেদক ভেদ্য হওয়ায় নির্দিষ্ট নির্বাচিত পুষ্টি পদার্থ ও অন্যান্য পদার্থের আদান-প্রদানে সাহায্য
করে।
৩,৪ মানবদেহে ভিটামিন D-র ভূমিকা আলােচনা করাে।
উত্তর: ভিটামিন ডি এর রাসায়নিক নাম হল ক্যালসিফেরোল মানবদেহে ভিটামিন ডি এর ভূমিকা গুলি হল :
(i)অস্থি গঠনে সাহায্য করা।
(ii)দন্ত গঠনে সহায়তা করা।
(iii)ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণে ও বিপাকে সাহায্য করা।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ২+৩=৫
৪.১ ভাজক কলার কাজ উল্লেখ করাে। প্রােক্যারিওটিক ও ইউক্যারিওটিক কোশের তিনটি পার্থক্য লেখাে।
উত্তর: ভাজক কলার কাজ গুলি হল :
(i)এই কলা ক্রমাগত মাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে উদ্ভিদ অঙ্গের বৃদ্ধি ঘটায়।
(ii)দেহে নতুন অঙ্গ উৎপাদনে ও স্থায়ী কলা উৎপাদনে সাহায্য করে।
(iii) ভাজক কলার দ্বারা উদ্ভিদের ক্ষতস্থান পূরণ হয়।
প্রােক্যারিওটিক ও ইউক্যারিওটিক কোশের তিনটি পার্থক্য:
বিষয়
প্রােক্যারিওটিক
ইউক্যারিওটিক
(i) নিউক্লিয়াস
নিউক্লিয় পর্দা দিয়ে ঘেরা, আদর্শ নিউক্লিয়াস অনুপস্থিত
নিউক্লিয় পর্দা দিয়ে ঘেরা আদর্শ নিউক্লিয়াস উপস্থিত
(ii) কোশ অঙ্গানু
পর্দা ঘেরা কোশঅঙ্গানু থাকে না
পর্দা ঘেরা বিভিন্ন কোশ অঙ্গানু থাকে
(iii) রাইবােজোম
70S প্রকৃতির এবং সাইটোপ্লাজমে মুক্ত অবস্থায় থাকে
80S প্রকৃতির এবং এন্ডােপ্লাজমীয় জলিকার সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় থাকে
(iv) সেন্ট্রোজোম
অনুপস্থিত
উদ্ভিদকোশে অনুপস্থিত কিন্তু প্রাণীকোশে উপস্থিত
১. ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করাে : ১x৩=৩
১.১ ML2T-2 যে ভৌত রাশির মাত্রীয় সংকেত তা হলাে—
(ক) কার্য
(খ) ক্ষমতা
(গ) বল
(ঘ) ভরবেগ
উত্তর : ML2T-2 যে ভৌত রাশির মাত্রীয় সংকেত তা হলাে— (ক) কার্য
১.২ নীচের যেটি ভেক্টর রাশি সেটি হলাে—
(ক) কার্য
(খ) দ্রুতি
(গ) ভরবেগ
(ঘ) ক্ষমতা
উত্তর : নীচের যেটি ভেক্টর রাশি সেটি হলাে— (গ) ভরবেগ
১.৩ ত্বরণের মাত্রীয় সংকেত হলাে—
(ক) MLT-2
(খ) LT-1
(গ) LT-2
(ঘ) MLT-2
উত্তর : ত্বরণের মাত্রীয় সংকেত হলাে—(গ) LT-2
২. একটি শব্দে অথবা একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১x৩=৩
২.১ একটি স্কেলার রাশির নাম লেখাে যার একক নেই l
উত্তর : এককবিহীন একটি স্কেলার রাশি হলাে আপেক্ষিক গুরুত্ব।
২.২ ভরবেগ লন্ধ একক না মৌলিক একক?
উত্তর : ভরবেগ হলাে একটি লব্ধ একক।
২.৩ চাপ ভেক্টর রাশি না স্কেলার রাশি?
উত্তর : চাপ হলাে একটি স্কেলার রাশি।
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ২x৪=৮
৩.১ 3 kg ভরের বস্তুতে 5 m/s2 ত্বরণ সৃষ্টি করতে, না 4kg ভরের বস্তুতে 4 m/s2 ত্বরণ সৃষ্টি করতে বেশি বল প্রয়ােজন হবে? যুক্তি দাও।
উত্তর :
প্রথম বস্তুর ভর, m1 = 3kg
প্রথম বস্তুর ত্বরণ, a1 = 5m/s2
∴ প্রথম বস্তুর ক্ষেত্রে প্রযুক্ত বল, F1 = 3 × 5 kgm/s2
= 15 N
দ্বিতীয় বস্তুর ভর, m2 = 4kg
দ্বিতীয় বস্তুর ত্বরণ, a2 = 4m/s2
∴ দ্বিতীয় বস্তুর ক্ষেত্রে প্রযুক্ত বল, F2 = 4 × 4 kgm/s2
=16 N
যেহুতু প্রথম ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বল 15 N ও দ্বিতীয় ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বল 16 N
সুতরাং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বেশি বল প্রযুক্ত হয়েছে l
৩.২ কোন শর্তে সরণের মান ও অক্ৰিান্ত দূরত্ব সমান হবে?
উত্তর : কোনাে নির্দিষ্ট দিকে বস্তুকণার অবস্থানের পরিবর্তনকে ওই বস্তুকণার সরণ বলে। ( অর্থাৎ কোনাে বস্তুকণার সরণের পরিমাণ হলাে বস্তুকণার দুটি অবস্থানের মধ্যবর্তী নুন্যতম দূরত্ব।) এবং বস্তুকণা সরল বা বক্রপথে যতটা দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে সেই বস্তুর অতিক্রান্ত দূরত্ব বলে। অর্থাৎ কোনাে বস্তুকণা যখন সরলরৈখিক পথে গতিশীল হবে তখন বস্তুকণার সরণ ও অতিক্রান্ত দূরত্ব সমান হবে।
৩.৩ একটি স্কেলার রাশির নাম লেখাে যা দুটি ভেক্টর রাশির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং তার একক কয়টি মৌলিক এককের উপর নির্ভরশীল?
উত্তর : একটি স্কেলার রাশি হলাে কার্য যা দুটি ভেক্টর রাশির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
কার্যের একক হলাে নিউটন.মিটার।
কার্যের একক তিনটি মৌলিক একক এর উপর নির্ভরশীল – কিলোমিটার, মিটার ও সেকেন্ড
৩.৪ আলােকবর্ষ কী? SI পদ্ধতিতে এর মান কত?
উত্তর : আলােকবর্ষ – শূন্যস্থানে 3×10৪ মিটার/সেকেন্ড বেগে গতিশীল হয়ে আলাে এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে বলে আলােকবর্ষ।
SI পদ্ধতিতে এর মান হল —
1 আলােকবর্ষ = 9.46×1012 কিলােমিটার।
৪. নীচের প্রশ্ন দুটির উত্তর দাও : ৩x২=৬
৪.১ জলে অদ্রাব্য কোনাে অনিয়তাকার কঠিন বস্তুর ঘনত্ব আয়তনমাপক চোঙ ও সাধারণ তুলাযন্ত্রের সাহায্যে কীভাবে মাপবে?
উত্তর : (i) সাধারণ তুলাযন্ত্র ও মাপনী চোঙের সাহায্যে কোনাে অসম আকৃতির কঠিন বস্তুর ঘনত্ব নির্ণয় –
(1) প্রথমে সাধারণ তুলাযন্ত্রের সাহায্যে অসম আকৃতির কঠিন বস্তুর ভর পরিমাপ করা হল। ধরি, বস্তুটির ভর হল m একক। (2) প্রথমে মাপনী চোঙটি ধুয়ে ভালােভাবে শুকিয়ে নেওয়া হল। (3) এবার আয়তন মাপক চোঙে এমনভাবে জল ঢালা হল যাতে পরীক্ষাধীন বস্তুটি ওই জলে সম্পূর্ণ ডুবে যেতে পারে। এবার ওই জলতলের পাঠ নেওয়া হল। মনে করি, পাঠ V1 একক।
মাপনী চোঙের সাহায্যে অসম আকৃতির কঠিন বস্তুর ঘনত্ব নির্ণয়
(4) এবার বস্তুটিকে পরিষ্কার করে মােম মাখানাে একটি সরু ও শক্ত সুতাে দিয়ে বেঁধে ধীরে ধীরে তরলের মধ্যে ডােবানাে হল। ফলে, জলতল কিছুটা উপরে উঠবে। এই অবস্থায় জলতলের পাঠ নেওয়া হল। মনে করি V2 এই পাঠ , ঘন একক। [এক্ষেত্রে, মােম মাখালে সুতােটি ভেজে না। অর্থাৎ, জলশােষণ করে না, তাই পাঠে তুটি আসে না।]
এখন বস্তুর প্রকৃত আয়তন পেতে গেলে (V2-V1) পাঠ থেকে নিমজ্জিত সুতাের আয়তন বাদ দিতে হবে। এক্ষেত্রে পাঠ নেওয়ার সময় লম্বন ত্রুটি যাতে না আসে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
∴ কঠিন বস্তুর ঘনত্ব (d) =
৪.২ SI পদ্ধতিতে সহায়ক একক কটি ? তাদের নাম লেখাে। এগুলি কোথায় ব্যবহৃত হয়।
উত্তর :
SI পদ্ধতিতে সহায়ক একক হলাে 7 টি।
এককগুলি হলাে – মিটার, কিলােগ্রাম,সেকেন্ড, অ্যাম্পিয়ার, কেলভিন,ক্যান্ডেলা ও মােল। রি
একক গুলির ব্যবহার –
মিটার দৈর্ঘ্য পরিমাপে ,কিলােগ্রাম ভর পরিমাপে, সেকেন্ড সময় পরিমাপে,অ্যাম্পিয়ার তড়িৎপ্রবাহমাত্রা পরিমাপে, কেলভিন উষ্ণতা পরিমাপে,ক্যান্ডেলা দীপন প্রাবল্যের পরিমাপে এবং মােল পদার্থের পরিমাণ পরিমাপে ব্যবহৃত হয়।
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে : ১x৩=৩
১.১ ধীবর বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে জেলেটির বাড়ি –
(ক) উজ্জয়িনীতে
(খ) শচীতীর্থে
(গ) শক্রাবতারে
(ঘ) হস্তিনাপুরে
উত্তর: ধীবর বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে জেলেটির বাড়ি – (গ) শক্রাবতারে l
১.২ ধীবর যে আংটিটি পেয়েছিল, তাতে খােদাই করা ছিল –
(ক) রাজার ছবি
(খ) রাজ্যের নাম
(গ) রাজার নাম
(ঘ) শকুন্তলার নাম
উত্তর: ধীবর যে আংটিটি পেয়েছিল, তাতে খােদাই করা ছিল – (গ) রাজার নাম l
১.৩ ‘এ অবশ্যই গােসাপ-খাওয়া জেলে হবে।’— কথাটি বলেছেন –
(ক) প্রথম রক্ষী
(খ) দ্বিতীয় রক্ষী
(গ) রাজা।
(ঘ) রাজশ্যালক
উত্তর: ‘এ অবশ্যই গােসাপ-খাওয়া জেলে হবে।’— কথাটি বলেছেন – (ঘ) রাজশ্যালক
২. কমবেশি ২০টি শব্দে উত্তর লেখাে : ১x৩=৩
২.১ শুনুন মহাশয়, এরকম বলবেন না।’ – কোন্ ধরনের কথা বলতে বক্তা নিষেধ করেছে?
উত্তর: রাজর শ্যালক ধীবরের পেশা নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করলে বক্তা ধীবর রাজার শ্যালককে নিষেধ করেন কোনাে মানুষের জীবিকা নিয়ে কাউকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ না করার জন্য।
২.২ ‘সূচক, এই জেলেকে ছেড়ে দাও।’ – জেলেকে ছেড়ে দিতে বলা হলাে কেন?
উত্তর: আংটি পাওয়ার ব্যাপারে ধীবরের সমস্ত বৃত্তান্ত রাজার কাছে সত্য প্রমাণিত হয়। ধীবর নির্দোষ হওয়ায় রাজার আদেশে রাজ শ্যালক সূচককে নির্দেশ দেন জেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
২.৩ ‘একি যা-তা অনুগ্রহ!’ – ধীবর অনুগৃহীত কেন?
উত্তর: আংটি পাওয়ার ব্যাপারে ধীবর নির্দোষ প্রমাণিত হয় এবং রাজা দুষ্মন্তের আদেশে আংটির সমপরিমাণ অর্থ তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়। রাজার এই মহান ব্যবহারে ধীবর অনুগৃহীত হয়ে ওঠে।
৩.প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দে উত্তর লেখাে : ৩x৩=৯
৩.১ ‘সূচক, একে পূর্বাপর সব বলতে দাও। – ধীবর বর্ণিত কাহিনিটি বিবৃত করাে।
উত্তর: উদ্ধৃতাংশটি মহাকবি কালিদাস রচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত নামক নাট্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে।
ধীবর বর্ণিত কাহিনি : ধীবরের কাছে রাজার নামাঙ্কিত আংটি পাওয়া গেলে তাকে চোর সাব্যস্ত করা হয়। আংটিটি যে-ভাবে তার কাছে এলাে, তার পূর্বাপর সমস্ত কাহিনি জানাতে ধীবর বলে- সে পেশায় জেলে। তার বাড়ি সক্রাবতার। সে মাছ ধরে সংসার চালায়। একদিন একটা রুই মাছ ধরার পরে সে যখন মাছটি টুকরাে করছিল তখন মাছের পেটের মধ্যে থেকে মনিখচিত এই আংটি সে পায়। পরবর্তীকালে সে এই আংটিটি বিক্রি করার জন্য যখন লােককে দেখাচ্ছিল তখন রক্ষীরা তাকে ধরে আনে। তাই স্বভাবতই সে চোর নয়, সে নির্দোষ।
৩.২ ‘তবে তাই হােক।’ – কোন্ বিষয়ে কারা সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন?
উত্তর: উদ্ধৃতাংশটি মহাকবি কালিদাস রচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত নামক নাট্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে।
রাজা দুষ্মন্তের নামাঙ্কিত আংটি এক জেলের কাছে পাওয়া গেলে তাকে চোর সন্দেহে বন্দী করা হয়। জেলে তার পরিচয় দেয় এবং বারবার বলতে থাকে সে নির্দোষ। সে জানায়, একটি রুই মাছকে খন্ড করার সময় মাছের পেটের থেকে এই আংটি সে পেয়েছে। ধীবরের এই কথায় সত্যতা থাকলেও রাজরক্ষী এবং রাজ শ্যালক ধীবরের এই কথায় বিশ্বাস খুঁজে পায় না। তাই চোর সন্দেহে আটক ধীবরের কথা সত্য না মিথ্যা তা রাজর সমীপে অনুসন্ধান করার প্রয়ােজনীয়তা পড়ে। ধীবরকে রাজবাড়ির সম্মুখে আনার বিষয়ে রাজ শ্যালকের সিদ্ধান্তে দুই রক্ষী জানুক এবং সূচক একত্রে সম্মতি প্রকাশ করে।
৩.৩ ‘…সেই আংটিটা রাজার (খুব) প্রিয় ছিল। – এই উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে রাজশ্যালক কী বলেছিলেন ?
উত্তর: উদ্ধৃতাংশটি মহাকবি কালিদাস রচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত নামক নাট্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে।
উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ-শ্যালকের বক্তব্য : রাজার আংটি চুরির অপরাধে আটক জেলেকে শাস্তি দেওয়ার বদলে রাজার হুকুমে আংটির সমমূল্য অর্থ পুরস্কৃত করা হয়। এতে রক্ষী জানুক হতবাক হয়ে বােঝার চেষ্টা করে, হয়তাে আংটিটি মূল্যবান ছিল বলে এই পুরস্কারের ব্যবস্থা। জানুকের এই ভাবনার প্রত্যুত্তরে রাজ শ্যালক জানায়, শুধুমাত্র দামি রত্ন বসানাে ছিল বলেই আংটিটি রাজার কাছে মূল্যবান ছিল , তা নয়। এই আংটি দেখামাত্র রাজা বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন। রাজা দুষ্মন্তের স্মৃতিপটে ভেসে উঠেছিল তার কোনাে প্রিয়জনের কথা। তাই স্বভাবতই আংটিটি গুণগত কারণে নয় , স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ছিল রাজার কাছে মূল্যবান।
৪. কম-বেশি ১৫০ শব্দে নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
‘শােনাে ধীবর, এখন থেকে তুমি আমার একজন বিশিষ্ট প্রিয় বন্ধু হলে।’ – কীভাবে ধীবর বক্তার বন্ধু হয়ে উঠল, ‘ধীবরবৃত্তান্ত নাট্যাংশ অনুসরণে আলােচনা করাে।
উত্তর: উদ্ধৃতাংশটি মহাকবি কালিদাস রচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নামক নাট্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে।
ধীবর এবং রাজশ্যালকের বন্ধুত্বের বিবরণ : এক ধীবরের কাছে রাজা দুষ্মন্তের নামাঙ্কিত আংটি পাওয়া গেলে রক্ষীরা তাকে বন্দী করে বিচারের জন্য রাজ শ্যালকের কাছে নিয়ে আসে। এই সূত্রেই প্রথম রাজশ্যালক এবং ধীবরের আলাপ হয়। ধীবর আংটি পাওয়ার সমস্ত বৃত্তান্ত সবিস্তারে জানালেও প্রাথমিকভাবে রাজ শ্যালক তাকে চোর বলেই মনে করে। ধীবরের গা থেকে মাংসের গন্ধ আসায় রাজশ্যালক তাকে ঘৃনা করে এবং তার জীবিকা নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করে।
বন্ধুত্বের কারণ : রাজার সমীপে ধীবরের কথার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে ধীবর প্রসঙ্গে রাজশ্যালকের ধারণা পাল্টে যায়। বিভিন্ন কারণ এবং অনুষঙ্গ কে সামনে রেখে ঘৃণা বন্ধুত্বে রূপান্তরিত হয়।
প্রথমত, রাজশ্যালক ধীবরের সাধুতার পরিচয়ে মুগ্ধ হয়। তিনি বুঝতে পারেন ধীবর যা বলেছে সব সত্য। সে চোর নয়। তাই তার প্রতি বিরূপ আচরণ করা ভুল হয়েছে বুঝতে পেরে শ্যালক বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়।
দ্বিতীয়ত, আংটির সমান মূল্যের অর্থ রাজা ধীবরকে পুরস্কৃত করল রাজশ্যালকের ভাব জগতে বিস্ফোরণ ঘটে। রাজশ্যালক ভাবতে থাকে, যে মানুষ স্বয়ং রাজার দ্বারা পুরস্কৃত হয় সে ঘৃণার যােগ্য নয়। তাই শ্যালক ধীবরের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনােভাব প্রকাশ করে।
তৃতীয়ত, ধীবরের জন্যই রাজার প্রিয়জনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পেরে শ্যালক রাজার উপকার করার মধ্য দিয়ে রাজার প্রতি আনুগত্য প্রতিষ্ঠাতার সুযােগ পায়। তাই তিনি ধীবরের প্রতি আনন্দিত হয়ে ওঠেন।
এভাবেই ধীবরের কর্মগুণ,সততা এবং নৈতিকতার উজ্জলতা রাজার শ্যালককে মুগ্ধ করে। প্রথম দর্শনে যে সম্পর্ক ঘৃণা দিয়ে তৈরি হয়েছিল তা নিমেষের মধ্যেই বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
Read the following text and answer the questions that follow:
A small portion of the Alipore zoo director’s finger was severed after a chimpanzee bit it on Wednesday afternoon, said officials of the hospital where he was treated.
Asis Kumar Samanta was feeding Babu, the thirty-three year old chimpanzee, when he spotted something like an insect on Babu’s nose and tried to remove it. “But the chimpanzee bit his finger,” said V.K. Yadav, membersecretary of the Bengal Zoo Authority.
Samanta was taken to the SSKM Hospital. “A small part of the tip of his left index finger was severed when he came to us. There was a fair amount of bleeding. He needed one stitch and an anti-rabies vaccine. It was not a major wound and should heal soon,” a hospital official said.
This is not the first time Babu had reacted with ferocity while being fed by Samanta. In 2018 February, when Samanta was trying to feed Babu, the chimpanzee had held him by the arms and pulled him closer. The iron bars of the cage separated the two and the director managed to push Babu away to set himself free.
Activity 1
Choose the correct alternative to complete the following sentences: [1×3=3]
(i) The zoo is located at ____________.
(a) Agra
(b) Ahmedabad
(c) Allahabad
(d) Alipore
Ans : The zoo is located at (d) Alipore.
(ii) The chimpanzee attacked the man on ____________ .
(a) Sunday
(b) Monday
(c) Tuesday
(d) Wednesday
Ans : The chimpanzee attacked the man on (d) Wednesday.
(iii) The incident took place in the ____________.
(a) moming
(b) evening
(c) afternoon
(d) night
Ans : The incident took place in the (c) afternoon.
Activity 2
Write T’ for True and ‘F’ for False statements in the boxes given. Also provide Supporting words/ phrases from the text for your answers: (1+1)x2 = 4
(i) Babu is a thirty-two years old chimpanzee. [ F ]
Supporting words/phrases: Asis Kumar Samanta was feeding Babu, the thirty-three year old chimpanzee.
(ii) Mr. Samanta was given an anti-rabies vaccine. [ T ]
Supporting words/phrases: He needed one stitch and an anti-rabies vaccine.
Activity 3
Fill in the blanks by choosing the correct alternative given in brackets: [1X3 = 3]
When he _____________ (see/saw/seen) a star _____________ (shoot/shoots/shooting) across the sky, he _____________ (made/making/make) a wish.
Ans : When he saw (see/saw/seen) a star shooting (shoot/shoots/shooting) across the sky, he made (made/making/make) a wish.
Activity 4
Write a letter to the Manager of a courier service in about 100 words, enquiring about the delivery of a precious parcel to your home. [10]
Use the following points:
Introduction – details of the parcel – request for delivery – conclusion
Ans :
To,
The Manager,
DTDC,
67, Prafulla sarkar Street,
Kolkata-700001.
Sub: Enquiry about the delivery of a precious parcel to my home
Sir,
I am writing this letter to bring in your notice that a courier having DTDC145768 and tracking no. 2738632454 has been dispatched to my address on 10th August, 2021. The address on which it is supposed to be delivered is 17, S.G.D.Lane, P. O. Khagra, Murshidabad and from where it was posted was ISDO, Kokata. It is supposed to reach its destination i.e. at my address within 14th August, 2021 but unfortunately it has not reached yet. The courier contains some really important Documents for the official purpose. The tracking no. is showing that it has been stuck in Krishnagar. I have attached the slip which I had received as soon as it was dispatched the courier for your reference.
Now I request the favour of your kindly looking into the matter and taking needful steps by letting me know the current status of the parcel and complete the delivery as soon as possible.
Dated, 25th January, 2022
Yours truly,
Nil Roy
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে : ১x৩ =৩
১.১ নীচের যে ক্ৰমে পৃথিবীর আবর্তন বেগ ক্রমশ কমতে থাকে সেটি হলাে—
(ক) কর্কটক্রান্তি রেখা – সুমেরুবৃত্ত রেখা – নিরক্ষরেখা – সুমেরু
(খ) নিরক্ষরেখা – কর্কটক্রান্তি রেখা – সুমেরুবৃত্ত রেখা – সুমেরু
(গ) সুমেরুবৃত্ত রেখা – কর্কটক্রান্তি রেখা – নিরক্ষরেখা – সুমেরু
(ঘ) সুমেরু – সুমেরুবৃত্ত রেখা – কর্কটক্রান্তি রেখা – নিরক্ষরেখা
উত্তর: যে ক্ৰমে পৃথিবীর আবর্তন বেগ ক্রমশ কমতে থাকে সেটি হলাে (খ) নিরক্ষরেখা – কর্কটক্রান্তি রেখা – সুমেরুবৃত্ত রেখা – সুমেরু
১.২ পৃথিবীর আলােকিত অর্ধাংশ ও অন্ধকারাচ্ছন্ন অর্ধাংশের মধ্যবর্তী সীমারেখাকে বলে—
(ক) মূলমধ্যরেখা
(খ) নিরক্ষরেখা
(গ) ছায়াবৃত্ত
(ঘ) মকরক্রান্তি রেখা
উত্তর: পৃথিবীর আলােকিত অর্ধাংশ ও অন্ধকারাচ্ছন্ন অর্ধাংশের মধ্যবর্তী সীমারেখাকে বলে (খ) নিরক্ষরেখা।
১.৩ ঠিক জোড়টি নির্বাচন করাে:
(ক) ২১ মার্চ – উত্তর গােলার্ধে দীর্ঘতম দিন, দক্ষিণ গােলার্ধে ক্ষুদ্রতম রাত
(খ) ২২ ডিসেম্বর – নিরক্ষরেখায় সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে
(গ) পৃথিবীর অনুসুর অবস্থান – উত্তর গােলার্ধে শরৎকাল
(ঘ) ২১ জুন – উত্তর অয়নান্ত দিবস
উত্তর: ঠিক জোড়টি হল (ঘ) ২১ জুন – উত্তর অয়নান্ত দিবস।
২. বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখাে : ১x২=২
২.১ কোরিওলিস বলের প্রভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠে বায়ুপ্রবাহের দিকবিক্ষেপ ঘটে।
উত্তর: সত্য।
২.২ ২১ মার্চ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সূর্যের আপাত দক্ষিণাভিমুখী চলন লক্ষ করা যায়।
উত্তর: ভুল
২.২ ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও : ১x৩=৩
উত্তর:
‘ক’ স্তম্ভ
‘খ’ স্তম্ভ
২,২,১ আয়নােস্ফিয়ার
২. মেরুপ্রভা
২.২.২ ফুকো
৩.পৃথিবীর আবর্তন গতির পরীক্ষা
২.২.৩ বিষুব
১. সমান দিন ও রাত
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ২x২=৪
৩.১ সৌরদিন বলতে কী বােঝাে?
উত্তর: পৃথিবী নিজ মেরুদণ্ডের উপর ক্রমাগত পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে আবর্তন করে চলেছে। এই আবর্তনের জন্য পৃথিবীর কোনাে নির্দিষ্ট দ্রাঘিমায় পরপর দুটি মধ্যাহ্নের সময়ের ব্যবধান হয় 23 ঘণ্টা 56 মিনিট 4 সেকেন্ড বা 1 দিন, একে সৌরদিন বলে ।
৩.২ অরােরা অস্ট্রালিস কাকে বলে?
উত্তর: 21 শে মার্চ থেকে 23 শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটানা ছয় মাস কুমেরু অঞ্চলে রাত্রি থাকাকালীন আকাশে যে রামধনুর মতাে সুন্দর অস্পষ্ট আলাে বা জ্যোতি দেখা যায়, তাকে অরােরা অস্ট্রালিস বা কুমেরু প্রভা বলে।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৩x১=৩
“ঋতু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পৃথিবীর অক্ষের হেলানাে অবস্থানের প্রভাব সর্বাধিক।”—ভৌগােলিক কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: পৃথিবী সূর্য পরিক্রমণের সময় পৃথিবীর অক্ষ কক্ষতলের সঙ্গে 66 1/2° কোণে হেলে থাকে। এই হেলানাে অবস্থানের জন্য পৃথিবীতে উত্তাপের তারতম্য ঘটে। কারণ সূর্যের রশ্মি সর্বত্র পৃথিবীর উপর সমানভাবে পড়েনা। যার ফলে ঋতু পরিবর্তন দেখা যায়। ব্যাখ্যা :- পৃথিবীর যে অংশ সূর্যের দিকে হেলে থাকে, সেই অংশটি সূর্যের কাছাকাছি হওয়ার জন্য সূর্যকিরণ লম্বা হয়ে পড়ে আর অপর অংশটি দূরে হওয়ার কারণে তীর্যকভাবে সূর্যরশ্মি পড়ে। লম্ব ভাবে পড়া রশ্মি পৃথিবীর ওই অংশকে বেশি গরম করে অপরদিকে তীর্যকভাবে পড়া রশ্মি কম করেন। এইভাবে | উত্তাপ এর তারতম্য ঘটে ঋতু পরিবর্তনের সাহায্য করে।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৫x১=৫
পৃথিবীর আবর্তন গতির প্রমাণস্বরূপ যেকোনাে দুটি পরীক্ষা চিত্রসহ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: পৃথিবীর আবর্তন গতির প্রমাণস্বরূপ দুটি পরীক্ষা নিম্নলিখিত –
১) নিশ্চল বায়ুতে প্রস্তরখন্ডের পরীক্ষা :- নিশ্চল বায়ুতে কোনাে উঁচু স্থান থেকে একটি পাথর খন্ড নিচে ফেলে দিলে। পাথরখণ্ড টি উপর থেকে নিচে সরাসরি উলম্বভাবে না পড়ে সামান্য পূর্ব দিক ঘেঁসে | মাটিতে পড়ে। পৃথিবীর পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে বলেই এটি ঘটে। ফ্রান্সের বুলাে এবং জার্মানির হামবুর্গ শহরে প্রায় 250 ফুট উঁচু থেকে | নিক্ষিপ্ত প্রস্তরখণ্ড ৪.4 মিলিমিটার পূর্ব দিকে সরে মাটিতে পতিত হয়।
২) ফুকোর দোলকের পরীক্ষা :- বিখ্যাত ফরাসি বৈজ্ঞানিক ফুকো 1851 খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের প্যান্থিয়ন গির্জা থেকে 61 মিটার একটি সরু তারের মধ্যে পিন সহ লােহার বল ঝুলিয়ে তার নিচে সামান্য বালি এমন ভাবে ছড়িয়ে দেন যাতে বলটির পিন বালিতে দাগ কাটতে পারে। এরপর বলটিকে উত্তর-দক্ষিণে দুলিয়ে দেন।
৩) পর্যবেক্ষণ :- চিত্রটি লক্ষ করলে দেখা যাবে পিনটিপ্রথমবার aa’, দ্বিতীয়বারের bb’, তৃতীয়বারে cc’ রেখা অঙ্কন করবে এবং প্রায় 24 ঘন্টা পরে পুনরায় পিনটি aa’ স্থানে ফিরে আসবে। এর থেকে ফুকো লক্ষ করেন। বালিতে আলপিনের দাগগুলি ক্রমশ পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে।
৪) সিদ্ধান্ত :- পৃথিবীর পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে বলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
১. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করাে : ১x৪=৪
(ক) নেপােলিয়ন ফ্রান্সে ‘কনসুলেট’ শাসনের অবসান ঘটান।
উত্তর: মিথ্যা l
(খ) নেপােলিয়নের আইন সংহিতায় ২২৮৭টি বিধি বা ধারা ছিল।
উত্তর: সত্য l
(গ) জার্মানিতে সিসঅ্যালপাইন প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়।
উত্তর: মিথ্যা l
(ঘ) ইতালির ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে নেপােলিয়ন ‘রাইন রাষ্ট্রসংঘ’ গঠন করেন।
উত্তর: মিথ্যা l
২. স্তম্ভ মেলাও : ১x৪=৪
‘ক’ স্তম্ভ
‘খ’ স্তম্ভ
ট্রাফালগারের নৌযুদ্ধ
১৮১৫ খ্রিস্টাব্দ
ফনটেনব্ল্যু চুক্তি
১৮১২ খ্রিস্টাব্দ
নেপােলিয়নের রাশিয়া অভিযান
১৮০৫ খ্রিস্টাব্দ
ওয়াটারলুর যুদ্ধ
১৮০৭ খ্রিস্টাব্দ
উত্তর:
‘ক’ স্তম্ভ
‘খ’ স্তম্ভ
ট্রাফালগারের নৌযুদ্ধ
১৮০৫ খ্রিস্টাব্দ
ফনটেনব্ল্যু চুক্তি
১৮০৭ খ্রিস্টাব্দ
নেপােলিয়নের রাশিয়া অভিযান
১৮১২ খ্রিস্টাব্দ
ওয়াটারলুর যুদ্ধ
১৮১৫ খ্রিস্টাব্দ
৩. দুই-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও : ২x২=৪
(ক) লিপজিগের যুদ্ধ কেন ‘জাতিসমূহের যুদ্ধ’ নামে পরিচিত?
উত্তর: নেপােলিয়নের ক্ষমতাকে বিধ্বস্ত করতে ইংল্যান্ড, রাশিয়া অস্ট্রিয়া, প্রাশিয়া ও সুইডেন ‘চতুর্থ শক্তিজোট’ গড়ে তােলে। ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে ‘চতুর্থ শক্তিজোট’ একত্রে নেপােলিয়নের বিরুদ্ধে লিপজিগেরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। ফ্রান্স চতুর্দিক থেকে আক্রান্ত হয়। একটানা যুদ্ধে নেপােলিয়নের সাম্রাজ্য ছারখার হয়ে যায়। এই লিপজিগ এর যুদ্ধে ইউরােপের তেরােটি জাতি একত্রে নেপােলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল বলে এই যুদ্ধ ‘জাতিসমূহের যুদ্ধ’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে l
(খ) শতদিবসের রাজত্ব বলতে কী বােঝায়?
উত্তর: এলবা দ্বীপে নির্বাসিত হওয়ার পর নেপােলিয়ন পুনরায় ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখতে থাকেন। রাজার দুর্বলতা এবং পরিস্থিতির সুযােগ নিয়ে ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের ১ লা মার্চ তিনি ১০৫০ জন সৈন্য নিয়ে ফ্রান্স আক্রমণ করেন। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস অভিমুখে যাত্রার সময় তিনি সাধারণ মানুষের সাদর অভ্যর্থনা পান। এরপর ১৮১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২০ মার্চ থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত ১০০ দিন নেপােলিয়ন ফ্রান্সে রাজত্ব করেন। এই ঘটনা ‘শত দিবসের রাজত্ব’ নামে পরিচিত।
৪. সাত-আটটি বাক্যে উত্তর দাও : ৪x২=৮
(ক) মহাদেশীয় ব্যবস্থা নেপােলিয়নের পতনের জন্য কতখানি দায়ী?
উত্তর: নেপােলিয়ন সমগ্র ইউরােপ জুড়ে ইংল্যান্ডের ব্যবসা-বাণিজ্যকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। শত্রু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক প্রকার অর্থনৈতিক অবরােধ শুরু করেছিলেন, যা ছিল মহাদেশীয় ব্যবস্থা।
নেপােলিয়ন গায়ের জোরে এই মহাদেশীয় ব্যবস্থা প্রয়ােগ করতে গিয়ে নিজের পতন ডেকে এনেছিলেন। এই মহাদেশীয় ব্যবস্থার মধ্যেই নেপােলিয়নের পতনের কারণ লুকিয়ে ছিল –
i) তীব্র অর্থনৈতিক সংকট :- ইংল্যান্ডকে জব্দ করতে গিয়ে নেপােলিয়ন নিজের দেশ ফ্রান্সে তীব্র অর্থনৈতিক হাহাকার সৃষ্টি করে। ইংল্যান্ডজাত দ্রব্য ছিল সস্তা, তাই এই দ্রব্য আসা বন্ধ হলে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি ঘটে। ফ্রান্সের মানুষ নেপােলিয়নের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে ওঠে। নিজ দেশে তিনি জনপ্রিয়তা হারান l
ii) স্পেনীয় ক্ষত :- নেপােলিয়ন বিশ্বাস করেছিলেন তার প্রধান শত্রু ইংল্যান্ডকে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে তার বন্ধুদেশ গুলি তাকে সমর্থন করবে। কিন্তু তা হয়নি। পর্তুগাল মহাদেশীয় ব্যবস্থা মানতে অস্বীকার করে। নেপােলিয়ন জোরপূর্বক এই ব্যবস্থা চাপিয়ে দিলে স্পেন ও পর্তুগালের সাথে ফ্রান্সের যুদ্ধ বেধে যায়। এতে নেপােলিয়ন পরাজিত হয় এবং তার বহু শক্তি ক্ষয় হয়।
iii) রাশিয়া আক্রমণ :- রাশিয়ার জার প্রথম আলেকজান্ডার নিজেদের স্বার্থে মহাদেশীয় প্রথা মানতে অস্বীকার করে। নেপােলিয়ন রুষ্ট হয় এবং রাশিয়া আক্রমণ করে। এই ভুল সিদ্ধান্তে নেপােলিয়নের পতন অনিবার্য হয়। রাশিয়ার কাছে নেপােলিয়নের ‘গ্র্যান্ড আর্মি ধ্বংস হয়ে যায়।
iv) নেপােলিয়নের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ :- এই ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে গিয়ে নেপােলিয়ন ইউরােপের উপকূল অঞ্চলের প্রায় ২০০০ মাইল এলাকা জয়ের চেষ্টা করেন। এতে একদিকে যেমন তার সৈন্য বাহিনীর ওপর চাপ পড়ে তেমনি দেশে দেশে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়। রােম এবং হল্যান্ডের শাসকদের সিংহাসনচ্যুত করলে ক্যাথলিক সম্প্রদায় তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
মন্তব্য :- এভাবেই বলপূর্বক মহাদেশীয় ব্যবস্থা প্রয়ােগ করার ভুল সিদ্ধান্তে নেপােলিয়ন নিজের পতন নিজে ডেকে আনেন। এই সিদ্ধান্ত ছিল নেপােলিয়নের অযােগ্যতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
(খ) ফরাসি বিপ্লবের আদর্শগুলির সঙ্গে নেপােলিয়নের সাম্রাজ্যিক কার্যকলাপের সম্পর্ক আলােচনা করাে।
উত্তর: ক্ষমতা লাভের পর নেপােলিয়ন বুঝতে পেরেছিলেন ফরাসি বিপ্লব মানুষের মনে যে উচ্চাশা সৃষ্টি করেছে তা বাস্তবায়িত করতে না-পারলে তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। তাই তিনি ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ থেকে স্বাধীনতাকে সরিয়ে রেখে, পরবর্তী দুই আদর্শ সাম্য ও মৈত্রীকে বাস্তবায়িত করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। যেখানেই তিনি পদক্ষেপে রেখেছিলেন সেখানেই পুরাতনতন্ত্রের বিনাশ ঘটিয়ে নিজের কৃতিত্বকে বিপ্লবের চূড়ান্ত ফল রূপে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন।
নিজেকে ‘বিপ্লবের সন্তান রূপে প্রতিষ্ঠা :- নেপােলিয়ন এক সাধারন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে ফ্রান্সের সম্রাট পদে বসেছিলেন কোনাে প্রকার উত্তরাধিকার ছাড়াই। তাই তিনি জনগণের সমর্থন অর্জন করতে নিজেকে ‘বিপ্লবের সন্তান’ আখ্যায় ভূষিত করেছিলেন। বলেছিলেন ‘আমিই বিপ্লব।
সামাজিক পরিবর্তন সাধন :- বিপ্লবের আগে ফ্রান্সে নানান ধরনের বৈষম্যমূলক কর প্রচলিত ছিল। নেপােলিয়ন ক্ষমতায় এসে সামন্তপ্রথা, ভূমিদাস প্রথা, করভি, টাইট প্রভৃতি কর বিলােপ করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ফরাসি বিপ্লবের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে মানুষের আস্থা অর্জন করেন।
সকলের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা :- নেপােলিয়ন ফ্রান্সে প্রচলিত পূর্বের আইন বর্জন করে কোড নেপােলিয়ন প্রণয়ন করেন। ফ্রান্সের মানুষ যে সাম্য চেয়েছিল, কোড নেপােলিয়ন-এর মধ্য দিয়ে আইনের চোখে সবাই সমান এই নীতি প্রতিষ্ঠা করে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেন।
বিপ্লবের আদর্শের প্রসার :- নেপােলিয়ন ইউরােপের অন্যান্য দেশেও বিপ্লবের আদর্শ প্রচার করে মৈত্রী স্থাপনের চেষ্টা করেন। ফ্রান্সের পাশাপাশি ইতালি জার্মানি সহ একাধিক রাষ্ট্রে তার শাসন কায়েম করে তিনি সামন্তপ্রথার অবসান ঘটান।
মন্তব্য :- নেপােলিয়ন নিজেকে ‘বিপ্লবের সন্তান’ রূপে দাবি করলেও তিনি নিজেই বলেছিলেন- “আমি বিপ্লবের ধ্বংসকারী”। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তিনি আংশিক সাম্য ও মৈত্রীর আদর্শকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করলেও ফরাসি বিপ্লবের সবচেয়ে বড়াে আদর্শ ‘স্বাধীনতা’ প্রদানের কোনাে প্রচেষ্টা তিনি করেননি। তিনি ফ্রান্সকে শ্রেষ্ঠ শক্তিরূপে গড়ে তুলতে গিয়ে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সমস্ত ক্ষমতা নিজের হাতে কুক্ষিগত রেখে সারা বিশ্বকে পরিচালনা করতে চেয়েছিলেন। নেপােলিয়নের আগ্রাসী মনােভাব ফরাসি বিপ্লবের সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার আদর্শকে সর্বতােভাবে ধ্বংস করেছিল।
১. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখাে :১x৩ =৩
১.১ যে পর্বের প্রাণীদের রেচন অঙ্গ ফ্রেম কোশ তা শনাক্ত করাে—
(ক) টিনােফোরা
(খ) নিমাটোডা
(গ) প্ল্যাটিহেলমিনথেস
(ঘ) অ্যানিলিডা
উত্তর: যে পর্বের প্রাণীদের রেচন অঙ্গ ফ্রেম কোশ তা হল (গ) প্ল্যাটিহেলমিনথেস
১.২ নীচের যে জোড়টি সঠিক তা স্থির করাে—
(ক) ন্যাথােস্টোমাটা – চোয়াল অনুপস্থিত
(খ) মােলাস্কা – ম্যালপিজিয়ান নালিকা উপস্থিত
(গ) অ্যানিলিডা – ছদ্ম সিলােম উপস্থিত
(ঘ) টিনােফোরা – কোম্বপ্লেট উপস্থিত (ঘ) টিনােফোরা – কোম্বপ্লেট উপস্থিত
১.৩ নীচের যে বৈশিষ্ট্যটি প্রােটিস্টা রাজ্যের বৈশিষ্ট্য নয় সেটি নির্বাচন করাে—
(ক) এরা এককোশী
(খ) কোশ প্রােক্যারিওটিক প্রকৃতির
(গ) পুষ্টি পদ্ধতি স্বভােজী বা পরভােজী প্রকৃতির
(ঘ) কোশে পর্দা-ঘেরা কোশ অঙ্গাণু উপস্থিত
উত্তর: যে বৈশিষ্ট্যটি প্রােটিস্টা রাজ্যের বৈশিষ্ট্য নয় সেটি হল (খ) কোশ প্রােক্যারিওটিক প্রকৃতির
২. শূন্যস্থান পূরণ করাে: ১x৪=৪
২.১ নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহে ______ কোশ উপস্থিত থাকে।
উত্তর: নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহে নিডোব্লাস্ট কোশ উপস্থিত থাকে।
২.২ ______ উভচর উদ্ভিদ বলা হয়।
উত্তর: ব্রায়োফাইটাকে উভচর উদ্ভিদ বলা হয়।
২.৩ প্ল্যান্টি রাজ্যের সদস্যদের কোশ ______ প্রকৃতির।
উত্তর: প্ল্যান্টি রাজ্যের সদস্যদের কোশ ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির।
২.৪ ______পর্বের প্রাণীদের দেহে কোয়ানােসাইট কোশ উপস্থিত থাকে।
উত্তর: পরিফেরা বা ছিদ্রাল পর্বের প্রাণীদের দেহে কোয়ানােসাইট কোশ উপস্থিত থাকে।
৩. দুই-তিন বাক্যে উত্তর দাও : ২x৪=৮
৩.১ মোনেরা রাজ্যের দুটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।
উত্তর: মোনেরা রাজ্যের দুটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য হল – (১) এরা এককোষী ও প্রােক্যারিওটিক, অণুবীক্ষণিক হয় , (২) এদের কোষ বিভাজন কালে বেম গঠন হয় না।
৩.২ নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের পার্থক্য নিরূপণ করাে: মূল, পাতার শিরাবিন্যাস
উত্তর:
বিষয়
একবীজপত্রী
দ্বিবীজপত্রী
মূল
এদের মূল অস্থানিক ও গুচ্ছ মূল হয়।
এদের মূল স্থানিক ও প্রধান মূল হয়।
পাতার শিরাবিন্যাস
এদের পাতা সমান্তরাল শিরাবিন্যাস যুক্ত।
এদের পাতা জালাকাকার শিরাবিন্যাস যুক্ত।
৩.৩ জীবের বৈচিত্র্যের উৎস কী কী?
উত্তর: জীব বৈচিত্রের উৎস গুলি হল
জননের প্রকরণের সৃষ্টি: যৌন জননের সময় শুক্রাণু ও ডিম্বাণু মিলিত হয়। এই জননকোষ গুলিতে জিনের আদান-প্রদান ঘটে, ফলে বৈচিত্র সৃষ্টি হয়। আবার এই বৈচিত্র্যময় জননকোষ গুলির যে কোনাে দুটি পরস্পর মিলিত হয় বলে অপত্য বৈচিত্র সৃষ্টি হয়।
মিউটেশন বা পরিব্যক্তি: কোন জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে জিন। এই জিনের গঠনে হঠাৎ করে স্থায়ীভাবে পরিবর্তিত হলে তাকে বলে মিউটেশন বা পরিব্যক্তি। এর ফলে অপত্য জীবের নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি হয়।
অভিযােজন: বিভিন্ন স্থানের পরিবেশ ও আবহাওয়া এবং জলবায়ুর বিভিন্ন পরিবর্তনের সঙ্গে জীব নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে বৈশিষ্ট্যের বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। এবং পরিবেশের সাপেক্ষে অনুকূল করে তুলতে নিজেদের দেহের পরিবর্তন ঘটায় অর্থাৎ প্রকরণ ঘটায়, যাকে আমরা অভিযােজন বলি।
৩.৪ নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে কনড্রিকথিস ও অসটিকথিস-এর পার্থক্য নিরূপণ করাে : অন্তঃকঙ্কাল, আঁশ
উত্তর:
বিষয়
কনড্রিকথিস
অসটিকথিস
অন্তঃকঙ্কাল
অন্তঃকঙ্কাল তরুণাস্থিময়
অন্তঃকঙ্কাল অস্থিময়
আঁশ
দেহ অণুবীক্ষণিক প্লাকয়েড আঁশ দ্বারা আবৃত
দেহ বীক্ষণিক সাইক্লয়েড, টিনয়েড বা গ্যানয়েড আঁশ দ্বারা আচ্ছাদিত
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
৪.১ উভচর শ্রেণির তিনটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে। “এই পর্বের প্রাণীদের দেহে সন্ধিল উপাঙ্গ উপস্থিত থাকে”–পর্বটির প্রাণীদের দুটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য লেখাে। ৩+২=৫
উত্তর:
➣ উভচর শ্রেণীর তিনটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য হলাে –
(১) চর্ম সিক্ত ও নগ্ন প্রকৃতির,
(২) শৈশবকাল এবং পূর্ণাঙ্গ অবস্থা স্থলে অতিবাহিত হয়,
(৩) অগ্রপশ্চাৎ পদে চারটি এবং পশ্চাৎপদে পাঁচটি আঙ্গুল থাকে।
➣ পর্বের নাম হল আর্থ্রোপোড বা সন্ধিপদ। এই সন্ধিপদ পর্বের তিনটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য হলাে –
(১) দেহ কাইটিন নির্মিত বহিঃকঙ্কাল দ্বারা আবৃত,
(২) সন্ধির উপাঙ্গ উপস্থিত,
(৩) রক্ত সংবহনতন্ত্র মুক্ত প্রকৃতির।
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করাে : ১x৪=৪
১.১ একটি নিরেট লােহার বলকে জলে ডােবালে লােহার বলের ওজন –
(ক) একই থাকে
(খ) কমে
(গ) বাড়ে
(ঘ) প্রথমে বাড়ে পরে কমে।
উত্তর : (খ) কমে
১.২ বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল যার সঙ্গে সমানুপাতিক তা হলাে—
(ক) কার্যের হারের সঙ্গে
(খ) ভরবেগের পরিবর্তনের হারের সঙ্গে
(গ) ক্ষমতার হারের সঙ্গে
(ঘ) বস্তুটির গতিবেগের সঙ্গে।
উত্তর : (খ) ভরবেগের পরিবর্তনের হারের সঙ্গে
১.৩ নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র অনুযায়ী —
(ক) ক্রিয়া বলের মান প্রতিক্রিয়া বলের মানের চেয়ে বেশি
(খ) ক্রিয়া বল প্রতিক্রিয়া বলের সমান ও বিপরীতমুখী
(গ) ক্রিয়া বলের মান প্রতিক্রিয়া বলের মানের চেয়ে কম l
(ঘ) ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া বল দুটি সম্পর্কযুক্ত নয়।
উত্তর : (খ) ক্রিয়া বল প্রতিক্রিয়া বলের সমান ও বিপরীতমুখী
১.৪ নির্দিষ্ট পরিমাণ বলের ক্ষেত্রে চাপ হলাে –
(ক) ক্ষেত্রফলের সঙ্গে সমানুপাতিক
(খ) ক্ষেত্রফলের সঙ্গে ব্যস্তানুপাতিক
(গ) বলের সঙ্গে ব্যস্তানুপাতিক
(ঘ) ক্ষমতার সঙ্গে ব্যস্তানুপাতিক
উত্তর : (খ) ক্ষেত্রফলের সঙ্গে ব্যস্তানুপাতিক
২. নীচের বাক্যগুলি সত্য অথবা মিথ্যা তা নিরূপণ করাে : ১x৪=৪
২.১ কোনাে গতিশীল বস্তুর বিরুদ্ধে বল প্রয়ােগ করলে তার গতিবেগ বৃদ্ধি পায়।
উত্তর : মিথ্যা l
২.২ CGS পদ্ধতিতে বলের একক নিউটন।
উত্তর : মিথ্যা l
২.৩ তরলের চাপ তরলের ঘনত্বের উপর নির্ভরশীল।
উত্তর : সত্য l
২.৪ পারদ জলের চেয়ে বেশি প্লবতা বল সৃষ্টি করতে পারে।
উত্তর : সত্য l
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ২x৩=৬
৩.১ বল কাকে বলে তা ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : বাইরে থেকে প্রযুক্ত যে বাহ্যিক কারণের জন্য কোন স্থির বস্তু কে গতিশীল বা সমবেগে গতিশীল বস্তুর গতিশীল অবস্থার পরিবর্তন করা যায় বা করার চেষ্টা করা হয় তাকে বলে বল।
যেমনঃ কোন স্থির বস্তুকে যা প্রয়ােগ করে তার অবস্থান পরিবর্তন করা যায়, সেটা হল বল।
৩.২ আর্কিমিডিসের সূত্রটি উল্লেখ করাে।
উত্তর : কোনো বস্তুকে স্থির তরল অথবা বায়বীয় পদার্থে আংশিক বা সম্পূর্ণ ডুবালে বস্তুটি কিছু ওজন হারায় বলে মনে হয়। এই হারানো ওজন বস্তুটির দ্বারা অপসারিত তরল বা বায়বীয় পদার্থের ওজনের সমান।
৩.৩ একটি ফাপা প্লাস্টিকের বল কেন জলে ভাসে তা ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : কোন বস্তু তখনি জলে ভাসবে যখন তরলের প্লাবতা বস্তুর ওজনের সমান হবে। অর্থাৎ বস্তুর ওজন = প্লাবতা। ফাপা প্লাস্টিকের বলের দ্বারা অপসারিত জলের ওজন, প্লাস্টিকের বলের ওজনের সমান হয়, যার জন্য প্লাস্টিকের ফাঁপা বল জলে ভাসতে থাকে।
৪. নীচের প্রশ্ন দুটির উত্তর দাও : ৩x২=৬
৪.১ স্থির প্রবাহী পদার্থের মধ্যে কোনাে বিন্দুতে ক্রিয়াশীল চাপ কোন তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল ও কেন ?
উত্তর : ক্রিয়াশীল চাপ যে তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে তা হল—
(ক) বিন্দুটির গভীরতার(h) ওপর : বিন্দুটির গভীরতা যত বৃদ্ধি পেতে থাকবে, ক্রিয়াশীল চাপের পরিমাণ বাড়তে থাকবে । গভীরতা বাড়লে প্রবাহী পদার্থের পরিমাণ বেশি হয় ফলে প্রবাহী পদার্থের পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে চাপের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
(খ) তরলের ঘনত্ব(d) ওপর : স্থির প্রবাহী পদার্থের ঘনত্ব বাড়লে, ক্রিয়াশীল চাপের পরিমাণ বাড়তে থাকে অর্থাৎ পদার্থের ঘনত্ব এবং ক্রিয়াশীল চাপ পরস্পর সম্পর্কে পরিবর্তিত হয়।
(গ) ওই বিন্দুতে অভিকর্ষজ ত্বরণ(g) এর ওপর : অভিকর্ষজ ত্বরণের মান যত বাড়তে থাকে ততই ক্রিয়াশীল চাপের মান বাড়তে থাকে।
৪.২ নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্রটি বিবৃত করাে এবং কীভাবে বল পরিমাপ করা যায় তা ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর :
নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্র : কোন বস্তুর ভরবেগে পরিবর্তনের হার বস্তুর উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক। প্রযুক্ত বল যে দিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তন সেদিকে হয়।
বলের পরিমাপ : ধরা যাক, m ভরের একটি বস্তু u বেগে গতিশীল। বস্তুর গতির অভিমুখে স্থির মানের F বল t সময় ধরে ক্রিয়া করছে, এর ফলে বস্তুর অন্তিম বেগ হয় v l
বস্তুর প্রাথমিক রৈখিক ভরবেগ=mu,
বস্তুর t সময় রৈখিক ভরবেগ = mv,
t সময়ে রৈখিক ভরবেগের পরিবর্তন = mv-mu=m(v-u)
রৈখিক ভরবেগের পরিবর্তনের হার = (v-u)/t
নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্র অনুসারে, F α ma,
F = K.ma (K= ধ্রুবক)
যখন a=1 এবং m=1, তখন K=1 হবে,
অত এব F=ma
অর্থাৎ প্রযুক্ত বল (F) = বস্তুর ভর(m) x বস্তুর ত্বরণ(a)
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে –
1. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে : 1 x 3 = 3
(ক)
−
2
3
-23
সংখ্যাটি
(a) একটি ঋণাত্মক পূর্ণসংখ্যা
(b) একটি অখণ্ড সংখ্যা
(c) একটি স্বাভাবিক সংখ্যা।
(d) একটি মূলদ সংখ্যা
উত্তর: (d) একটি মূলদ সংখ্যা
(খ) 0.4504500450045……..সংখ্যাটি একটি
(a) আবৃত্ত দশমিক সংখ্যা
(b) অসীম ও আবৃত্ত দশমিক সংখ্যা
(c) মূলদ সংখ্যা
(d) অসীম ও অনাবৃত্ত দশমিক সংখ্যা
উত্তর: (d) অসীম ও অনাবৃত্ত দশমিক সংখ্যা
(গ) π ও e হলাে
(a) মূলদ সংখ্যা
(b) পূর্ণসংখ্যা
(c) স্বাভাবিক সংখ্যা
(d) তুরীয় অমূলদ সংখ্যা
উত্তর: (d) তুরীয় অমূলদ সংখ্যা
2. সত্য/মিথ্যা লেখাে : 1 x 3 = 3
(ক)
−
0
.
⋅
3
⋅
6
-0.3⋅6⋅
সংখ্যাটি একটি শুদ্ধ আবৃত্ত দশমিক ভগ্নাংশ।
উত্তর: সত্য
ব্যাখ্যা:
−
0
.
⋅
3
⋅
6
-0.3⋅6⋅
=
−
36
99
-3699
=
0.36363636
…
.
0.36363636….
সুতরাং,
−
0
.
⋅
3
⋅
6
-0.3⋅6⋅
সংখ্যাটি একটি শুদ্ধ আবৃত্ত দশমিক ভগ্নাংশ।
(খ) ‘0’-কে p/q আকারে প্রকাশ করা যায় যেখানে p এবং q পূর্ণসংখ্যা এবং q ≠ 0 ।
উত্তর: সত্য
(গ) সব পূর্ণসংখ্যাই অখণ্ড সংখ্যার অন্তর্ভুক্ত।
উত্তর: সত্য
3. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : 2 x 3 = 6
(ক) দুটি উদাহরণের সাহায্যে দেখাও যে দুটি পূর্ণসংখ্যার ভাগফল পূর্ণসংখ্যা হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।
উত্তর: ধরি, দুটি সংখ্যা = 4, 10
∴ সংখ্যা দুটির ভাগফল =
2
4
10
5
42105
=
2
5
25
আবার, ধরি, দুটি সংখ্যা = 4, 2
∴ সংখ্যা দুটির ভাগফল =
2
4
2
422
= 2
সুতরাং, দুটি পূর্ণসংখ্যার ভাগফল পূর্ণসংখ্যা হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। (প্রমানিত)
(খ)
(
−
4
)
2
(-4)2
= কত?
√
16
16
= কতাে?
উত্তর:
(
−
4
)
2
(-4)2
= 16
√
16
16
=
√
4
×
4
4×4
= ± 4
(গ) একটি উদাহরণ দিয়ে দেখাও যে দুটি অমূলদ সংখ্যার গুণফল সর্বদা অমূলদ সংখ্যা হবে না।
উত্তর: ধরি, দুটি অমূলদ সংখ্যা =
√
2
2
,
√
3
3
∴ সংখ্যা দুটির গুনফল =
√
2
2
×
√
3
3
=
√
6
6
আবার ধরি, দুটি অমূলদ সংখ্যা =
√
3
3
,
√
3
3
∴ সংখ্যা দুটির গুনফল =
√
3
3
×
√
3
3
= 3
সুতরাং, দুটি অমূলদ সংখ্যার গুণফল সর্বদা অমূলদ সংখ্যা হবে না। (প্রমানিত)
4.
(ক) স্কেল ও পেন্সিল কম্পাসের সাহায্যে সংখ্যা রেখার উপর
√
3
3
সংখ্যাটিকে স্থাপন করে দেখাও।
উত্তর:
√
3
3
সংখ্যারেখায় স্থাপন :-
√
3
3
=
√
2
+
1
2+1
(খ) সংখ্যারেখা অঙ্কন করে
136136, 146146, 156156
মূলদ সংখ্যাগুলি স্থাপন করাে।
উত্তর: নীচে সংখ্যারেখার মাধ্যমে সংখ্যাগুলি স্থাপন করে দেখানো হলো –
(ক) ‘দ্য স্যোসাল কনট্রাক্ট’ বইটি লিখেছিলেন _____________ l
উত্তর : ‘দ্য স্যোসাল কনট্রাক্ট’ বইটি লিখেছিলেন রুশো l
(খ) ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা ছিলেন _____________ l
উত্তর : ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা ছিলেন ষোড়শ লুই l
(গ) বুর্জোয়ারা ছিল _____________ সম্প্রদায়ভুক্ত।
উত্তর : বুর্জোয়ারা ছিল তৃতীয় সম্প্রদায়ভুক্ত।
(ঘ) বাস্তিলের পতন ঘটেছিল ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের _____________ l
উত্তর : বাস্তিলের পতন ঘটেছিল ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ই জুলাই l
(ক) যাজক ও অভিজাত শ্রেণি ছিল সুবিধাভােগী।
উত্তর : ঠিক l
(খ) ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন মন্তেস্কু।
উত্তর : ঠিক l
(গ) কাদিদ’ নামক বইটি লিখেছিলেন রুশাে।
উত্তর : ভুল l
(ঘ) বৈষম্যমূলক কর ব্যবস্থা ফরাসি বিপ্লবের পথ প্রস্তুত করেছিল।
উত্তর : ঠিক l
ক— স্তম্ভ
খ- স্তম্ভ
তেইল
সম্পত্তির ওপর ধার্য কর
টাইদ
লবন কর
গ্যাবেল
ভূমিকর
ভ্যাক্তিয়েম
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য ধার্য কর
উত্তর :
ক— স্তম্ভ
খ- স্তম্ভ
তেইল
ভূমিকর
টাইদ
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য ধার্য কর
গ্যাবেল
লবন কর
ভ্যাক্তিয়েম
সম্পত্তির ওপর ধার্য কর
(ক) ‘আঁসিয়া রেজিম’ বলতে কী বােঝাে?
উত্তর : আঁসিয়া রেজিম-এর অর্থ হল পূর্বতন সমাজ। ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের পূর্ববর্তীকালে ফ্রান্স তথা ইউরােপের অধিকাংশ দেশে যে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল তাকে ‘আঁসিয়া রেজিম’ বা পুরাতনতন্ত্র বা old regime বলা হয়।
(খ) ‘থার্মিডরীয় প্রতিক্রিয়া কী?
উত্তর : ১৭৯৪ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুলাই রােবসপিয়রঅনুগামীদের গিলােটিনে হত্যার ঘটনাকে ‘থার্মিডােরীয় প্রতিক্রিয়া” বলা হয়।
(গ) ফরাসি বিপ্লবের তিনটি আদর্শ কী কী?
উত্তর : ফরাসি বিপ্লবের তিনটি মূল আদর্শ ছিল। এগুলি হল- সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা অর্থাৎ জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্রবাদ এবং ব্যক্তিস্বাধীনতা।
(ঘ) টেনিস কোর্টের শপথ’-এর প্রধান কারণগুলি কী ছিল?
উত্তর : ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের ৫ মে ফ্রান্সে জাতীয় সভার অধিবেশন শুরু হলে জাতীয় সভার ভােটদানের পদ্ধতি নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সঙ্গে তৃতীয় শ্রেণির বিরােধ শুরু হয়। তৃতীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিগণ মাথাপিছু ভােটেরদাবি জানালে রাজা সভার অধিবেশন বন্ধ করে দেন।
তৃতীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিগণ সভাগৃহ বন্ধ দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং মিরাবাে ও আবেসিয়েসের নেতৃত্বে পার্শ্ববর্তী টেনিস খেলার মাঠে এই মর্মে শপথ গ্রহণ করেন যে, যতদিন না ফ্রান্সের জন্য একটি কার্যকরী সংবিধান রচিত হচ্ছে ততদিন তারা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। একেই টেনিস কোর্টের শপথ (২০ জুন ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দ) বলে।
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো : ১ × ৩ = ৩
১.১ উত্তর মেরুতে ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ হলো—
(ক) ৬০°
(খ) ০°
(গ) ৯০°
(ঘ) ৪৫°
উত্তর: (গ) ৯০°
১.২ যে অক্ষরেখায় পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের মান সর্বনিম্ন তা হলো—
(ক) নিরক্ষরেখা
(খ) সুমেরুবৃত্ত রেখা
(গ) কর্কটক্রান্তি রেখা
(ঘ) মকরক্রান্তি রেখা
উত্তর: (ক) নিরক্ষরেখা
১.৩ ঠিক জোড়টি নির্বাচন করো –
(ক) পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সংযোগকারী কাল্পনিক রেখা — নিরক্ষরেখা
(খ) সাবমেরিন চালনা GPS
(গ) পৃথিবীর উপর চাঁদের ছায়া — চন্দ্রগ্রহণ
(ঘ) সৌরজগতের উষ্ণতম গ্যাসীয় গ্রহ – বুধ
উত্তর: (খ) সাবমেরিন চালনা GPS
২.১ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো : ১ × ২ = ৩
২.১.১ সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে _____________ গ্রহের ঘনত্ব সর্বাধিক।
উত্তর: সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে পৃথিবী গ্রহের ঘনত্ব সর্বাধিক।
২.১.২ পৃথিবীর পরিধি প্রথম নির্ণয় করেন গ্রিক পণ্ডিত _____________ ।
উত্তর: পৃথিবীর পরিধি প্রথম নির্ণয় করেন গ্রিক পণ্ডিত এরাটোস্থেনিস।
২.২ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও : ১ × ৩ = ৩
২.২.১ GPS- এর পুরো কথাটি কী ?
উত্তর: ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’ (“Global Positioning System”)
২.২.২ পৃথিবীর মেরু ব্যাস কত কিলোমিটার ?
উত্তর: 12,714 কিমি (মেরু অঞ্চল)
২.২.৩ কোন বহিঃস্থ গ্রহের ব্যাস সর্বাধিক ?
উত্তর: বৃহস্পতি।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ২ × ২ = ৪
৩.১ সৌরজগতের অস্তঃস্থ ও বহিঃস্থ গ্রহগুলির মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো ।
উত্তর:
অন্তঃস্থ গ্রহ
বহিঃস্থ গ্রহ
আকারও ক্ষেত্রমান
অন্তঃস্থ গ্রহ গুলির আকার ও ক্ষেত্রমান ছোট হয় l
বহিঃস্থ গ্রহগুলির আকার ও ক্ষেত্রমান বড়ো।
উষ্ণতা
অন্তঃস্থ গ্রহগুলি সূর্যের কাছাকাছি থাকায় উষ্ণতা বেশি l
বহিঃস্থ গ্রহ গুলি সূর্য থেকে দূরে থাকায় উষ্ণতা কম।
উদাহরণ
অন্তঃস্থ গ্রহগুলি হল- বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল l
বহিঃস্থ গ্রহ গুলি হল- বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন l
৩.২. বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয় । —এর ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো ।
উত্তর: পৃথিবীর সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত হওয়ার পিছনে রয়েছে পৃথিবীর আবর্তন গতি। এই আবর্তন গতি অনুযায়ী পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে। তৎসঙ্গে উত্তর থেকে দক্ষিনে বিস্তৃত কাল্পনিক রেখা গুলি আবর্তন করছে। প্রতিটি দ্রাঘিমা রেখা প্রতিদিন একবার করে সূর্যের সামনে আসে। পৃথিবীর বিভিন্ন দ্রাঘিমা রেখার স্থানীয় সময় বিভিন্ন হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এবং বিভিন্ন স্থানের উপর দিয়ে যেহেতু বিভিন্ন দ্রাঘিমারেখা প্রসারিত হয়েছে সেহেতু সীমারেখার স্থানীয় সময়ও ভিন্ন। তাই বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত হয়।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৩ × ১ = ৩
‘জিয়ড’ – এর ধারণাটি সংক্ষেপে আলোচনা করো ।
উত্তর: পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকের মত হলেও পৃথিবীকে যে একটি আদর্শ অভিগত গোলক বলা যায় না তার কারণ- সমুদ্রতল, পাহাড়, পর্বত এবং মালভূমি ভূপৃষ্ঠকে উঁচু-নিচু ঢেউ খেলানো এবং বন্ধুর রূপ দান করেছে। হিমালয় পর্বতের মাউন্ট এভারেস্ট (উচ্চতা 8,848 মিটার) হলো পৃথিবীর উচ্চতম অংশ, আর প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর সমুদ্রতলে অবস্থিত মারিয়ানা খাত (গভীরতা 11,000 মিটারের বেশি) হল পৃথিবীর নিম্নতম অংশ অর্থাৎ পৃথিবীর বন্ধুরতার প্রসার হলো প্রায় 20 কিলোমিটার। পৃথিবীপৃষ্ঠের উঁচু নিচু জায়গা গুলোর অবস্থান সত্বেও পৃথিবীর আকৃতিটা এবড়ো খেবড়ো গোলকের মতো নয়। আসলে পৃথিবী একটা বিশাল গোলক হওয়ায় তার গায়ে পাহাড়-পর্বত, নদী,সাগর প্রভৃতি থাকা সত্ত্বেও পৃথিবীপৃষ্ঠ বেশ মসৃন।
পৃথিবী থেকে সম্প্রতি যেসব কৃত্রিম উপগ্রহ (Satellite) পাঠানাে হয়েছে তাদের দূর সংবেদনে (Remote sensing) ধরা পড়েছে যে –
1. পৃথিবী পুরোপুরি গোল নয়। পৃথিবীর ওপর-নীচ কিছুটা অংশ আর মাঝ বরাবর কিছুটা ফোলা।
2. পৃথিবী শুধুমাত্র দক্ষিণ মেরুর দিকে চাপা উত্তর মেরু চাপা নয়।
3. দক্ষিণ মেরু 20 মিটার অতি নীচু এবং উত্তর মেরু 20 মিটার অতি উঁচু।
4. দক্ষিণ গোলার্ধের মধ্যে অক্ষাংশ 8 মিটার ফুলে উঠেছে আর উত্তর গোলার্ধের মধ্যে অক্ষাংশ 8 মিটার বসে গিয়েছে ।
5. পৃথিবীর মধ্যভাগ খানিকটা স্ফীত- প্রায় 43 কিলোমিটার।
কমলালেবু বা ন্যাসপাতির সঙ্গে পৃথিবীর আকৃতির কিছুটা মিল থাকলেও আসলে পৃথিবীর আকৃতি কে অন্য কোন আকৃতির সঙ্গে মেলানো যায় না। তাই বলা হয় যে পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি পৃথিবীর মতো যাকে ইংরেজিতে বলা হয় জিয়ড (Geoid= Earth shaped) গ্রিক শব্দ Geoeides থেকে আসা জিয়ড (Geoid) শব্দের অর্থ হলো ‘পৃথিবীর মতো’।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৫ × ১ = ৫
‘সৌর জগতের বিভিন্ন গ্রহগুলির মধ্যে পৃথিবীই একমাত্র জীবজগতের আবাসস্থল।’— বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো ।
উত্তর: সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ গুলির মধ্যে পৃথিবীই একমাত্র জীব জগতের আবাসস্থল। আমরা বিবর্তনের মাধ্যমে পৃথিবীতেই বেড়ে উঠেছি। বাকি গ্রহগুলোতে প্রাণ আছে কিনা তা জানা এখনো সম্ভব না হলেও ধারণা করা হয় ওই গ্রহ গুলিতে প্রাণ নেই জীব জগতের আবাসস্থল রূপে পৃথিবীর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে ।
1. সূর্য থেকে দূরত্ব ও কাম্য উষ্ণতা : সূর্য থেকে পৃথিবী এমন দূরত্বে যে ঠিক ঠিক তাপ পায়। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা 17 ডিগ্রী সেলসিয়াস যা জীবকুল বেঁচে থাকার সহায়ক । সূর্যের কাছের গ্রহ গুলির উষ্ণতা 500 ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে, আবার দূরের গ্রহ গুলোর উষ্ণতা থাকে হিমাঙ্কের 200 ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।
2. আপেক্ষিক গুরুত্ব : পৃথিবীর গড় আপেক্ষিক গুরুত্ব 5.5 গ্রাম, যেখানে সবচেয়ে হালকা গ্রহ শনির মাত্র .75 গ্রাম। অন্যান্য গ্রহের থেকে পৃথিবীর ঘনত্ব বেশি বলেই পৃথিবীতে ভূত্বক গঠিত হয়েছে।
3. বায়ুমণ্ডল : পৃথিবীতে একমাত্র বায়ুমণ্ডল রয়েছে। পৃথিবীর উপরে 10,000 কিলোমিটার পর্যন্ত অংশ বায়ুমণ্ডলের অন্তর্গত। বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, এবং জলীয়বাষ্প, ধূলিকণা আছে বলেই আবহাওয়া ও জলবায়ুর ঘটনাসমূহ (বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, তুষারপাত, বায়ুপ্রবাহ ইত্যাদি) বায়ুমণ্ডলেই ঘটে। ওজোনস্তর ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীকে রক্ষা করছে এই সকল কারণে আমরা পৃথিবীতে বেঁচে আছি।
4. জল : পৃথিবীতে একমাত্র মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান রসদ জল রয়েছে। তাই এটি জলগ্রহ বা নীল গ্রহ। পৃথিবীর 70% অংশ জলে ঢাকা। তাই জল যেমন চক্রে অংশগ্রহণ করে তেমনি মহাসমুদ্র গুলো উষ্ণতাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
5. ভূতক বা শিলামন্ডল : পৃথিবীর উপরে রয়েছে কঠিন আবরণ ভূত্বক, যাতে রয়েছে শিলা, মাটি ও বিভিন্ন খনিজ দ্রব্য। মাটির উপর গাছপালা জন্মায়। খনিজকে আমরা বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করি।
6. বিভিন্ন মন্ডলের আন্তঃসম্পর্ক : শিলামন্ডল, বায়ুমন্ডল ও বারিমন্ডলের মধ্যে গভীর সম্পর্ক আছে বলে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে উদ্ভিদ ও প্রাণী জগৎ নিয়ে জীবমন্ডল। মন্ডলগুলির প্রভাবেই পৃথিবীতে বিবর্তনের মাধ্যমেই সৃষ্টি হয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষ। জীবজগতে বেঁচে থাকার সমস্ত রসদ একমাত্র পৃথিবীতেই রয়েছে।
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে : ১ x ৩ = ৩
১.১ ‘অম্বিকামঙ্গল গান শ্রী কবিকঙ্কণ।’ ‘অম্বিকা’ হলেন –
(ক) দেবী লক্ষ্মী
(খ) দেবী মনসা
(গ) দেবী চণ্ডী
(ঘ) দেবী শীতলা
উত্তর: (গ) দেবী চণ্ডী
১.২ ‘সঘনে চিকুর পড়ে বেঙ্গ – তড়কা বাজ’। এক্ষেত্রে ‘চিকুর’ শব্দের অর্থ –
(ক) চুল
(খ) আকাশ
(গ) বিদ্যুৎ
(ঘ) বৃষ্টি
উত্তর: (গ) বিদ্যুৎ
১.৩ যার নাম স্মরণ করলে বজ্রপাত বন্ধ হয় বলে মানুষের বিশ্বাস, তিনি হলেন –
(ক) ব্যাসদেব
(খ) জৈমিনি
(গ) দেবী চণ্ডী
(ঘ) গজরাজ
উত্তর: (খ) জৈমিনি
২. কমবেশি ২০টি শব্দে উত্তর লেখাে : ১ x ৩ = ৩
২.১ ‘দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার।
– কেন এমন পরিস্থিতি হয়েছিল?
উত্তর: চারিদিকের আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন হওয়ায় সমগ্র কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢাকা পড়ে, ফলে কলিঙ্গবাসী নিজেদের অঙ্গ দেখতে পাচ্ছে না।
২.২ ‘বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়।।
– প্রজারা কোন বিপাকে পড়েছিল ?
উত্তর: মুষলধারায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ভয়ঙ্কর ঝড়ের তাণ্ডবে আসন্ন বিপদের কথা ভেবে প্রজারা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালান।
২.৩ কলিঙ্গদেশে একটানা কতদিন বৃষ্টি চলেছিল?
উত্তর: কলিঙ্গদেশে একটানা সাতদিন ধরে বৃষ্টি চলেছিল।
৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দে উত্তর লেখাে : ৩ x ৩ = ৯
৩.১ ‘চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ।
– ‘চারি মেঘ’ বলতে কী বােঝ? ‘অষ্ট গজরাজ’-এর পৌরাণিক অনুষঙ্গটি কী?
উত্তর: ‘চারি মেঘ’ বলতে চার ধরনের মেঘের কথা বলা হয়েছে। এরা হল সংবর্ত, আবর্ত, পুষ্কর ও দ্রোণ।
পৌরাণিক মতে উক্ত চার রকম মেঘের বাহন হল অষ্ট গজরাজ তথা ঐরাবত, পুণ্ডরীক, বামন, কুমুদ, অজ্ঞান, পুষ্পদন্ত, সার্বভৌম ও সুপ্রতীক। এরা দিকগজ নামে পরিচিত। কবিতা অনুসারে বলা যায় ঐ আটটি হাতি চাররকম মেঘের সাহায্যে কলিঙ্গদেশে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায়। ফলে সমগ্র কলিঙ্গদেশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে।
৩.২ ‘ভাদ্রপদ মাসে যেন পড়ে থাকা তাল’ – কোন্ প্রসঙ্গে উদ্ধৃতিটির অবতারণা করা হয়েছে?
উত্তর: কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত কলিঙ্গদেশে ‘ঝড় বৃষ্টি’ কাব্যাংশে কলিঙ্গদেশে যে ভয়াবহ ঝড় বৃষ্টি হয়েছিল তার বর্ণনা করা হয়েছে। আকাশ কালো করা বিপুল মেঘরাশির বর্ষণে প্লাবন সৃষ্টি হয় কলিঙ্গে। টানা সাতদিনের অবিরাম বর্ষণের সঙ্গে নিরন্তর শিল পড়তে শুরু করে। ভাদ্র মাসে তাল পেকে যেমন গাছ থেকে পড়ে যায় ঠিক তেমনি ভাবে অত্যন্ত বড়ো আকারের শিল ঘরের চাল ভেদ করে মেঝেতে পড়ে প্রজাদের ঘরবাড়ি বিনষ্ট করে দেয়।
৩.৩ ‘চণ্ডীর আদেশ পান বীর হনুমান। – চণ্ডীর আদেশে বীর হনুমান কী করেছিল?
উত্তর: দেবী চণ্ডী বীর হনুমানকে কলিঙ্গদেশকে বিধ্বস্ত করার আদেশ দিয়েছিলেন। দেবী চণ্ডীর মায়ায় কলিঙ্গদেশের ওপর নেমে এসেছিল ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। নিরন্তর সাত দিন বৃষ্টির ফলে কলিঙ্গদেশ জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। তার উপরে দেবীর আদেশে বীর হনুমান কলিঙ্গের ধ্বংস সাধনে মগ্ন হয়েছিল। বীর হনুমান সেদেশের সকল মঠ, মন্দির ভেঙ্গে চুরমার করতে থাকেন। হনুমানের কীর্তিকলাপের জন্য সমস্ত মঠ ও মন্দির খেলনার মতো গুঁড়িয়ে যেতে থাকে।
৪. কম-বেশি ১৫০ শব্দে নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে : ৫
‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশে অনুসরণে প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত জনজীবনের ছবি কীভাবে ফুটে উঠেছে, তা আলােচনা করাে।
উত্তর: কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খণ্ডের অন্তর্গত ‘কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি’ কাব্যাংশে দেখা যায় কলিঙ্গে প্রবল প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসে। কলিঙ্গের আকাশে ঘন মেঘের সমাবেশ ঘটে। দেবীর আদেশে হঠাৎই ঈশান কোণে মেঘ জমা হয়। ঘন ঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। দূরদিগন্তে মেঘের গম্ভীর ধ্বনির সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টিপাত। বিপদের আশঙ্কায় প্রজারা ঘর ছেড়ে দ্রুত পালাতে থাকে। ঝড়ের দাপটে শস্যখেত এবং সবুজ গাছপালা নষ্ট হয়ে যায়। প্রবল বর্ষণে পথঘাট জলমগ্ন হয়। আটটি দিকহস্তি যেন বৃষ্টিধারায় সব ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায়। বিপদ থেকে রক্ষা পেতে ভীত প্রজারা ঋষি জৈমিনি কে স্মরণ করতে থাকে। সাতদিন অবিরাম বর্ষণের ফলে প্লাবিত হওয়ায় কৃষিকাজ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ঘরবাড়ি ও নষ্ট হয়ে যায়। ভাদ্র মাসের তালের মতো বড়ো আকারের শিল ঘরের চাল ভেদ করে পড়তে থাকে। দেবীর আদেশে বীর হনুমান ঝড়ের বেশে তাণ্ডব চালিয়ে মঠ, অট্টালিকা ধ্বংস করে প্রজাদের আরো বিপদগ্রস্ত করে তোলেন। দেবী চণ্ডীর আদেশে সৃষ্ট এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অসহায় ভীত প্রজারা বিপদের আশঙ্কায় অবশেষে কলিঙ্গ ত্যাগ করে চলে যায়।
I remember another funny incident about Bhola Grandpa related by my father. It had been a rainy afternoon. Bhola Grandpa, wild with excitement, told my father and his friends that he had seen a gang of pirates……
Write the correct answers from the given alternatives: 1×3=3
(i) Bhola Grandpa had seen a gang of pirates
a) at the sea shore
b) in the forest
c) at the river bank
d) in his mid-day nap
Ans: d) in his mid-day nap
(ii) After sunset people used to go out of door in groups because of
a) robbers
b) snakes
c) Royal Bengal Tigers
d) pirates
Ans: c) Royal Bengal Tigers
(iii) On seeing the tiger Bhola Grandpa climbed up the
a) neem tree
b) banyan tree
c) mango tree
d) banana tree
Ans: b) banyan tree
Answer the following questions : 2×2 = 4
a) What were the pirates doing when Bhola Grandpa saw them?
Ans: The pirates were burying a large box under one of the sand dunes on the sea shore by their village when Bhola Grandpa saw them.
b) Why did people move in groups, particularly after sundown?
Ans: In those days Royal Bengal Tigers freely roamed the dense forests of the Sundarbans. For that people moved in groups particularly after sundown.
Change the mode of narration of the following sentences : 1×3 = 3
a) Raka said to her sister, “Will you go to the library tomorrow?”
Ans: Raka asked her sister if she would go to the library the next day.
b) Mr. Roy says, “My nephew is very good at sports.”
Ans: Mr. Roy says that his nephew is very good at sports.
c) My grandmother said to me, “May you live long.”
Ans: My grandmother wished me that I might live long.
Write a story (in about 100 words) using the following hints. Add a suitable title to the story. 10
Hints : art competition – participants include three artists – one draws a bunch of flowers, another some fruits, third draws a curtain – bees sit on the flowers – birds come to eat fruits – curtain deceives the judges – third artist wins the prize
Ans:
A competition among Three Artists
Once upon a time, three great artists lived in a city. They were all skilled artists. They held a competition to decide who was the best artist among them. There was a prize declared for the winners. The judge was also appointed for this purpose. The first artist painted a bunch of flowers. Second of them painted a fruit and third artist painted a picture of curtain. During observation, it was found that the flower was so natural that a bee sat on it for honey. Fruit was so natural that an ox tried to eat. The judge praised all these things. Then he went and saw the curtain. It was so bealed that he tried to move it to enter the room. Flower deceived the insect. Fruit deceived the beast but the curtain deceived the Judge. Thus the third artist won the prize.
Moral: Intelligence is required even in art.
1. কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ছবি কীভাবে ধরা পড়েছে ?
2. ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে রাজশ্যালকের ভূমিকা নির্দেশ করো।
উ:- রাজশ্যালককে আমরা নাট্যাংশের প্রথমে দেখেছি। তিনি রক্ষীদের সঙ্গে ধীবর কে বিদ্রুপ করেছেন, ধীবরের পোশাক কে ঘৃণা করেছেন। আবার আমরা দায়িত্বশীল রাজকর্মচারী হিসেবেও তাকে দেখেছি। ধীবর সমর্থনের সুযোগ দিয়েছেন। প্রকৃত বিচার যাতে ধীবর পায় সেই জন্যই তার ব্যবস্থা করেছেন। রাজার নির্দেশে প্রমাণিত ধীবর কে প্রাপ্ত পারিতোষিকের অর্ধেক দান করতে দেখে রাজ শ্যালকের মনে ধিবরের সম্পর্কে গড়ে ওঠা ধারণা থেকে রাজ শ্যালক ধীবর কে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করলো।
3. ইলিয়াসের জীবনে কিভাবে বিপর্যয় ঘনিয়ে এসেছিল?
4. ‘দাম গল্পে সুকুমার কোন উপলব্ধিতে পৌঁছেছে ?
উ:- দাম গল্পের কথক সুকুমারের স্কুলের ছেলেদের কাছ থেকে এক বিভীষিকা ছিলেন তাদের মাস্টারমশাই।তিনি ব্ল্যাকবোর্ডে ঝড়ের মতো যে কোন অংক করে দিতেন। মাষ্টারমশাইর হাতের প্রচন্ড চড় খেয়ে সবার মাথা ঘুরে যেত কিন্তু কাঁদবার কোন উপায় ছিল না। মাস্টারমশায়ের কাছে পুরুষ মানুষ হয়ে অংক না পারা ছিল চূড়ান্ত অপমানের ও লজ্জার। স্কুল জীবন পার হয়েও অংকের হাত থেকে এবং মাস্টারমশায়ের হাত থেকেও মুক্তি পেলে ও সুকুমারের মন থেকে সেই বিভীষিকা মুছতে সময় লেগেছিল। সুকুমারের গল্পের পত্রিকা ছাপা হলো। কর্তৃপক্ষ কোষে 10 টাকা দক্ষিণা ও দিয়ে গেল। হঠাৎ একদিন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত একটি কলেজে বার্ষিক উৎসবে অতিথির নেমন্তন্ন পেলেন। মাস্টারমশায়ের কাছে অটোগ্রাফের খাতা অনেক এগিয়ে এলো। তার বক্তৃতা শুনে বয়স্ক প্রিন্সিপাল পর্যন্ত মুগ্ধ হয়ে গেল।সুকুমার কিন্তু খুশি হতে পারলেন না তিনি বুঝতে পারলেন তাঁর বক্তৃতার ফাঁপা মানুষ এবং মানুষের মতো মাস্টারমহাশয় খুশি হয়েছেন মাস্টারমশাই সুকুমার কে বলেন আমি তো কিছুই দিতে পারিনি তোমাদের। শুধু শাসন আর পিরন ছাড়া।সুকুমার অংক শেখানো সফল না হলেও সুকুমারের সাফল্যে আজ তিনি গর্বিত। সুকুমারকে দেখলে আবছা অন্ধকারে মাস্টারমশাই দুচোখ দিয়ে জল পরছে। তার মনে হলো স্নেহ-মমতা ক্ষমার বিরাট এক সমুদ্রের ধারে তিনি এসে পৌঁছেছেন।
5. নোঙর’ কবিতায় ‘বাণিজ্যতরী বাঁধা পড়ে থাকার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উ:- কবি অজিত দত্ত তার নোঙর কবিতায় আমাদের শুনিয়েছেন এক ব্যর্থ সমুদ্রযাত্রা। যে যাত্রায় বেরিয়ে তিনি ঠোটের কিনারে আটকে গেছেন। রূপকের অন্তরালে মধ্যবিত্তের গন্ডি পথ জীবন থেকে মুক্ত হবার কথা কে ব্যক্ত করেছেন। মধ্যবিত্তের আশা-আকাঙ্ক্ষা রুপি । জোয়ারের ঢেউ গুলি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। ভাটা শোষণে জোয়ারের উদ্দামতা যেমন। প্রাণহীন হয়ে পড়ে ঠিক তেমনই মানুষের জীবনের নানান প্রতিবন্ধকতা ও সাংসারিক চাহিদা মেটাতে গিয়ে সেও হয়ে পড়ে প্রাণীহীন। তবুও মানুষ দাড় টানে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। যদিও তা বিদ্রুপের মতো শোনায়। আসলে একদিনে সুদূরের হাতছানি আর অন্যদিকে গণ্ডিবদ্ধতা এই দুই বৈপরীত্য বাধা মানুষের জীবন। তা কোনদিনও ছিন্ন করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই কবি উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন যা অতি বাস্তব।
6. স্বরভক্তির অপর নামটি কী ?
উ:- স্বরভক্তির অপর নাম- বিপ্রকর্ষ।
7. উপসর্গের ভূমিকা উল্লেখ করাে।
উ:- শব্দ বা ধাতুর আগে বসে নতুন শব্দ গঠন করে।
8. উদাহরণসহ “অপিনিহিতি বিষয়টি বুঝিয়ে দাও।
১) ‘চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ।-অষ্ট গজরাজের পরিচয় দাও।
উত্তর:- অষ্ট গজরাজ শব্দের অর্থ হল আটটি হাতি । ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী এই আট গজরাজ বা হাতি আটটি এর দিকের রক্ষাকর্তা । এদের নাম হলো কুমুদ ,ঐরাবত, পুদ্রিখো , পুষ্পদন্ড , অঞ্জন, বামন, সুপ্রতীক ও সার্বভৌম ।
(২) ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাশে দুই রক্ষীর কথাবার্তায় সমাজের কোন ছবি ফুটে উঠেছে
উত্তর:- ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশ দুই রক্ষী এর কথাবার্তার মধ্য দিয়ে বাস্তব জীবনের বেশ কয়েকটি চিত্র ফুটে উঠেছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো
জোর যার মুলুক তার অর্থাৎ চিরকাল চিরদিন সাধারণ হতদরিদ্র ক্ষমতাহীন মানুষদের ক্ষমতা মানুষরা হয় প্রতিপন্ন শোষণ অত্যাচার করে তার চিত্র ফুটে উঠেছে। একজন সৎ নিরীহ ধীবর কে বাটপার, গাঁটছড়া, ইত্যাদি বলতে এদের দ্বিধা বোধ করেনি । এমনকি রক্ষীদের মুখে শোনা যায় – হয় তোকে শকুন দিয়ে খাওয়ানো হবে না হয় তোকে কুকুর দিয়ে খাওয়ানো হবে । এই মন্তব্য শুনে নিঃশব্দে আমরা বলতে পারি রক্ষীদের চরিত্রের মধ্যে দিয়ে অমানবিক অবিবেচকতার পরিচয় পাওয়া যাই ।
(৩) ‘এটা খুবই জ্ঞানের কথা- কার, কোন কথাকে জ্ঞানের কথা বলা হায়েছে ?
উত্তর:-লিও তলস্তয় এর রচিয়তা ইলিয়াস গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ইলিয়াসের কথাকে জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে । ইলিয়াস বাস্তব জীবনে একটি চরম সত্য উপলব্ধি করতে পেরেছিল । এবং সেটা সকলের সামনে বলেছেন । আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন তার উপাসনা করার জন্য তাই আমাদের উচিত পার্থিব লোভ-লালসা ত্যাগ করে সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করা । এই কথাকে গানের কথা বলা হয়েছে ।
(8.) আমার ছাত্র আমাকে অমর করে দিয়েছে। বক্তা কে কীভাবে তিনি অমরত্ব লাভ করেছেন ?
উত্তর:- বক্তা হলেন নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দাম গল্পের অঙ্কের শিক্ষক মহাশয় ।
এই অংকের স্যার ভাবতে পারতেন না যে তার ছাত্র হয়ে কেউ অংক করতে পারবে না । মেরে বকে শাসন করে হলেও অংক তিনি শেখাতেন । এর ফলে ছাত্রদের কাছে সেই শিক্ষক বিভীষিকাময় ছিল । তার এক ছাত্র সুকুমার পরবর্তীকালেমাষ্টারমশাইর এই বিভেষিকা কথা একটি পত্রিকা তুলে ধরে ছিলেন সেটি পড়ে শিক্ষক মহাশয় উপরোক্ত কথাটি বলেছেন ।
(৫.) নঙ্গর কবিতায় নোঙ্গর কীসের প্রতীক তা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর :- নঙ্গর হল নৌকা বা জলোযন্ত্রকে একই স্থানে স্থির রাখার যন্ত্র । কিন্তু রোমান্টিক কবি এবার তে ব্যবহার করেনি । রোমান্টিক মন সংসার জীবন ছেড়ে অনেক দূর দুরন্ত চলে যেতে চাই । কিন্তু নঙ্গরের মত কবির সংসারে জীবন স্রেহ, ভালোবাসা, মায়া,মমতা,প্রভূতি, কবির মন কে আটকে রাখে তাই কবি সংসার জীবনে স্নেহ-ভালবাসা ইত্যাদিকে নঙ্গর বলেছেন ।
(৬). কন্যা> কইন্যা> কনে এর ক্ষেত্রে ধ্বনি পরিবর্তনের কোন রীতি অনুসৃত হয়েছে।
উত্তর:- এখানে ধ্বনি পরিবর্তনের অভিশ্রুতি রীতি অনুসৃত হয়েছে । অপিনিহিতির ফলে পূর্বে আগত ই করে কিংবা উ করে সন্নিহিত স্বরধ্বনি কে প্রভাবিত করে ধ্বনি পরিবর্তন সাধন করে তখন তাকে তখন তাকে অভিশ্রুতি বলে । কন্যা ( মূল শব্দ), কইন্যা ( আপিবিহিতি),আর কনে ( অভিশ্রুতি)
(৭) বৃদন্ত ও তদ্ধিতান্ত শব্দের উদাহরণ দাও।
উত্তর:- ধাতুর সঙ্গে কৃত প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে শব্দটি গঠিত হয় তাকে বিদন্ত শব্দ বলে । মৌলিক শব্দের সঙ্গে তোদিতো প্রত্যয় যে শব্দ গঠিত হয় তাকে তদ্ধিতান্ত বলে ।
(৮) মৌলিক স্বরধ্বনির সংখ্যা কয়টি ?
উত্তর:- সাতটি – অ,আ,ই,ন, ও,উ, অ্যা ।
1. নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধে লেখক সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল বলেছেন কেন? বর্তমান যুগে ইংরেজি ও বাংলা ভাষা আত্মনির্ভরশীল নয় কেন?
উত্তর :– কোনাে ভাষার সমৃদ্ধি নির্ভর করে উক্ত ভাষার শব্দভাণ্ডারের উৎকর্ষতার ওপরে। যে-ভাষার শব্দভাণ্ডার যত সমৃদ্ধ সেই ভাষা ততই আত্মনির্ভরশীল। কোনাে নতুন চিন্তা, অনুভূতি বা বস্তুর জন্য নতুন শব্দের প্রয়ােজন হলে সংস্কৃত নিজের ভাণ্ডারের কোনাে ধাতু বা শব্দের অদল বদল ঘটিয়ে অথবা পুরােনাে ধাতু দিয়ে নতুন শব্দটি গঠন করে নেয়; অন্য ভাষার শব্দভাণ্ডারের ওপর নির্ভর করে না। সংস্কৃত বিদেশি শব্দ গ্রহণ করলেও তা অতি নগণ্য। এই কারণেই সংস্কৃতকে আত্মনির্ভরশীল ভাষা বলা যায়।
লেখকের মতে, প্রয়ােজনে বা অপ্রয়ােজনেও বাংলা ভাষা নিজের শব্দভাণ্ডারে অনুসন্ধান না করে, ভিন্ন ভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ নিয়েছে এবং নিচ্ছে। পাঠান-মােগল যুগে আইন-আদালত, খাজনা-খারিজ নতুনভাবে দেখা দিলে আমরা প্রচুর আরবি, ফারসি শব্দ গ্রহণ করেছি। পরবর্তীকালে ইংরেজি থেকে, ইংরেজির মাধ্যমে অন্য ভাষা থেকে শব্দ ধার করেছি বা করছি। এই কারণেই বক্তা প্রশ্নের এই মন্তব্যটি করেছেন।
2. এরই মাঝে বাংলার প্রাণ।- বাংলার প্রাণস্পন্দন কবি কীভাবে উপলব্ধি করেছেন?
উত্তর :- কবি জীবনানন্দ দাশ আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় বলেছেন—বাংলার অপরূপ সান্ধ্যকালীন সৌন্দর্য এবং বিচিত্র সৌরভে তিনি খুঁজে পান প্রাণের স্পর্শ। অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আলােয় রাতের আঁধারে ডুবতে থাকা মেঘের কামরাঙা লাল রঙে, বাংলার নীল স্নিগ্ধ সন্ধ্যার মাহময় আবেশে; নরম ধান, কলমির ঘ্রাণ, হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল, চাঁদা-সরপুটির ঘ্রাণে, কিশােরের পায়ে-দলা মুথা ঘাসে, কিংবা পাকা বটফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতায় কবি উপলদ্ধি করেন বাংলার প্রাণের স্পন্দন। এদের মধ্যেই বঙ্গ প্রকৃতি তার রূপ-রস-গন্ধ অবিরত ধারায় ছড়িয়ে দিয়েছেন। এই কারণেই কবি প্রশ্নের এই উক্তিটি করেছেন।
3. “চিঠি’ রচনা অবলম্বনে স্বামী বিবেকানন্দের স্বদেশভাবনার পরিচয় দাও।
উত্তর:- 1897 খ্রিস্টাব্দের 29 জুলাই স্বামী বিবেকানন্দ আলমোড়া থেকে মিস নোবেল কে উদ্দেশ্য করে যে পত্রখানি রচনা করেন তাতে ভারতবাসী এখানকার সামাজিক রাজনৈতিক পরিবেশ এমনকি ভারতের যেসকল ইউরোপিয়ান সেবার এসেছেন তাদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রকাশ করেছেন । পরবর্তী অংশে তা বর্ণিত হলো ।
স্বামীজীর মতে মিস নোবেল একজন প্রকৃত সিংহী তাই ভারতের কাজে তার বিরাট ভবিষ্যৎ আছে । স্বামীজী মিস নোবেল কে বারবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি যেমন মিস মুলার বা অন্য কোনো কারও পক্ষপুটে না থেকে আপন বিচার-বিবেচনা এ কাজ করেন । স্বামীজি বলেন মিস মুলার নিজের ভাবে চমৎকার হলো আত্ম গৌরবে উদ্ধত বৃক্ষ স্বভাবের মহিলা । তাই তার সঙ্গে বনিয়ে চলা সম্ভব নয় ।
এদেশের কাজের ক্ষেত্রে মিস নোবল নানাবিধ সমস্যার সামনে পড়বেন বলে স্বামীজি বলেন । পরাধীন ভারতের অশিক্ষিত অধ শিক্ষিত নয় নারীরা সংস্কারের বশে তাকে সহজভাবে
হয়তাে নেবে না, আবার ভারতীয়দের জন্য কাজ করায় এদেশের ইউরােপিয়ানরা তার কাজকে খামখেয়ালিপনা বলে ভাববে। তা ছাড়া এখানকার জলবায়ু তার পক্ষে অনুপযুক্ত হতে পারে। তবুও যদি তিনি এদেশের জন্য কর্মে প্রবৃত্ত হন, তবে স্বামীজি সর্বতােভাবেই তার পাশে থাকবেন।
স্বামীজি উক্ত চিঠিতে সেভিয়ার দম্পতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন—তাদের সহকর্মী রুপে পেলে মিস নোবল ও সেভিয়ারদের কাজের সুবিধাই হবে। তবে মিস নোবলকে নিজের পায়েই দাঁড়াতে হবে। মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুলের সঙ্গে শরৎকালে যদি মিস নােবল ভারতে আসেন তবে তার পথের একঘেয়েমি দূর হবে বলে স্বামীজি চিঠিতে উল্লেখ করেন।
4. যা গিয়ে ওই উঠানে তাের দাঁড়া- কবি কাদের, কেন এই পরামর্শ দিয়েছেন? কবিতার নামকরণের সঙ্গে উদ্ধৃতিটি কীভাবে সম্পর্কযুক্ত ?
উত্তর:- আলোচ্য কবিতায় আজন্ম পরিচিত জন্মভূমির জল-হাওয়ার স্নিগ্ধতা থেকে নির্বাসিত মানুষের হৃদয়ের ব্যাকুলতা গভীরভাবে প্রকাশিত হয়েছে। পল্লী প্রকৃতির একান্ত আপন সম্পদ হল লাউমাচা, কুন্দফুল, ঘাসের গন্ধ। যার শৈশব অতিবাহিত হয়েছে এই প্রকৃতির তাৎপর্য রূপ-রস-গন্ধে, সে কখনােই ভুলে যেতে পারে তাদের। এই আলাে-বাতাস-মাটির কিনারে গভীর অনুরাগে গড়ে তােলা শান্তির নীড় তাকে সর্বদা হাতছানি দিয়ে আহ্বান জানায়। আপন স্বার্থের তাগিদেই অথবা পারিপার্শ্বিকতার চাপে পড়েই জন্মভূমি তথা সাধের ঘরবাড়ি ছেড়ে সে চলে যায় অনেক দূরে। তবুও ফুল, নদী তথা জন্মভূমির অমলিন স্পর্শ তার মনােভূমিতে চিরকাল উজ্জ্বলভাবে জাগ্রত থাকে। তাই আপন খেয়ালেই সে ফিরে আসার স্বপ্ন রচনা করে। আবার বঙ্গমাতা সন্তানকে আপন কোলে ফিরে পেতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন।
5. অগত্যা রাধারাণী কাদিতে কাদিতে ফিরল।- রাধারাণীর কান্নার কারণ কী ?
উত্তর :- রাধারাণীর মা ঘােরতর পীড়িত, তার পথ্যের ব্যবস্থা নেই, ঘরে আহারের কোনাে সংস্থান হয়নি। এমন অবস্থায় রাধারাণী বনফুলের মালা গেঁথে বিক্রির উদ্দেশ্যে রথের মেলায় যায়, যদি মালা বিক্রির অর্থে মায়ের পথ্যের ব্যবস্থা করা যায় এই ভেবে। কিন্তু রথের টান অর্ধেক হতে-না-হতেই প্রবল বৃষ্টি নামে। ফলে লােকজন মেলা থেকে ফিরে যায়। এই কারণে রাধারাণীর কোনাে মালা বিক্রি হল না। ক্রমে অন্ধকার ঘন হয়ে আসে। রাধারাণীর আশা ব্যর্থ হয়। মায়ের পথ্যের ব্যবস্থা কীভাবে হবে, তা ভেবে না-পেয়ে ব্যাকুল হৃদয়ে কাদতে কাদতে বাড়ি ফিরছিল রাধারাণী।
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ ঈশান হলো -
ক) উত্তর-পূর্ব-কোণ
খ) উত্তর-পশ্চিম কোণ
গ) দক্ষিন-পূর্ব কোণ
(ঘ) পশ্চিম কোণ
উত্তরঃ ক) উত্তর-পূর্ব-কোণ
১.২ 'আজ আমার সংসার চলবে কীভাব?' - প্রশ্নটি করেছে -
ক) সুচক
খ) জানুক
গ) ধীবর
ঘ) রাজশ্যালক
উত্তরঃ গ) ধীবর
১.৩ 'বন্ধুগণ হাসবেন না।' - একথা বলেছে -
ক) ইলিয়াস
খ) শাম - শেমাগি
গ) মহম্মদ
ঘ) মহম্মদ শার জনৈক আত্মীয়
উত্তরঃ ক) ইলিয়াস
১.৪ 'মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে এইটুকুই আমার নগদ লাভ।' - বক্তার লাভ হয়েছিল -
ক) পাঁচ টাকা
খ) দশ টাকা
গ) পনেরো টাকা
ঘ) কুড়ি টাকা
উত্তরঃ খ) দশ টাকা
১.৫ 'নোঙর' কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত -
ক) কুসুমের মাস
খ) শাদা মেঘ কালো পাহাড়
গ) পাতাল কন্যা
ঘ) ছায়ার আলপনা
উত্তরঃ খ) শাদা মেঘ কালো পাহাড়
২. কম - বেশি ১৫টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :
২.১ '...প্রজা চমকিত।' - প্রজা চমকিত কেন?
উত্তরঃ বিধ্বংসী ঝড়বৃষ্টির তান্ডবে কলিঙ্গদেশে সমগ্র প্রকৃতি ধুলোয় ঢেকে যায় এবং শস্যখেতের ফসল নষ্ট হওয়ায় প্রজা চমকিত হয়।
২.২ 'ধীবর-বৃন্তান্ত' নাট্যাংশের ধীবরের বাড়ি কোথায়?
উত্তরঃ "ধীবর-বৃত্তান্ত" নাট্যাংশে উল্লেখিত ধীবরের বাড়ি শক্রাবতারে।
২.৩ 'ইলিয়াস তো ভাগ্যবান পুরুষ' - কারা একথা বলত?
উত্তরঃ ইলিয়াসকে ভাগ্যবান বলতো ইলিয়াসের প্রতিবেশীরা।
২.৪ 'মনে এল মাস্টারমশাইয়ের কথা।' - কখন এমনটি ঘটেছে?
উত্তরঃ কথকের মনে মাস্টার মশাইয়ের কথা এসেছিল যখন একটি পত্রিকার পক্ষ থেকে ছেলেবেলার গল্প লেখার ফরমাশ এসেছিল।
২.৫ '...বিরামহীন এই দাঁড় টানা।' - কবি দাঁড় টানাকে 'বিরামহীন' বলেছেন কেন?
উত্তরঃ কবির দাঁড় টানাকে বিরামহীন বলা হয়েছে কারন কবির এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছেটা কখনোই ফুরিয়ে যায় না।
৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো ঃ
৩.১ 'চন্ডীর আদেশ পান বীর হনুমান।' - চন্ডীর পরিচয় দাও। তিনি হনুমানকে কী আদেশ দিয়েছেন?
উত্তরঃ কলিঙ্গদেশের ঝড়-বৃষ্টি শীর্ষক কাব্যাংশটি শেষ কয়েক ছত্র মা চণ্ডীর আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। মা চন্ডী আদেশে বীর হনুমান কলিঙ্গদেশের সমস্ত দেবালয় এবং বাসগৃহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। মা চন্ডী আদেশে কলিঙ্গের সমস্ত নদ-নদী গুলির ফুলে-ফেঁপে উত্তাল হয়ে ওঠে এবং তাদের প্রবল ঢেউ এর ধাক্কায় সব বাড়ি ঘর ভেঙে যায়। মনে হয় বাড়ি ঘর গুলি যেন ঢেউ এর মাথায় উঠে টলমল করে ভাসছে।
৩.২ 'কীভাবে এই আংটি আমার কাছে এল - তা বললাম।' - বক্তা কে? আংটি প্রসঙ্গে সে কী বলেছে?
উত্তরঃঃ কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত নামক নাট্যাংশে জীবনের আংটি পাওয়ার পেক্ষাপটে এক দীর্ঘ কাহিনী রয়েছে। মহর্ষি কন্বের অনুপস্থিতে আশ্রম কন্যা শকুন্তলাকে বিয়ে করে রাজা দুষ্মন্ত রাজধানীতে ফিরে যান। তারপরে দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও তিনি শকুন্তলার খোঁজ করেন না। একদিন ঋষি দুর্বাসা মুনির কন্বের আশ্রমে এলে স্বামীর চিন্তায় মগ্ন শকুন্তলা তার টের পান না। অপমানিত ঋষি অভিশাপ দেয় যে যার চিন্তা শকুন্তলা মগ্ন হয়ে আছেন তিনি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন। সখি প্রিয়ংবদা অনুরোধে অবশ্য অভিশাপ কিছুটা লঘু করে দুর্বাসা বলেন যে শকুন্তলা যদি প্রিয়জনকে কোন স্মৃতিচিহ্ন দেখাতে পারেন তাহলে অভিশাপ কার্যকর থাকবে না। শকুন্তলার কাছে থাকা দুষ্মন্তের দেওয়া আংটিটাই স্মৃতিচিহ্ন বলে সখীরা ভেবে নেন। মহর্ষি কন্ব তীর্থ থেকে ফিরে শকুন্তলাকে পতিগৃহে পাঠানোর উদ্যোগ নেন। কিন্তু যাওয়ার সময় সুচি তীর্থ স্নান এর পরে অঞ্জলি দিতে গিয়ে হাত থেকে আংটিটা খুলে জলে পড়ে যায়। হলে দুষ্মন্ত শকুন্তলা কেয়ার চিনতে পারেন না। ওদিকে এক ধীবর মাছ ধরতে গিয়ে একটা রুই মাছ ধরে এবং তার পেটে এই আংটি পায়।
৩.৩ মহম্মদ শা কোন্ গল্পের চরিত্র। তাঁর প্রকৃতি কেমন?
উত্তরঃ লিও তলস্তয় লেখা ইলিয়াস নামক গল্পের অন্যতম একটি প্রধান চরিত্র হলো মোহাম্মদ শা।
ইলিয়াস গল্পের ইলিয়াসের একজন প্রতিবেশী ছিলেন মোহাম্মদ শা। তিনি অত্যন্ত দয়ালু এবং ভাল লোক ছিলেন। তিনি ইলিয়াস ও তার স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে থাকতে দিয়েছিলেন।
৩.৪ 'স্বর্গের দরজাতেও ঠিক এই কথাই লেখা রয়েছে' - কোন্ কথা? বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী?
উত্তরঃ অডিট অংশটি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা হার দাম গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
পুরুষ মানুষ হয়ে অংক পারে না এমন কল্পনাও করতে পারেন না মাস্টারমশাই। তিনি বলতেন প্লেটোর দরজায় কি লেখা ছিল জানিস? যে অংক জানেনা এখানে তাঁর প্রবেশ নিষেধ। স্বর্গের দরজাতেও ঠিক ওই কথায় লেখা রয়েছে।
আলোচ্য গল্পের কথকের বিভীষিকা মাস্টারমশাই ছিলেন নচ্ছোড় স্বভাবের। যেকোন উপায়ে তিনি ছাত্র দের অংক শেখাতে চাইতেন। অংকে আশ্চার্য পরিষ্কার ছিল তার মাথা। কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করে না পারা ছাত্রদের জটিল অংক তিনি নিমেষেই করে দিতেন। যারা অংক করত না তাদের বলতেন পুরুষে অংক পারে না। এর পাশাপাশি প্রচন্ড চোখে চোখে জল এনে এরূপ মন্তব্য করতেন।
৩.৫ 'আমার বাণিজ্য-তরী বাঁধা পড়ে আছে'। - কোন্ বাণিজ্য-তরী? সেটি বাঁধা পড়ে আছে কেন?
উত্তরঃ বাণিজ্য ও ব্যবসার সঙ্গে লাভ-লোকসানের বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। জীবিকার জালে আটকে পড়েছে আমাদের জীবন। প্রাচীন ও মধ্যযুগের সওদাগর বানিজ্যতে নিয়ে পাড়ি দিতে দূর দেশে। পণ্যের আমদানি রপ্তানি সঙ্গে সংস্কৃতির আদান-প্রদান চলত। খুবই সাধারণ সওদাগর নন তাই তার চরিত্রে রয়েছে সাহিত্য সম্ভার। সেই স্বপ্ন কল্পনা সাহিত্য ভরা-তরী নিয়ে কবি পাড়ি দিতে চান সাত সমুদ্র পাড়ে। দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে দিতে চান তাঁর সৃষ্টিকে। তাই এখানে বাণিজ্য তৈরীর প্রসঙ্গ এসেছে।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লিজের ভাষায় লেখো (কম-বেশি ১৫০ শব্দ) :
৪.১ 'নিরবধি সাতদিন বৃষ্টি নিরন্তর।' - এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় কলিঙ্গবাসীর জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছিল তা আলোচনা করো।
উত্তরঃ চন্ডীমঙ্গলের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত অভয়ামঙ্গল থেকে নেয়া কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশটি কলিঙ্গদেশে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কলিঙ্গদেশে অবিরাম সাতদিনের বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চলে ঘরের তান্ডব। সমগ্র দেশ জলে প্লাবিত হয় শস্য ক্ষেতের বিপুল ক্ষতি হয়। বৃষ্টিতে প্রজাতির ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রবল বর্ষণের সঙ্গেই অসংখ্য শিল পরতে থাকে। ভাদ্র মাসের তালের মত বড় ছেলের আঘাতে ঘরের চাল ভেঙে যায়। দেবী চণ্ডীর আদেশে পবন পুত্র বীর হনুমান ঝড় উঠবে কলিঙ্গদেশ দূরে ধ্বংসলীলা চালান। তার দাপটে মঠ অট্টালিকা সব ভেঙে খান খান হয়ে যায়। দেবীর আদেশের নদনদী কলিঙ্গদেশের দিকে ধেয়ে আসে। বিরাট বিরাট ঢেউয়ের আঘাতে বাড়িঘর মাটিতে পড়ে যায়। জলে-স্থলে একাকার হয়ে গিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সাপ আশ্রয় হারিয়ে ফেলে ভেসে বেড়ায়। কলিঙ্গদেশের স্থলভূমি জলে পূর্ণ হয়। প্রজারা শঙ্কিত হয়ে পরিত্রান পাওয়ার জন্য ঋষি জৈমিনি স্মরণ করতে থাকে। ঘন কালো মেঘের আড়ালে সূর্য মুখ লুকায়। হলে প্রজাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। সাতদিনের অবিরাম বৃষ্টি তে শংকিত ও বিপদগ্রস্ত কলিঙ্গদেশের প্রজাদের দুর্দশার চরমে ওঠে।
৪.২ 'সেই আংটি মহারাজের কোনো প্রিয়জনের কথা মনে পড়েছে।' - মন্তব্যটির প্রসঙ্গ নির্দেশ করে আংটিটি দেখে মহারাজের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল, তা বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ কালিদাসের ধীবর বৃত্তান্ত নামক রচনায় ভিভোর একটি রুই মাছকে টুকরো করে কাটার সময় সেটির পেটের ভিতর থেকে একটি আংটি পায়। মণিখচিত এবং রাজার নাম খোদাই করা এই আংটি দেখে নগর রক্ষায় নিযুক্ত রাজার শ্যালক এবং রক্ষীরা তাকে চোর সাব্যস্ত করেন। ধীবরের ব্যাখ্যা তারা শুনতে চান না। রাজার শ্যালক রাজাকে সমস্ত ঘটনা জানাতে রাজা প্রাসাদে যায়। কিন্তু দেখা যায় ধীবরের সব কথাই সত্য। এই পর্বে রাজা আংটিকে স্বচক্ষে দেখেন। দুর্বাসা মুনির কথা মত এই স্মৃতিচিহ্ন দেখেই তার শকুন্তলার কথা মনে পড়ে যায়। রাজপ্রাসাদ থেকে ফিরে রাজশ্যালক এসব কথায় রক্ষীদের উদ্দেশ্য বলে।
আংটিটি দেখে স্বভাবত গম্ভীর প্রকৃতির রাজা মুহূর্তের মধ্যে বিহার ভাবে চেয়ে থাকেন। শুধু তাই নয় তার মনে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয় তার ফলে তিনি জীবনকে আংটির মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ পুরস্কার হিসাবে দেন। আংটিটি রাজার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তার রাজার এই আচরণ থেকে সহজেই অনুমান করা যায়। আংটিটি মূল্য নয় তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্মৃতি এক্ষেত্রে রাজাকে অনুভূতিপ্রবণ করে তুলেছিল।
৪.৩ 'ইলিয়াস' গল্প অনুসরণে ইলিয়াস চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস নাম গল্পটির নাম চরিত্রই কাহিনীর প্রধান চরিত্র। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলি কোন উন্মোচনের মাধ্যমে এই কাহিনীটি পরিণতি লাভ করেছে।
পরিচয় : ইলিয়াস ছিল উপদেশের বসবাসকারী বাসকির জনগোষ্ঠীর ভুক্ত এক ব্যক্তি। তার দুই পুত্র এবং এক কন্যা ছিল। স্ত্রীর নাম ছিল শাম শেমাগি। জীবনের প্রাথমিক পর্যায় আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলেও পরবর্তীকালে অক্লান্ত পরিশ্রমে এসে বিত্তশালী হয়ে ওঠে। আবার জীবনের শেষ পর্যায়ে ভাগ্যের বিরম্বনায় সমস্ত সম্পত্তি হারিয়ে ভাড়াটে মজুরের জীবন কাটাতে শুরু করে।
সুব্যবস্থাপক : সু ব্যবস্থাপক ইলিয়াস ব্যবস্থাপনার গুনে এক সামান্য বাসকির থেকে হয়ে ওঠে বিপুল সম্পত্তির অধিকারী।
কঠোর পরিশ্রমী এবং কর্মনিষ্ঠ : 35 বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও কর্মের প্রতি নিষ্ঠা থেকেই ইলিয়াসের 200 ঘোড়া 200 গরু মোষ ভেড়া এবং বহু ভাড়াটে মুজুরের মালিক এ পরিণত হয়। এমনকি শেষ জীবনে সর্বহারা হয়ে ভাড়াটে হুজুরের মত কাজ করার সময় ও কঠোর পরিশ্রম করে মনিবকে তুষ্ঠ রাখত সে।
অতিথি পরায়ণ : প্রতিপত্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইলিয়াসের বাড়িতে দূর-দূরান্ত থেকে অতিথিরা আসতে শুরু করেন। সকলকে স্বাগত জানিয়ে চা শরবত মাংস দিয়ে অতীতের যথাযথ আপ্যায়ন করেন ইলিয়াস। তার অতিথিপরায়নতা এর কথা স্মরণ করেই প্রতিবেশী মহাম্মদ শাহ তাকে সেই জীবনে আশ্রয় দিয়েছিল।
কঠোর অথচ কর্তব্য পরায়ন : ইলিয়াস চারিত্রিক দিক থেকে অত্যন্ত কঠোর ছিল বলেই ছোট পুত্র হত্যার ঝগড়াটে স্ত্রী তার আদেশ অমান্য করায় তাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেছিল। কিন্তু সেই বিতাড়িত পুত্রকেই একটি বাড়ি এবং গৃহপালিত পশু দান করে সে তার কর্তব্য পরায়ন পরিচয় দিয়েছেন।
মহানুভব : জীবনের অন্তিম পর্যায়ে সমস্ত সম্পত্তি ও সঞ্চয় হারিয়ে সর্বহারা হয়েও ইলিয়াস যেভাবে প্রকৃত সত্য উপলব্ধির কথা বলেছে, তা সকলের কাছে দৃষ্টান্ত স্বরূপ ও শিক্ষানিয়।
৪.৪ 'আমার ছাত্র আমাকে অমর করে দিয়েছে।' - বক্তা কে? কেন তাঁর এমনটি মনে হয়েছে?
উত্তরঃ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাম ছোটগল্পে উক্তিটির প্রবক্তা হলেন কতক সুকুমারের স্কুলের অঙ্কের মাস্টার মশাই।
কর্মজীবনে মাসে মাসে ছিলেন তার ছাত্রদের কাছে মূর্তিমান বিভীষিকা। অঙ্কিতার পাণ্ডিত্য ছিল প্রশ্নাতীত। যেকোন জটিল অংক একবার মাত্র দেখে সব সমাধান করে ফেলতে পারতেন। ছাত্ররা অংক না পারলে তিনি ভয়ানক রেগে তাদের প্রহার করতে। একজন ছাত্র তাকে যমের মত ভয় পেতে এবং তার ও অংকের হাত থেকে রেহাই পাবার দিন গুনতো।
তাই এক অংকে দুর্বল ছাত্র সুকুমার পরবর্তীকালে লেখক হয়ে একটি বাল্যস্মৃতি তে মাস্টারমশাই সম্পর্কে এই কথাগুলি লিখেন। সঙ্গে মাস্টারমশাইয়ের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন যে এইভাবে জোর করে ভয় দেখিয়ে মেরে ছাত্র দের কোন বিষয় শেখানো যায় না। সে দিক থেকে বিচার করলে মাস্টারমশাইয়ের শিক্ষা পদ্ধতিতে ভুল ছিল।
ঘটনাক্রমে মাস্টারমশাই সুকুমারের এই লিখাটি পড়ে ছিলেন। খুব আশ্চর্যজনক ভাবে অতো রাগি মানুষ কি একটুও নারীদের ছাত্র দের যাবতীয় সমালোচনাকে উদাহরণে সন্তানের অধিকার বলে গ্রহণ করেছিলেন। এত বছর পরে একজন ছাত্র ও তার কথা মনে করে পত্রিকায় গল্প লিখেছে এটাই সরলমতি মানুষটির কাছে প্রবল আনন্দ ও গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছিল। ছাপার অক্ষরে নিজের নামটি দেখেই তার মনে হয়েছিল যে ছাত্র তাকে অমর করে দিয়েছে। ছাত্রটি সত্যিই তাকে আঘাত করতে পারে এটা তার কল্পনাতেও ছিল না। আসলে মাস্টারমশাই মানুষটি নিজের আদ্যান্ত ছাত্রদরদি এবং সৃজনশীল। ছাত্রদের জোর করে অঙ্কুশ এগুলোর পেছনে তার সেই ছাত্র দের মঙ্গল কামনা এবং স্নেহের ফল্গুধারায় কাজ করতো।
৪.৫ 'নোঙর গিয়েছে পরে তটের কিনারে।' - উদ্ধৃতিটির আলোকে ।নোঙর' কবিতায় কবির আক্ষেপ কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে, তা নির্দেশ করো।
উত্তরঃ কবি অজিত দত্ত রচিত নোঙ্গর কবিতার হলো জীবনের বিভিন্ন বন্ধন এবং স্থিতিশীলতার প্রতীক।
কবি নৌকা নিয়ে যেতে চান সুদূর সাত সাগরের পাড়ে। বন্ধু নয় বাস্তব জীবন থেকে অনেক দূরে কল্পনা লোকে পাড়ি দিতে চান কবি। প্রাচীন ও মধ্যযুগের সওদাগরদের মত কবি ভাসিয়ে দিতে চান তার সৃষ্টি সম্পর্কে পূর্ণ নৌকা। রোজকার কর্মময়, সহস্য বন্ধন বই জীবন থেকে ছুটি নিয়ে কোভিদ কল্পনা প্রবণ মন অজানা অচেনা দেশে পাড়ি দিতে চায়।
কোভিদ আশঙ্কা সাত সমুদ্র পাড়ি দেবার। বাস্তব জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত কর্মময় জীবনের একঘেয়েমি সংসারের মায়া বন্দর অতিক্রম করে কোভিদ নৌকা দিয়ে বেরিয়ে পড়তে চান কোন সব পেয়েছির দেশে সন্ধানে। কিন্তু চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে থেকে যায় বিস্তর ব্যবধান। কোভিদ ভাবুক মন মানতে চায় না। উদার উন্মুক্ত প্রকৃতির ডাকে মন চাইলেও কবি সাড়া দিতে পারেনা। কর্মময় সাংসারিক জীবনের বন্ধন থেকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে। স্রোতের গতি কোভিদ বন্ধনকে বিদ্রূপ করে কিন্তু কবি নিরুপায় অসহায়। সবিতা এই ডাটা না জেনেও তিনি অবিলম্বে টেনে চলেছেন। তাই কোভিদ তীব্র আক্ষেপ -
"তরী ভরা পণ্য নিয়ে পাড়ি দিতে সপ্তসিন্ধু পারে,
নোঙর কখন জানি পড়ে গেছে তটের কিনারে।
সারারাত তবু দাঁড় টানি,
তবু দাঁড় টানি।"
এভাবেই নম্বর কবিতাটিতে কোভিদ আশঙ্কার অপূর্ণতা আক্ষেপের বেদনায় ধূসর হয়ে উঠেছে।
৫. নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর দাও :
৫.১ শ্লোক > শোলোক - এক্ষেত্রে ঘটেছে
(ক) আদিস্বরলোপ
(খ) আদিস্বরগম
(গ) মধ্যস্বরাগম
(ঘ) মধ্যব্যঞ্জনাগম। (ঠিক বিকল্পটি বেছে নিয়ে লেখো)
উত্তরঃ (গ) মধ্যস্বরাগম
৫.২ 'অ্যা' হলো একটি
(ক) সংবৃত স্বরধ্বনি
(খ) বিবৃত স্বরধ্বনি
(গ) অর্ধবিবৃত স্বরধ্বনি
(ঘ) অর্ধসংবৃত স্বরধ্বনি। (ঠিক বিকল্পটি বেছে নিয়ে লেখো)
উত্তরঃ (গ) অর্ধবিবৃত স্বরধ্বনি
৫.৩ বিদেশী উপসর্গযোগে উৎপন্ন একটি শব্দ হলো -
(ক) আমজনতা
(খ) প্রতিদ্বন্ধ্বী
(গ) অনশন
(ঘ) দুর্জয় । (ঠিক বিকল্পটি বেছে নিয়ে লেখো)
উত্তরঃ (ক) আমজনতা
৫.৪ মৌলিক ও সাধিত সাধুর একটি পার্থক্য লেখো
উত্তরঃ মৌলিক ও সাধিত ধাতুর মধ্যে একটি প্রধান পার্থক্য হল - মৌলিক শব্দ বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয় যেমন পিতা, তবে সাধিত শব্দ বিশ্লেষণ করা যায় যেমন পিতা ও মাতা।
৫.৫ ধাত্ববয়ব প্রত্যয়ের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ চল্ (গমন করা) + ই (নীচ) = চালি
৫.৬ অনুসর্গের অন্য দুটি নাম উল্লেখ করো।
উত্তরঃ (১) কর্মপ্রবচনীয়
(২) পরসর্গ
৬. ভাবসম্প্রসারণ করো :
'ধর্মের নামে মহ এসে যারে ধরে
অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।'
উত্তরঃ মানুষের জীবনে কর্মের পাশাপাশি ধর্ম হল একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু যখন ধর্ম মানুষের মধ্যে মোহ সৃষ্টি করে তখন সে অন্ধের মত ধর্মের কুসংস্কার মেনে চলে। যার জন্য নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনে তার প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে।
মানুষের মধ্যে আমাদের সমাজে ধর্ম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ মানুষ সব সময় ধর্ম নিয়ে বেশি সচেতন সে যেই ধর্ম হোক না। কখনো কখনো এই ধর্ম মানুষের মধ্যে এমন ভাবে প্রভাব বিস্তার করে যে সব সময় সব কিছুর মধ্যে ধর্ম খুঁজে। প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মধ্যে ধর্ম নিয়ে নানান সংস্কার বিস্তার হয়ে আছে। মানুষ ধর্মের মধ্যে এমন ভাবে জর্জরিত হয়ে যায় যে সে অন্য কিছু বোঝার চেষ্টা করে না কেবলমাত্র ধর্ম ছাড়া। যার ফলে তার সেই ধর্মের অন্ধকার নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।
ধর্ম সম্পর্কে মানুষকে অন্ধ বিশ্বাসী না হয়ে সচেতন হতে হবে। জাতি ধর্মের মুহতার জীবনসহ অন্য কারো জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন না করে দেয়। তাই ধর্মকে ধর্ম হিসেবে নেওয়া উচিত তাকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া কখনই উচিত নয়। আমাদের ব্যবহারিক জীবনকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক করার জন্য ধর্মকে উপস্থাপন করা হয়েছে এটা কখনোই ভুলে গেলে চলবে না।
(ক) নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : (তিন – চারটি বাক্যে)
(১). চতুর্দশ লুইয়ের আমিই রাষ্ট্র উক্তিটি বুরবো রাজবংশের কোন্ চরিত্রকে প্রকাশ করে ?
উত্তর: বুরবো শাসনাধীনে ফ্রান্সে অতি-কেন্দ্রিভূত স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল। চতুর্দশ লুইয়ের আমিই রাষ্ট্র’ বা যােড়শ লুইয়ের আমার ইচ্ছাই আইন’ এই ধুরনের উদ্ধত আস্ফালন নিঃন্দেহে বুরবো রাজাদের সীমাহীন স্বৈরাচারীতা তথা আত্মম্ভরিতার প্রকাশ। রাজারা দৈবস্বত্ত্বাধিকার তত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলেন এবং তাঁরা বংশানুক্রমিকভাবে শাসন কার্য পরিচালনা করতেন। ১৬১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে পরবর্তী ১৭৫ বছর স্টেটস জেনারেল বা ফরাসি জাতীয় সভার কোনাে অধিবেশন আহ্বান করা করা হয়নি। রাজারা নিজ ইচ্ছানুসারে সীমাহীন স্বৈরতন্ত্রের মাধ্যমে দেশ শাসন করতেন। সেখানে প্রজাদের মতামতের কোনাে মূল্য ছিল না এবং রাজতন্ত্র জনগন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিল।
(২) ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলির জোটবদ্ধতা কিভাবে নেপােলিয়ানের পতনকে তরান্বিত করেছিল ?
উত্তর:- নেপোলিয়নের স্বৈরাচারী নীতি এবং সামাজিক কার্যকলাপ ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলির মনে যে সন্মিলিত ভীতি তথা প্রতিশােধ স্পৃহার জন্ম দেয়, তা শেষ পর্যন্ত নেপােলিয়ানের পতনকে তরান্বিত করেছিল। ১৭৯৯ এবং ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে গঠিত যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শক্তিজোটকে তিনি পরাস্ত করতে সমর্থ হলেও ১৮০৭ সালে স্পেন অভিযানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত দীর্ঘস্থায়ী উপদ্বীপের যুদ্ধে তার বিপুল পরাজয় নেপোলিয়নের অপরাজেয় ভাবমূর্তিতে আঘাত হানে। অন্যদিকে স্পেনের সাফল্য ইউরোপের অন্যান্য দেশকে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে উৎসাহিত করে। ১৮১৩ সালে শুরু হয় ইউরোপের ১৩ টি দেশের ফ্রান্স-বিরােধি জাতিসমূহের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে নেপোলিয়ন পরাজিত হন এবং তার সাম্রাজ্য তাসের ঘরের মতাে ভেঙে পরে।
(খ) ইউরোপের মানচিত্রে নিমােক্ত স্থানগুলি চিহ্নিত করো।
প্যারিস,
স্পেন
পর্তুগাল,
গ্রেট ব্রিটেন,
মস্কো
উত্তর :
(গ) নীচের শব্দগুলি কোনটি পাশের কোন্ বক্সের মধ্যে বসবে?একটি শব্দ একাধিক বক্সের মধ্যে বসতে পারে।
১. সুবিধা ভােগি শ্রেণী
২. কৃষক, শ্রমিক, অভিজাত
৩. যাজক
৪. সুবিধা বঞ্চিত শ্রেণি
৫. জন্মসূত্রে অভিজাত
৬. সাঁকুলোৎ
৭. বুজোয়া
৮. সাবেকি / দরবারি অভিজাত
উত্তর:-
প্রথম সম্প্রদায় – (১) সুবিধা ভোগী শ্রেণি , (৩) যাজক ।
দ্বিতীয় সম্প্রদায় – (৫) জন্মসূত্রে অভিজাত , (৮) সাবেকি / দরবারি অভিজাত ।
তৃতীয় সম্প্রদায় – (২.) কৃষক, শ্রমিক, অভিজাত , (৪). সুবিধা বঞ্চিত শ্রেণি , (৬). সাঁকুলোৎ , (৭). বুজোয়া ।
(ঘ) উপযুক্ত তথ্য সহযোগে নিচের ছকটি পূরণ করো ?
উত্তরঃ
দার্শনিক
রচনা
বক্তব্য
রুশো
১. সামাজিক চুক্তি , ২. অসাম্য এর সূত্রপাত
(১)এই গ্রন্থে রুশো বলেছেন যে, ঈশ্বর নন, একদিন ‘জনগনের ইচ্ছা অনুসারে এক চুক্তির মাধ্যমে রাজা শাসনক্ষমতা পেয়েছেন। তাই রাজা যদি স্বৈরাচারী হন কিংবা জনকল্যান করেন, তবে তাকে পদচ্যুত করার অধিকার জনগনের আছে। এককথায় এই গ্রন্থে গণ-সার্বভৌমত্বের জয়গান ঘােষিত হয়েছে। (২) এই এই গ্রন্থে রুশো বলেছেন যে, মানুষ মাত্রেই স্বাধীন – হয়ে জন্মায়, কিন্তু স্বৈরাচারী সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা তাকে ইকুয়ালিটি শৃঙ্খলিত করে রাখে। রুশো এই স্বৈরাচারী সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার ডাক দিয়েছেন এই গ্রঁন্থে তাঁর Man is born free and every where he is in chains.
মস্তেস্কু
(১) দা স্পিরিট অফ লজ। (২) দ্য পার্শিয়ান লেটার্স
(১) এই গ্রন্থে মন্তেস্কু ঈশ্বর-দত্ত রাজক্ষমতা তত্ত্বের তীব্র সমালােচনা করেছেন এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার্থে রাষ্ট্রের আইন শাসন ও বিচার বিভাগের পৃথকীকরনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। (২) ১৭২১ সালে প্রকাশিত এই গ্রন্থে দার্শনিক মন্তেস্কু ফ্রান্সে পরিভ্রমনরত দুজন পারসিক নাগরিক উজবেক ও রিকার অভিজ্ঞতা ও তাদের চিঠিপত্র মধ্যে দিয়ে ফ্রান্সের প্রচলিত সমাজব্যবস্থা, অভিজাততন্ত্র ও রাজতন্ত্রের বিভিন্ন দুর্বলতা ও ত্রুটির কঠোর সমালােচনা করেছেন। বিপ্লবের জন্য জনগনের মানসিক প্রস্তুতিতে এই গ্রন্থের বড়াে ভূমিকা ছিল।
ভলতেয়ার
(১) কাদীদ। (২) লেতর ফিলোজফিক
(১) এই বহুখ্যাত গ্রন্থে দার্শনিক ভলতেয়ার তীব্র ব্যাঙ্গাত্মক লেখনীর মাধ্যমে তিনি ফরাসি ক্যাথলিক গির্জা ও স্বৈরাচারী রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সমালােচনায় মুখর হয়েছেন। নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রের বদলে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের জয়গান ঘােষিত হয়েছে তাঁর এই গ্রন্থে। (২) এই গ্রন্থে দার্শনিক ভলতেয়ার তার ইংল্যান্ডের প্রবাস | জীবনের অভিজ্ঞতার বর্ণনার পাশাপাশি ফ্রান্সের প্রচলিত স্বৈরাচারী রাষ্ট্র, সমাজব্যবস্থা এবং চার্চের দুর্নীতির চরম সমালােচনা করেছেন এবং বিপ্লবের পক্ষে জনমত তৈরি করে দিয়েছেন। তিনি গির্জাকে বিশেষ অধিকারপ্রাপ্ত উৎপাত বলে সমালােচনা করেছেন।
১. ফরাসি বিপ্লব কীভাবে সামন্ততন্ত্রের বিলােপ ঘটিয়েছিল ?
উত্তর :-
ফরাসি সম্রাট ষোড়শ লুই । ১৭৮৯ খ্রি: স্টেটস জেনারেলের অধিবেশন আহ্বান করে । এই অধিবেশনে সম্রাট তৃতীয় শ্রেণীর প্রতিনিধিদের মাথাপিছু ভোটদানের দাবি না মানলে তারা নিজেদের সভাকে জাতীয় সভা বলে ঘোষণা করে এবং টেনিস কোর্টের শোপথ (২০ জুন ১৭৮৯ ) নিয়ে নতুন সংবিধান রচনার অঙ্গীকার করে এইভাবে জাতীয় সভা সংবিধান সভাই রূপান্তরিত হয় ।
সামন্ততন্ত্রের বিলোপ :- বিপ্লবের যুগে ফরাসি সংবিধান সভা দু বছরের চেষ্টাই একটি সংবিধান রচনা করে । এই সংবিধান রচনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন লাফায়েৎ , মিরাবো , রবসপিয়ার প্রমুখ । 1789 খ্রিস্টাব্দে 4 আগস্ট জাতীয় সভার ফ্রান্সে সামন্তপ্রথার বিলোপ করা হয়েছিল প্রসঙ্গত উল্লেখ সামন্তপ্রথার অবলুপ্তির ফলে ফ্রান্সে ভূমিদাস প্রথা বেগার শ্রম বা করভি প্রথা সামন্তকার ম্যানরকার ধর্মকার বিশেষ অধিকার যথা সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার অন্ত শুল্ক প্রথা লোপ পায় 4 ঠা আগস্টে ঘোষণা কার্যত ফ্রান্সে সামন্ত প্রথার মৃত্যু ঘন্টা বাজায় ফলে অভিজাতদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয় । ও কৃষকদের হাতে হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
২. ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব নামকরণ কতটা যুক্তিযুক্ত ?
উত্তর :- ফ্রান্সে রোবসপিয়ার এর নেতৃত্বে জেকবিন দল 1793 থেকে 1794 খ্রিস্টাব্দে যে শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল তা ইতিহাসের রাজত্ব বা সন্ত্রাসের শাসন নামে পরিচিত ।
নিতিগ্রহন :- জেকোবিন দল বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের জন্য কঠোর দমননীতি অনুসরণ করে ফ্রান্স সন্ত্রাসের শাসন নীতি গ্রহণ করেছিল ।
স্থায়িত্ব :- সন্ত্রাসের শাসন চলেছিল প্রায় 13 মাস 1793 খ্রিস্টাব্দে জুন থেকে 1794 খ্রিস্টাব্দের জুলাই পর্যন্ত । এই সময় ফ্রান্সের 30 থেকে 35 হাজার মানুষকে গিলোটিনে বা অন্যভাবে হত্যা করেছিল ।
নেতা :- সন্ত্রাসের শাসকের প্রধান পরিচালক ছিলেন জেকোবিন নেতা রোবসপিয়ার ।
উদ্দেশ্য :- সন্ত্রাসের শাসনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল – (i) ভিতি প্রদর্শন করে ফ্রান্সের জাতীয় ও সংহতি রক্ষা করা ।
(ii) ফ্রান্সের অভ্যন্তরে কালোবাজারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।
সন্ত্রাসের ভয়াবহতা :- সন্ত্রাসের রাজত্ব কালে প্রায় 30 থেকে 35 হাজার নর-নারীকে গিলোটিন যন্ত্র হত্যা করা হয় সন্দেহের ওহনে প্রায় 3 লক্ষ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয় আরো অনেক মানুষ নিখোঁজ হয়ে যান যাদের অনেকে জলে ডুবিয়ে বা অন্য ভাবে হত্যা করা হয় ।
এই আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারি সন্ত্রাসের রাজত্ব নামকরণ কতটা যুক্তি যুক্ত ।
৩. নীচের প্রতিটি বিষয়/ব্যক্তি সম্পর্কে একটি করে বাক্য লেখ :
(ক) অঁসিয়া রেজিম :
উত্তর :- অঁসিয়া রেজিম কথার অর্থ হল প্রাচীন আমল 1789 খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্সে বুরব রাজাদের অমলকে অঁসিয়া রেজিম বলা হয় । এই সময় রাজনৈতিক অবস্থা ছিল সৌরাচারী সামাজিক অবস্থা ছিল বৈষম্যমূলক ফরাসি বিপ্লব এই পুরাতন তন্ত্রের অবসান ঘটিয়েছিল ।
(খ) লেতর-দ্য-ক্যাশে :
উত্তর :- লেতর-দ্য-ক্যাশে হলো ফ্রান্সের প্রচলিত এক ধরনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এর মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তিকে বিনা বিচারে গ্রেপ্তার করা যেত ।
(গ) সাঁকুলেৎ :
উত্তর :- বিপ্লব পূর্ণ ফ্রান্সে দরিদ্র মানুষেরা সাঁকুলেৎ নামে পরিচিত ছিলেন প্রকৃত অর্থে শহরে খেটে খাওয়া মানুষেরাই যেমন কারিগর,মুচি ,মেথর ,এমনকি গরামি এই সমস্ত মানুষেরাই সাঁকুলেৎ নামে পরিচিত ছিলেন ।
(ঘ) রােবসপিয়র :
উত্তর :- রােবসপিয়র ছিলেন জেকবিণ দলের নেতা এবং সন্ত্রাসের শাসকের প্রধান পরিচালক ।
৪. উপযুক্ত তথ্য সহযােগে নীচের ছকটি পূরণ করো
উত্তর :
যুদ্ধ
বিবাদমান পক্ষ
সময়কাল
ফলাফল
ট্রাফালগারের যুদ্ধ
ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স
১৮০৫
(i)ফ্রান্সের শোচনীয় পরাজয় ঘটে (ii) নেপোলিয়নের ইংল্যান্ড জয়ের স্বপ্ন চিরতরে শেষ হয়ে যায়
লিফজিগের যুদ্ধ
ফ্রান্স (নেপোলিয়ন) ও মিত্র শক্তি (প্রশিয়া,রাশিয়া, সুইডেন, অস্টিয়া)
১৮১৩
(i) এই যুদ্ধে নেপোলিয়ন মিত্রশক্তির কাছে পরাজিত হয় । (ii) এ যুদ্ধে পরাজয়ের পর নেপোলিয়নের সাম্রাজ্যের ভাঙ্গন শুরু হয় । (iii) অস্টিয়া তার হারানো রাজ্য পুনরায় ফিরে পায়
ওয়াটারলুর যুদ্ধ
ফ্রান্স ও ডিউক আব ওয়েলিংটন এর নেতৃত্বে ব্রিটিশ বাহিনী ও জার আলেকজান্ডারের নেতৃত্বে রুশ বাহিনী জোট
১৮১৫
(i) এই যুদ্ধে নেপোলিয়ন চড়ান্তভাবে পরাজিত হয়। (ii) এই যুদ্ধের ফলে প্যারিসের প্রথম ও দ্বিতীয় সন্ধি ও ভিয়েনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । (iii) এই যুদ্ধ নেপোলিয়ন ব্রিটিশ নৌশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে ।
1.
(ক) ইয়ং ইতালি দলের লক্ষ্য কী ছিল ?
উত্তর
ইয়ং ইটালি দলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জোসেফ ম্যাৎসিনি। এই দলের লক্ষ্য ছিল এমন একদল যুবকের সৃষ্টি করা যারা দেশের জন্য সবসময় সর্বস্ব ত্যাগ করতে তৈরি থাকবে। এ ছাড়া শিক্ষা, প্রচার, আত্মত্যাগ ও চরিত্র গঠনের মাধ্যমে ইটালিতে জাতীয়তাবাদের সঞ্চার ঘটবে।
(খ) জোলভারেইন কি ?
উত্তর: ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়া বাদে জার্মানির বেশিরভাগ রাজ্যে রাশিয়ার নেতৃত্বে যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় শুল্ক সংস্থা গঠিত হয়, তাকেই বলা হয় জোলভেরাইন। এর রূপকার ছিলেন জার্মানির অর্থনীতিবিদ ম্যাজেন।
(গ) রিসর্জিমেন্টো বলতে কী বােঝাে?
উত্তর: কার্বোনারি সমিতির হাত ধরে ইতালিতে এক জাতীয়তাবাদী জাগরণ তথা আন্দোলনের জন্ম হয়, যাকে বলা হয় রিসর্জিমেন্টো বা পুনরুত্থান বা নবজাগরণ। এই জাগরণের মধ্যদিয়ে ইটালিবাসী তাদের অতীত ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বীরগাথা সম্পর্কে বিশেষ অবগত হয়।
(ঘ) ঘেটো কি ?
উত্তর: ইউরোপের বিভিন্ন শহরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (যেমন ইহুদিরা) তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে শহরের একটি নির্দিষ্ট ঘেরা জায়গায় এক সঙ্গে বসবাস করত। এই ঘেরা স্থান বা বসতিগুলিকেই বলা হত ঘেটো। উল্লেখ্য ঘেটো কথাটির উদ্ভব হয় ইটালির ভেনিস শহরকে কেন্দ্র করে।
(ঙ) ফ্যাক্টরি প্রথা কি
উত্তর: শিল্প বিপ্লবের আগে শ্রমিকরা নিজ গৃহে বসে ছােটোখাট যন্ত্রপাতি দিয়ে পণ্য উৎপাদন করত। এই শিল্পকে বলা হত কুটির শিল্প। কিন্তু শিল্প বিপ্লবের পর বৃহদায়তন কলকারখানা অল্প সময়ে একসঙ্গে অনেক পণ্য উৎপাদন হতে শুরু করে এই ব্যবস্থাকেই বলা হয় ফ্যাক্টরি প্রথা।
২) ক’ স্তম্ভের সাথে খ’ স্তম্ভ মেলাও।
ক – স্তম্ভ
খ – স্তম্ভ
(i) মেটারনিক ব্যবস্থা
(d) ইউরোপের পুরাতন তন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা
(ii) বিসমার্ক
(c) রক্ত ও লৌহ নীতি
(iii) জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার
(a) ভূমিদাসদের মুক্তি দান
(iv) মার্কস ও এঙ্গেলস
(e) কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো
(v) প্রুডো
(b) নৈরাজ্যবাদী
3.
ক. বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির আবিষ্কারের সঙ্গে ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর: ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল শিল্প প্রযুক্তির বিপ্লব এবং তার সার্থক ব্যবহার । ১. দ্রুতগতিতে লােহা গলাবার জন্য এক বিশেষ ধরনের চুল্লি ব্লাস্ট ফার্নেস আবিষ্কৃত হয় এবং এর ফলে 1770 সালের মধ্যে ইংল্যান্ডের লৌহ যুগের সূচনা হয়। ২. 1733 খ্রিস্টাব্দে থেকে 1785 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ইংল্যান্ডে বিভিন্ন আবিষ্কারের ফলে সুতে কাটা এবং কাপড় বােনার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে । ৩. বৃহৎ শিল্প স্থাপনের জন্য কয়লার উৎপাদ বৃদ্ধির প্রয়ােজনীয়তা দেখা দিলে খনির মধ্যে ও বাষ্প চালিত যন্ত্রপাতির প্রবর্তন শুরু হয়। 1815 খ্রিস্টাব্দেহামফ্রি ডেভির আবিষ্কৃত নিরাপত্তা বাতি ব্যবহারের ফলে খনিতে কাজ করা অপেক্ষাকৃত সহজ ও কম বিপজ্জনক হয়। এর ফলে কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় । ৪. এই সময় পাথরকুচি ও পিচের মাধ্যমে ইংল্যান্ডে উন্নত ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়। এভাবে দেখা যায় যে, শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি ও পণ্যের গুণগত মান উন্নয়নে শিল্প প্রযুক্তির বিশেষ ভূমিকা ছিল।
খ. ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি কেন চীন ও আফ্রিকাকে ব্যবচ্ছেদ করতে চেয়েছিল ?
উত্তর :- শিল্প বিপ্লবের পরে কাঁচামাল সংগ্রহ, বাজার দখল, সাম্রাজ্যবাদী নীতি প্রভৃতি কারণে ইউরোপীয় দেশ গুলির মধ্যে তুমুল ঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। যেসব এলাকায় এই প্রকার প্রতিযোগিতা শুরু হয় তার মধ্যে অন্যতম এলাকা হলাে চীন ও আফ্রিকা। 1870 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইউরোপীয় দেশগুলাের কাছে অজানা ছিল। তাই আফ্রিকা পরিচিত ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ হিসেবে। 1870 এর আগে আফ্রিকায় যে সকল স্থানে বিদেশি উপনিবেশ ছিল সেই সকল স্থান গুলি হল–উত্তমাশা অন্তরীপ, কেপ কলােনি, নাটাল, গিনি ইত্যাদি স্থান। বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ড আফ্রিকা সম্পর্কে খবর সংগ্রহ করতে আন্তর্জাতিক আফ্রিকা সভা গঠন করেন। তিনি কঙ্গো অববাহিকা উপনিবেশ স্থাপন, করলে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের মধ্যে বিরােধ শুরু হয়। একইভাবে চীনের উপরে দখল নিয়ে ইংল্যান্ড, জার্মানি ফ্রান্স ইতালি পর্তুগাল প্রভৃতি দেশগুলির মধ্যে বিরোধ শুরু হয়
১)
(ক) ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা ছিলেন --ষোড়শ লুই।
(খ) 'কাঁদিদ' নামক গ্রন্থটির রচয়িতা ছিলেন-- ভলতেয়ার।
(গ) ফ্রান্সকে 'ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর' বলে মন্তব্য করেছিলেন-- অ্যাডাম স্মিথ।
২.
ক-স্তম্ভ
খ-স্তম্ভ
রোবসপিয়ার
সন্ত্রাসের শাসন
ডিউক অব ওয়েলিংটন
ইংরেজ সেনাপতি
কুটজফ
রুশ সেনাপতি
৩.
(ক) কারা 'ইনটেনডেন্ট' নামে পরিচিত ছিলেন?
Ans. ফ্রান্সে প্রাক-বিপ্লব সময়ে রাজস্ব আদায়কারী কর্মচারীরা 'ইনটেনডেন্ট' নামে পরিচিত ছিল।
(খ) 'লিজিয়ন অব অনার' কি?
Ans. 'লিজিয়ন অব অনার' হলো নেপোলিয়ন প্রবর্তিত এক বিশেষ সম্মান বা উপাধি।
(গ) 'অর্ডারস ইন কাউন্সিল' কী?
Ans. 1806 সালের নভেম্বরে নেপোলিয়ান বার্লিন ডিক্রি মহাদেশ থেকে ব্রিটিশ বানিজ্য বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত সার্বভৌমের জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করে কাউন্সিলে জবাব দেয়।
1807 সালের নভেম্বর এবং ডিসেম্বরের আদেশে ব্রিটিশ বাণিজ্যকে বাদ দিয়ে যেকোনও বন্দরের অবরোধ ঘোষণা করা হয়েছিল। যা 'অর্ডারস ইন কাউন্সিল' নামে পরিচিত ছিল।
৪. কোড নেপোলিয়ন বিষয়ে একটি টিকা লেখো।
Ans. ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ হলো 'কোড নেপোলিয়ন' বা আইনবিধির প্রবর্তন। তার শাসনকালের পূর্বে ফ্রান্সের নানাস্থানে নানা ধরনের বৈষম্যমূলক পরস্পর বিরোধী আইন প্রচলিত ছিল। নেপোলিয়ন সমগ্র ফ্রান্সে একধরনের ব্যবস্থা চালু করে। ফ্রান্সের আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে 4 জন বিশিষ্ট আইনজীবীর পরিষদ গঠন করেন। এই পরিষদের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ চার বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম আইন-বিধি সংকলিত হয়, যা 'কোড নেপোলিয়ন' নামে খ্যাত।
i) একই আইন প্রবর্তন:
কোড নেপোলিয়নের সমগ্র ফ্রান্সে একই ধরনের আইন ব্যবস্থা চালু করেন। ফলে ফরাসির প্রশাসন একটি সুস্থিত রূপ লাভ করে।
ii) বিপ্লবের আদর্শকে রক্ষা:
ফরাসি বিপ্লবের সময় যে সমস্ত ঘোষণা ও আইনগত ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছিল, সেগুলি একটি আইনগ্রন্থে সংকলিত হয়। এইভাবে কোড নেপোলিয়ন এর প্রবর্তন বিপ্লবী আদর্শ রক্ষিত হয়েছিল।
iii) ফরাসি সমাজের বাইবেল হিসেবে স্বীকৃতি:
'কোড নেপোলিয়ন' ফ্রান্সের বুর্জোয়া শ্রেণি অধিকাংশ মানুষকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিল। এইভাবে ফরাসি সমাজের বাইবেল পরিণত হয়।
উপসংহার:-
এইভাবে 'কোড নেপোলিয়ন' -এর মাধ্যমে নেপোলিয়ন ও বিপ্লবের আদর্শগুলিকে বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। এই আইন সংহিতা কেবল ফ্রেন্সই নয়, ফ্রান্সের সীমানা ছাড়িয়ে ও ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছিল। এই আইনের মাধ্যমে সকল মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না হলেও, এ বিষয়ে যে আন্তরিক প্রয়াস লক্ষ্য করা গিয়েছিল তা বিশেষভাবে উল্লেখ এর দাবি রাখে।
ACTIVITY 1 Answer:
STATEMENT
REASON
1.The narrator saw trouble coming up.
1.The conductor noticed the Pekinese dog.
2.The conductor had grievance against the passengers.
2.Passengers came and sat in the bus while he shivered at the door.
3.The woman did not want to go on the top of the bus
3.The weather was bitterly cold and it would kill her.
4.The woman had evidently expected the challenge from the conductor.
4.The woman knew the reply of the conductor’s order.
ACTIVITY 2 Answer:
Change the mode of narration of the following sentences :
i)The little boys said to the stranger,”we will not play with you.”
Ans-The little boys told the stranger that they would not play with him/her.
ii)The old lady boys said to the stranger,”Today I am preparing a clay model for you.”
Ans-The old lady told her daughter that she was preparing a clay model for her (daughter)the day.
ACTIVITY 3 Answer:
Change the voice of the following sentences:
i) They helped us to do the renovation work.
Ans- we were helped to do the renovation work by them.
ii)The traveller knocks the door of the abandoned house.
Ans-The door of the abandoned house is knocked by the traveller.
iii)The culpritconfessed his guilt.
Ans- His (The culprit’s) guilt was confessed by the culprit.
Activity – 1 Answer:
Write the activities of the following birds :
(a) White – headed thrush _______________________.
Ans – White – headed thrush____bursts into an excited cry .
(b) Groups of peahens ____________.
Ans -Groups of peahens___ searching the dewy grass .
(C) A made peahen :-
Ans -A made peahen__ is dancing his burnished tail raised like a fountain in the sunlight.
Activity – 2 Answer:
Write the correct alternative to fill in the blanks :-
(a) He ______(am/will/ is ) arrive here by tomorrow .
Ans – Will .
(b) She ________ (is/has/have) been studying since morning .
Ans – has.
(c) They have ___________ (come/came/comes) from far .
Ans – come.
1.Read the text carefully and answer to he questions that follow :
The children were eager to see the sun. They had been on venus all their lives. They had been only two years old when the sun last come out. They had long since forgotten the colour and the head off how it really was . They played in the eachoing tunnels of the underground City and sang of summer and the sun.
The train stopped.
A. Complete the following sentence with information from the text:
i) the children had been only-two years old when the sun last come out .
ii) when the sun comes out the children-were two years old .
iii) children had forgotten the -colour and heat of the Sun .
2. Fill in the blanks by choosing the correct alternative given in brackets:
When he saw(see/saw / seen)a star shooting(shoot/shoots/shooting) across the sky, he breathed( breathed/ breathing/breathe) a prayer.
3. Write a letter to the manager of a courier a service in about 100 words , enquiring about the delivery of a preacious paracel to your home.
To,
The Manager
Fast Express Courier Services
Karimpur, Branch
Sub-enquiring about the delivery of a preacious paracel
Sir/mam,
I regret to inform you that a precious parcel addressed To me has not reached me. It is an important person and I need it badly .To my anxiety I find it missing.it may have misplaced anyway.
Under the circumstances, I would like to request to your good self to look into the matter sincerely and help me to get it back and deliver it to my home .
looking forward to get a positive reply from your end at the earliest and oblige.
Read the passage and answer the questions that follow:
I remember another funny incident about Bhola Grandpa related by my father. It had been a rainy afternoon. Bhola Grandpa, wild with excitement, told my father and his friends that he had seen a gang of pirates. They were burying a large box under one of the sand dunes on the seashore by our village. At once father and his friends started looking for the hidden treasure. Evening passed on to night. Moonlight came in through the clouds. A pack of jackals were howling. It was past midnight. At this point of time, Bhola Grandpa confessed that there was no real treasure. It was all a dream which he had during his midday nap.
Activity 1
Write the correct answers from the given alternatives in the given space :
(i) The funny incident about Bhola Grandpa was related by the narrator’s father
a) mother
b) aunt
c) father
d) sister
(ii) The afternoon was rainy
a) sunny
b) rainy
c) cold
d) snowy
(iii) The pirates were burying a large box under the sand dune
a) fields
b) valley
c) foothills
d) sand dune
Activity 2
Change the following sentences into Passive Voice:
(i) He saw a tiger.
Ans:- A tiger was seen by him.
(ii) Close the door.
Ans:- Let the door be closed.
(iii) I gave the baby a doll.
Ans:- A doll was given by me for the baby.
Activity 3
Write a paragraph in about 100 words on ‘Online Classes’ using the following points:
introduction – necessity – advantages – disadvantages – conclusion
Nowadays "online class" this word got too much popularity in this pandemic situation. We are suffering due to the Covid-19 situation from 2020. The government is trying to help the students from the rural area to overcome the current educational situation. As we know in this Covid situation, social distancing became a crucial part of our daily life. The education system suffered a lot at the begging but now we are going through the new normal. Teachers and students are using technology to gain different kinds of knowledge from YouTube, Google, and other educational platforms.
There are several advantages of online classes. As we know this pandemic will stay with us for a long period, that's why we always have to be more conscious about our health." Online class" allows us to maintain social distancing along with the multidimensional educational source, media. Students are getting familiar with internet access, google meet, and many other online educational platforms.
Although online classes are playing an important role in this pandemic situation it has some disadvantages also. Regular online classes are harmful to eyes, it causes headache and other health-related problems. Students who belong to rural areas are suffering due to poor internet access, lack of technologies. As we know schools are one of the core parts to build a healthy educational atmosphere for the students especially under class 10. We know the situation is not in our hands but sometimes the physical classes are really important for us. We are moving forward to the new era of the modern education system through online classes.
(১). সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের মধ্যে একমাত্র পৃথিবীর জীবকুলের আবাসস্থল বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
উত্তর :– সৌরজগতের মােট আটটি গ্রহ রয়েছে। এদের মধ্যে সূর্যের থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে পৃথিবীর তৃতীয় স্থানে বয়েছে। সৌরজগতের মাত্র পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায় কারণ এই গ্রহে জীবের বেঁচে থাকার উপযােগী পরিবেশ রয়েছে। কি কি কারনে পৃথিবীতে একমাত্র জীবের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায় তা নিচে আলােচিত হলো।
পৃথিবীর উষ্ণতা :- সূর্য গ্রহ গুলো কে উত্তপ্ত করে । সূর্য থেকে পৃথিবীর এমন এক দূরত্ব রয়েছে যার ফলে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা 15 ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে যা মানুষ তথা সমস্ত জীবকুলের বসবাসের উপযোগী ।
পৃথিবীর গতি :- পৃথিবী সূর্য থেকে প্রায় 15 কোটি কিলােমিটার দূরে অবস্থিত। পৃথিবী নিজের অক্ষের চারপাশে আবর্তন করায় দিনরাত্রি সংঘটিত হয় ফলস্বরূপ জীবকুলএর অস্তিত্ব পৃথিবীতে রয়েছে। যদি পৃথিবী আবর্তন না করত পৃথিবীর একপাশে অধিক উষ্ণতার কারণে এবং অপর পাশে অধিক শীতলতার কারণে জীবের অস্তিত্ব বিপন্ন হত।অন্যদিকে পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির জন্য ঋতু পরিবর্তন হয়। উভয় গতির জন্য মানুষের কাজকর্ম এবং বিভিন্ন প্রকার ফসল চাষের উপযােগী পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
পৃথিবীর অভিকর্ষ বল :- পৃথিবীর অভিকর্ষ বল এমন এক আদর্শ অবস্থায় রয়েছে যার ফলে মানুষ তথা জীবের বেঁচে থাকার উপযােগী হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন প্রভৃতি দেশগুলির ঠিক ঠিক মাত্রায় বায়ুমন্ডলের মধ্যে রয়েছে।
জলের উপস্থিতি :- জীবনধারণের অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান জল । পৃথিবীতে জলের যোগান অক্ষুন্ন রয়েছে জলচক্র এর মাধ্যমে । জল পৃথিবীর জীবের ধারক ।
অক্সিজেন উপস্থিতি :– অক্সিজেন ছাড়া প্রাণী জগৎ এক মুহূর্ত বাঁচতে পারে না । জীবের ব্যাপক জারণ , বিজারণ প্রভূতি কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন একমাত্র পৃথিবীতে পাওয়া যায় ।
(২). চিত্রসহ দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাস বৃদ্ধির সংঘটন বর্ণনা করো।
উত্তর:- পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতি পৃথিবীর আবর্তন গতি কে উপবৃত্তাকার কক্ষপথ, পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি, অক্ষরেখা ৬৬ ১/২ ডিগ্রী কোণে হেলে অবস্থান করায় পৃথিবীর সর্বত্র সব সময় দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান থাকে না। নিন্মলিখিতভাবে পৃথিবীর দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যের হ্রাস বৃদ্ধি হয়ে থাকে।
21 জুন (কর্কট সংক্রান্তি)– উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন :- পৃথিবী সূর্যের চারপাশে পরিক্রমণ করতে করতে 21 জুন তারিখে এমন একটা পর্যায়ে উপস্থিত হয় যখন সূর্য কর্কটক্রান্তি বেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। এই সময় উত্তর গােলার্ধ সূর্যের সবচেয়ে কাছে থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে দূরে । এই সুমেরুবৃত্ত থেকে সুমেরু বিন্দু পর্যন্ত 24 ঘন্টা সূর্যের আলো পেয়ে থাকে অর্থাৎ 24 ঘন্টায় দিন সেই সময় কুমেরু বৃত্ত থেকে কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত 24 ঘণ্টা রাত হয় ।
21 মার্চ ও 23 সেপ্টেম্বর :- বছরে মাত্র এই দুটি দিনে সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় ফলে উত্তর এবং দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্য থেকে সমান দূরত্বে অবস্থান করে এবং ছায়া বৃত্ত সমস্ত অক্ষরেখা কে সমান দুই ভাগে ভাগ করে। ফলে পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয় অর্থাৎ 12 ঘন্টা করে হয়।
বিষব কথার অর্থ সমান ২১ শে মার্চকে মহাবিষুব এবং ২৩ শে সেপ্টেম্বর কে জলবিষুব বলে.
22 ডিসেম্বর: 22 ডিসেম্বর তারিখে সূর্য মকরক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে দক্ষিণ গোলার্ধ এই সময় সূর্যের সবচেয়ে কাছের অবস্থান করে এবং উত্তর গোলার্ধ দূরে অবস্থান করে। কুমেরু বৃত্ত থেকে কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত এই সময় 24 ঘন্টা দিন থাকে এবং সুমেরু বৃত্ত থেকে সুমেরু বিন্দু পর্যন্ত এই সময় 24 ঘন্টা রাত থাকে।
এই দিনটিতে উত্তর গােলার্ধে দিন সবচেয়ে ছােট হয় এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয়।
(৩) প্রচলিত ও অপ্রচলিত শক্তির মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করাে।
উত্তর :-
প্রচলিত শক্তি
অপ্রচলিত শক্তি
বহুদিন ধরে ব্যবহার করা প্রচলিত পদ্ধতিতে উৎপাদন করা শক্তি হলো প্রচলিত শক্তি
প্রকৃতির বিভিন্ন উৎস কে কাজে লাগিয়ে পরিবেশ মিত্র নতুন পদ্ধতিতে উৎপাদিত শক্তি ও অপ্রচলিত শক্তি
কয়লা খনিজ তেল প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেজস্ক্রিয় পদার্থ এছাড়া প্রবাহমান জল থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় ।
সূর্যালোক বায়ু প্রবাহ জোয়ার ভাটা ভূতাপ জৈব বর্জ্য প্রভৃতি অপ্রচলিত শক্তি ।
প্রচলিত পদ্ধতিতে একসঙ্গে প্রচুর বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন সম্ভব তাই বড় বড় কল কারখানায় এই শক্তির ব্যবহার বেশি
এই পদ্ধতিতে এখনো পর্যন্ত উৎস খুব বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়নি তাই ছোট ছোট কারখানায় বাড়িতে রান্নার কাজে এই শক্তি ব্যবহার হয় ।
জল বিদ্যুৎ ছাড়া বাকি উৎস গুলি পরিবেশে ব্যাপক ক্ষতি করে
সম্পূর্ণ পরিবেশ মিত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি ।
(৪). সম্পদ সংরক্ষণের সম্ভাব্য উপায়গুলি লেখাে।
উত্তর :-
(1) সম্পদের অপ্রয়োজনীয় উৎপাদন এবং ব্যবহার কমাতে হবে।
(2) সম্পদের অগ্রাধিকারভিত্তিক ব্যবহার করতে হবে।
(3) বিজ্ঞানসম্মত উপায় এ সম্পদ ব্যবহার করতে হবে এবং অপচয় রোধ করতে হবে।
(4) উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পদের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে হবে।
(5) সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার করতে হবে।
(6) পুনর্ভব সম্পদ এর পরিকল্পনামাফিক ব্যবহার করতে হবে ।
(7) সম্পদের পুনরায় ব্যবহার করে সম্পদ সংরক্ষণ করা যায় ।
(8) সম্পদ সংরক্ষণ করার জন্য সরকারকে কড়া আইন তৈরি করতে হবে ।
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
1. কীভাবে কোরিওলিস বলের প্রভাব বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্র স্রোতেকে প্রভাবিত করে ব্যাখ্যা করো ।
উ: পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে সৃষ্ট জে বলের প্রভাবে সমুদ্র স্রোত প্রভৃতি গতির বিক্ষেপ হয় তাকে কোরিওলিস বল বলে। ১৮৩৫ সালে ফরাসি পদার্থবিদ এবং গনিতজ্ঞ জি জি কোরিওলিস এই ঘতনা প্রথম লক্ষ্য করেন। বায়ু প্রবাহ ও সমুদ্র স্রোতের উপর কোরিওলিস বলের প্রভাব অতন্ত্য সুনির্দিষ্ট।
বায়ু প্রবাহের ওপর প্রভাবঃ পৃথিবীর ওপর প্রবাহিত বায়ু কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেকে প্রবাহিত হয়। নিয়ত বায়ু যেমন আয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু, মেরু বায়ু কোরিওলিস বলের প্রবাহে সারা বছর উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। কোরিওলিস বলের প্রবাহে উত্তর গোলার্ধে ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে চক্রাকারে আবর্তিত হয় ।
সমুদ্র স্রোতের ওপর প্রভাবঃ প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর প্রভৃতি মহাসাগরের সমুদ্র স্রোত গুলি কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয় ।
2. কি কি কাজে GPS ব্যবহৃত হয় ?
উ: কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের কোন স্থানে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করে সেই স্থানের অবস্থান নির্ণয় পদ্ধতিকে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা সংক্ষেপে GPS।
GPS এর ব্যবহার গুলি নিম্নে আলোচিত হল-
কোন দেশ বা অঞ্চলের বনভূমি রক্ষণাবেক্ষণে এবং পরিকল্পনা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত হয়।
ভূমি ব্যবহার সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজে GPS ব্যবহৃত হয়।
সমুদ্র তলদেশের মানচিত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
সমুদ্রে মাছের সহতিক অবস্থান নির্ণয় করতে GPS এর সাহায্য নেওয়া হয়।
নগর পরিকল্পনার কাজে GPS ব্যবহৃত হয়।
বায়ু মণ্ডলে সমীক্ষা করতে GPS ব্যবহৃত হয়।
GPS
3. পৃথিবী নিজের অক্ষের চারিদিকে আবর্তিত না হলে কি ঘটনা ঘটবে ?
উ: পৃথিবী নিজের অক্ষের চারিদিকে আবর্তিত হয় বলে পৃথিবীতে পর্যায়ক্রমে দিন ও রাত্রি সংঘটিত হয়। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা কোথায় খুব কম বা কোথাও খুব বেশি হয় না। পৃথিবী যদি আবর্তিত না হতো তাহলে পৃথিবীর যে দিক সূর্যের সামনে থাকত সেখানে চিরদিন এবং বিপরীত অংশে চিররাত্রি বিরাজ করতো । ফলে সূর্যের সামনের অংশ প্রবল উষ্ণতা এবং বিপরীত দিকে প্রচণ্ড শীতলতা বিরাজ করতো। এইরূপ পরিবেশে কোন জীবের
পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব হতো না |
4. বর্তমানে অচিরাচরিত শক্তি অধিক প্রসার লাভ করছে কেন ?
উ: বর্তমানে চিরাচরিত শক্তির অধিক প্রসার লাভের কারণ-
পূর্ণভব সম্পদ: অচিরাচরিত শক্তি গুলি প্রকৃতিতে অফুরন্ত উৎস থেকে উৎপন্ন করা হয় বলে এগুলি শেষ হয়ে যায় না।
পরিবেশ দূষণ কম: অচিরাচরিত শক্তি উৎপাদন করতে পরিবেশ দূষণ হয় না ।
স্বল্প উৎপাদন ব্যায়: অচিরাচরিত শক্তির উতশ গুলি ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র সহজলভ্য এবং পরিবহনের কোন প্রয়োজন হয় না ফলে উৎপাদন ব্যয় খুব কম ।
স্বল্প বাজারদর: অচিরাচরিত শক্তির উৎপাদন ব্যয় কম বলে এর বাজারদর অনেক কম ।
নিরাপদ ব্যভার: অচিরাচরিত শক্তির ব্যবহার অনেক সহজ এবং নিরাপদ ।
স্বল্প মূলধন: অচিরাচরিত শক্তির স্বল্প স্থানে ব্যবহার করা হয় বলে এই প্রকার শক্তি উৎপাদন প্রচুর মূলধনের
১. চিত্রসহ পৃথিবীর তাপমণ্ডলের বিবরণ দাও।
উত্তর :- পৃথিবী গােলাকার হওয়ায় বিভিন্ন অক্ষাংশ যুক্ত অঞ্চলে সূর্য রশ্মি বিভিন্ন কোনে কিরণ দেয়। কোথাও লম্ব হবে কোথাও তীর্যকভাবে সূর্য রশ্মি ভূপৃষ্ঠের উপর পতিত হয়। ফলস্বরূপ অক্ষাংশের ভিত্তিতে একেকটি উষ্ণতা যুক্ত অঞ্চল পৃথিবীকে
বলের আকারে বেষ্টন করে আছে। এদের তাপবলয় বলা হয়। মােট পাঁচটি তাপবলয় পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে। মূলত এই তাপবলয় গুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
নিরক্ষরেখার উত্তবে কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে নিরক্ষরেখার দক্ষিনে মকর ক্রান্তি রেখা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল উষ্ণ মন্ডল নামে পরিচিত। সারাবছর সূর্যরশ্মি লম্বভাবে বা প্রায় লম্ব হবে পতিত হওয়ায় এবং দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য প্রায় সমান হওয়ায় এখানে উষ্ণমন্ডল গড়ে উঠেছে।
বৈশিষ্ট্য
• সারাবছর এখানে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পতিত হয়।
• সারাবছর দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান থাকে।
• বার্ষিক গড় উষ্ণতা 27 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
• অন্যান্য তাপমন্ডল এর তুলনায় উষ্ণতা এখানে বেশি থাকে।
• বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর কম হয়।
• এই অঞ্চলে ঋতু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না৷
B.নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল – উত্তর গােলার্ধে কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে সুমেরুবৃত্ত পর্যন্ত এবং দক্ষিণ গোলার্ধে মকর ক্রান্তি রেখা থেকে কুমেরু বৃত্ত পর্যন্ত অঞ্চল নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল নামে পরিচিত। উত্তর গোলার্ধে নাতিশীতােষ্ণ মন্ডলকে উত্তর নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে নাতিশীতােষ্ণ মন্ডলকে দক্ষিণ নাতিশীতোষ্ণ মন্ডল বলে। সূর্য রশ্মির পতনকোন মধ্যম প্রকৃতির হওয়ায় নাতিশীতোষ্ণ মন্ডল সৃষ্টি হয়েছে।
বৈশিষ্ট্য-
• সূর্য রশ্মির পতন কোন মধ্যম প্রকৃতির ।
• গড় উষ্ণতা 0 ডিগ্রি থেকে 27 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ।
• নিম্ন অক্ষাংশ থেকে উচ্চ অক্ষাংশের দিকে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে থাকে।
• বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর অধিক হয়।
• উষ্ণতার বিচাবে নাতিশীতােষ্ণ মন্ডলকে উষ্ণ নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল এবং শীতল নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
c.হিমমন্ডল
উত্তর গোলার্ধে সুমেরু বৃত্ত থেকে সুমেরু বিন্দু পর্যন্ত এবং দক্ষিণ গোলার্ধে কুমেরু বৃত্ত থেকে কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত অঞ্চল মন্ডল নামে পরিচিত। উত্তর গোলার্ধে হিমমন্ডলকে উত্তর হিমমন্ডল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে হিমমন্ডল কে দক্ষিণ হিমমন্ডল বলে।
বৈশিষ্ট্য –
• সূর্যরাশি অত্যন্ত তীর্যকভাবে কিরণ দেয়।
• দিনও রাত্রের দৈর্ঘ্যের পার্থক্য অনেক বেশি।
• বার্ষিক গড় উষ্ণতা ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কম হয়।
• অঞ্চলের অধিকাংশ সময় বরফে ঢাকা থাকে।
• মাঝে মাঝে অরোরা দেখা যায়।
২. যুক্তি সহকারে নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলার কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর :- প্রত্যেকটি অক্ষরেখা পূর্ণবৃত্ত। একমাত্র নিরক্ষরেখা ছাড়া সব অক্ষরেখার পরিধি নিরক্ষরেখার তুলনায় কম অর্থাৎ ক্ষুদ্র বৃত্ত। নিরক্ষরেখা পৃথিবীর উপরে অবস্থিত সবচেয়ে বড় বৃত্ত।
৩. ভূজালকের সাহায্যে কীভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনাে স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা হয় ?
উত্তর :- ভুপৃষ্ঠস্থ সমমানের অক্ষাংশের বিশিষ্ট স্থানগুলো যােগ করে পূর্ব-পশ্চিমে অক্ষরেখা অঙ্কন করা সম্ভব হয়েছে। দ্রাঘিমা বিশিষ্ট স্থানগুলো যােগ করে উত্তর-দক্ষিণে দ্রাঘিমারেখা অক্ষন করা হয়েছে। এরা পরস্পরের সঙ্গে লম্বভাবে অবস্থান করে পৃথিবীকে বেষ্টন করে জাল বা গ্রিড অর্থাৎ ভৌগােলিক জালক (Geographical Grid) গঠন করেছে। প্রায় 250 খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিক জ্যোতির্বিদ এরাটোস্থেনিস ও হিপারকাস ভৌগােলিক জালকের সাহায্যে কোনাে স্থানের অবস্থান নির্ণয় সম্পর্কে ধারণা দেন। সাধারণত গ্লোবের উপর অক্ষরেখা ও প্রতিমা রেখার সাহায্যে ভৌগোলিক জালক সৃষ্টি হয় এই জালকের ছেদবিন্দুগুলির সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের যে-কোনাে স্থানের অবস্থান নির্ণয় সুতরাং, কোন স্থানের রখা ও দ্রাঘিমারেখার ছেদবিন্দুই হল সেই স্থানের প্রকৃত অবস্থান। এই পতিতে দুটি উপায়ে অবস্থান নির্ণয় করা যায়
(১.) স্বল্প পরিসর স্থানের ক্ষেত্রে কত ডিগ্রি অক্ষরেখা কত ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখা ওই নির্দিষ্ট স্থানে ছেদ করেছে সেই ছেদবিন্দু বা স্থানাঙ্ক বিন্দুই ওই স্থানের প্রকৃত অবস্থান। যেমন কলকাতা 22°24′ উত্তর অক্ষরেখা ও 88°30 পূর্ব দ্রাঘিমা রেখায় ছেদ বিন্দুতে অবস্থিত।
(২.) কোনাে দেশ বা অঞ্চলের ক্ষেত্রে ওই দেশ বা অঞ্চল উত্তরে বা দক্ষিণে কত ডিগ্রি অক্ষরেখা এবং পূর্বে ও পশ্চিমে কত ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখার মধ্যে অবস্থিত সেটাকেই ওই স্থানের প্রকৃত অবস্থান বলে। যেমন ভারত দক্ষিণে 8°4′ উত্তর অক্ষরেখা থেকে উত্তরে 37°6′ উত্তর অক্ষরেখা পর্যন্ত এবং পশ্চিমে 68°7′ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে 97°25′ পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে অবস্থান করছে।
৪. ১৮০° প্রাঘিমারেখাকে সম্পূর্ণ অনুসরণ করে মানচিত্রে আস্তর্জাতিক তারিখরেখা অঙ্কন করা হয়নি কেন ?
উত্তর :- আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার সর্বত্র 180° দ্রাঘিমা রেখা কে অনুসরণ করেনি। মাঝে মাঝে পূর্বে বা পশ্চিমে বাঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কে না বাঁকালে একই মহাদেশের অন্তর্গত দেশ ও দ্বীপপুঞ্জে দুই ধরনের তারিখ ও সময় সূচিত হত। ফলে ওই সমস্ত অঞলে অধিবাসীদের মধ্যে তারিখ ও সময় নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বাঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই রেখাকে (১) অ্যালুসিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছে 7°, (2) চ্যাথাম, ফিজি, টোঙ্গা প্রভৃতি দ্বীপপুঞ্জের কাছে 11° পূর্বে,(৩) গিলবার্ট ফোনেক্স, লাইন আইল্যান্ডে পূর্বে 35° বাঁকানাে হয়েছে।
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১ সৌরজগতের বহিঃস্থ গ্রহগুলির যে বৈশিষ্ট্যটি থাকেনা সেটি হলো —
ক) এরা আকারে বড়
খ) এদের নির্দিষ্ট কক্ষপথ আছে
গ) এরা কঠিন শিলায় গঠিত
ঘ) এরা সূর্য থেকে অনেক দূরে অবস্থিত
১.২ সূর্যের উত্তরায়নের শেষ সীমা হলো—
ক) মকরক্রান্তি রেখা
খ) কর্কটক্রান্তি রেখা
গ) কুমেরুবৃত্ত রেখা
ঘ) সুমেরুবৃত্ত রেখা
১.৩ মানবিক সম্পদের একটি উদাহরণ হলাে –
ক) সূর্যালোক
খ) প্রাকৃতিক গ্যাস
গ) দক্ষতা
ঘ) ভূতাপ শক্তি
২. বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখো :
২.১ নিরক্ষরেখায় অভিকর্যের মান সর্বাধিক।
উ: ভুল
২.২ কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে আয়ন বায়ু বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়।
উ: ভুল
২.৩ অচিরাচরিত শক্তির একটি উৎস জোয়ারভাটা শক্তি।
উ: ঠিক
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ কোনো একটি নিরপেক্ষ সামগ্রীর সম্পদ হয়ে ওঠার শর্তগুলি উল্লেখ করো।
উ:- পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত যেসব বস্তু বা পদার্থ সম্পদ নয় আবার সম্পদ উৎপাদনে কোন বাধা বা প্রতিরোধ সৃষ্টি করে না সেইসব সামগ্রিক এই নিরপেক্ষ সামগ্রী বলে।
আজ যা নিরপেক্ষ উপাদান তা আগামী দিনে সম্পদে পরিণত হতে পারে কিন্তু তার কিছু শর্ত আছে যেমন -
কার্যকারিতা থাকবে:- কোনো নিরপেক্ষ উপাদানের যদি কার্যকারিতা থাকে এবং তা মানুষের কাজে লাগে তবে সেটি সম্পদে পরিণত হতে পারে যেমন খরস্রোতা নদীর জল আজ একটি নিরপেক্ষ সামগ্রী তবে এই জল কে কাজে লাগিয়ে যদি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তবে সেই জল সম্পদে পরিণত হবে।
উপযোগিতা থাকবে:- কোনো নিরপেক্ষ সামগ্রী যদি হঠাৎ করে মানুষের উপযোগী হয়ে ওঠে তবে সেটি সম্পদে পরিণত হয় যেমন একখণ্ড পতিত জমি কিন্তু একটি নিরপেক্ষ সামগ্রী কিন্তু সেই জমিতে জলসেছ, সার প্রয়োগ এবং কর্ষণের মাধ্যমে যদি কৃষি কাজের উপযোগী করে তোলা যায় তবে সেই জমিটি সম্পদে পরিণত হয়।
অভাব মোচন এর ক্ষমতা থাকবে:- কোনো নিরপেক্ষ উপাদান যদি মানুষের অভাব চাহিদা পূরণ করতে পারে তবে তাকে সম্পদ বলা যাবে যেমন নদীর মাছ নিরপেক্ষ উপাদান কিন্তু সেই মাছ ধরে যদি মানুষ বিক্রি করে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে তবে তা সম্পদে পরিণত হয়।
বিক্রয় যোগ্যতা থাকবে:- নিরপেক্ষ সামগ্রী বিক্রি করে অর্থ উপার্জন তাহলে তা সম্পদে রূপান্তরিত হবে যেমন জমির উদ্বৃত্ত ফসল বিক্রি করে চাষী অর্থোপার্জন করে।
৩.২ আমরা পৃথিবীর আবর্তন বেগ অনুভব করিনা কেন?
উ:- আমরা যদি নিরক্ষরেখায় দাঁড়াই তবে আমরা পৃথিবীর সাথে সাথে ঘণ্টায় প্রায় 17 কিলোমিটার বেগে ঘুরতে থাকবো আবার অথবা কুমেরু বৃত্ত দাঁড়ালে কোনরকম না মরেও 24 ঘন্টা পার করে দেবো তবে ভূপৃষ্ঠে বসবাস করা সত্বেও আমরা আবর্তন বেগ অনুভব করতে পারি না এর কারন হল আমরা পৃথিবীর যেখানে আছি তার পারিপার্শ্বিক গাছপালা জীবজন্তু ঘরবাড়ি যাবতীয় জিনিসপত্র পৃথিবীর সঙ্গে একই গতিতে এবং একই সঙ্গে আবর্তন করছে অর্থাৎ প্রতিটি বস্তুর আপেক্ষিক অবস্থান একই থাকছে বলে আমাদের চোখে তার স্থান পরিবর্তন ঘটে না ফলে আমরা পৃথিবীর আবর্তন অনুভব করিনা।
8. চিত্রসহ নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ভিত্তিতে পৃথিবীর গোলীয় আকৃতির প্রমাণ দাও।
(ক) দিগন্তরেখা
(খ) ধ্রুবতারা
উ:-
(ক) দিগন্তরেখা :
পৃথিবীর আকৃতি কি রকম এই নিয়ে বহু প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের বিরাট কৌতূহল ছিল এবং এ নিয়ে নানান বিজ্ঞানী পন্ডিত গণিতজ্ঞ নানান মতামত দিয়েছেন পরবর্তীতে বেশকিছু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রমাণ এর সাহায্যে পৃথিবীর আকৃতি ধারণা তৈরি হয় যেমন দিগন্ত রেখা থেকে যত উপরে যাওয়া যায় দিগন্তরেখার পরিধি ততই বেড়ে যায় ছবিতে স্তম্ভটির অবস্থান থেকে অবস্থানে গেলে দিগন্তরেখার পরিধি বৃদ্ধি পায় আবার বিমান থেকে দেখলে আরো অনেক বেড়ে যাবে পৃথিবীর গোলাকৃতি জন্যই এমনটা হয় এবং এর দ্বারাই প্রমাণিত হয় যে পৃথিবী গোলাকার।
উঃ-
(খ) ধ্রুবতারা: -
ধ্রুবতারা পৃথিবীর উত্তর মেরু অক্ষ বরাবর দৃশ্যমান তারা ধ্রুবতারা নামে পরিচিত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে থেকে সারা বছরই ধ্রুবতারাকে আকাশের উত্তরে নির্দিষ্ট স্থানে দেখা যায় যখন ম্যাপ কম্পাস কিছুই ছিলনা তখন ধ্রুবতারা কে দেখে মানুষ দিক নির্ণয় করতো তবে মজার ব্যাপার নিরক্ষরেখা থেকে যতই উত্তরে যাওয়া যাবে তারা টিকে ততই প্রতিরাতে উপরের দিকে উঠছে দেখা যাবে এবং উত্তর মেরুতে এর উন্নতি কোণ থাকে 90° । পৃথিবী গোল বলেই এমন হয়। যদি সমতল হতো তাহলে তারা টিকে সব জায়গা থেকে একই অবস্থানে আছে বলে মনে হতো।
১। নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ :
১.১ ডাইন ও নিউট্রনের মধ্যে সম্পর্কটি প্রতিষ্ঠা করো।
উত্তর : 1N = 1kg x 1m/s²
= 10³g x 10²cm/s²
= 10⁵g.cm/s²
= 10⁵ dyne
১.২ এটি নিস্তড়িত পরমাণু K কক্ষে ২টি, L কক্ষে ৮টি ও M কক্ষে ২টি ইলেকট্রন আছে। মৌলটির পরমাণু ক্রমাঙ্ক কত? মৌলের পরমাণু টির M কক্ষে ইলেকট্রন দুটি সরিয়ে নিলে যে আয়ন তৈরি হবে তার সংকেত লেখ।
উত্তর : K = 2, L = 8, M = 2
মৌলটির পরমাণু ক্রমাঙ্ক (2+8+2) = 12
মৌলটির সংকেত হবে Mg-₂
১.৩ একটি মাপনী চোঙ এর সাহায্যে তুমি কিভাবে এক ফোঁটা জলের আপাত আয়তন নির্ণয় করবে।
উত্তর : ধরি, জলে ফেলা হয়েছে = x ফোঁটা
আয়তন = V লিটার
ফোঁটার আয়তন = জলের আয়তন / ফোঁটার সংখ্যা = x/V
১.৪ রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের ত্রুটিগুলি লেখ।
উত্তর : ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রন নিরবিচ্ছিন্নভাবে শক্তি বিকিরণ করলে পরমাণু নিরবিচ্ছিন্ন বর্ণালী উৎপন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু পরমাণু প্রকৃতপক্ষে রেখা বর্ণালী বা বিচ্ছিন্ন বর্ণালি সৃষ্টি করে। এটি রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের প্রধান ত্রুটি।
১.৫ একটি খেলনা গাড়ি 20cm/s বেগে চলছিল। 1 মিটার দূরত্ব যাবার পরে ওই গাড়ির বেগ দাঁড়ালো 50cm/s। গাড়ির ত্বরণ নির্ণয় করো।
উত্তর : U = 20cm/s
V = 50 cm/s
S = 1m = 100cm
সুত্রানুসারে,
v² = U² + 2aS
বা, 50² = 20² + 2a x 100
বা, 2500 = 400 + 2a x 100
বা, 2a x 100 = 2500 – 400
বা, 2a = 2100/100
বা, a = 21/2
বা, a = 10.5cm/s²
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো।
1. সত্য-মিথ্যায় বিচার করো-"আইসোবার গুলোর ভর সংখ্যা সমান হলেও ভর সমান নয়"
উ:- উক্তিটি সত্য।
ব্যাখ্যা: আইসোবার হলো ভিন্ন পারমাণবিক সংখ্যা বিশিষ্ট কিন্তু এখন ভর সংখ্যা বিশিষ্ট ভিন্ন ভিন্ন মৌলের পরমাণু। আইসোবার গুলির প্রোটন নিউট্রন ইলেক্ট্রন সংখ্যা পৃথক হয় তাই আইসোবার গুলির প্রকৃত ভর সমান নয়।
যেমন আর্গন (40 18 Ar) ও ক্যালসিয়াম (40 20 Ca) এই দুটি আইসোবারের ভর সংখ্যা 40 কিন্তু প্রকৃত ভর ভিন্ন কারণ এরা ভিন্ন মৌলের পরমাণু। আর্গন এর ভর প্রায় 6.636 × 10-23 gram এবং ক্যালসিয়ামের 6.655 × 10-23 gram।
2. ওজন বাক্সের বাটখারা গুলি 5:2:2:1 অনুপাতে রাখার কারণ কী?
উ:- সাধারণ তুলা যন্ত্রের ওজন বাক্সের বাটখারা গুলির ভর 5:2:2:1 অনুপাতে রাখা হয় যাতে 10 মিলিগ্রাম থেকে 211.10 গ্রাম পর্যন্ত যে কোন মানের ভর এদের সাহায্যে মাপা সম্ভব হয়।এবং এটি করার জন্য সবচেয়ে কম সংখ্যক বাটখারা ব্যাবহার করা যায়। আলাদা আলাদা মানের অনেক বাটখারা লাগে না। যেমনঃ বাক্সে ১ টি ১০ মিলিগ্রাম , ২ টি ২০ মিলিগ্রাম ও ১ টি ৫০ মিলিগ্রাম বাটখারা থাকে । এগুলি দিয়ে ১০ মিলিগ্রাম থেকে ১০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পরিমাপ করা সম্ভব । আবার বাক্সে ১ টি ১ গ্রাম , ২ টি ২ গ্রাম ও ১ টি ৫ গ্রামের বাটখারা দিয়ে ১ গ্রাম থেকে ১০ গ্রাম পর্যন্ত পরিমাপ করা যায় ।এর বেশি মানের বাটখারা গুলিও এইভাবেই থাকে । এই ভাবে সব বাটখারা একসাথে ২১১.১০ গ্রাম পর্যন্ত পরিমাপে সাহায্য করে ।
3. বায়ুশূন্য স্থানে এরোপ্লেন উঠতে পারে না কেন ?
উ:- প্রধানত দুটি কারণে বায়ুশূন্য স্থানে এরোপ্লেন উড়তে পারে না। যথা:
প্রথমত : এরোপ্লেন কে এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে এরোপ প্লেনের ডানার উপরিভাগের তুলনায় নিম্নভাগের বায়ুর বেগ কম হয়। ফলে বার্নোলির নীতি মেনে ডানার নিচে ভাগের বায়ুর চাপ বেশি হয় এবং এরোপ্লেন লিফট বা ঊর্ধ্বমুখী উত্তোলনকারী বল পায়। বায়ুশূন্য স্থানে এটি ঘটার সম্ভাবনা না থাকায় এরোপ্লেন উড়তে পারেনা।
দ্বিতীয়তঃ এরোপ্লেন আকাশে ওড়ার সময় বায়ুমণ্ডল থেকে সতেজ বায়ু শোষণ করে যা জ্বালানির দহনে সাহায্য করে এবং ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশ থেকে এমনভাবে নির্গত হয় যাতে একটি ধাক্কা বল সৃষ্টি হয়।বায়ুশূন্য স্থানে বিশুদ্ধ বায়ু না পাওয়ায় ধাক্কা বল (thrust) সৃষ্টি হবে না ফলে এরো প্লেন উড়তে পারবে না।
৪.রাদারফোর্ডের পরীক্ষা থেকে কিভাবে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে পরমাণুর অধিকাংশ স্থানই ফাঁকা?
উ:- বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড সোনার পাতের উপর উচ্চগতিসম্পন্ন α-কণা নিক্ষেপ করেছিলেন। তিনি পর্যবেক্ষণ করেন খুব কমসংখ্যক আলফা কণা (20000 এর মাত্র ১টি) সোজা বিপরীত দিকে ফিরে আসে।
যেহেতু, বেশিরভাগ α-কণাই সোনার পাত ভেদ করে চলে যায় এবং খুবই কমসংখ্যক α-কণা বিপরীত দিকে ফিরে আসে তাই, তিনি সিধান্ত নেন যে , পরমাণুর কেন্দ্রে ক্ষুদ্রতম অংশে পরমাণুর সমস্ত ধনাত্মক আধান ও ভর অবস্থান করে এবং পরমাণুর অধিকাংশ স্থানই ফাঁকা থাকে।
১। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :
১.১ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অ্যাভোগাড্রো সংখ্যার গুরুত্ব আলোচনা করো।
উত্তর : প্রথমত, নির্দিষ্ট পরিমাণ কোন পদার্থে কত সংখ্যক অনু-পরমানু বা আয়ন আছে তা সহজেই জানা যায়।
দ্বিতীয়ত, গ্যাস আয়তন মূল প্রমাণ করা যায়।
তৃতীয়ত, কোন পদার্থের অণু-পরমাণুর ভর প্রকাশ করা যায়।
চতুর্থত, গ্যাসীয় যৌগের আণবিক সংকেত নির্ণয় করা যায়।
১.২ STP – তে গ্যাসীয়, এমন একটি যৌগের 3.011×1022 সংখ্যক অনুর ভর 3.2g হলে যৌগটির গ্রাম আণবিক গুরুত্ব নির্ণয় করো। STP – তে 3.2g গ্যাসীয় যৌগটির আয়তন কত লিটার?
উত্তর : 3.011 x 10²² সংখ্যক অনুর ভর = 3.2 gm
1 সংখ্যক অনুর ভর = 3.2 / 3.011 x 10²²
6.022 x 10²³ সংখ্যক অনুর ভর = 3.2 x 6.022 x 10²³ / 3.011 x 10²²
= 64 gm
∴ STP – তে 64 gm গ্যাসীয় যৌগের আয়তন = 22.4 L
STP – তে 1 গ্যাসীয় যৌগের আয়তন = 22.4 / 64 L
STP – তে 3.2 গ্যাসীয় যৌগের আয়তন = 22.4 x 3.2 / 64
= 1.22 L
১.৩ কোন ব্যক্তি হাতে একটি সুটকেস ভূমির সঙ্গে লম্বভাবে ঝুলিয়ে অনুভূমিক বরাবর হেঁটে গেলে অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে কৃতকার্যের মান কত হবে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : এক ব্যক্তি সুটকেস হাতে অনুভূমিক পথে হেটে যাচ্ছে। সুটকেস এর ওজন উলম্বভাবে নিচের দিকে ক্রিয়াশীল এবং ব্যক্তির সরণ ওজনের সমকোণে তাই অভিকর্ষ কোন কর্ম করে না। যেহেতু বাক্সেল ওপর কার্যকর ও অভিকর্ষ বল এবং বাক্সের সরণ পরস্পর লম্ব তাই কৃতকার্যের পরিমাণ শূন্য তাই ওই ব্যক্তি কোন কার্য করছে না।
১.৪ একটি 100g ভরের বস্তুর 500m উচ্চতা থেকে বাধাহীনভাবে পড়তে শুরু করার 3s পরে তার গতি শক্তি কত হবে নির্ণয় করো।
উত্তর : আমরা জানি যে ,
গতিবেগ = 1/2 mV²
m = 100g = 1/10 Kg
V = U + gt
= 0 + 9.8 x 3
= 29.4 m/c
∴ সূত্রানুসারে, 1/2 x mV²
= 1/2 x 1/10 x 29.4 x 29.4
= 43.218 jule
১ ) মাইটোকনড্রিয়ার একটি পরিচ্ছন্ন চিত্র অঙ্কন করো এবং নিম্নলিখিত অংশগুলি চিহ্নিত করো।
২ ) নিম্নলিখিত শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্যর ভিত্তিতে মোনেরা ও প্লান্টি রাজ্যের পার্থক্য লেখ – ক ) কোশ ও কোষীয় সংগঠনের প্রকৃতি খ ) বাস্তু তন্ত্রের ভূমিকা। হাঙর যে শ্রেণীর অন্তর্গত সেই শ্রেণির তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তর – ক ) কোশ ও কোষীয় সংগঠনের প্রকৃতি –
বৈশিষ্ট্য
মোনেরা
প্লান্টি
i ) কোশ
এরা এককোশী
এরা বহুকোশী
ii ) ক্লোরোপ্লাস্ট
অনুপস্থিত
উপস্থিত
iii ) মাইটোকনড্রিয়া
অনুপস্থিত
অনুপস্থিত
iv ) নিউক্লিয়াস
অসংগঠিত
উন্নত
খ ) বাস্তু তন্ত্রের ভূমিকা –
বৈশিষ্ট্য – মোনেরা – বাস্তুতন্ত্রে বিযোজকের ভূমিকা পালন করে।
বৈশিষ্ট্য – প্লান্টি – স্বভোজী পুষ্টি সম্পূর্ণ কারি এবং উৎপাদক এর ভূমিকা পালন করে।
হাঙর মাছের তিনটি বৈশিষ্ট্য
i ) হাঙর তরুণাস্থি বিশিষ্ট মাছ।
ii ) দেহ আণুবীক্ষণিক প্লাকয়েড আশ দ্বারা আবৃত।
iii ) অন্তঃকঙ্কাল তরুণাস্থি বিশিষ্ট।
৩ ) সিউডোসিলোমযুক্ত একটি প্রাণীর নাম লেখ এবং ঐ প্রাণীটি যে পর্বের অন্তর্গত তার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ। আরশোলার আর্থোপোডা পর্বের অন্তর্ভুক্তির সপক্ষে দুটি যুক্তি দাও।
উত্তর – সিউডোসিলোমযুক্ত একটি প্রাণীর নাম হলো – গোলকৃমি।
এই প্রাণীগুলি যে পর্বের অন্তর্গত তা হলো – নিমাটোডা।
নিমাটোডার বৈশিষ্ট্য –
i ) দেহ অখন্ডিত নলাকার।
ii ) দেহে সিউডোসিলোম অবস্থিত।
iii ) পৌষ্টিক নালী সরল ও সম্পূর্ণ।
iv ) রক্ত সংবহনতন্ত্র অনুপস্থিত।
আরশোলার আর্থোপোডা পর্বের অন্তর্ভুক্তির সপক্ষে দুটি যুক্তি –
i ) দেহ কাইটিন নির্মিত।
ii ) দেহ বহিঃকঙ্কাল দ্বারা আবৃত।
৪ ) মানবদেহে ভিটামিন A এবং ভিটামিন D এর ভূমিকা উল্লেখ করো। ভাজক কলার বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর – ভিটামিন A এর ভূমিকা –
i ) রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
ii ) রেটিনার রড কোষ গঠনে সাহায্য করে।
iii ) ত্বকের স্বাভাবিকতা বজায় রাখে।
ভিটামিন D এর ভূমিকা –
i ) অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে।
ii ) অস্থি ও দন্ত গঠনে সাহায্য করে।
iii ) অস্থি ও রক্তে ক্যালসিয়ামের সমতা বজায় রাখে।
ভাজক কলার বৈশিষ্ট্য –
i ) ভাজক কলার কোষপ্রাচীর খুব পাতলা।
ii ) ভাজক কলার কোষগুলি গোলাকার ও ডিম্বাকার।
iii ) ভাজক কলার কোষগুলি আকারে ছোট।
১. সালােকসংশ্লেষে জলের ভূমিকা উল্লেখ করো। পরিবেশে 02 – CO2 এর ভারসাম্য রক্ষায় সালােকসংশ্লেষের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: সালোকসংশ্লেষে জলের ভূমিকা:
(i) জল সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় একটি অন্যতম কাঁচামাল।
(ii) সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার সময় জল বিশ্লিষ্ট হয়ে H+ এবং OH- আয়ন উৎপন্ন করে।OH- আয়ন এর ইলেকট্রন ক্লোরোফিল অনুকে প্রদান করে।
(iii) সালোকসংশ্লেষের অন্ধকার দশা কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে বিজারিত করার জন্য প্রয়োজনীয় হাইড্রোজেন জল বিশ্লিষ্ট হয়েই উৎপন্ন হয়।
(iv) সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় উপজাত পদার্থ রূপে যে অক্সিজেন উৎপন্ন হয় তার উৎস হল জল।
পরিবেশে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের ভারসাম্য রক্ষা: বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ 20.60 % এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের 0.03 % । জীবকুল শ্বসনের জন্য অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিত্যাগ করে ; ফলে বায়ুমন্ডলের অক্সিজেনের পরিমাণ কমে এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ে।সালোকসংশ্লেষের সময় সবুজ উদ্ভিদ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ এবং অক্সিজেন বর্জন করে ফলে পরিবেশে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের ভারসাম্য বজায় থাকে।
২. তাপমাত্রা কীভাবে বাষ্পমােচনকে প্রভাবিত করে? বাষ্পমােচনকে প্রয়ােজনীয় ক্ষতিকারক প্রক্রিয়া বলা হয় কেন?
উত্তর: বাষ্পমোচন এর উপর উষ্ণতার প্রভাব: পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বায়ুমন্ডলের আর্দ্রতা কমে যায়, ফলে বাষ্পমোচন এর হার বৃদ্ধি পায়। সাধারণত 10 থেকে 25 ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় পত্ররন্ধ্র বন্ধ ও খোলার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হয়। গ্রীষ্মকালে বাষ্পমোচন এর হার বেশি থাকে।
বাষ্পমোচন কে প্রয়োজনীয় ক্ষতিকারক প্রক্রিয়া বলার কারণ:
বাষ্পমোচন উদ্ভিদের একটি অতিপ্রয়োজনীয় শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া।এই প্রক্রিয়ার সাহায্যে উদ্ভিদ দেহে জল শোষণ, রসের উৎস্রোত, পুষ্টি সরবরাহ ,তাপমাত্রার সাম্যবস্থা, অতিরিক্ত জল ত্যাগের মাধ্যমে জলের সাম্যবস্থা প্রভৃতি প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়।আবার বায়ুমন্ডলের আর্দ্রতা কম থাকলে এবং তাপমাত্রা বেশি থাকলে বাষ্পমোচন এর হার বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্ভিদ দেহ থেকে প্রয়োজনীয় জল বেরিয়ে যায়। ফলে দেহের বিভিন্ন বিপাকক্রিয়া ব্যাহত হয়, এমনকি এই অবস্থার দীর্ঘদিন চলতে থাকলে উদ্ভিদের মৃত্যু হতে পারে।সুতরাং বাষ্পমোচন প্রক্রিয়া একদিকে যেমন উদ্ভিদের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া কে নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনি অন্যদিকে অতিরিক্ত বাষ্পমোচন এর ফলে উদ্ভিদের মৃত্যু হতে পারে।তাই বিজ্ঞানিক কার্তিক বাষ্পমোচন কে উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় ক্ষতি বলে অভিহিত করেছিলেন।
৩. কোনাে মৌলের ম্যাক্রো বা মাইক্লো-নিউট্রিয়েন্ট শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্তির দুটি কারণ উল্লেখ করাে। উদ্ভিদদেহে অপরিহার্য মৌলের যেকোনাে তিনটি সাধারণ কাজ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: কোন মৌলের ম্যাক্রো বা মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দুটি কারণ হলো:
(i) ওই মৌল উপাদান গুলি উদ্ভিদের পুষ্টি খুব কম পরিমানে প্রয়োজন হয়।
(ii) ওই মৌল উপাদানগুলির অভাবজনিত লক্ষণ গুলি উদ্ভিদ দেহে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় না।
উদ্ভিদ দেহে অপরিহার্য খনিজ পদার্থের তিনটি সাধারণ কাজ:
(i) প্রোটোপ্লাজম গঠন: বিজ্ঞানী হাক্সলে প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি রুপে বর্ণনা করেছেন। বিভিন্ন মৌল প্রোটোপ্লাজম গঠনে অংশ নেয় যেমন: কার্বন ,হাইড্রোজেন অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, সালফার, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম লৌহ ইত্যাদি।
(ii) ক্লোরোফিল সংশ্লেষ: ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড অণুর কেন্দ্রীয় ধাতু হিসেবে থেকে ক্লোরোফিল সংশ্লেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও দস্তা, লৌহ ইত্যাদি মৌল গুলিও ক্লোরোফিল সংশ্লেষ অংশ নেয়।
(iii) বাফার ক্রিয়া অংশগ্রহণ: মাটি থেকে শোষিত অধিকাংশ খনিজ লবণই অম্লতার পরিবর্তন ঘটায় ।কার্বন ও ফসফেট যৌগগুলির বাফার রূপে কাজ করে অর্থাৎ প্রোটোপ্লাজম এর pH এর পরিবর্তনে বাধা দেয়।
৪. সক্রিয় পরিবহনের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে। ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর দুটি পার্থক্য উল্লেখ করাে।
উত্তর: সক্রিয় পরিবহন এর বৈশিষ্ট্য:
(i) এই প্রকার পরিবহনের লবণের আয়নগুলি কম ঘনত্ব যুক্ত স্থান থেকে অধিক ঘনত্বের স্থানে প্রবাহিত হয়।
(ii) ATP অনু বিশ্লিষ্ট হয়ে যে শক্তি নির্গত হয় তা সক্রিয় পরিবহন এ ব্যবহৃত হয়।
(iii) এই প্রকার পরিবহনের পদার্থের কোষপর্দা অতিক্রম করার জন্য বিশ্লিষ্ট ATP অণু থেকে শক্তি ব্যবহৃত হয়।
(iv) এটি একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রক্রিয়া যা ঘনত্বের নতিমাত্রা বিপরীতে ঘটে।
(v) এই প্রকার পরিবহনের বাহক প্রোটিন মুক্ত হয়ে পুনরায় দ্রাব কনা সংগ্রহ করে।