মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক সপ্তম শ্রেণি
CHAKDAHA COLLEGE MORE (YUBADAY SANGHA) , CHAKDAHA, NADIA, MOB- 9775109285
CHAKDAHA COLLEGE MORE (YUBADAY SANGHA) , CHAKDAHA, NADIA, MOB- 9775109285
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করাে :
১.১ ফারেনহাইট স্কেলের উর্ধ্ব ও নিম্ন স্থিরাঙ্ক যথাক্রমে –
(ক) 100°, 0°
(খ) 0°, 100°
(গ) 212°, 32°
(ঘ) 32°, 212°
উত্তর: (গ) 212°, 32°
১.২ সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলে যথাক্রমে বরফের গলনাঙ্ককে ধরা হয় –
(ক) 100°, 212°
(খ) 212°, 0°
(গ) 32°, 0°
(ঘ) 0°, 32°
উত্তর: (ঘ) 0°, 32°
১.৩ তরল থেকে বাষ্পে পরিবর্তিত হওয়াকে বলা হয় –
(ক) গলন
(খ) বাষ্পীভবন
(গ) উর্ধ্বপাতন
(ঘ) ঘনীভবন
উত্তর: (খ) বাষ্পীভবন
১.৪ জলের বাষ্পীভবনের লীন তাপ 540 cal/গ্রাম কথার অর্থ হলাে –
(ক) 1 গ্রাম জল সম উষ্ণতার 1 গ্রাম বাষ্পে পরিণত হতে হলে পরিবেশ থেকে 540 cal তাপ গ্রহণ করবে।
(খ) 1 গ্রাম জল সম উষ্ণতার 1 গ্রাম বাষ্পে পরিণত হতে হলে পরিবেশে 540 cal তাপ বর্জন করবে।
(গ) 1 গ্রাম জল থেকে 25°C উষ্ণতার 1 গ্রাম বাষ্প পেতে হলে 540 cal তাপ দিতে হবে।
(ঘ) 1 গ্রাম জল থেকে 25°C উষ্ণতার 1 গ্রাম বাষ্প পেতে হলে বরফ থেকে 540 cal তাপ নিষ্কাশন করতে হবে।
উত্তর: (ক) 1 গ্রাম জল সম উষ্ণতার 1 গ্রাম বাষ্পে পরিণত হতে হলে পরিবেশ থেকে 540 cal তাপ গ্রহণ করবে।
২. ঠিক বাক্যের পাশে ‘✔’ আর ভুল বাক্যের পাশে ‘🗙’ চিহ্ন দাও :
২.১ তাপ কোনাে বস্তু নয়, তাপ হলাে শক্তি।
উত্তর: তাপ কোনাে বস্তু নয়, তাপ হলাে শক্তি। ✔
২.২ সব উষ্ণতায় সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের উষ্ণতা পৃথক হবে।
উত্তর: সব উষ্ণতায় সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের উষ্ণতা পৃথক হবে। 🗙
২.৩ SI পদ্ধতিতে তাপের একক হলাে ক্যালােরি।
উত্তর: SI পদ্ধতিতে তাপের একক হলাে ক্যালােরি। 🗙
২.৪ সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের নিম্ন স্থিরাঙ্কের মান আলাদা হলেও তা একই ভৌত ঘটনার সাপেক্ষে ধরা হয়েছে।
উত্তর: সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের নিম্ন স্থিরাঙ্কের মান আলাদা হলেও তা একই ভৌত ঘটনার সাপেক্ষে ধরা হয়েছে। ✔
৩. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ কোনাে থার্মোমিটারের কুণ্ডে একটি ভিজে কাপড় জড়ালে থার্মোমিটারের পাঠ কমে যায় কেন?
উত্তর: কোনাে থার্মোমিটারের কুন্ডে একটি ভিজে কাপড় জড়ালে থার্মোমিটারের গায়ের উষ্ণতা কমে যায়, ফলে কুন্ডের মধ্যে থাকা পারদের আয়তন কমে এবং থার্মোমিটারে পাঠ কমে যায়।
৩.২ গরমকালে মাটির কলসির জল ঠান্ডা থাকে কেন?
উত্তর: মাটির কলসির গায়ে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রগুলাে দিয়ে সামান্য পরিমাণে জল কলসির বাইরে বেরিয়ে আসে এবং তার বাষ্পীভবন ঘটে। বাষ্পীভবনের জন্য প্রয়ােজনীয় লীনতাপ কলসি ও কলসির ভেতর থেকে সংগ্রহিত হয়। ফলে কলসি ও কলসির জল তাপ হারিয়ে ঠান্ডা থাকে। এর ফলে গরমকালে মাটির কলসির জল ঠান্ডা থাকে।
৩.৩ মাটির চেয়ে জলের আপেক্ষিক তাপের মান বেশি। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের জল ও মাটিতে সমপরিমাণ তাপ দিলে কোনটির উয়তা বেশি হবে? ধরে নাও দুটি ক্ষেত্রেই প্রাথমিক উয়তা একই আছে।
উত্তর: দুটি ভিন্ন বস্তুতে সমপরিমাণ তাপ দিলে, যে বস্তুর আপেক্ষিক তাপ বেশি তার উষ্ণতা বৃদ্ধি অন্যটির তুলনায় কম হয়। এখানে জলের আপেক্ষিক তাপ, মাটির আপেক্ষিক তাপ অপেক্ষা অনেক বেশি। তাই নির্দিষ্ট পরিমাণ মাটি ও জলকে সমপরিমাণ তাপ দিলে জল অপেক্ষা মাটির উষ্ণতা বেশি হবে।
৪. তিন-চারটি বাক্যে উত্তর দাও :
৪.১ –40°F কত ডিগ্রি সেলসিয়াসের সঙ্গে সমান তা নির্ণয় করাে।
উত্তর:
৪.২ উপযুক্ত উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করাে নীচের কথাটি কেন সবসময় ঠিক নয়—“কোনাে পদার্থে তাপ প্রয়ােগ করলে সবসময়েই তার উয়তা বৃদ্ধি পাবে।”
উত্তর: 0° C উষ্ণতার এক টুকরাে বরফকে ঘরের উষ্ণতায় (25° C) একটি গ্লাসে রেখে দিলে কিছুক্ষণ পর দেখা যাবে গ্লাস কিছু তাপ হারিয়েছে এবং সেই তাপ গ্রহণ করে বরফ গলে জলে পরিণত হয়েছে। গলনের সময় থার্মোমিটার দিয়ে উষ্ণতা পরিমাপ করলে দেখা যাবে বরফের উষ্ণতা 0° C রয়েছে। অর্থাৎ বরফের গ্রহণ করা তাপ বরফের উষ্ণতার কোনাে পরিবর্তন ঘটায়নি। সুতরাং এর থেকে প্রমাণিত হয় যে “কোন পদার্থে তাপ প্রয়ােগ করলে সব সময়েই তার উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে” এই কথাটি সব সময় ঠিক নয়।
পরিবেশ ও বিজ্ঞান (Science)
সপ্তম শ্রেণি (Class 7)
পূর্ণমান : ২০
Class 7 Science Model Activity Task Part 2 February 2022 Answers
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করাে : ১x৩=৩
১.১ এমন একটি খাদ্য উপাদান যা থেকে শক্তি পাওয়া যায় না তা হলাে—
(ক) কার্বোহাইড্রেট
(খ) ভিটামিন
(গ) লিপিড
(ঘ) প্রােটিন
উত্তর: এমন একটি খাদ্য উপাদান যা থেকে শক্তি পাওয়া যায় না তা হলাে (খ) ভিটামিন
১.২ গয়টার হয় যে খাদ্য উপাদানের অভাবে তা হলাে—
(ক) সােডিয়াম
(খ) আয়রন
(গ) আয়ােডিন
(ঘ) ক্যালশিয়াম
উত্তর: গয়টার হয় যে খাদ্য উপাদানের অভাবে তা হলাে (গ) আয়ােডিন
১.৩ একটি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের উদাহরণ হলাে—
(ক) আনারস
(খ) আনারসের জ্যাম
(গ) আম
(ঘ) কোল্ড ড্রিংক্স
উত্তর: একটি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের উদাহরণ হলাে (খ) আনারসের জ্যাম
২. শূন্যস্থান পূরণ করাে : ১x৩=৩
২.১ প্রােটিনের অভাবে_______রােগ হয়।
উত্তর: প্রােটিনের অভাবে কোয়াশিওরকর রােগ হয়।
২.২ চুল ও নখে______প্রােটিন থাকে।
উত্তর: চুল ও নখে কেরাটিন প্রােটিন থাকে।
২.৩ আয়রন_______পরিবহণে সাহায্য করে।
উত্তর: আয়রন অক্সিজেন পরিবহণে সাহায্য করে।
৩.একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও : ২x৪=৮
৩.১ খাদ্যতন্তু পাওয়া যায় এমন দুটো খাবারের নাম লেখাে।
উত্তর: খাদ্যতন্তু পাওয়া যায় এমন দুটো খাবারের নাম হল সজনে ডাঁটা, ওট, অ্যাপলে, পেঁপে, ডাঁটাশাক ইত্যাদি।
৩.২ ম্যারাসমাস রােগের ক্ষেত্রে কী কী লক্ষণ দেখা যায়?
উত্তর: (i) এই রোগের ফলে দেহের ওজন কমে জায়।
(ii) দেহের রং ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
(iii) দৈহিক বৃদ্ধি হ্রাস পেতে থাকে।
(iv) রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া হয়।
৩.৩ মানবদেহে লিপিডের ভূমিকা উল্লেখ করাে।
উত্তর: মানবদেহে লিপিডের ভূমিকাগুলি হলাে:
(i) লিপিড মানুষের দেহে শক্তির উৎসরূপে কাজ করে।
(ii)দেহকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে।
(iii)লিপিড দেহের থেকে তাপ বেরিয়ে যাওয়া কমিয়ে দেয়।
৩.৪ ভিটামিন C-র দুটি উৎসের নাম লেখাে।
উত্তর: ভিটামিন C-র দুটি উৎসে হল:
(i)বাতাবি লেবু বা কমলা লেবু।
(ii) পেয়ারা, পাকা পেঁপে।
৪. তিন-চারটি বাক্যে উত্তর দাও :
৪.১ মানবদেহে ফাইটোকেমিক্যালসের ভূমিকা উল্লেখ করাে।
উত্তর: ফাইটোকেমিক্যালসের ভূমিকাগুলি হল :
(i) ফাইটোকেমিক্যালস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
(ii) ফাইটোকেমিক্যালস চোখ ভালাে রাখতে সাহায্য করে।
(iii) আমাদের হৃদপিন্ড ভালাে রাখতে সাহায্য করে।
(iv) রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়ায়।
(v) মানবদেহে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
(vi)ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে।
(vii) ফাইটোকেমিক্যালস হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৪.২ জীবদেহে জলের ভূমিকা ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: (i)জল কোষের প্রােটোপ্লাজমকে সিক্ত ও সজীব রাখে।
(ii)জল রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে।
(iii)জলের মাধ্যমে রেচন পদার্থ দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়।
(iv)জল দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(v)জল কোষের মধ্যে ব্যাপন ও অভিস্রবনে ঘটাতে সহায়তা করে।
ঠিক উত্তর বেছে নিয়ে লেখাে : ১x৩=৩
১.১ ‘পাগলা গণেশ’ গল্পের ঘটনাকাল –
(ক) ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
(খ) ১০৮ খ্রিস্টাব্দ
(গ) ২০৮৯ খ্রিস্টাব্দ
(ঘ) ৩৫৮৯ খ্রিস্টাব্দ
উত্তর : ‘পাগলা গণেশ’ গল্পের ঘটনাকাল – (ঘ) ৩৫৮৯ খ্রিস্টাব্দ l
১.২ ‘মৃত্যুঞ্জয় টনিক’ যখন আবিষ্কৃত হয়, তখন গণেশের বয়স –
(ক) ২০ বছর
(খ) ৩০ বছর
(গ) ৫০ বছর
(ঘ) ১৫০ বছর
উত্তর : ‘মৃত্যুঞ্জয় টনিক’ যখন আবিষ্কৃত হয়, তখন গণেশের বয়স – (গ) ৫০ বছর l
১.৩ বায়ােকেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরি স্থাপিত হয়েছিল –
(ক) এভারেস্টের চূড়ায়
(খ) রূপকুন্ডে
(গ) কাঞ্চনজঙ্ঘায়
(ঘ) গঙ্গোত্রীতে
উত্তর : বায়ােকেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরি স্থাপিত হয়েছিল – (খ) রূপকুন্ডে l
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১x৩ = ৩
২.১ ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজন আছে।’- কোন বিষয়ের ব্যতিক্রম?
উত্তর : ব্যতিক্রমী মানুষটি হল দুশাে বছর বয়স্ক পাগলা গণেশ। সমগ্র জগৎ যখন বিজ্ঞানের চর্চায় মত্ত , যখন সবাই শিল্প – সংগীত সাহিত্যের প্রযােজন ভুলে গেছে , তখন পাগলা গণেশ সভ্যসমাজ থেকে দূবে হিমালযের গুহায় বসে কবিতা লিখে, গান গেযে, ছবি এঁকে – পৃথিবীতে এগুলাের প্রচলন করতে চেয়েছে। কেননা, তার মতে পৃথিবীটা তাহলে বেঁচে যাবে। আর এভাবেই সে ব্যতিক্রমী হয়ে উঠেছে।
২.২ ও মশাই, অমন বিকট শব্দ করছেন কেন?’– কারা একথা বলেছিল?
উত্তর : শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় রচিত পাগলা গনেশ নামাঙ্কিত গদ্যে লাসা থেকে আসা দু’জন পাখাওলা লােক উদ্ধৃত উক্তিটি করেছিলেন।
২.৩ ‘পৃথিবীর জনসংখ্যার ভারসাম্য রাখতে তা করা আবশ্যিক।’- কোন কাজটি করা আবশ্যিক?
উত্তর : এখানে মরা মানুষকে বাঁচিয়ে তােলা শক্ত কাজ তাে নয়ই, বরং পৃথিবর জনসংখ্যার ভারসাম্য রাখতে তা করা আবশ্যিক বলা হয়েছে।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ৩x৩=৯
৩.১ ‘তা বলে পৃথিবীর মানুষেরা হাল ছাড়েনি।’- কোন বিষয়ে তারা হাল ছাড়েনি?
উত্তর : উদ্ধৃত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় রচিত পাগল গণেশ’ গল্পের অন্তর্গত।
সালটা ৩৫৮৯ খ্রিস্টাব্দ l মধ্যাকর্ষন প্রতিরােধকারী মলম আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে পৃথিবীতে নানারকম উড়ান যন্ত্র আবিষ্কারের হিড়িক পড়ে গেছে l বর্তমানে আকাশে সবসময় নানারকম জিনিস উড়তে দেখা যায়। এমনকি কৃত্রিম পাখনাওয়ালা মানুষও দেখা যায়। ইতিমধ্যে মানুষ চাঁদ , মঙ্গল এবং শুক্রগ্রহে কৃত্রিম ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে। সূর্যের আরও দুটি গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে এবং জানা গেছে আর কোনাে গ্রহ নেই। মহাকাশের নানা নক্ষত্রপুঞ্জের দিকে হাজার হাজার মানুষ তীব্র গতিসম্পন্ন মহাকাশযানে চড়ে রওনা হয়ে গেছে এক দেড়শাে বছর আগে থেকে এবং এখনও অনেকে যাচ্ছে। যারা কাছেপিঠে গেছে তাদের ফেরার সময় হয়ে এল l তবে সেটা এক মিনিট পর না একশাে বছর পর , তা জানার উপায় নেই। এই প্রসঙ্গেই লেখক বলেছেন— তা বলে পৃথিবীর মানুষেরা হাল ছাড়েনি। অর্থাৎ নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা- নিরীক্ষণ , আবিষ্কার , অজানা, মহাকাশকে চেনার আকাঙ্খ কোনাে দিনও মানুষের মরে যাবে না। এই বিষয়ে তারা হাল ছাড়েনি।
৩.২ ‘খামােখা সময় নষ্ট। কোন প্রসঙ্গে একথা বলা হয়েছে?
উত্তর: উদ্ধৃত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় রচিত পাগল গণেশ’ গল্পের অন্তর্গত ।
আজকাল পৃথিবীতে মানুষ মরে না। যারা মহাকাশে গেছে তারা ফিরে এসে সেই আমলের লােকেদের দেখতে পাবে। তবে সব মানুষই বেঁচে আছে বলে নতুন মানুষের জন্মও আর হচ্ছে না। গত দেড়শাে বছরের মধ্যে কেউ পৃথিবীতে শিশুর কান্না শােনেনি। এদিকে ঘরে ঘবে মানুষ এত বেশি বিজ্ঞান নিয়ে বুঁদ হয়ে আছে যে, প্রতিঘরের প্রত্যেকেই কোনাে না কোনাে বিজ্ঞানের বিজ্ঞানী। বিজ্ঞান ছাড়া অন্য কোনাে চর্চা নেই। কবিতা, গান , ছবি আঁকা , কথাসাহিত্য, নাটক, সিনেমা l এসব নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনাে কাজেই লাগে না- এই প্রসঙ্গে বলা হযেছে খামােখা সময় নষ্ট।
৩.৩ ‘গণেশের ব্যাপারটা পছন্দ হয়নি। কোন ব্যাপারটি গণেশ পছন্দ করেনি?
উত্তর: উদ্ধৃত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় রচিত ‘পাগল গণেশ’ গল্পের অন্তর্গত।
এই গল্পের প্রধান চরিত্র গণেশ l বিজ্ঞান নির্ভর এক অতি আধুনিক যুগে তার বাস l পাগলা গণেশের বর্তমান বয়স ২০০ বছর l তার যখন পঞ্চাশ বছর বয়স ছিল, অর্থাৎ আজ থেকে দেড়শাে বছর আগে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হয়। গণেশও আর সকলের মতাে টনিকটা খেয়েছিল। ফলে সেও অমরত্ব লাভ করল l আজ থেকে দেড়শাে বছর আগে যখন সুকুমার শিল্পবিরােধী আন্দোলন শুরু হলাে এবং শিল্প – সংগীত সাহিত্যচর্চা ইত্যাদির পাঠ উঠে যেতে লাগল তখন এই ব্যাপারটা গণেশের পছন্দ হয়নি। তিনি মনে করেন বিজ্ঞানের বাড়াবাড়িরও একটা সীমা থাকা দরকার।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে : ৫
‘পাগলা গণেশ’ গল্পে গণেশকে ‘পাগলা মনে করা কতদুর যুক্তিসঙ্গত বলে তুমি মনে করাে ?
উত্তর: প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় রচিত পাগলা গণেশ’ গল্পটির কেন্দ্রিয় তথা প্রধান চরিত্র গণেশ যাকে তথাকথিত ‘ পাগলা গণেশ ‘ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এবার আমরা সমগ্র গল্প পর্যালােচনার মাধ্যমে গণেশকে ‘পাগলা’ মনে করা কতটা যুক্তিসংগত তা আলােচনা করব।
৩৫৮৯ সালে জগৎ যখন উত্তর – আধুনিক হয়ে আরও নতুন পথে চলেছে, তখন গণেশ দিব্যি কবিতা নিয়ে ব্যস্ত l বিজ্ঞানের প্রাণহীন গবেষণা তার পছন্দ নয়। বরং সে শিল্পকে বাঁচাতে ব্যস্ত l কলকাতার সায়েন্স কলেজের শিক্ষক হয়েও শুধুমাত্র বিজ্ঞানকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়নি। বরং দেখতে চেয়েছিল – পৃথিবীটা যেন সুন্দর হয়ে ওঠে। তার জন্যে গান চাই, কবিতা চাই, ছবি চাই। এজন্যে গণেশের শিল্প সাধনাকে তার সময়ের প্রেক্ষিতে অন্যদের মনে হয়েছে পাগলের কার্যকলাপ l এই জন্যে তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘ পাগলা গণেশ ‘ নামে।
সুতরাং বিবর্তিত বিশ্বে গণেশ অসাধারণ এক শিল্পীত চরিত্র। আমার মতে তিনি প্রকৃত অর্থে মানবতারই পৃষ্ঠপােষক।
১. ঠিক উত্তর বেছে নিয়ে লেখাে : ১ x ৩ = ৩
১.১ ছন্দে বাঁধা –
(ক) পাখির ডাক
(খ) রাত্রি-দিন
(গ) ঘড়ির কাঁটা
(ঘ) নৌকো জাহাজ
উত্তর: (খ) রাত্রি-দিন
১.২ জীবন হবে ________________ -শূন্যস্থানে হবে
(ক) স্বপ্নময়
(খ) দ্বন্দ্বময়
(গ) কাব্যময়
(ঘ) পদ্যময়
উত্তর: (ঘ) পদ্যময়
১.৩ দিন দুপুরে ________________ ডাকে’ –শূন্যস্থানে হবে
(ক) ঝিঝির
(খ) পাখির
(গ) গাড়ির
(ঘ) ঝড়ের
উত্তর: (খ) পাখির
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১ x ৩ = ৩
২.১ ‘ছন্দে শুধু কান রাখাে’ কবিতায় কবি কোন্ কথায় কান দিতে নিষেধ করেছেন?
উত্তর: ‘ছন্দে শুধু কান রাখাে’ কবিতায় কবি মন্দ কথায় কান দিতে নিষেধ করেছেন।
২.২ ‘ছন্দ শােনা যায় নাকো। কখন ছন্দ শােনা যায় না?
উত্তর: কবি অজিত দত্তের মনে হয়েছে- সমস্ত দ্বন্দ্ব বিবাদ, হিংসা, দ্বেষ ভুলে না গেলে মন দিয়ে ছন্দ শােনা যায় না।
২.৩ কেউ লেখেনি আর কোথাও।’ – কোন্ প্রসঙ্গে করি একথা বলেছেন?
উত্তর: নদীর আপন মনে বয়ে চলার মধ্যে যে ছন্দ আছে, তা অপূর্ব। এর আগে এমন ছন্দ ,এমন ছাড়া আর কেউ লেখেনি।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ৩ x ৩ = ৯
৩.১ ‘মনের মাঝে জমবে মজা।’ – মনের মধ্যে কীভাবে মজা জমে ওঠে?
উত্তর: কবি অজিত দত্ত ‘ছন্দে শুধু কান রাখাে’ কবিতায় জানিয়েছেন, আমাদের জীবন হলাে ছন্দময়। জীবনের এই সহজ ছন্দ বুঝতে হলে কানকে সজাগ রাখতে হয়। এই প্রসঙ্গে তিনি কয়েকটি বিষয়ের উল্লেখ করেছেন, যাদের মধ্যে অপূর্ব ছন্দের দোলা আছে। যেমন- নদীর আপন বেগে বয়ে চলা,পাখির অপূর্ব গান, সন্ধ্যাবেলা ঝিঝি পােকার ডাক। এদের মধ্যে রয়েছে সন্দেহ অপূর্ব খেলা। যে মানুষ তার কানকে সজাগ রাখতে জানে, সেই মানুষ পারে ছন্দের এই খেলাকে উপলব্ধি করতে আর সেটি সম্ভব হলে মনের মধ্যে অদ্ভুত এক মজা বা আনন্দ জেগে ওঠে।
৩.২ ‘পদ্য লেখা সহজ নয়’ – পদ্য লেখা কখন কঠিন হয়ে ওঠে?
উত্তর: কবি অজিত দত্ত ‘ছন্দে শুধু কান রাখাে’ নামাঙ্কিত কবিতায় জানিয়েছেন, সকলেই পদ্য লিখতে পারে না। গদ্য লেখা সহজ। কিন্তু অসাধারণ পদ্য লেখা বেশ কঠিন। কেননা তার জন্য ছন্দ সম্পর্কে সহজ অনুভূতি থাকা দরকার। ছন্দে তাল সম্পর্কে বােধ দরকার। আর সেই জন্য পদ্য লেখা সহজ নয়।
৩.৩ ‘চিনবে তার ভুবনটাকে’ – কীভাবে ভুবনকে চেনা সম্ভব হবে?
উত্তর: পৃথিবীর সব কিছুতে ছন্দ আছে। পৃথিবী ছন্দহীন নয়। সেইসব ছন্দকে মন-প্রাণ দিয়ে উপলব্ধি করতে হয়। আমাদের শ্রবণযন্ত্র যে কোন অনুভুতি কে ধরতে পারে। আসলে মানুষ যদি মন দিয়ে শােনে এবং উপলব্ধি করে তবে তারা যেকোন বিষয়ের মধ্যে ছন্দের অস্তিত্ব অনুভব করতে পারে। আর তখন ভুবনটাকে চেনা সম্ভব হয়।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
‘কিচ্ছুটি নয় ছন্দহীন। – ‘ছন্দে শুধু কান রাখাে’ কবিতায় কবি সমস্ত কিছুর মধ্যে কীভাবে ছন্দের সন্ধান পেয়েছেন তা বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর: জগতের কোন কিছুই ছন্দহীন নয়। কবি অজিত দত্ত মনে করেন, আমাদের জীবন নিয়ন্ত্রিত হয় অদ্ভুত এক ছন্দের দোলায়। জীব জগতের মধ্যে রয়েছে অদ্ভুত এক ছন্দের দোলা। এমনকি জড় জগতের মধ্যেও রয়েছে ছন্দের খেলা। কবি বিষয়টিকে বােঝাতে গিয়ে জানিয়েছেন – পাখির ডাকের যেমন ছন্দ আছে নদীর বয়ে চলার মধ্যেও তেমন সহজ ছন্দ রয়েছে। তাই কবি বলেছেন, কোনাে কিছুই ছন্দহীন নয়।
1. Read the following passage and answer the questions that follow:
The king of kings, Emperor Akbar, who ruled over India was a great lover of arts, sciences, literature and music. One day, on a fine morning, he was walking in his vast garden. His garden was lined with trees that produced the tastiest and juiciest fruits in the whole kingdom. There were flowers of all shapes and sizes in his garden. He had his most trusted and favourite minister Birbal with him.
But the great Emperor Akbar did not have peace of mind, the quality without which no one, not even the king of kings, can appreciate beauty.
A. Tick the correct answer: 1×2 = 2
(i) Akbar was walking in his garden
(a) in the morning
(b) at night
(c) in the evening
Ans: Akbar was walking in his garden (a) in the morning
(ii) Birbal was Akbar’s
(a) enemy
(b) brother
(c) minister
Ans: Birbal was Akbar’s (c) minister
B. Answer the following questions: 3×2 = 6
(i) Who was Akbar?
Ans: Akbar was the king of kings of India. Besides he was a great lover of arts, sciences, literature and music.
(ii) How was the garden of Akbar?
Ans: Akbar’s vast garden was lined with trees that produced the tastiest and juiciest fruits. There were flowers of all shapes and sizes in it.
(iii) What quality is required to appreciate beauty?
Ans: The peace of mind is required to appreciate beauty.
2. Do as directed: 1×5=5
(i) Last evening my mother and I ________ (watch) the news on the TV. (Fill in the blanks with Past Continuous Tense)
Ans: Last evening my mother and I were watching the news on the TV.
(ii) The garden of Akbar was ________ (beautiful) than most other gardens. (Fill in the blanks with the comparative degree of the adjective)
Ans: The garden of Akbar was more beautiful than most other gardens.
(iii) He took an umbrella but I forgot to take _____. (Fill in the blanks with Possessive Pronoun)
Ans: He took an umbrella but I forgot to take mine.
(iv) Mount Everest is the ______ (high) mountain in the world. (Fill in the blanks with the superlative degree of the adjective)
Ans: Mount Everest is the highest mountain in the world.
(v) I am not so strong as you. (Rewrite the sentence using the antonym of the underlined word)
Ans: I am not so weak as you.
3. Write a story (in about 70 words) using the following outline. Give a suitable title to your story: 7
Outline: ass carrying a load of salt—falls into a stream by chance—load becomes light—next time master puts a load of cotton—falls into streams purposefully—result
Ans :
The Salt Merchant and His Ass
There lived a salt merchant in a village. He would use his ass to carry the load of salt on its back. The ass had to cross a narrow bridge on its way. One day, while crossing the bridge the ass lost his balance and fell into the stream. The salt on his back dissolved and it became light. From that day he always fell into the stream so that his load became light. His master understood his trick. Next time he put a load of cotton instead of salt. The ass purposefully fell into the stream. But alas! The load became heavy. Thereafter the ass never fell into the stream intentionally.
When you and I are together you often ask me questions about many things and I try to answer them. Now that you are at Mussoorie and I am in Allahabad we cannot have these talks. I am therefore going to write to you from time to time short accounts of the story of our earth and the many countries, great and small, into which it is divided. You have read a little about English history and Indian history. But England is only a little island and India, though a big country, is only a small part of the earth’s surface.
(i) The author was residing at
(a) Mussoorie
(b) New Delhi
(c) Allahabad
Ans: (c) Allahabad
(ii) Nehru would write letters to Indira
(a) everyday
(b) time to time
(c) once a while
Ans: (b) time to time
(iii) England is a
(a) big country
(b) a small nation
(c) a little island
Ans: (c) a little island
(i) Why did Nehru want to write to his daughter?
Ans: Since Nehru was in Allahabad and his daughter was in Mussoorie, they could not have talks to each other directly, as they would if they were together. So he wanted to write to his daughter.
(ii) What did Nehru intend to write?
Ans: Nehru intended to write short accounts of the story of our earth and the many countries, great and small, into which it is divided.
(iii) How is India compared with England?
Ans: According to Nehru, England is only a little island and India is a big country.
(i) This winter ________ father gave me a new sweater.
Ans: This winter my father gave me a new sweater.
(ii) Can you spare me a pen as I forgot to bring________?
Ans: Can you spare me a pen as I forgot to bring mine?
(iii) Years ago this plot of land belonged to __________, but now we don’t live here.
Ans: Years ago this plot of land belonged to ours, but now we don’t live here.
Write a letter (in about 70 words) to your friend describing her/him about your village/town. Mention about the various flowers, fruits and birds that you see around your house. 7
Ans: Dear, Deb
I am very happy because I got your letter yesterday. I am fine here. Today I am going to write to you about our village. The name of our village is Kashipur. It is a very small village. Most of the people in the village are farmers. The environment around our house is also very pleasant. The lotus in the pond, the marigold in the backyard, the beautiful nest of the tailorbird in the rows of palm trees, the call of the cuckoo in the spring, and the mango and jackfruit orchards make our home environment more beautiful. Hopefully one day you will come to visit our village. No more today. Convey my respect to your parents.
Your loving friend
Nil
Deb Nath
C/O – Arun debnath
Chakdaha, Nadia
Pin – 741222
১. শূন্যস্থান পূরণ করাে : ১x৪=৪
(ক) বঙ্গ নামটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ঋকবেদের _______________ l
উত্তর : বঙ্গ নামটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ঋকবেদের ঐতরেয় আরণ্যক ।
(খ) পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন দেশ হয় _______________ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর : পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন দেশ হয় 1971 খ্রিস্টাব্দে।
(গ) শশাঙ্কের রাজধানী ছিল _______________
উত্তর : শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ।
(ঘ) লক্ষণসেনের রাজধানী ছিল _______________
উত্তর : লক্ষণসেনের রাজধানী ছিল পূর্ববঙ্গের বিক্রমপুর।
২. স্তম্ভ মেলাও : ১x৪=৪
উত্তর :
ক-স্তম্ভ ---- খ-স্তম্ভ
গৌড়বহাে ----- বাকপতিরাজ
হর্ষচরিত ---- বাণভট্ট
কিতাব অল-হিন্দ ---- অল বিরুনি
রামচরিত ---- সন্ধ্যাকর নন্দী
৩.একটি-দুটি বাক্যে উত্তর দাও : ১x৩=৩
(ক) কোন তিনটি নদী দিয়ে প্রাচীন বাংলার সীমানা তৈরি হয়েছিল?
উত্তর : ভাগীরথী, পদ্মা এবং মেঘনা -এই তিনটি নদী দিয়ে প্রাচীন বাংলার সীমানা তৈরি হয়েছিল l
(খ) কে ‘গঙ্গাইকোচোল’ উপাধি নিয়েছিলেন?
উত্তর : চোলরাজা প্রথম রাজেন্দ্র চোল (1016-1044) ‘গঙ্গাইকোচোল’ উপাধি নিযেছিলেন।
(গ) ‘খলিফা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : খলিফা’ শব্দের অর্থ হল – প্রতিনিধি বা উত্তরাধিকারী l
৪. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও : ৩ x ৩ = ৯
(ক) ‘মাৎসন্যায়’ কী?
উত্তর : মাৎস্যন্যায় বলতে দেশে অরাজকতা বা স্থায়ী রাজার অভাবকে বােঝানাে হয়। পুকুরের বড়ো মাছ যেমন ছােটো মাছকে খেয়ে ফেলে, অরাজকতার সময়ে তেমনি শক্তিশালী লােক দুর্বল লােকের ওপর অত্যাচার করে। শশাঙ্কের মৃত্যুর পরে খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের মধ্যভাগ থেকে অষ্টম শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত একশাে বছর ছিল বাংলার ইতিহাসে একটা পরিবর্তনের যুগ। ঐ যুগে প্রত্যেক ক্ষত্রিয়, সম্ভ্রান্ত লােক, ব্রাক্ষণ এবং বণিক ইচ্ছামতাে নিজের নিজের এলাকা শাসন করত। বাংলায় কোনাে কেন্দ্রীয় শাসক ছিল না। বছরের পর বছর এই অবস্থা চলার পরে বাংলার প্রভাবশালী লােকেরা মিলে খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের মধ্যভাগে গােপাল নামে একজনকে রাজা নির্বাচন করে (আনুমানিক ৭৫০ খ্রিস্টাব্দ)। ঐ সময় থেকে বাংলায় পাল বংশের রাজত্ব শুরু হয়।
(খ) কৈবর্ত বিদ্রোহ কোন সময়, কোথায় সংঘটিত হয়েছিল? এই বিদ্রোহে কারা নেতৃত্বে দিয়েছিলেন?
উত্তর : একাদশ শতকের দ্বিতীয়ভাগে বাংলায় কৈবর্ত বিদ্রোহ ঘটেছিল। কৈবৰ্তরা ছিল সম্ভবত নৌকার মাঝি বা জেলে। সে সময়ে বাংলার উত্তর ভাগে কৈবর্তদের যথেষ্ট প্রভাব ছিল। সন্ধ্যাকর নন্দীর রামচরিত কাব্যে কৈবর্ত বিদ্রোহের বিবরণ আছে। এই বিদ্রোহের তিনজন নেতা ছিলেন: দিব্য (দিব্বোক), রুদাক এবং ভীম।
(গ) ভারতের সাথে আরবদের যােগাযােগ ঘটেছিল কীভাবে?
উত্তর : ভারতের সঙ্গে ইসলামের প্রথম যােগাযােগ ঘটেছিল তুর্কিরা এদেশে আসার অনেক আগে থেকেই। খ্রিস্টীয় অষ্টম-নবম শতকে আরব বণিকরা ভারতের পশ্চিম উপকূলে আসতেন। সিন্ধু মােহনায়, মালাবারে আরবি মুসলিম বণিকদের বসতি গড়ে উঠেছিল। এর থেকে যেমন আরবি বণিকরা লাভবান হয়েছিল, তেমনি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা লাভ করত। শাসকরাও এর থেকে লাভবান হয়েছিল। হিন্দু, জৈন এবং মুসলিম বণিকদের এই বাণিজ্য ধর্মীয় সহিষ্ণুতার এক উজ্জ্বল নিদর্শন। ঐ যুগে বাগদাদের খলিফাদের উদ্যোগে সংস্কৃত ভাষায় রচিত জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ইত্যাদি আরবি ভাষায় অনূদিত হয়েছিল।
Class 7 History Model Activity Task Part 9 Solution :
১. শূন্যস্থান পূরণ করাে : ১ x ৩ = ৩
(ক) ‘ইন্ডিয়া’ নামটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন ___________ ।
উত্তর: ‘ইন্ডিয়া’ নামটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস।
(খ) তাজমহল বানিয়েছেন সম্রাট ___________ ।
উত্তর: তাজমহল বানিয়েছেন সম্রাট শাহজাহান।
(গ) বর্ধমান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি ___________ মাত্র।
উত্তর: বর্ধমান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি জেলা মাত্র।
২. ঠিক বা ভুল নির্ণয় করাে : ১ x ৩ = ৩
(ক) “হিন্দুস্থান’ শব্দ দ্বারা সমগ্র ভারতকে বােঝানাে হতাে।
উত্তর: ঠিক
(খ) পাের্তুগিজদের হাত ধরে ভারতে আলু খাওয়ার চল শুরু হয়।
উত্তর: ঠিক
(গ) সাসানীয়দের শাসন ছিল ইরানে।
উত্তর: ঠিক
৩. অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও (একটি-দুটি বাক্য) : ২ x ২ = ৪
(ক) ইতিহাসের সময়কে কয়টি যুগে ভাগ করা হয়? কী কী?
উত্তর: ইতিহাসের সময়কে সাধারণ ভাবে তিনটি যুগে ভাগ করা হয়।
যথা- প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক যুগ।
(খ) কোন সময়কালকে আদি-মধ্যযুগ বলা হয়?
উত্তর: রাতারাতি ইতিহাসের যুগ বদলে যায় না। ধরাে দুপুর বেলার কথা সেটা না সকাল না বিকেল। তেমনই ভারতের ইতিহাসে একটা বড়াে সময় ছিলাে, যখন প্রাচীন যুগ ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আসছে আর মধ্যযুগ ও পুরােপুরি শুরু হয়নি। ঐতিহাসিকরা সেই সময়টিকে বলে আদি মধ্যযুগ।
৪. নিজের ভাষায় লেখাে (তিন-চারটি বাক্য) : ৫ x ২ = ১০
(ক) ইতিহাসের উপাদান কী? উপাদানের বিভিন্ন ভাগগুলির উল্লেখ করাে।
উত্তর: ইতিহাসের সব উপাদান একরকম নয়। একটি পুরােনাে মূর্তি, পুরােনাে মুদ্রা বা পুরােনাে বই এক জিনিস নয়। তাই ইতিহাসের উপাদানগুলিকেও নানা ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন লেখ, মুদ্রা, স্থাপত্য-ভাস্কর্য ও লিখিত উপাদান। পাথর বা ধাতুর পাতে লেখা থেকে পুরনাে দিনের অনেক কথা জানা যায়। সেগুলি কে বলে লেখ। তামার পাতের লেখা হলে তা হয় তাম্ৰলেখ। আবার পাথরের উপর লেখা হলে তা হয় শিলালেখ। আর কাগজে লেখা গুলিকে বলা হয় লিখিত উপাদান।
(খ) মধ্যযুগের ভারত কেমন ছিলাে?
উত্তর: আগে অনেকে বলতেন, সেসময়ে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল মানুষের জীবন। কোনাে কিছুতেই নাকি কোনাে উন্নতি হয়নি। তবে আজকাল আর সে কথা মানা হয় না। টুকরাে টুকরাে উপাদান জুড়ে ঐতিহাসিকরা সেসময়ের ইতিহাস লিখেছেন। তাতে দেখা যায়, তখন জীবনের নানান দিকে অনেক কিছুরই উন্নতি করেছিল ভারতের মানুষ।
এক দিকে ছিল নানান নতুন যন্ত্র ও কৌশলের ব্যবহার। কুয়াে থেকে জল তােলা, তাঁত বােনা বা যুদ্ধের অস্ত্র- বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় বদলে গিয়েছিল অনেক কিছুই। অনেক নতুন খাবার ও পানীয়ের কথা এই সময় জানতে পারে ভারতের লােক। এর সবচেয়ে মজার উদাহরণ হলাে রান্নায় আলুর ব্যবহার। পাের্তুগিজদের হাত ধরে এদেশে আলু খাওয়ার চল শুরু হয়।
দেশ শাসনে আর রাজনীতিতেও নতুন অনেক দিক দেখা গিয়েছিল। শুধু রাজ্য বিস্তার নয়, জনগণের ভালাে-মন্দের কথাও শাসকদের ভাবতে হয়েছিল। অর্থনীতিতে একদিকে ছিল কৃষি, অন্যদিকে ব্যাবসা-বাণিজ্য। তৈরি হয়েছিল নতুন নতুন শহর। বন কেটে চাষবাস করার অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। কিন্তু শিল্প হােক বা সাহিত্য- সবেতেই সাধারণ গরিব মানুষের কথা খুব বেশি ছিল না। সেসবের বেশির ভাগই ছিল শাসকের গুণগানে ভরা।
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে : ১x৩=৩
১.১ নিরক্ষরেখার সাপেক্ষে ভারত অবস্থিত –
(ক) উত্তর গােলার্ধে
(খ) দক্ষিণ গােলার্ধে
(গ) পূর্ব গােলার্ধে
(ঘ) পশ্চিম গােলার্ধে
উত্তর: নিরক্ষরেখার সাপেক্ষে ভারত অবস্থিত – (ক) উত্তর গােলার্ধে
১.২ ভূ-গােলকে একটি অক্ষরেখা একটি দ্রাঘিমারেখাকে যত ডিগ্রি কোণে ছেদ করে তা হলাে –
(ক) ০°
(খ) ৯০°
(গ) ৬০°
(ঘ) ৩০°
উত্তর: ভূ-গােলকে একটি অক্ষরেখা একটি দ্রাঘিমারেখাকে যত ডিগ্রি কোণে ছেদ করে তা হলাে – (খ) ৯০°
১.৩ ভূ-গােলকে অঙ্কিত প্রত্যেকটি দ্রাঘিমারেখা –
(ক) উপবৃত্ত
(খ) পূর্ণবৃত্ত
(গ) অর্ধবৃত্ত
(ঘ) সরলরৈখিক
উত্তর: ভূ-গােলকে অঙ্কিত প্রত্যেকটি দ্রাঘিমারেখা – গ) অর্ধবৃত্ত
২.১ শূন্যস্থান পূরণ করাে : ১x২=২
২.১.১. ১° দ্রাঘিমা ঘুরতে পৃথিবীর সময় লাগে_________ঘণ্টা।
উত্তর: ১° দ্রাঘিমা ঘুরতে পৃথিবীর সময় লাগে 4 মিনিট
২.১.২ দুটি দ্রাঘিমার মধ্যে দূরত্ব_______উপর সবচেয়ে বেশি।
উত্তর: দুটি দ্রাঘিমার মধ্যে দূরত্ব নিরক্ষরেখা উপর সবচেয়ে বেশি
‘ক’ স্তম্ভ
‘খ’ স্তম্ভ
২.২.১. ২৩° ৩০’ উ:
৩. কর্কটক্রান্তি রেখা
২.২.২. ০°
১. মূলমধ্যরেখা
২.২.৩. ৮২° ৩০’ পূ
২. ভারতের প্রমাণ সময়
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
অপসূর ও অনুসূরের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ
অপসূর
অনূসুর
১। ৪ জুলাই পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে অপসূর অবস্থান ঘটে
১। ৩ জানুয়ারী পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে অনূসুর অবস্থান ঘটে
২। পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে দূরত্ব হয় ১৫ কোটি ২০ লক্ষ কিমি
২, পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে দূরত্ব হয় ১৪ কোটি ৭০ লক্ষ কিমি
৩। এই সময় পৃথিবীর পরিক্রমণ বেগ সামান্য কমে যায়।
৩। এই সময় পৃথিবীর পরিক্রমণ বেগ সামান্য বেড়ে যায়।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ২x২=৪
৩.১ অক্ষরেখা কাকে বলে?
উত্তর: নিরক্ষরেখার উভয়দিকে নিরক্ষরেখার সমান্তরালভাবে পৃথিবীর পূর্বদিক থেকে পশ্চিমদিকে ১০ পরপর যে ৯০টি পরস্পর সমান্তরাল যে সমস্ত রেখাবৃত্ত কল্পনা করা হয়েছে তাদের প্রত্যেকটিকে অক্ষরেখা বলা হয়।
৩.২ GPS-এর দুটি উপযােগিতা উল্লেখ করাে।
উত্তর: GPS বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। যেমন –
i) অবস্থান নির্ণয-GPS এর সাহায্যে পৃথিবীর যে কোনাে স্থানের অবস্থান খুব নিখুঁতভাবে জানা যায়।
ii) দিক নির্ণয়-GPS এর সাহায্যে জাহাজ, স্টিমার ও নৌকার নাবিকরা সহজে দিক নির্নয় করতে পারে।
iii) ট্রেনের গতিবেগ নির্ণয়-যেকোনাে স্থান থেকে ট্রেনের গতিবিধি সম্পর্কে জানার জন্য GPS ব্যবহার করা হয়। Future Point
iv) মানচিত্র তৈরি-বিভিন্ন দেশের সীমানা চিহ্নিতকরণে ও বিভিন্ন প্রকার মানচিত্র তৈরিতে GPS ব্যবহার করা হয়।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৩x১=৩
অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখাে।
উত্তর:
অক্ষরেখা
দ্রাঘিমা রেখা
(১) একই অক্ষাংশ বিশিষ্ট রেখাকে অক্ষরেখা বলে ।
(১) একই দ্রাঘিমাংশ বিশিষ্ট রেখাকে দ্রাঘিমারেখা বলে ।
(২) অক্ষরেখাগুলাে পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত।
(২) দ্রাঘিমারেখাগুলাে পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত।
(৩) অক্ষরেখাগুলাে নিরক্ষরেখা এবং নিজেদের মধ্যে সর্বদা সমান্তরালভাবে অবস্থিত থাকে।
(৩) দ্রাঘিমারেখাগুলাে পরস্পরের মধ্যে মধ্যে সর্বদা সমান্তরালভাবে বিন্যস্ত থাকে না, কারণ প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
(৪) সমাক্ষরেখাগুলাে পূর্ণবৃত্ত।
(৪) দ্রাঘিমারেখাগুলাে অর্ধবৃত্ত।
(৫) উওর বা দক্ষিণ গােলার্ধের প্রত্যেকটি অক্ষরেখার দৈর্ঘ্যে পার্থক্য লক্ষ করা যায়। নিরক্ষরেখা হল দীর্ঘতম অক্ষরেখা, এই রেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিণে মেরুদ্বয়ের দিকে অক্ষরেখাগুলাের দৈর্ঘ্য কিন্তু ক্রমশ কমতে থাকে ।
(৫) প্রতিটি দ্রাঘিমারেখার দৈর্ঘ্য সমান।
(৬) একই অক্ষরেখায় অবস্থিত স্থানগুলাে পরস্পরের পূর্ব বা পশ্চিম দিকে বিস্তৃত ।
(৬) একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত স্থানগুলাে পরস্পরের উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত থাকে।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৫x১=৫
চিত্রসহ কোনাে স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয়ের পদ্ধতিটি লেখাে।
উত্তর:
দ্রাঘিমা নির্ণয় : মূলমধ্যরেখা (০° ) থেকে পূর্বদিকে ১৮০° পর্যন্ত বিস্তৃত। দ্রাঘিমাকে পূর্ব দ্রাঘিমা বলে। আর, মূলমধ্যরেখা থেকে পশ্চিম দিকে ১৮০° পর্যন্ত বিস্তৃত দ্রাঘিমাকে পশ্চিম দ্রাঘিমা বলে। পৃথিবী গােলাকার হওয়ায় ১৮০° পূর্ব ও ১৮০° পশ্চিম দ্রাঘিমা রেখা হল একই রেখা।
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে : ১ x ৩ = ৩
১.১ অধিবর্ষের বছরটি হলাে –
(ক) ১৯৯৬
(খ) ১৯৯৪
(গ) ১৯৯৮
(ঘ) ১৯৯০
উত্তর: (ক) ১৯৯৬
১.২ তােমার ছায়ার দৈর্ঘ্য সবচেয়ে ছােটো হবে –
(ক) সকাল ৭ টায়
(খ) সকাল ১০ টায়
(গ) দুপুর ১২ টায়
(ঘ) বিকেল ৪ টে
উত্তর: (গ) দুপুর ১২ টায়
১.৩ যে তারিখে মহাবিষুব হয় সেটি হলাে –
(ক) ১৭ মার্চ
(খ) ২১ মার্চ
(গ) ২৫ মার্চ
(ঘ) ২৯ মার্চ
উত্তর: (খ) ২১ মার্চ
২.১ বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখাে : ১ x ২ = ২
২.১.১ ২২ শে ডিসেম্বর পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান হয়।
উত্তর: ভুল
২.১.২ আমাদের দেশে যখন শরৎকাল, দক্ষিণ গােলার্ধে তখন বসন্তকাল।
উত্তর: ঠিক
২.২ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও : ১ x ৩ = ৩
২.১.১ যে কল্পিত রেখার চারিদিকে পৃথিবী আবর্তন করে তার নাম লেখাে।
উত্তর: যে কল্পিত রেখার চারিদিকে পৃথিবী আবর্তন করে তার নাম পৃথিবীর অক্ষ।
২.২.২ ‘বিষুব’ কথাটির অর্থ কী?
উত্তর: ‘বিষুব’ কথাটির অর্থ সমান দিন ও রাত্রি।
২.২.৩ কোন মাসে পৃথিবী সূর্যের সবথেকে কাছে অবস্থান করে?
উত্তর: জানুয়ারি মাসে পৃথিবী সূর্যের সবথেকে কাছে অবস্থান করে।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবসময় সমান হয় না কেন? ২ x ২ = ৪
উত্তর: উপবৃত্তাকার কক্ষপথের একটা ফোকাসে সূর্য অবস্থান করে। এইকারণে পৃথিবীর সূর্য প্রদক্ষিণের সময় সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবসময় সমান থাকে না। একসময়ে পৃথিবী সূর্যের বেশি কাছে আসে আবার একসময় দূরে চলে যায়।
৩.২ পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির আরেক নাম বার্ষিক গতি কেন?
উত্তর: পৃথিবী সূর্যকে প্রায় ৩৬৫ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে। এই সময়টাকে ‘সৌর বছর’ ধরা হয়। পরিক্রমণ গতির সময়কে ধরে বছর গণনা করা হয় বলেই একে ‘বার্ষিক গতি’ও বলা হয়।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৩ x ১ = ৩
অপসূর ও অনুসূরের মধ্যে পার্থক্য লেখাে।
উত্তর:
অপসূর
অনুসূর
(i) ৪ জুলাই সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে বেশি হয়। একে পৃথিবীর অপসূর অবস্থান বলা হয়। and (i) ৩ জানুয়ারি সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে কম হয়। একে পৃথিবীর অনুসূর অবস্থান বলা হয়।
(ii) অপসূর অবস্থানে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি ২০ লক্ষ কিমি। and (ii) অনুসূর অবস্থানে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব প্রায় ১৪ কোটি ৭০ লক্ষ কিমি।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৫ x ১ = ৫
চিত্রসহ সংক্ষেপে ঋতু পরিবর্তনের বর্ণনা দাও।
উত্তর: যখন উত্তর গােলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে, তখন উত্তর গােলার্ধে ক্রমশ দিন গুলাে বড়াে আর রাত ছােট হতে থাকে। অর্থাৎ দিনের আলাে অনেকক্ষন পাওয়া যায়। সারাদিন ধরে সূর্যের তাপে পৃথিবী উত্তপ্ত হয়। অথচ রাত ছােটো হওয়ায় তেমন ঠান্ডা হওয়ার সময় পায়না। দিনের পর দিন এমন হলে গরম বাড়তে থাকে। এই সময়ে উত্তর গােলার্ধে সূর্য রশ্মি পড়ে অনেক লম্বা ভাবে। তাই সূর্যের তাপও প্রবল হয়। এই সময় উত্তর গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল আর দক্ষিণ গােলার্ধে শীতকাল। আবার যখন দক্ষিণ গােলার্ধ সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে, উত্তর গােলার্ধে তখন ক্রমশ দিন ছােট আর রাত বড় হতে থাকে। দিনের আলাে বেশিক্ষণ থাকে না বলে পৃথিবী বেশিক্ষণ ধরে উত্তপ্ত হয় না। রাতে ঠান্ডা হওয়ার সময় বেশি পায়। এই সময় উত্তর গােলার্ধে সূর্য রশ্মি বাকা পড়ে, তাই কম উত্তপ্ত হয়। এই সময় উত্তর গোলার্ধে শীতকাল আর দক্ষিণ গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল।
১. কার মাধ্যমে শান্তিনিকেতনের সঙ্গে শিল্পী রামকিঙ্করের যােগাযােগ গড়ে ওঠে ?
উত্তর: শ্রদ্ধেয় রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের মাধ্যমে শান্তিনিকেতনের সঙ্গে রামকিঙ্করের যোগাযোগ হয় ।
২. “অবাক তাকায় চড়ুই পাখি’ – চড়ুই পাখি কখন অবাক হয়ে তাকায় ?
উত্তর: তিনটি শালিক যখন নিজেদের ঝগড়া নিজেরাই মীমাংসা করতে থাকে তখন চড়ুই পাখি অবাক হয়ে তাকায়.. ।
৩. “খোকন সগর্বে তার ড্রইং খাতাগুলাে নিয়ে এল” কার কাছে খোকন তার ড্রইং খাতাগুলাে নিয়ে এসেছে? তার গর্ববােধ করার কারণ কী ?
উত্তর: খোকনের বাবার এক বন্ধু যিনি বিখ্যাত চিত্রকর তার কাছে খোকন তার ড্রইং খাতা গুলো নিয়ে এসেছিলেন । খোকনের গর্ববোধ হওয়ার কারণ সে ঘন কালো মেঘের ছবি আঁকতে গিয়ে কুমিরের ছবি এঁকে ফেলেছে আর ঠিক সেই সময়ে বাবার বন্ধু বিখ্যাত চিত্রকর তাদের বাড়িতে আসেন ।
৪. আলাউদ্দিন খিলজির মতাে দুঃসাহসী রাজা ভারতবর্ষে কমই জন্মেছেন। কোন প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক একথা বলেছেন?
উত্তর :- প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী কুতুব মিনারের কথা বলেছেন ।
সম্রাট কুতুবউদ্দিন আইবক পৃথিবীর সর্বশেষ্ঠ মিনার তৈরি করেছিল । পৃথিবীর অন্যান্য দেশ গুলি এরকম মিনার তৈরি তো দূরের কথা সাহস পর্যন্ত দেখাতে পারেনি । কিন্তু আলাউদ্দিন খলজী কুতুব এর চেয়েও দ্বিগুন উঁচু মিনার তৈরি সাহস দেখিয়েছিলেন । এই প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক কথা বলেছেন ।
৫. ছন্দে শুধু কান রাখাে কবিতায় কবি ছন্দের প্রতি মনােযােগ দিতে বলেছেন কেন ?
উত্তর :- কবি অজিত দত্ত ছন্দে শুধু কান রাখো কবিতায় ছন্দের প্রতি মনোযোগ দিতে বলেছেন কারণ কারণ ছন্দ আমাদের জীবনকে সহজ সরল পথে চলতে সাহায্য করে । তাইতো কবি আমাদের কান ও মন পেতে ছন্দ শুনতে বলেছেন ।
৬. ‘সেই শােকে কালবৈশাখীর ঝড় উঠলাে আকাশে- উদ্বৃতাংশে কোন্ শােকের প্রসঙ্গ এসেছে ?
উত্তর: আশরাফ সিদ্দিকীর লেখা একুশের কবিতা আলোচ্য পংক্তিত নেওয়া হয়েছে । ২১ এর ভাষা আন্দোলনের বাংলার চার তেজস্বী যুবক প্রাণ হারায় । এই চার যুবক হলেন রফিক , সালাম , জব্বার , বরকত এর হত্যার পর তারা বাংলাদেশে সোক এবং প্রতিবাদী ঝড় কালবৈশাকির ঝড়ে গর্জে ওঠা । ফলে সারা বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদী হয়ে ওঠে।
৭. “দাম” শব্দটি বাংলায় কীভাবে এসেছে ?
উত্তর: গ্রিক শব্দ দ্রাখমে থেকে সংস্কৃত দক্ষ শব্দটি এসেছে । দক্ষ শব্দটি আবার পরিবর্তন হয়ে দম্ম শব্দটি এসেছে। আর এই দম্ম শব্দের প্রকৃত রূপের মধ্যে দিয়ে দাম শব্দটি এসেছে । যার অর্থ হলো মূল্য ।
৮. একটি মিশ্র শব্দের উদাহরণ দাও।
উত্তর :- মাস্টারমশাই = মাস্টার (ইংরেজি) + মশাই (বাংলা).
১.১ পাগলা গনেশ’ গল্পে যে সালের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর :- ৩৫৮৯
১.২ My Native land, good night!’ উদ্ধৃতিটি –
উত্তর :– বায়রনের ।
১.৩ চিংড়ি হলাে একটি –
উত্তর :- খাটি দেশী শব্দ ।
১.৪ বিদেশি প্রত্যয়যুক্ত মিশ্র শব্দের একটি উদাহরণ-
উত্তর :- অফিসপাড়া ।
২. একটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১ “তবে তিনি তাে ওরিয়েন্টাল আর্টের প্রবর্তক।” কার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর: এখানে ওরিয়েন্টাল আর্টের প্রবর্তক নন্দলাল বসুর কথা বলা হয়েছে।
২.২ খােকনের বাবার বন্ধু কোন শহরে থাকেন ?
উত্তর :- খােকনের বাবার বন্ধু লক্ষ্ণৌ শহরে থাকে ।
২.৩ ‘মিনার আর ‘মিনারেট’-এর ফারাক কোথায় ?
উত্তর : আপন মহিমায় নিজস্ব ক্ষমতায় যে স্তম্ভ দাঁড়ায় তাকে মিনার বলা হয় । মসজিদ সমাধি কিংবা অন্য কোন ইমারতের অঙ্গ হিসাবে যে মিনার কখনো থাকে বা কখনো থাকে না তাকে মিনারেট বলা হয় ।
বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট 3
অধ্যায় : ‘নোট বই,
১. বহু বিকল্পীয় প্রশ্ন : (প্রতি প্রশ্নের মান ১)
১.১. 'নােট বই' কবিতায় গরু ছটপট করে ---
(ক) কাতুকুতু দিলে, (খ) আঘাত করলে , (গ) বেঁধে রাখলে , (ঘ) জল না দিলে।
উত্তর :- কাতুকুতু দিলে ।
১.২. "জবাবটা জেনে নেব" ---
(ক) মেজদাকে অনুরােধ করে , (খ) মেজদাকে খুঁচিয়ে , (গ) মেজদাকে ভয় দেখিয়ে , (ঘ) মেজদার মাধ্যমে।
উত্তর :- মেজদাকে খুঁচিয়ে ।
১.৩. বলাে দেখি ঝাজ কেন জোয়ানের আরকে"?-তারক’ শব্দের অর্থ হলাে --
(ক) নির্যাস, (খ) বড়ি , (গ) পাতা ,(ঘ) গাছ।
উত্তর :- নির্যাস।
২. ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন : (প্রতি প্রশ্নের মান-৩) (প্রতিটি উত্তর কম-বেশি চারটি বাক্যে লিখতে হবে)
২.১ "ভালাে কথা শুনি যেই চটপট লিখি তায়-"-ভালাে কথাগুলি কী কী ছিলাে ?
উত্তর :- নোটবুক কবিতায় বক্তার ভালো কথার কয়েকটি নমুনা হলো - ফড়িং এর কটা ঠ্যাং, আরশোলা কি কি খায় আঙ্গুলে আঠা দিলে চট চট করে এবং কাতুকুতু দিলে গরু কেন ছটফট করে ।
২.২ "তােমরাও নােট বই পড়ােনি !"- না বই না পড়ার কারণে কোন কোন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি ?
উত্তর :- নোট বই না পরার কারনে পেট কামরাড় জোয়ানের আরকে ঝাজ থাকার , তেজপাতায় তেজ থাকায় বা লঙ্কায় থাকার কারণ ও পিলে চমকানোর বা নাক ডাকার কারণ এবং দুন্দুভি বা অরনী কাকে বলে - এগুলি জানা যায়নি ।
২.৩ আগাগোড়া-এমন বিপরীতার্থক শব্দের সমাবেশে তৈরি পাঁচটি শব্দ লেখাে।
উত্তর :- আশা - নিরাশা , ধনি - দরিদ্র , জয় - পরাজয় , ঘাত- প্রতিঘাত ও বাদ - প্রতিবাদ ।
অধ্যায় : 'খােকনের প্রথম ছবি - বনফুল
১. বহু বিকল্পীয় প্রশ্ন : (প্রতি প্রশ্নের মান ১) (নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ঠিক উত্তরটি বেছে লেখা)
১.১. “খোকন সত্যি সত্যি একে ফেলল একদিন"- খােকন এঁকেছিল ---
(ক) টেবিল (খ) কলসি (গ) ইউক্যালিপটাস গাছ (ঘ) গােলাপ ফুল।
উত্তর :- ইউক্যালিপটাস গাছ ।
১.২. "মেঘের ছবি আঁকতে গিয়ে বেকুব হয়ে গেল খােকন"। 'বেকুব' হল ---
(ক) তৎসম শব্দ , (খ) তদ্ভব শব্দ ,(গ) আরবি-ফারসি শব্দ , (ঘ) দেশি শব্দ।
উত্তর :- আরবি-ফারসি শব্দ
১.৩. খােকনের বাবার চিত্রকর-বন্ধুটি থাকেন-
(ক) দিল্লিতে (খ) লক্ষ্ণৌতে (গ) কলকাতায় (ঘ) মাদ্রাজে।
উত্তর :- লক্ষ্ণৌতে ।
২. ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন : (প্রতি প্রশ্নের মান-২) (প্রতিটি উত্তর তিন চারটি বাক্যে লিখতে হবে)
২.১. "প্রকৃতির ছবি ঠিক আঁকা যায় না।"-একথা বলার কারণ কী?
উত্তর :- প্রকৃতির ছবি ঠিকমতো আঁকা যায় না কারণ প্রকৃতির সৌন্দর্য ও বিস্তারকে আঁকতে ছবিতে ফুটিয়ে তোলা যায় না । তাই খোকনের আঁকা সূর্যের ছবি তে সূর্যের দৃপ্তি ফুটে উঠতে পারেনি বা গোলাপের ছবিতে ও গোলাপের সৌন্দর্য ধরা পড়ে নি ।
২.২. "নিজের প্রথম সৃষ্টির দিকে অবাক হয়ে চেয়ে রইল খােকন।"-প্রথম সৃষ্টি কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর :- খোকন আগে যতগুলো ছবি এঁকেছে সব ছবিগুলোই কোন কিছুর প্রতিরূপ । কিন্তু অন্ধকারে ঘরে বসে কল্পনাশক্তির দ্বারা অন্ধকারে যে ছবি এঁকেছেন সেটি খোকনের নিজস্ব । তাই সেই ছবিকে খোকনের প্রথম সৃষ্টি বলা হয়েছে ।
বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট 4
১.ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো:
১.১) 'পাগলা গণেশ' গল্পে গণেশের বয়স- দুশো বছর।
১.২) 'কোকনন্দ' হল- রক্তপদ্ম।
১.৩) 'পাখি সব করে রব রাতি' পোহাইল -কবিতাটির রচয়িতা- মদনমোহন তর্কালঙ্কার।
১.৪)শ্রদ্ধেয় রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রামকিঙ্কর বেইজের পরিচয় হল- বাঁকুড়ায়।
১.৫) খোকনের বাড়ির সামনেই ছিল একটি- ইউক্যালিপটাস গাছ।
২।খুব সংক্ষেপে নীচের প্রশ্ন গুলোর উত্তর দাও:
উত্তর: শ্রোতা বলেছিলেন আকাশ শুনছে, বাতাস শুনছে, প্রকৃতি শুনছে।
উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
উত্তর: আশরাফ সিদ্দিকী রচিত "একুশের কবিতা" কবিতায় "পাখি সব করে রব..." , "মাতৃভূমি বাংলাদেশ" , "ভাটিয়ালি জারি-সারি" এমনকি ছোটবেলায় মায়ের মুখে শোনানো নানান গানের কলির সুরের প্রসঙ্গ রয়েছে।
উত্তর: রামকিঙ্কর বেইজের " আত্মকথা" নামক গল্পের গল্পকথক নন্দলাল বসুর স্মৃতিচারণায় প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন।
উত্তর: 'এগুলো সব নকল করা ছবি। তোমার নিজের আঁকা ছবি কই।' এই কথাটি শুনে খোকন অবাক হয়েছিল।
৩।নীচের প্রশ্ন গুলোর উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:
উত্তর: কবি অজিত দত্ত রচিত "ছন্দে শুধু কান রাখো" কবিতায় কবি একাগ্র চিত্তে কান পেতে পরিবেশের ছন্দ বুঝতে বলেছেন। আর এভাবেই জীবন পদ্যময় হয়ে উঠবে বলে কবি মনে করেন।
উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত "বঙ্গভূমির প্রতি" কবিতায় "সুবরদে" শব্দের অর্থ শুভ আশীর্বাদ দান করেন যিনি অর্থাৎ বর দাত্রী।
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত উপলব্ধি করেন যে তিনি জীবনের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন। মাতৃভূমির জন্য কিছুই করতে পারেননি। তিনি এখন মাতৃভূমির সেবার মাধ্যমে অমর হয়ে থাকতে চান। তাই তিনি অমরত্বের বর প্রার্থনা করেছিলেন।
উত্তর: কবিকে যখন হাওয়া জোনাকির কাছে নিয়ে গেলো।
উত্তর: কুতুব মিনার বা ক্বুতাব্ মিনার্ ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত একটি স্তম্ভ বা মিনার, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ইটনির্মিত মিনার।এটি কুতুব কমপ্লেক্সের মধ্যে অবস্থিত।ভারতের প্রথম মুসলমান শাসক কুতুবুদ্দিন আইবেকের আদেশে কুতুব মিনারের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে, তবে মিনারের উপরের তলাগুলোর কাজ সম্পূর্ণ করেন ফিরোজ শাহ তুঘলক ১৩৮৬ খ্রিষ্টাব্দে। ভারতীয়-মুসলিম স্থাপত্যকীর্তির গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে কুতুব মিনার গুরত্বপূর্ণ।এর আশে-পাশে আরও বেশ কিছু প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় স্থাপনা এবং ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যা একত্রে কুতুব কমপ্লেক্স হিসেবে পরিচিত। এই কমপ্লেক্সটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে তালিকাবদ্ধ হয়েছে এবং এটি দিল্লির অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন-গন্তব্য। এটি ২০০৬ সালে সর্বোচ্চ পরিদর্শিত সৌধ, পর্যটকের সংখ্যা ছিল ৩৮.৯৫ লাখ যা তাজমহলের চেয়েও বেশি, যেখানে তাজমহলের পর্যটন সংখ্যা ছিল ২৫.৪ লাখ। প্রখ্যাত সুফি কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকীর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।
৪।নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও:
উত্তর: প্রাচীনকালে এদেশের অধিবাসী ছিলেন অনার্য, দ্রাবিড়, কোল প্রভৃতি জাতি। তাদের ভাষা ও সংস্কৃতির কিছু শব্দ বাংলা ভাষায় রক্ষিত হয়েছে। এগুলোকে খাটি দেশি শব্দ বলা হয়। অনেক সময় এসব শব্দের মূল নির্ণয় করা যায় না। খাটি দেশি শব্দের উদাহরণ- কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, গজ, টাপর, ঢেঁকি ইত্যাদি।
উত্তর: যে সমস্ত শব্দ সংস্কৃত থেকে পরিবর্তিত হয়ে প্রাকৃত বা অপভ্রংশ এ ব্যবহৃত হয়েছিল, পরে আবার প্রাকৃত থেকে পরিবর্তিত হয়ে বাংলায় গৃহীত হয়েছে সেই সমস্ত শব্দকে তদ্ভব শব্দ বলা হয়। এভাবেই তদ্ভব শব্দ গড়ে উঠেছে।
উত্তর: গৃহিণী>গিন্নী। কুৎসিত>কুচ্ছিত।
উত্তর: গাঙ্গুলী ( "গাঙ্গুলী" দীর্ঘকার হবেনা )।
১ ) সেন যুগে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসার কমে গিয়েছিল – এই উক্তিটির স্বপক্ষে দুটি বা তিনটি বাক্য লেখ।
উত্তর –
পাল যুগের মত সেন যুগে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার এবং প্রসার ঘটেনি। সেন রাজারা ব্রাহ্ম ধর্মকে প্রাধান্য দিতেন। বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটেনি। বৌদ্ধধর্মের অস্তিত্ব থাকলেও বৌদ্ধরা আগেকার যুগের মত সুযোগ সুবিধা পেত না। সেন রাজা লক্ষণ সেন ছিলেন বৈষ্ণব, আর তার পূর্বসূরিরা ছিলেন শৈব।
২ ) প্রাচীন বাংলার যে অঞ্চল ও নদী গুলির নাম তুমি দ্বিতীয় অধ্যায় পড়েছো তার একটি তালিকা তৈরি করো।
উত্তর – বাংলার অঞ্চল – পুন্ড্রবর্ধন, বরেন্দ্র, বঙ্গ, বঙ্গাল, রাঢ়, সঙ্গ, সমতট, হরিকল।
প্রাচীন বাংলার নদনদী – পদ্দা, মেঘনা।
৩ ) ভারতের সামন্ততন্ত্রকে একটি ছবি এঁকে বর্ণনা করো। সামন্ততন্ত্রকে ব্যাখ্যা করতে ত্রিভুজ বা পিরামিডের আকৃতি কেন জরুরী ? দুটি অথবা তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর – নিচের দিকে চওড়া হয়েছে। নিচে অনেক জনগণ, তাদের ওপর বেশ কিছু সামন্ত বা মাঝারি শাসক, মাঝারি শাসকদের ওপরে কিছু মহাসামন্ত, আর সবার ওপরে রাজা।
৪ ) পাল ও সেনযুগে কি কি ফসল চাষ হতো তার একটি তালিকা তৈরি করো। সেই ফসলগুলির কোন কোনটি এখনো চাষ করা হয় ?
উত্তর – পাল ও সেন যুগের প্রধান ফসল গুলি হল – ধান, সর্ষে এবং ফল যেমন – আম, কাঁঠাল, কলা, ডালিম, খেজুর, নারকেল ইত্যাদি।
এখনো যে ফসল চাষ হয় – ধান, আম, কাঁঠাল, কলা, খেজুর।
১ ) শশাঙ্ক বৌদ্ধবিদ্বেষী ছিলেন – এই উক্তিটি ঠিক না ভুল ? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে দুটি অথবা তিনটি বাক্য লেখ।
উত্তর – শশাঙ্কের ধর্মীয় বিশ্বাস ছিল শিবের উপাসক। শশাঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় তিনি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হত্যা এবং বৌদ্ধদের পবিত্র স্মারক ধ্বংস করেছিলেন। কিন্তু এই সমস্ত অভিযোগ যথার্থ নয় কারণ হিউ এন সাং শশাঙ্কের শাসনকালের কয়েকবছর পরে বৌদ্ধবিহারে চরম সমৃদ্ধি লক্ষ্য করেন। এ থেকেই প্রমাণিত হত যে শশাঙ্ক নির্বিচারে বৌদ্ধ বিদ্বেষী হলে এভাবে বৌদ্ধ ধর্মের বিকাশ লাভ সম্ভব হতো না। শশাঙ্ক বৌদ্ধবিদ্বেষী ছিলেন না।
২ ) সুলতান মামুদের ১৭ বার ভারত আক্রমণ এর পিছনে প্রকৃত কারণ কি ছিল বলে তোমার মনে হয় ?
উত্তর – বারংবার আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় মন্দিরগুলির থেকে ধন সম্পদ লুট করা এবং সেই সম্পদ নিয়ে গজনীর নানা উন্নয়নমূলক কাজ করা –
i ) তিনি তার রাজধানী গজনী ও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য শহরগুলিকে খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলেন।
ii ) একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন এবং শিক্ষক ও ছাত্রদের বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করেন।
৩ ) নিচের শব্দগুলির জন্য দুটি করে বাক্য লেখ :
ক ) মাৎস্যন্যায়: গৌড়রাজ শশাঙ্কের মৃত্যুর পর পাল বংশের উত্থান পর্যন্ত দীর্ঘ ১০০ বছর ধরে বাংলাদেশে চরম অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। দুর্বলরা সর্বদাই সবলদের দ্বারা অত্যাচারিত হতো। বাংলার এই সময় কে মাৎস্যন্যায় বলা হয়।
খ ) ব্রহ্মদেয়: কৃষি জমির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ব্রাম্ভনদের অনেক সময় জমি দান করা হতো। তারা অনাবাদি জমি এবং জঙ্গল পরিষ্কার করে বসতি তৈরি করতো।ব্রাম্ভনদের কিছু জমি দেওয়া হতো, যার কর নেওয়া হতো না। এই জমি দানের ব্যবস্থাকে ব্যবস্থাকে ব্রহ্মদেয় বলা হত।
গ ) খিলাফত: হযরত মোহাম্মদ মৃত্যুর পর ইসলাম জগতের নেতৃত্ব কে দেবেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তখন হযরত মোহাম্মদের চার সঙ্গী মুসলমানদের নেতা হিসাবে নির্বাচিত হন। এদের বলা হয় খলিফা। খলিফা শব্দটি আরবি শব্দ, যার মানে প্রতিনিধি।
সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস এর মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 3
বিষয় - মুঘল সাম্রাজ্য
(ক) সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করে।
(1) সড়ক-ই-আজম নির্মাণ করেন (হুমায়ুন/ শেরশাহ আকবর)।
উত্তর:- শেরশাহ ।
(২) বীরবলের প্রকৃত নাম কি ছিল (বিষেন দাস/ চরন দাস /মহেশ দাস ) ।
উত্তর:- মহেশ দাস ।
(৩) দহসালা বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন- (আকবর/ শাহজাহান/ ঔরঙ্গজেব)।
উত্তর:- আকবর ।
(ঘ) ক স্তম্ভের সাথে খ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো ?
উত্তর :-
ক খ
(i) মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা (b) বাবর
(ii) হুমায়ুন পরবর্তী আফগান শাসক (a) শেরশাহ
(iii) শেরশাহ পরবর্তী মুঘল শাসক (d) হুমায়ুন
(iv) দিন-ই-ইলাহী (c) আকবর
(গ) দু-এক কথায় উত্তর দাও
(1.) পানিপথের প্রথম যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল ?
উত্তর :-
পানিপথের প্রান্তরে ইব্রাহিম লোদীর নদীর সঙ্গে বাবরের 1526 খ্রিস্টাব্দে পানিপথের প্রথম যুদ্ধ হিয়েছিল ।
(2.) পাট্টা ও কবুলিয়ত কী ?
উত্তর:-
পাট্টা হলো :- পাট্টা শের শাহের ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থায় একটি দলিল এতে কৃষকের নাম ও জমির পরিমাণ উল্লেখ থাকতো ।
কবুলিয়ত হলো :- কবুলিয়াত হল শেরশাহের ভূমি রাজত্বে সংক্রান্ত একটি দলিল । এতে কৃষক সরকারকে কি পরিমানে খাজনা দেবে তা উল্লেখ থাকতো ।
(3.) দাগ ও হুলিয়া কী ?
উত্তর:-
শেরশাহ সেনাবাহিনীর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে যে ব্যবস্থা চালু করেন তাকেই দাগ ও হুলিয়া প্রথা বলে ।
(4.) আবুল ফজল কে ছিলেন ?
উত্তর:-
আকবরের আমলে এক বিখ্যাত ঐতিহাসিক ছিলেন আবুল ফজল, তার লেখা আকবর নামা তে তিনি আকবরের প্রশংসা করেছেন ।
১. ক - স্তম্ভের সাথে খ - স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :
ক - স্তম্ভ
খ – স্তম্ভ
হর্ষচরিত
অল বিরুনি
গৌড়বহো
বাণভট্ট
কিতাব অল - হিন্দ
বাক্পতিরাজ
উত্তরঃ
ক - স্তম্ভ
খ – স্তম্ভ
হর্ষচরিত
বাণভট্ট
গৌড়বহো
বাক্পতিরাজ
কিতাব অল - হিন্দ
অল বিরুনি
২. বেমানান শব্দটির নিচে দাগ দাও :
(ক) বিজয়ালয়, দন্তিদুর্গ, প্রথম রাজরাজ, প্রথম রাজেন্দ্র
উত্তরঃ বিজয়ালয়, দন্তিদুর্গ, প্রথম রাজরাজ, প্রথম রাজেন্দ্র
(খ) বরেন্দ্র, হরিকেল, কনৌজ, গৌড়
উত্তরঃ বরেন্দ্র, হরিকেল, কনৌজ, গৌড়
(খ) হলায়ুধ, জয়দেব, গোবর্ধন, উমাপতিধর
উত্তরঃ হলায়ুধ, জয়দেব, গোবর্ধন, উমাপতিধর
৩. সংক্ষেপে (৩০ - ৫০ টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও :
(ক) পাল - সেন যুগে কেমন ভাবে কর আদায় করা হত?
উত্তরঃ পাল ও সেনযুগের রাজারা বিভিন্ন ধরনের কর সংগ্রহ করতেন। সেগুলি নীচে আলোচনা করা হলো -
(১) কৃষি কর ঃ রাজারা উৎপন্ন ফসলের ছয় ভাগের এক ভাগ কৃষকদের কাছ থেকে কর নিতেন। তাঁরা নিজেদের ভোগের জন্য ফুল, ফল, কাঠ ও প্রজাদের কাছ থেকে কর হিসাবে আদায় করতো।
(২) বাণিজ্য কর ঃ বণিকরা তাদের ব্যাবসাবাণিজ্য করার জন্য রাজাকে কর দিত।
(৩) অন্যান্য কর ঃ এছাড়াও প্রজারা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজাকে কর দিত। সমগ্র গ্রামের উপরেও কর দিতে হতো গ্রামবাসীদের। হাট ও কেয়াঘাটের উপরে কর চাপানো হতো।
(খ) সেন রাজারা কি সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন?
উত্তরঃ বাংলার সেন বংশের রাজা লক্ষ্মণ সেন ছিলেন সাহিত্যানুরাগী। অনেক কবি ও সাহিত্যিক তাঁর রাজসভা অলংকৃত করতেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন -
(১) কবি জয়দেব ঃ লক্ষণ সেনের সভাপতি জয়দেব ছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক। তাঁর রচিত কাব্যের নাম হলো "গীতগোবিন্দ"। এই কাব্যের বিষয় ছিল রাধাকৃষ্ণের প্রেমের কাহিনি।
(২) ধোয়ী ঃ তাঁর রাজসভার আর এক কবি ধোয়ী লিখেছিলেন 'পবনদূত" কাব্য।
(৩) পঞ্চরত্ন ঃ জয়দেব ও ধোয়ীসহ আরও তিনজন গোবর্ধন, উনাপতি ধর এবং শরণ লক্ষণ সেনের সভা অলংকৃত করেছিলেন। এই পাঁচজন কবিকে একত্রে "পঞ্চরত্ন" বলা হয়।
(৪) এছাড়াও লক্ষণ সেনের মন্ত্রী হলায়ুধ বৈদিক নিয়ম বিষয়ে "ব্রাহ্মণ সর্বস্ব" নামে একটি বই লিখেছিলেন। লক্ষণ সেন নিজেও পিতার অসমাপ্ত "অদ্ভুতসাগর" বইটি সমাপ্ত করেন।
৪. নিজের ভাষায় লেখো (১০০ - ১২০ টি শব্দের মধ্যে) :
বখতিয়ার খলজির বাংলা আক্রমণের পর বাংলাতে কি কি পরিবর্তন ঘটেছিল?
উত্তরঃ বখতিয়ার খলজি যার সম্পূর্ণ নাম হল ইখতিয়ার উদ্দিন মহম্মদ বখতিয়ার খলজি। ১২০৮ সালে মাত্র ১৭ জন অশ্ব আরোহী সেনা নিয়ে নদীয়ার রাজা লক্ষণ সেনকে পরাজিত করেন। নদীয়া জয়লাভের পর তিনি সেখানে মুসলিম শাসন সাম্রাজ্য স্থাপন করেন।
বখতিয়ার খলজি তিনদিন যাবৎ নদীয়া লুটপাট করেন। লক্ষণ সেনের বিপুল ধন-সম্পদ দখল করেন। এমনটি ভৃত্যবর্গ ও হস্তী তার হস্তগত হয়। প্রায় বিনা যুদ্ধেই বখতিয়ার খলজি বাংলার একাংশ অর্থাৎ নদীয়া দখল করেন। এরপর বখতিয়ার খলজি নদীয়া ছেড়ে লখনৌতি দখল করেন। সমকালীন ঐতিহাসিকরা নিজের রাজধানী স্থাপন করেন। সমকালীন ঐতিহাসিকরা এই রাজ্যের নাম লখনৌতি উল্লেখ করেন।
নব প্রতিষ্ঠিত রাজ্যে তিনি সুশাসনে ব্যবস্থা করেন। তার সাথে অত্তিয়াপের সময় ও পরবর্তী কালে যে সমস্ত তুর্কী মুসলমানরা বসবাসের জন্য সেখানে আসেন তাদের জন্য মসজিদ, মাদ্রাজা ও খানকাহ নির্মান করেন। তিনি জানতেন শুধুমাত্র সামরিক শক্তির উপর একটি রাজ্যে প্রতিরক্ষা নির্ভর করেন। পরিপূর্ণ শান্তির জন্য চাই অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা। আর তাই তার প্রতিষ্টিত মুসলিম রাজ্যের স্থায়ীত্বে সুষ্ট মুসলিম সমাজ গঠন করার প্রয়াস করেন। সেই জন্য তিনি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে সেনাপতিদের তার রাজ্য শাসন ভার দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মর্দান খলজি বরসৌলে হুসাম উদ্দিন ইতজ খলজি গঙ্গাতবীর। বখতিয়ার খলজি বৌদ্ধ ও হিন্দুদের কাছে শুধু মাত্র একজন খুনী লুটেরা ছিল কিন্তু মুসলমানদের কাছে তিনি ছিলেন একজন বীর যোদ্ধা। তবে একথা সত্য যে ইতিহাসের একটি অংশের শেষ তার হাত ধরে শুরু হয়েছিল আবার অন্য একটি অংশের সূচনা ও হাত ধরে হয়েছিল। তার আমলে ব্যাপক পরিমান মানুষ মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিল। বাংলাদেশের খ্যাতনামা কবি আল মাহমুত তার 'বখতিয়ারের ঘোড়া' কাব্যগ্রন্থে বখতিয়ারের প্রসংশা করেছেন। একজন বীর চরিত্র হিসাবে। ১২০৬ সালে মানসিক ও শারীরিক ভাবে বিপর্যত হয়ে তিনি মারাযান।
ACTIVITY 1 Answer:
Positive Forms
Superlative Forms
Good
Best
Kind
Kindest
Beautiful
Most Beautiful
ACTIVITY 2 Answer:
(a) I am writing a letter now. (write)
(b) It was raining heavily yesterday. (rain)
(c) We were going to the fair when my father called me. (go)
ACTIVITY 3 Answers:
The policemen caught the running thief.
(a) The injured man was taken to the hospital.
(b) The tired child soon fell asleep.
(c) People mistook the shining stone as diamond.
ACTIVITY 1 Answer:
(a) Emperor Akbar – Emperor Akbar was a great lover of arts, sciences, literature and music.
(b) Birbal – Birbal was Akbar’s most trusted minister.
(c) The garden – There were flowers of all shapes and sizes in Akbar’s garden.
ACTIVITY 2 Answer:
Write the Antonyms of the following words:
i) Usual : Unusual
ii) Greatest : Smallest
iii) Beautiful : Ugly
ACTIVITY 3 Answer:
Imagine you have entered a beautiful mansion like Belle in The Beauty and The Beast. Write five sentences stating your experience:
I entered into a very beautiful mansion. The design of the mansion was magnificent. It was looking very beautiful from outside. I felt very glad. I loved the mansion a lot.
Model Activity Tasks English Class 7 Part 3
Lesson - 5 , Uncle podger Hangs a picture
Read the passage carefully and answer the questions that follow:
And then he would took off his coat, and begin. He would send the girl out for sixpen'orth of nails, and then one of the boys after her to tell her what size to get.
"Now you go and get me my hammer, Will," he would shout, and you bring me the rule, Tom. I shall want the step- ladder, and I had better have a kitchen-chair, too. And don't you go. Maria, because I shall want somebody to hold me the light. When the girl comes back she must go out again for a bit of picture cord. Tom ! - Where's Tomtom, you come here, I shall want you to hand me up the picture."
ACTIVITY 1
Tick the correct alternatives :
(a) The nails cost--- (i) five pennies, (ii) six pennies, (iii) seven pennies,
Ans - six pennies .
(b) Before beginning his job, Uncle Podger would -- (i) took off his coat, (ii) drink tea, m) buy some nails,
Ans- Took off his coat .
(c) The girl would go out again to bring -- (i) a kitchen-chair, ii) some more nails, iii) the cords
Ans - The cords .
ACTIVITY 2
Write T' for true and F' for false statements in the given boxes. Give supporting sentences / statements from the text :
(a) Uncle Podger asked Aunt Maria to assist him with the chair.
S.S -- False ---And don't go Maria because I shall want somebody to hold me The light .
(b) Two persons were engaged to bring the nails.
S.S.--True --- he would send the girl out for sixpenorth of nails and then one of the boys after her to tell her...
(c) The first thing that Uncle Podger wanted was Will's hammer
S.S. -- False --- Now you go and get me my Hamer .
ACTIVITY 3
Fill in the blanks with the proper forms of the Verbs given in brackets. One is done for you:
Your examination is going (go ) on. It_____will be___________ (be) over in 10 days or so. It____is hoped________(hope) that many of you____will do________ ( do ) well. However, after the examination, everyone ___will have to wait_________(wait for the day when the result ___will be published______________ ( publish ).
ACTIVITY 4
Rewrite the sentences as directed :
(a) What a fool you are !________ (turn into a statement).
Ans:- you are really a fool
(b) Hang the picture on the wall______(Change the voice)
Ans:- let the picture be hung on the wall
(e) She is a happy woman __________(Turn into a Complex Sentence)
Ans:-she is a women . Who is a happy .
ACTIVITY - 5 .
Suppose one day you and your brother undertook a task of hanging a picture on the wall of your room. Write in your own words all the funny things that both of you did during the work in five complete sentences. Also draw a picture of the rainbow and the landscape that you experienced .
Ans:-
1. Last Sunday I and my brother undertook the task of hanging picture in our room .
2. While climbing up the ladder my brother missed a step and fell down into the floor .
3. The I climbed up and tried to put the nail into the wall .
. 4. I struck on my thumb with the hammer
5. I left the hammer in pain and it fell on my on my brother head
MODEL ACTIVITY TASK part 4 ENGLISH
Read the passage carefully and answer the questions that follow :
You know of course that earth is very, very old-millions and millions of years old. And for a long long time there were no men or women living in it, before the men came there were only animals, and before the animals there was a time when no kind of life existed on the earth. It is difficult to imagine this world of ours which is so full today of all kinds of animals and men, to be without them. But scientists and those who have studied and thought a great a deal about these matters tell us that there was a time when the earth was too hot for any living being to live on it.
ACTIVITY : 1
Answer the following questions in complete sentences :
(i) How old is the earth?
Answer : The Earth millions and millions of years old.
(ii) Describe the earth before man existed.
Answer : Before the men came there were only animals, and before the animals there was a time when no kind of life existed on the earth.
(iii) Why was there no life on earth?
Answer : there was a time when the earth was too hot for any living being to live on it.
ACTIVITY : 2
Select the correct homophone from the brackets and fill in the blanks :
(i) Akbar, the great Mughal emperor, __________ for forty-nine years. (reined/reigned)
Answer : reigned
(ii) Anamika loves to have __________. (curd/card)
Answer : curd
(iii) Sania is too __________ to move out of doors. (week/weak)
Answer : weak
(iv) Do you like to watch the TV __________ ? (cereals/serials)
Answer : serials
(v) The __________ of our neighbourhood has __________ this beautiful vase. (made/maid)
Answer : maid, made
ACTIVITY : 3
Write a paragraph (in about 70 words) about your best friend. You may use the following points :
Points : name of your best friend - why is he/she your best friend - his/her likes and dislike - how do you help each other - conclusion.
Answer : Tinku is my best friend. We read in the same a class at Chhoygharira Rakhal Das High School (H: S:). He always helps me to solve my Mathematical problems. He play football and also likes to study and drawing. He dislike every action that is wrong and specially he hates all liars. I can trust him to share my secrets. He is so dependable. But sometime he can be very obstinate. But I don't mind.
১ ) চিত্রের সাহায্যে ঋতু পরিবর্তন কিভাবে সংঘটিত হয় তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – ঋতু পরিবর্তন সংঘটিত হওয়ার কারণ –
i ) পৃথিবীর মেরু রেখা কক্ষতলের সঙ্গে সর্বদা একই দিকে সারে ৬৬ ডিগ্রি কোণ করে হেলে থাকে। এইরূপ অবস্থানের ফলে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যর হ্রাস – বৃদ্ধি হয়।
ii ) পৃথিবীর গোলাকৃতির জন্য ভূপৃষ্ঠে সূর্যরশ্মির পতন কোণের তারতম্যে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে বছরের বিভিন্ন সময়ে উষ্ণতার তারতম্য হয়।
iii ) পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য।
iv ) পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথের কারণে বিভিন্ন সময়ে যে উষ্ণতার তারতম্য হয় তার ফলে ঋতুর পর্যায়ক্রমিক আবর্তন ঘটে।
২ ) একটি চিত্রের সাহায্যে কোন স্থানের অক্ষাংশ কিভাবে নির্ণয় করা হয়, তা ব্যাখ্যা করো।
৩ ) বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ এর মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো।
উত্তর –
বায়ুর উচ্চচাপ –
i ) পৃথিবীর শীতলতম অঞ্চলগুলোতে বায়ুর উচ্চচাপ দেখা যায়।
ii ) উচ্চচাপে বায়ু শীতল হাওয়ায় সংকুচিত হয়।
iii ) বায়ুর উচ্চচাপ অঞ্চলে সাধারণত মেঘ-বৃষ্টি কিছুই হয় না, পরিষ্কার ও শান্ত আবহাওয়া থাকে।
বায়ুর নিম্নচাপ –
i ) পৃথিবীর উষ্ণ অঞ্চলগুলিতে বায়ুর নিম্নচাপ দেখা যায়।
ii ) নিম্নচাপের বায়ু উষ্ণ হওয়ায় বায়ু প্রসারিত ও হালকা হয়।
iii ) নিম্নচাপ অঞ্চলে মেঘ, বৃষ্টি, ঝড় ও অশান্ত আবহাওয়া দেখা যায়।
৪ ) এশিয়ার উষ্ণমরু ও ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।
উত্তর –
ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য –
i ) এখানে গ্রীষ্ম কালে উষ্ণতা থাকে ২১ ডিগ্রি – ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ii ) এখানে শীতকালে উষ্ণতা থাকে ৫ ডিগ্রি – ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
iii ) পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে এখানে শীতকালে বৃষ্টিপাত হয়।
iv ) এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩০ – ৫০ সেমি।
উষ্ণমরু জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য –
i ) এখানে গ্রীষ্ম কালে উষ্ণতা থাকে ৩০ ডিগ্রি – ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ii ) এখানে শীতকালে উষ্ণতা থাকে ১৫ ডিগ্রি – ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
iii ) এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০ – ২৫ সেমি।
১ ) পৃথিবীর অপসূর ও অনুসূর অবস্থানের একটি চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো।
২ ) ভারতীয় স্থানীয় সময়ের গুরুত্ব নিরূপণ করো।
উত্তর – যে কোন স্থান থেকে আকাশে সূর্যের সর্বোচ্চ অবস্থান দেখে যে সময় গণনা করা হয় তাকে বলে স্থানীয় সময়।
স্থানীয় সময়ের গুরুত্ব : –
i ) স্থানীয় সময় অনুসারে দিনের অন্যান্য সময় গণনা করা হয়।
ii ) স্থানীয় সময়ের ব্যবহার কম।
iii ) একই দ্রাঘিমা বরাবর মোটামুটি স্থানীয় সময় একই হয়।
৩ ) বায়ুচাপের তারতম্যে জলীয় বাষ্পের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু শুষ্ক বায়ুর তুলনায় হালকা। এই কারণে তার চাপও কম। এজন্য যেসব অঞ্চলের বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে, সেখানে বায়ুর চাপ কম হয়। অপরপক্ষে বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কম হলে বায়ু শুষ্ক হয় ও সেখানে উচ্চচাপ বিরাজ করে। নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর চাপ কম হলেও মেরু অঞ্চলে জলীয়বাষ্পের অভাবে বায়ুচাপ অনেক বেশি হয়।
৪ ) অক্ষাংশগত বিস্তৃতি ও সমুদ্র থেকে দূরত্ব কিভাবে এশিয়ার জলবায়ুকে প্রভাবিত করে ?
উত্তর – দক্ষিণে ১০ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ থেকে উত্তরে ৭৮ ডিগ্রি অক্ষাংশ পর্যন্ত এশিয়া মহাদেশের বিস্তৃত। এত বিরাট ব্যবধান এর জন্য সূর্য রশ্মির পতন কোণের পার্থক্যের কারণে এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে উষ্ণতার যথেষ্ট পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এশিয়ার দক্ষিণ প্রান্ত গ্রীষ্মমন্ডলে, মধ্য অংশ নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলে এবং উত্তরাংশ হিমমণ্ডলে অবস্থিত।
বিশাল আয়তনের জন্য এশিয়ার মধ্যভাগের অঞ্চলগুলি সমুদ্র থেকে বহু দূরে অবস্থিত হওয়ায় সমুদ্রের কোনরকম প্রভাব এসব অঞ্চলে পড়ে না। তাই সেখানকার জলবায়ুতে শীত ও গ্রীস্মের চরমভাবে দেখা যায়। অন্যদিকে সমুদ্রের নিকটবর্তী অঞ্চলের জলবায়ু উষ্ণ ও আদ্র থাকে এবং এখানকার শীতকালও মৃদুভাবাপন্ন হয়।
1.ক) নিচের বিকল্পগুলি থেকে সঠিক বিকল্পটি বেছে নিয়ে উত্তরটি লেখ ?
Ans. শাখা নদী বোঝাতে গেলে নিচের সঠিক ছবিটি হলো
খ) নিচের উল্লেখ করা ভূমিরূপ গুলির মধ্যে বেমানান হলো ?
অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ / জলপ্রপাত / গিরিখাত / ক্যানিয়ন
Ans. অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ।
2) গিরিখাত ও ক্যানিয়ন এর মধ্যে পার্থক্য গুলি উল্লেখ করো।
Ans.
গিরিখাত
ক্যানিয়ন
1. উচ্চগতিতে নদীর অধিক নির্ণয় কম্পাস এর ফলে গিরিখাত সৃষ্টি হয়।
1. উচ্চগতিতে নদীর কেবলমাত্র নিম্ন ক্ষয়ের ফলে ক্যানিয়ন সৃষ্টি হয়।
2. আর্দ্র ও শুস্ক উভয় পার্বত্য অঞ্চলে দেখা যায়.
2. কেবলমাত্র শুষ্ক পার্বত্য অঞ্চলে দেখা যায়।
3. আকৃতি ইংরেজি V কিংবা 'I' অক্ষরের মতো।
3. আকৃতি ইংরেজি ' অক্ষরের মতো
4. সব গিরিখাত ক্যানিয়ন নয়।
4. সব ক্যানিয়ন- ই গিরিখাত।
5. যেমন পেরুর ক্যানন দ্য কলকা নদী গিরিখাত
5. যেমন কলোরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।
3) নদীর উচ্চগতি ,মধ্যগতি ও নিম্নগতির সাথে মূলত ক্ষয়, পরিবহন ও সঞ্চয় কাজ যথাক্রমে প্রাধান্য পায় কেন উল্লেখ করো ?
Ans.নদী মূলত বয়ে যাওয়া জলধারা। নদীর গতি 3 প্রকার যথাক্রমে উচ্চগতি, মধ্যগতি ,নিম্নগতি। এই তিন গতির মধ্যে পার্থক্যটা হলো ভূমির ঢাল, জলের পরিমাণ ও জলের গতিবেগ নিয়ে। উচ্চগতিতে ভূমির ঢাল অনেক বেশি হওয়ায় জলের বেগও অনেক বেশি থাকে , তখন নদী সমস্ত বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে চলে। ফলে উচ্চগতিতে ক্ষয়কার্য (Erosion) প্রাধান্য পায়।মধ্য গতিতে ভূমির ঢাল তুলনামূলকভাবে একটু কম হয় কিন্তু নদীতে জলের পরিমাণটা অনেক বেশি হয় ফলে নুড়ি, কাকর , বালি ,পলি এইসব নদীর স্রোতের সঙ্গেই বয়ে নিয়ে যেতে সুবিধা হয়। তাই মধ্য গতিতে নদীর বহনকাজ (Transportation) প্রাধান্য পায়। নিম্নগতি বা বদ্বীপ প্রবাহে ভূমির ঢাল খুব কম থাকে ফলে নদীতে শক্তির পরিমাণ কম থাকে । বয়ে নিয়ে আসা নুড়ি, কাকর বালি ,পলি নদীয়ার বয়ে নিয়ে যেতে পারে না। তাই নিম্নগতিতে নদীর সঞ্চয়কাজ (Deposition) প্রাধান্য পায়।
4) অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কিভাবে গঠিত হয় তা ব্যাখ্যা করো?
Ans. নদীর মধ্যগতির শেষদিকে বা নিম্নগতির প্রথমদিকে নদী একে বেঁকে প্রবাহিত হয়। একে মিয়েন্ডার বলে। মিয়েন্ডারে বহিবাক (বাইরের দিকের বাঁক) ও অন্তর্বাক ( ভিতরের দিকের বাঁক) সৃষ্টি হয়। নদীপ্রবাহের আঘাতে এই সময় বাইরের বাঁকের ক্ষয় হতে থাকে এবং ঠিক ততটাই ভিতরের বাঁকে সঞ্চয় হতে থাকে। বাঁক আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে। একসময় দুটি বাঁক কাছাকাছি চলে আসে ও শেষে মাঝের ভূমি ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে নদী আবার সোজাভাবে প্রবাহিত হতে থাকে। নদীর বাঁকটি নদী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হ্রদ সৃষ্টি হয়। এই হ্রদ ঘোড়ার খুরের মতো দেখতে বলে একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলে।
5) একটি ছবি এঁকে তার মধ্যে নদীর উৎস মূল নদীর উপনদী ও শাখানদী মোহনা নদী অববাহিকা ও ধারণ অববাহিকা চিহ্নিত করো।
Ans.
মডেল অ্যাক্টভিটি টাস্ক
পরিবেশ ও ভূগোল
সপ্তম শ্রেণি
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১ সূর্যের উত্তরায়নের সময়কাল -
ক) ২১ শে জুন থেকে ২২ শে ডিসেম্বর
খ) ২৩ শে সেপ্টেম্বর থেকে ২১ শে মার্চ
গ) ২২ শে ডিসেম্বর থেকে ২১ শে জুন
ঘ) ২১ শে মার্চ থেকে ২৩ শে সেপ্টেম্বর
উত্তরঃ গ) ২২ শে ডিসেম্বর থেকে ২১ শে জুন
১.২ কোনো মানচিত্রে সমচাপরেখাগুলি খুব কাছাকাছি অবস্থান করলে সেখানে -
ক) বায়ুর চাপ বেশি হয়
খ) বায়ুর চাপের পার্থক্য বেশি হয়
গ) বায়ুর চাপ কম হয়
ঘ) বায়ুর চাপের পার্থক্য কম হয়
উত্তরঃ খ) বায়ুর চাপের পার্থক্য বেশি হয়
১.৩ টোকিও - ইয়োকোহামা শিল্পাঞ্চলের উন্নতির অন্যতম প্রধান কারণ হলো -
ক) খনিজ ও শক্তি সম্পদের সহজলভ্যতা
খ) স্বল্প জনঘনত্ব
গ) উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রম
ঘ) সমুদ্র থেকে দুরবর্তী স্থানে অবস্থান
উত্তরঃ গ) উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রম
২. উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :
২.১ নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে অক্ষরেখার পরিধি ক্রমশ __________ থাকে।
উত্তরঃ কমতে
২.২ বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে গেলে বায়ুর চাপ __________ পায়।
উত্তরঃ বৃদ্ধি
২.৩ এশিয়া মহাদেশের একটি উত্তরবাহিনী নদী হলো _________।
উত্তরঃ লেনা
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও
৩.১ কোন্ তারিখকে কর্কট সংক্রান্তি বলা হয় ও কেন?
উত্তরঃ ২১ শে জুনকে 'কর্কট সংক্রান্তি' বলে কারণ এই দিনে কর্কটক্রান্তি রেখার ওপর সুর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে।
৩.২ মেরু অঞ্চল ও নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর উষ্ণতার তারতম্য কীভাবে দুই অঞ্চলের বায়ুচাপকে নিয়ন্ত্রণ করা তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ পরিবর্তন হলে বায়ুর আয়তন, ঘনত্বের পরিবর্তন হয়। যেমন - বায়ু উত্তপ্ত হলে বায়ুর অণুগুলোর গতিবেগ বৃদ্ধি পায় এবং পরস্পরের থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। এভাবে উষ্ণ বায়ু হলকা হয়ে প্রসারিত হয় এবং ওপরে উঠে যায়। বায়ুর ঘনত্ব কমে যায়। অর্থাৎ নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে অণুর সংখ্যাও কমে যায় এবং বায়ুর চাপও কমে যায়। বায়ু শীতল হলে সংকুচিত হয় এবং বায়ুর ঘনত্ব বেড়ে যায়। তাই বায়ুর চাপও বেড়ে যায়। একারণেই শীতল মেরু অঞ্চলে বায়ুর চাপ বেশি এবং উষ্ণ নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর চাপ কম হয়।
৪. এশিয়া মহাদেশের নিরক্ষীয় ও উষ্ণ মরু জলবায়ু স্বাভাবিক উদ্ভিদের চরিত্রকে কীভাবে প্রভাবিত করা তা আলোচনা করো।
উত্তরঃ সম্পূর্ণ উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত এশিয়া মহাদেশের উত্তর-দক্ষিণে এবং পূর্ব পশ্চিমে বিস্তার এত বেশি যে পৃথিবীর প্রায় সব ধরনের জলবায়ু এই মহাদেশে দেখা যায়। কোন দেশ বা মহাদেশের জলবায়ু সংকেত স্বাভাবিক উদ্ভিদের একটি নিবিড় সম্পর্ক থাকে। জলবায়ুর উপর নির্ভর করে স্বাভাবিক উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য গুলো নির্ধারিত হয়। নিরক্ষীয় জলবায়ু তে জন্মায় চিরহরিৎ বা চিরসবুজ উদ্ভিদ। আবার মেরু অঞ্চলে জন্মায় কাটা জাতীয় উদ্ভিদ।
নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চল ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ :
নিরক্ষরেখার কাছাকাছি 10 ডিগ্রী উত্তর অক্ষরেখার থেকে 10 ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষরেখা মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি দেশে নিরক্ষীয় জলবায়ু দেখা যায়।
নিরক্ষীয় অঞ্চলে বেশি উষ্ণতা ও বেশি বৃষ্টিপাত এর জন্য ঘন চিরহরিৎ গাছ চিরসবুজ গাছ দেখা যায়। যেমন - মেহগনি, আয়রন উড, সেগুন, আবলুস, রবার, কোকো, সিঙ্কোনা ইত্যাদি।
উষ্ণ মরু জলবায়ু অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ :
আরবের মরুভূমি, ভারত ও পাকিস্তানের থর মরুভূমি, ইরাক-ইরান কুয়েত এইসব দেশ গুলির উষ্ণতা খুব বেশি এবং বৃষ্টিপাত খুব কম তাই এখানে উষ্ণ মরু প্রকৃতির জলবায়ু দেখা যায়। এই মরুভূমি অঞ্চলে সাধারণত কাটা জাতীয় গাছ জন্মায়, যেমন বাবলা, ফনিমনসা, খেজুর ইত্যাদি। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার জন্য গাছগুলির কাটা ও পাতা মম জাতীয় পদার্থ দিয়ে ঢাকা থাকে যাতে প্রস্বেদন প্রক্রিয়া গাছে জল বেরিয়ে না যায়।
1. একটি বস্তুর উষ্ণতা 40 ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ফারেনহাইট স্কেলে তার মান কত?
2. ম্যারাসমাস রোগীর ক্ষেত্রে কি কি লক্ষণ দেখা যায়।
উত্তর:
শিশুদের প্রোটিনের অভাবে ম্যারাসমাস রোগ হয়।
ম্যারাসমাস রোগের লক্ষণ:
দেহের ওজন কমে যায়।
দৈহিক বৃদ্ধি হ্রাস পায়।
রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া দেখা দেয়
ডায়রিয়া ও আমাশয় হয়
দেহের রং ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
দেহ কঙ্কালসার হয়ে যায়।
পেশিও মেদ ক্ষয় হয়।
3. তুঁতের জলিয় দ্রবণে লোহার পেরেক ডুবিয়ে দিলে কিছুক্ষণ পরে কি দেখা যাবে? এটি কি ধরনের বিক্রিয়া
ভূতের জলীয় দ্রবণে লোহার পেরেক ডুবিয়ে দিলে কিছুক্ষণ পরে দেখা যাবে যে নীল বর্ণের তুঁতের জলিয় দ্রবণে কিউপ্রিক সালফেট এর সাথে লোহার বিক্রিয়া হবে। বিক্রিয়া তে লোহার পরমাণু কিউপ্রিক সালফেট এর কপার এর পরমাণুকে প্রতিস্থাপিত করবে এবং আয়রন সালফেট উৎপন্ন হবে। যেহেতু আয়রন সালফেট এর রং হালকা সবুজ তাই দ্রবণটি হালকা সবুজ বর্ণের হয়ে যাবে। প্রতিস্থাপিত কপার বা তামা অধঃক্ষিপ্ত হবে।
এটি এক ধরনের প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া।
4. তোমার দেহ থেকে কোন কোন উপায় জল দেহের বাইরে বেরিয়ে যায় ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:
মানবদেহে থেকে বিভিন্ন উপায়ে জল দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়। যেমন
ঘাম এর মাধ্যমে প্রায় 2 লিটার
নিঃশ্বাসের মাধ্যমে 400 মিলিলিটার
মূত্রের মাধ্যমে দেড় থেকে দু লিটার
মল এর মাধ্যমে 200 মিলিলিটার
চোখের জলের মাধ্যমে 50 মিলিলিটার।
1. সংকেত :
ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড- mgcl2
সোডিয়াম সালফেট na2So4
2. ফাইটোকেমিক্যালস যুক্ত খাদ্য দেহের পক্ষে উপযোগী কেন ?
উত্তর-
ফাইটোকেমিক্যাল যুক্ত খাদ্য মানব দেহকে সজীব ও কর্মক্ষম করে তোলে |
হাড় শক্ত ও মজবুত করে এবং হৃদপিন্ডের স্বাভাবিক কাজ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
3. মাটির কলসির জল ঠান্ডা থাকে কি কারনে ?
মাটির কলসির জল ঠান্ডা থাকে কারণ যখন কোন তরল পদার্থ বাষ্পীভূত হয় তখন তার উষ্ণতা হ্রাস পায় |বাষ্পীভবনের জল যে তাপের প্রয়োজন হয় তা তরল পদার্থ ও সরবরাহ করে তাপ হারানোর কারণে তরল জলের উষ্ণতা কমে যায় মাটির কলসিতে অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র থাকে সেখানে মূলত বাষ্পীভবন ঘটে |
4. রোজ চাওমিন, এগরোল,পেস্ট্রি বিরিয়ানি ইত্যাদি ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে ?
চাওমিন এগ রোল পেস্ট্রি বিরিয়ানি ইত্যাদি ফাস্টফুডে যে বিভিন্ন ধরনের উপাদান থাকে যা আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর যেমন-
i. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে।
ii. ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়
iii. এলার্জি হয় দেহের ওজন বেড়ে যায় এবং রক্তচাপ এবং
ডায়াবেটিসের মত প্রকাশ পায়।
5. প্রত্যক্ষ সংযোগ বিক্রিয়া বলতে কী বোঝায় প্রত্যক্ষ সংযোগ বিক্রিয়া একটি উদাহরণ দাও।
যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক মৌল সরাসরি নিজেদের মধ্যে যুক্ত হয়ে নতুন যৌগ গঠন করে তাকে প্রত্যক্ষ সংযোগ বিক্রিয়া বলে।
যেমন -উত্তপ্ত অবস্থায় ম্যাগনেসিয়াম এবং অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড উৎপন্ন হয় ।
2Mg+O2= 2MgO
6. জীবদেহে জলের যে কোন তিনটি ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
উদ্ভিদ দেহে জলের ভূমিকা-
i.উদ্ভিদ দেহের সজীবতা বজায় রাখে
ii.সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত খাদ্যের মুখ্য উপাদান হলো জল
iii. বীজের অঙ্কুরোদগম এর বাষ্পমোচন এর মাধ্যমে অতিরিক্ত জল নির্গমনের মাধ্যমে উদ্ভিদ দেহে উষ্ণতা বজায় থাকে |
প্রাণীদেহে জলের ভূমিকা –
i.প্রাণীদেহের সজীবতা বজায় রাখে
ii.কোষের মাধ্যমে বিপাকীয় কাজ পরিচালনার জন্য জল প্রয়োজন
iii. খাদ্য পরিপাক ও শোষণ জলের উপস্থিতি অপরিহার্য
iv. প্রাণীদেহে অপসারণে জলের দরকার হয়
নিয়মিত প্রতিফলন
বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন
1.নিয়মিত প্রতিফলন এর প্রতিফলক উজ্জ্বল চকচকে দেখায়
1. বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের প্রতিফলক অনুজ্জ্বল ও অমসৃণ দেখায়
2. নিয়মিত প্রতিফলন এর প্রতিফলক কে ঘুরিয়ে ইচ্ছামত প্রতিফলনের দিক পরিবর্তন করা যায়
2. বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের তা সম্ভব হয়না
3. কাজ আয়না ইত্যাদি দ্বারা প্রতিফলন নিয়মিত প্রতিফলন এর উদাহরণ।
3. বইয়ের পৃষ্ঠা বাড়ির দেওয়াল ইত্যাদি দ্বারা প্রতিফলন বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের উদাহরণ।
4. নিয়মিত প্রতিফলন প্রতিফলিত রশ্মি একটি নির্দিষ্ট দিকে ধাবিত হয়।
4. বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন প্রতিফলিত রশ্মি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
2. একটি পিনহোল ক্যামেরা দৈর্ঘ্য ও অন্যান্য বিষয় একই রেখে নীচের পরিবর্তনগুলি করা হলো। প্রত্যেক ক্ষেত্রে গঠিত প্রতিবিম্ব এর কি পরিবর্তন দেখা যাবে ?
উৎসকে দূরে সরানো হলো: আলোক উৎস কে ছিদ্র থেকে যত দূরে সরানো হবে প্রতিকৃতি তত ছোট হবে।
ছিদ্রকে বড় করা হলো: ছিদ্র বড় করা হলে তা আসলে অনেকগুলো ছোট ছোট ছিদ্রের সমষ্টি রূপে কাজ করে। ফলে অসংখ্য প্রতিবিম্ব গঠিত হবে যা একে অপরের সাথে মিশে একটা অস্পষ্ট প্রতিকৃতি তৈরি করবে।
3. তড়িৎ চুম্বকের শক্তি কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়?
দুই ভাবে তড়িৎ চুম্বকের শক্তি বৃদ্ধি করা যায়। যথা
প্রথমতঃ অন্তরিত তামার পাক সংখ্যা বাড়িয়ে।
দ্বিতীয়তঃ তড়িৎ প্রবাহ মাত্রা বাড়িয়ে।
৪. কচুরিপানার খর্বধাবক আলুর স্ফিতকন্দ দের কাজ কি কি?
প্রথমতঃ কচুরিপানার খর্বধাবক বংশ বিস্তারে সাহায্য করে।
দ্বিতীয়তঃ আলুর স্ফিতকন্দ খাদ্য সঞ্চয় করে ।
৫. পাতার বিভিন্ন অংশের কাজ উল্লেখ করো।
উ: নিচে পাতার বিভিন্ন অংশ ও তার কাজ উল্লেখ করা হলো।
1. পত্রফলক
i)খাদ্য প্রস্তুত করা।
ii)বাষ্পমোচন করা।
iii)গ্যাসের আদান-প্রদান করা।
2. পত্রবৃন্ত
i)পত্রফলক কে ধরে রাখা।
ii)জল ও খাদ্য পরিবহন করা।
iii)পাতাকে কান্ড বা শাখার সঙ্গে যুক্ত করা
3. পত্রমূল
i)পত্রবৃন্ত কে কান্ডের পর্বের সাথে যুক্ত রাখা।
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবেশ ও বিজ্ঞান PART 4
১. ঠিক বাক্যের পাশে ✅আর ভুল বাক্যের পাশে ❌দাও :
১.১ কোনো বস্তুকে তাপ দিলে তার উষ্ণতার পরিবর্তন হবেই।
উত্তরঃ ❌
১.২ ভিটামিন D - এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হয়।
উত্তরঃ ❌
১.৩ কঠিন সোডিয়াম ক্লোরাইডের মধ্যে অণুর কোনো অস্তিত্ব নেই।
উত্তরঃ ✅
২. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ সমীকরণটি ব্যালান্স করে লেখো : P4 + ____ O2 - P4O10
উত্তরঃ 5
২.২ মানবদেহে আয়োডিনের একটি কাজ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ আয়োডিন মানবমস্তিস্কের ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশে, থাইরক্সিনের উপাদান গঠনে সাহায্য করে।
২.৩ আম দিয়ে তৈরি একটি প্রক্রিয়াজাত খাবারের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ আম দিয়ে তৈরি একটি প্রক্রিয়াজাত খাবারের উদাহরণ হল - জ্যাম ও জেলি।
৩. একটি বা দুটি বাক্যে উদাহরণ দাও :
৩.১ কিউপ্রিক ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণে জিঙ্কের টুকরো যোগ করলে কী ধরনের বিক্রিয়া হবে? বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখো।
উত্তরঃ কিউপ্রিক ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণে জিঙ্কের টুকরো যোগ করলে জিঙ্ক ক্লোরাইড উৎপন্ন হয় এবং ধাতব কপার অধঃক্ষিপ্ত হয়।
CuCl2 + Zn = ZnCl2 + Cu↓
এটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া।
৩.২ কী কী উপায়ে ফিল্টার যন্ত্রের সাহায্য ছারাই বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল তৈরি করা যায়?
উত্তরঃ ফিল্টার যন্ত্রের সাহায্য ছারাই বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল তৈরির প্রক্রিয়া -
প্রথমত, জলকে অন্তত ২০ মিনিট ফুঁটিয়ে জলকে বিশুদ্ধ করা যাতে পারে।
দ্বিতীয়ত, জলে হ্যালোজেন ট্যাবলেট মিশিয়ে বিশুদ্ধ পানীয় জল তৈরি করা যাতে পারে।
তৃতীয়ত, জলে প্রায় ৩০ মিনিট ফটকিরি ডুবিয়ে জলকে পানীযোগ্য করা যায়।
৪. তিন-চারটি বাক্যের উত্তর দাও :
৪.১ যে উষ্ণতায় সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের পাঠ সমান হবে তা নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
অতএব, - 40 ⁰ তাপমাত্রায় সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলে পাঠ একই হবে।
৪.২ কোয়াশিওরকর রোগ কেন হয় এবং এই রোগে কী কী লক্ষণ দেখা যায়?
উত্তরঃ খাদ্যে উপযুক্ত পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালোরির অভাবে সাধারনত ১ থেকে ৪ বছরের শিশুদের দেহে এই রোগ দেখা যায়।
লক্ষণ ঃ কোয়াশিওরকর রোগের প্রধান লক্ষণ দেখা সেগুলি হলও -
(১) শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
(২) উদর বেশ বড়ো হয়।
(৩) ত্বক আঁশযুক্ত ও ভঙ্গুর।
(৪) শরীরে রক্তাপ্লতা দেখা যায়।
(৫) হাত - পা ও গলা সরু হয়ে যায়।
(৬) পা ও হাত বেঁকে যায়।
(৭) শরীরের ওজন কমে যায়।
(৮) মাথার চুল পাতলা ও বিবর্ণ হয়ে যায়।
প্রথম অধ্যায় : শারীরশিক্ষার মৌলিক ধারণা
১। সঠিক উত্তরটিকে বেছে নিয়ে ✅চিহ্ন দাও ঃ
(ক) ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়? -
(১) ১৯২১
(২) ১৯১১
(৩) ১৯২০
উত্তরঃ (৩) ১৯২০
(খ) অ্যাথলেটিকস শব্দটি কোথা থেকে এসেছে?
(১) ইথানল
(২) এথেন্স
(৩) অ্যাথলন
উত্তরঃ (৩) অ্যাথলন
(গ) মোহনবাগান ক্লাব কত সালে সাহেবদের হারিয়ে শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল?
(১) ১৮১১
(২) ১৯১১
(৩) ১৯১৬
উত্তরঃ (২) ১৯১১
২। শূন্যস্থান পূরণ করোঃ
(ক) খেলা মানুষের __________ প্রবৃত্তি।
উত্তরঃ সহজাত
(খ) গ্রিক শব্দ __________ থেকে জিমনাস্টিক কথাটি এসেছে।
উত্তরঃজিমনস
(গ) জৈনধর্ম __________ মূর্ত প্রতীক হিসাবে বিদ্যামান।
উত্তরঃ অহিংসার
(ঘ) এন সি সি - র _____ ______ রং নৌসেনা বাহিনীর প্রতীক।
উত্তরঃ হালকা নীল
৩। দু-এক কোথায় উত্তর দাও :
(ক) খেলা কী?
উত্তরঃ শিশুর ঐচ্ছিকভাবে যেসকল স্বতঃস্ফূর্ত ও আবেগময় কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্মল আনন্দ উপভোগ করে, তাকে খেলা বলে। একথায় খেলা হল শিশুর জন্মগত, সহজাত, স্বতঃস্ফূর্ত, স্বাধীন আনন্দদায়ক প্রবণতা।
(খ) প্রত্যক্ষ বিনোদন কাকে বলে?
উত্তরঃ যখন সমাজ স্বীকৃত কোণো কাজ বা বিষয়ে কোণো ব্যাক্তি স্বর্তঃস্ফূর্ত ও প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহনের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক ও সহজাত তৃপ্তিলাভ করে, তখন তাকে প্রত্যক্ষ বিনোদন বলে। যেমন - কয়েকজন পিলিয়ার নিয়ে একটি ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা।
(গ) সৃজনশীল বিনোদনের একটি উদাহরণ দাও?
উত্তরঃ সৃজনশীল বিনোদনের একটি উদাহরণ হল - ছবি আঁকার মাধ্যমে আনন্দলাভ।
৪। কয়েকটি বাক্যে প্রশ্নের উত্তর দাও :
(ক) শারীরশিক্ষার উদ্দেশ্যগুলি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ শারীরশিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্যগুলি নীচে আলোচনা হলো -
প্রথমত, সুস্বাস্থ্য লাভ করা।
দ্বিতীয়ত, শারীর শক্ষার বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহনের মাধ্যমে শারীরিক পটুতা অর্জন।
তৃতীয়ত, সুঅভ্যাস গঠন করা।
চতুর্থত, শারীরিক ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা অর্জন করা।
পঞ্চমত, দৈনন্দিন শরীরচর্চার মাধ্যমে শিশুর চরিত্রের ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটানো।
ষষ্ঠত, শিশুর বিভিন্ন সৃজনশীল গুণের বিকাশ ঘটানো।
সপ্তমত, বিভিন্ন দলগত শরীর চর্চা ও খেলাধূলার মাধ্যমে শিশুর মধ্যে সহযোগিতা, সহনশীলতা প্রভৃতি সামাজিক গুণাবলীর বিকাশসাধন করা।
অষ্টমত, শিশুর দেহের স্নায়ু এবং মাংসপেশীর সমন্বয় সাধন করা।
৫। প্রকল্পঃ
(ক) তুমি সারা বছর কোন্দিন, কখন, কত সময় এবং কী ধরনের শারীরশিক্ষাসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে এবং তোমার কী লাভ হয়েছে এবিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করো।
উত্তরঃ
শারীর শিক্ষার সুফল
নিজস্ব প্রতিনিধি,
স্থান - বিদ্যালয় প্রাঙ্গন
তারিখ - ০৫-০৫-২০২১
অঙ্গ সঞ্চালন ও খেলাধূলা শিশুর সহজাত প্রবৃতি। স্বাধীনভাবে দৌড়াদৌড়ি ও খেলা ধূলা করে সে প্রচুর পরিমানে আনন্দ পায়। খেলাধূলোর প্রতি শিশুর এই স্বাভাবিক ও অফুরন্ত আগ্রহকে সুষ্টভাবে ও সঠিক পথে পরিচালনা করে তাকে ব্যক্তি ও সমাজের কর্ম সক্ষম নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজন। শারীর শীক্ষা ব্যতি রেখে শিশুর দেহ ও মনের সার্বিক সাধারণ শিক্ষার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসাবে গণ্য করা হয়েছে।
সুস্থ দেহে সুন্দর মন সুখী জীবনযাপনের জন্যে অত্যাবশ্যক। সুস্থ মনের অধিকারী স্বাস্থ্যবান মানুষই নাগরিক দায়িত্ব ও ধর্মীয় বিধিবিধান ভালোভাবে পালন করতে পারে। তাই সুন্দর ও সুস্থ জীবনযাপনের জন্য শারীর শিক্ষা অপরিহার্য। বিভিন্ন খেলাধুলা, দৌড়, লাফ, বল নিক্ষেপ প্রভৃত কর্মকাণ্ড অঙ্গ সঞালন ক্রিয়ার সহায়ত করে। এতে মনে যে রূপ আনন্দ আসে সেরূপ শরীরের যথেষ্ট ব্যায়াম হয়। তাই শিশু ও কিশোরদের জন্য শারীর শিক্ষা খুব প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।
প্রতিবছর শীতকালে আমাদের বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্টিত হয়। যেখানে নানান ধরনের খেলাধূলা ও অনুষ্টান হয়ে থাকে। আমি সেখানে দৌড়, ব্যায়ম, লংজাম্প খেলাতে অংশ গ্রহনের সুয়োগ পেয়েছিলাম। এই সব শারীর শিক্ষামূলক কর্মসূচিতে অংশ গ্রহনের ফলে আমি অনেক কিছু শিক্ষা লাভ করতে পেয়েছি। সেগুলি নীচে আলোচনা করা হল -
প্রথমত, ব্যায়মে অংশ গ্রহনের ফলে ব্যায়ামের লাভ সম্পর্কে জানতে পেরেছি যে ব্যায়ম করলে শরীরে খুব উপকার হয়।
দ্বিতীয়ত, দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহনের ফলে জানতে পেরেছি দৌড় করলে শরীরের মধ্যে জমে থাকা অত্যাধিক চর্বি কমে যায়।
তৃতীয়ত, লংজাম্পের মাধ্যমে জানতে পেরেছি পায়ের পেশিগুলির কতটা উপরের হয়।
চতুর্থত, এছাড়াও শারীর শিক্ষামূলক কর্মসূচিতে অংশ গ্রহনের মাধ্যমে সবার সাথে পরিচয় ও বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
শারীর শিক্ষার অন্তর্গত বিভিন্ন খেলাধুলার মাধ্যমে মানুষ কীভাবে সমাজে প্রতিষ্টিত হয়েছে সে সম্পর্কেও অধিক ধারণা পেয়েছি। তাই সবাইকে কম বেশী শারীর শিক্ষামূলক কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করা উচিত।
(খ) করোনা ভাইরাস বিষয়ক একটি স্বাস্থ্য সচেতনতা পোস্টার তৈরি করো।
উত্তরঃ
১. অনুপাত বলতে দুটি সমজাতীয় রাশির তুলনা বােঝায়।
২. অনুপাতে কোনাে একক নেই।
৩. ab-এতে নিধান a ।
৪. যদি a:b = 2:3 এবং b : c = 2:3 হয়, তবে a:b:c = কত?
উঃ- মোট টাকা= 9000 টাকা
প্রথম বন্ধুর প্রাপ্য টাকাঃদ্বিতিয় বন্ধুর প্রাপ্য টাকাঃতৃতীয় বন্ধুর প্রাপ্য টাকা
=1:2:3/2
=2:4:3
এখানে, 2+4+3=9
প্রথম বন্ধুর প্রাপ্য টাকার ভাগ হার=2/9
দ্বিতীয় বন্ধুর প্রাপ্য টাকার ভাগ হার=4/9
তৃতীয় বন্ধুর প্রাপ্য টাকার ভাগ হার=3/9
অতএব,
9000 টাকার মধ্যে প্রথম বন্ধু পাবে- 2/9x9000=2000 টাকা
9000 টাকার মধ্যে দ্বিতীয় বন্ধু পাবে- 4/9x9000=4000 টাকা
9000 টাকার মধ্যে তৃতীয় বন্ধু পাবে- 3/9x9000=3000 টাকা
উত্তরসমূহ
1.কোনাে অনুপাতের পূর্বপদ < উত্তরপদ হলে, অনুপাতটি হবে-
উঃ- (a) গুরু অনুপাত। (b) লঘু অনুপাত (c) সাম্যানুপাত। (d) অপ্রকৃত ভগ্নাংশ
2.(i)x x y 0 x y -1= ?
উঃ- x/z
(y 0 =1 , y -1 = 1/z)
3. দুটি শরবতে সিরাপ ও জলের অনুপাত 2 : 5 এবং 6: 10, কোনটি বেশি মিষ্টি হিসাব করে লেখাে।
উঃ- প্রথম শরবতে সিরাপ ও জলের অনুপাত=2 : 5
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সিরাপ ও জলের অনুপাত= 6: 10
প্রথম সিরাপঃ জল = 2/5x2/2 = 4/10
দ্বিতীয় সিরাপঃ জল = 6/10x1/1= 4/10
অতএব দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেশি মিষ্টি।
4. গুণ করাে :(4/3x 2 yz)x(1/3y 2zx)x(-6xyz 2 )
5. একটি খনিতে একটি লিফট ৪মিনিটে 24 মিটার নীচে নামে। লিফটটা যদি সমবেগে চলে তবে লিফটটা 6 মিনিটে কত মিটার নীচে থাকবে? ওই লিফটটা যদি ভূমির 10 মিটার উপর থেকে নীচে নামতে শুরু করে তবে 70 মিনিটে ভূমির কতটা নীচে থাকবে?
উঃ- 8 মিঃ নিচে নামে 24 মিটার
1 মিঃ নিচে নামে 24/8=3 মিটার
6 মিঃ নিচে নামে 3x6=18 মিটার
1 মিঃ নিচে নামে 3 মিটার
70 মিঃ নিচে নামে 3x70=210 মিটার
অতএব, লিফটে ভূমির 10 মিটার উপর থেকে নিচে নামতে শুরু করলে 70 মিনিটে
(210-10)= 200 মিটার ভূমির নীচে থাকবে।