মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক অষ্টম শ্রেণি
CHAKDAHA COLLEGE MORE (YUBADAY SANGHA) , CHAKDAHA, NADIA, MOB- 9775109285
CHAKDAHA COLLEGE MORE (YUBADAY SANGHA) , CHAKDAHA, NADIA, MOB- 9775109285
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে –
1. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে : 1 x 3 = 3
(ক) একটি আয়তাকার খেলার মাঠের ভিতরের চারদিকে 3 মিটার চওড়া একটি রাস্তা আছে। রাস্তাসহ খেলার মাঠের দৈর্ঘ্য 40 মিটার হলে, রাস্তা বাদে মাঠটির দৈর্ঘ্য হবে—
(a) 43 মিটার
(b) 34 মিটার
(c) 37 মিটার
(d) 6 মিটার
Ans: (b) 34 মিটার
ব্যাখ্যা: ধরি, রাস্তা বাদে মাঠের দৈর্ঘ্য = x মি.
শর্তানুসারে, x+(2×3) = 40
বা, x+6 = 40
বা, x = 40-6
∴ x = 34
(খ) একটি কার্ডের দৈর্ঘ্য x মিটার এবং প্রস্থ (x –5) মিটার হলে, ক্ষেত্রফল হবে—
(a) {x + (x –5)} বর্গমিটার
(b) 2{x + (x –5)} বর্গমিটার
(c) x(x-5) বর্গমিটার
(d) x ÷ (x –5) বর্গমিটার
Ans: (c) x(x-5) বর্গমিটার
(গ) x4 – 4x3 + 6x2 এবং x2 বীজগাণিতিক সংখ্যামালা দুটির গুণফলে x5-এর সহগ হলাে—
(a) 1
(b) 4
(c) –4
(d) 6
Ans: (c) –4
ব্যাখ্যা: (x4-4x3+6x2)× x2
= x6-4x5+6x4
2. সত্য/মিথ্যা লেখাে : 1 x 3 = 3
(ক) a2 + 2ab + b2 সংখ্যামালাটিকে পূর্ণবর্গাকারে প্রকাশ করলে পাবাে (a + b)2।
Ans: সত্য
ব্যাখ্যা: a2 + 2ab + b2
= (a+b)2
(খ) বর্গক্ষেত্রের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমকোণে সমদ্বিখণ্ডিত করে।
Ans: সত্য
(গ) সামান্তরিক একটি ট্রাপিজিয়াম।
Ans: মিথ্যা
3. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : 2 x 3 = 6
(ক)
(খ) একটি সমবাহু ত্রিভুজের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য (3x -2) সেমি. হলে ত্রিভুজটির পরিসীমা নির্ণয় করাে।
Ans: বাহুর দৈর্ঘ্য = (3x-2) সেমি.
∴ সমবাহু ত্রিভুজটির পরিসীমা = 3×(3x-2) সেমি.
= (9x-6) সেমি.
∴ সমবাহু ত্রিভুজটির পরিসীমা = (9x-6) সেমি.
(গ) যােগফল নির্ণয় করাে : 6a2 + 2, -3a2 + 3a
Ans: (6a2 + 2) + (-3a2 + 3a)
= 6a2 + 2 – 3a2 + 3a
= 3a2 + 2 + 3a
= 3a2 + 3a + 2
∴ নির্ণেয় যোগফল = 3a2 + 3a + 2
4. (ক) উৎপাদকে বিশ্লেষণ করাে : x4+x2y2+ y4
Ans: x4+x2y2+y4
(খ) 4 সেমি. দৈর্ঘ্যের বাহুবিশিষ্ট একটি বর্গক্ষেত্র অঙ্কন করাে।
Ans:
self
ABCD একটি বর্গক্ষেত্র আঁকলাম যার প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য 4 সেমি.
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো: (১×২=২)
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
(ক) একটি বৃত্তের কেন্দ্রে সম্পূর্ণ কোণের পরিমাপ হবে -
(a) 0°
(b) 90°
(c) 180°
(d) 360°
Ans: (d) 360°
(খ) যখন কোনো তথ্যকে বৃত্তাকার ক্ষেত্রের চিত্রের দ্বারা প্রকাশ করা হয় তখন সেই চিত্রটি হলো -
(a) পিক্টোগ্রাফ
(b) একক স্তম্ভ চিত্র
(c) বিস্তম্ভ লেখ
(d) পাই চিত্র
Ans: (d) পাই চিত্র
২. সত্য/মিথ্যা লেখো ১×৩=৩
(ক) পাই চিত্রে কোনো বৃত্তকলার ক্ষেত্রফল তথ্যের অংশের পরিমাণের সঙ্গে সমানুপাতিক।
Ans: সত্য
(খ) কোনো বৃত্তকলার কেন্দ্রীয় কোণ তথ্যের অংশকে প্রকাশ করতে পারে না।
Ans: মিথ্যা
(গ) কেন্দ্রীয় কোণ ঋণাত্মক হতে পারে।
Ans: মিথ্যা
৩. একজন ছাত্র একটি পরীক্ষায় বাংলা, ইংরাজী, অঙ্ক এবং বিজ্ঞানে যে নম্বরগুলি পেয়েছে তা একটি পাই চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা হলো। ছাত্রটি মোট 300 নম্বর পেয়েছে।
(ক) যে বিষয়ে সবথেকে কম নম্বর পেয়েছে সেই বিষয়টি হলো (১)
(a) বাংলা
(b) গণিত
(c) বিজ্ঞান
(d) ইংরাজি
Ans: (d) ইংরাজি
(খ) কোন বিষয়ে সবথেকে বেশি নম্বর পেয়েছে? (১)
Ans: বাংলা
(গ) এই ৩০০ নম্বরের শতকরা কত নম্বর অঙ্কে পেয়েছে? (৩)
Ans:
৪. (ক) একটি ছাত্রী বিভিন্ন বিষয়ে যে নম্বরগুলি পেয়েছে তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো
তথ্যটিকে একটি পাই চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করো।
(খ) শূন্যস্থান পূরণ করো : ৫
Ans:
রম্বসের -
(a) সব বাহুগুলির দৈর্ঘ্য সমান
(b) বিপরীত কোণগুলির পরিমাপ সমান
(c) সাধারণত কর্ণগুলির দৈর্ঘ্য অসমান
(d) কর্ণগুলি পরস্পরকে সমকোণে সমদ্বিখন্ডিত
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করো : ১×৩=৩
১.১ যে কোশীয় অঙ্গাণু খাদ্য থেকে শক্তিকে মুক্ত করে তা হলো –
(ক) গলজি বস্তু
(খ) নিউক্লিয়াস
(গ) মাইটোকনড্রিয়া
(ঘ) লাইসোজোম।
উত্তর: (গ) মাইটোকনড্রিয়া
১.২ যে কোশীয় অঙ্গাণু প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে তা হলো—
(ক) লাইসোজোম
(খ) রাইবোজোম
(গ) সেন্ট্রোজোম
(ঘ) গলজি বস্তু।
উত্তর: (খ) রাইবোজোম
১.৩ উদ্দীপনা পরিবহণ করা যে কলার কাজ সেটি হলো
(ক) আবরণী কলা
(খ) যোগ করা
(গ) পেশি কলা
(ঘ) স্নায়ু কলা।
উত্তর: (ঘ) স্নায়ু কলা।
২. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ১×৩=৩
২.১ উজ্জ্বল আলোয় বর্ণদর্শনে সাহায্য করে কোন কোশ?
উত্তর: উজ্জ্বল আলোয় বর্ণদর্শনে সাহায্য করে শঙ্কু আকৃতির কোণ (Cone) কোষ ।
২.২ আমি একটি পর্দাঘেরা কোশ অঙ্গাণু যার মধ্যে পুরোনো জীর্ণ কোশকে ধ্বংস করার জন্য নানা ধরনের উৎসেচক থাকে। আমার নাম কী?
উত্তর: লাইসোজোম।
২.৩ ক্রোমোপ্লাস্টিডের কাজ কী?
উত্তর: ক্রোমোপ্লাস্টিডের কাজ হলো ফুল ও ফলের বর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা।
৩. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও : 2x8=৮
৩.১ “লোহিত রক্তকণিকার আকৃতি দু-পাশ চ্যাপটা এবং চাকতির মতো"- এর জন্য লোহিত রক্তকণিকার কী সুবিধা হয়?
উত্তর: লোহিত রক্ত কণিকার আকৃতি দু-পাশ চ্যাপ্টা ও চাকতির মত হওয়ার ফলে বিভিন্ন ব্যাসের রক্তনালীর মধ্য দিয়ে সহজে যাতায়াতের করতে পারে এবং বেশি পরিমাণ অক্সিজেন পরিবহন করতে পারে।
৩.২ কোশপর্দা ও কোশপ্রাচীরের মধ্যে একটি মিল ও একটি অমিল উল্লেখ করো।
উত্তর:
মিল: কোষ পর্দা ও কোষ প্রাচীর উভয়ই কোষের বাইরের আবরণ হিসেবে কাজ করে এবং বাইরের আঘাত থেকে কোষকে রক্ষা করে।
অমিল: কোষ প্রাচীর মৃত প্রকৃতির এবং কেবলমাত্র উদ্ভিদ কোষেই দেখা যায় কিন্তু কোষ পর্দা সজীব এবং উদ্ভিদ- প্রাণী উভয় কোষেই দেখা যায়।
৩.৩ এন্ডোপ্লাজমীর জালিকার কাজ উল্লেখ করো।
উত্তর:
কোষের মধ্যেকার ঘটা বিভিন্ন বিক্রিয়া গুলিকে পৃথক রাখা এন্ডোপ্লাজমিক জালিকার অন্যতম কাজ।
কোষের সাইটোপ্লাজম এর কাঠামো গঠন করে প্রোটোপ্লাজমকে যান্ত্রিক দৃঢ়তা প্রদান করে।
৩.৪ যৌগিক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্র কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: যৌগিক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের ব্যাবহার :
বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া শৈবাল ছত্রাক ও এককোষী ও বহুকোষী প্রাণীর দেহের বহির্গঠন জানার জন্য।
উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন অংশ যেমন মূল, কাণ্ড ও পাতা ইত্যাদির অন্তর্গঠন পর্যবেক্ষণের জন্য।
জীব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তার প্রস্থচ্ছেদ করে তার কলার গঠন জানার জন্য।
কোষের ভেতরে অঙ্গাণু ও কোষের বাইরের পর্দার গঠন জানার জন্য।
৪. তিন-চারটি বাক্যে উত্তর দাও :
উত্তর: উদ্ভিদ কোষের গহ্বরের বাইরে কোন পর্দা থাকে না। গহ্বরের আকার ক্রমশ যখন বাড়তে থাকে, তখন নিউক্লিয়াসসহ সাইটোপ্লাজম কোষপ্রাচীরের ভেতরের দিকে কোষের পরিধির দিকে সরে যায়। এইভাবে গহ্বরকে বেষ্টন করে সাইটোপ্লাজমের এইরকম বিন্যাস বা প্রাইমোরডিয়াল ইউট্রিকল সৃষ্টি হয়।
৪.২ স্থায়ী কলার কাজ কী কী?
উত্তর: স্থায়ী কলার কাজ গুলি হল :
খাদ্য সংশ্লেষ, সঞ্চয় ও পরিবহন করা।
জল সংবহন করা।
ভারবহন ও দৃঢ়তা প্রদান করা।
ক্ষত নিরাময় করা
বর্জ্য পদার্থ সঞ্চয় করা।
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করাে : ১ x ৪ = ৪
১.১ স্প্রিং তুলার সাহায্যে যে রাশি মাপা হয় তা হলাে—
(ক) ঘনত্ব
(খ) আয়তন
(গ) ওজন
(ঘ) ত্বরণ
উত্তর: (গ) ওজন
১.২ ঘনত্বের SI এককটি হলাে –
(ক) গ্রাম/ঘনসেমি
(খ) কিলােগ্রাম/ঘনসেমি
(গ) গ্রাম/ঘনমিটার
(ঘ) কিলােগ্রাম/ ঘনমিটার
উত্তর: (ঘ) কিলােগ্রাম/ ঘনমিটার
১.৩ নিউটন/বর্গমিটার যে রাশির একক তা হলাে—
(ক) বল
(খ) ঘনত্ব
(গ) ত্বরণ
(ঘ) চাপ
উত্তর: (ঘ) চাপ
১.৪ প্লবতার একক হলাে –
(ক) নিউটন
(খ) নিউটন/বর্গমিটার
(গ) নিউটন/মিটার
(ঘ) নিউটন মিটার
উত্তর: (ক) নিউটন
২. ঠিক বাক্যের পাশে ‘✔’ আর ভুল বাক্যের পাশে ‘🗙’ চিহ্ন দাও : ১ x ৪ = ৪
২.১ চাপ নয়, বল দিয়েই কোনাে তরলের প্রবাহের দিক ঠিক হয়।
উত্তর: চাপ নয়, বল দিয়েই কোনাে তরলের প্রবাহের দিক ঠিক হয়। 🗙
২.২ কোনাে তরলে স্থিরভাবে ভাসমান বস্তুর ওজন ও প্লবতা সমান।
উত্তর: কোনাে তরলে স্থিরভাবে ভাসমান বস্তুর ওজন ও প্লবতা সমান। ✔
২.৩ লােহার পেরেক জলে ডুবে যাবে কিন্তু পারদে ভাসবে।
উত্তর: লােহার পেরেক জলে ডুবে যাবে কিন্তু পারদে ভাসবে। ✔
২.৪ কোনাে বস্তুকে টানলেও যখন তার সরণ ঘটছে না তখন ঘর্ষণ বল প্রযুক্ত বলের বিপরীতমুখী।
উত্তর: কোনাে বস্তুকে টানলেও যখন তার সরণ ঘটছে না তখন ঘর্ষণ বল প্রযুক্ত বলের বিপরীতমুখী। ✔
৩. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও : ২ x ৩ = ৬
৩.১ একটি স্টেনলেস স্টিলের বাটি জলে ভাসে, কিন্তু একটি আলপিন জলে ডুবে যায় কেন?
উত্তর: একটি আলপিন যে পরিমাণ জল সরিয়ে দেয় সেই জলের ওজন আলপিনটির চেয়ে কম। তাই আলপিন জলে ডুবে যায়। অন্যদিকে একটা স্টেনলেস স্টিলের বাটির আয়তন বেশি হওয়ায় সেটি বেশি আয়তনের জল সরিয়ে দেয়। সরিয়ে দেওয়া জলের ওজন ওই বাটিটির চেয়ে বেশি। তাই স্টেনলেস স্টিলের বাটি জলে ভাসে।
৩.২ মাটির কলসির জল ঠান্ডা থাকে কেন?
উত্তর: মাটির কলসির গায়ে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রগুলাে দিয়ে সামান্য পরিমাণে জল কলসির বাইরে বেরিয়ে আসে এবং তার বাষ্পীভবন ঘটে। বাষ্পীভবনের জন্য প্রয়ােজনীয় লীনতাপ কলসি ও কলসির ভেতর থেকে সংগ্রহিত হয়। ফলে কলসি ও কলসির জল তাপ হারিয়ে ঠান্ডা থাকে।
৩.৩ একটি সূচ অতি সহজেই আমাদের চামড়া ফুটো করে প্রবেশ করতে পারে কী কারণে তা ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: যেহেতু সূচের অগ্রভাগ সূচালাে তাই অগ্রভাগের ক্ষেত্রফল অনেক কম। ফলে অল্প বল প্রয়ােগ করলেও চামড়ার ওপর বেশি চাপ পড়ে। তাই একটি সুচ অতি সহজেই আমাদের চামড়া ফুটো করে প্রবেশ করতে পারে।
৪. তিন-চারটি বাক্যে উত্তর দাও : ৩ x ২ = ৬
৪.১ পারদের ঘনত্ব 13.6 গ্রাম/ঘনসেমি হলে পাঁচ লিটার পারদের ভর কত গ্রাম হবে নির্ণয় করাে।
উত্তর: আমরা জানি, ঘনত্ব =
∴ ভর = ঘনত্ব × আয়তন
= 13.6 × 5000 গ্রাম
= 68000 গ্রাম
∴ পাঁচ লিটার পারদের ভর 68000 গ্রাম. Ans
৪.২ দুটি তরলের ঘনত্বের অনুপাত 1:2। একই উচ্চতার তরল স্তম্ভ একই রকমের পাত্রে রাখা হলাে। কোন ক্ষেত্রে পাত্রের তলদেশে চাপ বেশি হবে ও কেন?
উত্তর: তরলের চাপ, তার ঘনত্বের উপর নির্ভর করে। তরলের ঘনত্ব বেশি হলে তার চাপও বেশি হয়। | এখানে যেহেতু দ্বিতীয় তরলটির ঘনত্ব প্রথম তরলটির ঘনত্ব অপেক্ষা বেশি, তাই একই উচ্চতায় একই রকম পাত্রে তরল দুটিকে রাখলে এক্ষেত্রে দ্বিতীয় তরলটির পাত্রের তলদেশে বেশি চাপ হবে।
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে : ১x৩=৩
১.১ ‘বােঝাপড়া’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত যে কাব্যগ্রন্থে রয়েছে —
(ক) পুনশ্চ
(খ) খেয়া
(গ) শেষলেখা
(ঘ) ক্ষণিকা
উত্তর : ক্ষণিকা l
১.২ ‘অনেক _______ কাটিয়ে বুঝি / এলে সুখের বন্দরেতে’ – শূন্যস্থানে বসবে
(ক) ঝগড়া
(খ) শঙ্কা
(গ) ঝঞ্ঝা
(ঘ) অশ্রু
উত্তর : (গ) ঝঞ্ঝা
১.৩ ‘আকাশ তবু _______ থাকে’ – শূন্যস্থানে বসবে
(ক) ডাগর
(খ) সুনীল
(গ) আঁধার
(ঘ) মস্ত
উত্তর : (খ) সুনীল
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১x৩=৩
২.১ ‘কতকটা এ ভবের গতিক’ – ‘ভবের গতিক’টি কী?
উত্তর : উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত বােঝাপড়া কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে ৷ কবি বলেছেন কেউ আমাদের ভালােবাসে, কেউ বাসবেই না, কেউ সর্বস্ব বিকিয়ে দেয় আবার কেউ সিকি পয়সা ধার ধারে না এটাই ভাবের অর্থাৎ পৃথিবীর গতিক।
২.২ ‘চলে আসছে এমনি রকম’ – কোন্ সময়ের কথা কবি এক্ষেত্রে স্মরণ করেছেন?
উত্তর : মানুষের ভাগ্য চিরদিন একইরকম থাকে না। প্রত্যেক মানুষই একে অপরকে কখনো না কখনো ফাঁকি দেয়। তাই একজন মানুষ কিছুটা সুখ ভােগ করার পরেই আসে দুঃখ, তখন হয়তাে অপর ব্যাক্তি সুখ ভােগের সৌভাগ্য লাভ করে। মানুষের উদ্ভবের আদিকাল থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে।
২.৩ ‘সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়’ – কোন্ বিষয়টিকে সবার চেয়ে শ্রেয় মনে করা হয়েছে?
উত্তর : কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কারাে সঙ্গে কোনাে রকম বিবাদ না করে ভালাে মন্দ যাই আসুক মেনে নিয়ে এগিয়ে চলাকেই শ্রেয় বলেছেন।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ৩ x৩=৯
৩.১ ‘তবু ভেবে দেখতে গেলে’ – কবি কী ভেবে দেখার কথা বলেছেন?
উত্তর : উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত বােঝাপড়া কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে।
জগতে কেউ কারাে মত নয় সবাই আলাদা। তবুও সবাই একে অপরকে পিছনে ফেলে এগােতে চায়। তাই কবি ভেবে দেখতে বলেছেন, যে খুশির জন্য আমরা এমন করি তা তাে একজনের প্রতি ভালােবেসে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়।
৩.২ ‘শঙ্কা যেথায় করে না কেউ | সেইখানে হয় জাহাজ-ডুবি’। – উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর : উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘বােঝাপড়া’ কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে ৷
কবি বলেন জীবনে বহু ঝড় ঝঞ্চার, বাধা-বিপত্তির পরে পাওয়া সুখ কখন কোন আঘাতে নষ্ট হয়ে যাবে তা আমরা কেউ জানি না। এমন অনেক কিছু যা আমরা সামান্য ও সহজ মনে করি অথচ সেটাই অপ্রত্যাশিত আঘাত হানতে পারে কারণ যে কোনাে সময় সামান্য ঘটনাই মারাত্মক বিপদ আনতে পারে। এই জন্য কবি আলােচ্য উক্তিটি করেছেন।
৩.৩ ‘দোহাই তবে এ কাৰ্যটা / যত শীঘ্র পারাে সারাে। – কবি কোন্ কাটা দ্রুত সারতে বলেছেন?
উত্তর : উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে বিশ্ব বন্দিত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বােঝাপড়া কবিতা থেকে l তমসাচ্ছন্ন জীবনের জন্য বিধাতাকে দায়ী করা ঠিক নয় l কবি ‘এ কাৰ্যটা’ বলতে অযথা হাহাকার করে সময় নষ্ট করার কথা বলেছেন l কবির মনে হয়েছে, এমন দ্বিধা-দ্বন্দ্বমনের মধ্যে না রাখাই ভালাে l
জীবনে বিপর্যয়ের মেঘ ঘনিয়ে আসলে মানুষ নিজের ভাগ্যকে দূষতে থাকে। অর্থাৎ সে অদৃষ্টনির্ভর হয়ে পড়ে। কিন্তু এতে নিজের ক্ষতি উত্তরােত্তর বৃদ্ধি পায়। তাই কবি ভাগ্যের দোহাই ছেড়ে যতখানি সম্ভব নিজের উদ্যোগে এগিয়ে চলার উপদেশ দিয়েছেন।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে : ৫
‘ভালাে মন্দ যাহাই আসুক / সত্যেরে লও সহজে।
পঙক্তিদুটি ‘বােঝাপড়া’ কবিতায় কতবার ব্যবহার করা হয়েছে? এমন পুনরাবৃত্তির কারণ কবিতাটির বিষয়বস্তুর আলােকে বিশ্লেষণ করাে। ১+৪
উত্তর : প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্যটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “বােঝাপড়া” কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে। ‘ভালাে মন্দ যাহাই আসুক l সত্যেরে লও সহজে।’ এই পঙক্তিদুটি ‘বােঝাপড়া’ কবিতায় পাঁচবার ব্যবহার করেছেন কবি।
কবির মনে হয়েছে, কোনােরকম বিবাদ-বিতর্ক-ঝগড়া না করে নিজের মতাে চলা ভালাে। যেটা সত্য বলে মনে হয় তাকে গ্রহণ করার মধ্যে জীবনের অন্য আর এক আনন্দ আছে।
তাই কবি বার বার লিখেছেন—
ভালাে মন্দ যাহাই আসুক
সত্যেরে লও সহজে।
চলার পথে সমস্যা থাকলেও সেই ঘটনাকে গুরুত্ব না দিয়ে যদি এগিয়ে যাওয়া যায়, তবেই একসময় এ জীবন অর্থপূর্ণ হয়ে উঠবে। অন্ধকারের মধ্যেও আলাের দেখা মিলবে। সুতরাং হতাশ হয়ে, বিধির দোহাই না দিয়ে সত্যের পথে এগিয়ে গেলেই জীবনের সার্থকতা পাওয়া যাবে। কবি এসব বাস্তব কথা গুলাে বলার পর পরই আমাদের বলেছেন এই বাস্তব সত্য গুলিকে মেনে নিতে, তাই কবি প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্যটি ব্যবহার করেছেন।
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : ১×৩=৩
১.১ অদ্ভুত আতিথেয়তা’ গল্পে আরব জাতির সঙ্গে যাদের সংগ্রামের প্রসঙ্গ রয়েছে।
(ক) ইরানীয়
(খ) তুর্কি
(গ) স্পার্টা
(ঘ) মুর
উত্তর :- (ঘ) মুর
১.২ মুর সেনাপতি আরব শিবিরে এসেছিলেন –
(ক) ঘোড়ায় চড়ে
(গ) হাতিতে চড়ে
(খ) উটেচড়ে
(ঘ) রথে চড়ে
উত্তর :– (ক) ঘোড়ায় চড়ে
১.৩ ‘আপনি সত্বর প্রস্থান করুন। — একথা বলেছেন –
(ক) আরবরাজ
(খ) আরব সেনাপতি
(গ) মুররাজ
(ঘ) মুর সেনাপতি
উত্তর :- (খ) আরব সেনাপতি
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১×৩=৩
২.১ ‘আশ্রয়-প্রার্থনা করিলেন।’- কোথায় আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে?
উত্তর :- পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পে মুব সেনাপতি আরব শিবিরে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করলেন ।
২.২ ‘সন্দিহানচিত্তে শয়ন করিলেন। কেন তার মনে সন্দেহ জেগেছে?
উত্তর :- পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ‘অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পে থেকে উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত হয়েছে।
আরব সেনাপতি এবং মুর সেনাপতি যখন নিজ নিজ বংশের পূর্বপুরুষের গৌরবের কথা বলছিলেন তখন হঠাৎ আরব সেনাপতির মুখ বিবর্ণ হয়ে যায় এবং হঠাৎ তার আচরণও পাল্টে যায়, তাই মুর সেনাপতি সন্দিহান চিত্তে শয়ন করলেন।
২.৩ ‘আমা অপেক্ষা আপনকার ঘোরতর বিপক্ষ আর নাই।’— বক্তা কেন একথা বলেছেন?
উত্তর :- অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পে আরব সেনাপতি মুর সেনাপতি কে প্রশ্নদ্ধৃত কথাটি বলেছিলেন, কারণ মুর সেনাপতি তার পিতার হত্যাকারী ছিলেন ।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ৩×৩=৩
৩.১ ‘কিন্তু তাহার দিভ্রম জন্মিয়াছিল।’— কার কথা বলা হয়েছে? এর ফলে কী ঘটেছিল?
উত্তর :- বাংলা গদ্যের জনক পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পে এক মুব সেনাপতির কথা এখানে বলা হয়েছে।
‘দিক্ম’ হওয়ার ফলে তিনি সঠিক দিক্নির্ণয় করতে পারলেন না। ক্ষুধায়, সিপাসায় ও ক্লান্তিতে অত্যন্ত সীড়িত অবস্থায় তিনি বিপক্ষ আরবসেনার শিবিবে উপস্থিত হলেন এবং আশ্রয় প্রার্থনা করলেন।
৩.২ ‘এই সময়ে, সহসা আরব সেনাপতির মুখ বিবর্ণ হইয়া গেল।’— আরবসেনাপতির মুখ বিবর্ণ হলো কেন?
উত্তর :- পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ‘অদ্ভুত আতিথেয়তা’ গল্পের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘আতিথেয়তা বিষয়ে পৃথিবীতে কোনো জাতিই আরবদিগের । বষ তুল্য নহে।’
পথ ভুল করে শত্রুপক্ষ আরব সেনাপতির দ্বারে উপস্থিত হয়েছিলেন ক্লান্ত শ্রান্ত – ক্ষুধার্ত মুর সেনাপতি । ইচ্ছা করলেই সেই সময় আরব সেনাপতি তাঁকে হত্যা করতে পারতেন। তিনি তা না করে অতিথি হিসাবেই আহার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। অতঃপর বন্ধুভাবে তাঁর সঙ্গে গল্প শুরু করেন। উভয়েই নিজ পূর্বপুরুষগণের সাহস, পরাক্রম ও যুদ্ধ কৌশলের কাহিনি বলতে থাকেন। বিদ্যাসাগর লিখেছেন – তাঁহারা, পরস্পর স্বীয় ও স্বীয় পূর্বপুরুষদিগের সাহস, পরাক্রম,সংগ্রাম কৌশল প্রভৃতির পরিচয় প্রদান করিতে লাগিলেন।
কথাপ্রসঙ্গে আরব সেনাপতি জানতে পারেন যে, আশ্রিত মুব সেনাপতি হলেন তাঁর পিতার হত্যাকারী। এই নিদারূণ সংবাদে তাঁর মনে প্রবল আক্রোশ জন্মায়। কিন্তু অতিথিবাৎসল্যের অক্ষমতায় অন্তরে যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়, তার প্রভাবেই তাঁর মুখ বিবর্ণ হয়ে ওঠে।
৩.৩ ‘এই বলিয়া, আরব সেনাপতি, সাদর সম্ভাষণ ও করমর্দন পূর্বক, তাহাকে বিদায় দিলেন। – আরব সেনাপতি উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে কী বলেছিলেন?
উত্তর :- আরব সেনাপতি মুর সেনাপতি কে বলেছিলেন_ ” আপনি সত্বর প্রস্থান করুন এই বিপক্ষ শিবিরের মধ্যে আমা অপেক্ষা আপনার ঘোরতর বিপক্ষ আর নাই। আমি শ্রবণ মাত্র বৈরসাধন বাসনার বসতি হইয়া বারংবার এই শপথ প্রতিজ্ঞা করিয়াছি সূর্যোদয় হইলেই প্রাণপণে পিতৃহন্তার প্রাণবন্ত সাধনে প্রবৃত্ত হইবো। এখন পর্যন্ত সূর্যোদয় হয় নাই, কিন্তু সূর্যদয়ের ও অধিক বিলম্ব নাই, আপনি সত্বর প্রস্থান করুন। আমি আপনাকে যে অশ্ব দিয়াছি উহা আমার অশ্ব অপেক্ষা কোন অংশেই হীন নহে। যদি উহা দ্রুতবেগে গমন করিতে পারে তাহা হইলে আমাদের উভয়ের প্রাণরক্ষার
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো : ৩×৩=৯
‘অদ্ভুত আতিথেয়তা’ গল্পে আবর সেনাপতির আতিথেয়তাকে ‘অদ্ভুত’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর :- আরবজাতি অত্যন্ত অতিথিবৎসল হিসাবে জগতে পরিচিত। আলোচ্য পাঠ্যাংশে তার পরিচয় পাই। আরব সেনাপতি শত্রুপক্ষের আশ্রয়প্রার্থী সেনাপতিকে প্রসন্নচিত্তে অতিথিরূপে গ্রহণ করেছেন।
আশ্রিত মুর সেনাপতিই তাঁর পিতার প্রাণহন্তা– এই তথ্য জানার পরেও সেনাপতি নিজেকে সংযত রেখেছেন। এমনকি অতিথির পরিচর্যায় কোনো ত্রুটি করেননি। আবার অতিথিভাব অন্তর্হিত হলে চরম শত্রুরূপে মুর সেনাপতিকে গণ্য করেছেন। ঘোরতর শত্রুর প্রতি আরব সেনাপতির এইরূপ অস্বাভাবিক ব্যবহারকেই লেখক ‘অদ্ভুত আখ্যা দিয়েছেন।
1. Read the following passage and answer the questions that follow:
He wandered far in search of the clouds, down winding paths and alleys, till he reached the old mud hut. There, he turned on to the dirt track. He saw a grass-cutter coming from the other direction, a bundle of freshly cut grass balanced on his head. He stopped the man and asked, “Have you seen the clouds there?”
“Clouds?”
The grass-cutter was amazed, as though he had been asked the most peculiar question.
A. Complete the following sentences: 1×3=3
(i) In search of the clouds the boy reached______________.
Ans: In search of the clouds the boy reached the old mud hut.
(ii) The boy met a grass-cutter who had______________.
Ans: The boy met a grass-cutter who had a bundle of freshly cut grass balanced on his head.
(iii) The grass-cutter was so amazed as if______________ .
Ans: The grass-cutter was so amazed as if he had been asked the most peculiar question.
B. Answer the following questions: 2 × 2 = 4
(i) Where did the boy wander about?
Ans: The boy wandered far in search of the clouds, down winding paths and alleys.
(ii) What was he looking for ?
Ans: He was looking for clouds.
2. Do as directed: 1 × 5 = 5
(i) I shall have obtained my graduation degree by then. [Underline the Future Perfect Tense]
Ans: I shall have obtained my graduation degree by then.
(ii) This handwriting is legible. [Rewrite the sentence using the antonym of the word underlined]
Ans: This hand writing is illegible.
(iii) It _______ (rain) since early morning. [Fill in the blanks with the Present Perfect Continuous Tense]
Ans: It has been raining since early morning.
(iv) Tell your _______ not to play in the ________. (sun /son) [Choose the correct homophone and fill in the blanks]
Ans: Tell your son not to play in the sun.
(v) I ________ (need) your vehicle tomorrow evening. [ Fill in the blanks with the Future Continuous Tense of the word given in bracket]
Ans: I shall be needing your vehicle tomorrow evening.
3. Write a story in about 80 words using the outline given below. Give a suitable title to the story: 8
Points: a soldier, prisoner of war for many years – the soldier returns home – sees a man selling caged birds – buys all caged birds – sets the birds free
Ans:
THE SOLDIER AND THE CAGED BIRDS
Once upon a time, a war started between England and France. In the war many English soldiers were imprisoned. After many days, one of the soldiers was released and he returned home. One day he was going to the market. Then he saw a bird-seller carrying a few cages, full of birds. Seeing the condition of the poor birds, the soldier took pity on them. Then he remembered his own condition in the French prison. The soldier bought all the cages and set the birds free. The bird-seller said to the soldier, “Why did you release the birds?” The soldier said, “I was once captivated. So, I know the miseries of the captivity”
Read the passage given below and answer the questions that follow:
Now the boy whose name was Jon, had always obeyed his mother. So he went about his farm work with a heavy heart but did not again mention the sea.
One day, he had been walking behind the plough. He all but ran over a tiny green turtle on a clod of dirt. He picked the turtle up and set it on his head where he knew it would be safe. When he was done with ploughing, Jon plucked the turtle from his head. To his utter surprise he found that it had turned into a tiny green fairy man that stood upon his palm and bowed.
A. Tick the correct answer: 1 × 2 = 2
(i) Jon was engaged in
(a) domestic work
(b) motor work
(c) farm work
Ans : (c) farm work
(ii) The tiny turtle was found on the
(a) plough
(b) clod of dirt
(c) seaside
Ans : (b) clod of dirt
B. Write ‘T’ for true and ‘F’ for false statements in the given boxes. Give supporting statements for your answers: 2 × 3 = 6
(i) Jon had never obeyed his mother. [ F ]
Supporting Statement: Jon Had always obeyed his mother
(ii) The little turtle that Jon found was green in colour. [ T ]
Supporting Statement: He all but ran over a tiny green turtle on a clod of dirt.
(iii) The little turtle converted into a beautiful mermaid. [ F ]
Supporting Statement: He found that it had turned into a tiny green fairy man
Match the following words with their antonyms: 1 × 4 = 4
Countable Nouns
Uncountable Nouns
(i)
tiny
disobey
(ii)
safe
light
(iii)
obey
huge
(iv)
heavy
unsafe
Class 8 English Model Activity Task Part 9 match the following question
Ans :
Countable Nouns
Uncountable Nouns
(i)
tiny
huge
(ii)
safe
unsafe
(iii)
obey
disobey
(iv)
heavy
light
Class 8 English Model Activity Task Part 9 match the following answer
Write a paragraph in about 80 words on ‘Protection of Wild Life’. You may use the following points: 8
Points : disturbance of ecological balance – man’s greed and selfishness causing gradual extinction of wild life – deforestation, less space for accommodation of wild life – urgent need for protection of wild animals – conclusion
Ans :
PROTECTION OF WILDLIFE
Wildlife plays an important role in human and animal life. It is our duty to save and protect it. On this earth, the wildlife is equally important like human beings. But unfortunately, the wildlife on this earth is always in danger as we, the human being are destroying it regularly only to fulfil our personal needs. Many animals are on the verge of extinction due to the irresponsibility of man. Trees are vanishing from the earth daily. As a result of that, the ecosystem and the balance of nature is deteriorating. In India, the growth of population has caused a lot of damage to the wildlife. Though we have wildlife conservation laws in the country it has not reduced the destruction of wildlife as expected. People need to feel the importance of wildlife and try to protect it from being destroyed.
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো : ১×৩=৩
১.১ মহীসঞরণ তত্ত্বটির প্রবক্তা হলেন—
(ক) মর্গ্যান
(খ) পিচো
(গ) পার্কার
(ঘ) ওয়েগনার।
উত্তর :- (ঘ) ওয়েগনার ।
১.২ দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের আন্দিজ পর্বত সৃষ্টি হয়েছে—
(ক) মহাদেশীয়-মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষে
(খ) মহাদেশীয় মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষে
(গ) মহাসাগরীয় মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষে
(ঘ) মহাদেশীয়-মহাদেশীয় পাতের পরস্পর বিপরীতমুখী চলনে।
উত্তর :- (খ) মহাদেশীয় মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষে
১.৩ সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্পের ফলে যে প্রবল ক্ষমতাসম্পন্ন উঁচু ঢেউ উপকূলে আছড়ে পড়ে তাকে বলে—
(ক) গাইজার
(গ) সুনামি
(খ) ম্যাগমা
(ঘ) অগ্ন্যুদ্গম।
উত্তর :- (গ) সুনামি
২.১ ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও : ১×৩=৩
উত্তর:-
ক’ স্তম্ভ
খ’ স্তম্ভ
২.১.১ গঠনকারী পাতসীমানা
২. পরস্পর বিপরীতমুখী পাতের চলন
২.১.২ পাহোহো
৩. লাভা
২.১.৩ মাউন্ট পোপা
১. মৃত আগ্নেয়গিরি
২.২ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও : ১x২ = ২
২.২.১ কোন পাতসীমানায় ভূত্বকের ধ্বংস বা সৃষ্টি হয় না?
উত্তর :- নিরপেক্ষ পাত সীমানায় ভূত্বকের ধ্বংস সৃষ্টি হয় না।
২.২.২ কোন ভূকম্প তরঙ্গ পদার্থের তিনটি অবস্থার মধ্য দিয়েই প্রবাহিত হয়?
উত্তর :- প্রাথমিক তরঙ্গ বা p তরঙ্গ পদার্থের তিনটি অবস্থার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : 2×2 = 8
৩.১ অভিসারী পাতসীমানাকে বিনাশকারী পাতসীমানা বলা হয় কেন?
উত্তর :- অভিসারী পাতসীমানায় পাত দুটো পরস্পরের দিকে অগ্রসর হয় এবং পাতের সংঘর্ষ ঘটে। দুটো পাতের মধ্যে অপেক্ষাকৃত ভারী পাত হালকা পাতের নীচে প্রবেশ করে। এর ফলে নিমজ্জিত পাতটির গলন হয়, সমুদ্রখাত সৃষ্টি হয় ও ভূত্বকের বিনাশ ঘটে এবং এই অঞ্চলে প্রতিনিয়ত ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাত ঘটে। এই জন্য অভিসারী পাতসীমানাকে বিনাশকারী পাতসীমানা বলা হয়।
উদাহরণ – প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত ও আমেরিকা পাতের সংযোগস্থল।
৩.২ ভূমিকম্পের কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো।
উত্তর :-
ভূমিকম্পের কেন্দ্র
1. ভূপৃষ্ঠ থেকে নীচে কিছুটা গভীরে যে স্থান থেকে ভূকম্পন তরঙ্গ উৎপন্ন হয় তাকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে।
2. ভূমিকম্পের কেন্দ্র সাধারণত ভূ অভ্যন্তরে 16 কিঃমিঃর মধ্যে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে 700 কিঃমিঃ গভীরে গুরুমন্ডলে অবস্থান করে।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র
1.কেন্দ্রের ঠিক সোজাসুজি উপরে ভূপৃষ্ঠের যে বিন্দুতে ভূকম্পিয় তরঙ্গ প্রথম পৌঁছায় তাকে উপকেন্দ্র বলে
2.উপকেন্দ্র কেন্দ্রের সোজাসুজি লিথোস্ফীয়ারের উপরি ভাগে অবস্থান করে।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৩×১=৩
‘প্রশান্ত মহাসাগর অগ্নিবলয় ভূমিকম্পপ্রবণ কেন?
উত্তর :- ‘মেখলা’ শব্দের মানে হল ‘কোমর বন্ধনী’। অসংখ্য আগ্নেয়গিরি মেখলা বা কোমর বন্ধনীর আকারে কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যখন অবস্থান করে, তখন তাকে ‘আগ্নেয় মেখলা’ বলা হয়।
ভূবিজ্ঞানীর মতে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশীয় পাতের সঙ্গে ও এশীয় মহাদেশীয় পাতের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের ক্রমাগত সংঘর্ষের ফলে পাত সীমায় ফাটল বরাবর অগ্ন্যুৎপাত ঘটে থাকে এবং আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়।
পৃথিবীতে যত জীবন্ত ও সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে, তার প্রায় ৭০% আগ্নেয়গিরিই প্রশান্ত মহাসাগর সংলগ্ন দ্বীপগুলোর প্রধানত দুটি অঞ্চলে একটি আংটি বা বলয়ের আকারে অবস্থান করছে। এই অঞ্চলেই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়গিরির অবস্থান। প্রশান্ত মহাসাগরকে বলয় বা মেখলার আকারে পূর্ব পশ্চিমে ঘিরে থাকা এই আগ্নেয় গিরিমণ্ডলকেই ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা’ (Pacific Ring of Fire) বলা হয়। এই অঞ্চলটি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৫×১=৫
কীভাবে দুটি পাতের সংঘর্ষে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয় তা চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর :- দুটি গতিশীল পাতের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটলে পাতসীমান্ত পলিরাশিতে চাপের মাধ্যমে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয় l যেমন —
(i) দুটি মহাদেশীয় পাতসীমান্তে ভঙ্গিলপর্বতের সৃষ্টি : সাধারণত দুটি মহাদেশীয় পাতের মাঝে দীর্ঘ গভীর সমুদ্র বা মহীখাত থাকে দুটি অভিসারী পাত ক্রমশ কাছে এলে মহীখাত সংকীর্ণ হয় এবং সঞ্চিত পলিরাশি থেকে ভাঁজের আকারে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়।
(ii) মহাদেশীয় মহাসাগরীয় পাতসীমান্তে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি : যখন অপেক্ষাকৃত ভারী মহাসাগরীয় পাত মহাদেশীয় পাতের নিচে প্রবেশ করে পাত সীমান্তে ধনুকের মতো বাঁকা সৃষ্টি হয় l এই পাত সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত মহিখাতের পলিরাশিতে প্রচণ্ড চাপের সৃষ্টি হয় l ফলে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয় l উদাহরণ – আমেরিকা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষের ফলে রকি ও আন্দিজ পর্বতের সৃষ্টি হয়েছে।
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে : ১ x ২ = ২
১.১ শিলামণ্ডলের নীচে গুরুমণ্ডলের ওপরের স্তর হলাে—
(ক) ভূত্বক
(খ) অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার
(গ) অন্তঃ গুরুমণ্ডল
(ঘ) বহিঃ কেন্দ্রমণ্ডল
উত্তর: (খ) অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার
১.২ নীচের ছবিতে তির চিহ্ন দ্বারা নির্দেশিত বিযুক্তিরেখার নাম হলাে—
(ক) রেপিত্তি
(খ) কনরাড
(গ) গুটেনবার্গ
(ঘ) লেহম্যান
উত্তর: (ঘ) লেহম্যান
২.১ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করাে : ১ x ৩ = ৩
২.১.১ ‘S’ তরঙ্গ __________ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না।
উত্তর: ‘S’ তরঙ্গ তরল বা অর্ধতরল মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না।
২.১.২ পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে থাকা পদার্থগুলাের ঘনত্ব __________ ।
উত্তর: পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে থাকা পদার্থগুলাের ঘনত্ব বেশী ।
২.১.৩ ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের উপরিঅংশ নিয়ে গঠিত হয়েছে __________ ।
উত্তর: ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের উপরিঅংশ নিয়ে গঠিত হয়েছে শিলামণ্ডল ।
২.২ বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখাে : ১ x ৩ = ৩
২.২.১ P তরঙ্গ ভূঅভ্যন্তরের তরল মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।
উত্তর: ভুল
২.২.২ কেন্দ্রমণ্ডলের প্রধান উপাদান অ্যালুমিনিয়াম ও সিলিকন।
উত্তর: ভুল
২.২.৩ সিমা অপেক্ষাকৃত ভারি হওয়ায় সিয়ালের নীচে অবস্থান করে।
উত্তর: ঠিক
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ২ x ২ = ৪
৩.১ ম্যাগমা ও লাভার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করাে।
উত্তর:
বিষয়
ম্যাগমা
লাভা
১. সংজ্ঞা
ভূগর্ভের উত্তপ্ত ও গলিত তরল খনিজের মিশ্রণ কে ম্যাগমা বলে
লাভা বলতে বোঝায় ভূপৃষ্ঠের উপরিস্থিত উত্তপ্ত তরল গ্যাস ও বাস্প হীন শিলার মিশ্রণ
২. স্থানিকতা
ভূ-গর্ভে ম্যাগমার উপস্থিতি দেখা যায়
লাভা ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগেই অবস্থান করে
৩. প্রকৃতি
ভূগর্ভের তরল শিলা হল ম্যাগমা
লাভা হলো ভূপৃষ্ঠের উপরিস্থিত তরল ও কঠিন শিলার মিশ্রণ
৩.২ ক্লোফেসিমা ও নিফেসিমার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করাে।
উত্তর:
বিষয়/ভিত্তি
ক্রোফেসিমা
নিফেসিমা
১. অবস্থান
গুরুমণ্ডলের উপরের অংশ বা বহিঃগুরুমণ্ডল
গুরুমণ্ডলের নীচের অংশ বা অন্তঃগুরুমণ্ডল
২. বিস্তার
30-700 কিমি.
700-2900 কিমি.
৩. বেধ
প্রায় 670 কিমি.
প্রায় 2200 কিমি.
৪. উপাদান
ক্রোমিয়াম (Cr.), লোহা (Fe), সিলিকন (Si), ও ম্যাগনেশিয়াম (Ma)
নিকেল (Ni), লোহা (Fe), সিলিকন (Si), ও ম্যাগনেশিয়াম (Ma)
৫. পদার্থের আকৃতি
অপেক্ষাকৃত হালকা
অপেক্ষাকৃত ভারী
৬. ঘনত্ব
3.4 – 4.5 গ্রাম/ঘন সেমি.
4.5 – 5.6 গ্রাম/ঘন সেমি.
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৩ x ১ = ৩
ভূঅভ্যন্তরের পরিচলন স্রোতের ভূমিকা উল্লেখ করাে।
উত্তর: ভূগর্ভের তাপে সান্দ্র অবস্থায় থাকা পদার্থগুলি উত্তপ্ত হয়ে ওপরের দিকে উঠে এসে অনুভূমিকভাবে প্রবাহিত হয়। আবার ওপরের ঠান্ডা, ভারী পদার্থ নীচের দিকে নেমে যায়। এইভাবে পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর অভ্যন্তরে গুরুমণ্ডলে এই স্রোত বাহিত হয়ে ভূমির পরিবর্তন ঘটায়। পরিচলন স্রোত ভূগর্ভের তাপকে ওপরের দিকে বয়ে নিয়ে আসে। পাতের সঞ্চালনেও পরিচলন স্রোত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৫ x ১ = ৫
পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।
উত্তর: বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর অভ্যন্তরের প্রধান তিনটি স্তরের সন্ধান পেয়েছেন। একেবারে উপরে আছে ভূত্বক। ভূত্বকের নিচে আছে গুরুমন্ডল। আর একেবারে নীচে বা পৃথিবীর কেন্দ্রের চারদিকে অবস্থান করছে কেন্দ্রমন্ডল। এদের বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
(ক) ভূত্বক:-
১) গভীরতা:- মহাসাগরের নীচে ভূত্বক গড়ে 5 কিমি ও মহাদেশের নীচে গড়ে 60 কিমি. গভীর। এর গড় গভীরতা প্রায় 30 কিমি।
২) বিযুক্তি তল:- a) সিয়াল ও সিমা স্তরের মাঝে আছে কনরাড বিযুক্তিরেখা। b) ভূত্বক ও গুরুমন্ডলের মাঝে আছে মােহোরোভিসিক বিযুক্তিরেখা বা মােহ।
(খ) গুরুমন্ডল:-
১) অবস্থান:- শিলামন্ডল ও কেন্দ্রমন্ডলের মধ্যবর্তী অংশ।
২) উপাদানসমূহ:- লােহা, নিকেল ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সিলিকন প্রভৃতি।
৩) বিযুক্তি রেখা:- a) শিলামন্ডল ও গুরুমন্ডল এর মাঝে মােহোরোভিসিক বিযুক্তি রেখা। b) গুরুমন্ডল ও কেন্দ্রমন্ডলের মাঝে গুটেনবার্গ বিযুক্তি রেখা। এবং বহিঃগুরুমন্ডল ও অন্তঃকেন্দ্রমন্ডলের মাঝে রেপিত্তি বিযুক্তি রেখা অবস্থান করছে।
(গ) কেন্দ্রমন্ডল:-
১) অবস্থান:- পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করছে।
২) গঠনকারী পদার্থ:- ঘন ও ভারী খনিজ অর্ধতরল পদার্থ দ্বারা গঠিত।
৩) বিযুক্তিরেখা:- a) কেন্দ্রমন্ডল গুরুমন্ডল থেকে আলাদা করেছে গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখা। b) বহিঃকেন্দ্রমন্ডল ও অন্তঃকেন্দ্রমন্ডল কে পৃথক করে রেখেছে লেহম্যান বিযুক্তিরেখা।
শারীরশিক্ষার মৌলিক ধারণা
১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে শূন্যস্থান পূরণ করাে : ১ x ৬ = ৬
(ক) শারীরশিক্ষার লক্ষ্য হল ব্যক্তিসত্তার _____________ l
(i) কর্মসূচি (ii) ক্রিয়াকৌশল (iii) উন্নতি (iv) পূর্ণবিকাশ
উত্তর : শারীরশিক্ষার লক্ষ্য হল ব্যক্তিসত্তার পূর্ণবিকাশ l
(খ) শারীরশিক্ষা হল শিক্ষার সেই অংশ, যা শারীরিক ক্রিয়াকৌশলের মাধ্যমে সংগঠিত হয় এবং যার ফলে ব্যক্তির _____________ গড়ে ওঠে।
(i) ব্যক্তিত্ব (ii) শৈশব (iii) আচরণবিধি (iv) শৃঙ্খলা
উত্তর : শারীরশিক্ষা হল শিক্ষার সেই অংশ, যা শারীরিক ক্রিয়াকৌশলের মাধ্যমে সংগঠিত হয় এবং যার ফলে ব্যক্তির আচরণবিধি গড়ে ওঠে।
(গ) শারীরশিক্ষার অবদান সমাজ জীবনে _____________ l
(i) অবহেলিত (ii) গৌণ (iii) স্বাভাবিক (iv) অনস্বীকার্য
উত্তর : শারীরশিক্ষার অবদান সমাজ জীবনে অনস্বীকার্য l
(ঘ) শারীরশিক্ষার জৈবিক প্রয়ােজনীয়তা হল _____________ l
(i) সুষম শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ (ii) মানসিক বিকাশ (ii) অভ্যাস গঠন (iv) আন্তর্জাতিক বােঝাপড়া
উত্তর : শারীরশিক্ষার জৈবিক প্রয়ােজনীয়তা হল সুষম শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ l
(ঙ) স্বাস্থ্য সম্পর্কিত শারীরিক সক্ষমতার উপাদানটি হল _____________ l
(i) নমনীয়তা (ii) গতি (iii) ক্ষিপ্রতা (iv) ভারসাম্য
উত্তর : স্বাস্থ্য সম্পর্কিত শারীরিক সক্ষমতার উপাদানটি হল নমনীয়তা l
(চ) দক্ষতা সম্পর্কিত শারীরিক সক্ষমতার উপাদানটি হলাে _____________ l
(i) সমন্বয় সাধন (ii) দেহ উপাদান (iii) নমনীয়তা (iv) পেশি সহনশীলতা
উত্তর : দক্ষতা সম্পর্কিত শারীরিক সক্ষমতার উপাদানটি হলাে সমন্বয় সাধন l
২। বাম-স্তম্ভের সঙ্গে ডান-স্তম্ভের সমতাবিধান করাে। ১ x ৪ = ৪
বাম স্তম্ভ
ডান স্তম্ভ
(ক) গতি
(i) অস্থিসন্ধি সঞ্চালন ক্ষমতা
(খ) প্রতিক্রিয়া সময়
(ii) শাটল রান
(গ) নমনীয়তা
(iii) ন্যূনতম সময়ে অতিক্রান্ত দূরত্ব
(ঘ) ক্ষিপ্রতা
(iv) নির্দেশ ও কাজ শুরুর মধ্যবর্তী সময়
উত্তর :
বাম স্তম্ভ
ডান স্তম্ভ
(ক) গতি
(iii) ন্যূনতম সময়ে অতিক্রান্ত দূরত্ব
(খ) প্রতিক্রিয়া সময়
(iv) নির্দেশ ও কাজ শুরুর মধ্যবর্তী সময়
(গ) নমনীয়তা
(i) অস্থিসন্ধি সঞ্চালন ক্ষমতা
(ঘ) ক্ষিপ্রতা
(ii) শাটল রান
৩। রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ X ২ =১০
(ক) আধুনিক জীবনে শারীরশিক্ষার প্রয়ােজনীয়তা ব্যক্ত করাে।
উত্তর : আধুনিক জীবনে শারীর শিক্ষার প্রয়ােজনীয়তা অনস্বীকার্য। এর প্রয়ােজনীয়তা নিম্নরূপ —
(১) শিশুর সর্বাঙ্গিণ বিকাশ।
(২) শারীরিক বৃদ্ধি ও উন্নতি।
(৩) বৌদ্ধিক বিকাশ l
(৪) প্রক্ষোভিক গুণাবলির বিকাশ ও তার নিয়ন্ত্রণ।
(৫) সামাজিক সমন্বয়সাধন l
(৬) শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি l
(৭) স্নায়ু ও পেশির সমন্বয়সাধন l
(৮) মূল্যবােধের বিকাশ ।
(৯) নেতৃত্বদান ও গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশ l
(১০) বিনােদন l
(১১) সৃজনশীলতার প্রকাশ l
(১২) জাতীয়সংহতি রক্ষা করা l
(১৩) আন্তর্জাতিক বােঝাপড়া।
(১৪) শারীরিক প্রতিবন্ধকতা, বার্ধক্য, রােগপ্রতিরােধ ও নিরাময়।
(খ) ১৯১১ সালের ঐতিহাসিক আই এফ এ শিল্ড ফাইনাল খেলা সম্বন্ধে তুমি যা জানাে লেখাে।
উত্তর : ১৯১১ সালে মােহনবাগান অপ্রতিরােধ্যগতিতে আই.এফ.এ শিল্ডে অংশগ্রহণ করে। এই দল মিডলসেক্স এর বিরুদ্ধে জয়লাভ করে ফাইনালে ওঠে। ফাইনালে মােহনবাগানের প্রতিপক্ষ ছিল তৎকালীন সেরাদল ইস্টইয়র্ক। এই ফাইনাল খেলার সাথে ভারতীয়দের জাতীয়সম্মান তথা বাঙালির আত্মসম্মান জড়িয়ে গিয়েছিল। দেশাত্মবােধে উদ্বুদ্ধ হয় সকল মােহনবাগান খেলােয়াড়েরা। খেলার প্রথমার্ধ থেকেই টানটান উত্তেজনা ছিল। হাফ-টাইমের পরেই শুরু হল মােহনবাগানের মুহুর্মুহু আক্রমণ। খেলা শেষের মাত্র কয়েকমিনিট আগে অভিলাষ ঘােষের বলে মােহনবাগানের জয় সুনিশ্চিত হয়, আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়ায় মােহনবাগানের জয়ধ্বনি। সেইদিন সমগ্র দেশ তথা বাংলায় নেমে এসেছিল অকাল দীপাবলি। ইস্টইয়র্ক-কে হারিয়ে দেশের মানুষের মনে দেশাত্মবোধ, বৈপ্লবিক চেতনা জাগিয়ে তুলতে সমর্থ হয়েছিল মােহনবাগান।
১. শূনস্থান পূরণ করাে : ১ x ৩ = ৩
(ক) ঔরঙ্গজেবের মৃত্যু হয় _________ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর: ঔরঙ্গজেবের মৃত্যু হয় 1707 খ্রিস্টাব্দে।
(খ) পলাশির যুদ্ধ হয় _________ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর: পলাশির যুদ্ধ হয় 1757 খ্রিস্টাব্দে।
(গ) রাজাবলি বইটি লিখেছিলেন _________ ।
উত্তর: রাজাবলি বইটি লিখেছিলেন মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার।
২. ঠিক বা ভুল নির্ণয় করা : ১ x ৩ = ৩
(ক) উইলিয়ম ওয়েডারবার্ন-এর জীবনী লিখেছেন অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম।
উত্তর: ভুল
(খ) ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেস-সভাপতির পদ ত্যাগ করেছিলেন।
উত্তর: ঠিক
(গ) আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম উপাদান ফোটোগ্রাফ।
উত্তর: ঠিক
৩. স্তম্ভ মেলাও : ১ x ৩ = ৩
ক-স্তম্ভ
খ-স্তম্ভ
বাংলার নবাব
রাজিয়া
দিল্লি সুলতান
আকবর
মুঘল সম্রাট
সিরাজ উদ-দৌলা
উত্তর:
ক-স্তম্ভ
খ-স্তম্ভ
বাংলার নবাব
সিরাজ উদ-দৌলা
দিল্লি সুলতান
রাজিয়া
মুঘল সম্রাট
আকবর
৪. অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও (একটি-দুটি বাক্য) : ২ x ৩ = ৬
(ক) সাম্রাজ্যবাদ কাকে বলে?
উত্তর: উনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে ইউরােপের বৃহৎ এবং শিল্পোন্নত দেশগুলি এশিয়া এবং আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনের জন্য এক তীব্র প্রতিযােগিতায় অবতীর্ণ হয়েছিল। এই ঘটনাই সাম্রাজ্যবাদ নামে পরিচিত ছিল।
(খ) সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম লেখাে।
উত্তর: সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম হলো সিধু ও কানহু।
(গ) জেমস মিল ভারতের ইতিহাসকে কোন তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন?
উত্তর: জেমস মিল ভারতের ইতিহাস কে যে তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন সেগুলি হল- হিন্দু যুগ, মুসলিম যুগ ও ব্রিটিশ যুগ।
৫. নিজের ভাষায় লেখাে (তিন-চারটি বাক্য) : ৫ x ১ = ৫
‘History of British India’ কে, কবে লিখেছিলেন? বইটি লেখার উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে History Of British India নামে ভারতের ইতিহাস লেখেন জেমস মিল। বইটা লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতের অতীত কথাকে এক জায়গায় জড়াে করা। যাতে সেটা পড়ে ভারত বর্ষ বিষয়ে সাধারণ ধারণা পেতে পারে ব্রিটিশ প্রশাসনে যুক্ত বিদেশীরা। কারণ, যে দেশ ও দেশের মানুষকে শাসন করতে হবে, সেই দেশের ইতিহাসটাও জানতে হবে।
(১) সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়’ – কবির মতে ‘সবার চেয়ে শ্রেয়’ কী ?
উত্তর :-
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বােঝাপড়া’ কবিতা থেকে আলােচ্য উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে।
জীবনের দুঃখের সাগর পেরিয়ে এই সুখের কিনারায় উঠতে হয়। জীবনে চলার পথে অনেক বাধা বিপত্তি আসে। দুঃখকে অতিক্রম করেই সুখের সন্ধান মেলে। তাই বিপদ এলে বিবেচনা করে এগিয়ে যেতে হয়। নতুবা সামান্য ভুলের কারণে সব ওলট-পালট হয়ে যেতে পারে। সম্পূর্ণ ডুবে যাওয়া বা ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।তাই সতর্ক হয়ে চলতে হবে, অন্যের সঙ্গে বিবাদ না করে। সবার সাথে মিলেমিশে দুঃখ সাগরে ভেসে থাকতে হবে। তাকে অবলম্বন করে টিকে থাকতে হবে। আর সেটি হবে উপযুক্ত, সংগত ও শ্রেয়।
(২) তদবিষয়ে যথােপযুক্ত আনুকুল্য করিব।-বক্তা কোন বিষয়ে আনুকুল্য করার প্রতিশ্রুতি দিলেন ?
উত্তর :-
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত অদ্ভুত আতিথেয়তা’ গল্পের বক্তা হলেন আরব সেনাপতি।
মুর সেনাপতি দিকভ্রষ্ট হয়ে ক্ষুধা-তৃষ্ণায় ক্লান্ত হয়ে,পথ পরিশ্রান্ত হয়ে পৌঁছান বিপক্ষীয় আরব শিবিরে।মূর সেনাপতির শারীরিক অবস্থা দেখে আরব সেনাপতি তাকে আশ্রয় দেন,ব্যবস্থা করেন আহারাদির।মূর সেনাপতির অশ্ব ক্লান্ত এবং হাত বীর্য ছিল। তদ্বিষয়ে বলতে মূর সেনাপতির জন্য তেজস্বী দ্রুতগামী ঘোড়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন যাতে তিনি সুরক্ষিতভাবে নিজ শিবিরে পৌঁছাতে পারেন।
(৩) এই রইল তােদের পিকনিক আমি চললাম।- বক্তা কে ? কেন তিনি পিকনিকে থাকতে চাননি।
উত্তর :-
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পে বক্তা হলেন টেনিদা।
হাবুল সেন, টেনিদা বনভোজনের খাদ্য তালিকা তৈরি করছিল। হাবুলের পােলাও,ডিমের ডালনা, মাছ মাংসের কোর্মা প্রভৃতির কথা বলার মাঝখানে প্লে আলুভাজা,শুক্তো,বাটি চচ্চড়ি, কুমড়াের ছক্কার মত দেশী খাদ্যের কথা বলায় টেনিদার এগিয়ে যায় এবং তার কাছে মনে হয় এগুলাে নিম নিশিন্দা চেয়েও অখাদ্য। তাই টেনিদা পিকনিক ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলেন।
(৪) পরবাসী কবে নিজ বাসভূমি গড়বে ?’ -কবির মনে এমন প্রশ্ন জেগেছে কেন ?
উত্তর :-
আধুনিক যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি বিষ্ণু দে’পরবাসী’ কবিতায় এদেশের সাধারণ মানুষের অনিবার্য পরিণতি কে ব্যক্ত করেছেন। আধুনিক সভ্যতার করাল থাবায় এদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কিভাবে ধ্বংস হচ্ছে,নিজেদের প্রয়োজনে বনকে ধ্বংস করে, বন্যপ্রাণীদের ধরে বিক্রি করে দিচ্ছে লােভী মানুষের দল। অর্থাৎ বর্তমান সভ্যতা ও সংস্কৃতির যে জীবনধারা ও অভিরুচি তা আমাদের চিরাচরিত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিরােধী বলেই তা আমাদের কে নিজের দেশে পরবাসী করে রেখেছে। তাই কবি কার্যত আক্ষেপের সুরে প্রশ্ন করেছেন কবে আমরা আমাদের চিন্তা-চেতনা বিবেক-বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে প্রকৃত অর্থে নিজ বাসভূমি গড়ে তুলব।
(৫) ‘এইভাবে আমরা দেহরা-দুন এক্সপ্লেসের সেই থার্ড ক্লাস গাড়িখানিতে যেন এক পশতু সাহিত্য-গােষ্ঠী বা সম্মেলন লাগিয়ে দিলুম।’ – লেখকের বক্তব্য অনুসরণে সেই পরিস্থিতির বিবরণ দাও
উত্তর :-
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের পথ চলতি গদ্যাংশ কথক একথা বলেছেন ।
এখানে দেহরাদুন এক্সপ্রেস এর থেকে কলকাতা ফেরার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।অনেক সময় পথচলতি বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পারস্পরিক আলাপ-আলােচনার মাধ্যমে অকৃত্রিম আন্তরিকতা ফুটে ওঠে, সাহিত্যের স্বাদ ও মেলে।তেমনই এই গল্পে লেখক দেখিয়েছেন কথক নিজের বুদ্ধির দ্বারা সংরক্ষণ করা থার্ড ক্লাসে নিজের স্থান করে নেন,এবং তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ফারসি ভাষায় কথা বলেন এবং তখনই পশতু সাহিত্য গােষ্ঠী বা সম্মেলন শুরু হয় খুশ হাল খাঁ খ্টকের গজল বিষয়ে প্রশ্নের মাধ্যমে। ঔরঙ্গজেবের সমকালীন এই কবি পশতু ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি। লেখক এর আগ্রহে জনৈক যাত্রী গজল শােনালেন। এরপর হলাে আদম খান আর দুর খানির মহব্বতের কিপার কথা।শুধু লেখকই নন গাড়ির সমস্ত যাত্রীরা অবধারিতভাবে মন দিয়ে সেই কাহিনী শুনল।পাঠানের গলা যদিও কর্কশ, তবে সে গুরুগম্ভীর ভাবে কাহিনীটি কিছুটা গান করে আবার কিছুটা পাঠ করে সবাইকে মােহিত করে রাখল। এভাবে সেই তৃতীয় শ্রেণীর গাড়িতে গান,আবৃত্তি ও পাঠের যেন এক পশতু -সাহিত্য- গোষ্ঠী বা সম্মেলন হল।
(৬) এই সব আমার-ই হবে; আমাকে দেলেন বিধাতা ভাবনাটি কার? বিধাতা তাকে কি কি দেবেন বলে সে মনে করে ?
উত্তর :-
তারাপদ রায়ের লেখা ‘একটি চড়ুই পাখি’ কবিতায় ভাবনাটি এক | চড়ুই পাখির। চড়ুই পাখি কিভাবে ঘরে থাকা মানুষটি অর্থাৎ কথক চলে গেলে এই ঘর তার হয়ে যাবে।ঘরের জানলা, দরজা, টেবিল, ফুলদানি, বই খাতা সবই বিধাতা তাকে অর্থাৎ চড়ুই পাখি কে দিয়ে দেবেন।
(৭) দল বিশ্লেষণ করে মুক্তদল ও রুদ্ধদল চিহ্নিত করে – সম্ভাষণ।
উত্তর :-
সম্ভাষণ- সম(রুদ্ধ)+ ভা(মুক্ত)+ষণ(রুদ্ধ) দল। অর্থাৎ একটি মুক্ত দল 2 টি রুদ্ধদল।
(৮) উঠুন্তি মুলাে পত্তনে চেনা যায়’ -প্রবাদটিকে ব্যবহার করে একটি বাক্য রচনা করাে।
উত্তর :-
উঠন্তি মুলাে পত্তনেই চেনা যায়-(শুরু দেখে ভবিষ্যৎ অনুমান করা যায়) ছেলেটি হরেন বাবুর পকেট কেটেছে এ বড় হলে নির্ঘাত পকেটমার হবে । এ যেন উঠন্তি মুলাে পত্তনে চেনা যায়।
(১.১) সেলুকাস ছিলেন —গ্রিক সেনাপতি/গ্রিক সম্রাট/মুর সেনাপতি/আরব সেনাপতি।
উত্তর :- গ্রিক সেনাপতি ।
(১.২) তােতাই এর চাই —- একটি সবুজ টিয়া/সবুজ চারাগাছ/সবুজ জামা/চশমা।
উত্তর :- সবুজ জামা ।
(১.৩) ‘বাঘের বিক্রম সম মাঘের হিমানী’— প্রঙক্তির রচিয়াতা মাইকেল মধুসুদন দত্ত/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর/ভারতচন্দ্র রায়/ গৌরদাস বসাক।
উত্তর :- ভারত চন্দ্র রায় ।
(১.৪) ‘আলেম’ শব্দের অর্থ— প্রবর্তক/সর্বজ্ঞ/অভিযাত্রী/সহযাত্রী।
উত্তর :- সর্বজ্ঞ ।
(১.৫) ‘মুর সেনাপতি শব্দে দলসংখ্যা—দুই/তিন / পাঁচ/ছয়।
উত্তর :- পাঁচ ।
(২). নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
(২.১.) সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি কবির মতে সুখলাভের উপায়টি কী ?
উত্তর :-
উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বােঝাপড়া নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে । মানুষ অনেক সময় নিজ নিজ অহংবোধে মগ্ন থাকে ফলে মন খুলে অপরের সঙ্গে মিশতে পারে না, তারা তখন নিজের চারদিকে অন্ধকার আড়াল তৈরি করে। তখন তারা জগতে প্রকৃত মুখ থেকে বঞ্চিত থাকে । কিন্তু যদি অহংকার সরিয়ে ফেলে মানুষ নিজের চারদিকে আড়াল মরিয়ে সকলে মাঝে এসে দাঁড়ায় তবে সে বিশ্বচরাচরের অনেক খানি সুখ উপলব্ধি করতে পারবে ।
(২.২) বন্ধুভাবে উভয় সেনাপতির কথোপকথন হইতে লাগিল এই কথোপকথন গল্পের ঘটনাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে ?
উত্তর :-
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্প থেকে গৃহীত আলোচ্য উদ্ধৃত অংশটি বন্ধুভাবে কথােপকথন গ্রন্থ আরব সেনাপতি ও সেনাপতির কথা এখানে বলা হয়েছে।
আরব সেনাপতি ও মুর সেনাপতি পারস্পরিক কথোপকথনের মধ্য দিয়ে অভ্য় সেনাপতির পূর্বপুরুষদের পরাক্রম যুদ্ধকৌশলের নানা পরিচয় উঠে আসে দুজনের এই আলাপচারিতায় মাধ্যমে আর সেনাপতি বুঝতে পারেন যে মুর সেনাপতি আরব আরব সেনাপতির পৃত্রি হান্তা। কিন্তু বর্তমানে মুর সেনাপতি তার অতিথি তাই অতিথির কোনো ক্ষতি তিনি করবেন না।
যার দ্বারা প্রমাণিত হয় আরব সেনাপতি আতিথিয়তা বােধে পৃথিবীর অন্যান্য জাতির মানুষ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ তারা মনের রুদ্ধ ভাব কখনাে অতিথির কাছে প্রকাশ করেন না ভাদের শত্রুতার মধ্যে ও একটি পরম মিত্র তার ভাব ফুটে ওঠে, আর লেখক ও যার দ্বারা প্রমাণিত হয় আরব সেনাপতি আতিথিয়তা বােধে পৃথিবীর অন্যান্য জাতির মানুষ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ । তারা মনের রুদ্ধ ভাব কখনো অতিথির কাছে প্রকাশ করেন না তাদের শত্রুতার মধ্যে ও একটি পরম মিত্র তার ভাব ফুটে ওঠে, আর লেখক ও আমাদেরকে সেই ভাবনায় উদ্বীপ্ত হতে সচেষ্ট করেছেন ।
(২.৩) মহাভারতের কোন্ চরিত্রটি, কেন অপুর সবচেয়ে ভালাে লাগে ?
উত্তর :-
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত পথের পাঁচালী গল্প থেকে আমরা জানতে পারি-মায়ের মুখে কাশীদাসী মহাভারত এর কাহিনী গভীর মনােযােগ দিয়ে শুনতে অপু তবে সকল চরিত্র মধ্যে কর্মকেই ভার সবচেয়ে ভালাে লাগতাে । কারণ, তার মনে হত কর্ণ মহাবীর হয়েও চিরকাল কৃপার পাত্র যুদ্ধক্ষেত্রে কর্ণের রথের চাকা মাটিতে বসে গিয়েছে। সেই সময় অর্জুন নিরন্ত্র কর্ণের উপর বান নিক্ষেপ করে তাকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। কর্ণের কাতর মিনতি অর্জুন শুনল না। শেষ পর্যন্ত অসহায় ভাবে কর্ণ মৃত্যুবরণ করেছে এই ঘটনা শিশুর মনকে বেদনায় ভারাক্রান্ত করে । তুলভাে, ভার মনে হয় যেন এখনাে সেই রথের চাকা তােলার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। অপুর মনে হয় অর্জুন । বীর, সে মান পেল, রাজ্য পেল কিন্তু কর্ণ বড় অসহায় এত বড় বীর হয়েও সে মান পায়নি নিজের অজান্তেই সে কর্ণ কে নিজের হৃদয় বীরের সিংহাসনে বসিয়েছে। অপুর মতে কর্ণ অপরাজিত নায়ক হলেও আদর্শবান । এইসব কারণে কর্ণ চরিত্র অপুর সবচেয়ে বেশি ভালাে লাগতাে।
(২.৪) টিনের বাক্সে অপু কী কী রেখেছিল ? এর মধ্য দিয়ে তার চরিত্রের কোন্ দিক ফুটে ওঠে ?
উত্তর :-
অপু টিনের বাক্সে একটি রং উঠা কাঠের ঘােড়া একটা টোল খাওয়া টিনের ঠেসু বাশি, গােটা কথক কড়ি,দু পয়সা দামের পিস্তল, কতগুলো শুকনাে নাটা ফল, খান কতক খাপড়ার কুচি, ইত্যাদি সম্পত্তি রেখেছিল ।
টিনের বাক্সে সংগৃহীত করে রাখা এই সকল সম্পত্তি গুলি থেকে তার চরিত্র সম্পর্কে এই ধারণায় উপনীত হই যে,অপু খুবই কল্পনা প্রবণ , স্বপ্নবিলাসী । স্বাপ ই তাকে প্রতিমুহুর্তে রসদ জাগায় বেচেঁ থাকার জন্য জীবনকে উপভােগ করার জনা।
অধ্যায় ঃদাড়াও- শক্তি চট্টপাধ্যায়
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
(1.1) দাঁড়াও' কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ?
উ :-মানুষ বড় কাঁদছে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ।
(1.2) সকাল থেকে কবির কার কথা মনে পড়ছে ?
উ :-সকাল থেকেই কবির পরোপকারী হৃদয়বান মানুষের কথা মনে পড়ছে ।
(1.3) কবি কীভাবে মানুষকে পাশে দাঁড়াতে বলেছেন ?
উ :-আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দাঁড়াও কবিতার মানুষ হিসাবে আমাদের অসহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে সর্বদা দাঁড়াতে অর্থাৎ তাদের সাহায্য করতে বলেছেন । মানুষ হয়ে যখন মানুষকে পাখি হিসেবে ফাঁদ পাতা হয় ঠিক তখনই সেই মানবীক হৃদয়বান ও পরোপকারী মানুষকে পাখির মতোই তাদের তাদের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন ।
(1.4) কবিতাটিতে মানুষ শব্দটি কতবার ব্যবহৃত হয়েছে ?
উ :-মানুষ শব্দটি সাতবার ও মানুষই শব্দটি একবার ।
(1.5) দল বিশ্লেষণ কর: মানুষ; একলা; ভেসে; ভালােবেসে ?
উ :-মানুষ - মা/নুষ , একলা - এক/লা , ভেসে - ভে / সে , ভালোবেসে - ভা/লো/বে/সে ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
(2.1) মানুষের পাশে মানুষ কীভাবে দাঁড়াতে পারে ?
উ :-আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দাঁড়াও কবিতায় মানুষ হিসেবে আমাদের সহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাড়াতে বলেছেন। কেননা পূথিবীর অন্যান্য জীব জন্তুর তুলনায় মানুষ ভিন্ন পুষ্টির সেরা জীব হিসেবে একে অপরের দুঃখ যন্ত্রণা কষ্ট, বেদনা ইত্যাদি যদি না বুঝতে পারি তাহলে মানুষের মনুষত্ব কোথায় ? তাই কবি আমাদের সর্বদা অসহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন প্রয়ােজনে তাদের পাশে এসে তাদের দুঃখ যন্ত্র ভাগ করে এবং ভালোবেসে আদর দিয়ে স্নেহ করে সাহায্য করতে হবে। অর্থাৎ তাদের আর্থিক সামাজিক মানসিক, প্রাক্ষোভিক প্রভৃতি দিক দিয়ে সাহায্য করতে হবে।
(2.2) দাঁড়াও' কবিতাটির প্রথম স্তবকে প্রকাশিত কবির অন্তর্নিহিত ভাবনার পরিচয় দাও ?
উ :-আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দাড়াও কবিতায় আমাদের অসহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন । প্রথম স্তবকে আমরা এটা বুঝতে পারি যে তিনি আমাদের বলতে চাইছেন মানুষ প্রচন্ড কাদছে অসহায় ভাবে মানুষ কাঁদছে। এই সমস্ত ক্রন্দনরত মানুষের পাশেই পরোপকারী মানুষদের দাড়াতে বলেছেন। কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের ফাঁদ পেতে শিকার করছে। এই শিকারি দের হাত থেকে পাখির মতোই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।পাখিরা বোঝেনা কোন স্বার্থ। তারা নিঃস্বার্ষ ও দলবন্ধভাবে থাকে ।অপরকে রক্ষা করতে নিজের জীবনকে বলি দিয়েও দ্বিধাবোধ করে না পাখিরে ধর্ম আমাদের গ্রহণ করা উচিত । প্রথম পঙ্কিতে আমাদের একথায় বোঝাতে চেয়েছেন ।
রচনাধর্মী প্রশ্ন
(3.1) কবিতাটির বিষয়বস্তু আলোচনা কর?
উ :-বর্তমান সমাজে মানুষ বড়ই একাকী এবং অসহায়। তাই এই অসহায়, নিপীড়িত, অত্যাচারিত মানুষদের করা তাদের সাহায্য করা আমাদের উচিত। সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মনুষত্বকে বিক্রি করে দিয়ে মানুষকে শোষণ,অত্যাচার করতে ভাবাসে।
অন্যদিকে আর একজন মানুষ আছে যারা সবসময় তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত তারা সর্বদা সবাইকে সাহায্য বা পরোপকার করতে ভালোবাসে। অসহায় মানুষকে ভালোবেসে তাদের উপকার করে তারা আনন্দ উপভোগ করে কবি আমাদের এটাই করতে বলেছেন।
পরিবেশে বলা যায় আমাদের পুরো কবিতা জুড়ে একটাই আহ্বান জানিয়েছেন অসহায় মানুষের দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে নিয়ে, তাদের সর্বদা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে পুরো কবিতায় বারংবার তিনি আরজি বার্তা জানিয়েছেন।
অধ্যায় ঃ কি করে বুঝবো- আশাপূর্নাদেবী
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
(1.1) বুকুর মায়ের নাম কী ?
উ :- নির্মলা ।
(1.2) বুকুর বাড়ি কলকাতার কোন অঞ্চলে ?
উ :- বুকুর বাড়ি কলকাতার ভবানীপুর অঞ্চলে ।
(1.3) ছেনুমাসিরা কোথা থেকে এসেছেন ?
উ :- ছেনুমাসিরা উত্তর পাড়া থেকে এসেছেন ।
(1.4) বুকুর স্কুলের নাম কী ?
উ :- বুকুর স্কুলের নাম আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।
(1.5)অতিথিরা বিদায় নেওয়ামাত্র বুকুর মা কী করেছিলেন ?
উ :- অতিথিরা যাওয়া মাত্রই বুকুর মা বুকুকে ধরে প্রচন্ড হারে প্রহার করেছিলেন ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
(2.1) অতিথিদের আসার খবর জেনে বুকুর বাবা কী করেছিলেন ?
উ:-অতিথিদের আসার খবর জেনে বুকুর বাবা রেগে মেগে একদম লাল হয়ে গিয়েছিলেন । কেননা অতিথিরা বাড়িতে যেদিন বেড়াতে এসেছিল ঠিক সেদিনই কিন্তু সে সিনেমার টিকিট কেটে ছিলেন। তাই সে বিরক্তি প্রকাশ করেন এবং বলে যে টিকিট গুলি পচানোর জন্য বেছে বেছে আজকের দিন তারা বেড়াতে এসেছে ।
(2.2) বুকুর মতে অতিথিরা চলে গেলে কী করতে হয় ?
উ :-বুকুর মতে অতিথিরা চলে গেলে অতিথির নিন্দে করতে হয় । মা কেমন করে নিন্দে করবেন সেটা সে শুনবে । একথা বুকু উৎসাহের সহিত বলছেন ।
রচনাধর্মী প্রশ্ন
(3.1) বুকু কী বুঝতে পারেনি এবং এবিষয়ে তোমার ধারণা কী?
উ :-বুকুর বাবা-মা বুকুকে সব সময় শিক্ষা দিয়েছেন মিথ্যে কথা বলতে নেই। কোন কথা গােপন করে রাখতে নেই। বুকু সেই মােতাবেক কথা বলেছিল ছেনু মাসিরা বাড়িতে আসলে তার বাবা-মা বিরক্তি প্রকাশ করে,আর সে কথা সে তাদের সামনে বলে দেয়। কেননা সে জানে মিথ্যে কথা বলতে নেই এবং কোন কথা গপোন করে রাখতে নেই । আসলে সে জানেনা কখন সঠিক কথা বলতে হয়, কখন কথা গপোন রাখতে হয়।
এ বিষয়ে আমার ধারণা হল এখানে বুকু নির্দোষ I সে ছয় বছরের জ্ঞান হীন নাবালক বালক । সে জানে না কোন মিথ্যা জানেনা কোন গোপনীয়তা। তাকে যেটা শেখানাে হয়েছে সে সেটাই বলেছে। কিন্তু সে স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি যে সত্য কথা বলার জন্য এরকম ভাবে বাবা মার হাতে বেধড়ক মার খেতে হবে।
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখোঃ-
১.১ __________ বিষয়ে পৃথিবীতে কোনো জাতিই আরবদিগের তুল্য নহে।”
(ক) যুদ্ধবিগ্রহ
(খ) দপ্রদর্শন
(গ) ৰৈৱসাধন
(ঘ) আতিথেয়তা
১.২ ‘আমার কাছে কীরূপ আচরণ প্রত্যাশা করো?” বা হলেন –
(ক) সেলুক
(খ) সেকেন্দার
(গ) পুরু
(ঘ) চন্দ্রগুপ্ত
১.৩ পশ্চিমে কুঁদরুর তরকারি দিয়ে ঠেকুয়া খায়।– টেনিদাকে একথা বলেছে –
(ক) হাৰুল সেন
(খ) ক্যাবলা
(গ) প্যালা
(ঘ) ভণ্টা
১.৪ মাইকেল মধুসূদন দত্ত যেই জাহাজ থেকে তার বন্ধু গৌরদাস বসাককে চিঠি লিখেছিলেন, সেটির নাম -
(ক) ভার্সাই
(খ) সীলোন
(গ) মলটা
(ঘ) টাইটানিক
২. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
২.১ মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম' – কোন প্রসঙ্গে কবি একথা বলেছেন ?
উঃ- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'বোঝাপড়া' কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেয়া হয়েছে। এই লাইনের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন পৃথিবীর কোনো মানুষই সকলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারে না আবার সকলে সব কিছু পায়ও না। কেউ বেশি পায় আবার কেউ কম পায়, কেউ প্রতারণার শিকার হচ্ছে ঠিক তেমনি সেও অন্য কাউকে প্রতারিত করছে। তাই কবি এমন বলেছেন।
২,২ 'আমা অপেক্ষা আপনকার ঘোরতর বিপক্ষ আর নাই।” - বক্তার একথা বলার কারণ কী ?
উঃ- উপরোক্ত বক্তব্য নেওয়া হয়েছে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা অদ্ভুত আতিথেয়তা' থেকে এখানে বক্তা আরবসেনাপতি মুরসেনাপতিকে একথা বলার কারণ হল গতরাতে যখন দুই সেনাপতি পরস্পর পরস্পরের পূর্বপুরুষের বিক্রম বর্ণনা করেছিল তখন আরব সেনাপতি জানতে পারেন এই আশ্রয়প্রার্থী মুরসেনাপতির নির্দেশেই তার পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল ফলে তার প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য ইচ্ছা জাগল আশ্রয়প্রার্থী আক্রমণ করতে পারবে না তাই পরদিন সকালে মুর সেনাপতিকে প্রস্থানের উপযুক্ত ব্যবস্থা করে দিয়ে এ কথা বলেছিলেন।
২.৩ ‘আন্টিগো! তোমার এই ঔদ্ধত্যের জন্য তোমায় আমার সাম্রাজ্য থেকে নির্বাসিত করলাম।” – আন্টিগোনস কোন ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে?
উঃ- দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের 'চন্দ্রগুপ্ত' নাটকের সেকান্দারের কাছে আন্টিগোনস যখন গুপ্তচর সন্দেহে চন্দ্রগুপ্তকে নিয়ে আসে তখন কথোপকথনের মাধ্যমে জানা যায় গ্রিক সেনাপতি সেলুকাস সরল বিশ্বাসে চন্দ্রগুপ্তকে যুদ্ধকৌশল শিক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু এই নিয়ে সেলুকাস ও অ্যান্টিগোনাস এর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয় এমনকি আন্টিগোনস সেলুকাসের ওপর তরবারিও'নিক্ষেপ করেছিল আর সব ঘটেছিল সম্রাট সেকেন্দারের সামনে। তাই সেকান্দার আন্টিগোনস এর কার্যকলাপকে ঔদ্ধত্য বলে মনে করেছিলেন।
২.৪ ‘তোদের মতো উল্লুকের সঙ্গে পিকনিকের আলােচনাও ঝকমারি!' – কোন্ কথা প্রসঙ্গে টেনিদা এমন মন্তব্য করেছিল?
উঃ- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা 'বনভোজনের ব্যাপার' গল্পটিতে পিকনিক দলপতি ছিলেন টেনিদা। পিকনিকের মেনু তৈরি করতে গিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছিল ডিমের ডালনা, রুই মাছের কালিয়া, মাংসের কোর্মা ইত্যাদি সুস্বাদু খাবার কিন্তু হঠাৎ করেই সুস্বাদু মেনুর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন আলুভাজা, বাটি চচ্চড়ি। ক্যাবলা জুড়ে দিয়েছিল কুদরুর তরকারি দিয়ে ঠেকুয়া। এত স্বাদের খাবারের মধ্যে এই খাবারগুলো টেনিদার মাথা গরম করে দেয় ফলে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেছিলেন।
২.৫ ‘কৌতুহলী দুই চোখ মেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখে’ – চড়ুইপাখির চোখে কৌতুহল কেন?
উঃ- কবি তারাপদ রায়ের লেখা একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় চোখে কৌতুহল থাকার অন্যতম কারণ হল কবির বাড়ির নির্জনতা। সাধারণত প্রত্যেক বাড়িতে একাধিক মানুষ থাকে একজন বাইরে বেরিয়ে গেলে অপরজন বাড়ি দেখাশোনা করে। কিন্তু কবির বাড়ি কবি কল্পনা করেন তিনি চলে গেলে চড়ুইটি ভাবে এই বাড়ির জানালা, টেবিল,ফুলদানি সব তার হয়ে যাবে।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখোঃ-
৩.১ ‘সবুজ জামা' কবিতার ভাৰৰস্তু আলোচনা করো।
উঃ- কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 'সবুজ জামা' কবিতায় সহজ-সরল প্রকৃতিপ্রেমী তোতাই নামক এক শিশুর কথা তুলে ধরেছেন।তোতাই নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ থেকে পড়াশোনা করতে চায় না। সে প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেরিয়ে প্রকৃতিকে অনুভব করে মুক্ত থাকতে চায়। সে বুড়ো দাদুর মত চশমা দিয়ে জগত দেখতে চায়না সভ্যতার নকল মুখোশ খুলে সহজ স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে চায় ও সবুজ গাছের মতো জামা পরতে চায় যেখানে অনেক পশুপাখি এসে বসবো কবিতায় সভ্যতা জটিলতা থেকে বেরিয়ে সহজ-সরলভাবে জীবন যাপনের কথা বলা হয়েছে।
৩.২ বন্ধু রাজনারায়ণ বসুকে লেখা চিঠিতে মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর লেখা ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ সম্পর্কে কীরূপ অভিমত ব্যক্ত করেছেন?
উঃ- লেখক মধুসূদন দত্তের লেখা তিনটি চিঠির মধ্যে একটি চিঠি লেখা হয়েছিল বিশিষ্ট বিদ্যা অনুরাগী রাজনারায়ণ বসুকে। তিনি সেখানে 'মেঘনাদবধ কাব্য সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। ৭৫০ লাইনের কাব্যের ষষ্ঠ সর্গের শেষ করেছেন মেঘনাদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সে কথাও তিনি জানিয়েছেন। মেঘনাদকে মারতে লেখকের অনেক কষ্ট হয়েছে এমনকি তিনি কান্না করেছেন। এছাড়াও বলেছেন অনেক হিন্দু মহিলা এ কাব্য পড়ে কেঁদে ফেলেছেন তাই তিনি চান রাজনারায়ণ বসু মহাশয় ও যেন তার স্ত্রীকে এই বইটি পড়ার ব্যবস্থা করে দেন।
৩.৩ ‘পরবাসী’ কবিতায় শেষ চারটি পঙক্তিতে কবির প্রশ্নবাচক বাক্য ব্যবহার করার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উঃ- কবি 'পরবাসী' কবিতায় সুন্দর বন, জঙ্গল প্রাকৃতিক পরিবেশের অসাধারণ বর্ণনা করেছেন ঠিক তেমনি শেষের চারটে লাইনে তিনি নিজ মন থেকে একাধিক প্রশ্ন রেখেছেন, তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রকৃতিকে নিয়ে মানুষের এমন ব্যবহারের জন্য। তিনি প্রশ্ন করেছেন বন-জঙ্গল প্রকৃতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়াচ্ছে না কেন? মানুষ কেন চুপ রয়েছে? গাছপালা প্রকৃতির কি কোন মূল্য নেই? তাদের কেন এত নগণ্য মনে করা হয় কেননা? মানুষ বাসস্থান নির্মাণের জন্য একই স্থান থেকে অন্য স্থানে ধ্বংস করে কিন্তু নিজের বাসভূমি নিজের ঘর করতে পারছে না। তাই কবি এমন প্রশ্নবাচক বাক্য ব্যবহার করেছেন।
৩.৪ ‘—কিন্তু এই রাতটির কথা ভালোভাবেই আমার মনে আছে।” – “পথচলতি’ রচনাংশে অনুসরণে লেখকের সেই রাতের অভিজ্ঞতার বিবরণ দাও।
উঃ- ভাষাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা পথচলতি প্রবন্ধে তিনি বর্ণনা করেছেন কিভাবে গয়া থেকে কলকাতা পর্যন্ত একটি ট্রেনের বগিতে পাঠান যাত্রীদের সাথে গল্পগুজব বন্ধুত্বের সহিত ভ্রমণ করেছেন। সেই বগির পাঠানরা ছিল ইংরেজ দখলকৃত আফগানিস্তানের মানুষ। তারা পশতু ভাষী ছিলেন, ফারসি ভাষা জানতনা। প্রথমে লেখক পশতু ভাষার বিখ্যাত কবি খুশ হাল খাঁ সম্পর্কে বললে তারা খুশি হয়ে যায় এমনকি তাদের মধ্যে একজন পশতু ভাষার গজল শুরু করেছিলেন। এরপরে আদম খান ও দুররানি গল্প আলোচনা হয় এভাবেই লেখকের চেষ্টাতে দেরাদুন এক্সপ্রেস এই থার্ডক্লাস গাড়িটিতে একটি পশতু সাহিত্য সম্মেলন শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই রাতের কথা লেখকের সারা জীবন মনে ছিল।
৪. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
৪.১ দল বিশ্লেষণ করে দল চিহ্নিত করো :
ইস্টিশান, বাগুইআটি, দর্শনমাত্র, ক্ষিপ্রহস্ত, অদ্ভুতরকম
উঃ-
ইস্টিশান = ইস- টি-শন্ (রুদ্ধ - মুক্ত - রুদ্ধ দল)
বাগুইআটি = বা-গুই-আ- টি (চারটি মুক্ত দল)
দর্শনমাত্র = দরু- শন্ - মাত্ (রুদ্ধ,রুদ্ধ,রুদ্ধ,মুক্ত)
ক্ষিপ্রহস্ত = ক্ষিপ্ - রো - হস্ - ত (রুদ্ধ,মুক্ত,রুদ্ধ,মুক্ত)
৪.২ উদাহরণ দাও :
মধ্যস্বরাগম, স্বরভক্তি, অন্তঃস্থ য়-শুতি, অন্ত্যস্বরলোপ অন্যোন্য স্বরসংগতি
উঃ- তিনটি মুক্ত দল,রুদ্ধ
উদাহরণ, ধর্ম>ধরম চা- এর > চায়ের আজি > আজ রামু > রেমো
• যার কর্ম তার সাজে, অন্য লোকে লাঠি বাজে।
উঃ- যে কাজে পারদর্শী তার পক্ষেই সেই কাজ করা সহজ
• নুন আনতে পান্তা ফুরোয়া।
উ: দারিদ্র্যের অসহ যন্ত্রনা
• গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না।
উঃ- অতি কাছের জন এর গুণের কদর হয় না
• মারি তো গন্ডার, লুটি তো ভাণ্ডার।
উঃ- বড় বড় কর্মকান্ডের পরিকল্পনা
• একহাতে তালি বাজে না।
উ: দুই পক্ষের দোষ থেকেই বিবাদ
১. দেওয়ানির অধিকার, দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা ও ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কীভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিল ? (১০০ থেকে ১২০ শব্দে লেখা)।
উত্তর:- ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির মুগল সম্রাট ফারুকসিয়ার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অনুকূলে এক ফরমান জারি করেন যা । ফারুকশিয়ারের ফরমান নামে পরিচিত। এই ফরমান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ফরমান মােতাবেক কোম্পানি বাংলাদেশে যে সমস্ত বিশেষ বাণিজ্যিক অধিকার ও অন্যান্য সুযােগ-সুবিধা পেয়েছিল তাতে বাংলায় তাদের অবাধ বাণিজ্যের পথ খুলে যায়। ফলে বাংলার নবাবের সঙ্গে কোম্পানির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংঘাতের পটভূমি তৈরি হয় । মীর কাসেম দেশি-বিদেশি সমস্ত বণিকদের | দেয় শুল্ক তুলে দেন যার পরিণতি হলো মির কাশেমের সঙ্গে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সরাসরি বিরােধ। বাংলায় দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার প্রভাব বাংলার জনগণের কাছে একেবারেই শুভ ছিল না কারণ এই ব্যবস্থায় বাংলার অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব ও রাজস্ব আদায়ের অধিকার ছিল ব্রিটিশ কোম্পানীর হাতে । কোম্পানিও বেশি করে রাজস্ব আদায়ের দিকে বেশি মনোযোগী হয়ে উঠেছিল, কুশাসন ও অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বেড়ে গিয়েছিল। ফলস্বরূপ বাংলায় দেখা দিয়েছিল ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ যা ছাত্রের মন্বন্তর’ নামে পরিচিত।
২. নির্ভুল তথ্য দিয়ে ফাঁকা ঘরগুলো পূরণ করো।
উদ্যোগ
প্রশাসক
অন্যান্য উদ্যোগ
১৭৭৩ থেকে ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দেওয়ানী বিচার ব্যবস্থার কয়েকটি পরিবর্তন ঘটে ।
ওয়ারেন হেস্টিংস
১. প্রতি জেলাতে একটি দেওয়ানী ও একটি ফৌজদারি আদালত তৈরি করেন , ২. একটি রেভিনিউ বোর্ড গঠন করে রাজস্ব সংক্রান্ত বিষয়ের তথ্য অনুসন্ধান এর নির্দেশ দেন ।
দেওয়ানী সংক্রান্ত বিচার ও রাজস্ব আদায়ের দায়িক্ত আলাদা করা হয় ।
লর্ড কর্নওয়ালিস
১. জেলাগুলির দেখভাল করার জন্য পুলিশ থানার ব্যবহার প্রচলন করেন , ২. ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তোলেন ।
প্রসাশনিক ব্যয় কমতে চেয়েছিলেন ।
লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক
১. ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, ডেপুটি কালেক্টর প্রভৃতি পদে আবার ভারতীয়দের নিয়োগ করেন , ২. এলাহাবাদ বারানসি অঞ্চলের মহলওয়ারি বন্দোবস্ত চালু করেন
৩. নিচের শব্দ ছকটি পুরশ করাে।
১. বেনারস সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্ঠাতা।
উত্তর :– জোনাথন ডানকান ।
২. যার প্রস্তাব অনুমায়ী তিনটি প্রেসিডেন্সিতে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা করা হয়েছিল।
উত্তর :- চার্লস উড
৩. সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, হিন্দু কলেজ তৈরির সাথে যুক্ত ছিলেন।
উত্তর :- এডোওয়ার্ড হাইডইস্ট
৪. কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
উত্তর :- ওয়ারেন হেস্টিংস ।
৫. ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা।
উত্তর :- ব্যাপ্টিস্ট মিশন ।
৬. হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, অন্যতম শিক্ষা অনুরাগী।
উত্তর :- ডেভিড হেয়ার ।
১. অষ্টাদশ শতকে মুঘল শাসন কাঠামাে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল। এই বিপর্যয়ের কারণগুলি তুমি কীভাবে ব্যাখ্যা করবে ?
উত্তর :- মোঘল সাম্রাজ্যের বিপর্জয়ের কারণ গুলি নিম্নরুপ –
১. ঔরঙ্গজেবের পরবর্তীকালে তেমন সুদক্ষ ও বিচক্ষণ মুঘল সম্রাট আবির্ভূত হতে পারেননি। ফলে এই দুর্বল উত্তরাধিকার সিংহাসনের স্থায়িত্বকাল ধীরে ধীরে কমিয়ে দিতে থাকে । ২. ঔরঙ্গজেবের পরবর্তী মুঘল সম্রাটদের দুর্বল শাসন ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তির উত্থান ঘটে এবং তাদের বিদ্রোহ গুলি মুঘলদের কেন্দ্রীয় শাসন এর ভিত দুর্বল করে দেয় । ৩, ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য অভিযান ছিল সে সময়ে সর্বাপেক্ষা ভ্রান্ত নীতি। কেননা ঔরঙ্গজেব সাম্রাজ্যের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত৷ অঞ্চল কে সুরক্ষার বন্ধনে আবদ্ধ না করে দাক্ষিণাত্য অভিযানে নির্গত হলে ওই পথ দিয়ে বিদেশি শক্তি দিল্লিতে আক্রমণের সুবিধা পেয় । ৪. অষ্টাদশ শতাব্দীর পরবর্তীকালে মুঘল সম্রাট আর কোনরূপ সামরিক সংস্কার পূর্ণ সুযােগ নিয়ে শিবাজী রাষ্ট্র ঘটাননি। ফলে মুঘলদের দুর্বল সেনাবাহিনীর শক্তি পারসিক নেতা নার্দিশা, আফগান নেতা আহমদ শাহ আবদালী দিল্লি আক্রমণ করে।
২. জমি জরিপ ও রাজস্ব নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পদক্ষেপগুলির একটি তালিকা তৈরি করাে।
উত্তর:- জমি জরিপ ও রাজস্ব নির্ণয়ের পদক্ষেপগুলি নিম্নরূপ :-
১. জেমস রেনেল এর বাংলার নদীপথ জরিপ করা ,
২. আলাদা আলাদা 16 টি মানচিত্র তৈরি করে জরিপ করা,
৩. ইজারাদারি ব্যবস্থা,
৪. পাঁচশালা বন্দোবস্ত,
৫. মহলওয়ারি বন্দোবস্ত,
৬. রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত,
৭. 10 সালা বন্দোবস্ত,
৮. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ,
এছাড়া রাজস্ব দিতে না পারার জন্য আইন করেছিলেন সেটা হচ্ছে সূর্যস্ত আইন ।
৩. উপযুক্ত তথ্য দিয়ে নীচের ছকটি পূরণ কর
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি
স্বত্ত্ববিলোপ নীতি
গর্ভনর জেনারেল
লর্ডওয়েলেসলি
লর্ডডালহৌসি
সময়কাল
১৭৯৯
১৮৫৬
প্রভাবিত রাজ্য
১. হায়দ্রাবাদের নিজাম , ২ মারাঠা
সাঁতরা,ঝাঁসি,নাগপুর সম্বলপুর
মূলনীতি
১) এই নীতি যে রাজ্য গ্রহন করবে তাকে একজন ব্রিটিস প্রতিনিধি তার দরবারে রাখতে হবে.
২) সেই রাজ্য একদল ব্রিটিশ সৈন্যদল রাখতে রাখতে এবং তার ব্যয়ভার সেই রাজ্যকেই চালাতে হবে.
৩) এই নীতি যে গ্রহন করবে সে ব্রিটিশদের অনুমতি ছাড়া অন্য কোন শক্তির সঙ্গে যুদ্ধ কিংবা চুক্তি করতে পারবেনা
৪) এই নীতি যে রাজ্য গ্রহন করবে সে রাজ্য কোন ইউরোপীয় সেনাকে তার দলে রাখতে পারবেনা.
এই নীতি গ্রহন করলে তাকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সমস্ত রকমের সমস্যা থেকে রক্ষার দায়িত্ব নেবে কোম্পানি তথা ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।
স্বত্ববিলোপ নীতির মূল কথা হল ব্রিটিশ সরকারের আশ্রিত কোন দেশীয় রাজ্যের রাজা যদি অপুত্রক অবস্থায় মারা যায় তাহলে উক্ত রাজ্য কোন দত্তক পুত্র গ্রহন করতে পারবেনা এবং সেই রাজ্যটি সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হবে।
1.নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
i. সেন্ট জর্জ দুর্গ দেখা যায় - মাদ্রাজে ।
ii. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন - লর্ড ওয়েলেসলি ।
iii. ইজারাদারি ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয় - ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে |
iv. সিভিল সার্ভিস ব্যবস্থা ভারতে প্রবর্তন করেন - লর্ড কর্নওয়ালিস।
v. কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় - ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে।
vi. সুপ্রিম কোর্টের প্রথম বিচারপতি ছিলেন - স্যার এলিজা ইম্পে।
vii. ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থায় 'চুঁইয়ে পড়া নীতির' -র প্রবক্তা ছিলেন - টমাস মেকলে।
viii. কলকাতা ভারতের রাজধানীতে পরিণত হয় - রেগুলেটিং অ্যাক্ট অনুসারে।
ix. ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন - ১৭৮১ সালে।
x. A Code of Gentoo Law -এর রচয়িতা হলেন - নাথানিয়েল হালেদ I
১) সঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:
ক) ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে মুর্শিদকুলি খান কে বাংলার নাজিম পদ দেওয়া হয়।
খ) ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে সাদাৎ খান এর নেতৃত্বে অযোধ্যা এবং স্বশাসিত আঞ্চলিক শক্তি হিসাবে গড়ে ওঠে ।
গ) ১৭২৪ খ্রিষ্টাব্দে হায়দ্রাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন নিজাম-উল-মূলক।
২) সঠিক তথ্য দিয়ে নিচের ছকটি পূরণ করো:
সন্ধি, চুক্তি
সময়কাল
স্বাক্ষরকারী
ফলাফল
সলবাই
১৭৮২ খ্রি:
ওয়ারেন হেস্টিংস ও মারাঠা
ইংরেজরা সলসেত ও ব্রোচ লাভ করে। দ্বিতীয় মাধব রাও পেশোয়া হিয়াসবে স্বীকৃতি পান।
বেসিন
১৮০২ খ্রি:
লর্ড ওয়েলেসলি ও পেশোয়া দ্বিতীয় বাজীরাও
দ্বিতীয় বাজীরাও ওয়েলেসলির অধীনতামুলক মিত্রতা নীতি মেনে নিয়ে মারাঠাদের স্বাধীনতা বিকিয়ে দেয় |
লাহোর
১৮৪৬ খ্রি:
শের-ই-বাংলা ও এ কে ফজলুল হক
জলন্ধর দোয়াবে ব্রিটিশ কর্তৃত্ব স্থাপন
৩) সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০ -৪০ টি শব্দে)
ক) কে, কি উদ্দেশ্যে সিভিল সার্ভিস চালু করেন ?
উত্তরঃ ওয়ারেন হেস্টিংস ভারতীয় সিভিল সার্ভিস এর ভিত্তি প্রস্তুর শুরু করেন। এরপর চার্লস কর্ণওয়ালিস একে আরও পুনর্গঠন ও পরে আধুনিকীকরণ করেন। এই জন্য চার্লস কর্ণওয়ালিসকে ভারতীয় সিভিল সার্ভিস এর জনক বলা হয়। ১৯২২ সালে ভারতীয় ইণ্ডিয়া ভারতীয় সিভিল সার্ভিস এর পরীক্ষার্থীদের দিল্লিতে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয় ।
খ) ব্যাপ্টিস্ট মিশন শিক্ষার প্রসারে কেমন ভূমিকা পালন করে ছিল ?
উত্তরঃ হুগলী জেলার শ্রীরামপুরে ব্যাপ্টিস্ট মিশন খ্রিষ্টধর্ম প্রচার ও শিক্ষাবিস্তাররে কাজ শুরু করে। উইলিয়াম কেরি, ফ্রাসোয়া মার্শম্যান, উইলিয়াম ওয়ার্ড- এই তিন জনকে একত্রে শ্রীরামপুর ত্রয়ি রূপে শিক্ষা বিস্তারে সাহায্য করে। এঁরা ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা, ২৬ টি আঞ্চলিক ভাষায় বাইবেল অনুবাদ এবং বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ।
৪)নিজের ভাষায় লেখো ( ১২০ - ১৬০ শব্দে )
জমি জরিপ ও রাজস্ব নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক প্রশাসন কি কি পদক্ষেপ নিয়েছিল ?
উঃ- বক্সারের যুদ্ধের পর নায়েব নাজিম, আমিলদার ও সুপারভাইজার এসব গঠনের মাধ্যমেই কোম্পানি ভূমিরাজস্বের ভার দখল করতে থাকে। ঔপনিবেশিক শাসনের জমি জরিপ ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে পদক্ষেপগুলো হলো - পাঁচাওসালা, একসালা, দশসালা ও চিরস্থায়ে বন্দোবস্ত এবং রায়তওয়ারি ও মহলওয়ারি বন্ধবস্ত ইত্যাদি।
পাঁচসালা বন্ধোবস্তঃ- ভ্রাম্যমান কমিটির সুপারিশে ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে পাঁচ বছরের জন্য জমিদারদের জমি বন্টন করেন, সেটাই পাঁচসালা বন্ধোবস্ত নামে পরিচিত।
একসালা বন্ধোবস্তঃ- পাঁচসালা বন্ধোবস্তের অসুবিধাগুলো দূর করতে আমিনি কমিশনের 'রিপোর্টের ভিত্তিতে ওয়ারেন হেস্টিংস এক সালা বন্দোবস্ত চালু করেন।
দশসালা বন্ধোবস্তঃ- ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে লর্ড কর্নওয়ালিস বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারের দশ বছরের জন্য জমি দেন, এরই নাম দশ সালা বন্ধোবস্ত।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তঃ- জামিদাররা দশ সালা বন্ধোবস্ত অনুসারে ঠিক সময় মতো রাজস্ব জমা দেয় তাই রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শে লর্ড কর্ণওয়ালিস ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২২ মার্চ বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারদের চিরদিনের জন্য নির্দিষ্ট রাজস্বের বিনিময়ে জমি বন্টন করেন, এটাই চিরস্থায়ী বন্ধোবস্ত নামে পরিচিত।
ACTIVITY 1 Answer:
Rewrite the following sentences using Future Continuous Tense. One is done for you :
Ans : We shall be watching the cricket match on the television.
i) The students will shout when the teacher comes.
Ans. ___________The students will be shouting when the teacher comes..
ii) The girls will dance on the stage in the evening.
Ans. __________The girls will be dancing on the stage in the evening__.
iii) Mother will work in her office .
Ans. __________Mother will be working in her office__.
ACTIVITY 2 Answer:
Write antonyms of the underlined words and rewrite the sentences :
i) Some clothes were damp when I went to the backyard .
Ans. _____Some clothes were dry when I went to the backyard__.
ii) The leaves of the mango tree look dirty.
Ans. ______The leaves of the mango tree look beautiful__.
iii) The children were happy to see the stranger.
Ans. ________________The children were sad to see the stranger__.
ACTIVITY 3 Answer:
Add suitable suffix or prefix to the given words in the list and fill in the blanks to complete the sentencs:
i) Tanima buys a ___fashionable__ bag from the supermarket.
ii) It was _impossible___ to catch the deer for the hunter.
ACTIVITY 1
Write T for the True sentences and F for False sentences. Quote supporting phrases/sentences for your
answers:
i) The boy sat on a wall by the Persian wheel.
Supporting Phrases/Sentences : __________________________________________
ii) According to the boy everybody got to know that the clouds were there last night.
Supporting Phrases/Sentences : __________________________________________
iii) The boy went back using the same dirt track that he had taken to come to the Persian wheel.
Supporting Phrases/Sentences : __________________________________________
ACTIVITY 2
Fill in the blanks with suitable words from the List given below. One extra word is given:
In the last summer vacation I went on a trekking with my parents. On the way heavy snowfall started. We
spent some moments under a tree. Our guide offered us hot coffee from his flask.
List : thermos , together, anxious
ACTIVITY 3
Imagine yourself in an express train. It is midnight . One of your co passengers who is travelling alone
suddenly has got high fever. Now write in about 80 words on what you should do at this moment :
Ans.____________
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - 3 অষ্টম শ্রেনী ENGLISH /ইংরেজি Q. 1) Point out the verbs which are finite and which are non finite in the following sentences :
Q.i)My mother cooks food for the family.
Ans-Cooks - Finite Verb.
ii)Se attended three meetings.
Ans- Attended - Finite Verb.
iii)My friend wants to go to Agra to visit the Taj Mahal.
Ans-Wants - Finite Verb; to go - Non Finite Verb ; to visit - Non Finite Verb.
iv)The hunter killed the tiger.
Ans-Killed -Finite Verb
v)He refused to obey the orders.
Ans- Refused - Finite Verb; to obey - Non Finite Verb.
vi)To err is human.
Ans-To err - Non Finite Verb.
Q. 2) Fill in the blanks using a suitable verb with Infinitives .A list of verbs is given below LIST:
play,take,hear,swim,enjoy.
Q2)i) am sorry to hear this.
ii) Everybody wishes to enjoy life
iii)She knows how to swim.
iv)He likes to play cards.
v)The doctor advised him to take rest.
Q. 3)i) He went to Amritsar .He wanted to visit the Golden Temple.
Ans- He went to Amritsar to visit the Golden Temple
b) Everyone should do his duty.India expects this of every man.
Ans - India expects everyone to do this duty.
c)I speak the truth. I am not afraid of it.
Ans- I am not afraid to speak the truth.
d)He has three children. He must provide for them.
Ans-He has three children to provide for.
e) Every football team has captain. He directs the other players.
Ans- Every football team has a captain to direct the other players.
১. বিভিন্ন স্তর ও বিযুক্তিরেখাসহ পৃথিবীর অভ্যন্তরের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করাে।
২. কোনাে জায়গায় ভূমিকম্প শুরু হলে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নিজের ভাষায় গুছিয়ে লেখাে
উত্তর :– কোন স্থানের ভূত্বক হঠাৎ করে কিছুক্ষণের জন্য কম্পিত হলে তাকে ভূমিকম্প বলে। ভূ-অভ্যন্তরের স্থিতিস্থাপক বিচ্ছেদ হলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মত ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে অধিক মাত্রার ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হয়। মানুষের জীবনহানি যেমন হয় তেমনি প্রচুর পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি হয়ে থাকে।পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয়না বলে মানুষ বুঝতে পাবেনা কখন ভূমিকম্প হবে ? একারনে ভূমিকম্পের সময় কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে ক্ষয়ক্ষতির জীবনহানি কিছুটা কমানো সম্ভব ।
ভূমিকম্পের সময় যে সকল ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে সেগুলি হলো :-
• ভূমিকম্প শুরু হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি বা স্কুল থেকে বেরিয়ে কোনো খোলা জায়গায় যেতে হবে ।
• যদি খোলা জায়গায় বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে বাড়ির মধ্যে দ্রুত কোন টেবিল অথবা শক্ত আসবাবের তলায় ঢুকে পড়তে হবে ।
• ভূমিকম্প চলাকালীন বহুতল বাড়ির ঝুলন্ত বারান্দা, সিঁড়ি, লিফট ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।
• ভূমিকম্পের সময় বাড়ি থেকে বেরোবার আগে যদি সম্ভব হয় অতি প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে নিতে হবে।
• ফাঁকা স্থানে দাঁড়ানাের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে আশেপাশে কোন বিদ্যুতের খুঁটি ও ট্রান্সফরমার যাতে না থাকে।
• পুকুর বা জলাশয় ভূমিকম্পের সময় থাকলে যত দ্রুত সম্ভব উঠে আসতে হবে।
৩. যেকোনাে পাঁচটি ক্ষেত্রে তিন ধরনের শিলার ব্যবহার উদাহরণসহ লিপিবদ্ধ করাে।
উত্তর :- শিলা তিন প্রকার। যথা- আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা এবং রূপান্তরিত শিলা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রকার শিলা আমরা ব্যবহার করে থাকি। নিম্নে পাঁচটি ক্ষেত্রে এই তিন ধরনের শিলার ব্যবহার আলােচনা করা হলাে ।
• ব্যাসল্ট শিলা (আগ্নেয় শিলা) :- রেললাইনে পাথর দেওয়া হয় সেগুলি ব্যাসল্ট শিলা এছাড়া বাড়ি ঘর নির্মাণ করতে ব্যাসল্ট শিলা ব্যাবহার করা হয় ।
• চুনাপাথর (পাললিক শিলা) :- সিমেন্ট তৈরিতে লৌহ ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে চুনাপাথর ব্যবহৃত হয় ।
• বেলেপাথর ( পাললিক শিলা) :- ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং বিভিন্ন রঙের হওয়ায় স্থাপত্য স্মৃতিসৌধ এই পাথরে নির্মাণ করা হয় । লালকেল্লা উদয়গিরি খাজুবাহ মন্দির জয়সলোমির সোনার কেল্লা বেলে পাথরে নির্মিত ।
• মার্বেল ( রূপান্তরিত শিলা) :- চুনাপাথরের রূপান্তরিত রূপ। এই পাথর দেখতে খুব সুন্দর, মসৃণ ও চকচকে। বিভিন্ন রঙের হওয়ায় এবং নির্দিষ্ট করে খুব সুন্দর ভাবে কেটে নেওয়া যায় বলে স্থাপত্য ও ভাস্কর্য শিল্পে এই শিলার প্রচুর ব্যবহার দেখা যায়। আগ্রার তাজমহল মার্বেল পাথর নির্মিত।
• স্লেট (রূপান্তরিত শিলা) :- কাদা পাথর রূপান্তরিত হয়ে স্লেট সৃষ্টি হয় । পাতলা পাতের আকার হওয়ায় স্লেট দিয়ে গরের টালি তৈরি করা হয় । এছাড়া ব্ল্যাকবোর্ড তৈরিতে এবং লেখার কাজে স্লেট ব্যবহার করা হয় ।
৪. প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে ভারতের সম্পর্ক কেন ভালাে রাখা প্রয়ােজন বলে তুমি মনে করাে ?
উত্তর :- প্রতিবেশীরা যেমন বন্ধুর মতাে আমাদের পাশে থাকেন ঠিক তেমনি প্রতিবেশী দেশগুলাে আমাদের পাশে থাকেন। দেশের কোনাে বিপদে আপদে,আমাদের দুঃসময়ে আমাদের পাশে দাঁড়ান। তাছাড়া একই এলাকায় পাশাপাশি ভারতে বসবাস করতে গেলে মিলেমিশে বসবাস করাই শ্রেয়। তাই প্রতিবেশীদের সাথে যেমন সুসম্পর্ক বজায় রাখা দরকার ঠিক তেমনই প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে সুসম্পর্ক রাখা দরকার।
১. পৃথিবীর অভ্যন্তরে বিযুক্তিরেখা থাকার কারণ কী ?
উত্তর :- ভূপৃষ্ঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত একেক জায়গায় একেক রকম ভূমিকম্পের তরঙ্গের গতিবেগ হয়। এই ভূমিকম্পের তরঙ্গ বেগের পার্থক্যের ভিত্তি করে যে রেখার দ্বারা দুটো আলাদা তরঙ্গ বেগ যুক্ত অঞ্চল কে আলাদা করা হয়েছে। যেহেতু ভূ-অভ্যন্তরের একেক জায়গায় উপাদান ও ঘনত্ব আলাদা সেই আলাদা আলাদা উপদান ও ঘনত্বের কথা মাথাই রেখে ভূ – অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের বিযুক্ত রেখা কল্পনা করা হয়েছে ।
২. অপসারী পাতসীমানাকে গঠনকারী পাতসীমানা বলা হয় কেন ?
উত্তর :- অপসারি পাত সীমানা বরাবর দুটি পাত পরস্পরের থেকে দূরে সরে গেলে মাঝের ফাটল বরাবর অভ্যন্তর থেকে উত্তপ্ত গলিত পদার্থ উঠে এসে শীতল ও কঠিন হয়ে নতুন মহাসাগরীয় ত্বক আর মধ্য সামুদ্রিক | শৈলশিরা (Mid Oceanic Ridge) তৈরি হয়। এ কারণে এই ধরনের অপসারী পাত সীমানা কে গঠনকারী পাত সীমানা বলে।
৩. মৃত্তিকা সৃষ্টিতে খনিজের ভূমিকা ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর :- মৃত্তিকা সৃষ্টিতে খনিজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ ধীরে ধীরে মাটি বা মিতৃকা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিলার মধ্যে অবস্থিত কেলাসিত নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংযুক্তি বিশিষ্ট নির্দিষ্ট পারমাণবিক গঠন যুক্ত মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ হল খনিজ। কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ হলো – কোয়ারটস , ফেল্ডসপার , অভ্র জিপসাম প্রভৃতি। বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন খনিজের প্রভাব এর দরুন মাটির রং ও প্রকার বিভিন্ন হয়। যেমন কালো মাটি, লাল মাটি বেলে মাটি ও পলিমাটির নাম দেওয়া যেতে পারে।
৪. ভারতকে কেন উপমহাদেশ বলা হয় ?
উত্তর :- ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশ অর্থাৎ চীন, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান আফগানিস্তান ও শ্রীলংকার মধ্যে সামাজিক মিল খুব বেশি। আয়তন ও জনসংখ্যার বিচারে প্রথম স্থানাধিকারী ভারত এই অঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দু। এই অঞ্চলের জলবায়ু এক অন্য ধরনের বৈচিত্রের অধিকার লাভ করেছে । এখানকার বৈষম্যমূলক আবহাওয়া, প্রচুর পরিমাণে জনসংখ্যা ও জন ঘনত্ব, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র, এবং অন্যান্য যেসকল বৈচিত্র একটা বিশাল আকার মহাদেশের মধ্যে থাকে, তার বেশিরভাগ বৈচিত্র এই ভারত ও তার আশেপাশের অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে। তাই ভারতকে উপমহাদেশ বলা হয় ।
1.ক) শূন্যস্থানে সঠিক শব্দটি বসিয়ে বাক্যটি সম্পন্ন করো।
i) সারাবছর প্রবল বর্ষতা জনিত কারণে যে চাপ বলয় টি গঠিত হয়েছে সেটি হল
Ans. নিরক্ষীয়
নিম্নচাপ বলয়।
ii) স্থানীয়ভাবে বায়ুর চাপগত পার্থক্যের জন্য যে প্রবল শক্তি জনিত বায়ু প্রবাহের সৃষ্টি হয় তা হল
Ans.স্থানীয় বায়ু।
খ.বামদিকের স্তম্ভের সাথে ডান দিকের স্তম্ভকে মেল বামদিক ডানদিক
i) অশ্ব অক্ষাংশ iv) কর্কটিয় শান্ত বলয়
ii) চিনুক i)রকি পার্বত্য অঞ্চল
iii) উপত্যকা বায়ু ii)বৈপরীত্য উত্তাপ
iv) পশ্চিমা বায়ু iii)গর্জন শীল চল্লিশ
2. বায়ু চাপ বলয় বলতে কি বোঝায় ?
Ans.পৃথিবী পৃষ্ঠের ওপর নির্দিষ্ট দূরত্বে সমধর্মী বায়ুস্তর অনুভূমিক ভাবে প্রায় হাজার কিলোমিটার জুড়ে পুরো পৃথিবীকে কয়েক টি বলয়ের আকারে বেষ্টন করে আছে।একে বলে বায়ুচাপ বলয়।
3. প্রতিপ ঘুর্নিবাত অঞ্চলে শান্ত আবহাওয়া বিরাজ করে কেন ?
Ans.কোন জায়গায় বায়ুর উষ্ণতা হঠাৎ করে কমে গেলে বায়ুর চাপ বেড়ে যায়। তখন কেন্দ্রে থাকে উচ্চচাপ ও বাইরের দিকে সৃষ্টি হয় নিম্নচাপ। এই অবস্থায় বায়ু কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে বেরিয়ে যায়। ফলে বায়ুর গতিবেগ অনেকটাই কম হয়। ফলে প্রতীপ ঘূর্ণবাত আবহাওয়া শান্ত থাকে আবহাওয়া থাকে মেঘ মুক্ত।
৪.পৃথিবীর দুই মেরু অঞ্চলে বৃত্তচপ বলয় সৃষ্টির কারণ কি ?
Ans.দুই মেরু অঞ্চল প্রায় সারা বছর বরফে ঢাকা থাকায় উষ্ণতা হিমাঙ্কের নীচে থাকে।তাই এখানকার বাতাস শীতল ও ভারী।এই অঞ্চলে সূর্য রশ্মি তির্যক ভাবে পড়ায় তাপের অভাবে বাষ্পীয় ভবনের পরিমাণ খুব কম।ফলে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ও কম থাকে। এই সব কারণেই পৃথিবীর দুই মেরু অঞ্চলে উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে।
5. সমুদ্র বায়ু ও স্থল বায়ুর দুটি ছবি অংকন করে বায়ু প্রবাহের গতিপথ চিহ্নিত
করো।
. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো।
ক) অন্তঃকেন্দ্রমন্ডল - পদার্থের তরল অবস্থা
খ) বহিঃকেন্দ্রমন্ডল - পদার্থের ঘনত্ব সর্বাধিক
গ) অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার - পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি
ঘ) ভূত্বক - লোহা ও নিকেলের আধিক্য
১.২ রকি ও আন্দিজ পর্বতমালার সৃষ্টি হয়েছে -
ক) মহাসাগরীয় - মহাসাগরীয় অপসারী পাতসীমানা বরাবর
খ) মহাসাগরীয় - মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর
গ) মহাদেশীয় - মহাদেশীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর
ঘ) মহাদেশীয় - মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর
১.৩ উত্তর ভারতের স্থলভাগের সীমানা রয়েছে -
ক) পাকিস্থান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে
খ) নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে
গ) বাংলাদেশ ও ভুটানের সঙ্গে
ঘ) মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে
২. একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও :
২.১ কোন্ যন্ত্রের সাহায্যে ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপ করা হয়?
উঃ- রিখটার স্কেল
২.২ কোন্ প্রকার শিলার স্তরে খনিজ তেল পাওয়া যায়?
উঃ- পাললিক
২.৩ ভারতের কোন্ প্রতিবেশী দেশ মশলা উৎপাদনে বিখ্যাত?
উঃ- শ্রীলংকা
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ ভূ-অভ্যন্তরের কোন্ স্তরে কীভাবে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছে?
উঃ- বিজ্ঞানীরা কেন্দ্রমন্ডলকে দুটি অংশে বিভক্ত করেছেন, যথা - অন্তঃকেন্দ্রমন্ডল ও বহিকেন্দ্রমন্ডল। এই স্তর 2900 কিমি – 5100 কিমি গভীর। এর চাপ, তাপ ও ঘনত্ব অন্তঃকেন্দ্রমন্ডলের তুলনায় কম। এই স্তর অর্ধকঠিন অবস্থায় পৃথিবীর অক্ষের চারিদিকে আবর্তন করে চলেছে। এই বহিঃকেন্দ্রমন্ডল স্তরে সান্দ্র অবস্থায় থাকা লোহা ও নিকেল প্রচন্ড গতিতে ঘুরতে ঘুরতে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি করছে। যেখানে থেকেই সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর চৌমকত্ব।
৩.২) অভিসারী পাত সীমানাকে কেন বিনাশকারী পাত সীমানা বলা হয় তা উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করো।
উঃ- অভিসারী পাতসীমানায় পাত দুটো পরস্পরের দিকে অগ্রসর হয় এবং পাতের সংঘর্ষ ঘটে। দুটো পাতের মধ্যে অপেক্ষাকৃত ভারী পাত হালকা পাতের নীচে প্রবেশ করে। এর ফলে নিমজ্জিত পাতটির গলন হয়, সমুদ্রখাত সৃষ্টি হয় ও ভূত্বকের বিনাশ ঘটে এবং এই অঞ্চলে প্রতিনিয়ত ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাত ঘটে। এই জন্য অভিসারী পাতসীমানাকে বিনাশকারী পাতসীমানা বলা হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমে উপকূল বরাবর জাপান ও সন্নিহিত দ্বীপপুঞ্জ এইভাবে গড়ে উঠেছে।
৪. উদাহরণসহ উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয়শিলার শ্রেণিবিভাগ করো।
উঃ- উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয় শিলাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
(১) নিঃসারী আগ্নেয় শিলা ও
(২) উদ্বেধী আগ্নেয় শিলা।
উদ্বেধী আগ্নেয় শিলাকে আবার দুইভাগে ভাগ করা হয়। যথা –
১) উপপাতালিক শিলা
২) পাতালিক শিলা।
১. পারদের ঘনত্ব 13.6 গ্রাম/ঘন সেমি হলে 5 লিটার পারদের ভর কত কিলোগ্রাম হবে তা নির্ণয় কর |
উ: ঘনত্ব = ভর/আয়তন
ভর = ঘনত্ব x আয়তন
= 13.6 x 5 কিলোগ্রাম
= 68 কিলোগ্রাম
২. প্রাণীকোশের একটি পরিছন্ন চিত্র অঙ্কন করে তার বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত কর |
উ:
৩.বিশেষ পরীক্ষা থেকে রাদারফোর্ড পরমানুর গঠন সম্বন্ধে কী কি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন ?
উ: বিশেষ বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে রাদারফোর্ড পরমানু সম্বন্ধে কয়েকটি সিধান্তে উপনীত হয়েছিলেন | সেগুলি হলো :
পরমানুর মধ্যে বেশিরভাগ জায়গায়ই ফাঁকা |
পরমানুর প্রায় সমস্ত ভরই তার মাঝখানে অতি অল্প জায়গায় জোর হয়ে আছে | তিনি এই ভারী অংশের নাম দিলেন নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রক |
পরমানুর নিউক্লিয়াসের মধ্যেই তার সমস্ত ধনাত্মক চার্জ সীমাবদ্ধ থাকে |
নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ইলেকট্রনগুলো নানান বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরছে |
পরমানু সম্বন্ধে রাদারফোর্ডের এই পরীক্ষালব্ধ ধারণাকেই ‘রাদারফোর্ডের পরমানু মডেল’ বলা হয়
৪. উদ্ভিদদেহে বিভিন্ন ধরনের প্লাষ্টিডের ভূমিকা উল্লেখ কর |
উ: উদ্ভিদদেহে তিন ধরনের প্লাষ্টিড দেখতে পাওয়া যায় –
1) ক্লোরোপ্লাষ্টিড
2) ক্রোমো এবং
3) লিউকোপ্লাষ্টিড
কাজ
প্লাষ্টিড
কাজ
ক্লোরোপ্লাষ্টিড
এরা উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে |
ক্রোমোপ্লাষ্টিড
এরা ফুল ও ফলের বর্ণ বা রং নিয়ন্ত্রণ করে |
লিউকোপ্লাষ্টিড
এরা উদ্ভিদদেহে নানা ধরনের খাদ্য সঞ্চয় করে |
1. মাটির 6 ফুট উপর থেকে একটি খাতার পাতা ও একটি কয়েন একই সঙ্গে ফেলে দিলে কোনটি আগে পড়বে? কেন এমন হয় ব্যাখ্যা কর।
মাটির 6ফুট উপর থেকে একটি খাতার পাতা ও একটি কয়েন একই সঙ্গে ফেলে দিলে কয়েনটি আগে মাটিতে পড়বে।কারণ, খাতার পাতার তুলনায় কয়েন টি সহজে বায়ুর বাধা অতিক্রম করতে পারে। এবং খাতার পাতা হালকা হওয়াই বায়ুর বাধা অনেক বেশি পরিমাণে কার্যকর হয়। তাই সেটি দেরিতে মাটিতে পড়ে।
2. প্লাস্টিকের চিরুনি দিয়ে শীতকালে শুকনো চুল আঁচরানোর পর তা নিস্তড়িত কাগজের টুকরো কে আকর্ষণ করে কেন তার ব্যাখ্যা দাও।
শীতকালে বায়ুতে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকায় চুলে শুষ্কভাব বেশি থাকে, প্লাস্টিকের চিরুনি দিয়ে শীতকালে শুষ্ক চুল আঁচরালে চিরুনিতে স্থির তড়িৎ উৎপন্ন হয় ফলে চিরুনি টি তড়িৎ গ্রস্ত হয়ে পড়ে। এখন এই তড়িৎ গ্রস্ত চিরুনির সামনে কাগজের টুকরো ধরলে তড়িৎ আবেশের ফলে চিরুনিতে যে আধান সৃষ্টি হয় কাগজের টুকরোতে তার বিপরীত আধান তৈরি হবে ফলে প্লাস্টিকের চিরুনি নিস্তড়িত কাগজের টুকরোকে আকর্ষণ করে।
3. গ্যাসীয় অবস্থায় অনুদের গতীয় অবস্থা সম্বন্ধে তুমি কি কি বলতে পারো?
গ্যাসের অনুগুলি প্রায় স্বাধীন ও বিশৃংখল ভাবে সর্বদা ইতস্তত ভাবে বিভিন্ন গতি বেগে ছুটে বেড়ায়, ফলে গ্যাসের অনুগুলি পরস্পরের সঙ্গে ও পাত্রের দেওয়ালের সঙ্গে অনবরত স্থিতিস্থাপক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
অনুগুলির অবিশ্রান্ত গতির জন্য গ্যাসের নির্দিষ্ট কোন আয়তন বা আকৃতি নেই।
4. প্রাইমরডিয়াল ইউট্রিকল কি?
পরিণত উদ্ভিদ কোষে একটি বড় আকৃতির কোষগহ্বর থাকে, ফলে সাইটোপ্লাজম সহ নিউক্লিয়াস কোষ পর্দার দিকে সরে গিয়ে একটি পাতলা স্তরে বিন্যস্ত থাকে। সাইটোপ্লাজমের এই পাতলা স্তর কে প্রাইমরডিয়াল ইউট্রিকল বলে।
5. মানুষের লোহিত রক্ত কণিকার আকার কি রকম? এবং এই আকারের জন্য তার কি সুবিধা হয়?
মানুষের লোহিতরক্ত কনিকার আকার গোল চাকতির মত, পাশ থেকে দেখতে দ্বি-অবতল।সুবিধা:
বিভিন্ন গ্যাসের রক্তনালীর মধ্য দিয়ে সহজে যাতায়াত করতে পারে।
অধিক পরিমাণে অক্সিজেন পরিবহন করতে পারে।
6. গলগী বস্তুর গঠন ও কাজ উল্লেখ করো।
গলগি বস্তু তিন প্রকার উপাদান দ্বারা গঠিত। যথা-
ক। সিস্টার্নি: একক পর্দাবৃত, সমান্তরালে সজ্জিত চ্যাপ্টা থলি।
খ। ভ্যাকুয়ল: সিস্টার্ণীর কাছাকাছি অবতল দিকে বা দূরবর্তী প্রান্তে অবস্থিত গোলাকার থলি।
গ।ভেসিকল: সিস্টার্নির প্রান্তদেশে অবস্থিত ছোট ছোট পর্দাবৃত থলি,যারা ক্ষরণের কাজে যুক্ত থাকে।গলগী বস্তু হলো বহুরূপী অঙ্গাণু, এরা কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী নিজের আকার পরিবর্তন করতে পারে।
কাজ:
a. গলগি বস্তু কোষের ক্ষরণে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করে।
b. কোষে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যবস্তুর সঞ্চয় ভান্ডার হিসেবে কাজ করে।
c. গলগি বস্তু পরিণত শুক্রাণুর অ্যাক্রোজোম গঠন করে।
d. গলগি বস্তু প্রাথমিক লাইসোজোম গঠনে ও উদ্ভিদ কোষের কোষ প্রাচীর গঠনে অংশ নেয়।
নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো :
1. তড়িতের প্রভাবে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটছে সমীকরণসহ এমন উদাহরণ দাও।
উ:- সালফিউরিক অ্যাসিড মেশানো চল তড়িৎ পরিবহনে সক্ষম। এই অ্যাসিড মেশানো জলের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ ঘাটালে জলের রাসায়নিক পরিবর্তন হয়।জল বিশ্লিষ্ট হয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট দুটি আলাদা গ্যাস হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এ পরিণত হয়। এই ধরনের বিক্রিয়া কে বলা হয় ইলেকট্রোলাইসিস বা তড়িৎ বিশ্লেষণ।বিক্রিয়ার সমীকরণ: 2H2O -> 2H2+O2
2. অনুঘটক বলতে কী বোঝায় উপযুক্ত রাসায়নিক বিক্রিয়ার সমীকরণসহ ব্যাখ্যা করো।
উ:-যেসব রাসায়নিক পদার্থ বিক্রিয়ায় উপস্থিত থেকে বিক্রিয়ার বেগ বাড়ায় কিংবা কমায় কিন্তু বিক্রিয়ার শেষে নিজের সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত থাকে, সেই সমস্ত রাসায়নিক পদার্থকে অনুঘটক বা ক্যাটালিস্ট বলা হয়।যেমন ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড হলো এক প্রকারের ধনাত্মক অনুঘটক। অক্সিজেন প্রস্তুতিতে ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড ব্যবহার করলে সহজে অক্সিজেন উৎপন্ন হয়।পটাশিয়াম ক্লোরেট কে সাধারনত 600 থেকে 650 ডিগ্রী সেলসিয়াস উষ্ণতায় উত্তপ্ত করলে অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। কিন্তু পটাশিয়াম ক্লোরেট এর সঙ্গে ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড মিশ্রিত করে মাত্র 200 থেকে 250 ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় উত্তপ্ত করলে অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড বিক্রিয়ার বেগ বৃদ্ধি করে।
3. রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটককে সূক্ষ্ম চূর্ণ অথবা সর তারজালির আকারে রাখা হয় কেন তা ব্যাখ্যা করো ।
উ:- কারণ গুডো করলে অনুঘটক এর ক্ষেত্রফল বাড়ে। কঠিনের উপরিতলে যত বেশি সংখাক অণু, পরমাণু বা আয়ন বিক্রিয়ার সুযোগ পায় বিক্রিয়া ঘটে তত তাড়াতাড়ি। অনুঘটকের কাজও ঘটে তাড়াতাড়ি। তাই রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটক ব্যবহার করলে তা সুক্ষ্ম গুঁড বা সরু তারজলি আকারে রাখা হয়।
4. মানবদেহে উৎসেচকের গুরুত্ব উল্লেখ করো।
উ:- মানবদেহে উৎসেচক এর গুরুত্ব অপরিসীম।খাদ্যনালীতে শর্করা জাতীয় খাদ্যের পরিপাক করে অ্যামাইলেজ ও লাইপেজ নামক দুই উৎসেচক। আবার হাইড্রোজেন পার অক্সাইড কে সাধারন তাপমাত্রায় ভেঙে দেয় ক্যাটালেজ নামক উৎসেচক। কোষের মাইটোকন্ড্রিয়া শক্তি উৎপন্ন করতে লাগে সাইটোক্রোম অক্সিডেজ উৎসেচক। এছাড়াও মানুষের লালারসে থাকা বিভিন্ন উৎসেচক বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উপাদান কে ভাঙতে সাহায্য করে।
উৎসেচকের নাম উৎস সাবস্ট্রেট এর নাম
অ্যামাইলেজ অগ্নাশয় শ্বেতসার
টায়ালিন লালাগ্রন্থি সেদ্ধ শ্বেতসার
ল্যাকটোজ আন্ত্রিক গ্রন্থি ল্যাকটোজ শর্করা
ট্রিপসিন অগ্নাশয় পেপটোন
রেনিন পাক গ্রন্থি দুগ্ধ প্রোটিন
লাইপেজ পাট গ্রন্থি ফ্যাট
মলটোজ লালাগ্রন্থি মলটোজ
5. খাবার সোডা ও টারটারিক অ্যাসিডের কেলাস মেশালে কোনো বিক্রিয়া হয় না, কিন্তু জল দিলেই দ্রুত বিক্রিয়া ঘটে।ব্যাখ্যা করো।
উ:- খাবার সোডা ও টারটারিক এসিডের কেলাস মেশালেই বিক্রিয়া শুরু হয় না কারণ তাদের অনু বা আমরা পরস্পর মেশার সুযোগ পায় না। জলীয় মাধ্যমে খাবার সোডা ও টারটারিক এসিডের আয়ন কে মুক্ত করে দেয়। তখন খুব সহজেই তাদের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। বিক্রিয়াটি কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয় বুদবুদ সহ বের হতে থাকে।
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করোঃ-
১.১ চাপের SI একক হলো –
(ক) নিউটন
(খ) নিউটন বর্গমিটার
(গ) নিউটন/বর্গমিটার
(ঘ) নিউটন/বর্গমিটার।
১.২ আইসোবারদের ক্ষেত্রে নীচের যে কথাটি ঠিক তা হলো এদের –
(ক) ভর সমান
(খ) প্রোটনসংখ্যা সমান
(গ) নিউট্রনসংখ্যা সমান
(ঘ) ভরসংখ্যা সমান।
১.৩ যে কোশীয় অঙ্গাণুর মধ্যে পুরোনোজীর্ণ কোশকে ধ্বংস করার জন্য নানা ধরনের উৎসেচক থাকে তা হলো–
(ক) মাইটোকনড্রিয়া
(খ) রাইবোজোম
(গ) নিউক্লিয়াস
(ঘ) লাইসোজোম।
২. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
২.১ এক কিলোগ্রাম ভরের বস্তুকে পৃথিবী কত পরিমাণ বল দিয়ে আকর্ষণ করে?
উঃ- 1 কিলোগ্রাম ভরের বস্তুকে পৃথিবী 9.8 নিউটন পরিমাণ বল দিয়ে আকর্ষণ করে।
২.২ লঘু অ্যাসিড থেকে হাইড্রোজেন গ্যাস মুক্ত করার ক্রমহ্রাসমান প্রবণতা অনুসারে কয়েকটি ধাতুকে সাজিয়ে দেওয়া হলো – Na, Fe, (H), Cu, Au৷ এই তথ্য থেকে সবচেয়ে তড়িৎধনাত্মক ধাতুটিকে চিহ্নিত করো।
উঃ- Na
২.৩ চোখের রেটিনায় উপস্থিত কোন কোশ মৃদু আলোয় দর্শনে সাহায্য করে?
উত্তর: চোখের রেটিনায় উপস্থিত দন্ডাকার রড কোষ মৃদু আলোয় দর্শনের সাহায্য করে।
৩. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ কুলম্বের সূত্রের গাণিতিক রূপটি লেখো এবং K রাশিটির SI একক উল্লেখ করো।
উঃ- কুলম্বের সূত্রের গাণিতিক রূপঃ-
F = K x q1.q2 / r²
এখানে,
q1 ও q2 হলো তড়িতাহিত বস্তুটির আধানের পরিমাণ,
r হল তড়িৎ আহিত বস্তু দুটির মধ্যবর্তী দূরত্ব,
F হলো তড়িৎ আহিত বস্তু দুটির মধ্যে ক্রিয়াশীল তড়িৎ বল (আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল)
K এর মান নির্ভর করে তড়িতাহিত বস্তুর মধ্যবর্তী অঞ্চল কি পদার্থ আছে তার ওপরে।
K রাশিটির একক SI হল- নিউটন. মিটার ² কুলম্ব ²
৩.২ খুব শুকনো ও ঠান্ডা পরিবেশে বসবাসকারী প্রাণীদের দেহে কী কী বিশেষ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়?
উঃ-
খুব শুকনো পরিবেশ অর্থাৎ মরু অঞ্চলে বসবাসকারী প্রাণীদের দেহের বৈশিষ্ট্য:-
i. কোনো কোনো প্রাণীর ত্বক অপেক্ষাকৃত পুরু হয়।
ii. কোনো প্রাণীর লেজ চওড়া ও পুরু হ্য ও লেজে চর্বি সঞ্চিত থাকে।
iii. কোনো প্রাণীর পা খুব লম্বা হয়।
iv. কোনো কোনো প্রাণীর পিঠে কুঁজ থাকে।
v. চোখের পাতা স্বচ্ছ হউ, প্রয়োজনমতো নাকের ফুটো খুলতে ও বন্ধ করতে পারে।
খুব ঠাণ্ডা পরিবেশে অর্থাৎ মেরু অঞ্চলে বসবাসকারী প্রাণীদের দেহের বৈশিষ্ট্যঃ-
i. কোন কোন প্রাণীর চামড়ার নিচে ফ্যাটের পুরু আস্তরণ থাকে
ii.কোন কোন প্রাণীর চামড়ার উপরে ঘন লোমের দুটো স্তর থাকে
iii.অনেক প্রাণীদের দেহে আন্টিফ্রিজ প্রোটিন থাকে
iv.কোন কোন প্রাণীর পা বরফের জুতোর মত হয়।
৪. তিন-চারটি বাক্যে উত্তর দাও :
৪.১ যোজী বন্ধন দিয়ে গঠিত জল, মিথেন এবং অ্যামোনিয়া অণুর প্রাথমিক গঠন কীরকমের তা এঁকে দেখাও।
উঃ- জলের অনুর গঠনঃ- অক্সিজেন পরমাণুর শেষ কক্ষে 6 টি ইলেকট্রন ও হাইড্রোজেন পরমাণুর শেষ কক্ষে একটি করে ইলেকট্রন আছে। দুটি হাইড্রোজেন পরমাণুর দুটি ইলেকট্রন অক্সিজেন পরমাণু 6টি ইলেকট্রনের সাথে যুক্ত হয় দুটি ইলেকট্রন জোড় গঠন করে সুস্থিত হয় এবং H2O অনু গঠন করে সুস্থিত ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে।
মিথেন অনুর গঠনঃ- কার্বন পরমাণুর শেষ করে চারটি ও চারটি হাইড্রোজেন পরমাণুর শেষ কক্ষে একটি করে ইলেকট্রন আছে চারটি হাইড্রোজেন পরমাণুর চারটি ইলেকট্রন কার্বন পরমাণুর ইলেকট্রন এর সাথে যুক্ত হয়ে চার টি ইলেকট্রন জোড় গঠন করে সুস্থিত হয় এবং CH4 অনু গঠন করে।
আমোনিয়া অনুর গঠনঃ- নাইট্রোজেন পরমাণুর সর্বশেষ কক্ষে পাঁচটি ও তিনটি হাইড্রোজেন পরমাণুর শেষ কক্ষে একটি করে ইলেকট্রন থাকে তিনটি হাইড্রোজেন পরমাণুর ইলেকট্রন নাইট্রোজেন পরমাণুর 5 টি ইলেকট্রন এর সাথে যুক্ত হয়ে 3 টি ইলেকট্রন জোড় গঠন করে সুস্থিত ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে এবং NH 3 অনু গঠন করে।
৪.২ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকার গঠন ও কাজ উল্লেখ করো।
উঃ- গঠনঃ- এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা প্রধানত তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত যথা-
[1] সিস্টারনি,
[2] ভেসিক্স এবং
[3] টিউবিউল।
1. সিস্টারনিঃ- এগুলি শাখাবিহীন, লম্বা, চ্যাপটা থলির মতো দেখতে।
2. ভেসিকলঃ- এগুলি গোলাকার বা ডিম্বাকার গহ্বরের মতো দেখতে।
3. টিডবিউলঃ- এগুলি শাখাযুক্ত নালিকাকার গঠনবিশেষ।
অনেক সময় এই তিন ধরনের গঠন একত্রিত হয়ে একটি আকার ধারণ করে। এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকাতে রাইবোজোম দানা উপস্থিত থাকলে সেগুলিকে অমসৃণ বা দানাদার এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা বলে। আবার, এতে রাইবোজোম দানা না থাকলে সেগুলিকে মসৃণ বা দানাবিহীন এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা বলে।
কাজঃ- এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা সাইটোপ্লাজমের কাঠামোগঠন করে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোশ-অঙ্গাণু গঠনে অংশ নেয়।
সাইটোপ্লাজমের বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক বিক্রিয়াকে পৃথক রাখে। ও দানাদার বা অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে।
(১) সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়’ – কবির মতে ‘সবার চেয়ে শ্রেয়’ কী ?
উত্তর :-
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বােঝাপড়া’ কবিতা থেকে আলােচ্য উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে।
জীবনের দুঃখের সাগর পেরিয়ে এই সুখের কিনারায় উঠতে হয়। জীবনে চলার পথে অনেক বাধা বিপত্তি আসে। দুঃখকে অতিক্রম করেই সুখের সন্ধান মেলে। তাই বিপদ এলে বিবেচনা করে এগিয়ে যেতে হয়। নতুবা সামান্য ভুলের কারণে সব ওলট-পালট হয়ে যেতে পারে। সম্পূর্ণ ডুবে যাওয়া বা ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।তাই সতর্ক হয়ে চলতে হবে, অন্যের সঙ্গে বিবাদ না করে। সবার সাথে মিলেমিশে দুঃখ সাগরে ভেসে থাকতে হবে। তাকে অবলম্বন করে টিকে থাকতে হবে। আর সেটি হবে উপযুক্ত, সংগত ও শ্রেয়।
(২) তদবিষয়ে যথােপযুক্ত আনুকুল্য করিব।-বক্তা কোন বিষয়ে আনুকুল্য করার প্রতিশ্রুতি দিলেন ?
উত্তর :-
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত অদ্ভুত আতিথেয়তা’ গল্পের বক্তা হলেন আরব সেনাপতি।
মুর সেনাপতি দিকভ্রষ্ট হয়ে ক্ষুধা-তৃষ্ণায় ক্লান্ত হয়ে,পথ পরিশ্রান্ত হয়ে পৌঁছান বিপক্ষীয় আরব শিবিরে।মূর সেনাপতির শারীরিক অবস্থা দেখে আরব সেনাপতি তাকে আশ্রয় দেন,ব্যবস্থা করেন আহারাদির।মূর সেনাপতির অশ্ব ক্লান্ত এবং হাত বীর্য ছিল। তদ্বিষয়ে বলতে মূর সেনাপতির জন্য তেজস্বী দ্রুতগামী ঘোড়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন যাতে তিনি সুরক্ষিতভাবে নিজ শিবিরে পৌঁছাতে পারেন।
(৩) এই রইল তােদের পিকনিক আমি চললাম।- বক্তা কে ? কেন তিনি পিকনিকে থাকতে চাননি।
উত্তর :-
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পে বক্তা হলেন টেনিদা।
হাবুল সেন, টেনিদা বনভোজনের খাদ্য তালিকা তৈরি করছিল। হাবুলের পােলাও,ডিমের ডালনা, মাছ মাংসের কোর্মা প্রভৃতির কথা বলার মাঝখানে প্লে আলুভাজা,শুক্তো,বাটি চচ্চড়ি, কুমড়াের ছক্কার মত দেশী খাদ্যের কথা বলায় টেনিদার এগিয়ে যায় এবং তার কাছে মনে হয় এগুলাে নিম নিশিন্দা চেয়েও অখাদ্য। তাই টেনিদা পিকনিক ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলেন।
(৪) পরবাসী কবে নিজ বাসভূমি গড়বে ?’ -কবির মনে এমন প্রশ্ন জেগেছে কেন ?
উত্তর :-
আধুনিক যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি বিষ্ণু দে’পরবাসী’ কবিতায় এদেশের সাধারণ মানুষের অনিবার্য পরিণতি কে ব্যক্ত করেছেন। আধুনিক সভ্যতার করাল থাবায় এদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কিভাবে ধ্বংস হচ্ছে,নিজেদের প্রয়োজনে বনকে ধ্বংস করে, বন্যপ্রাণীদের ধরে বিক্রি করে দিচ্ছে লােভী মানুষের দল। অর্থাৎ বর্তমান সভ্যতা ও সংস্কৃতির যে জীবনধারা ও অভিরুচি তা আমাদের চিরাচরিত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিরােধী বলেই তা আমাদের কে নিজের দেশে পরবাসী করে রেখেছে। তাই কবি কার্যত আক্ষেপের সুরে প্রশ্ন করেছেন কবে আমরা আমাদের চিন্তা-চেতনা বিবেক-বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে প্রকৃত অর্থে নিজ বাসভূমি গড়ে তুলব।
(৫) ‘এইভাবে আমরা দেহরা-দুন এক্সপ্লেসের সেই থার্ড ক্লাস গাড়িখানিতে যেন এক পশতু সাহিত্য-গােষ্ঠী বা সম্মেলন লাগিয়ে দিলুম।’ – লেখকের বক্তব্য অনুসরণে সেই পরিস্থিতির বিবরণ দাও
উত্তর :-
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের পথ চলতি গদ্যাংশ কথক একথা বলেছেন ।
এখানে দেহরাদুন এক্সপ্রেস এর থেকে কলকাতা ফেরার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।অনেক সময় পথচলতি বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পারস্পরিক আলাপ-আলােচনার মাধ্যমে অকৃত্রিম আন্তরিকতা ফুটে ওঠে, সাহিত্যের স্বাদ ও মেলে।তেমনই এই গল্পে লেখক দেখিয়েছেন কথক নিজের বুদ্ধির দ্বারা সংরক্ষণ করা থার্ড ক্লাসে নিজের স্থান করে নেন,এবং তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ফারসি ভাষায় কথা বলেন এবং তখনই পশতু সাহিত্য গােষ্ঠী বা সম্মেলন শুরু হয় খুশ হাল খাঁ খ্টকের গজল বিষয়ে প্রশ্নের মাধ্যমে। ঔরঙ্গজেবের সমকালীন এই কবি পশতু ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি। লেখক এর আগ্রহে জনৈক যাত্রী গজল শােনালেন। এরপর হলাে আদম খান আর দুর খানির মহব্বতের কিপার কথা।শুধু লেখকই নন গাড়ির সমস্ত যাত্রীরা অবধারিতভাবে মন দিয়ে সেই কাহিনী শুনল।পাঠানের গলা যদিও কর্কশ, তবে সে গুরুগম্ভীর ভাবে কাহিনীটি কিছুটা গান করে আবার কিছুটা পাঠ করে সবাইকে মােহিত করে রাখল। এভাবে সেই তৃতীয় শ্রেণীর গাড়িতে গান,আবৃত্তি ও পাঠের যেন এক পশতু -সাহিত্য- গোষ্ঠী বা সম্মেলন হল।
(৬) এই সব আমার-ই হবে; আমাকে দেলেন বিধাতা ভাবনাটি কার? বিধাতা তাকে কি কি দেবেন বলে সে মনে করে ?
উত্তর :-
তারাপদ রায়ের লেখা ‘একটি চড়ুই পাখি’ কবিতায় ভাবনাটি এক | চড়ুই পাখির। চড়ুই পাখি কিভাবে ঘরে থাকা মানুষটি অর্থাৎ কথক চলে গেলে এই ঘর তার হয়ে যাবে।ঘরের জানলা, দরজা, টেবিল, ফুলদানি, বই খাতা সবই বিধাতা তাকে অর্থাৎ চড়ুই পাখি কে দিয়ে দেবেন।
(৭) দল বিশ্লেষণ করে মুক্তদল ও রুদ্ধদল চিহ্নিত করে – সম্ভাষণ।
উত্তর :-
সম্ভাষণ- সম(রুদ্ধ)+ ভা(মুক্ত)+ষণ(রুদ্ধ) দল। অর্থাৎ একটি মুক্ত দল 2 টি রুদ্ধদল।
(৮) উঠুন্তি মুলাে পত্তনে চেনা যায়’ -প্রবাদটিকে ব্যবহার করে একটি বাক্য রচনা করাে।
উত্তর :-
উঠন্তি মুলাে পত্তনেই চেনা যায়-(শুরু দেখে ভবিষ্যৎ অনুমান করা যায়) ছেলেটি হরেন বাবুর পকেট কেটেছে এ বড় হলে নির্ঘাত পকেটমার হবে । এ যেন উঠন্তি মুলাে পত্তনে চেনা যায়।
(১.১) সেলুকাস ছিলেন —গ্রিক সেনাপতি/গ্রিক সম্রাট/মুর সেনাপতি/আরব সেনাপতি।
উত্তর :- গ্রিক সেনাপতি ।
(১.২) তােতাই এর চাই —- একটি সবুজ টিয়া/সবুজ চারাগাছ/সবুজ জামা/চশমা।
উত্তর :- সবুজ জামা ।
(১.৩) ‘বাঘের বিক্রম সম মাঘের হিমানী’— প্রঙক্তির রচিয়াতা মাইকেল মধুসুদন দত্ত/ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর/ভারতচন্দ্র রায়/ গৌরদাস বসাক।
উত্তর :- ভারত চন্দ্র রায় ।
(১.৪) ‘আলেম’ শব্দের অর্থ— প্রবর্তক/সর্বজ্ঞ/অভিযাত্রী/সহযাত্রী।
উত্তর :- সর্বজ্ঞ ।
(১.৫) ‘মুর সেনাপতি শব্দে দলসংখ্যা—দুই/তিন / পাঁচ/ছয়।
উত্তর :- পাঁচ ।
(২). নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
(২.১.) সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি কবির মতে সুখলাভের উপায়টি কী ?
উত্তর :-
উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বােঝাপড়া নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে । মানুষ অনেক সময় নিজ নিজ অহংবোধে মগ্ন থাকে ফলে মন খুলে অপরের সঙ্গে মিশতে পারে না, তারা তখন নিজের চারদিকে অন্ধকার আড়াল তৈরি করে। তখন তারা জগতে প্রকৃত মুখ থেকে বঞ্চিত থাকে । কিন্তু যদি অহংকার সরিয়ে ফেলে মানুষ নিজের চারদিকে আড়াল মরিয়ে সকলে মাঝে এসে দাঁড়ায় তবে সে বিশ্বচরাচরের অনেক খানি সুখ উপলব্ধি করতে পারবে ।
(২.২) বন্ধুভাবে উভয় সেনাপতির কথোপকথন হইতে লাগিল এই কথোপকথন গল্পের ঘটনাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে ?
উত্তর :-
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্প থেকে গৃহীত আলোচ্য উদ্ধৃত অংশটি বন্ধুভাবে কথােপকথন গ্রন্থ আরব সেনাপতি ও সেনাপতির কথা এখানে বলা হয়েছে।
আরব সেনাপতি ও মুর সেনাপতি পারস্পরিক কথোপকথনের মধ্য দিয়ে অভ্য় সেনাপতির পূর্বপুরুষদের পরাক্রম যুদ্ধকৌশলের নানা পরিচয় উঠে আসে দুজনের এই আলাপচারিতায় মাধ্যমে আর সেনাপতি বুঝতে পারেন যে মুর সেনাপতি আরব আরব সেনাপতির পৃত্রি হান্তা। কিন্তু বর্তমানে মুর সেনাপতি তার অতিথি তাই অতিথির কোনো ক্ষতি তিনি করবেন না।
যার দ্বারা প্রমাণিত হয় আরব সেনাপতি আতিথিয়তা বােধে পৃথিবীর অন্যান্য জাতির মানুষ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ তারা মনের রুদ্ধ ভাব কখনাে অতিথির কাছে প্রকাশ করেন না ভাদের শত্রুতার মধ্যে ও একটি পরম মিত্র তার ভাব ফুটে ওঠে, আর লেখক ও যার দ্বারা প্রমাণিত হয় আরব সেনাপতি আতিথিয়তা বােধে পৃথিবীর অন্যান্য জাতির মানুষ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ । তারা মনের রুদ্ধ ভাব কখনো অতিথির কাছে প্রকাশ করেন না তাদের শত্রুতার মধ্যে ও একটি পরম মিত্র তার ভাব ফুটে ওঠে, আর লেখক ও আমাদেরকে সেই ভাবনায় উদ্বীপ্ত হতে সচেষ্ট করেছেন ।
(২.৩) মহাভারতের কোন্ চরিত্রটি, কেন অপুর সবচেয়ে ভালাে লাগে ?
উত্তর :-
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত পথের পাঁচালী গল্প থেকে আমরা জানতে পারি-মায়ের মুখে কাশীদাসী মহাভারত এর কাহিনী গভীর মনােযােগ দিয়ে শুনতে অপু তবে সকল চরিত্র মধ্যে কর্মকেই ভার সবচেয়ে ভালাে লাগতাে । কারণ, তার মনে হত কর্ণ মহাবীর হয়েও চিরকাল কৃপার পাত্র যুদ্ধক্ষেত্রে কর্ণের রথের চাকা মাটিতে বসে গিয়েছে। সেই সময় অর্জুন নিরন্ত্র কর্ণের উপর বান নিক্ষেপ করে তাকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। কর্ণের কাতর মিনতি অর্জুন শুনল না। শেষ পর্যন্ত অসহায় ভাবে কর্ণ মৃত্যুবরণ করেছে এই ঘটনা শিশুর মনকে বেদনায় ভারাক্রান্ত করে । তুলভাে, ভার মনে হয় যেন এখনাে সেই রথের চাকা তােলার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। অপুর মনে হয় অর্জুন । বীর, সে মান পেল, রাজ্য পেল কিন্তু কর্ণ বড় অসহায় এত বড় বীর হয়েও সে মান পায়নি নিজের অজান্তেই সে কর্ণ কে নিজের হৃদয় বীরের সিংহাসনে বসিয়েছে। অপুর মতে কর্ণ অপরাজিত নায়ক হলেও আদর্শবান । এইসব কারণে কর্ণ চরিত্র অপুর সবচেয়ে বেশি ভালাে লাগতাে।
(২.৪) টিনের বাক্সে অপু কী কী রেখেছিল ? এর মধ্য দিয়ে তার চরিত্রের কোন্ দিক ফুটে ওঠে ?
উত্তর :-
অপু টিনের বাক্সে একটি রং উঠা কাঠের ঘােড়া একটা টোল খাওয়া টিনের ঠেসু বাশি, গােটা কথক কড়ি,দু পয়সা দামের পিস্তল, কতগুলো শুকনাে নাটা ফল, খান কতক খাপড়ার কুচি, ইত্যাদি সম্পত্তি রেখেছিল ।
টিনের বাক্সে সংগৃহীত করে রাখা এই সকল সম্পত্তি গুলি থেকে তার চরিত্র সম্পর্কে এই ধারণায় উপনীত হই যে,অপু খুবই কল্পনা প্রবণ , স্বপ্নবিলাসী । স্বাপ ই তাকে প্রতিমুহুর্তে রসদ জাগায় বেচেঁ থাকার জন্য জীবনকে উপভােগ করার জনা।
অধ্যায় ঃদাড়াও- শক্তি চট্টপাধ্যায়
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
(1.1) দাঁড়াও' কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ?
উ :-মানুষ বড় কাঁদছে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ।
(1.2) সকাল থেকে কবির কার কথা মনে পড়ছে ?
উ :-সকাল থেকেই কবির পরোপকারী হৃদয়বান মানুষের কথা মনে পড়ছে ।
(1.3) কবি কীভাবে মানুষকে পাশে দাঁড়াতে বলেছেন ?
উ :-আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দাঁড়াও কবিতার মানুষ হিসাবে আমাদের অসহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে সর্বদা দাঁড়াতে অর্থাৎ তাদের সাহায্য করতে বলেছেন । মানুষ হয়ে যখন মানুষকে পাখি হিসেবে ফাঁদ পাতা হয় ঠিক তখনই সেই মানবীক হৃদয়বান ও পরোপকারী মানুষকে পাখির মতোই তাদের তাদের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন ।
(1.4) কবিতাটিতে মানুষ শব্দটি কতবার ব্যবহৃত হয়েছে ?
উ :-মানুষ শব্দটি সাতবার ও মানুষই শব্দটি একবার ।
(1.5) দল বিশ্লেষণ কর: মানুষ; একলা; ভেসে; ভালােবেসে ?
উ :-মানুষ - মা/নুষ , একলা - এক/লা , ভেসে - ভে / সে , ভালোবেসে - ভা/লো/বে/সে ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
(2.1) মানুষের পাশে মানুষ কীভাবে দাঁড়াতে পারে ?
উ :-আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দাঁড়াও কবিতায় মানুষ হিসেবে আমাদের সহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাড়াতে বলেছেন। কেননা পূথিবীর অন্যান্য জীব জন্তুর তুলনায় মানুষ ভিন্ন পুষ্টির সেরা জীব হিসেবে একে অপরের দুঃখ যন্ত্রণা কষ্ট, বেদনা ইত্যাদি যদি না বুঝতে পারি তাহলে মানুষের মনুষত্ব কোথায় ? তাই কবি আমাদের সর্বদা অসহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন প্রয়ােজনে তাদের পাশে এসে তাদের দুঃখ যন্ত্র ভাগ করে এবং ভালোবেসে আদর দিয়ে স্নেহ করে সাহায্য করতে হবে। অর্থাৎ তাদের আর্থিক সামাজিক মানসিক, প্রাক্ষোভিক প্রভৃতি দিক দিয়ে সাহায্য করতে হবে।
(2.2) দাঁড়াও' কবিতাটির প্রথম স্তবকে প্রকাশিত কবির অন্তর্নিহিত ভাবনার পরিচয় দাও ?
উ :-আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দাড়াও কবিতায় আমাদের অসহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন । প্রথম স্তবকে আমরা এটা বুঝতে পারি যে তিনি আমাদের বলতে চাইছেন মানুষ প্রচন্ড কাদছে অসহায় ভাবে মানুষ কাঁদছে। এই সমস্ত ক্রন্দনরত মানুষের পাশেই পরোপকারী মানুষদের দাড়াতে বলেছেন। কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের ফাঁদ পেতে শিকার করছে। এই শিকারি দের হাত থেকে পাখির মতোই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।পাখিরা বোঝেনা কোন স্বার্থ। তারা নিঃস্বার্ষ ও দলবন্ধভাবে থাকে ।অপরকে রক্ষা করতে নিজের জীবনকে বলি দিয়েও দ্বিধাবোধ করে না পাখিরে ধর্ম আমাদের গ্রহণ করা উচিত । প্রথম পঙ্কিতে আমাদের একথায় বোঝাতে চেয়েছেন ।
রচনাধর্মী প্রশ্ন
(3.1) কবিতাটির বিষয়বস্তু আলোচনা কর?
উ :-বর্তমান সমাজে মানুষ বড়ই একাকী এবং অসহায়। তাই এই অসহায়, নিপীড়িত, অত্যাচারিত মানুষদের করা তাদের সাহায্য করা আমাদের উচিত। সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মনুষত্বকে বিক্রি করে দিয়ে মানুষকে শোষণ,অত্যাচার করতে ভাবাসে।
অন্যদিকে আর একজন মানুষ আছে যারা সবসময় তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত তারা সর্বদা সবাইকে সাহায্য বা পরোপকার করতে ভালোবাসে। অসহায় মানুষকে ভালোবেসে তাদের উপকার করে তারা আনন্দ উপভোগ করে কবি আমাদের এটাই করতে বলেছেন।
পরিবেশে বলা যায় আমাদের পুরো কবিতা জুড়ে একটাই আহ্বান জানিয়েছেন অসহায় মানুষের দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে নিয়ে, তাদের সর্বদা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে পুরো কবিতায় বারংবার তিনি আরজি বার্তা জানিয়েছেন।
অধ্যায় ঃ কি করে বুঝবো- আশাপূর্নাদেবী
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
(1.1) বুকুর মায়ের নাম কী ?
উ :- নির্মলা ।
(1.2) বুকুর বাড়ি কলকাতার কোন অঞ্চলে ?
উ :- বুকুর বাড়ি কলকাতার ভবানীপুর অঞ্চলে ।
(1.3) ছেনুমাসিরা কোথা থেকে এসেছেন ?
উ :- ছেনুমাসিরা উত্তর পাড়া থেকে এসেছেন ।
(1.4) বুকুর স্কুলের নাম কী ?
উ :- বুকুর স্কুলের নাম আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।
(1.5)অতিথিরা বিদায় নেওয়ামাত্র বুকুর মা কী করেছিলেন ?
উ :- অতিথিরা যাওয়া মাত্রই বুকুর মা বুকুকে ধরে প্রচন্ড হারে প্রহার করেছিলেন ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
(2.1) অতিথিদের আসার খবর জেনে বুকুর বাবা কী করেছিলেন ?
উ:-অতিথিদের আসার খবর জেনে বুকুর বাবা রেগে মেগে একদম লাল হয়ে গিয়েছিলেন । কেননা অতিথিরা বাড়িতে যেদিন বেড়াতে এসেছিল ঠিক সেদিনই কিন্তু সে সিনেমার টিকিট কেটে ছিলেন। তাই সে বিরক্তি প্রকাশ করেন এবং বলে যে টিকিট গুলি পচানোর জন্য বেছে বেছে আজকের দিন তারা বেড়াতে এসেছে ।
(2.2) বুকুর মতে অতিথিরা চলে গেলে কী করতে হয় ?
উ :-বুকুর মতে অতিথিরা চলে গেলে অতিথির নিন্দে করতে হয় । মা কেমন করে নিন্দে করবেন সেটা সে শুনবে । একথা বুকু উৎসাহের সহিত বলছেন ।
রচনাধর্মী প্রশ্ন
(3.1) বুকু কী বুঝতে পারেনি এবং এবিষয়ে তোমার ধারণা কী?
উ :-বুকুর বাবা-মা বুকুকে সব সময় শিক্ষা দিয়েছেন মিথ্যে কথা বলতে নেই। কোন কথা গােপন করে রাখতে নেই। বুকু সেই মােতাবেক কথা বলেছিল ছেনু মাসিরা বাড়িতে আসলে তার বাবা-মা বিরক্তি প্রকাশ করে,আর সে কথা সে তাদের সামনে বলে দেয়। কেননা সে জানে মিথ্যে কথা বলতে নেই এবং কোন কথা গপোন করে রাখতে নেই । আসলে সে জানেনা কখন সঠিক কথা বলতে হয়, কখন কথা গপোন রাখতে হয়।
এ বিষয়ে আমার ধারণা হল এখানে বুকু নির্দোষ I সে ছয় বছরের জ্ঞান হীন নাবালক বালক । সে জানে না কোন মিথ্যা জানেনা কোন গোপনীয়তা। তাকে যেটা শেখানাে হয়েছে সে সেটাই বলেছে। কিন্তু সে স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি যে সত্য কথা বলার জন্য এরকম ভাবে বাবা মার হাতে বেধড়ক মার খেতে হবে।
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখোঃ-
১.১ __________ বিষয়ে পৃথিবীতে কোনো জাতিই আরবদিগের তুল্য নহে।”
(ক) যুদ্ধবিগ্রহ
(খ) দপ্রদর্শন
(গ) ৰৈৱসাধন
(ঘ) আতিথেয়তা
১.২ ‘আমার কাছে কীরূপ আচরণ প্রত্যাশা করো?” বা হলেন –
(ক) সেলুক
(খ) সেকেন্দার
(গ) পুরু
(ঘ) চন্দ্রগুপ্ত
১.৩ পশ্চিমে কুঁদরুর তরকারি দিয়ে ঠেকুয়া খায়।– টেনিদাকে একথা বলেছে –
(ক) হাৰুল সেন
(খ) ক্যাবলা
(গ) প্যালা
(ঘ) ভণ্টা
১.৪ মাইকেল মধুসূদন দত্ত যেই জাহাজ থেকে তার বন্ধু গৌরদাস বসাককে চিঠি লিখেছিলেন, সেটির নাম -
(ক) ভার্সাই
(খ) সীলোন
(গ) মলটা
(ঘ) টাইটানিক
২. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
২.১ মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম' – কোন প্রসঙ্গে কবি একথা বলেছেন ?
উঃ- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'বোঝাপড়া' কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেয়া হয়েছে। এই লাইনের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন পৃথিবীর কোনো মানুষই সকলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারে না আবার সকলে সব কিছু পায়ও না। কেউ বেশি পায় আবার কেউ কম পায়, কেউ প্রতারণার শিকার হচ্ছে ঠিক তেমনি সেও অন্য কাউকে প্রতারিত করছে। তাই কবি এমন বলেছেন।
২,২ 'আমা অপেক্ষা আপনকার ঘোরতর বিপক্ষ আর নাই।” - বক্তার একথা বলার কারণ কী ?
উঃ- উপরোক্ত বক্তব্য নেওয়া হয়েছে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা অদ্ভুত আতিথেয়তা' থেকে এখানে বক্তা আরবসেনাপতি মুরসেনাপতিকে একথা বলার কারণ হল গতরাতে যখন দুই সেনাপতি পরস্পর পরস্পরের পূর্বপুরুষের বিক্রম বর্ণনা করেছিল তখন আরব সেনাপতি জানতে পারেন এই আশ্রয়প্রার্থী মুরসেনাপতির নির্দেশেই তার পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল ফলে তার প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য ইচ্ছা জাগল আশ্রয়প্রার্থী আক্রমণ করতে পারবে না তাই পরদিন সকালে মুর সেনাপতিকে প্রস্থানের উপযুক্ত ব্যবস্থা করে দিয়ে এ কথা বলেছিলেন।
২.৩ ‘আন্টিগো! তোমার এই ঔদ্ধত্যের জন্য তোমায় আমার সাম্রাজ্য থেকে নির্বাসিত করলাম।” – আন্টিগোনস কোন ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে?
উঃ- দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের 'চন্দ্রগুপ্ত' নাটকের সেকান্দারের কাছে আন্টিগোনস যখন গুপ্তচর সন্দেহে চন্দ্রগুপ্তকে নিয়ে আসে তখন কথোপকথনের মাধ্যমে জানা যায় গ্রিক সেনাপতি সেলুকাস সরল বিশ্বাসে চন্দ্রগুপ্তকে যুদ্ধকৌশল শিক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু এই নিয়ে সেলুকাস ও অ্যান্টিগোনাস এর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয় এমনকি আন্টিগোনস সেলুকাসের ওপর তরবারিও'নিক্ষেপ করেছিল আর সব ঘটেছিল সম্রাট সেকেন্দারের সামনে। তাই সেকান্দার আন্টিগোনস এর কার্যকলাপকে ঔদ্ধত্য বলে মনে করেছিলেন।
২.৪ ‘তোদের মতো উল্লুকের সঙ্গে পিকনিকের আলােচনাও ঝকমারি!' – কোন্ কথা প্রসঙ্গে টেনিদা এমন মন্তব্য করেছিল?
উঃ- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা 'বনভোজনের ব্যাপার' গল্পটিতে পিকনিক দলপতি ছিলেন টেনিদা। পিকনিকের মেনু তৈরি করতে গিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছিল ডিমের ডালনা, রুই মাছের কালিয়া, মাংসের কোর্মা ইত্যাদি সুস্বাদু খাবার কিন্তু হঠাৎ করেই সুস্বাদু মেনুর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন আলুভাজা, বাটি চচ্চড়ি। ক্যাবলা জুড়ে দিয়েছিল কুদরুর তরকারি দিয়ে ঠেকুয়া। এত স্বাদের খাবারের মধ্যে এই খাবারগুলো টেনিদার মাথা গরম করে দেয় ফলে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেছিলেন।
২.৫ ‘কৌতুহলী দুই চোখ মেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখে’ – চড়ুইপাখির চোখে কৌতুহল কেন?
উঃ- কবি তারাপদ রায়ের লেখা একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় চোখে কৌতুহল থাকার অন্যতম কারণ হল কবির বাড়ির নির্জনতা। সাধারণত প্রত্যেক বাড়িতে একাধিক মানুষ থাকে একজন বাইরে বেরিয়ে গেলে অপরজন বাড়ি দেখাশোনা করে। কিন্তু কবির বাড়ি কবি কল্পনা করেন তিনি চলে গেলে চড়ুইটি ভাবে এই বাড়ির জানালা, টেবিল,ফুলদানি সব তার হয়ে যাবে।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখোঃ-
৩.১ ‘সবুজ জামা' কবিতার ভাৰৰস্তু আলোচনা করো।
উঃ- কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 'সবুজ জামা' কবিতায় সহজ-সরল প্রকৃতিপ্রেমী তোতাই নামক এক শিশুর কথা তুলে ধরেছেন।তোতাই নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ থেকে পড়াশোনা করতে চায় না। সে প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেরিয়ে প্রকৃতিকে অনুভব করে মুক্ত থাকতে চায়। সে বুড়ো দাদুর মত চশমা দিয়ে জগত দেখতে চায়না সভ্যতার নকল মুখোশ খুলে সহজ স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে চায় ও সবুজ গাছের মতো জামা পরতে চায় যেখানে অনেক পশুপাখি এসে বসবো কবিতায় সভ্যতা জটিলতা থেকে বেরিয়ে সহজ-সরলভাবে জীবন যাপনের কথা বলা হয়েছে।
৩.২ বন্ধু রাজনারায়ণ বসুকে লেখা চিঠিতে মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর লেখা ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ সম্পর্কে কীরূপ অভিমত ব্যক্ত করেছেন?
উঃ- লেখক মধুসূদন দত্তের লেখা তিনটি চিঠির মধ্যে একটি চিঠি লেখা হয়েছিল বিশিষ্ট বিদ্যা অনুরাগী রাজনারায়ণ বসুকে। তিনি সেখানে 'মেঘনাদবধ কাব্য সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। ৭৫০ লাইনের কাব্যের ষষ্ঠ সর্গের শেষ করেছেন মেঘনাদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সে কথাও তিনি জানিয়েছেন। মেঘনাদকে মারতে লেখকের অনেক কষ্ট হয়েছে এমনকি তিনি কান্না করেছেন। এছাড়াও বলেছেন অনেক হিন্দু মহিলা এ কাব্য পড়ে কেঁদে ফেলেছেন তাই তিনি চান রাজনারায়ণ বসু মহাশয় ও যেন তার স্ত্রীকে এই বইটি পড়ার ব্যবস্থা করে দেন।
৩.৩ ‘পরবাসী’ কবিতায় শেষ চারটি পঙক্তিতে কবির প্রশ্নবাচক বাক্য ব্যবহার করার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উঃ- কবি 'পরবাসী' কবিতায় সুন্দর বন, জঙ্গল প্রাকৃতিক পরিবেশের অসাধারণ বর্ণনা করেছেন ঠিক তেমনি শেষের চারটে লাইনে তিনি নিজ মন থেকে একাধিক প্রশ্ন রেখেছেন, তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রকৃতিকে নিয়ে মানুষের এমন ব্যবহারের জন্য। তিনি প্রশ্ন করেছেন বন-জঙ্গল প্রকৃতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়াচ্ছে না কেন? মানুষ কেন চুপ রয়েছে? গাছপালা প্রকৃতির কি কোন মূল্য নেই? তাদের কেন এত নগণ্য মনে করা হয় কেননা? মানুষ বাসস্থান নির্মাণের জন্য একই স্থান থেকে অন্য স্থানে ধ্বংস করে কিন্তু নিজের বাসভূমি নিজের ঘর করতে পারছে না। তাই কবি এমন প্রশ্নবাচক বাক্য ব্যবহার করেছেন।
৩.৪ ‘—কিন্তু এই রাতটির কথা ভালোভাবেই আমার মনে আছে।” – “পথচলতি’ রচনাংশে অনুসরণে লেখকের সেই রাতের অভিজ্ঞতার বিবরণ দাও।
উঃ- ভাষাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা পথচলতি প্রবন্ধে তিনি বর্ণনা করেছেন কিভাবে গয়া থেকে কলকাতা পর্যন্ত একটি ট্রেনের বগিতে পাঠান যাত্রীদের সাথে গল্পগুজব বন্ধুত্বের সহিত ভ্রমণ করেছেন। সেই বগির পাঠানরা ছিল ইংরেজ দখলকৃত আফগানিস্তানের মানুষ। তারা পশতু ভাষী ছিলেন, ফারসি ভাষা জানতনা। প্রথমে লেখক পশতু ভাষার বিখ্যাত কবি খুশ হাল খাঁ সম্পর্কে বললে তারা খুশি হয়ে যায় এমনকি তাদের মধ্যে একজন পশতু ভাষার গজল শুরু করেছিলেন। এরপরে আদম খান ও দুররানি গল্প আলোচনা হয় এভাবেই লেখকের চেষ্টাতে দেরাদুন এক্সপ্রেস এই থার্ডক্লাস গাড়িটিতে একটি পশতু সাহিত্য সম্মেলন শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই রাতের কথা লেখকের সারা জীবন মনে ছিল।
৪. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
৪.১ দল বিশ্লেষণ করে দল চিহ্নিত করো :
ইস্টিশান, বাগুইআটি, দর্শনমাত্র, ক্ষিপ্রহস্ত, অদ্ভুতরকম
উঃ-
ইস্টিশান = ইস- টি-শন্ (রুদ্ধ - মুক্ত - রুদ্ধ দল)
বাগুইআটি = বা-গুই-আ- টি (চারটি মুক্ত দল)
দর্শনমাত্র = দরু- শন্ - মাত্ (রুদ্ধ,রুদ্ধ,রুদ্ধ,মুক্ত)
ক্ষিপ্রহস্ত = ক্ষিপ্ - রো - হস্ - ত (রুদ্ধ,মুক্ত,রুদ্ধ,মুক্ত)
৪.২ উদাহরণ দাও :
মধ্যস্বরাগম, স্বরভক্তি, অন্তঃস্থ য়-শুতি, অন্ত্যস্বরলোপ অন্যোন্য স্বরসংগতি
উঃ- তিনটি মুক্ত দল,রুদ্ধ
উদাহরণ, ধর্ম>ধরম চা- এর > চায়ের আজি > আজ রামু > রেমো
• যার কর্ম তার সাজে, অন্য লোকে লাঠি বাজে।
উঃ- যে কাজে পারদর্শী তার পক্ষেই সেই কাজ করা সহজ
• নুন আনতে পান্তা ফুরোয়া।
উ: দারিদ্র্যের অসহ যন্ত্রনা
• গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না।
উঃ- অতি কাছের জন এর গুণের কদর হয় না
• মারি তো গন্ডার, লুটি তো ভাণ্ডার।
উঃ- বড় বড় কর্মকান্ডের পরিকল্পনা
• একহাতে তালি বাজে না।
উ: দুই পক্ষের দোষ থেকেই বিবাদ
১. দেওয়ানির অধিকার, দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা ও ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কীভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিল ? (১০০ থেকে ১২০ শব্দে লেখা)।
উত্তর:- ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির মুগল সম্রাট ফারুকসিয়ার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অনুকূলে এক ফরমান জারি করেন যা । ফারুকশিয়ারের ফরমান নামে পরিচিত। এই ফরমান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ফরমান মােতাবেক কোম্পানি বাংলাদেশে যে সমস্ত বিশেষ বাণিজ্যিক অধিকার ও অন্যান্য সুযােগ-সুবিধা পেয়েছিল তাতে বাংলায় তাদের অবাধ বাণিজ্যের পথ খুলে যায়। ফলে বাংলার নবাবের সঙ্গে কোম্পানির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংঘাতের পটভূমি তৈরি হয় । মীর কাসেম দেশি-বিদেশি সমস্ত বণিকদের | দেয় শুল্ক তুলে দেন যার পরিণতি হলো মির কাশেমের সঙ্গে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সরাসরি বিরােধ। বাংলায় দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার প্রভাব বাংলার জনগণের কাছে একেবারেই শুভ ছিল না কারণ এই ব্যবস্থায় বাংলার অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব ও রাজস্ব আদায়ের অধিকার ছিল ব্রিটিশ কোম্পানীর হাতে । কোম্পানিও বেশি করে রাজস্ব আদায়ের দিকে বেশি মনোযোগী হয়ে উঠেছিল, কুশাসন ও অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বেড়ে গিয়েছিল। ফলস্বরূপ বাংলায় দেখা দিয়েছিল ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ যা ছাত্রের মন্বন্তর’ নামে পরিচিত।
২. নির্ভুল তথ্য দিয়ে ফাঁকা ঘরগুলো পূরণ করো।
উদ্যোগ
প্রশাসক
অন্যান্য উদ্যোগ
১৭৭৩ থেকে ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দেওয়ানী বিচার ব্যবস্থার কয়েকটি পরিবর্তন ঘটে ।
ওয়ারেন হেস্টিংস
১. প্রতি জেলাতে একটি দেওয়ানী ও একটি ফৌজদারি আদালত তৈরি করেন , ২. একটি রেভিনিউ বোর্ড গঠন করে রাজস্ব সংক্রান্ত বিষয়ের তথ্য অনুসন্ধান এর নির্দেশ দেন ।
দেওয়ানী সংক্রান্ত বিচার ও রাজস্ব আদায়ের দায়িক্ত আলাদা করা হয় ।
লর্ড কর্নওয়ালিস
১. জেলাগুলির দেখভাল করার জন্য পুলিশ থানার ব্যবহার প্রচলন করেন , ২. ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তোলেন ।
প্রসাশনিক ব্যয় কমতে চেয়েছিলেন ।
লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক
১. ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, ডেপুটি কালেক্টর প্রভৃতি পদে আবার ভারতীয়দের নিয়োগ করেন , ২. এলাহাবাদ বারানসি অঞ্চলের মহলওয়ারি বন্দোবস্ত চালু করেন
৩. নিচের শব্দ ছকটি পুরশ করাে।
১. বেনারস সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্ঠাতা।
উত্তর :– জোনাথন ডানকান ।
২. যার প্রস্তাব অনুমায়ী তিনটি প্রেসিডেন্সিতে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা করা হয়েছিল।
উত্তর :- চার্লস উড
৩. সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, হিন্দু কলেজ তৈরির সাথে যুক্ত ছিলেন।
উত্তর :- এডোওয়ার্ড হাইডইস্ট
৪. কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
উত্তর :- ওয়ারেন হেস্টিংস ।
৫. ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা।
উত্তর :- ব্যাপ্টিস্ট মিশন ।
৬. হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, অন্যতম শিক্ষা অনুরাগী।
উত্তর :- ডেভিড হেয়ার ।
১. অষ্টাদশ শতকে মুঘল শাসন কাঠামাে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল। এই বিপর্যয়ের কারণগুলি তুমি কীভাবে ব্যাখ্যা করবে ?
উত্তর :- মোঘল সাম্রাজ্যের বিপর্জয়ের কারণ গুলি নিম্নরুপ –
১. ঔরঙ্গজেবের পরবর্তীকালে তেমন সুদক্ষ ও বিচক্ষণ মুঘল সম্রাট আবির্ভূত হতে পারেননি। ফলে এই দুর্বল উত্তরাধিকার সিংহাসনের স্থায়িত্বকাল ধীরে ধীরে কমিয়ে দিতে থাকে । ২. ঔরঙ্গজেবের পরবর্তী মুঘল সম্রাটদের দুর্বল শাসন ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তির উত্থান ঘটে এবং তাদের বিদ্রোহ গুলি মুঘলদের কেন্দ্রীয় শাসন এর ভিত দুর্বল করে দেয় । ৩, ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য অভিযান ছিল সে সময়ে সর্বাপেক্ষা ভ্রান্ত নীতি। কেননা ঔরঙ্গজেব সাম্রাজ্যের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত৷ অঞ্চল কে সুরক্ষার বন্ধনে আবদ্ধ না করে দাক্ষিণাত্য অভিযানে নির্গত হলে ওই পথ দিয়ে বিদেশি শক্তি দিল্লিতে আক্রমণের সুবিধা পেয় । ৪. অষ্টাদশ শতাব্দীর পরবর্তীকালে মুঘল সম্রাট আর কোনরূপ সামরিক সংস্কার পূর্ণ সুযােগ নিয়ে শিবাজী রাষ্ট্র ঘটাননি। ফলে মুঘলদের দুর্বল সেনাবাহিনীর শক্তি পারসিক নেতা নার্দিশা, আফগান নেতা আহমদ শাহ আবদালী দিল্লি আক্রমণ করে।
২. জমি জরিপ ও রাজস্ব নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পদক্ষেপগুলির একটি তালিকা তৈরি করাে।
উত্তর:- জমি জরিপ ও রাজস্ব নির্ণয়ের পদক্ষেপগুলি নিম্নরূপ :-
১. জেমস রেনেল এর বাংলার নদীপথ জরিপ করা ,
২. আলাদা আলাদা 16 টি মানচিত্র তৈরি করে জরিপ করা,
৩. ইজারাদারি ব্যবস্থা,
৪. পাঁচশালা বন্দোবস্ত,
৫. মহলওয়ারি বন্দোবস্ত,
৬. রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত,
৭. 10 সালা বন্দোবস্ত,
৮. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ,
এছাড়া রাজস্ব দিতে না পারার জন্য আইন করেছিলেন সেটা হচ্ছে সূর্যস্ত আইন ।
৩. উপযুক্ত তথ্য দিয়ে নীচের ছকটি পূরণ কর
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি
স্বত্ত্ববিলোপ নীতি
গর্ভনর জেনারেল
লর্ডওয়েলেসলি
লর্ডডালহৌসি
সময়কাল
১৭৯৯
১৮৫৬
প্রভাবিত রাজ্য
১. হায়দ্রাবাদের নিজাম , ২ মারাঠা
সাঁতরা,ঝাঁসি,নাগপুর সম্বলপুর
মূলনীতি
১) এই নীতি যে রাজ্য গ্রহন করবে তাকে একজন ব্রিটিস প্রতিনিধি তার দরবারে রাখতে হবে.
২) সেই রাজ্য একদল ব্রিটিশ সৈন্যদল রাখতে রাখতে এবং তার ব্যয়ভার সেই রাজ্যকেই চালাতে হবে.
৩) এই নীতি যে গ্রহন করবে সে ব্রিটিশদের অনুমতি ছাড়া অন্য কোন শক্তির সঙ্গে যুদ্ধ কিংবা চুক্তি করতে পারবেনা
৪) এই নীতি যে রাজ্য গ্রহন করবে সে রাজ্য কোন ইউরোপীয় সেনাকে তার দলে রাখতে পারবেনা.
এই নীতি গ্রহন করলে তাকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সমস্ত রকমের সমস্যা থেকে রক্ষার দায়িত্ব নেবে কোম্পানি তথা ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।
স্বত্ববিলোপ নীতির মূল কথা হল ব্রিটিশ সরকারের আশ্রিত কোন দেশীয় রাজ্যের রাজা যদি অপুত্রক অবস্থায় মারা যায় তাহলে উক্ত রাজ্য কোন দত্তক পুত্র গ্রহন করতে পারবেনা এবং সেই রাজ্যটি সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হবে।
1.নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
i. সেন্ট জর্জ দুর্গ দেখা যায় - মাদ্রাজে ।
ii. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন - লর্ড ওয়েলেসলি ।
iii. ইজারাদারি ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয় - ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে |
iv. সিভিল সার্ভিস ব্যবস্থা ভারতে প্রবর্তন করেন - লর্ড কর্নওয়ালিস।
v. কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় - ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে।
vi. সুপ্রিম কোর্টের প্রথম বিচারপতি ছিলেন - স্যার এলিজা ইম্পে।
vii. ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থায় 'চুঁইয়ে পড়া নীতির' -র প্রবক্তা ছিলেন - টমাস মেকলে।
viii. কলকাতা ভারতের রাজধানীতে পরিণত হয় - রেগুলেটিং অ্যাক্ট অনুসারে।
ix. ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন - ১৭৮১ সালে।
x. A Code of Gentoo Law -এর রচয়িতা হলেন - নাথানিয়েল হালেদ I
১) সঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:
ক) ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে মুর্শিদকুলি খান কে বাংলার নাজিম পদ দেওয়া হয়।
খ) ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে সাদাৎ খান এর নেতৃত্বে অযোধ্যা এবং স্বশাসিত আঞ্চলিক শক্তি হিসাবে গড়ে ওঠে ।
গ) ১৭২৪ খ্রিষ্টাব্দে হায়দ্রাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন নিজাম-উল-মূলক।
২) সঠিক তথ্য দিয়ে নিচের ছকটি পূরণ করো:
সন্ধি, চুক্তি
সময়কাল
স্বাক্ষরকারী
ফলাফল
সলবাই
১৭৮২ খ্রি:
ওয়ারেন হেস্টিংস ও মারাঠা
ইংরেজরা সলসেত ও ব্রোচ লাভ করে। দ্বিতীয় মাধব রাও পেশোয়া হিয়াসবে স্বীকৃতি পান।
বেসিন
১৮০২ খ্রি:
লর্ড ওয়েলেসলি ও পেশোয়া দ্বিতীয় বাজীরাও
দ্বিতীয় বাজীরাও ওয়েলেসলির অধীনতামুলক মিত্রতা নীতি মেনে নিয়ে মারাঠাদের স্বাধীনতা বিকিয়ে দেয় |
লাহোর
১৮৪৬ খ্রি:
শের-ই-বাংলা ও এ কে ফজলুল হক
জলন্ধর দোয়াবে ব্রিটিশ কর্তৃত্ব স্থাপন
৩) সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০ -৪০ টি শব্দে)
ক) কে, কি উদ্দেশ্যে সিভিল সার্ভিস চালু করেন ?
উত্তরঃ ওয়ারেন হেস্টিংস ভারতীয় সিভিল সার্ভিস এর ভিত্তি প্রস্তুর শুরু করেন। এরপর চার্লস কর্ণওয়ালিস একে আরও পুনর্গঠন ও পরে আধুনিকীকরণ করেন। এই জন্য চার্লস কর্ণওয়ালিসকে ভারতীয় সিভিল সার্ভিস এর জনক বলা হয়। ১৯২২ সালে ভারতীয় ইণ্ডিয়া ভারতীয় সিভিল সার্ভিস এর পরীক্ষার্থীদের দিল্লিতে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয় ।
খ) ব্যাপ্টিস্ট মিশন শিক্ষার প্রসারে কেমন ভূমিকা পালন করে ছিল ?
উত্তরঃ হুগলী জেলার শ্রীরামপুরে ব্যাপ্টিস্ট মিশন খ্রিষ্টধর্ম প্রচার ও শিক্ষাবিস্তাররে কাজ শুরু করে। উইলিয়াম কেরি, ফ্রাসোয়া মার্শম্যান, উইলিয়াম ওয়ার্ড- এই তিন জনকে একত্রে শ্রীরামপুর ত্রয়ি রূপে শিক্ষা বিস্তারে সাহায্য করে। এঁরা ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা, ২৬ টি আঞ্চলিক ভাষায় বাইবেল অনুবাদ এবং বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ।
৪)নিজের ভাষায় লেখো ( ১২০ - ১৬০ শব্দে )
জমি জরিপ ও রাজস্ব নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক প্রশাসন কি কি পদক্ষেপ নিয়েছিল ?
উঃ- বক্সারের যুদ্ধের পর নায়েব নাজিম, আমিলদার ও সুপারভাইজার এসব গঠনের মাধ্যমেই কোম্পানি ভূমিরাজস্বের ভার দখল করতে থাকে। ঔপনিবেশিক শাসনের জমি জরিপ ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে পদক্ষেপগুলো হলো - পাঁচাওসালা, একসালা, দশসালা ও চিরস্থায়ে বন্দোবস্ত এবং রায়তওয়ারি ও মহলওয়ারি বন্ধবস্ত ইত্যাদি।
পাঁচসালা বন্ধোবস্তঃ- ভ্রাম্যমান কমিটির সুপারিশে ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে পাঁচ বছরের জন্য জমিদারদের জমি বন্টন করেন, সেটাই পাঁচসালা বন্ধোবস্ত নামে পরিচিত।
একসালা বন্ধোবস্তঃ- পাঁচসালা বন্ধোবস্তের অসুবিধাগুলো দূর করতে আমিনি কমিশনের 'রিপোর্টের ভিত্তিতে ওয়ারেন হেস্টিংস এক সালা বন্দোবস্ত চালু করেন।
দশসালা বন্ধোবস্তঃ- ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে লর্ড কর্নওয়ালিস বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারের দশ বছরের জন্য জমি দেন, এরই নাম দশ সালা বন্ধোবস্ত।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তঃ- জামিদাররা দশ সালা বন্ধোবস্ত অনুসারে ঠিক সময় মতো রাজস্ব জমা দেয় তাই রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শে লর্ড কর্ণওয়ালিস ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২২ মার্চ বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারদের চিরদিনের জন্য নির্দিষ্ট রাজস্বের বিনিময়ে জমি বন্টন করেন, এটাই চিরস্থায়ী বন্ধোবস্ত নামে পরিচিত।
ACTIVITY 1 Answer:
Rewrite the following sentences using Future Continuous Tense. One is done for you :
Ans : We shall be watching the cricket match on the television.
i) The students will shout when the teacher comes.
Ans. ___________The students will be shouting when the teacher comes..
ii) The girls will dance on the stage in the evening.
Ans. __________The girls will be dancing on the stage in the evening__.
iii) Mother will work in her office .
Ans. __________Mother will be working in her office__.
ACTIVITY 2 Answer:
Write antonyms of the underlined words and rewrite the sentences :
i) Some clothes were damp when I went to the backyard .
Ans. _____Some clothes were dry when I went to the backyard__.
ii) The leaves of the mango tree look dirty.
Ans. ______The leaves of the mango tree look beautiful__.
iii) The children were happy to see the stranger.
Ans. ________________The children were sad to see the stranger__.
ACTIVITY 3 Answer:
Add suitable suffix or prefix to the given words in the list and fill in the blanks to complete the sentencs:
i) Tanima buys a ___fashionable__ bag from the supermarket.
ii) It was _impossible___ to catch the deer for the hunter.
ACTIVITY 1
Write T for the True sentences and F for False sentences. Quote supporting phrases/sentences for your
answers:
i) The boy sat on a wall by the Persian wheel.
Supporting Phrases/Sentences : __________________________________________
ii) According to the boy everybody got to know that the clouds were there last night.
Supporting Phrases/Sentences : __________________________________________
iii) The boy went back using the same dirt track that he had taken to come to the Persian wheel.
Supporting Phrases/Sentences : __________________________________________
ACTIVITY 2
Fill in the blanks with suitable words from the List given below. One extra word is given:
In the last summer vacation I went on a trekking with my parents. On the way heavy snowfall started. We
spent some moments under a tree. Our guide offered us hot coffee from his flask.
List : thermos , together, anxious
ACTIVITY 3
Imagine yourself in an express train. It is midnight . One of your co passengers who is travelling alone
suddenly has got high fever. Now write in about 80 words on what you should do at this moment :
Ans.____________
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - 3 অষ্টম শ্রেনী ENGLISH /ইংরেজি Q. 1) Point out the verbs which are finite and which are non finite in the following sentences :
Q.i)My mother cooks food for the family.
Ans-Cooks - Finite Verb.
ii)Se attended three meetings.
Ans- Attended - Finite Verb.
iii)My friend wants to go to Agra to visit the Taj Mahal.
Ans-Wants - Finite Verb; to go - Non Finite Verb ; to visit - Non Finite Verb.
iv)The hunter killed the tiger.
Ans-Killed -Finite Verb
v)He refused to obey the orders.
Ans- Refused - Finite Verb; to obey - Non Finite Verb.
vi)To err is human.
Ans-To err - Non Finite Verb.
Q. 2) Fill in the blanks using a suitable verb with Infinitives .A list of verbs is given below LIST:
play,take,hear,swim,enjoy.
Q2)i) am sorry to hear this.
ii) Everybody wishes to enjoy life
iii)She knows how to swim.
iv)He likes to play cards.
v)The doctor advised him to take rest.
Q. 3)i) He went to Amritsar .He wanted to visit the Golden Temple.
Ans- He went to Amritsar to visit the Golden Temple
b) Everyone should do his duty.India expects this of every man.
Ans - India expects everyone to do this duty.
c)I speak the truth. I am not afraid of it.
Ans- I am not afraid to speak the truth.
d)He has three children. He must provide for them.
Ans-He has three children to provide for.
e) Every football team has captain. He directs the other players.
Ans- Every football team has a captain to direct the other players.
১. বিভিন্ন স্তর ও বিযুক্তিরেখাসহ পৃথিবীর অভ্যন্তরের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করাে।
২. কোনাে জায়গায় ভূমিকম্প শুরু হলে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নিজের ভাষায় গুছিয়ে লেখাে
উত্তর :– কোন স্থানের ভূত্বক হঠাৎ করে কিছুক্ষণের জন্য কম্পিত হলে তাকে ভূমিকম্প বলে। ভূ-অভ্যন্তরের স্থিতিস্থাপক বিচ্ছেদ হলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মত ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে অধিক মাত্রার ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হয়। মানুষের জীবনহানি যেমন হয় তেমনি প্রচুর পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি হয়ে থাকে।পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয়না বলে মানুষ বুঝতে পাবেনা কখন ভূমিকম্প হবে ? একারনে ভূমিকম্পের সময় কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে ক্ষয়ক্ষতির জীবনহানি কিছুটা কমানো সম্ভব ।
ভূমিকম্পের সময় যে সকল ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে সেগুলি হলো :-
• ভূমিকম্প শুরু হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি বা স্কুল থেকে বেরিয়ে কোনো খোলা জায়গায় যেতে হবে ।
• যদি খোলা জায়গায় বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে বাড়ির মধ্যে দ্রুত কোন টেবিল অথবা শক্ত আসবাবের তলায় ঢুকে পড়তে হবে ।
• ভূমিকম্প চলাকালীন বহুতল বাড়ির ঝুলন্ত বারান্দা, সিঁড়ি, লিফট ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।
• ভূমিকম্পের সময় বাড়ি থেকে বেরোবার আগে যদি সম্ভব হয় অতি প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে নিতে হবে।
• ফাঁকা স্থানে দাঁড়ানাের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে আশেপাশে কোন বিদ্যুতের খুঁটি ও ট্রান্সফরমার যাতে না থাকে।
• পুকুর বা জলাশয় ভূমিকম্পের সময় থাকলে যত দ্রুত সম্ভব উঠে আসতে হবে।
৩. যেকোনাে পাঁচটি ক্ষেত্রে তিন ধরনের শিলার ব্যবহার উদাহরণসহ লিপিবদ্ধ করাে।
উত্তর :- শিলা তিন প্রকার। যথা- আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা এবং রূপান্তরিত শিলা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রকার শিলা আমরা ব্যবহার করে থাকি। নিম্নে পাঁচটি ক্ষেত্রে এই তিন ধরনের শিলার ব্যবহার আলােচনা করা হলাে ।
• ব্যাসল্ট শিলা (আগ্নেয় শিলা) :- রেললাইনে পাথর দেওয়া হয় সেগুলি ব্যাসল্ট শিলা এছাড়া বাড়ি ঘর নির্মাণ করতে ব্যাসল্ট শিলা ব্যাবহার করা হয় ।
• চুনাপাথর (পাললিক শিলা) :- সিমেন্ট তৈরিতে লৌহ ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে চুনাপাথর ব্যবহৃত হয় ।
• বেলেপাথর ( পাললিক শিলা) :- ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং বিভিন্ন রঙের হওয়ায় স্থাপত্য স্মৃতিসৌধ এই পাথরে নির্মাণ করা হয় । লালকেল্লা উদয়গিরি খাজুবাহ মন্দির জয়সলোমির সোনার কেল্লা বেলে পাথরে নির্মিত ।
• মার্বেল ( রূপান্তরিত শিলা) :- চুনাপাথরের রূপান্তরিত রূপ। এই পাথর দেখতে খুব সুন্দর, মসৃণ ও চকচকে। বিভিন্ন রঙের হওয়ায় এবং নির্দিষ্ট করে খুব সুন্দর ভাবে কেটে নেওয়া যায় বলে স্থাপত্য ও ভাস্কর্য শিল্পে এই শিলার প্রচুর ব্যবহার দেখা যায়। আগ্রার তাজমহল মার্বেল পাথর নির্মিত।
• স্লেট (রূপান্তরিত শিলা) :- কাদা পাথর রূপান্তরিত হয়ে স্লেট সৃষ্টি হয় । পাতলা পাতের আকার হওয়ায় স্লেট দিয়ে গরের টালি তৈরি করা হয় । এছাড়া ব্ল্যাকবোর্ড তৈরিতে এবং লেখার কাজে স্লেট ব্যবহার করা হয় ।
৪. প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে ভারতের সম্পর্ক কেন ভালাে রাখা প্রয়ােজন বলে তুমি মনে করাে ?
উত্তর :- প্রতিবেশীরা যেমন বন্ধুর মতাে আমাদের পাশে থাকেন ঠিক তেমনি প্রতিবেশী দেশগুলাে আমাদের পাশে থাকেন। দেশের কোনাে বিপদে আপদে,আমাদের দুঃসময়ে আমাদের পাশে দাঁড়ান। তাছাড়া একই এলাকায় পাশাপাশি ভারতে বসবাস করতে গেলে মিলেমিশে বসবাস করাই শ্রেয়। তাই প্রতিবেশীদের সাথে যেমন সুসম্পর্ক বজায় রাখা দরকার ঠিক তেমনই প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে সুসম্পর্ক রাখা দরকার।
১. পৃথিবীর অভ্যন্তরে বিযুক্তিরেখা থাকার কারণ কী ?
উত্তর :- ভূপৃষ্ঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত একেক জায়গায় একেক রকম ভূমিকম্পের তরঙ্গের গতিবেগ হয়। এই ভূমিকম্পের তরঙ্গ বেগের পার্থক্যের ভিত্তি করে যে রেখার দ্বারা দুটো আলাদা তরঙ্গ বেগ যুক্ত অঞ্চল কে আলাদা করা হয়েছে। যেহেতু ভূ-অভ্যন্তরের একেক জায়গায় উপাদান ও ঘনত্ব আলাদা সেই আলাদা আলাদা উপদান ও ঘনত্বের কথা মাথাই রেখে ভূ – অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের বিযুক্ত রেখা কল্পনা করা হয়েছে ।
২. অপসারী পাতসীমানাকে গঠনকারী পাতসীমানা বলা হয় কেন ?
উত্তর :- অপসারি পাত সীমানা বরাবর দুটি পাত পরস্পরের থেকে দূরে সরে গেলে মাঝের ফাটল বরাবর অভ্যন্তর থেকে উত্তপ্ত গলিত পদার্থ উঠে এসে শীতল ও কঠিন হয়ে নতুন মহাসাগরীয় ত্বক আর মধ্য সামুদ্রিক | শৈলশিরা (Mid Oceanic Ridge) তৈরি হয়। এ কারণে এই ধরনের অপসারী পাত সীমানা কে গঠনকারী পাত সীমানা বলে।
৩. মৃত্তিকা সৃষ্টিতে খনিজের ভূমিকা ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর :- মৃত্তিকা সৃষ্টিতে খনিজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ ধীরে ধীরে মাটি বা মিতৃকা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিলার মধ্যে অবস্থিত কেলাসিত নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংযুক্তি বিশিষ্ট নির্দিষ্ট পারমাণবিক গঠন যুক্ত মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ হল খনিজ। কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ হলো – কোয়ারটস , ফেল্ডসপার , অভ্র জিপসাম প্রভৃতি। বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন খনিজের প্রভাব এর দরুন মাটির রং ও প্রকার বিভিন্ন হয়। যেমন কালো মাটি, লাল মাটি বেলে মাটি ও পলিমাটির নাম দেওয়া যেতে পারে।
৪. ভারতকে কেন উপমহাদেশ বলা হয় ?
উত্তর :- ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশ অর্থাৎ চীন, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান আফগানিস্তান ও শ্রীলংকার মধ্যে সামাজিক মিল খুব বেশি। আয়তন ও জনসংখ্যার বিচারে প্রথম স্থানাধিকারী ভারত এই অঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দু। এই অঞ্চলের জলবায়ু এক অন্য ধরনের বৈচিত্রের অধিকার লাভ করেছে । এখানকার বৈষম্যমূলক আবহাওয়া, প্রচুর পরিমাণে জনসংখ্যা ও জন ঘনত্ব, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র, এবং অন্যান্য যেসকল বৈচিত্র একটা বিশাল আকার মহাদেশের মধ্যে থাকে, তার বেশিরভাগ বৈচিত্র এই ভারত ও তার আশেপাশের অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে। তাই ভারতকে উপমহাদেশ বলা হয় ।
1.ক) শূন্যস্থানে সঠিক শব্দটি বসিয়ে বাক্যটি সম্পন্ন করো।
i) সারাবছর প্রবল বর্ষতা জনিত কারণে যে চাপ বলয় টি গঠিত হয়েছে সেটি হল
Ans. নিরক্ষীয়
নিম্নচাপ বলয়।
ii) স্থানীয়ভাবে বায়ুর চাপগত পার্থক্যের জন্য যে প্রবল শক্তি জনিত বায়ু প্রবাহের সৃষ্টি হয় তা হল
Ans.স্থানীয় বায়ু।
খ.বামদিকের স্তম্ভের সাথে ডান দিকের স্তম্ভকে মেলাও।
বামদিক
ডানদিক
i) অশ্ব অক্ষাংশ
iv) কর্কটিয় শান্ত বলয়
ii) চিনুক
i)রকি পার্বত্য অঞ্চল
iii) উপত্যকা বায়ু
ii)বৈপরীত্য উত্তাপ
iv) পশ্চিমা বায়ু
iii)গর্জন শীল চল্লিশ
2. বায়ু চাপ বলয় বলতে কি বোঝায় ?
Ans.পৃথিবী পৃষ্ঠের ওপর নির্দিষ্ট দূরত্বে সমধর্মী বায়ুস্তর অনুভূমিক ভাবে প্রায় হাজার কিলোমিটার জুড়ে পুরো পৃথিবীকে কয়েক টি বলয়ের আকারে বেষ্টন করে আছে।একে বলে বায়ুচাপ বলয়।
3. প্রতিপ ঘুর্নিবাত অঞ্চলে শান্ত আবহাওয়া বিরাজ করে কেন ?
Ans.কোন জায়গায় বায়ুর উষ্ণতা হঠাৎ করে কমে গেলে বায়ুর চাপ বেড়ে যায়। তখন কেন্দ্রে থাকে উচ্চচাপ ও বাইরের দিকে সৃষ্টি হয় নিম্নচাপ। এই অবস্থায় বায়ু কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে বেরিয়ে যায়। ফলে বায়ুর গতিবেগ অনেকটাই কম হয়। ফলে প্রতীপ ঘূর্ণবাত আবহাওয়া শান্ত থাকে আবহাওয়া থাকে মেঘ মুক্ত।
৪.পৃথিবীর দুই মেরু অঞ্চলে বৃত্তচপ বলয় সৃষ্টির কারণ কি ?
Ans.দুই মেরু অঞ্চল প্রায় সারা বছর বরফে ঢাকা থাকায় উষ্ণতা হিমাঙ্কের নীচে থাকে।তাই এখানকার বাতাস শীতল ও ভারী।এই অঞ্চলে সূর্য রশ্মি তির্যক ভাবে পড়ায় তাপের অভাবে বাষ্পীয় ভবনের পরিমাণ খুব কম।ফলে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ও কম থাকে। এই সব কারণেই পৃথিবীর দুই মেরু অঞ্চলে উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে।
5. সমুদ্র বায়ু ও স্থল বায়ুর দুটি ছবি অংকন করে বায়ু প্রবাহের গতিপথ চিহ্নিত
করো।
১. পারদের ঘনত্ব 13.6 গ্রাম/ঘন সেমি হলে 5 লিটার পারদের ভর কত কিলোগ্রাম হবে তা নির্ণয় কর |
উ: ঘনত্ব = ভর/আয়তন
ভর = ঘনত্ব x আয়তন
= 13.6 x 5 কিলোগ্রাম
= 68 কিলোগ্রাম
২. প্রাণীকোশের একটি পরিছন্ন চিত্র অঙ্কন করে তার বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত কর |
উ:
৩.বিশেষ পরীক্ষা থেকে রাদারফোর্ড পরমানুর গঠন সম্বন্ধে কী কি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন ?
উ: বিশেষ বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে রাদারফোর্ড পরমানু সম্বন্ধে কয়েকটি সিধান্তে উপনীত হয়েছিলেন | সেগুলি হলো :
পরমানুর মধ্যে বেশিরভাগ জায়গায়ই ফাঁকা |
পরমানুর প্রায় সমস্ত ভরই তার মাঝখানে অতি অল্প জায়গায় জোর হয়ে আছে | তিনি এই ভারী অংশের নাম দিলেন নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রক |
পরমানুর নিউক্লিয়াসের মধ্যেই তার সমস্ত ধনাত্মক চার্জ সীমাবদ্ধ থাকে |
নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ইলেকট্রনগুলো নানান বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরছে |
পরমানু সম্বন্ধে রাদারফোর্ডের এই পরীক্ষালব্ধ ধারণাকেই ‘রাদারফোর্ডের পরমানু মডেল’ বলা হয়
৪. উদ্ভিদদেহে বিভিন্ন ধরনের প্লাষ্টিডের ভূমিকা উল্লেখ কর |
উ: উদ্ভিদদেহে তিন ধরনের প্লাষ্টিড দেখতে পাওয়া যায় –
1) ক্লোরোপ্লাষ্টিড
2) ক্রোমো এবং
3) লিউকোপ্লাষ্টিড
কাজ
প্লাষ্টিড
কাজ
ক্লোরোপ্লাষ্টিড
এরা উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে |
ক্রোমোপ্লাষ্টিড
এরা ফুল ও ফলের বর্ণ বা রং নিয়ন্ত্রণ করে |
লিউকোপ্লাষ্টিড
এরা উদ্ভিদদেহে নানা ধরনের খাদ্য সঞ্চয় করে |
1. মাটির 6 ফুট উপর থেকে একটি খাতার পাতা ও একটি কয়েন একই সঙ্গে ফেলে দিলে কোনটি আগে পড়বে? কেন এমন হয় ব্যাখ্যা কর।
মাটির 6ফুট উপর থেকে একটি খাতার পাতা ও একটি কয়েন একই সঙ্গে ফেলে দিলে কয়েনটি আগে মাটিতে পড়বে।কারণ, খাতার পাতার তুলনায় কয়েন টি সহজে বায়ুর বাধা অতিক্রম করতে পারে। এবং খাতার পাতা হালকা হওয়াই বায়ুর বাধা অনেক বেশি পরিমাণে কার্যকর হয়। তাই সেটি দেরিতে মাটিতে পড়ে।
2. প্লাস্টিকের চিরুনি দিয়ে শীতকালে শুকনো চুল আঁচরানোর পর তা নিস্তড়িত কাগজের টুকরো কে আকর্ষণ করে কেন তার ব্যাখ্যা দাও।
শীতকালে বায়ুতে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকায় চুলে শুষ্কভাব বেশি থাকে, প্লাস্টিকের চিরুনি দিয়ে শীতকালে শুষ্ক চুল আঁচরালে চিরুনিতে স্থির তড়িৎ উৎপন্ন হয় ফলে চিরুনি টি তড়িৎ গ্রস্ত হয়ে পড়ে। এখন এই তড়িৎ গ্রস্ত চিরুনির সামনে কাগজের টুকরো ধরলে তড়িৎ আবেশের ফলে চিরুনিতে যে আধান সৃষ্টি হয় কাগজের টুকরোতে তার বিপরীত আধান তৈরি হবে ফলে প্লাস্টিকের চিরুনি নিস্তড়িত কাগজের টুকরোকে আকর্ষণ করে।
3. গ্যাসীয় অবস্থায় অনুদের গতীয় অবস্থা সম্বন্ধে তুমি কি কি বলতে পারো?
গ্যাসের অনুগুলি প্রায় স্বাধীন ও বিশৃংখল ভাবে সর্বদা ইতস্তত ভাবে বিভিন্ন গতি বেগে ছুটে বেড়ায়, ফলে গ্যাসের অনুগুলি পরস্পরের সঙ্গে ও পাত্রের দেওয়ালের সঙ্গে অনবরত স্থিতিস্থাপক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
অনুগুলির অবিশ্রান্ত গতির জন্য গ্যাসের নির্দিষ্ট কোন আয়তন বা আকৃতি নেই।
4. প্রাইমরডিয়াল ইউট্রিকল কি?
পরিণত উদ্ভিদ কোষে একটি বড় আকৃতির কোষগহ্বর থাকে, ফলে সাইটোপ্লাজম সহ নিউক্লিয়াস কোষ পর্দার দিকে সরে গিয়ে একটি পাতলা স্তরে বিন্যস্ত থাকে। সাইটোপ্লাজমের এই পাতলা স্তর কে প্রাইমরডিয়াল ইউট্রিকল বলে।
5. মানুষের লোহিত রক্ত কণিকার আকার কি রকম? এবং এই আকারের জন্য তার কি সুবিধা হয়?
মানুষের লোহিতরক্ত কনিকার আকার গোল চাকতির মত, পাশ থেকে দেখতে দ্বি-অবতল।সুবিধা:
বিভিন্ন গ্যাসের রক্তনালীর মধ্য দিয়ে সহজে যাতায়াত করতে পারে।
অধিক পরিমাণে অক্সিজেন পরিবহন করতে পারে।
6. গলগী বস্তুর গঠন ও কাজ উল্লেখ করো।
গলগি বস্তু তিন প্রকার উপাদান দ্বারা গঠিত। যথা-
ক। সিস্টার্নি: একক পর্দাবৃত, সমান্তরালে সজ্জিত চ্যাপ্টা থলি।
খ। ভ্যাকুয়ল: সিস্টার্ণীর কাছাকাছি অবতল দিকে বা দূরবর্তী প্রান্তে অবস্থিত গোলাকার থলি।
গ।ভেসিকল: সিস্টার্নির প্রান্তদেশে অবস্থিত ছোট ছোট পর্দাবৃত থলি,যারা ক্ষরণের কাজে যুক্ত থাকে।গলগী বস্তু হলো বহুরূপী অঙ্গাণু, এরা কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী নিজের আকার পরিবর্তন করতে পারে।
কাজ:
a. গলগি বস্তু কোষের ক্ষরণে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করে।
b. কোষে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যবস্তুর সঞ্চয় ভান্ডার হিসেবে কাজ করে।
c. গলগি বস্তু পরিণত শুক্রাণুর অ্যাক্রোজোম গঠন করে।
d. গলগি বস্তু প্রাথমিক লাইসোজোম গঠনে ও উদ্ভিদ কোষের কোষ প্রাচীর গঠনে অংশ নেয়।
MATH PART- 1
১. একটি সরলরেখার উপরে অন্য একটি রশ্মি দাঁড়িয়ে যে দুটি সন্নিহিত কোন তৈরী করে, তাদের সমষ্টি দুই সমকোণ |
২. 1729 সংখ্যাটিকে হার্ডি-রামানুজন সংখ্যা বলা হয় |
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - ২
উত্তরমালা
1. নিচের বহু পছন্দভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর দাও :
i) উ:- অসংখ্য মূলদ সংখ্যা আছে |
i) পাই চিত্রে এক-একটি বৃত্তকলা তথ্যের এক-একটি অংশকে বোঝায় এবং বৃত্তকলার মাপ ওই অংশের পরিমানের সমানুপাতী হয় ।