কুমিল্লায় ‘এসো নিজ হাতে রোবট বানাই’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
রোবট আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের আরেকটি উদাহরণ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পূর্ণ রোবট ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে মানুষের মধ্যে। তারই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লার দেবীদ্বার জালাল উদ্দিন আহমেদ ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজে ‘বাংলাদেশ অ্যাডভানস রোবোটিক্স রিসার্চ সেন্টার’-এর উদ্যোগে “এসো নিজ হাতে রোবট বানাই” শিরোনাম নিয়ে রোবটিক্সের ওপর একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়।
রোবটিক্স সেক্টরে বর্তমান প্রজন্মকে দিকনির্দেশনা দেওয়া, আরও উৎসাহিত করাই ছিল প্রোগ্রামটির মূল উদ্দেশ্য। এই প্রোগ্রাম এ অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে। কর্মশালার শুরুতে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী আরিফ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। এরপর বাংলাদেশও বর্তমান প্রেক্ষাপট রোবটিক্সের গুরুত্ব তুলে ধরেন উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাফর।
উক্ত প্রোগ্রামে ট্রেইনার হিসেবে ছিলেন মো. রাহাতুল ইসলাম যিনি বাংলাদেশ অ্যাডভানস রোবটিক্স রিসার্স সেন্টারের পরিচালক, কো-ফাউন্ডার আইডিয়া শপ ইনোভেশন সেন্টার অব বাংলাদেশ অ্যাডভানস রোবটিক্স রিসার্স সেন্টার ও ভিশন ২০২০ সাউথ এশিয়ার এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর।
তিনি রোবটিক্স সম্পর্কে তার বক্তব্যে রোবটিক্স সেক্টরে কাজ করতে হলে যে সকল বিষয়ে বেশি জ্ঞান লাগবে সে সকল বিষয় তুলে ধরেন। তিনি সকল অংশগ্রহণকারীদেরকে গ্রুপ করে হাতে হাতে রোবটিক্স প্রজেক্ট শুরু করেন। তাকে সহায়তা করেন জাহিদ হাসান জনি, জাহিদ হাসান জনি কো-অর্ডিনেটর অব বাংলাদেশ অ্যাডভানস রোবটিক্স রিসার্স সেন্টার।
মো. রাহাতুল ইসলাম ও জাহিদ হাসান জনি শিক্ষার্থীদের অবস্টেকল রোবট, স্মার্ট ডাস্টবিন, টেম্পারেচার নির্ণয়, এলসিডিতে তাদের নাম ইত্যাদি তৈরি করে দেখান। শিক্ষার্থীরা অনেক মনোযোগ সহকারে দেখেন এবং নিজের হাতে তৈরি করেন। শিক্ষার্থীরা তাদের বিদ্যালয়ে খুব শিগগির স্মার্ট ডাস্টবিন তৈরি করবে বলে জানান।
জাহিদ হাসান জনি সবাইকে বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় তারা এখন থেকেই বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা করছে।
অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করে ভিশন ২০২০ সাউথ এশিয়ান প্রজেক্ট এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। মো. রাহাতুল ইসলাম এবং জাহিদ হাসান জনি উভয়ই কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এ ইইই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।