(আত্মশুদ্ধি অর্জন এবং দ্বীন-দুনিয়ার শান্তি ও মঙ্গলের লক্ষ্যে গঠিত সকল তরিকার সালেকদের মজলিস।)
‘’পীর যার যার, তরিকত মজলিস সবার।‘’–
দোয়া মানে আল্লাহর নিকট চাওয়া। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও নিকট আশা না করা। আল্লাহর অলিগণের নিকট সবচেয়ে পাছন্দনীয় এবাদত হচ্ছে দোয়া। তাঁরা নিজদের সব আশা-আকাঙ্খা আল্লাহর নিকট পেশ করে থাকেন:
وَ اذْكُرِ اسْمَ رَبِّكَ وَ تَبَتَّلْ إِلَيْهِ تَبْتيلاً * رَبُّ الْمَشْرِقِ وَ الْمَغْرِبِ لا إِلهَ إِلاَّ هُوَ فَاتَّخِذْهُ وَكيلا
আপনি আপনার পালনকর্তার নাম স্মরণ করুন এবং একাগ্রচিত্তে তাতে মগ্ন হন! তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের পালনকর্তা। তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। অতএব তাঁকেই গ্রহণ করুন, কর্ম বিধায়করূপে। (সুরা: মুজ্জাম্মেল, ৮-৯।)
মোমিন ও সৎকর্মশীলদের দোয়া আল্লাহ শোনেন ।
وَ يَسْتَجيبُ الَّذينَ آمَنُوا وَ عَمِلُوا الصَّالِحاتِ وَ يَزيدُهُمْ مِنْ فَضْلِهِ وَ الْكافِرُونَ لَهُمْ عَذابٌ شَديدٌ
তিনি মোমিন ও সৎকর্মশীলদের দোয়া শোনেন এবং তাদের প্রতি স্বীয় অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেন। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।(সুরা: শুরা, ২৬।)
পরহেজগারদের দোয়া :إِنَّما يَتَقَبَّلُ اللَّهُ مِنَ الْمُتَّقينَ আল্লাহ্ শুধুমাত্র পরহেজগারদের আমল কবুল করে থাকেন। (সুরা: আল্ মায়েদা, ২৭।)
ইখলাসের সহিত দোয়া করা অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও নিকট আশা না রাখা। শুধুমাত্র তাঁর প্রতি তাওয়াক্কুল করা বা ভরসা রাখা। কোরআন শরিফে এরশাদ হচ্ছে:
هُوَ الْحَيُّ لا إِلهَ إِلاَّ هُوَ فَادْعُوهُ مُخْلِصينَ لَهُ الدِّينَ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعالَمين
তিনি চিরঞ্জীব। তিনি ব্যাতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তাঁকেই ডাক তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহরই জন্যে। (সুরা: আল্ মু’মিন, ৬৫।)
আল্লাহর সঠিক পরিচিতি অর্জন করা আমাদের সবার জন্যে আবশ্যক। যেব্যক্তি যত গভীরভাবে আল্লাহর পরিচিত অর্জন করবেন তার একনিষ্ঠতা, এবাদত ও আধ্যাত্মিকতা তত উন্নতমানের হবে এবং দোয়া কবুলে প্রভাব ফেলবে।
وَ إِذا سَأَلَكَ عِبادي عَنِّي فَإِنِّي قَريبٌ أُجيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذا دَعانِ فَلْيَسْتَجيبُوا لي وَ لْيُؤْمِنُوا بي لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُون
আর আমার বান্দারা যখন আমার ব্যাপারে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, তখন (আপনি বলুন) আমি তো নিকটেই রয়েছি। প্রার্থনাকারী যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে তখন আমি তাদের প্রার্থনা কবুল করি। কাজেই আমার ডাকে সাড়া দেওয়া এবং আমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা তাদের উচিত। আশা করা যায় (এর মাধ্যমে) তারা সৎপথ পাবে। (সুরা: আল্ বাকারা, ১৮৬।)
হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন: যদি তোমরা আল্লাহর পবিত্র সত্ত্বার সঠিক পরিচিতি অর্জন করতে পার, তাহলে দোয়ার মাধ্যমে পাহাড়ও সরিয়ে দিতে পারবে! (বিহারুল আনওয়ার, খঃ ৯০, পৃঃ ৩২৩।)
বিভিন্ন খতম পড়ার ফযিলত ও আমল এর নিয়মঃ
প্রিয় সুধী, উপরোক্ত কোরানের আয়াত ও হাদিসের আলোকে বলা যায় যে, মোমিন ও সৎকর্মশীল,ইখলাসের গুন গুনাম্বিত,আল্লাহর পবিত্র সত্ত্বার পরিচিত অর্জনকারী সর্বপরি পরহেজগার বান্দাদের দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। তাই বুজর্গানে দীন একক বা কয়েকজন সালেককে নিয়ে খতমে তাহলিল, খতমে খাজেগান, খতমে ইউনুস ইত্যাদি পাঠ করে দোয়া করেন। খতমসমূহ পড়ার ফযিলত ও আমল সম্পর্কে নিন্মে আলোচনা করা হলোঃ
১) খতমে তাহলিল পড়ার ফযিলত ও আমল এর নিয়মঃ ( যথাশীঘ্র সম্ভব প্রকাশ করা হবে।)
২) খতমে খাজেগান পড়ার ফযিলত ও আমল এর নিয়মঃ (যথাশীঘ্র সম্ভব প্রকাশ করা হবে।)
৩) খতমে ইউনুস পড়ার ফযিলত ও আমল এর নিয়মঃ- (যথাশীঘ্র সম্ভব প্রকাশ করা হবে।)
মোমিন ও সৎকর্মশীল,ইখলাসের গুনে গুনাম্বিত,আল্লাহর পবিত্র সত্ত্বার পরিচিত অর্জনকারী সর্বপরি পরহেজগার বান্দাদের মাধ্যমে খতম করুন-আপনার জীবনে শান্তি ও কল্যাণ আসবে-ইনশাল্লাহ।