(আত্মশুদ্ধি অর্জন এবং দ্বীন-দুনিয়ার শান্তি ও মঙ্গলের লক্ষ্যে গঠিত সকল তরিকার সালেকদের মজলিস।)
‘’পীর যার যার, তরিকত মজলিস সবার।‘’–
এলমে ক্বালব বা তাসাওউফ বা তরীকত সম্পর্কে সালেক ও জিকিরকারীদের মতামত
মোহাম্মদ ইমান আলী লিটন (চিশতি)
শরিআত, তরিকত, হাকিকত ও মারেফত, চারে মিলে হয় পূর্ন ইবাদত। শরিআত এর যাহেরী-বাতেনী ইবাদতের হাকিকত পেতে তরিকের পথ অবলম্বন করতে হয় অর্থাৎ পীর মাশায়েখদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমল করতে হয়। এক পর্যায়ে সালেকগণ আল্লাহর মারেফত হাসিল করতে সম্ভব হন; যাহা আমার প্রয়াতঃ পীর সাহেব হুজুর কেবলা আলহাজ্জ শাহসূফী মাওলানা মাসুদ আহমদ (রহঃ) এর তালিম, ফায়েজ, তাওয়াজ্জহ্ পেয়ে অনুভুত হতো।বর্তমানে আমার ঘনিষ্ট পীর ভাই এবং প্রয়াতঃ পীর সাহেব হুজুর কেবলার খলিফা সূফী খন্দকার হারুন অর রশিদ ছাহেব প্রতি বৃহস্পতিবার বাদমাগরেব মিরপুরস্থ হযরত শাহজালাল (রহঃ) খানকায় তালিম প্রদান করেন। হুজুরের খলিফা সূফী ছাহেবের তালিমে যে নুরানিয়ত অনুভুত হয়, তার জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া। সেই সাথে পীর সাহেব হুজুরের খলিফা সূফী খন্দকার হারুন অর রশিদ ছাহেবকে দোয়া করি যেন তিনি তরিকতের মেহনত করে মানুষের মাঝে হেদায়েতের নুর প্রজ্জলিত করতে পারেন। সর্বশেষে আল্লাহ আমাদেরকে পরিপূর্নভাবে ইবাদত (শরিআত, তরিকত, হাকিকত ও মারেফত-এই চার এর সমন্বয়ে) করার তৌফিক দান করুক-আমিন।
মোঃ আবদুল মজিদ, পটুয়াখালী।
সূফী খন্দকার হারুন অর রশিদ ছাহেব এর উছিলায় যেন লক্ষ্ লক্ষ্য মানুষ হেদায়েতের নূর পান, তাঁহার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করি। হে আল্লাহ, আপনি পীরে তরিকত সূফী খন্দকার হারুন অর রশিদ ছাহেবকে কবুল করুন-আমিন।
মোঃহুমায়ুন কবীর-পীরেরবাগ, মিরপুর, ঢাকা।
মানব দেশে ১০টি লতীফা আছে। যেমন-ক্বালব, রুহ, সির, খফী, আখফা, নফস, আব, আতস, খাক, বাদ। লাতীফার রং আলাদা, সুক্ষ্ণ এবং সংযোগ নিকটতম। মুজাদ্দেদিয়া-মাসুদিয়া তরীকায় ১০টি লতীফার নির্ধারিত জিকির সকাল-সন্ধ্যা করলে লতীফাসমূহ জাগ্রত হয় এবং রুহানী জগতে যাহির বাতিন অবস্থার অপূর্ব পরিবর্তন ঘটে। বিশেষকরে ক্বালবসহ সমস্ত শরীর আল্লাহ আল্লাহ জারি হয়। ফলে সালিকের দিল আল্লাহ প্রেমে আকৃষ্ট হয়। পীরে তরিকত সূফী খন্দকার হারুন অর রশিদ ছাহেবের মজলিসে বসলে এর বাস্তবতা অনুভব করা যায়। আল্লাহপাক সূফী ছাহেবকে তরিকতের মেহনতের জন্য কবুল করুক-আমিন।
শেখ মোঃ জাকারিয়া হোসেন, গ্রাম-বাইনখাড়া, পোঃ+থানা-টঙ্গিবাড়ী, মুঞ্চিগঞ্জ।
সাধারন নিয়মে যিকিরে যে শান্তি আমরা পাই তার চেয়ে বেশী শান্তি অনুভুত হয় যে কোন তরিকতের সালেক, পীর ও মাশায়েখগণের মজলিসে যিকির করলে। পীরে তরিকত-সূফী খন্দকার হারুন রশিদ সাহেবের মজলিসে একাধিকবার যিকির করার আমার সুযোগ হয়েছে। আল্হামদুলিল্লাহ্ সেই মজলিসে জিকিরের যে নুর তথা প্রশান্তি অনুভুত হয়েছে; তাহা বাস্তবিকভাবে বুঝতে হলে এ ধরনের তরিকতের মজলিসে বসা একান্ত প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। আল্লাহপাক সূফী খন্দকার হারুন অর রশিদ ছাহেবকে তরিকতের মেহনতের জন্য কবুল করুক-আমিন।
হাজী মোঃ সেকান্দর আলী, পটুয়াখালী।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ধর্মীয় জ্ঞান পিপাসু সূফী খন্দকার হারুন অর রশিদ আমার অতি ঘনিষ্ঠ পীর ভাই। তাঁহার জীবন দর্শন চিন্তা চেতনা স্বীয় পীরের প্রতি অকৃত্রিম ভালো বাসা পীর ও মুরিদের সম্পর্ক কেমন হওয়া দরকার, পীর ভাইদের মধ্যে কেমন সম্পর্ক থাকা দরকার-তাঁর জীবন চলার গতি একটি উদাহরণ। দীর্ঘ এক দশক পীরের খেদমত, কঠোর সাধনা এবং অনেক প্রতিকুলতা অতিক্রম করেন। আমার পরম শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ পীরে মোকাম্মেল আলহাজ্ব শাহসূফী মাওলানা মাসদু আহমেদ রহঃ নিকট থেকে খেলাফত প্রাপ্তিতে আমি গভীরভাবে আনন্দিত। দিনের দায়ী হিসাবে স্বীয় পীরের স্মরণে মাসুদিয়া তরিকত মজলিস-পীরের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসার প্রকাশ। আমি আরো গর্ববোধ করি, আমার পীর ভাই সূফী সাহেব মদিনা জামাতের আমির আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তফা সাহেব থেকেও খেলাফত প্রাপ্ত হন। আল্লাহপাক সূফী খন্দকার হারুন অর রশিদ ছাহেবকে তরিকতের মেহনতের জন্য কবুল করুক-আমিন।