(আত্মশুদ্ধি অর্জন এবং দ্বীন-দুনিয়ার শান্তি ও মঙ্গলের লক্ষ্যে গঠিত সকল তরিকার সালেকদের মজলিস।)
’পীর যার যার, তরিকত মজলিস সবার।‘’–
দুনিয়াতে আল্লাহই সমস্যা দিয়েছেন, সেই সাথে আল্লাহই সমস্যা সমাধানের পথ খুলে দিয়েছেন। মুলতঃ মানুষের জীবনে অশান্তি আসতে পারে, অকল্যাণ আসতে পারে, তা থেকে মুক্তির জন্য তথা শান্তি কল্যাণের লক্ষ্যে কোরান ও হাদীস এবং ওলি কামীলদের আমল পর্যালোচনায় দুইটি পদ্ধতি উল্লেখ করা হলোঃ ১) দান-সাদকা এবং ২) দোয়া (যেমন-খতমে খাজেগান, খতমে তাসমিয়া, খতমে তাহলিল ইত্যাদি)।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা। ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় দান বা সাদকা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; যাহা কোরান হাদীস দ্বারা প্রমানিত। দান করতে বিশাল অর্থ বিত্তের মালিক হতে হয় না। স্বল্প সম্পদের মালিক হলেও দান করা যায়। প্রতিদিন নিয়মতান্ত্রিকভাবে অল্প পরিমাণ হলেও দান করুন সম্পদ বৃদ্ধি ও বরকত প্রাপ্ত হবে, পরজীবনের কামিয়াবি অর্জন হবে এবং ইহকালের বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
প্রতিদিন দান করার সহজ পদ্ধতিঃ নিন্মোক্ত আয়াত অনুযায়ী আমরা বুঝি যে আল্লাহ আমাদের অন্তরে কি আছে তা জানেন এবং হাদীসে নিয়তের উপর কর্মের ফলাফল নির্ভর করে তা উল্লেখ রয়েছে। কোরআনের এই আয়ত ও হাদীসের উপর বিশ্বাস রেখে, একটি ডাইরী বা প্যাড বা এক পাতা কাগজে প্রতিদিন সকালে দানের উদ্দেশ্যে টাকা মনে মনে নিয়ত করে লিখে রাখুন। এবং মাস শেষে যোগ করে যত টাকা হয়-তা একক ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানে অথবা কয়েক ভাগ করে ফকির-মিসকিনসহ মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, খানকা শরীফ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে দান করে দিন। এই পদ্ধতিতে দান আপনার প্রত্যাহিক জীবন চলার পথে শান্তি ও কল্যাণ বয়ে আসবে-ইনশাল্লাহ !!
> “বল, তোমাদের অন্তরে যা আছে তা যদি, তোমরা গোপন অথবা প্রকাশ কর আল্লাহ তা অবগত আছেন।”(সূরা আলে ইমরান : ২৯) >নিয়তের উপর কর্মের ফলাফল নির্ভর করে (আল-হাদীস)।
দান-সাদকা সম্পর্কে কোরান হাদীসের তথ্য জানতে ক্লিক করুন-
দোয়া মানে আল্লাহর নিকট চাওয়া। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও নিকট আশা না করা। আল্লাহর অলিগণের নিকট সবচেয়ে পাছন্দনীয় এবাদত হচ্ছে দোয়া। তাঁরা নিজদের সব আশা-আকাঙ্খা আল্লাহর নিকট পেশ করে থাকেন। কোরানের আয়াত ও হাদিসের পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, মোমিন ও সৎকর্মশীল,ইখলাসের গুন গুনাম্বিত,আল্লাহর পবিত্র সত্ত্বার পরিচিত অর্জনকারী সর্বপরি পরহেজগার বান্দাদের দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। তাই বুজর্গানে দীন একক বা কয়েকজন সালেককে নিয়ে খতমে তাহলিল, খতমে খাজেগান, খতমে ইউনুস ইত্যাদি পাঠ করে দোয়া করতেন।
হাঁ, আপনার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে যে কোন বিপদ-আপদ, বালা-মসিবত তথা প্রতিকুল পরিস্থিতিতে তরিকত পন্থি পরহেজগার বান্দাদের মাধ্যমে খতম করান, দ্বীন-দুনিয়ার শান্তি ও কল্যাণ আসবে-ইনশাল্লাহ !!
দোয়া সংক্রান্ত কোরান হাদীসের তথ্য এবং বিভিন্ন খতমের নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-