বাংলাদেশ অগ্নিবীর ডিজিটাল গ্রন্থাগার

মহাভারত

বাংলা

মহাভারত (হরিবংশ সহ)

অনুবাদক : কালীপ্রসন্ন সিংহ

ভাষা: বাংলা

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১০৫৩৬

সাইজ: ৮৮ এমবি

সংক্ষিপ্ত মহাভারত

অনুবাদক : গীতাপ্রেস

ভাষা: বাংলা

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৬৫৭

সাইজ: ১৫৪ এমবি

মহাভারত (সারানুবাদ)

অনুবাদক : রাজশেখর বসু

ভাষা: বাংলা

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৭২১

সাইজ: ১৭ এমবি

কাশীদাসী মহাভারত (পদ্য)

অনুবাদক : কাশীরাম দাস

ভাষা: বাংলা

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৯৮৩

সাইজ: ৭৩.৩৬ এমবি

সংক্ষিপ্ত মহাভারত (গদ্যানুবাদ)

প্রকাশক : ভারত সেবাশ্রম সংঘ

ভাষা: বাংলা

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৭১০

সাইজ: ৩৫ এমবি

মহাভারত (৪৩ খণ্ড - সম্পূর্ণ)

অনুবাদক : হরিদাসসিদ্ধান্তবাগীশ 

ভাষা: বাংলা

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ? (৪৩ টি ফাইল)

সাইজ:জিবি

হরিবংশ (মহাভারতের খিল অংশ)

অনুবাদক : চন্দ্রমোহন তর্করত্ন

ভাষা: বাংলা

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৬৬৫

সাইজ: ৮৯ এমবি


 মহাভারত (ক্রিটিকাল ইডিশন -BORI)

ভাষাঃ সংস্কৃত

ভাণ্ডারকর ওরিয়েন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, পুনে


১৯১৯ সালের এপ্রিল মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো মহাভারতের Critical Edition তৈরীর কাজ। দেশবিদেশ থেকে মহাভারতের বিভিন্ন প্রাচীন পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করা হলো। মহাভারতের প্রাচীন পাণ্ডুলিপিগুলাকে মোট ৮ ভাগে ভাগ করা যায়।

*সারদা          *নেপালী          *মৈথিলী          *বাংলা          *তেলেগু          *মালয়ালাম          *গ্রন্থ          *দেবনগরী 

আবার পুঁথিসমূহের তুলনামূলক বিশুদ্ধতাও রয়েছে।

১) দক্ষিণ ভারতীয় পুঁথিগুলোতে প্রক্ষিপ্ততার পরিমাণ বেশী অর্থাৎ উত্তর ভারতীয় পুঁথিগুলো তুলনামূলকভাবে অধিকতর বিশুদ্ধ।

২) আবার উত্তর ভারতীয় পুঁথির মধ্যে কাশ্মীরি ও পশ্চিম ভারতীয় লিপিগুলো তুলনামূলক বিশুদ্ধ, পূর্ব ভারতীয় লিপি যেমন বাংলা লিপি তুলনামূলক কম বিশুদ্ধ। 


আদি পর্বের প্রথম ২ অধ্যায়ের Critical Edition তৈরী করতেই ব্যবহার করা হয়েছে প্রাচীন ৬০ টির অধিক পাণ্ডুলিপি যা নির্বাচন করা হয়েছে ২৩৫ টি আদিপর্বের পাণ্ডুলিপি হতে। পুরো মহাভারতের Critical Edition বের করতে এভাবে প্রায় ১২০০ এর মতো প্রাচীন পাণ্ডুলিপি ব্যবহৃত হয়েছে। 


মহাভারতের প্রাপ্ত সবচেয়ে প্রাচীন পাণ্ডুলিপিটি হলো ১৫১১ সালের যা নেপালী লিপিতে লেখা(N3 Manuscript)। বাংলায় প্রাপ্ত সবচেয়ে প্রাচীন পাণ্ডুলিপি যথাক্রমে ১৭৫৯ ও ১৭৮৬ সালের(B3&B* Manuscript)। এই দুইটি পাণ্ডুলিপি পাওয়া গিয়েছিল যথাক্রমে শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও নব প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারেঅবশ্য ত্রয়োদশ শতকের বিচ্ছিন্ন ১ টি লিপি পাওয়া যায়। অর্জুনমিশ্র, নীলকন্ঠ, রত্নগর্ভ সহ প্রখ্যাত মহাভারত ভাষ্যকারদের টীকার অনেক পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করা হলো।


১৯১৯ থেকে শুরু করে ১৯৬৬ সালের ২২ ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান ৪৭ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে সমগ্র ভারতবর্ষের ১১৫৯ টি পাণ্ডুলিপি গবেষণা করে ড. বিষ্ণু সুকথানকর এর নেতৃত্বে গবেষকগণ  মহাভারতের একটি "তুলনামূলক শুদ্ধ আধুনিক ও ইউনিফর্ম পাণ্ডুলিপি" প্রকাশ করেন। ২২ ই সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. সর্বেপল্লী রাধাকৃষ্ণান এর কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত বলে ঘোষণা করেন। ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম খণ্ড, ১৯৬৬ সালে শেষ খণ্ড।


দেখা গেল মহাভারতের গড় সাধারণ সংস্করণ সমূহে হরিবংশ ব্যতীত শ্লোকসংখ্যা ছিল ৮৫ হাজার। Critical Edition এ তা নেমে আসল ৭৩৭৮৪ তে। আদিপর্বের সাধারণ সংস্করণে ২৩৪ অধ্যায় ও ৮৩৭৩ শ্লোক ছিল। Critical Edition এ তা ২২৫ অধ্যায়, ৭১৯৭ শ্লোকে নেমে আসে অর্থাৎ কেবল আদিপর্বেই ৯ টি অধ্যায় ও ১১৭৬ শ্লোক বাদ পড়ে গেছে।


এখানে সুপ্রিয় পাঠক একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। BORI এর Critical Edition এ শুধু সেই নকল শ্লোকগুলোই বাদ দেয়া হয়েছে যেসব শ্লোক ত্রয়োদশ শতক থেকে গত ৬০০ বছরে মহাভারতে ঢুকেছে। কিন্তু এর আগে গত ২০০০ বছরে যেসব অংশ নকল বা প্রক্ষিপ্ত হিসেবে ঢুকেছে সেগুলো বাদ দেয়া হয়নি কেননা BORI এর কাজ কিন্তু বিশুদ্ধ মহাভারত বের করা নয়, BORI এর কাজ ছিল প্রত্নতাত্ত্বিক মহল ও গবেষক মহলের জন্য একটি একক সর্বজনীন ব্যবহারযোগ্য পাণ্ডুলিপি প্রস্তত করা বর্তমানে প্রাপ্ত পাণ্ডুলিপিগুলোর ভিত্তিতে । এতে তারা প্রায় অনেকাংশেই সফল এবং আরো প্রমাণগত গবেষণা প্রয়োজন ।

এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকগুলিতে ক্লিক করে আর্টিকেলগুলো পড়ে নিন

মহাভারত সম্পর্কিত অন্যান্য বই

মহাভারতের মূলকাহিনী ও বিবিধ প্রসংঙ্গ

লেখক : শিশির কুমার সেন

ভাষা: বাংলা

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩৯৮

সাইজ: ১৯ এমবি

মহাভারতের কথা

লেখক : শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি

ভাষা: বাংলা

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৪২

সাইজ: ২৩ এমবি

মহাভারতের একশোটি দুর্লভ মুহূর্ত

লেখক : ধীরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য

ভাষা: বাংলা

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৬৬৮

সাইজ: ৭ এমবি

কালের ইতিহাসে মহাভারত

লেখক : সুধাময় দাস

ভাষা: বাংলা

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৬১

সাইজ: ২৪ এমবি