ফোনঃ ০১৩০৯-১৩১৫২৮, ইমেইলঃ gssdmd40@gmail.com
স্থান: কলেজ রোড, শ্রীমঙ্গল
তারিখ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানসমূহ: গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা, শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজ, দি বাডস স্কুল অ্যান্ড কলেজ
প্রতিবেদনকারী: গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা
শ্রীমঙ্গল উপজেলার কেন্দ্রীয় পথ হিসেবে পরিচিত কলেজ রোডে বিভিন্ন স্থানে ময়লা ও বাগাড়ের সঞ্চয় একটি দীর্ঘস্থায়ী পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ময়লা বাগাড়ের অপরিষ্কারতা শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করছে, কীটপতঙ্গের প্রাদুর্ভাব ঘটাচ্ছে, বাতাসে অসহনীয় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার পরিবেশকে প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত করছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একটি ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিয়েছে।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা, শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজ এবং দি বাডস স্কুল অ্যান্ড কলেজ একত্রে কলেজ রোডে “ময়লা বাগাড় অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসুচী” আয়োজন করে।
সময় ও স্থান
সময়: সকাল ১১:৩০
স্থান: কলেজ রোডের মধ্যভাগে — শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজের মুখ্য গেট থেকে দি বাডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের পশ্চাত্তল পর্যন্ত (প্রায় ৮০০ মিটার)
অংশগ্রহণকারী
গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা: ১৫০+ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক
শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজ: ২০০+ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক
দি বাডস স্কুল অ্যান্ড কলেজ: ১৮০+ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক
স্থানীয় নাগরিক, সামাজিক কর্মী, স্থানীয় পত্রিকার প্রতিনিধি ও স্থানীয় পৌরসভার প্রতিনিধি
মোট অংশগ্রহণকারী: প্রায় ৫০০+ জন
মানববন্ধন গঠন
সকাল ১১:৩০টায় স্থানীয় শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা কলেজ রোডের দুই পাশে মানববন্ধন গঠন করে। বন্ধনের মধ্যে স্থানীয় ময়লা বাগাড়ের বাস্তব ছবি, বার্তাবাহী প্ল্যাকার্ড ও বিজ্ঞপ্তি স্থাপন করা হয়। বার্তাগুলো ছিল:
"ময়লা বাগাড় নয়, পরিষ্কার পরিবেশ চাই!"
"আমাদের শিক্ষার পরিবেশ বিষাক্ত নয়!"
"স্থানীয় প্রশাসনকে দায়িত্ব নিতে হবে!"
শিক্ষার্থীদের স্পিচ ও প্রতিশ্রুতি
প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে একজন ছাত্র/ছাত্রী স্পিচ দেন। শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজের ছাত্রী আরিফা খাতুন বলেন:
"আমরা পড়াশোনা করি এখানে, কিন্তু প্রতিদিন ময়লার গন্ধে আমাদের ক্লাস ঘুমিয়ে যায়। আমরা শুধু প্রতিবাদ করছি না, আমরা পরিবর্তন চাই।"
প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক
স্থানীয় পৌরসভার প্রধান কর্মকর্তা ও পরিবেশ বিভাগের প্রতিনিধি উপস্থিত হন। শিক্ষার্থীরা তাদের সামনে একটি ঔপচারিক অনুরোধ পত্র জমা দেন, যাতে দাবি রাখা হয়।
স্থানীয় মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সচেতনতা
কর্মসূচি সম্পর্কে স্থানীয় টিভি, রেডিও ও ফেসবুক পেজগুলোতে সম্প্রচার করা হয়। #CleanCollegeRoadSreemangal হ্যাশট্যাগে শিক্ষার্থীরা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বিশ্বব্যাপী সমর্থন আহ্বান করেন।
শিক্ষকদের মন্তব্য: শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজের প্রধান শিক্ষক বলেন,
"এটি শুধু ময়লা নিয়ে নয়—এটি স্থানীয় নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব নিয়ে। আমরা শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে নাগরিক সচেতনতার নতুন দিক খুলেছি।"
কলেজ রোডের ময়লা বাগাড় অপসারণের দাবিতে এই ঐক্যবদ্ধ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি শ্রীমঙ্গলের পরিবেশগত সচেতনতার এক অগ্রগামী পদক্ষেপ। এটি শুধু একটি প্রতিবাদ নয়—এটি একটি পরিবর্তনের শুরু। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে প্রতি মাসে একটি ‘পরিবেশ সচেতনতা দিবস’ পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আমাদের বার্তা:
“পরিবেশ পরিষ্কার করা কোনো প্রশাসনের কাজ নয়—এটি সকলের দায়িত্ব। আমরা শিক্ষার্থী, আমরা পরিবর্তনের সূত্রপাত।”
এই প্রতিবেদনটি স্থানীয় মিডিয়া, ও পৌরসভা প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসায় বই পড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫ – ২য় পর্ব: ফুল এর মৌখিক পরীক্ষা
স্থান: গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা, শ্রীমঙ্গল।
ভূমিকা:
গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসায় বই পড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫-এর দ্বিতীয় ফুল পর্বের মৌখিক পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। এই পর্বটি শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের বিষয়বস্তু অনুশীলন, বুঝাবুঝি ও মৌখিক প্রকাশের ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। প্রতিযোগিতাটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ্য বইয়ের প্রতি আগ্রহ জাগানোর পাশাপাশি ভাষার সৌন্দর্য ও চিন্তার গভীরতা প্রকাশের একটি অনন্য মঞ্চ হিসেবে কাজ করেছে।
পরিচালনা ও উপস্থিতি:
প্রতিযোগিতার সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট, ও জানাব আকলিমা আক্তার, যিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন,
“বই পড়া শুধু পরীক্ষার জন্য নয়, এটি মানুষের চিন্তাকে উড়ানোর ডানা।”
মৌখিক পরীক্ষার সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার বিশিষ্ট শিক্ষক জাকের আহমেদ, যিনি প্রতিযোগীদের প্রতিটি উত্তরের সৌন্দর্য ও বিশ্লেষণের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন,
“এই প্রতিযোগিতা শুধু প্রতিযোগিতা নয়—এটি একটি পাঠ।”
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজের সম্মানিত প্রফেসর, যিনি প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন,
“আমি অনেক স্কুল-কলেজে এই ধরনের প্রতিযোগিতা দেখেছি, কিন্তু এখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে আধ্যাত্মিক ও সাহিত্যিক গভীরতা ফুটে উঠেছে, তা আমাকে অবাক করেছে। এই মাদ্রাসার শিক্ষকদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই।”
প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু:
“ফুল পর্যায়ে” বিষয়ে প্রতিযোগীদের মৌখিক প্রকাশের জন্য প্রশ্নগুলো ছিল বহুমুখী: নিম্নের বই থেকে প্রশ্ন করা হয়।
মরু ভাস্কর
পল্লী বন্ধু
মহাপতঙ্গ
খোকা বাবুর প্রত্যাবর্তন
আবিস্কারের নেশায়
খোকা বাবুর প্রত্যাবর্তন
গ্রিমস ফেয়ারি টেলস
একাত্তরের দিনগুলো
শিউলি মালা
আম আঁটির ভেপু
রবিনসন ক্রসো
বই পড়া ভাঁড়ি মজা
পাগলা দাসু
মহাপতঙ্গ
মহাপতঙ্গ
রিক্তের বেদন
অতিথি
বিজ্ঞান কি ও কেন
সুন্দরবনে সাত বছর
দেনা পাওনা
টাইম মেশিন
পালামৌ
ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র
চলে মুসাফির
বখতিয়ারের ঘোড়া
প্রতিযোগীরা সমৃদ্ধ ভাষায়, স্পষ্ট চিন্তায় এবং অনুভূতির সাথে উত্তর দিয়েছে।
সমালোচনা ও প্রশংসা:
প্রতিযোগীদের উত্তর মূল্যায়নের জন্য তিনজন শিক্ষক একটি সমন্বিত প্যানেল গঠন করেন। প্রতিটি প্রতিযোগীর উত্তর বিষয়ভিত্তিক, ভাষাগত ও মনোবৈজ্ঞানিক দিক থেকে মূল্যায়ন করা হয়। প্রফেসর বিশেষভাবে প্রশংসা করেন যে,
“এখানে শুধু বইয়ের কথা বলা হয়নি—বইয়ের মাধ্যমে জীবনের কথা বলা হয়েছে। এটি শিক্ষার সত্যিকারের লক্ষ্য।”
উপসংহার:
গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার বই পড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫-এর ২য় পর্ব শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়—এটি একটি আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। শিক্ষকদের পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের মনে পাঠ্য বইয়ের প্রতি গভীর আস্থা ও প্রেম জাগিয়ে তোলা হয়েছে।
আকলিমা আক্তার, জাকের আহমেদ এবং শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজের সম্মানিত প্রফেসর ড. মো. আব্দুল করিম-এর অবদান এই প্রতিযোগিতাকে অসাধারণ করে তুলেছে। তাঁদের উৎসাহ, পরিকল্পনা এবং সংবেদনশীল মূল্যায়ন পদ্ধতি শিক্ষার সত্যিকারের দিক প্রকাশ করেছে।
এই পর্বের সফলতা পরবর্তী পর্বের জন্য একটি প্রতিশ্রুতি হিসেবে রেখে যায়।
স্থান: গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা, কলেজ রোড, শ্রীমঙ্গল।
তারিখ: ০৬/০৯/২৫ ইং
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উপলক্ষে আমাদের মাদ্রাসার মসজিদ প্রাঙ্গণে এক ধর্মীয় মাহফিল ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর পবিত্র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ অংশগ্রহণ করেন।
📌 অনুষ্ঠানসূচি:
আলোচনা সভা:
অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন শিক্ষক ও মাদ্রাসার ছাত্রবৃন্দ মিলাদুন্নবি (সাঃ)-এর জীবনাদর্শ ও শিক্ষা নিয়ে প্রাঞ্জল ভাষণে আলোচনা করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী হারুন। তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্যে নবীজীর (সাঃ) চারিত্রিক গুণাবলি, আদর্শ ও তাঁর অনুসরণে জীবনের কল্যাণমূলক দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন,
“নবীজির জীবন আমাদের জন্য এক আদর্শ। তাঁর দয়া, ক্ষমাশীলতা ও মানবতার শিক্ষাই আমাদের প্রকৃত পথপ্রদর্শক।”
মিলাদ মাহফিল ও দোয়া:
আলোচনা শেষে দরুদ পাঠ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে নবীজির উম্মতের শান্তি, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।
তাবারুক বিতরণ:
মাহফিল শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে তাবারুক বিতরণ করা হয়। এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আন্তরিকভাবে এই আয়োজন উপভোগ করেন।
🎉 অংশগ্রহণ:
অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, এলাকা বাসী মুরব্বিগণ, অভিভাবকগণ, শিক্ষক ও ছাত্রবৃন্দ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত সবার আন্তরিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সফল ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে সম্পন্ন হয়।
এই মহতী আয়োজন সফল করার জন্য মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ, এলাকা বাসী, বিশেষ করে জনাব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী হারুন এবং এলাকা বাসী মুরব্বিগণ-এর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো হয়।
আশা করি, আগামী দিনগুলোতেও এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে আমরা নবীজির (সাঃ) আদর্শ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে যাব।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদ্য যোগদান করা মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষক নেতারা। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সচিবালয়ের মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তারা। এ সময় অনুদানভুক্ত মাদরাসাগুলো এমপিওভুক্তির কার্যক্রম দ্রুত শেষ ও অনুদান বিহীনদের খুব দ্রুত এমপিওভুক্তির আওতায় নিয়ে আসার কথা বলা হয়।
তাছাড়া অনুদান বিহীনদের দ্রুত এমপিওভুক্তির আওতায় নিয়ে আসার ব্যাপারে সচিবের সঙ্গে আলোচনা ও আনুষ্ঠানিক সাক্ষাতের সময় চেয়ে একটি দরখাস্ত পাঠানো হয়।
শিক্ষক নেতারা বলেন, আশাকরি সচিব দরখাস্ত মঞ্জুর করে খুব শিগগিরই আলোচনার জন্য সম্মতি দেবেন।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের নতুন সচিব নিযুক্ত করা হয়। এর আগে তিনি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
সংগ্রহেঃ
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইআবি) অধিভুক্ত মাদরাসাগুলোতে এক বছর মেয়াদি কামিলের (মাস্টার্স) ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের পরীক্ষা শুরু আজ রোববার (২৪ আগস্ট)। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হবে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলবে।স্নাতকোত্তর কোর্সস্নাতকোত্তর উপাধি
আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সারাদেশের মোট ৪৯টি কেন্দ্রে এবারের পরীক্ষা হবে। এতে পাঁচটি বিষয়ে একবছর মেয়াদি (মাস্টার্স) পরীক্ষা নেওয়া হবে।
পরীক্ষার বিষয়গুলো হলো- আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়েরর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রের উপযুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চেষ্টা করছি সঠিক সময়ে পরীক্ষা শুরু ও শেষ করতে যাতে নতুন করে কোনো ধরনের সেশনজট সৃষ্টি না হয়।
সংগ্রহেঃ
উপবৃত্তি দেয়ার জন্য (ইইএসপি এমআইএস) সিস্টেমের লাইভ সার্ভারে অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের তথ্য পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় অধ্যয়নরত ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিতে নীতিগত অনুমোদন রয়েছে। অর্থ বিভাগ থেকে বাস্তবায়নাধীন আইবাস ডাবল প্লাসের মাধ্যমে জিটুপি পদ্ধতিতে উপবৃত্তি পাঠানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রধান শিক্ষকদের ইইএসপি এমআইএস সিস্টেমের লাইভ সার্ভারের https://mesp.finance.gov.bd/mesp/login লিংকে প্রবেশ করে ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে তথ্য পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
এর আগে উপবৃত্তি দিতে ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের তথ্য দেয়ার সময় ২৪ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ইইএসপি এমআইএস সিস্টেমের লাইভ সার্ভারে প্রবেশের জন্য সংযুক্ত তালিকা মোতাবেক ইউজার আইডি ও ডিফল্ট পাসওয়ার্ড (Mesp@1234) ব্যবহার করতে হবে। পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে বাধ্যতামূলক পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে এবং পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য পাসওয়ার্ড সেভ রাখতে হবে। প্রতিবার লগইনের জন্য রেজিস্টার্ড মোবাইল ফোন নম্বরে ওটিপি পাওয়া যাবে।
এনট্রিকরা শিক্ষার্থীদের তথ্য পাঠালে সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের আইডিতে জমা হবে এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তথ্য ভেরিফাই করে অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।
অনুদানভুক্ত ১৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিতে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার থেকে প্রতিষ্ঠান ভেরিফাই স্বাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে পাঠানো হবে।
সংগ্রহেঃ
২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ইলেকট্রনিক স্টুডেন্ট ইনফরমেশন ফরম (ইএসআইএফ) পূরণের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের ফের সুযোগ দেয়া হয়েছে। নতুন সূচি অনুয়ায়ী জরিমানা দিয়ে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ২১ আগস্ট থেকে ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফি জমা দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি সব মাদরাসা প্রধানকে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের বিলম্বসহ ফি সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে পরিশোধ সময়সীমা ২১ আগস্ট থেকে ১৮ সেপ্টেম্বরপর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তথ্য এন্ট্রি করা যাবে। এ সময় শুধুমাত্র বিলম্ব ফি দিয়ে নতুন শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি করতে পারবে। আগে এন্ট্রিকরা শিক্ষার্থীর কোনো তথ্য এডিট বা ডিলেট করার সুযোগ নেই ।
সংগ্রহেঃ