ফোনঃ ০১৩০৯-১৩১৫২৮, ইমেইলঃ gssdmd40@gmail.com
বিস্তারিত আসতেছে
বিস্তারিত আসতেছে
বিস্তারিত আসতেছে
“মকতব” (مكتب) শব্দটির অর্থ হলো প্রাথমিক স্তরের কোরআন ও ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্র। ঐতিহ্যগতভাবে মসজিদভিত্তিক মকতবগুলোতে শিশু-কিশোররা কোরআন শরীফ পড়া, নামাজ-কালিমা, দোয়া, আকিদা-আখলাক, আরবি হরফ চেনা ইত্যাদি প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করে। বাংলাদেশের বহু গ্রামে ভোর সকাল থেকে মকতব চালু থাকে—এটি একদিকে ধর্মীয় চর্চার সুযোগ দেয়, অন্যদিকে শৃঙ্খলিত জীবন গঠনে সহায়ক হয়।
মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক – ভোরবেলা শিশুরা মানসিকভাবে সতেজ থাকে, তাই শিখতে সুবিধা হয়।
দিনের শুরুতে আল্লাহর নাম স্মরণ – নামাজ ও কোরআন দিয়ে দিন শুরু হওয়ায় ঈমানি চেতনা জাগ্রত হয়।
শৃঙ্খলা ও নিয়মিত অভ্যাস – প্রতিদিন ভোরে মসজিদে যাওয়া শিশুদের মধ্যে সময়ানুবর্তিতা তৈরি করে।
অভিভাবক স্বস্তি পান – সন্তান ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় শিক্ষায় গড়ে উঠছে জেনে অভিভাবকের মনে নিশ্চয়তা আসে।
প্রত্যেক শিশু কোরআন পড়া ও মৌলিক ইসলামি জ্ঞান অর্জন করবে।
নামাজ, রোজা, হালাল-হারাম, আদব-কায়দা সম্পর্কে সচেতন হবে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধর্মীয় দুর্বলতা থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
সমাজে নৈতিকতা, সততা ও শিষ্টাচার বৃদ্ধি পাবে।
কিশোর অপরাধ, নেশা ও অশ্লীলতার মতো নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস পাবে।
প্রতিবেশী শিশুদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য বাড়বে।
মকতবে প্রাথমিক ইসলামি শিক্ষার পাশাপাশি অনেকে বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের বেসিক শিক্ষা দেয়—এতে শিশুরা দ্বিমুখী শিক্ষা পায়।
গ্রামের দরিদ্র শিশুরা অন্তত মৌলিক পড়াশোনার সুযোগ পায়।
প্রতিটি মসজিদ যদি কার্যকর মকতব হয়, তবে এটি একটি জাতীয় প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করবে।
সরকারি শিক্ষার চাপ কিছুটা লাঘব হবে।
ধর্মীয় চেতনা ও জাতীয় ঐক্য বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিটি মসজিদে প্রশিক্ষিত মকতব শিক্ষক নিয়োগ।
সরকারি ও বেসরকারি সমন্বয়ে পাঠ্যসূচি তৈরি।
শিশুদের উৎসাহিত করতে ছোট পুরস্কার/সার্টিফিকেট ব্যবস্থা।
অভিভাবকদের সচেতন করা যেন তারা সন্তানকে নিয়মিত পাঠায়।
শিশুর জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় হলো তার শৈশব। এই সময়ে যা শিক্ষা ও অভ্যাস দেওয়া হয়, সেটাই তার সারাজীবনের মূল ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়। তাই ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় শিশুদের গড়ে তোলা প্রতিটি অভিভাবকের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনের উত্তম জায়গা হলো আমাদের মসজিদভিত্তিক মকতব ব্যবস্থা।
গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিয়মিত মকতব চালু রয়েছে, যেখানে শিশুরা ভোর সকালে এসে কোরআন শিক্ষা, নামাজ-কালিমা, দোয়া, নৈতিক শিক্ষা ও প্রাথমিক ইসলামি জ্ঞান অর্জন করছে।
ধর্মীয় শিক্ষায় ভিত্তি – শিশুরা কোরআন পড়া, নামাজ শেখা, ইসলামের মূলনীতি ও হালাল-হারাম সম্পর্কে জানে।
নৈতিক চরিত্র গঠন – ছোটবেলা থেকেই সততা, শিষ্টাচার, বয়োজ্যেষ্ঠের প্রতি সম্মান শেখে।
ভোরবেলার অভ্যাস – নিয়মিত ভোরে উঠা, সময় মেনে পড়াশোনা করা শিশুদের মধ্যে শৃঙ্খলা আনে।
অপরাধ থেকে সুরক্ষা – ধর্মীয় শিক্ষায় বেড়ে উঠা শিশু সমাজের নেতিবাচক প্রভাব যেমন—নেশা, অশ্লীলতা, অপরাধ—থেকে দূরে থাকে।
অভিভাবকের স্বস্তি – অভিভাবকরা নিশ্চিন্ত থাকেন, সন্তান সঠিক পথে গড়ে উঠছে।
কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি দোয়া, কালিমা ও নামাজের নিয়ম শেখানো হয়।
প্রতিদিন ভোর বেলা নিয়মিত ক্লাস হয়।
অভিজ্ঞ ও যোগ্য শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করা হয়।
শিশুদের ভালোভাবে শেখার জন্য ধৈর্য, আন্তরিকতা ও স্নেহের পরিবেশ বজায় থাকে।
দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ যত্নের ব্যবস্থা আছে।
প্রিয় অভিভাবকবৃন্দ, মনে রাখবেন—
আজকের শিশু আগামী দিনের সমাজ ও জাতির ভবিষ্যৎ।
আপনার সন্তান যদি ছোটবেলা থেকেই কোরআন, নামাজ ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়, তবে সে যেমন একজন ভালো মানুষ হবে, তেমনি সমাজের জন্যও সম্পদ হয়ে উঠবে।
তাই আপনার সন্তানদের ভোর সকালে নিয়মিত গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার মকতবে পাঠান।
ভোর সকালে মসজিদভিত্তিক মকতব শিক্ষা চালু থাকলে বাংলাদেশের প্রতিটি মসজিদ শুধু নামাজ পড়ার স্থান নয়, বরং একটি শিক্ষাকেন্দ্র, নৈতিকতার কারখানা ও সমাজ সংস্কারের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে ধর্মীয় জ্ঞানসম্পন্ন, নৈতিকভাবে দৃঢ় এবং সুস্থ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।
একজন শিক্ষিত, নৈতিক ও ঈমানদার প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য মকতবের বিকল্প নেই। গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা এই দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। আসুন, আমরা সকলে সন্তানদের নিয়মিত মকতবে পাঠাই, যাতে তারা আলোকিত মানুষ হয়ে সমাজ, দেশ ও ইসলামের সেবা করতে পারে।