ফোনঃ ০১৩০৯-১৩১৫২৮, ইমেইলঃ gssdmd40@gmail.com
অবশ্যই! স্কুলের হোমওয়ার্ক করা শুধু কাজ শেষ করার বিষয় নয় — এটি শেখার প্রক্রিয়াকে গভীর ও টেকসই করার একটি সুযোগ। নিচে বিজ্ঞানসম্মত তত্ত্ব (Scientific Theories) এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা (Real-life Examples) দিয়ে হোমওয়ার্ক করার সঠিক পদ্ধতি তুলে ধরা হলো:
বাইরের পরিবেশ শেখাকে প্রভাবিত করে।
বৈজ্ঞানিক ভিত্তি:
Urie Bronfenbrenner-এর তত্ত্ব অনুযায়ী, শিশুর শেখা তার পরিবেশ (ঘর, আলো, শব্দ, পরিবার) দ্বারা প্রভাবিত হয়।
বাস্তব উদাহরণ:
রিয়াদ (ক্লাস ৮) প্রথমে টিভির পাশে বসে হোমওয়ার্ক করত। ফলাফল: ভুল বেশি, মনোযোগ কম। পরে সে নিজের রুমে, টেবিলে বসে, মোবাইল বন্ধ রেখে কাজ শুরু করল — ফলাফল ২ সপ্তাহের মধ্যে ৩০% উন্নতি!
করণীয়:
শান্ত, আলো-বাতাস ঠিক জায়গা বাছুন
মোবাইল/টিভি দূরে রাখুন
নির্দিষ্ট সময়ে (যেমন: বিকাল ৪-৬টা) হোমওয়ার্কের অভ্যাস গড়ে তুলুন
মস্তিষ্ক ২৫-৩০ মিনিট পরপর বিরতি চায়।
বৈজ্ঞানিক ভিত্তি:
মানুষের ফোকাসড অ্যাটেনশন স্প্যান ২৫-৩০ মিনিটের বেশি টিকে না (Cognitive Load Theory)।
বাস্তব উদাহরণ:
আরিফ (ক্লাস ৯) এক বসে ২ ঘণ্টা পড়াশোনা করত, কিন্তু শেষে মনে হতো কিছুই মনে নেই। পোমোডোরো পদ্ধতি (২৫ মিনিট কাজ + ৫ মিনিট বিরতি) চালু করার পর সে বুঝতে পারল — মনোযোগ বেড়েছে, ক্লান্তি কমেছে।
করণীয়:
২৫ মিনিট কাজ → ৫ মিনিট বিরতি (৪ সেটের পর ২০-৩০ মিনিট বিরতি)
টাইমার ব্যবহার করুন (Forest, Focus To-Do অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন)
যা মনে রাখতে চান, তা মনে করার চেষ্টা করুন — দেখার চেয়ে বেশি কার্যকর।
বৈজ্ঞানিক ভিত্তি:
Robert Bjork-এর “Desirable Difficulties” তত্ত্ব বলে — যত বেশি মস্তিষ্ককে “মনে করতে” বাধ্য করবেন, তত বেশি দীর্ঘমেয়াদে মনে থাকবে।
বাস্তব উদাহরণ:
সুমাইয়া (ক্লাস ১০) গণিতের সূত্রগুলো বারবার পড়ত। কিন্তু পরীক্ষায় ভুলে যেত। পরে সে প্রতিটি সূত্র বন্ধ করে মনে করার চেষ্টা করল — ফলাফল: পরীক্ষায় ৯২%!
করণীয়:
বই বন্ধ করে প্রশ্নের উত্তর মনে করুন
ফ্ল্যাশকার্ড ব্যবহার করুন (Anki বা হাতে লেখা)
নিজেকে কুইজ করুন
ভুলে যাওয়ার আগেই রিভাইজ করুন।
বৈজ্ঞানিক ভিত্তি:
Hermann Ebbinghaus-এর “Forgetting Curve” বলে — ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭০% তথ্য ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু রিভাইজ করলে স্মৃতিতে আটকে যায়।
বাস্তব উদাহরণ:
তানভীর (ক্লাস ৭) শুধু পরীক্ষার আগের দিন পড়ত। এখন সে প্রতি ২ দিন পরপর ছোট রিভাইজ করে — ফলাফল: প্রথম পরীক্ষায়ই A+!
করণীয়:
হোমওয়ার্ক শেষে পরের দিন সংক্ষেপে রিভাইজ করুন
৩ দিন, ৭ দিন, ১৫ দিন পর আবার দেখুন
Google Calendar বা Notion-এ রিমাইন্ডার সেট করুন
শুধু মুখস্থ নয় — ব্যাখ্যা করুন, সংযোগ করুন।
বৈজ্ঞানিক ভিত্তি:
গভীরভাবে প্রসেস করা তথ্য (যেমন: উদাহরণ দেওয়া, নিজের কথায় বলা) দীর্ঘমেয়াদে মনে থাকে।
বাস্তব উদাহরণ:
জারা (ক্লাস ৬) ইংরেজি শব্দ মুখস্থ করত। এখন সে প্রতিটি শব্দের বাক্য বানায়, ছবি আঁকে, গল্প তৈরি করে — শব্দগুলো এখন সহজেই মনে পড়ে!
করণীয়:
নতুন তথ্যকে নিজের জীবন/অভিজ্ঞতার সাথে যুক্ত করুন
“কেন?” “কীভাবে?” — প্রশ্ন করুন
ছোট ভাই/বোনকে শেখান — এটি সবচেয়ে শক্তিশালী শেখার পদ্ধতি!
ভুল হলে হতাশ হবেন না — এটা শেখার অংশ।
বৈজ্ঞানিক ভিত্তি:
Carol Dweck প্রমাণ করেছেন — যারা মনে করে “আমি শিখতে পারি”, তারা বেশি সফল হয়।
বাস্তব উদাহরণ:
আদনান (ক্লাস ৮) গণিতে ভুল হলে বই ছুঁড়ে ফেলত। এখন সে বলে — “ভুল থেকে শিখব!” — এবং প্রতিটি ভুলের কারণ খুঁজে বার করে। ফলাফল: গণিতে গ্রেড উঠেছে C থেকে A-!
করণীয়:
ভুলকে “ফিডব্যাক” হিসেবে নিন
“আমি পারব না” — এই কথা এড়িয়ে চলুন
প্রতিদিন ১টি ভুল বুঝে শুধরে নিন
নিজের শেখার প্রক্রিয়া নিয়ে চিন্তা করুন।
বৈজ্ঞানিক ভিত্তি:
John Flavell বলেছেন — যারা নিজেদের শেখা নিয়ে চিন্তা করে (কী জানি, কী জানি না, কীভাবে শিখব), তারা বেশি কার্যকর শেখে।
বাস্তব উদাহরণ:
প্রিয়া (ক্লাস ৯) হোমওয়ার্ক শেষে লিখে — “আজ কী শিখলাম? কোন অংশে সমস্যা হলো? কাল কী করব?” — এই অভ্যাস তাকে টপার বানিয়েছে!
করণীয়:
প্রতিদিন ৫ মিনিট “রিফ্লেকশন জার্নাল” লিখুন
পরের দিনের প্ল্যান আগে থেকে করুন
শেখার স্টাইল চেনার চেষ্টা করুন (ভিজ্যুয়াল? অডিটরি? কাইনেস্থেটিক?)
পরিবেশ > ইচ্ছা — আগে জায়গা ঠিক করুন
সময় নিয়ন্ত্রণ > লম্বা সময় — পোমোডোরো ব্যবহার করুন
মনে করুন > দেখুন — অ্যাকটিভ রিকল চালু করুন
ভুলে যাওয়ার আগে রিভাইজ করুন — স্পেসড রিপিটিশন
গভীরে যান > উপরে থাকবেন না — এলাবোরেশন
ভুল = শেখার সুযোগ — গ্রোথ মাইন্ডসেট
প্রতিদিন নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন — মেটাকগনিশন
নিচে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণির জন্য একটি কাস্টমাইজড, বৈজ্ঞানিকভাবে গঠিত, দৈনিক ৮ বিষয়ের হোমওয়ার্ক প্ল্যান দেওয়া হলো। প্রতিটি প্ল্যান:
✅ বয়স ও মানসিক ক্ষমতা অনুযায়ী
✅ পোমোডোরো + স্পেসড রিপিটিশন + অ্যাকটিভ রিকল সমন্বিত
✅ প্রতিদিন ৮ বিষয় — সময় বণ্টন সহ
✅ বাস্তব অভিজ্ঞতা ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণ
⏰ মোট সময়: ২.৫ - ৩.৫ ঘণ্টা (শ্রেণি অনুযায়ী)
🧠 প্রতি বিষয়ে ২০-৩০ মিনিট (ছোটদের জন্য ১৫-২০ মিনিট)
🧩 বিষয়গুলো: বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান/পরিবেশ, ধর্ম/নৈতিক, সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, আর্ট/ক্রিয়েটিভিটি
“২ মিনিট রুল” — হোমওয়ার্ক শুরুর আগে ২ মিনিট গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিন — ফোকাস বাড়বে।
“ফোন = ফ্লাই মোড” — হোমওয়ার্কের সময় ফোন বন্ধ বা ফ্লাই মোডে রাখুন।
“পেয়ার টিচিং” — ভাই/বোন/বন্ধুকে শেখান — ৯০% শেখা নিশ্চিত!
“গ্রিন পেন রিভিশন” — ভুল কালো/লাল কলমে, শুধরানো সবুজ কলমে — মস্তিষ্ক পজিটিভলি রেসপন্ড করে!
“গ্রোথ জার্নাল” — প্রতিদিন লিখুন: “আজ আমি যা শিখলাম, তা আমার জীবনে কীভাবে কাজে লাগবে?”
🌱 “শিক্ষা হলো সেই মশাল যা অন্ধকারে পথ দেখায় — হোমওয়ার্ক হলো সেই পথে প্রতিদিনের পদক্ষেপ।”
হোমওয়ার্ক কেবল শিক্ষকের জন্য নয় — এটি আপনার মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করার জিম! প্রতিদিন একটু করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করলে, পরীক্ষার দিনে আপনি প্রস্তুত থাকবেন — চাপ ছাড়াই!
“শেখা মানে শুধু জানা নয় — শেখা মানে নিজেকে বদলানো।” — কার্ল রজার্স
সহ সুপার মহোদয়
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্মদিন পালনের বিষয়টি ইসলামী শরিয়তের আলোকে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়। নিচে কুরআন ও হাদিসের আলোকে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হলো।
"মিলাদ" শব্দটি এসেছে আরবি "মাওলিদ" থেকে, যার অর্থ জন্ম। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বলতে বোঝায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিন উদযাপন।
বেশিরভাগ ইতিহাসবিদের মতে, রাসূল (সা.) জন্মগ্রহণ করেন ১২ রবিউল আউয়াল, তবে মৃত্যুও হয় এই দিনেই।
✅ কুরআনের আলোকে:
1. স্মরণ করার অনুমতি:
“আর তুমি তাদেরকে আল্লাহর দিনগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দাও।”
— (সূরা ইবরাহীম: ৫)
ব্যাখ্যা: আল্লাহর দিন বলতে সেই সকল দিন বোঝানো হয়, যেদিন কোনো মহান নিয়ামত নাজিল হয়েছে। রাসুল (সা.)-এর আগমন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নিয়ামত।
2. নবীজির আগমন রহমত:
“আমি তোমাকে (হে মুহাম্মদ) গোটা জাহানের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।”
— (সূরা আম্বিয়া: ১০৭)
ব্যাখ্যা: এই আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, রাসুল (সা.)-এর জন্ম এবং আগমন মানবজাতির জন্য আল্লাহর এক মহা রহমত। এ কারণেই কেউ কেউ তাঁর আগমনের দিনকে স্মরণ করে শুকরিয়া আদায় করেন।
✅ হাদীসের আলোকে:
1. রাসুল (সা.) নিজেই তাঁর জন্মদিনের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন:
“এই সোমবারে আমি রোযা রাখি, কারণ এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনে আমার প্রতি ওহি নাযিল হয়েছে।”
— (সহীহ মুসলিম: ১১৬২)
ব্যাখ্যা: রাসুল (সা.) জন্মদিন স্মরণ করে রোযা রেখেছেন। এটি জন্মদিনের গুরুত্ব ও স্মরণ করার একটি ইঙ্গিত।
যারা বিরোধিতা করেন তাদের যুক্তি:
1. রাসুল (সা.) ও সাহাবীরা পালন করেননি।
- রাসুল (সা.), খোলাফায়ে রাশেদীন, সাহাবা ও তাবেঈন যুগে এই দিবস উদযাপনের কোনো প্রমাণ নেই।
2. তিনটি ঈদ শরিয়ত স্বীকৃত:
- ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও সাপ্তাহিক ঈদ (জুমআ)। এর বাইরে অন্য কোনো ঈদ উদযাপন শরিয়ত সম্মত নয়।
3. বিদআত (নবউদ্ভাবিত বিষয়):
- রাসুল (সা.) বলেছেন:
“যে কেউ আমার এই শরিয়তে এমন কোনো নতুন বিষয় সংযুক্ত করলো, যা এর মধ্যে নেই — তা প্রত্যাখ্যাত।”
— (সহীহ বুখারী: ২৬৯৭)
1. নবীজির জন্ম দিবস স্মরণ করা গুনাহ নয়, বরং ভাল কাজ যদি শরিয়তের সীমায় হয়।
2. ইবাদতের নিয়ত না করে, শ্রদ্ধা, দোয়া, সীরাত পাঠ ও দান-সদকার মাধ্যমে উদযাপন করলেই তা বিদআত নয়।
3. অনেকে এই দিনে কুরআন তিলাওয়াত, দরূদ পাঠ, নফল রোযা, মিলাদ মাহফিল, গরীব feeding ইত্যাদি করেন। এগুলো স্বাভাবিক আমল, যেগুলো অন্য দিনেও করা যায়।
📌 উপসংহার:
- ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর দিবস স্মরণ করে যদি কেউ নবীর জীবনী চর্চা, শোকরিয়া আদায়, ইসলামের প্রতি ভালোবাসা এবং সুন্নাহ অনুসরণে উদ্বুদ্ধ হয়, তবে এতে কোনো দোষ নেই — যদি তা শরিয়তবিরোধী কাজ মুক্ত থাকে।
- তবে, একে আনুষ্ঠানিক ঈদ হিসেবে উদযাপন করা এবং তা বাধ্যতামূলক মনে করা বিদআত হিসেবে গণ্য হবে।
- নবীজির প্রতি ভালোবাসা দেখাতে হলে:
- তাঁর সুন্নাহ অনুসরণ করুন
- দুরুদ পাঠ করুন
- জীবনী অধ্যয়ন করুন
- চরিত্র ও আদর্শ জীবনে বাস্তবায়ন করুন
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ ও আমলের তাওফিক দিন। আমিন।
صلّى الله عليه وسلم
সুপার মহোদয়
"ঈদে মিলাদুন্নবী" সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
__
(1)
"পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী" তথা নবীজির শুভাগমনে আনন্দ প্রকাশ করার বিধানঃ
==
আল্লাহপাক ইরশাদ করেন-
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا،
অর্থঃ হে মুহাম্মদ দঃ আপনি বলুন, আল্লাহর "ফযল" ও "রহমত" উভয়টি পেয়ে তারা যেন অবশ্যই আনন্দ প্রকাশ করে৷
সূত্রঃ সূরা- ইউনুস, আয়াত নং- 58,
অত্র আয়াতের তাফসীরঃ-
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي الآيَةِ قَالَ: فَضْلُ اللهِ العِلْمُ، وَرَحْمَتُهُ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ اللهُ تَعَالَى: وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ (الأنبياء - ١٠٧).
অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ হতে অত্র আয়াত সম্পর্কে বর্ণিত, তিনি বলেন- "আল্লাহর অনুগ্রহ" তথা "ফদ্বল" দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- ইলম তথা জ্ঞান৷ আর "তার দয়া" তথা "রহমত" দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- মুুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম৷ আল্লাহপাক ইরশাদ করেন- "আর আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি৷ (সূরা- আম্বিয়া, আয়াত নং-107)
المَصَادِرُ:
١- تَفْسِيرُ زَادِ الْمَسِيرِ، العَلَّامَةُ ابْنُ الجَوْزِيِّ، وَفَاتُهُ: ٥٩٧هـ، سُورَةُ يُونُس، الآيَةُ: ٥٨.
٢- تَفْسِيرُ بَحْرِ الْمُحِيطِ، عَلِيُّ بْنُ حَيَّانَ الأَنْدَلُسِيُّ، مِيلَادُهُ: ٦٥٤هـ، سُورَةُ يُونُس، الآيَةُ: ٥٨.
٣- تَفْسِيرُ مَجْمَعِ الْبَيَانِ، الإِمَامُ الطَّبْرِسِيُّ، وَفَاتُهُ: ٥٤٨هـ، سُورَةُ يُونُس، الآيَةُ: ٥٨.
٤- تَفْسِيرُ الدُّرِّ الْمَنْثُورِ، الإِمَامُ جَلَالُ الدِّينِ السُّيُوطِيُّ، وَفَاتُهُ: ٩١١هـ، سُورَةُ يُونُس، الآيَةُ: ٥٨.
٥- تَفْسِيرُ رُوحِ الْمَعَانِي، العَلَّامَةُ مَحْمُودُ الأَلُوسِيُّ الْبَغْدَادِيُّ، سُورَةُ يُونُس، الآيَةُ: ٥٨.
সূত্রঃ
1• তাফসীরে যাদুল মাসীর, আল্লামা ইবনে জাওযী, ওফাত-597 হিজরী, সূরা- ইউনুস, আয়াত নং- 58,
2• তাফসীরে বাহরুল মুহীত, আলী ইবনে হায়্যান আন্দুলুসী, জন্ম-654 হিজরী, সূরা- ইউনুস, আয়াত নং- 58,
3• তাফসীরে মাজমাউল বয়ান, ইমাম তিবরিসী, ওফাত-548 হিজরী, সূরা- ইউনুস, আয়াত নং- 58,
4• তাফসীরে দুররে মানসূর, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, ওফাত-911 হিজরী, সূরা- ইউনুস, আয়াত নং- 58,
5• তাফসীরে রুহুল মায়ানী, আল্লামা মাহমুদ আলুসী বাগদাদী, সূরা- ইউনুস, আয়াত নং- 58,
•
রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর "মিলাদ" তথা শুভাগমন এর দিন আমাদের নিকট সবচেয়ে আনন্দের দিন৷ কেননা উনার উসিলাতেই এ দুনিয়াতে আমাদের অস্তিত্ব৷ সুতরাং এই নবীর "মিলাদ" তথা শুভাগমনের চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে?
নবীজিকে আল্লাহপাক সৃষ্টি না করলে কোন কিছুই সৃষ্টি হতো না, এমনকি আমাদের আদি পিতা আদম আঃ ও সৃষ্টি হতেন না৷ যেমন-
হযরত আদম আঃ সাড়ে তিন শত বৎসর কান্না-কাটি করে যখন মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উসিলা নিয়ে দোয়া করলেন, তখন আল্লাহপাক বললেন
-
"
صَدَقْتَ يَا آدَمُ! إِنَّهُ لَأَحَبُّ الْخَلْقِ إِلَيَّ، ادْعُنِي بِحَقِّهِ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكَ، وَلَوْلَا مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُكَ.
অর্থাৎ হে আদম আঃ! তুমি ঠিক বলেছো, নিশ্চয়ই তিনি সৃষ্টি জগতের মধ্যে আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয়৷ তুমি তার উসিলা ধরে আমার নিকট দোয়া করেছো, তাই তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম৷ আর "যদি মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে তোমাকেও সৃষ্টি করতাম না৷
سُبْرٌ:
١• الْمُسْتَدْرَكُ، إِمَامُ الْحَاكِمِ النِّيشَابُورِيِّ، ٢/٦١٥،
٢• تَارِيخُ مَدِينَةِ دِمَشْقَ، ابْنُ أَسَاكِرَ، ٧/٤٣٧،
٣• مُعْجَمُ الْأَوْسَاطِ، إِمَامُ الطَّبَرَانِيِّ، ٦/٣١٣، حَدِيثٌ نُمْرَةُ ٦٥٠٢،
٤• مُعْجَمُ الصَّغِيرِ، إِمَامُ الطَّبَرَانِيِّ، ٢/١٨٢، حَدِيثٌ نُمْرَةُ ٩٩٢،
٥• دَلَائِلُ النُّبُوَّةِ، إِمَامُ الْبَيْهَقِيِّ، ٥/٤٨٩،
٦• مَجْمُوعُ الزَّوَائِدِ، ابْنُ حَجَرٍ الْحَيْثَامِيِّ، ٨/٢٥٣،
٧• كَنْزُ الْعُمَّالِ، إِمَامُ الْمُتَّقِي الْهِنْدِيِّ، ١١/٤٥٥، حَدِيثٌ نُمْرَةُ ٣٢١٣٨،
٨• الْبِدَايَةُ وَالنِّهَايَةُ، ابْنُ كَثِيرٍ، ١/١٠٣، ٣/١٧، ٦/٢٧٥،
٩• سِيرَةُ الْحَلْبِيِّ، بَدْرُ الدِّينِ الْحَلْبِيِّ الشَّافِعِيُّ، ١/٣١٥،
١٠• شِفَاءُ السِّقَامِ، إِمَامُ التَّقِيُّ الدِّينِ السُّبُكِيُّ، ١/١٢٠،
١١• مَوَاهِبُ اللَّدُنِّيَّةِ شَرْحُ الْبُخَارِيِّ، إِمَامُ الْكُسْطُلَانِيِّ، ١/١٦٥،
١٢• أَفْعَالُ الْأَفْعَالِ، إِمَامُ الشَّامْهُودِيِّ، ٢/٤١٩،
١٣• خَصَائِصُ الْكُبْرَى، إِمَامُ جَلَالُ الدِّينِ السُّيُوتِيِّ، ١/٨،
١٤• كَشْفُ الْخِفَا، عَلَّامَةُ أَزْلُونِيِّ، ١/٤٦، ٢/٢١٤،
١٥• تَفْسِيرُ دُرَرِ الْمَنْصُورِ، إِمَامُ السُّيُوتِيِّ، ١/٥٨،
١٦• تَفْسِيرُ رُوحِ الْبَيَانِ، عَلَّامَةُ إِسْمَاعِيلِ حَقِّيِّ، سُورَةُ الْمَائِدَةِ، آيَةُ نُمْرَةُ ١٥،
١٧• تَفْسِيرُ عَزِيزِيٍّ، الشَّيْخُ عَبْدُ الْعَزِيزِ الْمُحَدِّثُ الدَّهْلَوِيُّ، ١/١٨٣،
١٨• قَصَصُ الْأَنْبِيَاءِ، ابْنُ كَثِيرٍ، صَفْحَةُ ٤٦،
١٩• نَصْرُ التَّوِيبِ، أَشْرَفُ عَلِيِّ الثَّانَوِيُّ، صَفْحَةُ ٢٨،
٢٠• فَضَائِلُ الْأَعْمَالِ (تَبْلِيغِي نِسَابٌ)، زَكَرِيَّا صَهَارَنْبُورِيٌّ، صَفْحَةُ ٣٧٠،
সূত্রঃ
1• আল মুস্তাদরাক, ইমাম হাকেম নিশাপুরী, 2/615,
2• তারীখে মদীনাতু দামেশক, ইবনে আসাকির, 7/437,
3• মু'জামুল আওসাত, ইমাম তাবরানী, 6/313, হাদিস নং- 6502,
4• মু'জামুস সগীর, ইমাম তাবরানী, 2/182, হাদিস নং- 992,
5• দালায়েলুন নবুয়ত, ইমাম বায়হাকী, 5/489,
6• মাজমাউয যাওয়াইদ, ইবনে হাজর হায়ছামী, 8/253,
7• কানযুল উম্মাল, ইমাম মুত্তাকী হিন্দী, 11/455, হাদিস নং- 32138,
8• আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ইবনে কাছীর, 1/103, 3/17, 6/275,
9• সীরাতে হালবিয়া, বদরুদ্দীন হালবী শাফেয়ী, 1/315,
10• শিফাউস সিকাম, ইমাম তকীউদ্দীন সুবুকী, 1/120,
11• মাওয়াহেবে লাদুনিয়া শরহে বুখারী, ইমাম কুস্তুলানী, 1/165,
12• অফাউল অফা, ইমাম শামহুদী, 2/419,
13• খাসায়েসুল কুবরা, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, 1/8,
14• কাশফুল খফা, আল্লামা আজলুনী, 1/46, 2/214,
15• তাফসীরে দুররে মানসূর, ইমাম সুয়ূতী, 1/58,
16• তাফসীরে রুহুল বয়ান, আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী, সূরা- মায়েদা, আয়াত নং- 15,
17• তাফসীরে আযীযী, শাহ আব্দুল আযীয মোহাদ্দিসে দেহলভী, 1/183,
18• কাসাসুল আম্বিয়া, ইবনে কাছীর, পৃষ্ঠা-46,
19• নশরুত ত্বীব, আশরাফ আলী থানভী, পৃষ্ঠা- 28,
20• ফাজায়েলে আমাল (তাবলীগী নিসাব), জাকারিয়া সাহারানপুরী, পৃষ্ঠা- 370,
•
নবীজির মিলাদ তথা শুভাগমনের বৎসর 570 ঈসায়ী সনের নাম " সজীব সঞ্জীবনী ও আনন্দের" বৎসরঃ
==
وَكَانَتْ قُرَيْشٌ فِي جَدْبٍ شَدِيدٍ، وَضِيقٍ عَظِيمٍ، فَاخْضَرَّتِ الأَرْضُ، وَحَمَلَتِ الأَشْجَارُ، وَأَتَاهُمُ الرِّفْدُ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، فَسُمِّيَتْ تِلْكَ السَّنَةُ الَّتِي حُمِلَ فِيهَا بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "سَنَةَ الْفَتْحِ وَالِابْتِهَاجِ".
অর্থঃ কোরাইশরা (নবীজি আগমনের পুর্বে) প্রচন্ড খরা ও বিরাট সংকটে ছিল৷ অতঃপর জমীন সবুজ হয়ে গেল এবং গাছ-পালা ফুল-ফলে ভরে গেল৷ আর সর্বদিক হতে তাদের নিকট সচ্ছলতা আসতে লাগল৷ সুতরাং যে বৎসর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুভাগমন করেছেন সে বৎসরের নামকরণ করলেন " সানাতুল ফাতহি ওয়াল ইবতিহাজ" অর্থাৎ "সজীব সঞ্জীবনী ও আনন্দের বৎসর"৷
المصادر:
1• المَوَاهِبُ اللَّدُنِّيَّةُ شَرْحُ صَحِيحِ البُخَارِي، للإِمَامِ شِهَابِ الدِّينِ القُسْطُلَّانِي، ١/١١٩
2• الجُرْكَانِي الشَّرِيف، للإِمَامِ الجُرْكَانِي، ١/١٩٧
3• مَا ثَبَتَ بِالسُّنَّةِ، للشَّيْخِ عَبْدِ الحَقِّ المُحَدِّثِ الدِّهْلَوِي، صَفْحَة: ٦٧
4• الدُّرُّ النَّعِيم، للإِمَامِ ابْنِ حَاتِم، صَفْحَة: ٦٢
5• بِحَارُ الأَنْوَار، لِلعَلَّامَةِ المَجْلِسِي، ١٥/٢٩٦
সূত্রঃ
1• মাওয়াহেবে লাদুনিয়া শরহে বুখারী, ইমাম শিহাবুদ্দীন কুস্তুলানী, 1/119,
2• জুরকানী শরীফ, ইমাম জুরকানী, 1/197,
3• মাছাবাতা বিস সুন্নাহ, শায়েখ আব্দুল হক মোহাদ্দেসে দেহলভী, পৃষ্ঠা-67,
4• আদ দুররুন নায়ীম, ইমাম ইবনে হাতিম, পৃষ্ঠা-62,
5• বিহারুল আনোয়ার, আল্লামা মাজলিসী, 15/296
,
•
নবীজির "মিলাদ" তথা শুভাগমনে আনন্দ প্রকাশ করার জন্য কাফেরকেও কবরে পুরস্কার
প্রদান করার হয়৷
=
قَالَ أَبُو لَهَبٍ: لِمَ أَلْقَى بَعْدَكُمْ غَيْرَ أَنِّي سَقَيْتُ فِي هَذِهِ بِعْتَاقِي ثَوْيَبَةَ،
অর্থঃ আবু লাহাব (স্বপ্নযোগে হযরত আব্বাস রাঃ কে) বলে-"তোমাদেরকে ছেড়ে আসার পর শান্তি পাইনি, তবে এ আঙ্গুলের মাধ্যমে (প্রতি সোমবার দিন) সুমিষ্ট পানীয় পান করি৷ এটা দিয়ে (নবীজির মিলাদুন্নবীতে খুশি হয়ে) সুওয়াইবাকে আজাদ করার জন্য৷
সূত্রঃ
সহীহ বুখারী শরীফ, ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী, খন্ড-2, পৃষ্ঠা-764, হাদিস নং-5101,
•
হিজরী নবম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহঃ (ওফাত-911 হিজরী) বলেন-
بالطبع، إليك النص مُشكّلًا:
رَأَيْتُ إِمَامَ القُرَّاءِ الحَافِظَ شَمْسَ الدِّينِ ابْنَ الجَزَرِيِّ قَالَ فِي كِتَابِهِ المُسَمَّى "عَرْفُ التَّعْرِيفِ بِالمَوْلِدِ الشَّرِيفِ" مَا نَصُّهُ:
قَدْ رُؤِيَ أَبُو لَهَبٍ بَعْدَ مَوْتِهِ فِي النَّوْمِ، فَقِيلَ لَهُ: مَا حَالُكَ؟ فَقَالَ: فِي النَّارِ، إِلَّا أَنَّهُ يُخَفَّفُ عَنِّي كُلَّ لَيْلَةِ اثْنَيْنِ، وَأَمُصُّ مِنْ بَيْنِ أُصْبُعَيَّ مَاءً بِقَدْرِ هٰذَا - وَأَشَارَ إِلَى رَأْسِ أُصْبُعِهِ -، وَأَنَّ ذٰلِكَ بِعِتْقِي لِثُوَيْبَةَ عِنْدَمَا بَشَّرَتْنِي بِوِلَادَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبِإِرْضَاعِهَا لَهُ.
فَإِذَا كَانَ أَبُو لَهَبٍ الكَافِرَ الَّذِي نَزَلَ القُرْآنُ بِذَمِّهِ، جُوزِيَ فِي النَّارِ بِفَرَحِهِ لَيْلَةَ مَوْلِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَا حَالُ المُسْلِمِ المُوَحِّدِ مِنْ أُمَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَسُرُّ بِمَوْلِدِهِ، وَيَبْذُلُ مَا تَصِلُ إِلَيْهِ قُدْرَتُهُ فِي مَحَبَّتِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟
لَعَمْرِي، إِنَّمَا يَكُونُ جَزَاؤُهُ مِنَ اللهِ الكَرِيمِ أَنْ يُدْخِلَهُ بِفَضْلِهِ جَنَّاتِ النَّعِيمِ.
*
অর্থঃ "আরফুত তা'রীফ বিল মাওলিদিশ শরীফ" নামক কিতাবে " ইমামুল কুররা হাফিজ শামসুদ্দীন ইবনুল জাযরীকে" বলতে দেখেছি৷ যার ভাষ্য হল: মৃত্যুর পর স্বপ্নযোগে আবু লাহাব থেকে বর্ণিত, তাকে বলা হল: তোমার অবস্থা কেমন? তখন সে বলল: জাহান্নামে রয়েছি৷ তবে প্রতি সোমবার দিন আমার আজাব হাল্কা করা হয় এবং দুই আঙ্গুলের মধ্যবর্তী স্থান থেকে এ পরিমাণ পানীয় পান করি৷ আর তিনি তার আঙ্গুলের অগ্রভাগে ইশারা করলেন৷ নিশ্চয়ই এটা সুওয়াইবাকে আজাদ করার জন্য, যখন সে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মের আনন্দের সংবাদ আমাকে দিয়েছিল এবং সে নবীজিকে দুধ পান করিয়েছিল৷ সুতরাং যখন আবু লাহাব কাট্টা কাফের যার নিন্দায় কুরআন শরীফের আয়াত নাযিল হয়েছে৷ তাকে নবীজির মিলাদুন্নবীর রজনীতে খুশি হওয়ার জন্য জাহান্নামেও পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে৷ তখন নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মতের কোন মুসলমান যদি "মিলাদুন্নবীতে" আনন্দ প্রকাশ করে এবং তার সাধ্যানুযায়ী রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মুহাব্বাতে টাকা-পয়সা খরচ করে তাহলে তার অবস্থা কিরূপ হবে? আমার জিন্দিগীর কসম! আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে একমাত্র তার পুরস্কার হল- আল্লাহর অনুগ্রহে তাকে জান্নাতুন নায়ীম তথা নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন৷
وَقَالَ الحَافِظُ شَمْسُ الدِّينِ ابْنُ نَاصِرِ الدِّينِ الدِّمَشْقِيُّ فِي كِتَابِهِ المُسَمَّى "مَوْرِدُ الصَّادِي فِي مَوْلِدِ الهَادِي":*
قَدْ صَحَّ أَنَّ أَبَا لَهَبٍ يُخَفَّفُ عَنْهُ عَذَابُ النَّارِ فِي مِثْلِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ، لِعِتْقِهِ ثُوَيْبَةَ سُرُورًا بِمِيلَادِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
ثُمَّ أَنْشَدَ:
إِذَا كَانَ هٰذَا كَافِرًا جَاءَ ذَمُّهُ تَبَّتْ يَدَاهُ فِي الجَحِيمِ مُخَلَّدَا
أَتَى أَنَّهُ فِي يَوْمِ الِاثْنَيْنِ دَائِمًا يُخَفَّفُ عَنْهُ لِلسُّرُورِ بِأَحْمَدَا
فَمَا الظَّنُّ بِالعَبْدِ الَّذِي طُولَ عُمْرِهِ *** بِأَحْمَدَ مَسْرُورًا وَمَاتَ مُوَحِّدَا؟
আর হাফিজ শামসুদ্দীন ইবনে নাসিরুদ্দীন দামেশকী রহঃ তার "মাওরিদুস সাদি ফি মাওলিদিন্নবী" নামক কিতাবে বলেন: সহীহ বর্ণনায় এসেছে যে, নিশ্চয়ই নবীজির মিলাদুন্নীতে খুশি হয়ে সুওয়াইবাকে আজাদ করে দেয়ার জন্য আবু লাহাবকে প্রতি সোমবার দিন জাহান্মামের আজাব হাল্কা করা হয়৷ অতঃপর তিনি আবৃতি করেন-
"যখন এ কাফির যার নিন্দায় এসেছে
'তার দু-হাত ধ্বংশ হোক' যে চিরস্থায়ী জাহান্নামী,
সর্বদাই সোমবার দিন যার নিকট (সুমিষ্ট পানীয়) আনা হয়,
আহমদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মে খুশি হওয়ার জন্য জাহান্নামের আযাব হাল্কা করা হয়৷
সুতরাং ঐ বান্দার জন্য কি ধারনা থাকতে পারে? যাকে আল্লাহপাক দীর্ঘ হায়াত দান করেছেন,
নবীজির মিলাদে আনন্দিত হয়েছেন এবং একত্ববাদী মুসলমান হিসেবে ইন্তেকাল করেছেন৷"
المَصَادِرُ:
١- حُسْنُ الْمَقْصِدِ فِي عَمَلِ الْمَوْلِدِ، مِن الْحَاوِي لِلْفَتَاوَى، الإِمَامُ جَلَالُ الدِّينِ السُّيُوطِيُّ رَحِمَهُ الله، الجُزْءُ: ١، الصَّفْحَةُ: ١٨٨.
٢- سُبُلُ الْهُدَى وَالرَّشَادِ، الإِمَامُ الصَّالِحِيُّ الشَّامِيُّ، الجُزْءُ: ٣، الصَّفْحَةُ: ٣٦٧.
٣- الْمَوَاهِبُ اللَّدُنِّيَّةُ شَرْحُ صَحِيحِ الْبُخَارِي، الإِمَامُ الْقُسْطُلَّانِيُّ، الجُزْءُ: ١، الصَّفْحَةُ: ١٩٢.
٤- زُرْقَانِي عَلَى الْمَوَاهِبِ، الإِمَامُ الزُّرْقَانِيُّ، الجُزْءُ: ١، الصَّفْحَةُ: ١٣٩.
٥- مَا ثَبَتَ بِالسُّنَّةِ، الشَّيْخُ عَبْدُ الْحَقِّ الْمُحَدِّثُ الدِّهْلَوِيُّ رَحِمَهُ الله، الصَّفْحَةُ: ٨٣.
٦- جَوَاهِرُ الْبِحَارِ، العَلَّامَةُ يُوسُفُ النُّبْهَانِيُّ، الصَّفْحَةُ: ٣٣٨.
٧- مَدَارِجُ النُّبُوَّةِ، الشَّيْخُ عَبْدُ الْحَقِّ الْمُحَدِّثُ الدِّهْلَوِيُّ، الجُزْءُ: ٣، الصَّفْحَةُ: ١٩.
٨- الْقَوْلُ التَّمَامُ فِي إِثْبَاتِ الْمَوْلِدِ الشَّرِيفِ وَالْقِيَامِ، العَلَّامَةُ كَرَامَتُ عَلِيٍّ الْجَيْنْفُورِيُّ، وَفَاتُهُ: ١٢٩٠هـ، الجُزْءُ: ١، الصَّفْحَةُ: ١١١.
সূত্রঃ
1• হুসনুল মাকসিদ ফি আমালিল মাওলিদ, আল হাভী লিল ফাতাওয়া, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহঃ, খন্ড-1, পৃষ্ঠা-188,
2• সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ইমাম সালিহী শামী, খন্ড-3, পৃষ্ঠা-367,
3• মাওয়াহিবু লাদুনিয়া শরহে বুখারী, ইমাম কুস্তুলানী, খন্ড-1, পৃষ্ঠা-192,
4• জুরকানী আলাল মাওয়াহিব, ইমাম জুরকানী, খন্ড-1, পৃষ্ঠা-139,
5• মাসাবাতা বিস সুন্নাহ, শায়খ আব্দুল হক মোহাদ্দেসে দেহলভী রহঃ, পৃষ্ঠা-83,
6• জাওয়াহিরুল বিহার, আল্লামা ইউসুফ নুবহানী, পৃষ্ঠা-338,
7• মাদারিজুন্নবুয়ত, শায়খ আব্দুল হক মোহাদ্দেসে দেহলভী, খন্ড-3, পৃষ্ঠা-19,
8• আল কাওলুত তামাম ফিল ইসবাতিল মাওলিদিস শরীফ ওয়াল কিয়াম, আল্লামা কারামত আলী জৈনপুরী, ওফাত-1290 হিজরী, খন্ড-1, পৃষ্ঠা-111
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -২-
(2)
#মিলাদুন্নবীর মাহফিল সর্বপ্রথম আল্লাহপাক নবী-রসুলদের নিয়ে রূহের জগতে পালন করেছেন৷
অতঃপর উনারা তাদের নিজ নিজ উম্মতের নিকট #মিলাদুন্নবীর মাহফিল করেছেন৷
=====================================
وَإِذْ أَخَذَ اللّهُ مِيثَاقَ النّبِيّيْنَ لَمَآ آتَيْتُكُم مّن كِتَابٍ وَحِكْمَةٍ ثُمّ جَآءَكُمْ رَسُولٌ مّصَدّقٌ لّمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنّ بِهِ وَلَتَنصُرُنّهُ قَالَ أَأَقْرَرْتُمْ وَأَخَذْتُمْ عَلَىَ ذَلِكُمْ إِصْرِي قَالُوَاْ أَقْرَرْنَا قَالَ فَاشْهَدُواْ وَأَنَاْ مَعَكُمْ مّنَ الشّاهِدِينَ فَمَنْ تَوَلّىَ بَعْدَ ذَلِكَ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ ، سورة ال عمران (٨١)
অর্থঃ আর আপনি স্বরণ করুন! আল্লাহপাক যখন নবীগনের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা গ্রহন করলেন যে, আমি যা কিছু তোমাদের দান করেছি কিতাব ও জ্ঞান-বিজ্ঞান অতঃপর তোমাদের নিকট একজন রাসুল #শুভাগমণ করবেন, যিনি তোমাদের নিকট যা রয়েছে তার সত্যায়ন করবেন৷ তখন অবশ্যই অবশ্যই তোমরা তার প্রতি ঈমান আনবে এবং অবশ্যই অবশ্যই তোমরা তার সহযোগীতা করবে।
আল্লাহপাক বললেন, ‘তোমরা কি অঙ্গীকার করছ এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছ?
নবীগণ বললেন, ‘আমরা অঙ্গীকার করেছি’।
আল্লাহপাক বললেন, তাহলে এবার তোমরা সাক্ষী থাক। আর আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম।
সূত্রঃ সূরা- আলে ইমরান, আয়াত নং- 81,
√অত্র আয়াতের কিছু বিশ্লেষণঃ
1• অত্র আয়াতে ثم جاءكم رسول দ্বারা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শুভ আগমণ তথা #মিলাদুন্নবীর বিষয়ে অঙ্গীকারনামা গ্রহণ করা হয়েছে৷ কেননা, মিলাদ তথা জন্ম ব্যতিত আসমান হতে সরাসরি কেউ আগমণ করবেনা বরং মিলাদ তথা জন্মের গ্রহণের মাধ্যমেই নবীজি এ দুনিয়াতে তাশরীফ এনেছেন৷
2• অত্র মাহফিলটা হয়েছে নবীজির শুভাগমণ তথা #মিলাদুন্নবী সম্পর্কে, যার আয়োজন কারী স্বয়ং #আল্লাহপাক এবং যার মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন এক লক্ষ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী৷
3• এত্র মাহফিলের বিষয়বস্তু হলো- #শানে_রিসালাত অর্থাৎ যে নবীজি অন্যান্য নবীদের নবুয়তকালীন সময় যদি আগমণ করেন তাহলে তাদের নবুয়তি বাদ দিয়ে মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর অবশ্যই ঈমান আনতে হবে৷ তাতে সমস্ত নবীদের উপর আমাদের নবীজির #মর্যাদাকে আল্লাহপাক প্রকাশ করেছেন৷
4• নবীদের নিকট হতে মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অঙ্গীকারনামা যা "#কিয়াম" তথা দাড়িয়ে দাড়িয়ে গ্রহণ করা হয়েছে৷
কেননা দুনিয়াতে কোথাও কোন অঙ্গীকার তথা শপথনামা বসে বসে গ্রহণ করা হয় না৷ এখনও আদালতে দাড়িয়ে দাড়িয়ে অঙ্গীকারনামা তথা শপথ গ্রহণ করা হয়ে থাকে৷ এর মাধ্যমে নবীজির মিলাদ তথা শুভাগণের অঙ্গীকারনামায় #কিয়াম তথা দাড়ানোর বিষয়টাও অনায়াসে সমাধান হয়ে যায়৷
উল্লেখ্য যে, সমস্ত নবীগণ তাদের নিজ নিজ উম্মতের নিকট #দাড়িয়ে_দাড়িয়ে আমাদের নবীজির শুভাগণ তথা মিলাদুন্নবীর বর্ণনা করেছেন৷
5• সমস্ত নবীগণ কর্তৃক তাদের নিজ নিজ উম্মতের নিকট আমাদের নবীর শুভাগমণ তথা "#মিলাদুন্নবীর_মাহফিল" করা৷ যা অত্র আয়াতের তাফসীর সমূহ থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়-
عَن عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: لَمْ يُبْعَثِ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ نَبِيًّا، آدَمَ فَمِنْ بَعْدِهِ - إِلَّا أَخَذَ عَلَيْهِ الْعَهْدَ فِي مُحَمَّدٍ: لَئِنْ بُعِثَ وَهُوَ حَيٌّ لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ وَلَيَنْصُرَنَّهُ وَيَأْمُرُهُ فَيَأْخُذُ الْعَهْدَ عَلَى قَوْمِهِ.
অর্থাৎ হযরত আলী ইবনে আবু তালিব রাঃ হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- মহান আল্লাহপাক হযরত আদম আঃ থেকে শুরু করে তার পরবর্তীতে এমন কোন নবী প্রেরণ করেননি, যার উপর হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যপারে অঙ্গীকারনামা গ্রহণ করা হয়নি যে, যদি তিনি শুভাগমণ করেন আর এমতাবস্থায় তিনি জীবিত থাকেন তাহলে অবশ্যই অবশ্যই তার উপর ঈমান আনবে এবং অবশ্যই অবশ্যই তাকে সহযোগীতা করবে৷ আর তাকে আদেশ প্রদান করেন যে, তিনি যেন তার সম্প্রদায়ের নিকট হতেও এ অঙ্গীকারনামা গ্রহণ করেন৷
সূত্রঃ
1• তাফসীরে তাবারী শরীফ, আল্লামা আবু জা'ফর মুহাম্মদ ইবনে জরীর তাবারী, (224-310হিজরী), সূরা- আলে ইমরান, আয়াত নং- 81, হাদিস নং- 7329,
2• তাফসীরে বাগভী, মুহিউস সুন্নাহ ইমাম বাগভী, (544-604 হিজরী), সূরা- আলে ইমরান, আয়াত নং- 81,
3• তাফসীরে খাজেন, আল্লামা আলাউদ্দীন খাজেন (ওফাত-741 হিজরী), সূরা- আলে ইমরান, আয়াত নং- 81,
4• তাফসীরে দূররে মানছূর, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, (ওফাত- 911 হিজরী), সূরা- আলে ইমরান, আয়াত নং- 81,
قالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، مَا بَعَثَ اللَّهُ نَبِيًّا مِنَ الأَنْبِيَاءِ إِلَّا أَخَذَ عَلَيْهِ الْمِيثَاقَ، لَئِن بُعِثَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ حَيٌّ لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ وَلَيَنْصُرَنَّهُ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ الْمِيثَاقَ عَلَى أُمَّتِهِ، لَئِن بُعِثَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُمْ أَحْيَاءٌ لَيُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَيَنْصُرَنَّهُ.
অর্থাৎ হযরত আলী ইবনে আবু তালিব ও হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ বলেন- আল্লাহপাক নবীদের মধ্য হতে এমন কোন কোন নবী প্রেরণ করেননি যার নিকট হতে অঙ্গীকারনামা নেয়া হয়নি যে, যদি হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রেরণ করা হয় (অর্থাৎ নবী জন্মগ্রহণ করেন যাকে #মিলাদুন্নবী বলা হয়ে থাকে) আর তিনি জীবিত থাকেন তাহলে অবশ্যই অবশ্যই তার উপর ঈমান আনবে এবং অবশ্যই অবশ্যই তাকে সহযোগীতা করবে৷
আর তাকে এ আদেশ প্রদান করা হয় যে, তিনি যেন এ অঙ্গীকারনামা তার উম্মতের নিকট হতে গ্রহণ করেন- "যদি মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রেরণ করা হয়, আর তারা জীবিত থাকে তাহলে যেন অবশ্যই অবশ্যই তার উপর ঈমান আনয়ন করে এবং অবশ্যই অবশ্যই যেন তাকে সহযোগীতা করে৷
সূত্রঃ
1• তাফসীরে ইবনে কাছীর, আল্লামা ইবনে কাছীর, (701-772 হিজরী), সূরা- আলে ইমরান, আয়াত- 81,
2• তাফসীরে মা'রেফুল কুরআন, আল্লামা মুহাম্মদ শফী (পাকিস্তান), সূরা- আলে ইমরান, আয়াত- 81,
•
(3)
প্রশ্নঃ নবীজির যুগে কি মিলাদ তথা জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনার মাহফিল ছিল?
জবাব -1:
হ্যা, নবীজির যুগে আয়েশা রাঃ এর গৃহে নবীজি এবং আবু বকর সিদ্দীক রাঃ উনাদের মিলাদ তথা জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনার মাহফিল করেন৷
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: تَذَاكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ مِيلَادَهُمَا عِنْدِي، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْبَرَ مِنْ أَبِي بَكْرٍ، فَتَوَفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ، وَتَوَفَّى أَبُو بَكْرٍ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ لِسَنَتَيْنِ وَنِصْفٍ الَّذِي عَاشَ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থঃ হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও আবু বকর সিদ্দীক রাঃ উনারা পরস্পর আমার নিকট তাদের মিলাদ তথা জন্মবৃত্তান্ত আলোচনা করেন৷ রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন আবু বকর সিদ্দীক রাঃ এর থেকে বড়৷ অতঃপর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তেষট্টি বৎসর বয়সে ইন্তেকাল করেন এবং আবু বকর সিদ্দীক রাঃ রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পরে দুই বৎসর ছয় মাস জীবিত থাকার পর ইন্তেকাল করেন৷
:
1• مُعْجَمُ الْكَبِيرِ، إِمَامُ التَّبْرَانِيِّ، ١/١١، حَدِيثٌ نَمْرَة ٢٨،
2• تَارِيخُ مَدِينَةِ دِمَشْقٍ، عَلَّامَةُ ابْنِ أَسَاكِرَ، ٣٠/٢٦،
3• مَجْمُوعُ جَوَائِدٍ، إِمَامُ الْحَيْثَمِيِّ، ٩/٦٠، حَدِيثٌ نَمْرَة ١٤٣٩٢،
4• الْبِدَايَةُ وَالنِّهَايَةُ، عَلَّامَةُ ابْنِ كَثِيرٍ، ٥/٢٧٨،
5• الْإِصَابَةُ، عَلَّامَةُ ابْنِ حَجَرٍ الْعَسْقَلَانِيِّ، ٤/١٤٥،
6• سِيرَةُ النَّبِيِّ، عَلَّامَةُ ابْنِ كَثِيرٍ، ٤/٥١٢،
7• شَرْحُ جُرْقَانِيٍّ عَلَى الْمَوَاهِبِ، إِمَامُ جُرْقَانِيٍّ، ٤/٥٣٧،
সূত্রঃ
1• মু'জামুল কবীর, ইমাম তাবরানী, 1/11, হাদিস নং-28,
2• তারীখে মদীনাতু দামেশক, আল্লামা ইবনে আসাকির, 30/26,
3• মাজমাউয যাওয়াইদ, ইমাম হায়ছামী, 9/60, হাদিস নং- 14392,
4• আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, আল্লামা ইবনে কাছীর, 5/278,
5• আল ইসাবা, আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী,4/145,
6• সীরাতুন নবভীয়্যাহ, আল্লামা ইবনে কাছীর, 4/512,
7• শরহে জুরকানী আলাল মাওয়াহেব, ইমাম জুরকানী, 4/537,
•
জবাব-2:
নবীজির যুগে সাহাবায়ে কেরাম নবীজির শুভাগমনের শুকরিয়া প্রকাশ করে "মিলাদুন্নবীর" মাহফিল করেন৷
=====================================
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ مُعَاوِيَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ عَلَى حَلْقَةٍ يَعْنِي مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ: «مَا أَجْلَسَكُمْ؟» قَالُوا: جَلَسْنَا نَدْعُو اللَّهَ وَنَحْمَدُهُ عَلَى مَا هَدَانَا لِدِينِهِ، وَمَنَّ عَلَيْنَا بِكَ، قَالَ: «آللَّهُ مَا أَجْلَسَكُمْ إِلَّا ذَلِكَ؟» قَالُوا: آللَّهُ مَا أَجْلَسَنَا إِلَّا ذَلِكَ، قَالَ: «أَمَا إِنِّي لَمْ أَسْتَحْلِفْكُمْ تُهَمَةً لَكُمْ، وَإِنَّمَا أَتَانِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَأَخْبَرَنِي أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يُبَاهِي بِكُمُ الْمَلَائِكَةَ»
অর্থঃ হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- মুআবিয়া (রাঃ) বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বের হয়ে তাঁর সাহাবীদের এক মজলিসে পৌঁছলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমাদের এখানে কিসে বসিয়েছে? তারা বললেনঃ আমরা আল্লাহ্র স্মরণে এবং তিনি যে আমাদেরকে হিদায়াত দান করেছেন, এবং আপনাকে প্রেরণ করে আল্লাহ তা'আলা আমাদের উপর যে ইহসান করেছেন তার শোকর আদায় করার জন্য বসেছি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ সত্যই কি তোমরা এজন্য এখানে বসছো? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ্র শপথ! আমরা এজন্যই এখানে সমবেত হয়েছি। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদেরকে মিথ্যাবাদী মনে করে তোমাদের থেকে শপথ নেইনি বরং এজন্য যে, জিব্রাঈল (আ) এসে আমাকে সংবাদ দিলেন যে, আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদের ব্যাপারে ফিরিশতাদের উপর গৌরব করেছেন।
সূত্রঃ
সুনানে আন - নাসায়ী, হাদিস নং- 5426
•
(4)
প্রশ্নঃ কোন মজলিসে নবীজিকে কি দাড়িয়ে সালাম পেশ করতে হয়?
সাহাবীরা কি কোন মজলিসে নবীজিকে দলবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে সালাম পেশ করেছেন?
জবাবঃ হ্যা, নবীজিকে দলবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে সালাম পেশ করা সাহাবায়ে কেরামের সুন্নাত৷ উনারা মজলিসে থাকা অবস্থায় বসা থেকে সম্মানের সাথে দাড়িয়ে নবীজিকে সালাম পেশ করতেন৷
=
عَنْ شَرْحَبِيلِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ الصَّدْفِيِّ عَنْ آبَائِهِ قَالُوا: قَدِمَ وُفْدُنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُمْ بُضْعَةُ عَشَرَ رَجُلاً عَلَى قَلَائِصَ لَهُمْ فِي أَزْرٍ وَأَرْدِيَةٍ، فصَادَفُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا بَيْنَ بَيْتِهِ وَبَيْنَ الْمِنْبَرِ، فَجَلَسُوا وَلَمْ يُسَلِّمُوا، فَقَالَ: مُسْلِمُونَ أَنْتُمْ؟ قَالُوا: نَعَمْ، قَالَ: فَهَلَا سَلَّمْتُمْ؟ فَقَامُوا قِيَامًا فَقَالُوا: السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ! قَالَ: وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ! اِجْلِسُوا، فَجَلَسُوا وَسَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَوْقَاتِ الصَّلَاةِ فَأَخْبَرَهُمْ بِهَا،
অর্থঃ হযরত শুরাহবিল ইবনে আব্দুল আজিজ সদাফী রাঃ তার পূর্বপুরুষগণ থেকে বর্ণনা করেন, উনারা বলেন- আমাদের প্রতিনিধি দল রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট আগমণ করেন৷ (বর্ণনাকারী বলেন) আর তারা ছিল দশ জনের অধিক লোক উনাদের শরীরে চাদর এবং লুঙ্গি ছিল ৷ সুতরাং তারা নবীজির হুজরা মোবারক ও মিম্বর শরীফ এর মধ্যখানে (বর্তমানে রওজা মোবারক) রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে সাক্ষাত করে বসে গেলেন৷ তারপর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- তোমরা কি মুসলমান না? তারা বলল- হ্যা, আমরা মুসলমান৷ রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- তাহলে তোমরা সালাম দিলেনা কেন? তখন তারা সকলেই দাঁড়িয়ে গেলেন অতঃপর বললেন- "আসসালামু আলাইকা আয়্যুহান নাবীয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহ" তারাপর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- "ওয়া আলাইকুমুস সালাম" তোমরা বস৷ তারপর তারা সকলে বসলেন এবং রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট থেকে নামাজের ওয়াক্ত সমূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে নবীজি তাদেরকে এ বিষয়ে সংবাদ প্রদান করেন৷
المصادر:
١• الطَّبَقَاتُ الكُبْرَى، مُحَمَّدُ ابْنُ سَعْدٍ، وَفَاتُهُ ٢٣٠ هـ، الْجُزْءُ ١، الصَّفْحَةُ ٢٨٤،
٢• الرَّوْضُ وَالْحَدَائِقُ، عَلِيُّ ابْنُ مُحَمَّدٍ ابْنِ إِبْرَاهِيمَ الْبَغْدَادِيُّ (الإِمَامُ الْخَازِنُ)، وَفَاتُهُ ٧٤١ هـ، الْجُزْءُ ٣، الصَّفْحَةُ ٣٢٤،
٣• الْبِدَايَةُ وَالنِّهَايَةُ، عِمَادُ الدِّينِ ابْنِ كَثِيرٍ، وَفَاتُهُ ٧٧٤ هـ، الْجُزْءُ ٥، الصَّفْحَةُ ٩٩،
٤• تَارِيخُ قَبَائِلِ الْعَرَبِ، الدُّكْتُورُ مَحْمُودُ مُحَمَّدٍ خَلَفٌ، الصَّفْحَةُ ٢٠،
সূত্রঃ
1• তাবাকাতুল কাবীর, মুহাম্মদ ইবনে সা'দ, ওফাত-230 হিজরী, খন্ড-1, পষ্ঠা- 284,
2• আর রাওদ্বু ওয়াল হাদায়িক, আলী ইবনে মুহাম্মদ ইবনে ইবরাহীম বাগদাদী (ইমাম খাজেন), ওফাত- 741 হিজরী, খন্ড-3, পৃষ্ঠা- 324,
3• আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ইমাদুদ্দীন ইবনে কাছীর, ওফাত-774 হিজরী, খন্ড-5, পৃষ্ঠা- 99,
4• তারীখে কাবায়িলুল আরাবিয়া, ডক্টর মাহমুদ মুহাম্মদ খালফ, পৃষ্ঠা- 20,
•
(5)
প্রশ্নঃ "মিলাদুন্নবী" উপলক্ষে নবীজি কি কোন খাবারের ব্যবস্থা করেছেন?
জবাবঃ হ্যা, নবীজি নিজেই নিজের মিলাদ তথা শুভাগমন উপলক্ষে খাবারের ব্যবস্থা করেছেন৷ এমনকি নবীজি রোজা রেখে নিজেই পালন করেছেন৷
==
عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَقَّ عَنْ نَفْسِهِ بَعْدَ النُّبُوَّةِ،
অর্থঃ হযরত কাতাদা রাঃ হযরত আনাস রাঃ হতে বর্ণনা করেন- নিশ্চয়ই নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবুয়্যত প্রকাশ হওয়ার পর তার নিজের পক্ষ হতে আকীকা তথা "জন্ম উপলক্ষে খাবারের আয়োজন" করেছেন৷
সূত্রঃ
1• সুনানুল কুবরা, ইমাম বায়হাকী, ওফাত-458 হিজরী, খন্ড-9, পৃষ্ঠা-505, হাদিস নং-19673,
2• আল মুহায্যাব, ইমাম যাহাবী, ওফাত-748 হিজরী, খন্ড-8, পৃষ্ঠা-3887, হাদিস নং-14936,
হিজরী নবম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহঃ (ওফাত-911 হিজরী) বলেন-
وَقَدْ ظَهَرَ لِي تَخْرِيجُهُ عَلَى أَصْلٍ آخَرَ، وَهُوَ مَا أَخْرَجَهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَقَّ عَنْ نَفْسِهِ بَعْدَ النُّبُوَّةِ مَعَ أَنَّهُ قَدْ وَرَدَ أَنَّ جَدَّهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ عَقَّ عَنْهُ فِي سَابِعِ وِلَادَتِهِ، وَالْعَقِيقَةُ لَا تُعَادُ مَرَّةً ثَانِيَةً، فَيُحْمَلُ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ الَّذِي فَعَلَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِظْهَارٌ لِلشُّكْرِ عَلَى إِيجَادِ اللَّهِ إِيَّاهُ رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ وَتَشْرِيعًا لِأُمَّتِهِ كَمَا كَانَ يُصَلِّي عَلَى نَفْسِهِ لِذَلِكَ، فَيُسْتَحَبُّ لَنَا أَيْضًا إِظْهَارُ الشُّكْرِ بِمَوْلِدِهِ بِالِاجْتِمَاعِ وَإِطْعَامِ الطَّعَامِ وَنَحْوِ ذَلِكَ مِنْ وُجُوهِ الْقُرُبَاتِ وَإِظْهَارِ الْمَسَرَّاتِ،
অর্থঃ আমার নিকট মিলাদুন্নবীর ভিত্তির উপর অন্য একটি দলীল রয়েছে, আর তা হচ্ছে ইমাম বায়হাকী যা বর্ণনা করেছেন৷ হযরত আনাস রাঃ হতে বর্ণিত, নিশ্চয়ই রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবুয়্যত প্রকাশ হওয়ার পর উনার নিজের পক্ষ হতে আকীকা তথা "মিলাদ অনুষ্ঠান" করেছেন৷ অথচ বর্ণিত রয়েছে যে, নিশ্চয়ই নবীজির দাদা আব্দুল মুত্তালিব উনার জন্মের সপ্তম দিবসে নবীজির পক্ষ হতে আকীকা করেছেন৷ আর "আকীকা" দুই বার হয়না৷ সুতরাং নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ঐ কর্মটি এটা সম্ভবনা রাখে যে, আল্লাহপাক যে উনাকে একমাত্র "রাহমাতুল্লিল আলামীন" করে প্রেরণ করেছেন তার শুকরিয়া আদায় করেছেন এবং উনার উম্মতের জন্য বিধান সাব্যস্ত করেছেন৷ এজন্য যে, যেভাবে তিনি নিজের উপর দুরুদ শরীফ পড়তেন৷ সুতরাং মাহফিল করে, খানা-পিনার ব্যাবস্থা ও অনুরূপ অন্যান্য সওয়াব এর কর্ম ও আনন্দ প্রকাশ এর মাধ্যমে নবীজির "মিলাদ" এর শুকরিয়া আদায় করা আমাদের জন্য মুস্তাহাব৷
1• حُسْنُ الْمَقْصِدِ فِي أَعْمَالِ الْمَوْلِدِ، الْحَاوِي لِلْفَتَاوَى، إِمَامُ جَلَالُ الدِّينِ السُّيُوتِيِّ رَحِمَهُ اللَّهُ، الْجُزْءُ الأَوَّلُ، صَفْحَةٌ 188
2• سُبُلُ الْهُدَى وَالرَّشَادِ، إِمَامُ صَالِحِيِّ الشَّامِيِّ، الْجُزْءُ الأَوَّلُ، صَفْحَةٌ 367
3• الْقَوْلُ التَّامُّ فِي إِثْبَاتِ الْمَوْلِدِ الشَّرِيفِ وَالْقِيَامِ، إِمَامُ كَرَمَةِ عَلِيٍّ جَيْنْبُورِيٍّ، وَفَاتُ 1290 هِجْرِيّ، الْجُزْءُ الأَوَّلُ، صَفْحَةٌ 111
4• الدُّرَرُ الْمَكْنُونَةُ، عَلَّامَةُ أَوْسِيُورِ رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْهِ، صَفْحَةٌ 45-46
5• الْأَعْمَالُ الْكَامِلَةُ، عَلَّامَةُ رِفْعِيَاتِ رَافِعِ تَحْتَاوِي، الْجُزْءُ الرَّابِعُ، صَفْحَةٌ 59
সূত্রঃ
1• হুসনুল মাকসিদ ফি আমালিল মাওলিদ, আল হাভী লিল ফাতাওয়া, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহঃ, খন্ড-1, পৃষ্ঠা-188,
2• সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ইমাম সালিহী শামী, খন্ড-1, পৃষ্ঠা-367,
3• আল কাওলুত তামাম (ফিল ইসবাতিল মাওলিদিস শরীফ ওয়াল কিয়াম), ইমাম কারামত আলী জৈনপুরী, ওফাত-1290 হিজরী, খন্ড-1, পৃষ্ঠা-111,
4• আদ দুররুল মাকনুন, আল্লামা ওসিউর রহমান, পৃষ্ঠা-45-46,
5• আল আ'মালুল কামেলা, আল্লামা রিফায়াত রাফি তাহতাভী, খন্ড-4, পৃষ্ঠা-59,
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ صَوْمِ الْاِثْنَيْنِ فَقَالَ: فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيَّ.
অর্থঃ হযরত আবু কাতাদা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- নিশ্চয়ই রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সোমবার দিন রোজা রাখা সম্পর্কে করা হলে তিনি জবাব দিলেন: এই দিনি আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিন আমার উপর (কুরআন) নাযিল হয়েছে৷
সূত্রঃ
1• সহীহ মুসলিম শরীফ ১ ম খন্ড পৃষ্ঠা-368,
2• মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা-179,
এই হাদিসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসে কেরাম বলেন-
وَالشُّكْرُ لِلَّهِ يَحْصُلُ بِأَنْوَاعِ العِبَادَةِ كَالسُّجُودِ وَالصِّيَامِ وَالصَّدَقَةِ وَالتِّلاَوَةِ، وَأَيُّ نِعْمَةٍ أَعْظَمُ مِنَ النِّعْمَةِ بِبُرُوزِ هَذَا النَّبِيِّ نَبِيِّ الرَّحْمَةِ فِي ذَلِكَ اليَوْمِ۔
অর্থঃ বিভিন্ন প্রকার ইবাদত এর মাধ্যমে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা যায়৷ যেমন- সিজদা করা, রোজা রাখা, দান-সদকা করা, কোরআন তিলাওয়াত করা৷ ঐ দিনে তথা 570 খ্রিষ্টাব্দের 12ই রবিউল আউয়াল সোমবার দিন এই নবী রহমতের নবীর শুভাগমনের নিয়ামত থেকে আর কোন নিয়ামত অধিক বড় হতে পারে?
সূত্রঃ
1• আল হাভী লিল ফাতাওয়া, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহঃ, খন্ড-1, পৃষ্ঠা-188,
2• সুবুলুল ওয়ার রাশাদ, ইমাম সালিহী শামী, খন্ড-1, পৃষ্ঠা-366,
3• আল কাওলুত তামাম, (ফিল ইসবাতিল মাওলিদিস শরীফ ওয়াল কিয়াম), আল্লামা কারামত আলী জৈনপুরী, খন্ড-1, পৃষ্ঠা-110,
4• আদ দুরাুল মাকনুন, আল্লামা ওসিউর রহমান, পৃষ্ঠা-45,
•
(6)
#প্রশ্নঃ সাহাবায়ে কেরাম কি মিলাদুন্নবী তথা নবীজির জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা ও দাড়িয়ে দাড়িয়ে নবীজির শানে কাছীদা শরীফ পেশ করেছেন?
#জবাবঃ হ্যাঁ, নবীজির #সভাকবি হাসসান বিন সাবিত রাঃ #বিশেষ_মিম্বরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে সাহাবায়ে কেরামদেরকে নিয়ে মসজিদে নববীতে মিলাদুন্নবী তথা নবীজির জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা করেছেন এবং নবীজির শানে কাছীদা শরীফ পেশ করেছেন৷
#উল্লেখ্য যে, "ফতোয়াতুল হারামাঈনে" মক্কা, মদীনা ও জেদ্দার #রাষ্ট্রীয়_মুফতীগণ প্রায় দেড় শতাব্দী পূর্বে এটাকে #সুন্নাত বলে ফতোয়া প্রদান করেছেন৷
=====================================
নবীজির #সভাকবি হাসসান বিন সাবিত রাঃ মিলাদুন্নবীর বর্ণনায় বলেন-
وَأَحْسَنُ مِنْكَ لَمْ تَرَ قَطُّ عَيْنِي
وَأَجْمَلُ مِنْكَ لَمْ تَلِدِ النِّسَاءُ،
"There is no dark eye to see finer than yours,
And no mother gave birth to a more handsome one than you."
"কোন চক্ষু দেখেনি কখনও আপনার চেয়ে সুন্দর কিছু,
কোন নারী দেননি জন্ম আপনার চেয়ে সুন্দর শিশু৷"
خُلِقْتَ مُبَرَّأً مِنْ كُلِّ عَيْبٍ
كَأَنَّكَ قَدْ خُلِقْتَ كَمَا تَشَاءُ،
"You are created without fult,
As you have wished to be created.
"আপনি সকল প্রকার ত্রুটি মুক্ত হয়েই সৃষ্টি হয়েছেন,
যেন আপনার ইচ্ছা অনুযায়ীই আপনি সৃষ্টি হয়েছেন৷"
•
হাসসান বিন সাবিত রাঃ নবীজির প্রশংসা সম্পর্কে বর্ণনা করেন-
ما أَنَّ مَدَحْتُ مُحَمَّدًا بِمَقَالَتِي
لَكِنْ مَدَحْتُ مَقَالَتِي بِمُحَمَّدٍ،
"My poems do not glorify Prophet Mohammad ,
It is Mohammad who immortalizes my poems."
"আমার কাছীদাগুলো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে গৌরাবান্বিত করতে পারেনি,
ইনিই হলেন মুহাম্মদ দ. যিনি আমার কাছীদাগুলোকে অমরত্ব দান করেছেন৷"
(অর্থাৎ নবীজির প্রসংশা করার কারণে তিনি আজও উনার কাব্য সমগ্রের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর নিকট চির অমর হয়ে রয়েছেন৷)
#সূত্রঃ "দিওয়ানে হাসসান",
নবীজির সভাকবি হাসসান বিন সাবিত রাঃ৷
•
#উল্লেখ্য যে, যখন আমাদের পাক-ভারত উপমহাদেশে মিলাদ-কিয়াম নিয়ে অনেকে আপত্তি তুলতে থাকে তখন পবিত্র মক্কা-মদীনা ও জেদ্দার তৎকালীন মুফতীগণ মিলাদ-কিয়াম বৈধতার উপর ফতোয়া প্রদান করেন৷
#জেদ্দার মুফতিগণের ফতোয়াটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
اللَّهُمَّ وَفِّقْنِي لِسَدِيدِ الْجَوَابِ أَعْلَمُ أَنَّ ذِكْرَ مَوْلِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمُعْجِزَاتِهِ وَمَفَاخِرِهِ وَمَنَاقِبِهِ وَجَمِيعِ أَحْوَالِهِ وَالْحُضُورِ لِسَمَاعِهِ سُنَّةٌ، كَانَ الْحَسَّانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يُفَاخِرُ عَنِ الرَّسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمًا عَلَى الْمِنْبَرِ فِي الْمَسْجِدِ وَالصَّحَابَةُ يَسْمَعُونَ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو لَهُ،
অর্থাৎ হে আল্লাহপাক! আমাকে সঠিক জবাব
ব দেয়ার করার তৌফিক দান ককুন৷
জেনে রাখুন! নিশ্চয়ই মহানবী সল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মিলাদ তথা জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা করা, তার মু'জেযা তথা অলৌকিক ঘটনা সমূহ আলোচনা করা, তার প্রসংশা বর্ণনা করা, তার মর্যাদা সমূহ বর্ণনা করা, তার সমস্ত অবস্থা সমূহ বর্ণনা করা এবং তা শ্রবণ করার জন্য উপস্থিত হওয়া #সুন্নাত৷
হযরত হাসসান বিন সাবিত রাঃ মসজিদে নববীতে মিম্বরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রসংশা ও গৌরব গাথা কাছীদার মাধ্যমে পেশ করতেন এবং সাহাবায়ে কেরাম শ্রবণ করতেন আর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবি হাসসান বিন সাবিত রাঃ এর জন্য দোয়া করতেন৷
সূত্রঃ
ফতোয়াউল হারামাঈন, পৃষ্ঠা-5,
•
(8)
হিজরী পঞ্চম শতাব্দীতে মিলাদুন্নবী উদযাপনের প্রমানঃ
====================================
আল্লামা ইবনে জাওযী রহঃ (510-597) বলেন-
لَا زَالَ أَهْلُ الْحَرَمَيْنِ الْشَّرِيفَيْنِ وَالْمِصْرِ وَالْيَمَنِ وَالشَّامِ سَائِرُ بِلَادِ الْعَرَبِ مِنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ يَحْتَفِلُونَ بِمَجْلِسِ مَوْلِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَفْرَحُونَ بِقُدُومِ هِلَالِ شَهْرِ رَبِيعِ الْأَوَّلِ وَيَهْتَمُّونَ اهْتِمَامًا بَلِيغًا عَلَى السَّمَاعِ وَالْقِرَاءَةِ لِمَوْلِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَنَالُونَ بِذَلِكَ أَجْرًا جَزِيلًا وَفَوْزًا عَظِيمًا
অর্থঃ মক্কা শরিফ,মদিনা শরিফ,মিশর,ইয়ামান,শাম এবং পূর্ব-পশ্চিমের সকল আরব দেশের বাসিন্দারা সর্বদা মিলাদুন্নবির মাহফিল উদযাপন করে আসছেন ।
তাঁরা সেমা মাহফিল এবং মিলাদুন্নবি উদযাপনের উপর
অত্যাধিক গুরুত্ব দিতেন। এ কারণে তাঁরা অশেষ প্রতিদান এবং বড় ধরণের সফলতা পাবেন।
সূত্রঃ
1• "মিলাদুন্নবী" আল্লামা ইবনে জাওযী, (510-597) হিজরী , পৃষ্ঠা-58,
2• মিলাদুন্নবী, ড. তাহের আল কাদেরি, পৃষ্ঠা-613,
(9)
হিজরী অষ্টম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ, বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার,ফতহুল বারীর লেখক ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ বলেন-
فَيَقُولُ نَظِيرُ ذَلِكَ فِي الْقِيَامِ عِنْدَ ذِكْرِ وِلَادَتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَأَيْضًا قَدِ اجْتَمَعَتِ الْأُمَّةُ الْمُحَمَّدِيَّةُ عَنْ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ عَلَى اسْتِحْسَانِ الْقِيَامِ الْمَذْكُورِ، وَقَدْ قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تَجْتَمِعُوا أَمْتِي عَلَى الضَّلَالَةِ،
অর্থঃ- নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)র মিলাদ পাঠকালে কিয়াম করা মুস্তাহাব। তিনি আরও বলেন,উল্লেখিত কিয়াম মুস্তাহসান হওয়ার ব্যাপারে উম্মতে মুহাম্মদী তথা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতেরর ইজমা বা ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- আমার উম্মত কখনো পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবেনা।
সূত্রঃ
মাওলুদুল কবীর, আল্লামা ইবনে হাজর আসক্বালানী রহঃ,
•
(9)
আল্লামা শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলোভী রহঃ যিনি উপমহাদেশের প্রথম মুহাদ্দিস, যাকে নবীজি রওজা মোবারক থেকে হাদিসের দরসের জন্য পাক-ভারতে পাঠিয়েছেন৷ তিনি বলেন-
لَا يَزَالُ أَهْلُ الْإِسْلَامِ يَحْتَفِلُونَ شَهْرَ مَوْلِدِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيَعْمَلُونَ الْوَلَائِمَ، وَيَتَصَدَّقُونَ فِي لَيَالِيهِ بِأَنْوَاعِ الصَّدَقَاتِ، وَيُظْهِرُونَ السُّرُورَ، وَيَزِيدُونَ فِي الْمَبَرَّاتِ، وَيَعْتَنُونَ بِقِرَاءَةِ مَوْلِدِهِ الْكَرِيمِ، وَيَظْهَرُ عَلَيْهِمْ مِنْ مَكَانٍ كُلُّ فَضْلٍ عَمِيمٍ، وَمِمَّا جُرِّبَ مِنْ خَوَاصِّهِ أَنَّهُ أَمَانٌ فِي ذَلِكَ الْعَامِ، وَبُشْرَى عَاجِلَةٌ بِنَيْلِ الْبُغْيَةِ وَالْمَرَامِ، فَرَحِمَ اللَّهُ امْرَأً اتَّخَذَ لَيَالِيَ شَهْرِ مَوْلِدِهِ الْمُبَارَكِ أَعْيَادًا، لِيَكُونَ أَشَدَّ غَلَبَةً عَلَى مَنْ فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَعِنَادٌ۔
অর্থঃ- হযরত রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্ম মাসে মুসলমানগন মিলাদ অনুষ্ঠান বরাবর প্রতিপালন করে আসছেন এবং তাবারুক ও পানাহারের ব্যবস্থা করে থাকেন। জন্ম রাতে বিভিন্ন প্রকারের দান খয়রাত ও আনন্দ প্রকাশ করে থাকেন। মিলাদ পাঠে খুব গুরুত্ব প্রদান করেন এবং তাদের উপর বরকত ও ফজিলত প্রকাশ হয়ে থাকে। মিলাদ শরীফের বৈশিষ্ট সমুহের মধ্যে অন্যতম বৈশিষ্ট হলো,যে স্থানে মীলাদ পাঠ করা হয় উক্ত স্থান এক বছর যাবত নিরাপদ থাকে এবং মনোবাঞ্ছা সত্তর পরিপূর্ণ হয়। আল্লাহপাক ঐ ব্যক্তির প্রতি খাছ রহমত করেন যিনি হুযুর পাক (দঃ)র মুবারক জন্ম মাসের রাত্রিগুলোকে ঈদে পরিনত করেন। যার অন্তরে এ ব্যাপারে (মিলাদের ব্যাপারে) রোগ আছে তার রোগ এর ফলে আরো বেড়ে যায়।
সূত্রঃ
মা ছাবাতা বিস সুন্নাহ, শায়খ আব্দুল হক মোহাদ্দিসে দেহলোভী রহঃ, পৃষ্ঠা ন-274,
আল্লামা শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহঃ আরও বলেন-
اے اللہ ! میرا کوی عمل ایسا نھیں ہے جسے آپکے دربار میں پیش کرنے کے لائق سمچھوں، میرے تمام اعمال میں فساد نیت موجود رھتی ہے ، البتہ مچھ حقیر فقیر کا ایک عمل صرف تیری ذات پاک کی عنایت کیوجہ سے بہت شاندار ہے اور وہ یہ ہے کہ مجلس میلاد کے موقع پر میں کھڑے ہو کر سلام پڑھتا ہوں اور نہایت ہی عاجزی و انکساری محبت و خلوص کے ساتھ تیرے حبیب پاک ﷺ پر درود و سلام بھجہتا رہا ہوں-
اے اللہ ! وہ کونسا مقام ہے جہاں میلاد مبارک سے زیادہ تیری خیر و برکت کا نزول ہوتا ہے ؟ اس لۓ اے ارحم الراحمین مجھے پکا یقین ہے کہ میرا یہ عمل کبھی بیکار نہ جائیگا بلکہ یقینا تیری بارگاہ میں قبول ہوگا اور جو کوئ درود و سلام پڑھے اور اس کے ذریعہ دعا کرے وہ کبھی مسترد نہیں ہو سکتی-
অর্থঃ- হে আল্লাহ আমার এমন কোন আমল নেই, যা আপনার আলীশান দরবারে উপস্হাপন যোগ্য। আমার জীবনের যাবতীয় নেক আমল নানা মূখী নিয়তের বেড়াজালে আবদ্ধ। হ্যা,আমি অধমের একটি আমল তারই অনুকম্পায় গ্রহনযোগ্য ও দৃষ্টি নন্দিত,আর তা হচ্ছে মিলাদ শরীফের অনুষ্ঠানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে সালাম পাঠ করি। অতীব বিনয়-নম্রতা ও আন্তরিক মুহাব্বতের সহিত আপনার হাবীবের পাক চরণে দরূদ ও সালামের হাদিয়া পেশ করে থাকি।
হে আল্লাহ! আপনার আলীশান দরবার হতে অনন্ত কল্যাণ ও বরকত অবতরণ হওয়ার জন্য মিলাদ পাক থেকে মহিমান্বিত এমন কোন মাকাম বা স্তর আছে কি ? হে দয়াবান! এ জন্য আমার পূর্ণ বিশ্বাস যে,আমার এই আমল (মিলাদের কিয়াম) কখনও অনর্থক বা বিফলে যাবেনা। বরং আমার দৃঢ় বিশ্বাস হচ্ছে আপনার দরবারে তা কবুল হবে নিঃসন্দেহে। এ কথাও সত্য, যে কোন লোক দরূদ ও সালাম পাঠ করে এবং ঐ আমলকে উছিলা করে দোয়া করে তবে তা কখনো বিফলে যাবেনা।
সূত্রঃ
আখবারুল আখইয়ার, শায়খ আব্দুল হক মোহাদ্দিসে দেহলোভী রহঃ, পৃষ্ঠা নং- 624,
•
(10)
ইবনে সৌদ কর্তৃক "সৌদী আরব" ঘোষনার পূর্বে মক্কা শরীফে মিলাদুন্নবীর মাহফিলের বর্ণনাঃ
====================================
শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ্ মুহাদ্দেসে দেহলোভী রহঃ বলেন-
وَكُنْتُ قَبْلَ ذَٰلِكَ بِمَكَّةَ الْمُعَظَّمَةِ فِي مَوْلِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي يَوْمِ وِلَادَتِهِ، وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيَذْكُرُونَ إِرْهَاصَاتِهِ الَّتِي ظَهَرَتْ فِي وِلَادَتِهِ، وَمَشَاهِدَهُ قَبْلَ بَعْثَتِهِ، فَرَأَيْتُ أَنْوَارًا سَطَعَتْ دَفْعَةً وَاحِدَةً، لَا أَقُولُ إِنِّي أَدْرَكْتُهَا بِبَصَرِ الْجَسَدِ، وَلَا أَقُولُ أَدْرَكْتُهَا بِبَصَرِ الرُّوحِ فَقَطْ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ كَيْفَ كَانَ الْأَمْرُ بَيْنَ هَذَا وَذَاكَ، فَتَأَمَّلْتُ تِلْكَ الْأَنْوَارَ فَوَجَدْتُهَا مِنْ قِبَلِ الْمَلَائِكَةِ الْمُؤَكَّلِينَ بِأَمْثَالِ هَذِهِ الْمَشَاهِدِ وَبِأَمْثَالِ هَذِهِ الْمَجَالِسِ، وَرَأَيْتُ يُخَالِطُهَا أَنْوَارُ الْمَلَائِكَةِ أَنْوَارُ الرَّحْمَةِ۔
অর্থঃ- আমি এর পূর্বে মক্কা মুয়াযযাময় রাসুলে কারিম (দঃ)র জন্মস্থানের বরকতময় ঘরে,মিলাদ শরীফের তারিখে উপস্থিত ছিলাম। তখন লোকেরা সম্মিলিত ভাবে হুযূর পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)র উপর দরুদ শরীফ পাঠ করছিলেন। তখন লোকেরা হুযূর পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)র ঐসব মুজেযা সমুহ বর্ণনা করছিলেন,যেগুলো হুযূর পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)র শুভাগমনের পূর্বে এবং হুযূর পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)র নবুওয়াত প্রকাশের পূর্বে প্রকাশ পেয়েছিলো। তারপর আমি সেখানে এক মিশ্র নূরের ঝলক প্রত্যক্ষ করলাম। আমি বলতে পারছিনা যে, এ নূর আমি মানবীয় দৈহিক চোখে অবলোকন করেছি,না অাধ্যাত্মিক চোখে অবলোকন করেছি,তা আল্লাহ্ তায়ালাই ভাল জানেন। ব্যাপারটি এ দুটির মধ্যে নিহিত। অতঃপর আমি গভীরভাবে চিন্তা করলাম এবং উপলব্ধি করতে পারলাম যে, এ নূর বা জ্যোতি হচ্ছে ঐসব ফেরেশতাদের, যারা এ ধরনের মজলিশ ও উল্লেখযোগ্য (ধর্মীয়) স্থান সমুহে(জ্যোতি বিকিরনের জন্য) নিয়োজিত থাকেন। অনুরূপভাবে আমি দেখেছি রহমতের নূর ও ফেরেস্তাদের নূর সেখানে একাকার হয়ে গিয়েছে।
সূত্রঃ ফুয়ূযুল হারামাইন, শাহ ওয়ালী উল্লাহ মোহাদ্দিসে দেহলোভী রহঃ, পৃষ্ঠা-80-81,
•
(11)
শাহ্ আব্দুর রহিম মুহাদ্দিসে দেহলভী রহঃ মিলাদুন্নবীর মাহফিল করতেন৷
=====================================
শাহ ওয়ালীউল্লাহ্ মুহাদ্দিস দেহলভী রহঃ বলেন-
أَخْبَرَنِي سَيِّدِي الْوَالِدُ، قَالَ: كُنْتُ فِي أَيَّامِ الْمَوْلِدِ طَعَامًا صِلَةً بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ يُفْتَحْ لِي فِي سَنَةٍ مِنَ السِّنِينَ شَيْءٌ أَصْنَعُ بِهِ طَعَامًا، فَلَمْ أَجِدْ إِلَّا حِمِّصًا مَقْلِيًّا، فَقَسَمْتُهُ بَيْنَ النَّاسِ، فَرَأَيْتُهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ يَدَيْهِ هَذَا الْحِمِّصَ بِشَاشَةً۔
অর্থঃ- আমার শ্রদ্ধেয় পিতা শাহ আব্দর রহিম মুহাদ্দিসে দেহলভী রহঃ বলেছেন- আমি রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর মিলাদের দিনে তার প্রতি সন্মান প্রদর্শনের জন্য তবারুকের ব্যবস্থা করতাম। এক বৎসর এমন হলো যে,এর জন্য একমাত্র ছোলা ভাজা ব্যতিত অন্য কিছুরই সামর্থ্য হলোনা। তাই সেটাই লোকদের মধ্যে বিতরন করে দিলাম।অতঃপর রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্বপ্নযোগে হাস্যজ্জল দেখতে পেলাম৷ তখন দেখি ঐ ছোলা ভাজা নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সামনে রক্ষিত।
সূত্রঃ দুররুস সামীন ফি মুবাশ্বারাতিন নাবিয়্যিল আমীন, শাহ ওয়ালী উল্লাহ মোহাদ্দিসে দেহলোভী রহঃ, পৃষ্ঠা-80,
•
(12)
1400 (চৌদ্দশত) দেওবন্দী আলেমের পীর ও মুরশিদ হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহঃ সাহেব প্রতি বৎসর মিলাদ-কিয়াম করতেন।
=====================================
হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহঃ বলেন-
فقير کا مشرب يہ ہے محفل مولد میں شريك ہوتا ہوں، بلكہ بركات كا ذريعہ سمجہ كر ہر سال منعقد كرتا ہوں اور قيام میں لطف اور لذت پاتا ہوں،
অর্থঃ “এই ফকীরের নিয়ম হল এই যে, আমি মওলুদ মাহফিলে অংশ গ্রহণ করি, এমনকি বরকতের ওসিলা মনে করে প্রতি বছর উক্ত অনুষ্ঠান করে থাকি এবং কিয়ামের মধ্যে লুতফ (ভালবাসা) ও লাজ্জাত (স্বাদ) পেয়ে থাকি।”
সূত্রঃ
(১) কুল্লিয়াতে এমদাদিয়া, হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী, 103 পৃষ্ঠা,
(২) ফয়সালায়ে হাফতে মাসায়েল, হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী, 7-8 পৃষ্ঠা,
•
(13)
√√ মিলাদ মাহফিলে নবীজির "হাজির-নাজির" বিষয়ে দেওবন্দী আলেমদের দৃষ্টিভঙ্গি ।
====================================
দেওবন্দীদের পীরানে পীর হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহঃ বলেন-
رہايہ اعتقاد كہ مجلس مولد ميں حضور پر نور صلى الله عليہ وسلم رونق افروز ہو تے ہیں اسى اعتقاد كو كفر و شرك كہنا حد سے بڑهنا كيوں كہ يہ امر ممكن عقلا ونقلا – بلكہ بعض مقامات پر اس كا وقوع بهى و ہوتاہے،
অর্থঃ “এ আক্বীদা ও বিশ্বাস রাখা যে, মিলাদ মাহফিলে হুযুর পুরনুর উপস্থিত হন, এটা কুফর’ বা ‘শিরক নয়, বরং এমন বলা সীমা লঙ্গন ছাড়া কিছুই নয়। কেননা এ বিষয়টি যুক্তিভিত্তিক ও শরীয়তের দলীলের আলােকে সম্ভব। এমনকি অনেকক্ষেত্রে বাস্তবে তা ঘটেও থাকে।”
সূত্রঃ
১. কুল্লীয়াতে এমদাদীয়া, হাজী এমদাদুলাহ মুহাজিরে মক্কী রহঃ, পৃষ্ঠা, 103,
২. ফয়সালায়ে হাফতে মাসায়েল, হাজী এমদাদুলাহ মুহাজিরে মক্কী রহঃ, পৃষ্ঠা- 8,
√√ দেওবন্দীদের পীরানে পীর হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহঃ আরও বলেন-
ہمارے علماء مولد شريف میں بہت تنازعه كرتے ہیں تاہم علماء جواز كى طرف بہى گۓ ہیں - جب صورت جواز كى موجود ہے پہر كيوں ايسا تشدد كر تے ہيں اور ہمارے واسطے اتباع حرمين كافى ہے- البتہ وقت قيام كے اعتقاد تولد كا نہ كرنا چاہئے - اگر احتمال تشريف آورى كا كيا جا ئے مضائقہ نہیں كيوں كہ عالم خلق مقيد برزمان ومكان ہے - ليكن عالم امر دونوں سے پاك ہے –
অর্থঃ “আমাদের আলেমগণ মওলুদ শরীফ নিয়ে অনেক ঝগড়া করে থাকে। এরপরেও আলেমগণ কিন্তু জায়েযের পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন। যখন জায়েযের ছুরত রয়ে গেছে, তো এত বাড়াবাড়ির কি প্রয়োজন। আমাদের জন্য হারামাঈনের অনুসরণ করাই যথেষ্ঠ।” মীলাদ শরীফে” কিয়াম করার সময় হুযূর (ﷺ) এখন ভুমিষ্ট হচ্ছেন এ ধরনের বিশ্বাস না রাখা উচিত। আর যদি মাহফিলে তাশরীফ আনেন এমন বিশ্বাস রাখে, তাহলে অসুবিধা নেই, কারণ এ নশ্বর জগতে কাল ও স্থানের সাথে সম্পৃক্ত। আর পরকাল স্থান-কালের সম্পর্ক থেকে মুক্ত।
সূত্রঃ
(১) কুল্লিয়াতে এমদাদিয়া, হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী, 103 পৃষ্ঠা,
(২) ফয়সালায়ে হাফতে মাসায়েল, হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী, 7-8 পৃষ্ঠা,
(৩) এমদাদুল মুশতাক, আশরাফ আলী থানভী দেওবন্দী, 56 পৃষ্ঠা,
•
(14)
মিলাদ কিয়াম সম্পর্কে আশরাফ আলী থানভী সাহেব তার ইমদাদুল ফাতোয়া নামক কিতাবের ফতোয়াঃ
وَالاِحْتِفَالُ بِذِكْرِ الْوِلَادَةِ الشَّرِيفَةِ إِنْ كَانَ خَالِيًا مِنَ الْبِدْعَةِ الْمُرَوَّجَةِ فَهُوَ جَائِزٌ بَلْ مَنْدُوبٌ كَسَائِرِ أَذْكَارِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالْقِيَامُ عِنْدَ ذِكْرِ الْوِلَادَةِ الشَّرِيفَةِ حَاشَا للهِ أَنْ يَكُونَ كُفْرًا۔
অর্থঃ- মিলাদ শরীফের মাহফিল যদি প্রচলিত বিদআত থেকে খালি হয় তবে তা জায়েয বরং মুস্তাহাব,যেমন হুজুর আকরাম (দঃ) র অন্যান্য সকল জিকিরের মজলিশ সমুহ (যেমনঃসিরাতুন্নবী,তাফসিরুল কোরআন মাগফিল,খতমে বুখারীর মাহফিল,হালকায়ে জিকিরের মাহফিল ইত্যাদি)। আর বেলাদাত শরীফের বর্ণনার সময় দাড়ানো কখনোই কুফরী হতে পারেনা।
সূত্রঃ
ইমদাদুল ফাতাওয়া- খন্ড-6, পৃষ্ঠা নং-327,
•
(15)
মিলাদ কিয়াম সম্পর্কে দেওবন্দীদের ফতোয়াঃ
===================================
মাওলানা খলিল আহমদ সাহারাণপুরী দেওবন্দী বলেন-
پس اگر کوئ مجلس مولود منکرات سے خالی ہو تو حاشا کہ ہم یوں کہیں کہ ذکر ولادات شریف ناجاءز اور بدعت ہے اور ایسے قول شنیع کا کسی مسلمان کی طرف کیونكر گمان ہو سکتا ہۓ۔
অর্থঃ- যদি কোন মিলাদের মজলিশ মন্দ উপসর্গ হইতে খালি হয় তবে আমরাকি একথা বলতে পারি হযরতের মিলাদের বর্ণনা নাজায়েয এবং বিদআত হবে ? এইরুপ মন্দ ধারনা কোন মুসলমানের প্রতি কিরুপে করা যেতে পারে ?
সূত্রঃ
আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ, আকাঈদে উলামায়ে দেওবন্দ, পৃষ্ঠা-19,
•
(16)
2020 সালে 12ই রবিউল আউয়াল মদীনা শরীফ মসজিদে নববীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করা হয়৷
শিরোনামঃ
ذكرى مولد نبي الإسلام.. الاحتفال بالمولد النبوي الشريف،
"ইসলামের নবীর মিলাদের আলোচনা… মসজিদে নববী শরীফে মিলাদ মাহফিল"৷
====
وَٱلْمَوْلِدُ ٱلنَّبَوِيُّ أَوْ مَوْلِدُ ٱلرَّسُولِ هُوَ يَوْمُ مَوْلِدِ رَسُولِ ٱللَّهِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ ٱللَّهِ عَلَيْهِ ٱلصَّلَاةُ وَٱلسَّلَامُ، وَأَغْلَبُ ٱلْآرَاءِ هُوَ أَنَّهُ كَانَ فِي ١٢ رَبِيعِ ٱلْأَوَّلِ، إِذْ يَحْتَفِلُ بِهِ ٱلْمُسْلِمُونَ فِي كُلِّ عَامٍ فِي بَعْضِ ٱلدُّوَلِ ٱلْإِسْلَامِيَّةِ، لَيْسَ بِٱعْتِبَارِهِ عِيدًا، بَلْ فَرَحَةً بِوِلَادَةِ نَبِيِّهِمْ رَسُولِ ٱللَّهِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ ٱللَّهِ۔
وَتَبْدَأُ ٱلِٱحْتِفَالَاتُ ٱلشَّعْبِيَّةُ مِنْ بَدَايَةِ شَهْرِ رَبِيعِ ٱلْأَوَّلِ إِلَىٰ نِهَايَتِهِ، بِإِقَامَةِ سُرَادِقَ وَمَجَالِسَ يُنْشَدُ فِيهَا قَصَائِدُ فِي مَدْحِ ٱلنَّبِيِّ ٱلْكَرِيمِ، كَمَا تُنَظَّمُ فِيهَا ٱلدُّرُوسُ مِنْ سِيرَتِهِ ٱلْعَطِرَةِ، وَذِكْرِ شَمَائِلِهِ وَخِصَالِهِ، وَيُقَدَّمُ ٱلطَّعَامُ وَٱلْحَلْوَىٰ، وَخَاصَّةً لِلْأَطْفَالِ، لِتَرْسِيخِ ذِكْرَىٰ مَوْلِدِ ٱلْهُدَىٰ فِي نُفُوسِهِمْ۔
অর্থঃ মাওলিদুন্নবী অথবা মাওলিদুর রাসুল হলো- আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম এর জন্মদিন ৷ আর অধিকাংশের মত হলো- নিশ্চয়ই এটা ছিল 12ই রবিউল আউয়াল৷ কিছু ইসলামী রাষ্ট্র সমূহে "ঈদে মিলাদুন্নবী" মাহফিল করে থাকে৷ এটা (ধর্মীয়) ঈদ হিসেবে নয় বরং তাদের নবী আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম এর জন্মের খুশি/আনন্দ হিসেবে৷ রবিউল আউয়াল মাসের শুরু থেকেই এ জাতীয় মাহফিল সমূহ আরম্ভ হয়ে বিভিন্ন প্রকার আলোকসজ্জা প্রজ্জলন ও লোক জমায়েত করে মাসের শেষ পর্যন্ত চলতে থাকে৷ এ সকল মাহফিলে যেভাবে নবীজির পবিত্র জীবনী সমূহ হতে আলোচনা করা হয়ে থাকে সেভাবে নবীজির প্রশংসা মূলক কাছীদা সমূহ গাওয়া হয়ে থাকে ৷ আর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুমহান গুনাবলী ও বৈশিষ্ট সমূহ আলোচনা করা হয় এবং খাবার ও মিষ্টান্ন বিতরণ করা হয়৷ আর বিশেষ করে শিশুদের জন্য যাতে তাদের অন্তর সমূহে মিলাদুন্নবীর আলোচনা বদ্ধমূল হয়ে থাকে৷
সূত্রঃ
আল জাজিরা নিউজ, 28 অক্টোবর 2020,
•
(17)
সাহাবায়ে কেরাম নবীজিকে "ইয়া নবী ও ইয়া রাসুল বলে সালাম দিয়েছেনঃ
==
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ، السَّلَامُ عَلَيْكَ۔
অর্থঃ হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ হতে বর্ণিত তিনি বলেন: আমরা বললাম- "ইয়া রাসুলাল্লাহ! আসসালামু আলাইকা"৷
সূত্রঃ
নাসাঈ শরীফ, হাদিস নং-1293,
عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ، السَّلَامُ عَلَيْكَ۔
অর্থঃ হযরত কা'ব ইবনে উজরা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমরা বললাম: ইয়া রাসুলাল্লাহ! আসসালামু আলাইকা৷
সূত্রঃ
মু'জামুল কবীর, ইমাম তাবরানী, হাদিস নং-278,
عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ عُقْبَةَ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَجُلًا أَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَلَسَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، السَّلَامُ عَلَيْكَ۔
অর্থঃ হযরত আবু মাসউদ উকবা ইবনে আমর রাঃ হতে বর্ণিত, নিশ্চয়ই এক ব্যক্তি রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট আগমণ করলেন ৷ অতঃপর বললেন- ইয়া রাসুলাল্লাহ আসসালামু আলাইকা৷
সূত্রঃ
কিতাবু সালাতু আলান নবী, ইবনে আছিম, হাদিস নং-6,
•
(18)
মিলাদুন্নবী হলো যিন্দা হাকীকত এটাকে "বিদআত" বলে শয়তান ঝড়-তুফান তুলেছে৷
===================================
পাকিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টা "আল্লামা ডক্টর ইকবাল রহঃ" বলেন-
سرکار دو عالم کا میلاد مناتے ہیں
اک زندہ حقیقت کا احساس دلاتے ہیں،
"সরকার দো আলম কা #মিলাদ মানাতে হেঁ,
এক যিন্দাহ হাকীকত কা এহছাছ দেলাতে হেঁ"
تنقید نبیوں پر ابلیس کا شیواہ ہے
طوفان یہ بدعت کا شیطان اڑاتے ہیں،
"তানকীদ নবীয়োঁ পর ইবলিস কা শিওয়া হ্যায়,
তুফান ইয়ে #বিদআত কা #শয়তান উড়াতে হেঁ৷"
নবীজিকে অস্বীকার করে মিলাদুন্নবীর উপর বিদআতের ঝড়-তুফান ইবলিস-শয়তানে উড়াতে থাকে৷
√নিম্নে উনার বিশ্ববিখ্যাত কাসীদাটি প্রদান করা হল৷
=====================================
#تقدیر_بناتے_ہیں،
علامہ دکتور اقبال،
سرکار دو عالم کا میلاد مناتے ہیں
اک زندہ حقیقت کا احساس دلاتے ہیں،
معراج کی شب احمد (د) مہمان خصوصی تہیں
یوں عرش برعی پر بھی وہ جوت جگاتے ہیں،
تنقید نبیوں پر ابلیس کا شیواہ ہے
طوفان یہ بدعت کا شیطان اڑاتے ہیں،
کہنے کو تو کہتا ہیں خود جیسا بشر لیکن
سرکار کے روضے پر سب سر کو جھکاتے ہیں،
ہم بھول نہیں سکتے سادات کی قربانی
دربار یزیدی میں وہ بات سناتے ہیں،
ہے اوّل نکتہ مفہوم کہلا لیکن
وہ بات چھپاتے ہیں ہم بات بتاتے ہیں،
دنیاھو کے عقبیٰ ہو احمد (د) کا وسیلہ ہیں
دم اُنکاہی بھرتے ہیں گن اُنکاہی گا تے ہیں،
#اقبال_محمد کا ممنون خدائی ہے