ফোনঃ ০১৩০৯-১৩১৫২৮, ইমেইলঃ gssdmd40@gmail.com
بسم الله الرحمن الرحيم
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের জন্য, যিনি মানুষকে জ্ঞানের দ্বারা সম্মানিত করেছেন এবং ইলম অর্জনকে ইবাদত হিসেবে ঘোষণা করেছেন। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক, বিশ্ব মানবতার মুক্তিদূত হযরত মুহাম্মদ ﷺ-এর উপর, তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবায়ে কেরামের উপর।
আমাদের এই মাদ্রাসা শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি একটি আদর্শিক কেন্দ্র, যা দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, শিক্ষার্থীরা যেন শুধু মুখস্থ করে আলেম না হয়, বরং ইসলামের প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করে, এবং সেই জ্ঞানকে সমাজের কল্যাণে কাজে লাগাতে পারে।
আমরা বিশ্বাস করি, একজন প্রকৃত আলেম শুধু নামাজ-রোজা, কুরআন-হাদিসেই সীমাবদ্ধ থাকবেন না। তিনি হবেন সমাজের পথপ্রদর্শক, যিনি মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যাবেন। তাই আমাদের মাদ্রাসা থেকে যারা বের হবেন, তারা একদিকে যেমন কুরআনের হাফেজ হবেন, হাদিসের জ্ঞানে সমৃদ্ধ হবেন, তেমনি আধুনিক প্রযুক্তিতেও দক্ষ হবেন।
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও উন্নত করার জন্য অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ, আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য লাইব্রেরি সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন সব দিক থেকে এগিয়ে থাকে।
আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আপনাদের পরামর্শ, দোয়া এবং সক্রিয় অংশগ্রহণে আমাদের এই স্বপ্ন সফল হবে ইনশাআল্লাহ। আসুন, আমরা সকলে মিলে এই প্রতিষ্ঠানকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে যাই, যা আমাদের জন্য, আমাদের সমাজের জন্য এবং সর্বোপরি ইসলামের জন্য গৌরব বয়ে আনবে।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ,
মাদরাসা হচ্ছে ইসলামী শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র, ঈমান-আমল ও চরিত্রগঠনের কারখানা, দ্বীনি অঙ্গনে আলোর মিনার। কুরআন-সুন্নাহর শুদ্ধ শিক্ষা ছাড়া মানবজীবন পরিপূর্ণ হতে পারে না। এ উপলব্ধি থেকে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমার প্রাণের আশা—এই মাদরাসা থেকে সৎ, যোগ্য ও খোদাভীরু আলেম, হাফিজ, ক্বারী ও দাঈ বের হবে; যারা দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেবে ঘরে ঘরে, সমাজে সমাজে, রাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রে।
প্রিয় শিক্ষক ও ছাত্রসমাজ,
তোমরা মাদরাসার সাথে যুক্ত হয়ে দ্বীনি দায়িত্বের বিশাল ভার গ্রহণ করেছ। মনে রেখো—তোমাদের প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি পরিশ্রম, প্রতিটি অশ্রুবিন্দু আল্লাহর পথে কবুল হতে পারে। আল্লাহর জন্য পড়াশোনা করবে, শিক্ষকের আদব করবে, সময়কে মূল্য দেবে এবং আমলকে শুদ্ধ রাখবে। মাদরাসার নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা তোমাদের জন্য ফরজসম। সমাজের মানুষ তোমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে আদর্শ হিসেবে। তাই জীবনের প্রতিটি ধাপে ইসলামী চেতনার প্রতিফলন ঘটানোই হবে তোমাদের প্রকৃত সাফল্য।
প্রিয় অভিভাবক ও শুভাকাঙ্ক্ষী সমাজপতি,
আপনারা সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষার জন্য মাদরাসায় ভর্তি করিয়েছেন। এ এক মহান সিদ্ধান্ত। দুনিয়ার শিক্ষা যেমন প্রয়োজন, তেমনি আখেরাতের মুক্তির জন্য দ্বীনি শিক্ষাই হচ্ছে সবচেয়ে জরুরি। তাই সন্তানদের প্রতি মমতা, মাদরাসার প্রতি আন্তরিকতা এবং দ্বীন প্রচারে সহযোগিতা অব্যাহত রাখুন। সমাজের ধনবান ও বিত্তশালীদের প্রতি আমার বিশেষ আহ্বান—আল্লাহর পথে দান-সদকা, ওয়াকফ, অনুদান ইত্যাদির মাধ্যমে দ্বীনি প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করুন। এই মাদরাসা আপনাদের সহযোগিতায় একদিন আরও মহীরূহে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ।
আমার অন্তরের দোয়া—
আল্লাহ্ তাআলা গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা কে চিরন্তন কল্যাণের কেন্দ্র বানান, এখান থেকে যেন যুগে যুগে কুরআন-সুন্নাহর আলো বিকিরিত হয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জীবন হোক দ্বীনের জন্য নিবেদিত। আল্লাহ্ আমাদের সকলকে দ্বীনি খেদমতে কবুল করুন, আমলকে খাঁটি করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌসে উচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমীন।
بسم الله الرحمن الرحيم
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ তাআলার জন্য, যিনি মানুষকে জ্ঞানের মাধ্যমে মহৎ মর্যাদা দান করেছেন। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক মানবতার মুক্তির দিশারী, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ-এর উপর, তাঁর পরিবার ও সাহাবায়ে কেরামের উপর।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ,
দ্বীনি শিক্ষা হচ্ছে মানবতার প্রকৃত মুক্তির মূল চাবিকাঠি। মাদরাসা হচ্ছে এমন এক প্রতিষ্ঠান, যেখানে কুরআন-হাদীসের আলোকে একজন মানুষকে শুধু শিক্ষিত করাই নয়; বরং তাঁকে ঈমানদার, আমানতদার, দায়িত্বশীল, চরিত্রবান এবং আখেরাতমুখী প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ব্যবস্থা করা হয়। এই মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আমাদের প্রিয় মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং আজ পর্যন্ত দ্বীনের খেদমতে অগ্রসরমান।
সভাপতি হিসেবে আমি গর্ববোধ করি যে, আমাদের এই মাদরাসা দিন দিন অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে এখানে সুশিক্ষিত ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকবৃন্দ রয়েছেন, যারা শিক্ষার্থীদের কেবল বইয়ের জ্ঞানই নয়, বরং আদব-আখলাক, আচার-আচরণ ও সমাজসেবার সঠিক দীক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা এখানে ইলমের সাথে সাথে তাকওয়া, পরিশ্রম, শৃঙ্খলা ও আত্মত্যাগের অনন্য দৃষ্টান্ত শিখছে।
প্রিয় ছাত্রসমাজ,
মনে রেখো—তোমরা হচ্ছো ইসলামের সৈনিক, দ্বীনের রাহবার, ভবিষ্যতের উম্মতের কর্ণধার। তোমাদের মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াত ছড়িয়ে পড়বে ঘরে ঘরে, সমাজে সমাজে, দেশে দেশে। তাই তোমাদের পড়াশোনায় নিষ্ঠা, শিক্ষকদের প্রতি সম্মান, আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা এবং সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার করা অপরিহার্য।
প্রিয় অভিভাবক ও সমাজপতি,
আপনারা সন্তানদের দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে যে মহান দায়িত্ব পালন করেছেন, তা আল্লাহর দরবারে অবশ্যই কবুলযোগ্য হবে। তবে সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখা, মাদরাসার প্রতি আন্তরিকতা বজায় রাখা এবং দ্বীনি শিক্ষার প্রসারে সর্বদা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়াও আপনারা অব্যাহত রাখবেন—এ আমার বিনীত অনুরোধ। সমাজের বিত্তবানদের প্রতি বিশেষ আহ্বান, আপনারা যেন এ প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার জন্য সর্বদা সহযোগিতা করেন। কেননা দ্বীনি শিক্ষা রক্ষা করা মানেই হলো মানবতার অস্তিত্ব রক্ষা করা।
আমার দোয়া—
আল্লাহ্ তাআলা আমাদের এই প্রতিষ্ঠানকে কবুল করুন, এখান থেকে যুগে যুগে আলেম, হাফিজ, ক্বারী, দাঈ ও আদর্শ মানুষ বের হোক। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জীবন হোক দ্বীনের খেদমতে নিবেদিত। আল্লাহ্ যেন আমাদের সবাইকে দ্বীনের সঠিক পথে চালিত করেন এবং আখেরাতে জান্নাতুল ফেরদৌস দ্বারা ভূষিত করেন। আমীন।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তা'আলার জন্য, যিনি আমাদের জ্ঞান অন্বেষণ করার সুযোগ দিয়েছেন। দরূদ ও সালাম তাঁর প্রিয় রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর, যিনি আমাদের সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য শিখিয়েছেন।
সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, প্রিয় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শুভাকাঙ্ক্ষীগণ,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আমাদের এই মাদ্রাসার ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগতম। এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি প্রতিচ্ছবি। এখানে আপনারা আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম, ইতিহাস, অর্জন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আমাদের মাদ্রাসা শুধুমাত্র একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি একটি আদর্শিক কেন্দ্র, যা ইসলামী জ্ঞান ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, এমন শিক্ষার্থী তৈরি করা যারা একদিকে যেমন কুরআন ও সুন্নাহর গভীর জ্ঞানে সমৃদ্ধ হবে, তেমনি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানেও দক্ষ হয়ে সমাজের নেতৃত্ব দিতে পারবে।
আমরা বিশ্বাস করি, একজন প্রকৃত মুসলিম শুধু ব্যক্তিগত জীবনেই নয়, বরং সামাজিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেও ইসলামের সৌন্দর্য ও মূল্যবোধ তুলে ধরবে। তাই আমাদের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলা, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আমরা এই ওয়েবসাইটকে আরও তথ্যবহুল এবং ব্যবহারবান্ধব করার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকব। আপনাদের মূল্যবান পরামর্শ আমাদের অগ্রযাত্রার পথে পাথেয় হবে।
আল্লাহ তা'আলা আমাদের এই মহান প্রচেষ্টাকে কবুল করুন।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
আমাদের মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, একটি ছোট পরিসরে। তখন মাত্র কয়েকজন জন শিক্ষার্থী এবং কয়েকজন জন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু হয়। আজ এটি একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে যেখানে শতাধিক শিক্ষার্থী এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ রয়েছেন।
মাদ্রাসাটি শুধু পড়াশোনার জায়গা নয়, বরং একটি আদর্শ সমাজ গঠনের কারখানা হিসেবেও বিবেচিত হয়। শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা, শৃঙ্খলা এবং নেতৃত্ব গঠনের জন্য নিয়মিত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
মাদ্রাসার মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হলো একটি এমন প্রজন্ম গড়ে তোলা যারা ইসলাম ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমন্বয়ে সমাজ ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। এটি শুধু একটি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং একটি পরিপূর্ণ শিক্ষাকেন্দ্র, যেখানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির দিকে সমানভাবে মনোযোগ দেওয়া হয়।
মূল লক্ষ্যঃ
একটি মাদ্রাসার প্রধান লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি সুদৃঢ় ইসলামী বিশ্বাস ও নৈতিক ভিত্তি তৈরি করা। এর মাধ্যমে তারা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ও মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে পারে এবং নিজেদের জীবনে তা অনুশীলন করতে পারে। এর পাশাপাশি, মাদ্রাসার লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের আধুনিক জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং ভাষা শিক্ষায়ও দক্ষ করে তোলা, যাতে তারা বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে।
উদ্দেশ্যঃ
মাদ্রাসার মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো:
কুরআন ও সুন্নাহর গভীর জ্ঞান অর্জন: শিক্ষার্থীদেরকে কুরআন ও হাদিসের মৌলিক শিক্ষা দেওয়া, যাতে তারা ইসলামের মূল ভিত্তি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পায়।
নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়ন: শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাকওয়া (আল্লাহর ভয়), ইখলাস (আন্তরিকতা), ধৈর্য এবং সত্যবাদিতার মতো গুণাবলী গড়ে তোলা।
আকর্ষণীয় দাওয়াহ (ইসলাম প্রচার): শিক্ষার্থীদেরকে এমনভাবে প্রস্তুত করা যাতে তারা সমাজে ইসলামের সঠিক বার্তা তুলে ধরতে পারে এবং অন্যদের কাছে ইসলামের সৌন্দর্য উপস্থাপন করতে পারে।
সামাজিক নেতৃত্ব তৈরি: শিক্ষার্থীদেরকে সামাজিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করা এবং তাদের এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে তারা সমাজকে নেতৃত্ব দিতে পারে এবং সমাজের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
আধুনিক জ্ঞানের সাথে সমন্বয়: বিজ্ঞান, গণিত, ইংরেজি, বাংলা এবং কম্পিউটার প্রযুক্তির মতো বিষয়গুলো শেখানো, যাতে তারা উচ্চশিক্ষার জন্য এবং পেশাগত জীবনে সফল হতে পারে।
সংক্ষেপে, মাদ্রাসার মূল লক্ষ্য হলো এমন একটি শিক্ষিত, নৈতিক এবং দায়িত্বশীল প্রজন্ম তৈরি করা, যারা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারবে।
গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাধারণত তার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তৈরি করা হয়। এই পরিকল্পনায় সাধারণত শিক্ষা, অবকাঠামো এবং সামাজিক উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে।
মাদ্রাসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মূল দিকসমূহ
একটি মাদ্রাসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে কয়েকটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়:
১. শিক্ষাগত উন্নয়ন:
আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়: ঐতিহ্যবাহী ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান, গণিত, ইংরেজি, কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং অন্যান্য আধুনিক বিষয়কে পাঠ্যক্রমে আরও গুরুত্ব দেওয়া। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেন মাদ্রাসার শিক্ষা শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে পারে এবং কর্মক্ষেত্রে ভালো করতে পারে।
শিক্ষক প্রশিক্ষণ: শিক্ষকদেরকে নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যাতে তারা আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হতে পারেন। এর ফলে শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে।
গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা: ইসলামী জ্ঞান এবং আধুনিক বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার জন্য একটি কেন্দ্র স্থাপন করা। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গবেষণামূলক কাজে উৎসাহিত হবে।
২. অবকাঠামোগত উন্নয়ন:
আধুনিক শ্রেণিকক্ষ: শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করতে আধুনিক সুবিধা সংবলিত শ্রেণিকক্ষ তৈরি করা।
কম্পিউটার ও বিজ্ঞান ল্যাব: শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য উন্নত কম্পিউটার ল্যাব এবং বিজ্ঞান বিষয়গুলো হাতে-কলমে শেখার জন্য বিজ্ঞান ল্যাব স্থাপন করা।
লাইব্রেরি ও রিডিং রুম: শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য একটি সুসজ্জিত লাইব্রেরি এবং নিরিবিলি রিডিং রুম তৈরি করা।
ছাত্রাবাস সুবিধা: দূরবর্তী শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত এবং নিরাপদ ছাত্রাবাসের ব্যবস্থা করা।
৩. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম:
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: শিক্ষার্থীদেরকে সমাজসেবা মূলক কাজে (যেমন: দুস্থদের সাহায্য, পরিবেশ রক্ষা) উৎসাহিত করা। এর মাধ্যমে তারা সমাজের প্রতি তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হবে।
নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের চর্চা: শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিকতা, সহনশীলতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মতো গুণাবলী বিকাশের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা।
অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ: শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি এবং উন্নয়নের জন্য অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত বৈঠকের আয়োজন করা।
এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে একটি মাদ্রাসা শুধুমাত্র ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সীমাবদ্ধ না থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান চর্চার কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।
মাদ্রাসার শিক্ষা, শৃঙ্খলা এবং নৈতিকতা বজায় রাখার জন্য মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ম ও পরিকল্পিত সিস্টেম।
১. শিক্ষাগত নিয়মাবলী:
উপস্থিতি: শিক্ষার্থীদেরকে সকল ক্লাসে এবং মাদ্রাসার সকল কার্যক্রমে নিয়মিত উপস্থিত থাকতে হবে।
সময়ানুবর্তিতা: প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হতে হবে এবং সময়সূচী অনুযায়ী সকল কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
পাঠ্যক্রম: মাদ্রাসার নির্ধারিত সকল বিষয় মনোযোগ দিয়ে অধ্যয়ন করতে হবে এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
শ্রেণীকক্ষে আচরণ: ক্লাসে শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, নীরবতা বজায় রাখতে হবে এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করা যাবে না।
অ্যাসাইনমেন্ট ও হোমওয়ার্ক: সকল অ্যাসাইনমেন্ট এবং হোমওয়ার্ক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে।
২. পোশাক ও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা:
পোশাক: সকল শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসার নির্ধারিত পোশাক (পাঞ্জাবি, পায়জামা, টুপি ইত্যাদি) পরিধান করতে হবে। পোশাক অবশ্যই পরিষ্কার ও পরিপাটি হতে হবে।
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা: নিয়মিত গোসল করা, নখ কাটা, দাঁত ব্রাশ করা এবং চুল ছোট রাখা সহ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
৩. আবাসিক নিয়মাবলী (যদি প্রযোজ্য হয়):
সময়সূচী: আবাসিক শিক্ষার্থীদেরকে মাদ্রাসার নির্ধারিত রুটিন (ঘুম থেকে ওঠা, খাবার গ্রহণ, পড়াশোনা, ঘুম) মেনে চলতে হবে।
হোস্টেল ব্যবস্থাপনা: হোস্টেলের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং হোস্টেল ইনচার্জের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
অপরিচিত ব্যক্তির প্রবেশ: কোনো অপরিচিত ব্যক্তিকে হোস্টেলে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।
৪. নৈতিক ও সামাজিক আচরণ:
পারস্পরিক সম্মান: সকল শিক্ষক, কর্মচারী এবং সহপাঠীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
কথা বলার ধরণ: নম্র ও বিনয়ী ভাষায় কথা বলতে হবে। কোনো ধরনের অশ্লীল বা আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করা যাবে না।
ঝগড়া-বিবাদ: নিজেদের মধ্যে কোনো ধরনের ঝগড়া বা বিবাদে জড়ানো যাবে না। কোনো সমস্যা হলে তা শিক্ষকদের জানাতে হবে।
সম্পদের সুরক্ষা: মাদ্রাসার সকল সম্পত্তি (আসবাবপত্র, বই, সরঞ্জাম) যত্ন সহকারে ব্যবহার করতে হবে এবং কোনো ধরনের ক্ষতি করা যাবে না।
৫. ইলেকট্রনিক ডিভাইস:
মোবাইল ফোন: মাদ্রাসার ক্যাম্পাসের মধ্যে মোবাইল ফোন বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ। প্রয়োজনে ইনচার্জ বা সুপারের অনুমতি নিতে হবে।
এই নিয়মগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলা, নৈতিকতা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
সভাপতি
জনাব ইয়াসির জাকারিয়া চৌধুরী
প্রতিষ্ঠাতা
জনাব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
দাতা
জনাব আমিনুল ইসলাম চৌধুরী
সদস্য সচিব
সুপারিনটেনডেণ্ট (সদস্য সচিব)
শিক্ষক প্রতিনিধি (সংরক্ষিত)
জনাব শামসুন্নাহার
শিক্ষক প্রতিনিধি
জনাব মোহাম্মদ জাহির হোসেন
শিক্ষক প্রতিনিধি
জনাব মোহাম্মদ আব্দুস শহিদ
অভিভাবক সদস্য (সংরক্ষিত)
জনাব নাজমা বেগম
অভিভাবক সদস্য
জনাব আল আমীন
অভিভাবক সদস্য
জনাব মোঃ রেজু মিয়া
অভিভাবক সদস্য
জনাব সৈয়দ ফয়জুল ইসলাম
অভিভাবক সদস্য
জনাব মোঃ আব্দুল মতিন