অণুজীবের প্রাণরসায়ন ও প্যাথোজেনেসিস রিসার্চ গ্রুপ
সার্বজনীন কল্যাণের স্বার্থে অণুজীব
অণুজীবের প্রাণরসায়ন ও প্যাথোজেনেসিস রিসার্চ গ্রুপ
[+] স্থাননির্দেশক: গবেষণা > অণুজীবের ইকোলজি | অন্যান্য পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুণ।
একটি নির্দিষ্ট বাস্তুসংস্থান বা পরিবেশে (যেমন মাটি, সাগর, হ্রদ কিংবা মরুভূমি অথবা উদ্ভিদ বা প্রাণী দেহের বিভিন্ন তন্ত্র ইত্যাদি) অণুজীবসমূহের বৈচিত্র ও আধিপত্যের সামগ্রিক অনুসন্ধান বেশ কয়েকটি কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, আমরা যদি একই ধরণের কয়েকটি স্থানে, উদাহরণস্বরূপ একদল মানুষের অন্ত্রে যত ধরণের ব্যাকটেরিয়া আছে তার সবগুলোকে বিশদভাবে শনাক্ত করার চেষ্টা করি, তাহলে মানুষের অন্ত্রের "কোর মাইক্রোবায়োম" বা ব্যাকটেরিয়াগুলোর "মূল সম্প্রদায়" কি সেটা নির্ধারণ করা যাবে। এভাবে একটি নির্দিষ্ট বাস্তুসংস্থানের মূল সম্প্রদায়কে যদি চিহ্নিত করা যায় তবে কাছাকাছি বিশিষ্ট সম্পন্ন অন্যান্য বাস্তুসংস্থান বা পরিবেশে অণুজীবসমূহের মূল সম্প্রদায় সম্পর্কেও বেশ ভালো একটি ধারণা লাভ করা যাবে। এছাড়াও মাইক্রোবায়োম বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট স্থানে অণুজীবের বৈচিত্র, বিন্যাস ও বিস্তার কিরূপ সেটা জানা যায়। সেই সাথে, স্থানটিতে অনুজীবেগুলোর নিজেদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক কিংবা অণুজীবের সাথে উচ্চতর জীবগুলোর সম্পর্ক এবং মিথষ্ক্রিয়া প্রভৃতি বোঝাও সম্ভব হয়। এসব ব্যপারে জানতে আমরা কালচার-নির্ভর এবং মেটাজেনোমিক উভয় ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করে (মেটাজেনোমিক বলতে, অণুজীবগুলো আলাদাভাবে সংগ্রহ না করে বা গবেষণাগারে কোনরকম কালচার না করে, পরিবেশ থেকে সরাসরি অণুজীবের জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরিক্ষা, গবেষণা করা) বিভিন্ন ধরণের পরিবেশ ও পরিমন্ডলের মাইক্রোবায়োম পরীক্ষা করে দেখতে চাই। যেমনঃ
অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম এবং আশ্রয়দাতার (host) বিপাক ও পুষ্টিতে তার ভূমিকা
উদ্ভিদের রাইজোস্ফিয়ার এবং টিস্যুর মাইক্রোবায়োম ও তাদের উপকারী বা ক্ষতিকর দিক
চরমভাবাপন্ন পরিবেশের অণুজীব যেমন অত্যধিক তাপমাত্রা বা লবনাক্ততা-প্রিয় অণুজীব ও তাদের জৈব-প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা
দেশীয় শস্য ও খাদ্যের অণুজীব সম্প্রদায়
[+] সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রবন্ধ