“ ...তোমরা এক-একটি বীজ হয়ে আছ, গাছ হয়ে আছ, আবার ফুল, ফল হয়ে আছ, কি সুন্দর রয়েছ। ভগবান লাভ করার কথাটা মামুলি কথা, যে জিনিস হয়ে আছে তা আবার লাভ করবে কি করে?... ≫
“ ...কান্নাকাটি করে, মাথা খুঁড়ে নমস্কার করে বেড়ালেই যদি ভগবান আসত! একজন শোকাচ্ছন্ন ব্যক্তি যে চীৎকার করে কাঁদে, ভীষণ দূরবস্থায় পড়ে যখন ভগবানকে ডাকতে থাকে তখন তাদের অত একাগ্রতা থাকা সত্ত্বেও তো ভগবান আসে না।... ≫
“ ...হাতিকে না খেতে দিয়ে যদি বেঁধে রাখা যায় সে হাঁস-ফাঁস করতে থাকবে। মনের খোরাক এইসব হাটবাজার, হা-হুতাশ, চাকরি-বাকরি দিয়ে ভরানো যায় না।... ≫
“ ...তোমার সুর আর এই মনের সুর এক করতে পারলে, এক সুরে আসা যায়। তুমি যদি নদী হয়ে থাক তাহলে সাগরের সাথে যোগাযোগ হবেই।... ≫
“ ...আমাদের জানতে হবে সত্যিকারের সেই ধ্বনিকে যা জানলে সব জানা যায়। এই বীণা যন্ত্রকে বাজাতে হবে।... ≫
“ ...কেউ তেরতলা বাড়ী, গাড়ী হাঁকিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর এদিকে একজন না খেতে পেয়ে মরে যাচ্ছে। এটাও আধ্যাত্মকিতার কথা। শুধু বিষ্ণুর কথাই আধ্যাত্মিকতা নয়। এই বাস্তব নীতির ভিতর যে আধ্যাত্মিকতার নীতি দাঁড়িয়ে আছে, সেখান থেকে আমরা কাজ করব। ... ≫
“ ...সদ্যজাত শিশুকে, রক্ত-মাংস মাখা শিশুকে তখনই কোলে তুলে চুমু খাওয়া যায় না। নানারকম কথা বলে মানুষকে চমক দিয়ে দেবার মত অনেক আধ্যাত্মিকতার কথা আছে। কিন্তু তত্ত্বের কথা শুনতে হলে আগে ভিত্তি তৈরী করতে হবে।... ≫
“ ...জপটা চাকা চালানোর মত ঘুরিয়ে যাও। বোঝ বা না বোঝ তার বালাই নাই। সিদ্ধি, মুক্তি আসুক বা না আসুক সেদিকে খেয়াল করারও দরকার নেই। শেষে দেখবে একই মাত্রায় ইঞ্জিনের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে।... ≫
“ ...মনের পানাগুলো আমাদের মাঝে মাঝে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। অনুভূতি নাই, দর্শন পাই না, এই রকম কত কি। যতই পানা থাক আর যাই থাক, একটু শব্দ স্মরণ করে গেলেই হয়ে যাবে। টক টক করতে করতে দেখবে একদিন ঠিক ধরে ফেলেছ।... ≫
“ ...দেখবে, আমার ও তোমার মধ্যে যেন কোনরকম বিচ্ছেদ না ঘটে।... ≫
“ ...New light. I am giving for the benefit of the world. One day this light will automatically blossom.... ≫
“ ...সহজ চিন্তায় বাস্তবের সব কিছু বজায় রেখে কোন পথ অবলম্বন করলে সব কিছু পাওয়া যায়, সহজে সব কিছু জানা যায়?... ≫
“ ...আমরা কর্মী হয়ে সবাই যদি ঝাঁপিয়ে পড়ি, আমরা সবাই এক সুর, এক নীতিতে দাঁড়িয়ে যেন বলতে পারি আমরা পৃথিবীর সন্তান, মাটির সন্তান।... ≫
“ ...জীবনে কর্তব্য করে এই মন্ত্র শুধু স্মরণ করে যাবে। সব শক্তি এসে রয়েছে তোমাদের মধ্যে, শুধু উপলব্ধি হচ্ছে না। ঐ শব্দধ্বনির বিকাশ হওয়ামাত্র ফুটে উঠবে। ... ≫
“ ...সব বগিকে ইঞ্জিন করে নিয়ে যাওয়া কারও পক্ষে সম্ভব নয়। বগি, ইঞ্জিন হতে গেলে ক্লান্ত হয়ে পড়বে। বগির বগি থাকাই ভাল। ইঞ্জিন যেখানে যাবে, বগি সেখানে যদি যায় তাহলেই হ'ল। স্বাদ পেলেই হল। ... ≫
“ ...আমায় করতে হবে, যেটা চিরন্তন তার ব্যবস্থা। চিরযুগ, চিরদিন, যেখানে আমি ইচ্ছাধীনে চলতে পারব। সেই ক্ষমতা হচ্ছে সত্যিকারের ক্ষমতা, যেটায় আপন ইচ্ছাতে যেখানে খুশী ঘুরতে পারবে। সব করতে পারবে। ... ≫
“ ...আমার শুধু আধ্যাত্মিকই শেষ নয়। আমার এই ধর্ম হচ্ছে ন্যায়, কর্তব্য, মা-বাবা-ভাই বোন সবাইকে দেখা। ভাগাভাগি থাকবে না। ভাগাভাগি আমরা করব না। একটাই দেশ হবে, একটাই ধর্ম হবে।... ≫
“ ...আদেশ পালনের মধ্যে কোন প্রকার দ্বিধা থাকবে না। মরিয়া হয়ে কাজ করতে হবে। কাজের জন্য রক্ত দেব, প্রাণ দেব, জীবন পণ করতে হবে। ... ≫
“ ...রাধাকৃষ্ণনের সঙ্গে যখন দেখা হয়েছিল, তখন বলেছিলাম, আমি তোমাকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে কোন সম্মান দিই না। ফিলোজপার হিসাবে যদি বল তবে কথা বলতে রাজি আছি।... ≫
“ ...সত্য বস্তুর কাছে, ঝড়ের কাছে কারও মাথা তোলার ক্ষমতা থাকবে না। আমি খনির তত্ত্ব দেব, এতে বিপ্লব আসবে, এতে মানুষের মন-প্রাণ আপনি স্ফুরণ হবে। আপনি সবার মাথা নত হয়ে যাবে। এর ঢেউ যেখানে যাবে সকলকেই মাথা নত করতে হবে। ... ≫
“ ...যদি আমার প্রত্যেক শিষ্যকে এইভাবে বুঝিয়ে এইভাবে সন্দেহ নিরসন করে চলতে হয়, তবে আর কাজ করা চলে না। এইরকম হলে তার আর গুরুর কাছে স্থান হয় না। ... ≫
“ ...জীবের মুক্তির এই একমাত্র নাম, “রাম নারায়ণ রাম”।... ≫
“ ...তোমরা সত্যের পূজারী, ন্যায়ের পূজারী, তোমরা যাত্রিক, যে নাম পেয়েছ সেই নামই হচ্ছে একমাত্র সম্বল। এটা নিয়ে ডুবে থাকবে। আর কিছু চিন্তা করো না।... ≫
“ ...পৃথিবীর ইতিহাসে জীবজাতির যে কেউ যদি বুঝতে পারে আমাদের চলে যেতে হবে, আমরা থাকবো না। (শ্লোক)। এটা হল সেরা কথা। এর চেয়ে সেরা উপলব্ধি আর নেই। ... ≫
“ ...সুতরাং আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হবে সেই ব্যাপকতার যে ধ্বনি, আকাশময় যেটা ছড়িয়ে আছে, বাংলায় যেটা “রাম নারায়ণ রাম”। সেই ধ্বনি হচ্ছে আকাশেরই একটা ধ্বনি। আকাশেরই আর একটি নাম। ... ≫
“ ...আমি রাজনীতির কথা বলি না, বেদের কথা রাজনীতির কথা থেকে অনেক বড়। বেদ বলেছে, একটা লোক যদি অনাহারে মারা যায় তার মূল খুঁজে বার কর। তারপর সেই মূল উচ্ছেদ কর।... ≫
“ ...সমাজকে আজ শোষণ করে নিঃশেষ করে দিয়েছে, তাই প্রতিরোধের জন্য এই “রাম নারায়ণ রাম”। সকলের মধ্যে যখন জেগে উঠবে, তখন সমাজ আপন সুরে সমতায় থাকবে, তখন আপন সুরে সবাই একসুরে মগ্ন থাকবে।... ≫
“ ...এখন ইঞ্জিন আসার আগ পর্যন্ত বগির কি কাজ, গ্রীজ দিয়ে চাকাগুলোকে চালু রাখা যাতে ইঞ্জিনের গতির সাথে গতি মিলিয়ে চলতে পারে। সেইটাই হল এই নাম, জপ, স্মরণ-মনন, এটা হল একটা পথ। একেই বলে গুরু কৃপাহি কেবলম্।... ≫
“ ...সেইদিনই তোমাদের বড় সম্মান হবে, যেদিন তোমরা ধূলায় গড়াগড়ি করে বলতে পারবে ‘রাম নারায়ণ রাম’। যার মুখে শুনবে এই ‘রাম নারায়ণ রাম' তাকেই প্রণাম করবে।... ≫
“ ...তুমি তোমার যন্ত্রকে বাজাবার জন্য পথ খোঁজ। সেই পথ কি করে পাবে? যেমন করে স্বাদ, দর্শন, শ্রবণের ক্ষমতা পেয়েছ। এই মহামূল্য বস্তুগুলো আপনা থেকে এসেছে। এই স্বাদগুলো চোখ, মুখ, জিহ্বা দিয়ে বার করছ। এই মহামন্ত্রের মহাসুরের স্বাদ ভিতরের সুর দিয়েই বার করতে হবে।
“ ... ৫০০ বছর আগে পেয়েছিলে ১৬ নাম ৩২ অক্ষর। আজ পেয়েছ ‘রাম নারায়ণ রাম’ । এই নাম আছে আকাশে, বাতাসে। এই নাম তোমরা হিংসা, দ্বেষ ভুলে গিয়ে সবার ভিতর প্রচার করবে। মুক্তি অনিবার্য। ... ≫
“ ... বেদ শুধু হিন্দুর সম্পত্তি নয়, বেদ সর্বজীবের সর্বজাতির সম্পত্তি। আজ যত বিশৃঙ্খলা, উৎশৃঙ্খলা, যত রকম নোংরা, বেদের অর্থকে বিকৃত করেছে সম্প্রদায়গত চিন্তার জন্যই। বেদ বলছে যারা পৃথিবীতে বাস করে, সবার এক জাতি, এক ধর্ম, এখানে ভাগাভাগি, বাটাবাটি চলবে না। সূর্য, মাটি, বাতাস এক, ধর্মও সেইরূপ। ... ≫
“ ...এই হাড্ডি, শিরা-উপশিরা সর্বত্র সব জায়গায় বয়ে যাচ্ছে যে অশান্তির ঢেউ, হতাশের ব্যাপার, নিরাশের ব্যাপার। এই রকম করে এখানে, কিসের জন্য? পরমানন্দের আশায়, কামনায়, বাসনায় সমস্ত চেতনগুলো একমুখী হয়ে ধাইছে, আর তোমরা চাইছ MLA হব, Vote দেব। কাজেই আরও বেশী মার খাচ্ছ। এই যে উন্মাদনা, কর ক্ষতি নেই, তবে তুমি বুঝে বুঝে চল। ঐ চাওয়া প্রতি মুহূর্তে দেখিয়ে দিচ্ছে কি করতে হবে। ... ≫
“ ...তাই তোমরা বলবে রাম নারায়ণ রাম। যে বেদের কথা যে বেদের সুর তোমাদের কাছে তুলে ধরছি, অতি কঠিন তত্ত্ব। মামুলী কথা এখানে নেই। আবার মামুলী কথার ভিতর দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। তাই জেনে রেখ, অনন্তলোক হতে এই তত্ত্ব আসছে। এই তত্ত্ব সুস্থ, স্বচ্ছ। এখানে ভেজালের কোন কথা নেই। কর্তব্য ঠিক রেখে, সবাই মিলে একত্র হয়ে জায়গায় জায়গায় এই নাম প্রচার করবে। ... ≫
“ ...তোমরা সীমার মধ্যে আছ কিন্তু তোমাদের কাজ হচ্ছে সীমাহীন। আমার আশীর্বাদ রইল। আমার যে কামনা, বাসনা, সেই সুদূরের চিন্তা নিয়ে তৈরী হয়ে এগিয়ে চল। তোমরা তৈরী হও, তোমরা প্রস্তুত হও। সন্তান দলের উপর ভারতের, দেশের, জগতের শাসন হোক। শোষকদের হাত থেকে রক্ষা করে সেই বেদের শাসন যাতে ফিরে আসে তাতেই তোমাদের কামনা পূর্ণ হবে। মনে হয় সেই যুগ আসারই মুখে। ... ≫
“ ... ছ্যাঁচা খেতে খেতে একেবারে ঝরঝরে হয়ে যাবে, ছন্নছাড়ার মত হয়ে যাবে। এই ছ্যাঁচার জন্য তৈরী হয়ে যাও। যত অবস্থাই আসুক শুধু ‘রাম নারায়ণ রাম’, এখানে কেউ থাকবে না, কেউ আগে গেল, কেউ পরে গেল, সবাই তো যাবে। জীবনভর দুঃখ ছাড়া নাই। আমরা দুঃখের, আঘাতের ব্যথার কারখানায় বাস করছি, তাই আঘাত আসবে প্রতি মুহূর্তে, তোমরা তৈরী হয়ে থেক। ... ≫
“ ...আকাশের রূপ বর্ণনা, ব্যাখ্যা এই “রাম নারায়ণ রাম”। তাই আমাদের ভিতর সদা-সর্বদা উচ্চস্বরে উচ্চকণ্ঠে দিবারাত্র যদি এইভাবে স্মরণ করি, জপ করি তবে নিশ্চয়ই সেখানকার ভাষা শিখে নিতে পারব। সেই ভাষায় যদি তন্ময় হয়ে যেতে পার তখন তোমরা উপলব্ধি করবে স্বরূপের স্বরূপত্ব।... ≫
“ ...বড় ব্যথা নিয়ে চলছি। সেই বেদকে সুরকে যদি জাগিয়ে না দেওয়া যায়……. তোমরা উঠে পড়ে লেগে যাও। আঘাত, জেল, ফাঁসি আসে আসুক, মৃত্যু যখন আমাদের অনিবার্য্য। তাই ঝাঁপিয়ে পড়, প্রতিষ্ঠা কর সেই সুর, সমাজকে মধুময় কর।... ≫
“ ...অর্থ বোঝ বা না-বোঝ তাতে ক্ষতি নেই। যেমন শিশু অ, আ, ক, খ থেকে বুঝে নেয়, শিখে নেয়। মন যেদিকে খুশী যাক, মনের মধ্যে যা খুশী আসুক, তাতে কিছু ক্ষতি নেই। ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক বল “রাম নারায়ণ রাম”।... ≫
“ ...জেগে উঠুক তোমাদের মধ্যে সেই প্রকৃতির সুর, সেই বেদের সুর। তোমরা Harmony নিয়ে বসে আছ, Harmony যেন বলে— রাম নারায়ণ রাম”।... ≫
“ ...আমাদের বয়স ক্রমশঃ ক্রমশঃ বার্দ্ধক্যে উপনীত হচ্ছে তার পরেরটা কি? তারপর নাক, চোখ, কান, কাজ করছে না। তার কাছে আগুনও যা জলও তাই, সে কোন কথা বলছে না, বুঝ, সাড়া, দেখা, সব শিখিল হয়ে আসছে। তারা গেল কোথায়? ব্যক্তি পড়ে আছে ব্যক্তিত্ব কোথায়? হারাল কোথায়? একদিন এইভাবে ছিল শিরা, উপশিরা, রক্ত, শরীরের সব কিছু সুন্দর ভাবে ছিল, সেগুলো হঠাৎ গেল কোথায়? যে ছিল সে নেই, খাঁচাটা পড়ে আছে, সে কোথায়? এই প্রশ্ন মীমাংসার জন্য বহু বহু বছর অনেক বিজ্ঞানী, অনেক পণ্ডিত, বেদজ্ঞ, সাধক, মহানরা চেষ্টা করছেন, এরপর কোথায় যায়?... ≫
“ ...তোমাদের যদি মঙ্গল করতে চাই, জানিয়ে করতে যাব কেন? দাবীই-বা করবো কেন। অন্তরের দাবী ছাড়া তোমাদের কাছে আমার আর কিছুই চাওয়ার নেই। এরা বেদকে অপমানিত করে সমাজকে বিভ্রান্ত করেছে। তার প্রতিকার করছি। লক্ষ লক্ষ প্রায় কোটি খানেক হয়ে গেছে আমার শিষ্য, সমাজে অভাব সৃষ্টি করেছে যারা তারা আমাদের বন্ধু নয়, তাদেরই ধরব। ... ≫
“ ...সমান সুরে, সমদৃষ্টিতে এগিয়ে চলেছি। সমতালে, সমসুরে বেদকে প্রতিষ্ঠা করব। এই বিরাট বস্তুকে তুলে ধরব সমাজের বুকে। বেদের সমাজ মধুময় সমাজ, স্বর্গের সমাজ, মহাআনন্দময় সমাজ। এইখানেই বিরাট সুর, বিরাট আনন্দ খুঁজে পাবে। কাজ কর, সংসার কর, সবটার মধ্যে থাক। বল ‘রাম নারায়ণ রাম’।... ≫
“ ...বেদ বলেছেন, এইভাবে যদি তোমরা নিজেদের এই বেড়াজালে নিঃশেষ করে দাও, নিঃশেষ হয়ে যাবে। পথিক পথের সন্ধান পেয়েছ কি? সেই গ্রন্থ তোমাদের দেহের ভিতর, সাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিতে সব দেওয়া রয়েছে, এই অভাব পূরণ কে করবে? সাধারণ বুদ্ধিতে যা আছে, ততটুকুই যথেষ্ট আমাদের পক্ষে। ... ≫
“ ...আমাদের বাসা, ভাষা, ভাব হচ্ছে ‘নাই’ এই ‘নাই’ এর সংসার করছ। তাই শ্বাস পড়ছে উঠছে একবার বলছে ‘আছি’ আবার ‘নাই’ । এইটাকে মনে করেই তোমাদের চলতে হবে। পাকা করে গাঁথতে গেলেই ঠকতে হবে।... ≫
“ ...দিবারাত্র এই ধ্বনি, এই সুর নিয়ে চলবে। এর অর্থ আকাশ, আকাশের ধ্বনি, আকাশের সুর। মহাকাশের নীলবর্ণ থেকে এলেন নারায়ণ। এই নীলবর্ণের মহান অর্থ নিয়ে তা আবৃত। তাই, শব্দ ধ্বনির নিনাদে শুধু একটিমাত্র সুর—“রাম নারায়ণ রাম”। ... ≫
“ ...কর্তব্য করার মধ্যে করে গাও অবিরাম ‘রাম নারায়ণ রাম’। হৃদপিণ্ডে, শ্বাসে-প্রশ্বাসে, ধমনীতে, শিরায়-উপশিরায় জেগে উঠবে মহাচেতনের মহাচেতন। ...জানতে পারবে কোথায় যাবে, কিভাবে যাবে, তখন দেখবে কখন মহাকাশের সব দরজা খুলে গিয়ে সব বার্তা এসে পৌঁছাবে। তোমাদের জীবন তখন সার্থক হবে।... ≫
“ ... মহাকাশের মহাশক্তির সঙ্গে তালে তালে গতি বজায় রেখে এগিয়ে চল। আকাশে মনকে সমর্পণ করে এখানকার কর্তব্য করে যাও নির্ভয়ে। তবেই সেখানকার সাড়া খুঁজে পাবে। ... ≫
“ ...তোমরা তীর্থযাত্রীরা যেদিন জন্ম নিয়েছ, সেদিন থেকেই তীর্থের যাত্রী হিসাবে এই পৃথিবীর বিরাট ধর্মশালায় মুক্তিস্নানের জন্য তোমরা এগিয়ে চলছ। অনেক বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে ঐ পথে যেতে হয়। ... ≫
“ ...তোমরা পথিক, তোমরা যাত্রিক। এই আকাশের পথে আমরা সবাই এগিয়ে চলেছি, যাতে আমরা সহজ গতির সাথে হাত মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারি। ভুল কোর না। পথ অতি সুন্দর। ব্যথা-বেদনা, দুঃখ, আঘাতের মধ্যে দিয়েই জীবন কাটাতে হবে। ভেঙ্গে পড়ো না, হতাশ হয়ো না।... ≫
“ ... সুরটা পেতে হলে নাম, জপ, কীৰ্ত্তন, আদেশ, নির্দেশ গুরু যা দেন, তাকেই পাথেয় করে চলতে হয়। গুরু যা দিয়ে দেবেন, ছাপ দেবেন, মধুময় জীবন সেই ছাপ নিয়েই যাবে। তা না হলে হিন্দৎ পোহাতে হবে।... ≫
“ ... এই শ্বাস-প্রশ্বাসে ‘রাম নারায়ণ রাম’ বাঁধবে। শ্বাসে-প্রশ্বাসে নিজের সুরে ধ্বনি দিয়ে যেদিন তোমার ধ্বনিতে এই ধ্বনি হবে, সেদিনই ফুটে উঠবে। এটা অতি সহজে আয়ত্ব করতে পার অভ্যাসে। দিবারাত্র চেষ্টা করলে দেখবে তোমার ভিতরের যন্ত্রগুলো সবাই বলছে ‘রাম নারায়ণ রাম’।... ≫
“ ...তোমরা মধুকরের মত দেবীপূজার মধটুকু, তার অন্তর্নিহিত শিক্ষা ও আদর্শটুকু আহরণ করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দাও। তবেই হবে সত্যিকারের পূজা, সেটাই হবে সার্থক পূজা।... ≫
“ ...শুধু সেই কয়টি কথা একবারে ভিতর, হৃদয়স্থলে রেখে দেওয়া হবে। যত প্রলোভন, যত বিরুদ্ধ শক্তি এসে তোমাদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে, ঐ গণ্ডির বাইরে যাবে না; এই একটি কথা। আমিতো তখন উপস্থিত থাকতেছি না। আর তো কেউ বলিয়ে থাকবে না। শুধু বলা থাকবে ঐ লেখাটা সাবধান! সাবধান!... ≫
“ ...আজকে আমাদের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অমুক ঐ দলে, অমুক ঐ সংগঠনে, তিনি এই পন্থী, উনি ঐ পন্থী অমুক সম্প্রদায়, তমুক সম্প্রদায়, এই জাতি, ঐ জাতি, এগুলি সব ভুলে যেতে হবে। জাতি একটাই— মানুষ জাতি। ধর্ম একটাই— মানব ধর্ম।... ≫
সমাপ্ত